Tag: bangla news

bangla news

  • China: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    China: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলযুদ্ধে আমেরিকাকে টেক্কা দেওয়ার বাসনা চিনের (China) বরাবরের, যা এবার ধাক্কা খেল। ডুবে গেল বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীর নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন। চিন একথা প্রকাশ্যে না আনলেও বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক এই দাবি করেন। তাঁর দাবি, চিনের (China) নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত ওই সাবমেরিন (nuclear-powered attack submarine) এই বছরের শুরুর দিকে ডুবে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবিও ধরা পড়েছে বলে মত তাঁর।

    খবর প্রকাশ করেনি চিন

    বিশ্বের বৃহত্তম নৌসেনার অধিকারী চিন (China)। চিনের রয়েছে ৩৭০ টিরও বেশি জাহাজ। এছাড়াও, চিন ইতিমধ্যেই একটি নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক (Nuclear Submarine) সশস্ত্র সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু করেছে। এমন অবস্থায় এই খবর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই খবর সামনে আসায় অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে বেজিংও। যদিও তাদের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে দেওয়ার মতো কোনও তথ্য নেই। দূতাবাসের তরফে বলা হয়, এই ঘটনা সম্পর্কে তারা অবগত নয়। 

    আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ডাহা ফেল প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, প্যান ডি! ৫৩ ওষুধের তালিকা প্রকাশ

    মে-জুন মাসের ঘটনা

    চিনের (China) প্রতিরক্ষা শিল্প দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের সরঞ্জামের গুণমান এমনকী লালফৌজের জলসেনার প্রশিক্ষণ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েলিংটন কু, (Taiwan Defence Minister Wellington Koo), শুক্রবার তাইপেইতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, “একাধিক গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে তিনি বিশদ বিবরণ দেননি। মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, “চিনের নতুন প্রথম-শ্রেণির পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন (Nuclear Submarine) মে থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে একটি পিয়ারের পাশে ডুবে যায়।” তিনি আরও বলেন, কী কারণে সাবমেরিন ডুবে গিয়েছে বা সেই মুহূর্তে তাতে পারমাণবিক জ্বালানি ছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 148: “সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে..সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু”

    Ramakrishna 148: “সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে..সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    রামাদি (Ramakrishna) ভক্তদের প্রতি—যদি বল কোন্‌ মূর্তির চিন্তা করব; যে-মূর্তি ভাল লাগে তারই ধ্যান করবে। কিন্তু জানবে যে, সবই এক।

    কারু উপর বিদ্বেষ করতে নাই। শিব, কালী, হরি—সবই একেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। যে এক করেছে সেই ধন্য।

    বহিঃ শৈব, হৃদে কালী, মুখে হরিবোল (Kathamrita)।

    একটু কাম-ক্রোধাদি না থাকলে শরীর থাকে না। তাই তোমরা কেবল কমাবার চেষ্টা করবে।

    ঠাকুর কেদারকে দেখিয়া বলিতেছেন—

    ইনি বেশ। নিত্যও মানেন, লীলাও মানেন। একদিকে ব্রহ্ম, আবার দেবলীলা-মানুষলীলা পর্যন্ত।”

    কেদার বলেন যে, ঠাকুর মানুষদেহ লইয়া অবতীর্ণ হইয়াছেন।

    সন্ন্যাসী ও কামিনী—ভক্তা স্ত্রীলোক 

    নিত্যগোপালকে দেখিয়া ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন —এর বেশ অবস্থা!

    (নিত্যগোপালের প্রতি)—তুই সেখানে বেশি যাসনি।—কখনও একবার গেলি। ভক্ত হলেই বা—মেয়েমানুষ কিনা। তাই সাবধান।

    সন্ন্যাসীর বড় কঠিন নিয়ম। স্ত্রীলোকের চিত্রপট পর্যন্ত দেখবে না। এটি সংসারী লোকেদের পক্ষে নয়।

    স্ত্রীলোক যদি খুব ভক্তও হয়—তবুও মেশামেশি করা উচিত নয়। জিতেন্দ্রিয় হলেও-লোকশিক্ষার জন্য ত্যাগীর এ-সব করতে হয়।

    সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে। তা না হলে তারাও পড়ে যাবে। সন্ন্যাসী জগদ্‌গুরু (Ramakrishna) ।

    এইবার ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তেরা উঠিয়া বেড়াইতেছেন। মাস্টার প্রহ্লাদের ছবির সম্মুখে দাঁড়াইয়া ছবি দেখিতেছেন। প্রহ্লাদের অহেতুকী ভক্তি—ঠাকুর বলিয়াছেন (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    অহেতুকী ভক্তি—মূলকথা—রাগানুগাভক্তি 

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    যদি রাগভক্তি হয়—অনুরাগের সহিত ভক্তি—তাহলে তিনি স্থির থাকতে পারেন না।

    ভক্তি তাঁর কিরূপ প্রিয়—খোল দিয়ে জাব যেমন গরুর প্রিয়—গবগব করে খায়।

    রাগভক্তি—শুদ্ধাভক্তি—অহেতুকী ভক্তি। যেমন প্রহ্লাদের।

    তুমি বড়লোকের কাছে কিছু চাও না—কিন্তু রোজ আস—তাকে দেখতে ভালবাস। জিজ্ঞাসা করলে বল,  ‘আজ্ঞা, দরকার কিছু নাই—আপনাকে দেখতে এসেছি।’ এর নাম অহেতুকী ভক্তি। তুমি ঈশ্বরের (Kathamrita) কাছে কিছু চাও না—কেবল ভালবাস।”

    এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    আমি মুক্তি দিতে কাতর নই
    শুদ্ধাভক্তি দিতে কাতর হই।
    আমার ভক্তি যেবা পায়, তারে কেবা পায়,
    সে যে সেবা পায়, হয়ে ত্রিলোকজয়ী ॥
    শুন চন্দ্রাবলী ভক্তির কথা কই।
    ভক্তির কারণে পাতাল ভবনে,
    বলির দ্বারে আমি দ্বারী হয়ে রই ॥
    শুদ্ধাভক্তি এক আছে বৃন্দাবনে,
    গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে।
    ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে,
    পিতাজ্ঞানে নন্দের বাধা মাথায় বই ॥

    মূলকথা ঈশ্বরে রাগানুগা ভক্তি। আর বিবেক বৈরাগ্য।

    চৌধুরী—মহাশয়, গুরু না হলে কি হবে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সচ্চিদানন্দই গুরু।

    শবসাধন করে ইষ্টদর্শনের সময় গুরু সামনে এসে পড়েন—আর বলেন, ‘ওই দেখ্‌ তোর ইষ্ট।’—তারপর গুরু ইষ্টে লীন হয়ে যান। যিনি গুরু তিনিই ইষ্ট। গুরু খেই ধরে দেন।

    অনন্তব্রত করে। কিন্তু পূজা করে—বিষ্ণুকে। তাঁরই মধ্যে ঈশ্বরের (Kathamrita) অনন্তরূপ!”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    নির্জনে সাধন—ফিলজফি—ঈশ্বরদর্শন 

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সেই পূর্ব পরিচিত ঘরে মধ্যাহ্নে সেবার পর ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ (রবিবার, ১৪ই ফাল্গুন, কৃষ্ণা তৃতীয়া)।

    রাখাল, হরিশ, লাটু, হাজরা আজকাল ঠাকুরের পদছায়ায় সর্বদা বাস করিতেছেন। কলিকাতা হইতে রাম, কেদার, নিত্যগোপাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তেরা আসিয়াছেন (Kathamrita)। আর চৌধুরী আসিয়াছেন।

    চৌধুরীর সম্প্রতি পত্নীবিয়োগ হইয়াছে। মনের শান্তির জন্য তিনি ঠাকুরকে দর্শন করিতে কয়বার আসিয়াছেন। তিনি চারটা পাশ করিয়াছেন—রাজ সরকারের কাজ করেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাম প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—রাখাল, নরেন্দ্র, ভবনাথ এরা নিত্য সিদ্ধ—জন্ম থেকেই চৈতন্য আছে। লোকশিক্ষার জন্যই শরীরধারণ।

    আর-একথাক আছে কৃপাসিদ্ধ। হঠাৎ তাঁর কৃপা হল—অমনি দর্শন আর জ্ঞানলাভ। যেমন হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!—একটু একটু করে হয় না

    যাঁরা সংসারে আছে তাদের সাধন করতে হয়। নির্জনে গিয়ে ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়।

    (চৌধুরীর প্রতি)—পাণ্ডিত্য দ্বারা তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আর তাঁর বিষয় কে বিচার করে বুঝবে? তাঁর পাদপদ্মে ভক্তি যাতে হয়, তাই সকলের করা উচিত।

    ভীষ্মদেবের ক্রন্দন—হার-জিত—দিব্যচক্ষু ও গীতা 

    তাঁর অনন্ত ঐশ্বর্য—কি বুঝবে? তাঁর কার্যই বা কি বুঝতে পারবে?

    ভীষ্মদেব যিনি সাক্ষাৎ অষ্টবসুর একজন বসু—তিনিই শরশয্যায় শুয়ে কাঁদতে লাগলেন। বললেন—কি আশ্চর্য! পাণ্ডবদের সঙ্গে স্বয়ং ভগবান সর্বদাই আছেন, তবু তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই! ভগবানের কার্য কে বুঝবে!

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: পুজোর ছুটিতে ডাক্তারবাবুরা! আগাম কাদের সতর্কতা জরুরি? কী পরামর্শ মেনে চলবেন? 

    Durga Puja 2024: পুজোর ছুটিতে ডাক্তারবাবুরা! আগাম কাদের সতর্কতা জরুরি? কী পরামর্শ মেনে চলবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েকদিন! তার পরেই ঢাকে কাঠির আওয়াজ! দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময় দেশ-বিদেশে অনেকেই ছুটি কাটাতে যান‌। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই তালিকায় রয়েছেন। রোগীদের একাংশের দুশ্চিন্তা, ‘ছুটির সময়ে’ বড় বিপদ রুখবেন কীভাবে?! তবে দিন কয়েকের মোকাবিলার উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল! আসুন, দেখে নিই, কী পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা?

    ডায়াবেটিসের বিপদ রুখতে পেট খালি রাখলে চলবে না (Durga Puja 2024)

    তরুণ প্রজন্ম থেকে প্রবীণ নাগরিক, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। সব বয়সের অধিকাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছেন! পুজোর কদিন শরীরের বাড়তি বিপদ আটকাতে তাঁদের সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময় অনেকেই অনিয়ম করেন। বিশেষ করে খাওয়া নিয়ে অনিয়ম হয় সবচেয়ে বেশি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়ায় যেন কোনও নড়চড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওষুধের সময়ে হেরফের হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠা-নামা করতে পারে। এর জেরে শরীরে নানা রকম অস্বস্তি, এমনকী চেতনা হারানোর মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তবে, ওষুধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া জরুরি। মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফল ও সব্জি এবং পরিমিত প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখা দরকার। বাড়তি দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    হৃদরোগের বিপদ ঠেকাতে নুনের পরিমাণে রাশ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সিরাও। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, পুজোর সময়ে যাতে কোনও ভাবেই ওষুধে অবহেলা না হয়, সেটা মনে রাখা দরকার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পাশপাশি খাবারে নজরদারি দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই লাগাতার চটজলদি খাবার খান। অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন এবং তেলেভাজা খাওয়ার জেরে সমস্যা হতে পারে। বিশেষত যারা কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিভিন্ন চটজলদি খাবারে বাড়তি নুন দেওয়া থাকে। তাই সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। নুন খাওয়ার পরিমাণে রাশ  টানলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    জ্বরে ভরসা থাকুক প্যারাসিটামলে (Durga Puja 2024)

    আবহাওয়ার খামখেয়ালির জেরে পুজোর মধ্যেও‌ বাড়তে পারে জ্বর, সর্দি-কাশির দাপট। অনেকেই ভোগান্তি কমাতে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খান। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই অন্য কোনও ওষুধ খাওয়া যাবে না।

    জল এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্কতা জরুরি

    পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই সারাদিন বাইরে থাকেন (Holiday)! নানা ধরনের খাবার খাওয়ার পাশপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে জল খান। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। জল পরিশ্রুত না হলে পেটের মারাত্মক সমস্যা শুরু হতে পারে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই বাইরে বেরোলে সঙ্গে পরিশ্রুত জল রাখা দরকার। বাইরে থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। না হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশপাশি খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করার মতো স্বাস্থ্যবিধির প্রাথমিক শর্ত পূরণ করা জরুরি। তাহলে নানান বড় অসুখ আটকানো সহজ হবে।

    শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হলে অবশ্যই হাসপাতাল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সব সময় চালু থাকে। তাই পুজোর সময়েও (Holiday) শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে বাড়তি ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। অনেক সময়েই বহির্বিভাগ অনিয়মিত হলেও জরুরি বিভাগের পরিষেবা চালু থাকে। তাই সমস্যা জটিল মনে হলে যে কোনও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CDSCO: পরীক্ষায় ডাহা ফেল প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, প্যান ডি! ৫৩ ওষুধের তালিকা প্রকাশ

    CDSCO: পরীক্ষায় ডাহা ফেল প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্যারাসিটামল, প্যান ডি! ৫৩ ওষুধের তালিকা প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাত-পায়ে ব্যাথা, জ্বর জ্বর ভাব চট করে সমাধান প্যারাসিটামল (Pan D-Paracetamol)। অ্যাসিড হচ্ছে, সকালে খালি পেটে প্যান ডি প্রয়োজন। কিন্তু এই ওষুধ গুলোর মধ্যেই রয়েছে বিপদ। গুণমান পরীক্ষায় ডাহা ফেল করল নিত্যদিন ব্যবহৃত ৫৩টি ওষুধ। তালিকায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ নিরাময়ে ব্যবহৃত ওষুধ ক্ল্যাভাম ৬২৫, গ্যাসের জন্য ব্যবহৃত প্যান ডি, জ্বরের জন্য ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আইপি ৫০০-ও মতো ওষুধগুলি। 

    কোন কোন ওষুধ ব্যর্থ

    প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে দেখে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট‌্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও (CDSCO)। তাদেরই পরীক্ষায় ৫৩টি ওষুধ গুণমান বজায় রাখতে ব‌্যর্থ হয়েছে। অগাস্ট মাসের ‘নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি (এনএসকিউ অ্যালার্ট)’-র তালিকা প্রকাশ করেছে CDSCO। দু’টি তালিকায় প্রথমে রয়েছে ৪৮টি ওষুধের নাম, দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে ৫টি ওষুধ। তালিকায় যে সমস্ত ব্র্যান্ড রয়েছে সেগুলির সঙ্গে বড় কিছু ওষুধ তৈরির সংস্থার নাম জড়িয়ে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর মধ্যে একটি সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত। রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ‌্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড বা হাল, কর্নাটক অ‌্যান্টিবায়োটিকস অ‌্যান্ড ফার্মাসিউটিক‌্যালস লিমিটেডের ওষুধও পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। কলকাতার সংস্থা অ‌্যা‌লকেম হেলথ সায়েন্সেস বহুল প্রচলিত ওষুধ প‌্যান-ডি এবং ক্ল‌্যাভামও ব‌্যর্থ হয়েছে পরীক্ষায়।

    ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি

    তবে প্রশ্ন উঠছে এত বিখ‌্যাত এবং জনপ্রিয় বিভিন্ন সংস্থার ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে কীভাবে ব‌্যর্থ হল। ওষুধ প্রস্তুতকারী এক সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ব্যাচের ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সেগুলি তাঁদের তৈরি নয় এবং সেগুলি জাল। একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের দাবি, উদ্দেশ‌্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ কাঁচামাল ব‌্যবহার করে তাদের সংস্থাগুলিকে বদনাম করার লক্ষ্যে ওই ওষুধগুলি তৈরি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত দাবি করেছে তারা।

    আরও পড়ুন: ভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    ওষুধের তালিকা

    যে ওষুধগুলি পরীক্ষায় ব্যর্থ, তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে ওষুধের নামের সঙ্গে প্রস্তুতকারী সংস্থার নামও রয়েছে।

    1. Amoxicillin And Potassium Clavulanate Tablets IP (Clavam 625) – M/s.
    Alkem Health Science
    2. Amoxicillin & Potassium Clavulanate Tablets (Mexclav 625) – M/s. Meg
    Lifesciences
    3. Calcium And Vitamin D3 Tablets IP (Shelcal 500) – M/s. Pure & Cure
    Healthcare Pvt. Ltd.
    4. Metformin Hydrochloride Sustained-release Tablets IP (Glycimet-SR-500)
    – M/s. Scott-Edil Pharmacia Ltd.
    5. Vitamin B Complex with Vitamin C Softgels – M/s. Asoj Soft Caps Pvt. Ltd.
    6. Rifmin 550 (Rifaximin Tablets 550 mg) – M/s. Legen Healthcare
    7. Pantoprazole Gastro-Resistant and Domperidone Prolonged-Release
    Capsules IP (Pan – D) – M/s. Alkem Health Science
    8. Paracetamol Tablets IP 500 mg – M/s. Karnataka Antibiotics and
    Pharmaceuticals Ltd.
    9. Montair LC Kid (Montelukast Sodium & Levocetirizine Hydrochloride
    Dispersible Tablets) – M/s. Pure & Cure Healthcare Pvt. Ltd.
    10. Compound Sodium Lactate Injection IP (Ringer Lactate Solution for
    Injection) (RL 500 ml) – M/s. Vision Parenteral Pvt. Ltd.
    11. Fexofenadine Hydrochloride Tablets IP 120 mg – M/s. Maxtar Bio-Genics
    12. Laxnorm Solution (Lactulose Solution USP) – M/s. Athens Life Sciences
    13. Heparin Sodium Injection 5000 Units (Hostranil Injection) – M/s. Health
    Biotech Ltd.
    14. Buflam Forte Suspension (Ibuprofen & Paracetamol Oral Suspension) –
    M/s. Ornate Pharma Pvt. Ltd.
    15. Cepodem XP 50 Dry Suspension (Cefpodoxime Proxetil and Potassium
    Clavulanate Oral Suspension) – M/s. Hetero Labs Limited
    16. Nimesulide, Paracetamol and Chlorzoxazone Tablets (NICIP MR) – M/s.
    HSN International
    17. Rolled Gauze (Non-Sterilized) – M/s. Blazon India
    18. Ciprofloxacin Tablets IP 500 mg (Ocif-500) – M/s. Ornate Labs Pvt. Ltd.
    19. Nimesulide, Phenylephrine Hydrochloride & Levocetirizine
    Dihydrochloride Tablets (Nunim-Cold) – M/s. Unispeed Pharmaceuticals Pvt.
    Ltd.
    20. Adrenaline Injection IP Sterile 1 ml – M/s. Alves Healthcare Pvt. Ltd.
    21. Compound Sodium Lactate Injection IP (Ringer Lactate Solution for
    Injection) RL 500ml – M/s. Vision Parentral Pvt. Ltd.
    22. Vingel XL Pro Gel (Diclofenac Diethylamine, Linseed Oil, Methyl
    Salicylate, and Menthol Gel) – M/s. Universal Twin Labs
    23. Atropine Sulphate Injection IP 2 ml – M/s. Nandani Medical Laboratories
    Pvt. Ltd.
    24. Cefoperazone & Sulbactam For Injection (Todaycef 1.5 G) – M/s. Daxin
    Pharmaceuticals Pvt. Ltd.
    25. Heparin Sodium Injection IP 25000 IU / 5ml – M/s. Scott-Edil Pharmacia
    Ltd.
    26. Cefepime & Tazobactam for Injection (Crupime – TZ Kid Injection) – M/s.
    Cosmas Research Lab. Ltd.
    27. Atropine Sulphate Injection IP (Atropine Sulphate) – M/s. Priya
    Pharmaceuticals
    28. Salbutamol, Bromhexine HCI, Guaifenesin and Menthol Syrup (Acozil
    Expectorant) – M/s. Antila Lifesciences Pvt. Ltd.
    29. Diclofenac Sodium IP – M/s. Sara Exports Ltd.
    30. Escitalopram and Clonazepam Tablets IP (Klozaps-ES Tablets) – M/s.
    Digital Vision
    31. Phenytoin Sodium Injection USP – M/s. Health Biotech Ltd.
    32. Paracetamol, Phenylephrine Hydrochloride and Cetirizine Hydrochloride
    Suspension (Cethel Cold DS Suspension) – M/s. Win Cure Pharma
    33. Calcium 500 mg with Vitamin D3 250 IU Tablets IP – M/s. Life Max
    Cancer Laboratories
    34. Amoxycillin and Potassium Clavulanate Tablets IP 625 mg (RenamegaCV 625) – M/s. Malik Lifesciences Pvt. Ltd.
    35. Olmesartan Medoxomil Tablets IP 40 mg – M/s. Life Max Cancer
    Laboratories
    36. INFUSION SET-NV – M/s. Medivision Healthcare
    37. Telmisartan Tablets IP 40 mg – M/s. Life Max Cancer Laboratories
    38. Alprazolam Tablets IP 0.25 mg (Erazol-0.25 Tablets) – M/s. Elikem
    Pharmaceuticals Pvt. Ltd.
    39. Glimepiride Tablets IP (2 mg) – M/s. Mascot Health Series Pvt. Ltd.
    40. Calcium and Vitamin D3 Tablets IP – M/s. Unicure India Ltd.
    41. Metronidazole Tablets IP 400mg – M/s. Hindustan Antibiotics Ltd.
    42. Paziva -40 – M/s. Gnosis Pharmaceuticals Pvt. Ltd.
    43. Pantomed -40 – Digital Vision 176
    44. Cefixime Oral Suspension IP (Dry Syrup) – Nestor Pharmaceuticals Ltd.
    45. Moxymed CV – Alexa Pharmaceuticals
    46. Frusemide Injection IP 20 mg – Nestor Pharmaceuticals Ltd.
    47. Kudajarishtam – Bala Herbals
    48. Tab Nodosis – Steadfast Medishield Pvt. Ltd.
    49. Haridrakhanda – Bhaskara Vilasam Vaidyasala
    50. Pantoprazole Inj. BP 40 mg – Kerala Medical Services Corporation Ltd.
    51. Yogaraja Guggulu – Bhaskara Vilasam Vaidyasala
    52. PANCEF-OF – Aglomed Ltd.

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: দলাই লামার নামে অরুণাচলের অনামী পর্বতশৃঙ্গের নামকরণ ভারতের, রেগে লাল চিন

    India China Relation: দলাই লামার নামে অরুণাচলের অনামী পর্বতশৃঙ্গের নামকরণ ভারতের, রেগে লাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনার একটি পর্বতারোহী দল অরুণাচল প্রদেশের একটি অনামী পর্বতশৃঙ্গ জয় করে। শুধু জয় করাই নয়, ওই শৃঙ্গের নামকরণও করে দলটি। জানা গিয়েছে, তিব্বতের ষষ্ঠ দলাই লামার নামে ওই পর্বতের নাম রাখা হয়। এতেই রেগে লাল চিন। নামকরণের পর থেকেই চিনের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ষষ্ঠ দলাই লামার নামে শৃঙ্গ (India china Relation)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বা নিমাস-এর একটি অভিযান করা হয় অরুণাচলে। সেখানে কর্নেল রণবীর সিং জামওয়ালের নেতৃত্বাধীন পর্বতারোহী দলটি অরুণাচলে ২০ হাজার ৯৪২ ফুট উচ্চতার একটি নামহীন শৃঙ্গ জয় করে। এরপর এই শৃঙ্গের নাম রাখা হয় ষষ্ঠ দালাই লামা সাংগ্যাং গ্যাতসো-র নামে। তিনি ১৬৮২ সালে মন তাওয়াং অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (India china Relation) পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ষষ্ঠ দলাই লামা সাংগ্যাং গ্যাতসোর নামানুসারে পর্বত শিখরটির নামকরণ করা হল। এই নামের অর্থ ছিল, নিরন্তর জ্ঞান এবং মনপা সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর ভাবে শ্রদ্ধা ভাব জানানো।” অরুণাচল (Arunachal) প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু পর্বতারোহণকারী নিমাস দলকে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই অভিযানের পরিচালক রণবীর জামওয়ালের নেতৃত্বে, তারা সফলভাবে অরুণাচল প্রদেশের মোন তাওয়াং অঞ্চলের গোরিচেন ম্যাসিফে একটি অজেয় শৃঙ্গজয় করেছে। ৬,৩৩৮ মিটার উঁচুতে পৌঁছানো একটি উল্লেখযোগ্য চিত্তাকর্ষক নজির।”

    আরও পড়ুনঃভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    চিনের বক্তব্য

    এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং। চিনের (India china Relation) বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জিয়ান বলেন, “ভারতের এই নির্দিষ্ট নামকরণ সম্পর্কে আপত্তি রয়েছে। এই এলাকার অঞ্চলটি চিনের জায়গায়। চিন ধারাবাহিক ভাবে নিজেদের দখলে রেখেছে।” এখানেই থামেননি লিন জিয়ান। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অরুণাচলকে ফের একবার চিনের ভূখণ্ড বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, “চিনা জাংনান ভূখণ্ডে তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্থাপন করা ভারতের বেআইনি কাজ। ভারতের দাবিকে মান্যতা দেয় না চিন।”

    বেজিংয়ের দাবি খারিজ ভারতের

    যদিও, বেজিংয়ের দাবি পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এরপর থেকে ভারত এবং চিনের (India china Relation) মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গাগুলির নাম পরিবর্তন করে চলেছে বেজিং। সময়ে সময়ে ভারত ভূখণ্ডকে নিজের বলে দাবি করে থাকে চিন। পাল্টা বার বার চিনের অনৈতিক দাবিকে খারিজ করে দিয়ে থাকে ভারত। ভারত সরকার সবসময় এই বার্তা চিনকে দিয়ে থাকে যে অরুণাচল প্রদেশ, ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ছিল, আছে এবং থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। এরই মধ্যে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে তিস্তায়। আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন’বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করায় ন’দিন পর গত মঙ্গলবার খুলেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মধ্যেই আবার বাংলা-সিকিম ‘লাইফলাইনে’ ধস নামার ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে পর্যটকরা। 

    কতদিন চলবে বৃষ্টি? (Darjeeling)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহারেও। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা না থাকলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। তিস্তা, সঙ্কোশ, জলঢাকা, তোর্সার মতো নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। সমস্যায় তিস্তাপারের বাসিন্দারাও। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    কোথায় কোথায় ধস?

    শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) মিরিক, ঘুম, সুখিয়াপোখরি রোডে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ধস নেমেছে লোয়ার শিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। এছাড়াও ধসের কবলে দুধিয়া, পানিঘাটা রোডও। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস সারানোর কাজ চলছে। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কালিম্পং জেলার সিংথাম-রংপো রোডের ২০ মাইলে পাহাড় থেকে বোল্ডার নেমে আসায় সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একই পরিস্থিতি বিরিক ধারায়। পাহাড় থেকে বড় আকৃতির বোল্ডার নেমে আসার ফলে সেই রাস্তাও বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসন। ভারী বর্ষণের জেরে বৃহস্পতিবারও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নেমেছিল। কালিম্পং জেলার মেল্লি বাজারের কাছে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: তুলে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম! ডিপোর জমিতে প্রোমোটিংয়ে নজর তৃণমূলের?

    Kolkata Tram: তুলে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম! ডিপোর জমিতে প্রোমোটিংয়ে নজর তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৭৩ সালে শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে ঘোড়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ট্রামের (Kolkata Tram) পথ চলা। দেড়শো বছর পরে তা বন্ধ হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী ট্রাম চলাচকে ধরে রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বর্তমান মমতা-সরকার। আগামীদিনে ইতিহাসের পাতায় একমাত্র দেখা মিলবে শহর কলকাতার (Kolkata) এই ঐতিহ্যবাহী ট্রামের। বিশ্বের যে বড় বড় শহরে এখনও রমমরিয়ে চলে ট্রাম সেগুলি হল— লিয়ঁ- ফ্রান্স, ভিয়েনা- অস্ট্রিয়া, জুরিখ- সুইৎজারল্যান্ড, লিসবন- পর্তুগাল, বুদাপেস্ট- হাঙ্গেরি, প্রাগ- চেকিয়া, মেলবোর্ন- অস্ট্রেলিয়া। এরসঙ্গে ছিল কলকাতা। তবে তৃণমূল জমানায় তা উঠে যাচ্ছে। তবে কেন এই ট্রাম (Kolkata Tram) বন্ধ করা হচ্ছে, তার কোনও স্পষ্ট জবাব অবশ্য রাজ্য সরকার দিতে পারেনি। সবই ভাসাভাসা বিবৃতি দিচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। 

    আদালতে চলছে জোড়া মামলা

    সম্প্রতি ট্রাম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গতির সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে শহরে একটি মাত্র রুট ছাড়া আর কোথাও ট্রাম চালানো হবে না। তাঁর যুক্তি, সবার ট্রামের প্রতি আবেগ থাকলেও রাস্তাকে যানজট মুক্ত করতেই শহরের বুকে আর ট্রাম চালানো যাবে না। ট্রাম গবেষক ও ট্রাম-প্রেমী ডক্টর দেবাশীষ ভট্টাচার্য জানান, বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে ট্রাম নিয়ে দুটি মামলা চলছে। একটিতে, আদালতের তরফে বলা হয়েছিল যে, যতদিন পর্যন্ত এই মামলার শুনানি চলবে, ততদিন ট্রামের কোনও লাইনের উপরে পিচ ঢালা যাবে না ৷ কিন্তু, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে কালিঘাট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পিচ ঢেলে ট্রাম লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা আদালত অবমাননার সামিল। 

    বিজেপি নেতার ট্যুইট

    ট্রাম (Kolkata Tram) বন্ধ হওয়ার পরে ডিপোর কাঠা-কাঠা জমির ভবিষ্যৎ কী হবে? এনিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন।  বিরোধীদের কটাক্ষ, শহরের ইতিহাসকে নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে মমতা-সরকার। ট্রাম তুলে দিয়ে ফাঁকা ডিপোর জমিতে জমিয়ে প্রোমোটিংই লক্ষ্য এখন শাসক দলের। কারণ, এর আগেও ট্রামের জমিতে রসগোল্লা হাব এবং জামাকাপড়ের হাব হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের নেতা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি এ নিয়েই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন এবং সেখানে লিখছেন, ‘‘ট্রাম ডিপোর জমিগুলি কাকে দেওয়া হবে সেটা ঠিক করে নিয়েছে তো তৃণমূল? একটা অজুহাত দেওয়া হবে জানি যে জনগণের স্বার্থে ডিপোর জায়গাগুলি কোনও না কোনও সংস্থাকে দেওয়া হবে। ঠিক যেমন সিইএসসি-কে দেওয়া হয়েছিল কোয়েস্ট মলের জায়গায়। গোয়েঙ্কাদের ব্যবসায়ী স্বার্থ চরিতার্থ হয় কিন্তু জনগণের কোন স্বার্থে লেগেছে সেটা আজও বুঝতে পারলাম না।’’

    রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    ট্রামকে তুলে দেওয়ার এই গুপ্ত সরকারি প্রয়াসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, একের পর এক ট্রাম কোম্পানির জমি নয় বিক্রি হচ্ছে, না হলে বিভিন্ন হাব তৈরি করতে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। কোথায় ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার দোহাই দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে ট্রামের ট্র্যাক। কখনও আবার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে এই বলে যে, ট্রাম যানজটের সৃষ্টি করে বলে বন্ধ করা হয়েছে এর পরিষেবা। ক্ষোভ দেখা গিয়েছে ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের থেকেও। ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সাগ্নিক গুপ্ত বলেন, ‘‘ট্রাম বন্ধ হয়ে যেতে পারে খবরটা ছড়িয়ে পড়ার পরেই সাধারণ মানুষ এমনকি যাঁরা কলকাতায় (Kolkata) থাকেন না, তাঁরাও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সবাই কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা কর্পোরেশনকেই দায়ী করছেন। যেমন, দুর্গাপুজো বা হাওড়া ব্রিজ- শহর কলকাতার একটা সিগনেচার, তেমনই ট্রামও (Kolkata Tram) কলকাতার সিগনেচার। আজ বিশ্বের সাড়ে চারশোটা শহরে রমরম করে ট্রাম চলছে। তারা তো অনেক উন্নত দেশ৷ তাহলে নিশ্চই পরিবহণ মাধ্যম হিসেবে ট্রামের উপকারিতা রয়েছে বলেই তারা চালাচ্ছে। অথচ কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) যা একটি পরিবেশ বান্ধব যান এবং এত কম খরচে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাত্রীদের পৌঁছে (Kolkata) দিচ্ছে, এর উপকারিতাগুলি কেন চোখে পড়ছে না রাজ্য পরিবহণ দফতরের?’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দুর্গাপুজোর ছুটির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আর তারপরই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরই নমাজ আর আজানের সময়ে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) বাদ্যযন্ত্র এবং মাইক বন্ধ রাখতে হিন্দুদের ফতোয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু তাই নয়, একাধিক দুর্গাপুজো কমিটিকে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে এই মর্মে যে, ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আয়োজন করা যাবে না পুজো। স্বাভাবিকভাবে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরই এই সব ঘটনা হিন্দুদের দুর্গাপুজো করা নিয়ে চরম বার্তা দিয়েছিল। এবার পুজো যত এগিয়ে আসছে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে আশঙ্কা এবং আতঙ্ক তত বাড়ছে।

    দুর্গাপুজোর বিরোধিতায় রাস্তায় নামল মৌলবাদীরা (Durga Puja)

    অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুরা নিপীড়িত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ। বাংলাদেশের পুলিশ এবং মহম্মদ ইউনূসের সরকার শান্তিতে পুজোর (Durga Puja) আশ্বাসই সার। সরকারের এই আশ্বাসকে তোয়াক্কা না করে আগেই খুলনা এবং ময়মনসিংহ এলাকায় পুজো করা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে এবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না বলে হিন্দুদের সতর্ক করেছে ইসলামপন্থি একটি সংগঠন। ইতিমধ্যে খুলনা জেলায় মন্দির ভাঙচুর, দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কাছে তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এবার একেবারে ইউনূসের খাসতালুক ঢাকা শহরে দুর্গাপুজোর বিরোধিতায় রাস্তায় নামল মৌলবাদীরা। তাদের দাবি, হিন্দুদের সবথেকে বড় এই উৎসব প্রকাশ্যে উদযাপন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, এই সময় গোটা দেশে ছুটিও দেওয়া চলবে না। তাতে নাকি দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে। তাদের মতে, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন বলে দাবি করা অন্য ধর্মকে অবমাননা করার সামিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘২৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি’’, দাবি সিবিআই কর্তার

    মন্দিরগুলিতে ভারত-বিরোধী ব্যানার টাঙানোর ফতোয়া

    ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি চরমপন্থী সংগঠন ঢাকার সেক্টর ১৩-এ মালিবাগ মোড়ে একটি সমাবেশ ডেকেছিল। সেখানে যোগ দেন চরমপন্থী সংগঠনটির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। ঢাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা। সেই সময়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে পুজোর (Durga Puja) বিরোধিতাও করেছে তারা। জানা গিয়েছে, সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘রাস্তা বন্ধ করে সর্বত্র পূজা নয়। প্রতিমা বিসর্জনের দ্বারা জল দূষণ নয়। প্রতিমা পূজা নয়’। এমনকী ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি খেলার মাঠে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে মিছিল করাও হয়েছে।

    ভারত-বিরোধিতা করলে তবেই পুজো!

    দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারা ১৬ দফা দাবি জানিয়েছে। তারই অন্যতম হল, বাংলাদেশি হিন্দুদেরও ভারত বিরোধিতা করতে হবে। কারণ, ভারতকে, বাংলাদেশের ‘জাতীয় শত্রু’ বলে মনে করে এই কট্টরপন্থী সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, এই জন্য মন্দিরগুলোতে ভারত- বিরোধী ব্যানার ও দুর্গাপুজোর আলোচনায় ভারত বিরোধী স্লোগানও দিতে হবে বলে দাবি করেছে তারা। মন্দিরে অখণ্ড ভারত গঠনের লক্ষ্যে হিন্দু উগ্রপন্থীরা সভা করে বলেও দাবি তাদের। এই সব অভিযোগ এনে মন্দির বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অনেক জমি দখল করে বিভিন্ন মন্দির নির্মিত হয়েছে। সেই মন্দিরগুলি সরিয়ে ফেরতে হবে।

    পুজোর প্রসাদ খাওয়া যাবে না

    মুসলমানের জন্য ফরমান জারি করা হয়েছে যে, তাদের পুজোয় আর্থিক সাহায্য দেওয়া চলবে না, প্যান্ডেলে প্রবেশ করা চলবে না, পুজোর প্রসাদও তারা মুখে তুলতে পারবে না। সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, দুর্গাপুজোর সময় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানি করার ঘোষণা করেছে। এই মৌলবাদী সংগঠন স্পষ্ট জানিয়েছে, এটা কোনও উপহার নয়। ওই মাছ রফতানি করা হচ্ছে মাত্র। ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছে এই কট্টরপন্থী সংগঠন। তাদের দাবি, বাংলাদেশের রফতানি নীতি অনুসারে, ইলিশ মাছ রফতানিযোগ্য নয়। কাজেই এই সিদ্ধান্তে ইউনূস সরকার সেই নীতি লঙ্ঘন করেছে। দেশের জনগণের এর জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share