Tag: bangla news

bangla news

  • Jute Mill: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    Jute Mill: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পরই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ঠিক পুজোর মুখে রাজ্যে একের পর এক জুটমিলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। পুজোর মুখে মিল (Jute Mill) কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ মিল শ্রমিকরা। মিল খোলার বিষয়ে তৃণমূল সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই বলেই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

    বন্ধ হল দাসনগর জুটমিল (Jute Mill)

    রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) দাসনগরের ভারত জুটমিল (Jute Mill)। পুজোর মুখেই চাকরিহারা কয়েক হাজার শ্রমিক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার সময় দাসনগরের ভারত জুটমিলের কর্মীরা ডিউটিতে আসলে দেখেন, মিলের গেট বন্ধ। গেটে ঝুলছে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল। পুজোর বোনাস পাননি, বেতন-গ্রাচুয়িটির হিসেব-নিকেশ তো দূর-অস্ত! এভাবে হঠাৎ জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। পুজোর মুখে কী করবেন, কোথা থেকে রোজগার হবে, তা ভেবেই দিশেহারা। জুটমিলের বাইরে ঝোলা নোটিশে বলা হয়েছে, তাঁত বিভাগের অবৈধ ধর্মঘটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি, শাসক দল ঘনিষ্ঠ ইউনিয়ন তাদের এবং কর্তৃপক্ষের ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে। দুটির বদলে চারটি মেশিন চালানোর জন্য জোর করছে। এর জেরেই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    বন্ধ কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুটমিল

    কয়েকদিন আগে, বন্ধ হয়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের কাঁকিনাড়ার একটি জুটমিলও (Jute Mill)। তার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েন কারখানার প্রায় তিন হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক। শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুজোর মুখে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দিশেহারা শ্রমিকরা। মিলের ভিতরে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তারপরে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, কাঁকিনাড়ার এই মিলে শ্রমিক অসন্তোষ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই জুট মিল। গত ডিসেম্বরেও একইভাবে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে তুমুল শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয়েছিল মিলে। তখন সেই কাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে, পুজোয় যেখানে সকলে নতুন পোশাক কিনে থাকেন সেই জায়গায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়াই স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে তাদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Trucks On Train Service:  এক বছর পূর্ণ করল কেন্দ্রের ‘ট্রাকস অন ট্রেন সার্ভিস’, কীভাবে মেলে পরিষেবা?

    Trucks On Train Service: এক বছর পূর্ণ করল কেন্দ্রের ‘ট্রাকস অন ট্রেন সার্ভিস’, কীভাবে মেলে পরিষেবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষপূর্তি হল কেন্দ্রের ‘ট্রাকস অন ট্রেন সার্ভিস’-এর (Trucks On Train Service)। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরে চালু হয়েছিল ওই ব্যবস্থা। ট্রেনে করে পণ্যবাহী ট্রাক পাঠানোর এই ব্যবস্থা ভারতের পণ্য পরিবহণের (Freight Transport) সেক্টরে একটা মাইলফলক। এই পরিষেবা চালু করেছিল ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড।

    ব্যবসা অনেক বেড়েছে (Freight Transport Road)

    সার্ভিস চালু হওয়ায় আগের তুলনায় ব্যবসা অনেক বেড়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। এই সার্ভিস চালু হওয়ায় লাভবান হয়েছেন ব্যবসায়ী এবং ফ্রেইট অপারেটররা। ট্রাক অন ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে গুজরাটের পালানপুরে প্রতিদিন ৩০টি করে ট্রাক একটি মালবাহী ট্রেনে লোড করা হয়। সেই ট্রেনকে ফ্রেইট করিডর দিয়ে মাত্র ১২ ঘণ্টায় ৬৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে হরিয়ানার রেওয়াড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাকগুলো যদি সড়ক পথে রেওয়াড়িতে পাঠানো হত, তাহলে সময় লাগত অনেক বেশি। খরচও হত বিস্তর। ট্রাকগুলি থেকে ছড়াত দূষণও।

    লাভ তিন দিক থেকে

    মালবাহী ট্রেনে করে ট্রাকগুলিকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ায় লাভ হয়েছে এই তিন দিক থেকেই (Freight Transport Road)। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এই পথে ৩০টি ট্রাক যাতায়াত করে। মালবাহী ট্রাক ট্রেনে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার পর আর কোনও দায়িত্ব থাকে না রেলের। রেওয়াড়িতে আনলোড করা হয় ট্রাকগুলি। পরে খালি ট্রাকগুলিকে ফের রেওয়াড়ি থেকে একইভাবে ট্রেনে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় পালানপুরে। সেখানে আবার পণ্য বোঝাই করার পর ফের একইভাবে পাঠানো হয় রেওয়াড়িতে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় ফের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের দেওয়ালে খালিস্তানপন্থীদের স্লোগান

    ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের এক মুখপাত্র বলেন, “৩০টি ট্রাকের মধ্যে ২৫টি দুধের ট্যাঙ্কার। এগুলি বনাসের আমূল ডেয়ারি থেকে পালানপুর লোডিং পয়েন্টে আসে সড়ক পথে। বাকি পাঁচটি ট্রাকে করে যায় শাকসবজি, যন্ত্রপাতি, ডিজেল, তেল ইত্যাদি।” যেহেতু মালবাহী ট্রেনে করে ট্রাক বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাই ট্রাক চালকদের কোনও কাজ থাকে না। ওই মুখপাত্র বলেন, “ট্রাক চালকদের পুরো রাস্তাটা বিশ্রাম করার জন্য দেওয়া হয়। এজন্য আমরা একটা বিশেষ কোচ দিই। রেওয়াড়িতে আনলোড করা হয় ২৫টি ট্যাঙ্কার।” ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের এক আধিকারিক বলেন, “এই পদ্ধতিতে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যত্র পণ্য পরিবহণ করা হয়। এতে পণ্যের গুণমান ঠিক থাকে (Trucks On Train Service)। রাস্তায় যানজটও হয় না। হয় না দূষণও (Freight Transport Road)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    Love Jihad: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বড় সাফল্য  হিন্দু সংগঠনগুলির। সম্প্রতি, একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই রাজ্য থেকে লাভ জিহাদ-এর খপ্পর থেকে ছ’শোর বেশি হিন্দু মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ (Hindu Jagran Manch), রুদ্র সেনা (Rudra Sena) এবং বৈদিক মিশন (Vaidik Mission)।

    লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিরুদ্ধে লড়াই হিন্দু সংগঠনগুলির

    দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মান্তরণ এবং শোষণের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, রুদ্র সেনা, বৈদিক মিশনের মতো হিন্দু সংগঠনগুলি। এই সংগঠনগুলি লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এ পর্যন্ত ৬০০-রও বেশি মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্বল মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে এই সংগঠনের নেতারা।

    সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন এবং তার আশেপাশের এলাকায় ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad)  ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বিশেষ করে দরিদ্র হিন্দু মেয়েদেরকে ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্যে প্রেমের সম্পর্কে ফাঁদে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, রুদ্র সেনা, এবং বৈদিক মিশনের মতো কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। তারা অসহায় মেয়েদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। উত্তরাখণ্ডের পবিত্র দেবভূমিতে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ রোধে সদা সক্রিয় এই সংগঠনগুলি।

    লাভ জিহাদ কী (Love Jihad)

    ভালোবাসা ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করেন মুসলিম ছেলেরা। বাধ্য করা হয় ধর্মান্তকরণে। হিন্দু-মুসলিম বিবাহে আপত্তি নেই। কিন্তু জোর করে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টাই হল লাভ জিহাদ। বিয়ের পর শুরু হয় অত্যাচার। কখনও কখনও মেরেও ফেলা হয় মেয়েটিকে। এরকম বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মানুষ। কেরলের হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে জোর করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কী ভাবে যুক্ত করা হয়েছে তা নিয়েই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি পরিচালকের তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। সারা দেশে এক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে লাভ জিহাদ। 

    ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে লড়াই

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ভিন্ন ধর্মে বিবাহ (Love Jihad) নিয়ে আইন থাকলেও সম্প্রতি সেখানে লাভ জিহাদের ঘটনা বাড়ছে। রুদ্র সেনার নেতা রাকেশ তোমার ‘উত্তরাখণ্ডি’ দাবি করেছেন যে প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে মুসলিম পুরুষরা বিশেষত জৌনসার বাওয়ার উপজাতীয় বেল্টের মেয়েদের টার্গেট করছে। তিনি জানান, এই ছেলেরা মিথ্যে, মূলত ভুয়ো হিন্দু পরিচয় দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রলোভনমূলক কৌশল ব্যবহার করে দরিদ্র এবং নাবালিকা মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর শুরু হয় যৌন নির্যাতন। অভিযোগ, এই মেয়েদের সঙ্গে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তাঁদের নানা গোপন মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। তারপর সেই ভিডিও রেকর্ড দেখিয়ে চলে ব্ল্যাকমেল। সব শেষে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হয়। রাকেশ জানান, গত দুই বছর ছয় মাসে রুদ্র সেনা ৩৮ জন মেয়েকে লাভ জিহাদের ‘চক্র থেকে’ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই মেয়েদের তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে তারা।

    বৈদিক মিশনের আইনি লড়াই

    বৈদিক মিশনের প্রধান ব্যক্তি জগদ্বীর সাইনির গলাতেও উদ্বেগের সুর। তিনি উল্লেখ করেছেন যে পাসওয়া দুন অঞ্চলে এমন ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে, যার অনেকগুলিই বর্তমানে আইনি পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে। তিনি চারজন দরিদ্র মেয়ের হয়ে আদালতে লড়াই করছেন যারা, মুসলিম ছেলেদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রচেষ্টা

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি মুকেশ আনন্দ জানিয়েছেন, গত দশ বছরে তারা লাভ জিহাদের (Love Jihad) ৫৮৫টি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। উত্তরাখণ্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) অভিনব কুমার জানিয়েছেন, এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ডেও চালু আছে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন। ফলে পুলিশ-প্রশাসন খবর পেলেই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়। মেয়েদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই বিয়ে কি সত্যিই প্রেমের পরিণতি নাকি অন্য কিছু। কোনওরকম সন্দেহ হলেই পদক্ষেপ করা হয়। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি, বেশিরভাগ সময়েই মেয়েরা ভয়ে কিছু বলতে পারে না।

    সক্রিয় সরকার (Uttarakhand)

    সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের পুরুলা শহর, দারচুলা, চামোলি, নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ (Love Jihad) ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের (Love Jihad) মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: তদন্তে বড় ভরসা মর্গে মোবাইলে তোলা ১৫টি ছবিই, দিল্লিতে পাঠাল সিবিআই, কী আছে তাতে?

    CBI: তদন্তে বড় ভরসা মর্গে মোবাইলে তোলা ১৫টি ছবিই, দিল্লিতে পাঠাল সিবিআই, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে ময়না তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ বার বার সামনে আসছে। ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি থেকে রিপোর্ট তৈরি, সবেতেই রয়েছে প্রশ্ন। ফলে, তদন্তের গতি কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় ভরসা বলতে ১৫টি ছবি, যা ৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় আরজি করের মর্গে (RG Kar Morgue) তিলোত্তমার ময়না তদন্তের সময়ে খুব কাছ থেকে মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করা হয়েছিল। ওই সমস্ত ছবি দিল্লিতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সিবিআই (CBI) পাঠিয়েছে বলে খবর।

    ভিডিওগ্রাফি বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা! (RG Kar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের ময়না তদন্তকারী দলে তিনজনের একজন সূর্যাস্তের পরে ময়না তদন্তে আপত্তি করেছিলেন। সূত্রের খবর, অন্যদের মতো তাঁকেও কয়েক বার তলব করেছে সিবিআই। তখন তিনি নিজে থেকেই তদন্তকারীদের ওই ১৫টি ছবির কথা জানান বলে খবর। এর পরেই তাঁর মোবাইলে থাকা ছবিগুলি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ময়না তদন্তের (RG Kar Morgue) যে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে, তাতে মৃতের দেহের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট না হওয়ায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি বিভিন্ন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আঘাতের বিষয়ে নিশ্চিত একটা জায়গায় পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা (CBI)। এজন্য দিল্লি এবং কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ওই ভিডিওগ্রাফি দেখানো হয়েছে। কিন্তু, খুব স্পষ্ট কিছু বোঝা গিয়েছে, তেমনটা নয় বলেই খবর।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    মর্গে (RG Kar Morgue) কী হয়েছিল

    সিবিআই সূত্রের খবর, মর্গে (RG Kar) ডিজিটাল ফরেন্সিকের মাপকাঠি অনুযায়ী প্রতিটি ছবি ঠিকঠাক তোলা হয়েছে। তা বিকৃত বা তাতে কারিকুরি করা হয়নি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সেগুলি সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সূর্যাস্তের পরে ময়না তদন্ত কেন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেও ওই চিকিৎসক যখন দেখেন যে ওই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বিষয়টি তাঁর কাছে গোলমেলে লেগেছিল বলেই জেনেছেন তদন্তকারীরা (CBI)। সূত্রের খবর, মর্গে হাজির অন্য এক চিকিৎসক-পড়ুয়াকে তিনি নিজের মোবাইলটি দিয়েছিলেন ছবি তোলার জন্য। মৃতের শরীরের বাইরের বিভিন্ন আঘাত, ব্যবচ্ছেদের পরে ভিতরের অংশের আঘাত, যৌনাঙ্গের ক্ষত এবং যে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই সমস্ত ছবি সামনে থেকে মোবাইল বন্দি করিয়েছিলেন তিনি (RG Kar Morgue)।

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ কী বললেন?

    রাজ্যে কাজ করা ফরেন্সিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ, ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকেরা (RG Kar Morgue) জানাচ্ছেন, বিদেশের মতো এখানে ফরেন্সিক ভিডিওগ্রাফি সব সময়ে করা হয় না। এক সিনিয়র ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কথায়, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশানুযায়ী বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে, ময়না তদন্তে ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক। সে ক্ষেত্রে অনেক সময়ে আমরা বলে দিই, কী ভাবে, কতটা সামনে থেকে কোন ছবি তুলতে হবে।” তিনি জানাচ্ছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণত ময়না তদন্ত যেখানে হচ্ছে, তার কিছুটা দূর থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হয় (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BAPS Swaminarayan Mandir: আমেরিকায় ফের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের দেওয়ালে খালিস্তানপন্থীদের স্লোগান

    BAPS Swaminarayan Mandir: আমেরিকায় ফের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের দেওয়ালে খালিস্তানপন্থীদের স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ দিনের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার। ফের হিন্দু মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হল খালিস্তানপন্থীদের স্লোগান । আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো এলাকায় অবস্থিত বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (BAPS Swaminarayan Mandir)দেওয়ালে লেখা হয়েছে হিন্দু বিরোধী স্লোগান (Khalistani Slogans)। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনা। দিন দশেক আগে নিউইয়র্কের মেলভিলের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তার পর ফের একই ঘটনা ঘটল ক্যালিফোর্নিয়ার মন্দিরে। মন্দিরগাত্রে লেখা হয়েছে ‘হিন্দু গো ব্যাক’ স্লোগান। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমেরিকার হিন্দু সমাজে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হিন্দু সংগঠনগুলি।

    স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর আগেও 

    ১৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (BAPS Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল নিউইয়র্কে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট। সেই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জিও জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রশাসনের কাছে। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের ঘটল একই ধরনের ঘটনা। বিএপিএস মন্দির (BAPS Swaminarayan Mandir) কর্তৃপক্ষের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে লেখা হয়েছে, “নিউইয়র্কের স্যাক্রামেন্টো এলাকায় দশ দিনেরও কম সময়ে বিকৃত করা হয়েছে বিএপিএসের মন্দির (Khalistani Slogans)। গতকালও মন্দিরের গায়ে লেখা হয়েছে হিন্দুরা ফিরে যাও। শান্তির জন্য সমবেতভাবে প্রার্থনা করে আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি।”

    কী বলছে মার্কিন প্রশাসন

    স্যাক্রামেন্টো কাউন্টির শেরিফের অফিস সূত্রে খবর, মন্দিরের দেওয়ালে যারা হিন্দু-বিরোধী স্লোগান লিখেছিল, তারা মন্দিরের (BAPS Swaminarayan Mandir) জলের লাইনও কেটে দিয়েছিল। মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্যাক্রামেন্টো পুলিশ। ঘটনাটিকে তারা ঘৃণামূলক অপরাধের তালিকাভুক্ত করেছে। কানাডার মতো মার্কিন মুলুকেও বাড়বাড়ন্ত খালিস্তানপন্থীদের। বেশ কিছুদিন ধরেই আমেরিকার বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক মন্দিরে হামলা(Khalistani Slogans)।

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    গত ২৩ ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার নেওয়ার্ক শহরে হিন্দু মন্দিরে (BAPS Swaminarayan Mandir) হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। সেই মন্দিরের দেওয়ালে গ্রাফিতি আকারে লিখে দেওয়া হয়েছিল খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের নাম। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সান ফ্রান্সিস্কোর বে এরিয়ার হেওয়ার্ডে অবস্থিত বিজয় শেরওয়ালি মন্দিরের দেওয়ালেও স্লোগান লিখেছিল খালিস্তানপন্থীরা (Khalistani Slogans)।

    তীব্র নিন্দা হিন্দু সংগঠনগুলির

    এই ঘটনায় (Khalistani Slogans) তীব্র নিন্দা করেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট চক্রপাণি মহারাজ বলেন, ‘‘গত ১০ দিন দ্বিতীয় ঘটনা। আমেরিকা থেকে শুরু করে তামাম বিশ্ব, হিন্দুরা অত্যাচারিত, হয়রানির শিকার। তাঁদের মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, এর রোধে সচেষ্ট হওয়া উচিত মার্কিন প্রশাসনের। তাঁর অভিযোগ, মার্কিন প্রশাসন এদের (খালিস্তানপন্থী) বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থাপন করতে ভারত সরকারকে অনুরোধও করেন চক্রপাণি। স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (BAPS Swaminarayan Mandir) ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অযোধ্যার লীলা বিহারী মন্দিরের পুরোহিত দিবাকরাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে বিশ্বব্যাপী হিন্দু মন্দিরগুলি হামলার শিকার হচ্ছে, তা ভীষণই উদ্বেগজনক। ভারত সরকারের এই বিষয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    NIA: ‘মুসলিম রাষ্ট্র হবে ভারত, ধ্বংস করা হবে আরএসএস-কে’! কেরলে প্রচার ইসলামি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারির ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে কেরলে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর এই চক্রান্তের মূল কুচক্রী হল নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) শাখা সংগঠন সোশালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তাদের সঙ্গে জুড়েছে আরও কয়েকটি উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন। গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু ঘোষণা করাই নয়, এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দুটোই শুরু করে দিয়েছে। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যম জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচারও (Kerala)। আরও ভয়ঙ্কর তথ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) ২০৪০-এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি। এনিয়ে চলছে রীতিমতো প্রচারও। ভয়ঙ্কর এই চক্রান্ত প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ (NIA)। 

    সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চলছে প্রচার (NIA)

    সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (Kerala) এবং অন্যান্য ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেরলে তারা শাসন করতে চায় ২০৩১ সালের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তারা ধ্বংস করতে চায় ২০৪০ সালের মধ্যে, ভারতকে তারা শাসন করতে চায় ২০৪৭ সালের মধ্যে এবং ভারতবর্ষকে ইসলামিক রিপাবলিক দেশ হিসেবে তারা ঘোষণা করবে ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি।

    এমন অ্যাজেন্ডা (RSS) দীর্ঘদিনের, তদন্তে এনআইএ

    এনআইএ-র (NIA) দাবি, মৌলবাদীদের যে অ্যাজেন্ডা সামনে এনেছে তা এখনকার নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে। এর আগে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করার বক্তব্য এবং সে সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণও করতে দেখা গিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে। এনিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। চলতি বছরের ২৬ জুন এনআইএ-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে কেরলের আরএসএস (RSS) নেতা শ্রীনিবাসনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পিছনে যুক্ত থাকতে দেখা যায়, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়াকে।

    গোটা পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে এনআইএ

    এনআইএ (NIA) কেরল হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা করে সেখানে তারা ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলির যাবতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে। এনআইএ আরও জানায়, ২০৪৭ সালের মধ্যে তারা (মৌলবাদী সংগঠন) ভারতবর্ষে ইসলামিক শাসনকে কায়েম করতে চায় এবং সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে আরএসএস (RSS) নেতাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এসডিপিআই-এর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আট পাতার একটি ইস্তাহার। এখানেই লেখা ছিল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সিজিওতে অপূর্ব-মর্গ কর্মীকে মুখোমুখি জেরায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পেল সিবিআই

    RG Kar Incident: সিজিওতে অপূর্ব-মর্গ কর্মীকে মুখোমুখি জেরায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের ঘটনায় যেসব বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তার অন্যতম হল ময়নাতদন্ত (Post mortem) প্রক্রিয়া। অপেক্ষাকৃত কম আলোয় ও কম সময়ে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি ইচ্ছাকৃত? নাকি অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। এই আবহের মধ্যেই বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই (CBI) দফতরে ফের হাজিরা দিলেন নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী দলে থাকা অন্যতম চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। সেই সঙ্গে আরজি কর (RG Kar Incident) মর্গের এক কর্মীকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। তাঁদের দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ নিয়ে পর পর তিনদিন হাজিরা দিলেন অপূর্ব বিশ্বাস। তার আগেও একবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    নির্যাতিতার আগে ৭টি ময়না তদন্ত সূর্যাস্তের আগে (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন আরজি করের (RG Kar Incident) মর্গে সাতটি ময়নাতদন্তই হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে। শুধুমাত্র নির্যাতিতার সূর্যাস্তের পরে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের খটকা লাগছে। সূত্রের খবর, এক চিকিৎসক সূর্যাস্তের পর তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত করার ব্যাপারে আপত্তি তুললেও তা শোনা হয়নি। ময়নাতদন্তের (RG Kar Incident) পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করা হলেও সেই ছবি বেশ আবছা রয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে, সেখানে আলো প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। এই বিষয়গুলি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা – হয়েছে ময়নাতদন্তকারী অন্যতম চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে তিনি নীরব থেকেছেন বলে খবর।

    দুই ডোমকেও জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    এর আগে, ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত দু’জন ডোমও জিজ্ঞাসাবাদে যা জানিয়েছিলেন, তাতে সিবিআই (CBI) নিশ্চিত যে, সেদিন গাফিলতি হয়েছিল (RG Kar Incident)। জানা গিয়েছে, এদিন আরজি করের মর্গের ‘ক্লার্ক’ পর্যায়ের এক কর্মীকেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরের পর্যবেক্ষণ লেখায় ওই কর্মীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই দিন ময়নাতদন্ত কী ভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে ওই কর্মীকে অপূর্বের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে পরস্পর বিরোধী তথ্য উঠে এসেছে এবং অপূর্বের আগের বয়ানের সঙ্গে এ দিন ওই ক্লার্কের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে বলে (RG Kar Incident) তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি। কী লুকোনোর চেষ্টা হয়েছিল? কে সত্যি বলছেন বা কে মিথ্যা বলছেন? সবটাই জানার চেষ্টা করছে সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: টালা থানাতেই নথি বদল! আরজি কর মামলার শুনানিতে আদালতে দাবি সিবিআইয়ের

    RG Kar Incident: টালা থানাতেই নথি বদল! আরজি কর মামলার শুনানিতে আদালতে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) চাঞ্চল্যকর দাবি করল সিবিআই (CBI)। বুধবার আদালতে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এই মামলা সংক্রান্ত কিছু ভুয়ো নথি বানিয়ে সেগুলি অদল-বদল করা হয়েছিল টালা থানায়। দুই অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য তাঁদের হাতে উঠে এসেছে বলে আদালতে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বুধবার সন্দীপ ও অভিজিতকে শিয়ালদা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। 

    সিবিআই-এর যুক্তি

    এই মামলায় টালা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন সঠিক সময়ে এফআইআর হল না? কেন পুলিশ তড়িঘড়ি দেহ দাহ করার ব্যবস্থা করল? এমন সব প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার থেকে সাধারণ মানুষ, জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Incident)। এর স্বপক্ষেই এদিন সিবিআই-এর দাবি, টালা থানার অন্দরেই তথ্য-প্রমাণ বদল করা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে ভুয়ো রেকর্ড! বিশেষ সিবিআই আদালতে এমনই তথ্য পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল যখন আদালতে জামিনের আবেদন জানান, তখন সিবিআই বেশ কিছু যুক্তি পেশ করে জামিনের বিরোধিতা করেছে। সেই সব যুক্তির একটি পয়েন্টে ছিল এই ভুয়ো রেকর্ড বানানোর অভিযোগ। সিবিআই আদালতে জানায়,  টালা থানার সিসি ফুটেজ-সহ ডিভিআর ও হার্ড ডিস্কও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই তথ্যও দিন দুয়েকের মধ্যে চলে আসবে।

    আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত আরজি কর! ‘থ্রেট কালচার’-এ অভিযুক্তরা হাসপাতাল চত্বরে, ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা

    জেল হেফাজতে সন্দীপ-অভিজিৎ

    এদিন আদালতে (RG Kar Incident) নিজের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার দিন তাঁর কাজ সঠিকভাবেই করেছেন। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় খবর পান তিনি, সকাল সাড়ে ১০টায় যান। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হলেও, তা জামিনযোগ্য ধারা, তাই তাঁর জামিন পাওয়া উচিত। তবে তাঁর যুক্তি ধোপে টেকেনি। আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে সেটিকে ‘বিরল থেকে বিরলতম জনরোষ’ বলে ব্যাখ্যা করেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী বলেন, “যে সিসি ফুটেজ ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে, সেগুলির ফরেন্সিক তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের হাতে আরও তিন দিনের সময় থাকছে। তখন আবার হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হতে পারে।” সিবিআই-এর আবেদন মেনে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Journalist Archana Tiwari: “কাশ্মীরে মন্দির হলে মেনে নেব না”! কাশ্মীরিদের সাক্ষাৎকার নেওয়ায় সাংবাদিককে হত্যা-হুমকি

    Journalist Archana Tiwari: “কাশ্মীরে মন্দির হলে মেনে নেব না”! কাশ্মীরিদের সাক্ষাৎকার নেওয়ায় সাংবাদিককে হত্যা-হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মন্দির হলে মেনে নেব না। কারণ এটা কাশ্মীর।” ভোট চলাকালীন কাশ্মীরে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে এমন মন্তব্যই শুনতে হল সাংবাদিক অর্চনা তিওয়ারিকে (Journalist Archana Tiwari)। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। গোটা দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের সঙ্গে এখন এক পঙক্তিতেই বসতে পারে কাশ্মীর। কারণ লোপ পেয়েছে তার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। তার পর এই প্রথম কোনও নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। সেই নির্বাচনই কভার করতে গিয়েছিলেন অর্চনা। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ডেথ থ্রেট বা মৃত্যুুর হুমকিও (Death Threat) পেতে হয়েছে তাঁকে।

    ভূস্বর্গে উন্নয়নের জোয়ার (Journalist Archana Tiwari)

    ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর (Journalist Archana Tiwari) বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে ভূস্বর্গে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। চাঙা হয়েছে রাজ্যের ভেঙে পড়া পর্যটন শিল্প। বদলেছে কাশ্মীরবাসীর অর্থনীতির চালচিত্র। অভিযোগ, তার পরেও কাশ্মীরের একটা অংশ রয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। অর্চনাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের গ্রামে মন্দির বানানোর বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। আমরা এটা ভেঙে ফেলবই। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি একজন মুসলমান। কাফেরদের (বিধর্মী) মধ্যে বাস করা আমার পক্ষে কঠিন।” তিনি বলেন, “বিজেপি এখানে জিতবে না। যেহেতু তারা এখানে মসজিদের সামনে মন্দির তৈরি করা শুরু করেছে। তারা মদের দোকানের লাইসেন্সও দিচ্ছে। এটা আমাদের ধর্মীয় রীতির পরিপন্থী।” স্থানীয় আরও কয়েকজনের বক্তব্যেও ঘুরে ফিরে এসেছে এমন মন্তব্য।

    সমর্থন থেকে সমালোচনার ঝড়

    অর্চনার এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকের মতে, অর্চনা বেছে বেছে সংকীর্ণমনা কাশ্মীরবাসীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কাশ্মীরকে কলঙ্কিত করতেই তিনি এটা করেছেন। কেউ কেউ আবার কাশ্মীরকে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জন্য অর্চনার বিকৃত মানসিকতাকে দায়ী করেছেন। অর্চনার এই সাক্ষাৎকারকে একটি কূট ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেছেন তাঁরা। 

    তবে, অনেকে তাঁকে সমর্থনও করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, অর্চনার দোষ কোথায় এখানে? তিনি তো স্রেফ ক্যামেরা-বুম নিয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছেন মাত্র। তাঁদের মতে, এই প্রতিক্রিয়ার মাধ্য়েমে আসল ছবি প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁরা আরও জানান, আসলে সমস্যা অর্চনাকে নিয়ে নয়। তাঁর করা প্রশ্নের ফলে যে তাঁদের আসল মিথ্যাচার প্রকট হয়ে গিয়েছে তা নিয়েই চিন্তিত ইসলামি ও বাম-উদারপন্থারা।অর্চনার অভিযোগ, কয়েকজন আবার তাঁকে ডেথ থ্রেটও দিয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদ রুহুল্লাহ মেহেদি বলেন, “স্থানীয়দের যে প্রতিক্রিয়া ভাইরাল হয়েছে, তা বাবরি (Death Threat) ধ্বংসের দ্বারা অনুপ্রাণিত প্রতিক্রিয়া (Journalist Archana Tiwari)।” 

     

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। নিম্নচাপের জেরে বাংলার আকাশে ফের দুর্যোগের মেঘ দেখা গিয়েছে। গতকাল বুধবারের পর আজ বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা (Weather Update)। বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ ইতিমধ্যে শক্তি হারিয়েছে তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে তৈরি হয়েছে একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, যার জেরে রাজ্যজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির (Rain Forecast) সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে। অন্যদিকে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায় অনেকাংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update)? 

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির চরম সর্তকতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে, একই পূর্বাভাস দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার ক্ষেত্রেও। উত্তরবঙ্গে তবে শুধু আজ বৃহস্পতিবারই নয়, শুক্রবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার সব জেলাতেই এক চিত্র দেখা যাবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    বৃষ্টির জেরে বাড়বে নদীর জলস্তর

    হাওয়া অফিসের তরফে এও জানানো হয়েছে, এই বৃষ্টির (Rain Forecast) জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে নদীর জলস্তর অনেকটাই বাড়তে পারে। কোথাও কোথাও নদীর জলস্তর বিপদ সীমার ওপরেও চলে যেতে পারে। এরফলে নিচু এলাকাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা থাকবে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। হাওয়া অফিস তবে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। কয়েক দফায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫ ডিগ্রির আশপাশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share