Tag: bangla news

bangla news

  • S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে চলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! সোমবার বেজিংয়ে চিনা (China) বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ওই বৈঠকে বাধাদানকারী বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন বাধা সরানোর আহ্বানও জানান তিনি। জয়শঙ্কর দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দুই দেশই।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “এই প্রসঙ্গে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে দুই দেশের বাণিজ্যে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিবন্ধকতা যেন আরোপ না করা হয়। আমি আশা করি, এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করতে পারব।” তিনি জানান, গত ন’মাসে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে। জয়শঙ্করের এই চিন সফর হচ্ছে পাঁচ বছর পরে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর। ওই সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক

    প্রসঙ্গত, জয়শঙ্করের ওই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এল যখন চিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সার-সহ ভারতের বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “গত ন’মাসে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি করেছি। এটি সীমান্তে উত্তেজনার অবসান এবং সেখানে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার ফল।”  তিনি বলেন, এই হল পারস্পরিক কৌশলগত আস্থার মৌলিক ভিত্তি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মসৃণ বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখন আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের মোকাবিলা করা, যার মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিও।”

    চিনের সংবেদনশীল খাতগুলিতে রফতানি নিয়ন্ত্রণের নাম না করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ভর করবে উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা থেকে সরে আসে কি না, তার ওপর। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিশ্চিতভাবেই পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা বাড়াতে পারে (China)। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতা এড়ানো।”

  • UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ইউপিআই। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ নিয়মিতভাবে অনলাইন পেমেন্টে এই অ্যাপ করছেন। হু হু করে বাড়ছে ইউপিআই ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI) এখন বিশ্বের কাছেও এক অনন্য উদাহরণ। সম্প্রতি একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছে ইউপিআই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ (UPI) অফিশিয়ালি ভিসাকে (Visa) টপকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। দৈনিক ৬৫০ মিলিয়ন লেনদেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ১৮ বিলিয়ন (১৮০০ কোটি) ট্র্যানজাকশন হয় এর মাধ্যমে। ইউপিআই-এর হাত ধরে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে দ্রুতগতির রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উদাহরণ স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভারতের এই সাফল্যের প্রশংসা করা হয়েছে।

    ইউপিআই-এর প্রশংসায় আইএমএফ

    ২০১৬ সালে ভারতে চালু হয় ইউপিআই। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিউআর কোড বা ইউপিআই আইডির মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট করা যায় বলে এই ব্যবস্থা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। ‘গ্রোয়িং রিটেল জিজিটাল পেমেন্টস’(Growing Retail Digital Payments: The Value of Interoperability) শীর্ষক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর থেকে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এক বিপ্লব ঘটিয়েছে ইউপিআই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোকেও পেছনে ফেলে এখন ভারতই এই খাতে পথপ্রদর্শক।

    ইউপিআই সাফল্যের পেছনের কারণ

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবহারকারী-বান্ধব ডিজাইন, রিয়েল-টাইম পেমেন্ট, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যুক্ত হওয়ার সুযোগ এবং সহজ ইন্টারঅপারেবিলিটি ইউপিআই-কে সফল করেছে। কিউআর কোড, ভয়েস-নোটিফিকেশন ও সহজ ইন্টারফেস থাকায় গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিক—সবাই খুব সহজেই ডিজিটাল লেনদেন গ্রহণ করতে পেরেছেন। ইউপিআই কার্যত বর্তমানে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

    অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মডেল

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৩২-টিরও বেশি ব্যাঙ্ক ইউপিআই (UPI) প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় এবং প্রতি মাসে ১৬.৫৮ বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৩.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। এটি শুধু ডিজিটাল লেনদেন নয়, বরং আইনি স্বচ্ছতা, আর্থিক সাক্ষরতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) অমিতাভ কান্ত সম্প্রতি ইউপিআই –এর এই নয়া মাইলফলক সম্পর্কে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’ –এ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ ভিসা কে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছে। ইউপিআই মাত্র নয় বছরে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই বিষয়টি ইউপিআই –এর দুর্দান্ত বৃদ্ধির ইঙ্গিত করছে। দুর্দান্ত গতিতে এই সিস্টমেটির গ্রহযোগ্যতা বেড়েছে।

    সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে

    শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখনও পর্যন্ত মোট ৮টি দেশে এই ইউপিআই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভারতের বাইরে প্রথম দেশ হিসাবে ২০২১ সালে ইউপিআই চালু হয় ভূটানে। এর পর ওই বছরই ইউপিআই চালু হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২০২৪ সালে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে ইউপিআই গ্রহণ করে ফ্রান্স। ভারতের এনপিসিআই ও ফ্রান্সের লায়রা নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় সে দেশে ইউপিআই চালু হয়। এ ছাড়াও নেপাল, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতেও চালু হয়েছে ইউপিআই। আগামীতে কাতার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, ওমান ও মালদ্বীপের মতো দেশে ইউপিআই চালু হতে পারে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর ফলে বিদেশে ভারতীয় পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ হয়েছে।

    ভিসাকে টেক্কা ইউপিআই-এর

    সম্প্রতি ইউপিআই –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা সাড়ে ৬০০ মিলিয়নে পোঁছে গিয়েছে। অপরদিকে, ভিসা –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা রয়েছে ৬৩৯ মিলিয়ন। অর্থাৎ, দৈনিক লেনদেনের দৌড়ে ভিসার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২০০ টিরও বেশি দেশে ভিসার উপস্থিতি রয়েছে। সেই তুলনায় ইউপিআই –এর উপস্থিতি রয়েছে মাত্র ৮ টি দেশে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই দুর্দান্ত সাফল্যের দেখা পেয়েছে পেমেন্ট সিস্টেমটি। উল্লেখ্য, ইউপিআই হল মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য ডিজাইন করা একটি ইনস্ট্যান্ট ইন্টার ব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম। এটিকে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রতি মাসে ১৮ বিলিয়ন ট্রানজ্যাকশন প্রসেস করে থাকে। সম্প্রতি ইউপিআই নিয়ে আইএমএফ-এর স্বীকৃতি ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক আর্থিক নেতৃত্বের পথে এক বড় ধাপ, যা শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, আর্থিক স্বচ্ছতা, শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও ভারতের অবস্থানকে মজবুত করে।

  • Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুরক্ষার (Passengers Safety) পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের ধরতে এবার ট্রেনের সব কামরাতেই সিসি ক্যামেরা লাগাতে চলেছে রেল (Indian Railways)। রবিবার রেলমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। উত্তর রেলের আওতায় থাকা লোকো ইঞ্জিন এবং কামরায় পরীক্ষামূলকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সেখানে ইতিবাচক সাড়া মিলতেই এবার রেলের সব জোনের কামরা ও লোকো ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক।

    খতিয়ে দেখলেন রেলমন্ত্রী (Indian Railways)

    শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রেল প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু ট্রেনের কামরা এবং লোকো ইঞ্জিনগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ খতিয়ে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রেলবোর্ডের কর্তারাও। জানা গিয়েছে, অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্ত্রক খুব শীঘ্রই ১৫ হাজার লোকো ইঞ্জিন এবং ৭৪ হাজার কোচে সিসি ক্যামেরা লাগাবে। প্রতিটি কোচে থাকবে ৪টি করে সিসি ক্যামেরা। আর লোকোমোটিভে থাকবে ৬টি। রবিবার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। যাত্রীদের সারল্যের সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার সাহায্যে এই ধরনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো যাবে। রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত পরিসর সুরক্ষিত রাখতে ক্যামেরা লাগানো হবে কেবল কামরায় ঢোকার মুখে।

    গম্বুজ সিসিটিভি

    রেল সূত্রে খবর, লোকোমোটিভের ভেতরে, সামনে এবং পিছনের দিকে একটি করে গম্বুজ সিসিটিভি থাকবে। দুটি ডেস্ক মাউন্ট করা মাইক্রোফোনও থাকবে। রেলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ট্রেনের বগিতে দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের সব জোনের কোচে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Indian Railways)।” ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিতে এবং কম আলোয়ও স্পষ্ট ফুটেজ দেখাবে এই উচ্চমানের ক্যামেরাগুলি। রেল সূত্রে খবর, উন্নতমানের ও আধুনিক এসটিকিউসি সার্টিফায়েড সিসি ক্যামেরায় বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের রেলমন্ত্রীর নির্দেশ, এমন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো (Passengers Safety) হোক যা এআই-পাওয়ার্ড এবং ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিবেগেও স্থিতিশীল ভিডিও তুলতে পারে (Indian Railways)।

  • Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) কোনও ধর্মীয় কাজে দান করতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয়সঙ্কোচ করার ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত কথা বলার জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ২) বন্ধুরা আপনার পাশে দাঁড়াবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) শুভ কাজে বাধা পাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম,  ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে):
    “হ্যা গা, ছোট নরেন এসেছে। আশা করছে, বাড়িতে গিয়ে কিছু বলবে। খুব শুদ্ধ ছেলে— মেয়েদের সঙ্গ সে করে না।”

    মাস্টার: “আর খোলটা খুব বড়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “হ্যাঁ। আবার বলি, ঈশ্বরের কথা একবার শুনলে আমার মনে থেকে যায়। ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ‘ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না?’ ”

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

  • India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেওয়াল লিখনটা স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিল লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনে। পঞ্চম দিনে প্রাপ্তি শুধুই জাদেজার লড়াই। লড়েছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর রকম লড়েছিলেন। যদি জেতাতে পারতেন তাহলে নায়কের আসন ছিল পাকা। কিন্তু পরাজিত হলে লড়াইয়ের দাম থাকে না। তাই হল। জাদেজা নিজে অপরাজিত থাকলেন ৬১ রানে। কিন্তু শোয়েব বশিরের বলটা সিরাজ খেলার পরেও দিল উইকেট ভেঙে। আটকাতেই পারতেন পা দিয়ে। মুহূর্তের ভুল। আর তাতেই সবশেষে। ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারত শেষ হয়ে গেল ১৭০ রানে। লর্ডস টেস্ট ইংল্যান্ড (India vs England) জিতে নিল ২২ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ২–১ ব্যবধানে।

    ডুবল গিলের রণতরী

    ২০২১ সালে ভারত শেষ বার লর্ডসে (India vs England) জিতেছিল। চার বছর আগের লর্ডস টেস্টে লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। চার বছর পরে লর্ডস টেস্টের নায়ক হতে পারতেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই ত্রাতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেন স্টোকসের বাঁক খাওয়া বলটা মৃত্য পরোয়ানা নিয়ে হাজির হল ভারতের ওপেনারের সামনে। চতুর্থ দিনের শেষে রাহুল ব্যাট করছিলেন ৩৩ রানে। পঞ্চম দিন রাহুল বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। বেন স্টোকসের ব্যুমেরাং মোক্ষম সময়ে রাহুলের পায়ে লাগল। ৩৯ রানে ফিরে গেলেন ভারতের ওপেনার। লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে একেবারেই স্বস্তিতে ছিল না টিম ইন্ডিয়া। ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৫৮/৪। সোমবার ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য লোকেশ রাহুলদের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। রাহুল-পন্থ থাকলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু পন্থও ফিরে গেলেন দ্রুত। আসলে এজবাস্টনের হারটা মানতে পারছিলেন না আর্চার-স্টোকসরা।

    জাদেজার লড়াই

    রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করছিলেন নীতীশ রেড্ডি। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। সেখান থেকে জশপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে দীর্ঘ সময় একা কুম্ভের মতো লড়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহও স্টোকস-আর্চারদের সামলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে আউট হলেন মহম্মদ সিরাজ। যখন আশা করা হচ্ছিল, সিরাজ ঠিক লড়ে যাবেন, তখনই বিপর্যয়। তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। চতুর্থ ইনিংসের চাপ নিতে না পারার খেসারত দিল গিল-বাহিনী।

  • PM Modi: মিজোরামে বৈরাবি-সাইরাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মিজোরামে বৈরাবি-সাইরাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালে, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায়। এতদিনে পূরণ হতে চলেছে স্বপ্ন, মোদি (PM Modi) জমানায়। ২৬ বছর পরে বাস্তবে রূপ নিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত (Mizoram) বৈরাবি-সাইরাং রেলপথ। ট্রেন চলাচল চালু হয়ে গেলে ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি মিজোরামের রাজধানী আইজলকে প্রথমবারের মতো নিয়ে আসবে ভারতের রেল মানচিত্রে। শীঘ্রই রেলপথটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্চাশ কিলোমিটারের খানিক বেশি দীর্ঘ এই রেললাইনে পড়বে ৪৮টি টানেল। প্রধান সেতু পড়বে ৫৫টি, ছোট সেতু ৮৭টি। ৫টি সড়ক ওভারব্রিজ এবং ৯টি সড়ক আন্ডারব্রিজ। রেলপথটি কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি উঁচু। এর উচ্চতা ১০৪ মিটার। সুউচ্চ সেতুর তালিকায় এর ঠাঁই ১৯৬ নম্বরে।

    একাধিক প্রতিবন্ধকতা (PM Modi)

    উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ির রাজ্যের রাজধানীকে রেলপথের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়তে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়। তখনই সামনে চলে আসে একাধিক প্রতিবন্ধকতা – ঘন বন, কম দৃশ্যমানতা এবং কঠিন ভূখণ্ড। প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ করতেই কেটে যায় বেশ কিছুটা সময়। ২০০৩ সালে ফের একবার সমীক্ষা হয়। ২০১১ সালে রাইটস (RITES) কর্তৃক চূড়ান্ত প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার একে একটি জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর আর কাজ এগোয়নি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই ২৯ নভেম্বর এই রেলপথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় জমি অধিগ্রহণের কাজ। নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হয় ২০১৫-’১৬ সালে।

    কী বললেন প্রধান টেকনোলজিস্ট?

    প্রকল্পের (PM Modi) প্রধান টেকনোলজিস্ট বিনোদ কুমার বলেন, “এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষাকালীন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খানিক ব্যাহত হয়েছিল নির্মাণকাজ। এই রেলপথটি গিয়েছে খাড়া পাহাড়, গভীর গিরিখাত এবং উপত্যকার মধ্যে দিয়ে। তাই প্রচুর টানেল খনন এবং সেতু নির্মাণের প্রয়োজন হয়েছিল।” জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন মিজোরামের (Mizoram) মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা। সেখানেই এই রেলপথ উদ্বোধন নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরেই জানা যায় রেলপথটির উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার রাজ্যপাল হিসেবে মনোনীত হলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অসীম ঘোষ (Ashim Ghosh)। সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মনোনয়নের কথা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই বর্ষীয়ান নেতার রাজ্যপাল পদে মনোনয়নের খবর আসতেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তিনি বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন (Governor Of Hariyana)।

    ১৯৪৪ সালে জন্ম অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh)

    ১৯৪৪ সালে হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করেন অসীম ঘোষ (Governor Of Hariyana)। পড়াশোনা করেন হাওড়ার বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে, এরপর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৮ বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন তিনি। রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৯১ সালে, বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে।

    বঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখ অসীম (Ashim Ghosh)

    বিজেপির রাজনীতিতে অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh) অবদান দীর্ঘ ও উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৬ সালে তিনি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক হন। ১৯৯৮ সালে রাজ্য সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি। ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ছিলেন ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্ম সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য বুদ্ধিজীবী সেলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা তাঁকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।

    নতুন রাজ্যপাল গোয়ায়, লাদাখে নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    হরিয়ানার পাশাপাশি গোয়া এবং লাদাখেও নতুন রাজ্যপাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোয়ার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন পুষ্পতি অশোক গজপতি। তিনি তেলুগু দেশম পার্টির দীর্ঘদিনের নেতা এবং সাতবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে বিজয়নগরম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন প্রায় চার বছর। লাদাখের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কোভিন্দর গুপ্তা। তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও আরএসএসের দীর্ঘদিনের সদস্য। জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের সময় তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

  • Supreme Court: “বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে,” প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর কার্টুন মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে,” প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর কার্টুন মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরএসএস কর্মীদের আপত্তিকর কার্টুন (Cartoons On PM Modi) মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এই যুক্তিতেই নাকচ করে দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কার্টুনিস্ট হেমন্ত মালব্যের আগাম জামিনের আবেদন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস কর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর কার্টুন আঁকার অভিযোগ উঠেছিল হেমন্তর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মানহানির মামলা। অভিযোগ, হিন্দুদের ভাবাবেগেও আঘাত করেছেন তিনি।

    শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন হেমন্ত (Supreme Court)

    মানহানি মামলা দায়ের হওয়ার পরেই আগাম জামিনের জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন হেমন্ত। আদালত তাঁকে একদিনের জন্যও অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করে। হেমন্তর আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন শুনানির সময় বেঞ্চ মৌখিকভাবে মন্তব্য করে, এই ধরনের কার্টুনিস্ট ও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানরা বাকস্বাধীনতার নামে সীমা লঙ্ঘন করছেন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার থাকলেও, সেই অধিকারের অপব্যবহার করলে কাউকে অন্ধভাবে রক্ষা করা যাবে না।

    আগাম জামিনের আবেদন খারিজ আগেও

    এর আগেও আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল হেমন্তর আগাম জামিনের আবেদন। ৩ জুলাই তা খারিজ করে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেখানেও বিচারপতিরা বলেছিলেন, তিনি বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করেছেন এবং কার্টুন প্রকাশে কোনও রকম সংযম দেখাননি। এরপর হেমন্ত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। সেখানেও প্রাথমিকভাবে মিলল না স্বস্তি। আবেদনপত্রে হেমন্ত উল্লেখ করেন, বিতর্কিত কার্টুনটি ২০২০ সালের কোভিড ১৯ মহামারির সময় প্রকাশিত হয়। তাঁর দাবি, কার্টুনটি মূলত স্যাটায়ারের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক মন্তব্য (Supreme Court)।

    প্রসঙ্গত, কার্টুনটিতে একটি কাল্পনিক দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যেখানে একজন নাগরিককে একটি টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাটি দিচ্ছেন এক রাজনৈতিক নেতা। হেমন্তর দাবি, এটি (Cartoons On PM Modi) সামাজিক ব্যঙ্গচিত্রের একটি অংশ, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না (Supreme Court)।

  • BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন শত্রু পাকিস্তানের বুকে আতঙ্ক ধরিয়েছে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এর আঘাতেই চোখের নিমেষে ধূলোয় মিশেছে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির অন্তত ন’টি বায়ুসেনা ঘাঁটি। ফলে লড়াই থামতেই দুনিয়ার অস্ত্রবাজারে তুঙ্গে উঠেছে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা। বিশ্বের সমীহ কুড়িয়ে নেওয়া সেই মারণাস্ত্র এবার দেশের রাজকোষ ভরাতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান গেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের ১৪-১৫টি দেশ।

    লখনউ থেকে রফতানি হবে ব্রহ্মস

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমি লখনউয়ে ব্রহ্মস এয়ারস্পেস ইন্টিগ্রেশন ও পরীক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আমাদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ব্রহ্মসের তাণ্ডবলীলায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এই মিসাইলের মারণ ক্ষমতা দেখার পর ১৪-১৫টি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের কেনার আর্জি জানিয়েছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এখন লখনউ থেকে রফতানি করা হবে। আমি বিশ্বাস করি এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। আমাদের লক্ষ্য এখানে আরও শিল্প আনা যাতে লখনউয়ের পাশাপাশি রাজ্যের উন্নতি হয়।”

    ব্রহ্মস-এর নামকরণ

    ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদনকারী সংস্থা হল ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট মারণাস্ত্রটির প্রযু্ক্তি তৈরিতে রয়েছে ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা ডিআরডিও এবং রুশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    ব্রহ্মস-এর শ্রেণিবিভাগ

    বর্তমানে ভারত যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার চারটি শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। স্থল, রণতরী, যুদ্ধবিমান এবং ডুবোজাহাজ থেকে একে ছোড়া যায়। প্রথাগত বিস্ফোরকের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু হাতিয়ার বহনেও সমান ভাবে সক্ষম। এর গতিবেগ তিন ম্যাকের সামান্য বেশি। সূত্রের খবর, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪,৯০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ‘ব্রহ্মস’। ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। এর পাল্লার রকমফের রয়েছে। প্রায় সাড়ে আট মিটার লম্বা ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন তিন হাজার কেজি। মারণাস্ত্রটি হাইপারসনিক শ্রেণিতে বদলে গেলে এর পাল্লা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজার কিলোমিটার। ভারতীয় সেনা এবং নৌবাহিনী যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে এ দেশের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা এই হাতিয়ার ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মস সামরিক ট্রাক, যুদ্ধবিমান, ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। তবে স্থলভূমি ও যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা হয় তার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিমি। ডুবোজাহাজে যে ব্রহ্মস ব্যবহার হয় তার তুলনায় এই পাল্লা কিছুটা কম।

    ভারতের অস্ত্র মন কেড়েছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মস হল সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটা শুধু হাতিয়ার নয়, একটা বার্তা। শত্রুকে প্রতিহত করার বার্তা। বর্ডার সুরক্ষিত করার বার্তা।” এরপর এ দিন রাজনাথ প্রসঙ্গ তোলের এ পি জে আবদুল কালামের। মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব শক্তিশালীদের সম্মান করে। ভীতুদের নয়। আমাদের শক্তি বাড়াতে হবে। দেশ শক্তিশালী না হলে কেউ সম্মান করবে না। আর ভারত অন্য়তম শক্তিশালী দেশ।” তবে শুধু ব্রহ্মস নয়, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও একাধিক মারণাস্ত্র ও প্রযুক্তি মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কমিউনিকেশন সিস্টেম, অফশোর টহল জাহাজ, স্করপিন সাবমেরিন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গরুড় বন্দুকের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পদক্ষেপে বিরাট সাফল্য পাবে কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

     

     

     

     

LinkedIn
Share