Tag: bangla news

bangla news

  • Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: কেষ্টর বাড়ি ফেরার দিনেই মমতার বীরভূম সফর! ‘‘বড় মিলন উৎসব’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবছর পর জামিন পেয়ে মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের বাড়িতে ফিরলেন গরু চুরির দায়ে জেল খাটা দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর এদিনই বীরভূম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার ঘরে ফেরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ওই জেলা সফরকে ‘‘বড় মিলন উৎসব’’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

    অনুব্রতর ফেরার দিনেই মমতার জেলা সফরকে কটাক্ষ (Dilip Ghosh)

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই ঘরে ফেরার দিনেই বীরভূম জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এই নিয়ে মমতার বীরভূম সফরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বীরভূম থেকে দলের আয় কমে গিয়েছে। আবার মালকড়ি আসার প্রস্তুতি কী হল, সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সবকিছু ঠিক আছে কি না, নাকি কাজল শেখ সব খেয়ে নিল, এগুলোও দেখতে দিদি বীরভূম যাচ্ছেন। সেখানে আজ বিরাট বড় মিলন উৎসব হবে। পার্টি হবে। চুরির দায়ে জেল খাটা নেতা ছাড়া পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এরাই গর্ব। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বাঘ, সিংহ, হাতি। কারণ এদের সম্পত্তি আছে তো। যাঁরা সৎ সাধারণ নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই।’’

    আরও পড়ুন: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    বন্যা নিয়ে মমতাকে তোপ

    মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের টাউন হল এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করতে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘গত ১৩ বছরে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী পদক্ষেপ করেছেন? বৃষ্টি কমে গিয়েছে ওঁর কপাল ভালো। চাষ করার দরকার নেই কারণ কেন্দ্রীয় সরকার চাল দিচ্ছে। সেই চাল খেয়ে বেঁচে আছি। উত্তরবঙ্গে বন্যা হচ্ছে আর উনি বন্যা দেখতে যাচ্ছেন। গোড়ালি পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে উনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়ে চলে আসছেন। সেটাই ওঁর দায়িত্ব। বাকি এনজিও আর কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santosh Mitra Square: লাস ভেগাসের স্ফিয়ারে মিশবে আরজি করের প্রতিবাদ, ভাবনা লেবুতলা পার্কের

    Santosh Mitra Square: লাস ভেগাসের স্ফিয়ারে মিশবে আরজি করের প্রতিবাদ, ভাবনা লেবুতলা পার্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার সাড়া ফেলে দেওয়া কয়েকটি বড় পুজোর মধ্যে একটি হল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। যদিও এই পুজোর ময়দান স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী সন্তোষ মিত্রের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখানকার প্যান্ডেল, সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা দেখতে দুরদূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এবারের এখানকার পুজোর থিমে (Santosh Mitra Square) লাস ভেগাসের স্ফিয়ারে মিশে যাবে আরজি কর (RG Kar Incident) প্রতিবাদের আন্দোলন। চিকিৎসক তরুণীর ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন থেমে থাকবে না। পুজো হবে প্রতিবাদের আরেক ভাষা। এই থিমে এখন থেকেই ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    স্ফিয়ারের অনুকরণ আশ্চর্য আলোর গোলোক (Durga Puja 2024)

    সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো ৮৯ বছরে পা দেবে। এই পুজো কমিটির দুর্গাপুজোর থিম নিয়ে স্পষ্ট মত দিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “এইবারের থিমে থাকবে আরজি কর হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদের ছায়া। আমেরিকার লাস ভেগাস শহরের বিখ্যাত স্ফিয়ারের অনুকরণ আশ্চর্য আলোর গোলোক। তাতে প্রতিবাদে (RG Kar Incident) কখনও ফুটে উঠবে প্রদীপ আবার কখনও স্লোগান উঠবে, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।

    প্রতিবাদের পুজো, প্রতিবাদের উৎসব (Santosh Mitra Square) 

    এইবারের পুজো হল প্রতিবাদের উৎসব। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ১২০০ ছাত্র-ছাত্রীকে ১০০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। এবার তা তিলোত্তমার নামে দেওয়া হবে।” এবছর পুজোর আগেও আন্দোলন বিরাট মাত্রা নিয়েছে। রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলন, ধর্না, মিছিল, মানববন্ধে মুখরিত। ধর্ষণ যেন সামজিক ব্যাধি। ন্যায় বিচারের দাবিতে রাত দখল করেছে মেয়েরা। ঘরের আলো বন্ধ করে দীপ জ্বালিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে অশুভশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বাঙালি সমাজ। তাই নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন পুজোর মণ্ডপ (RG Kar Incident) এবং থিমের মধ্যে যে পড়বে তা আরও একবার স্পষ্ট হল।

    আরও পড়ুনঃ পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিল

    মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) পুজোয় (যা লেবুতলা পার্ক নামেও খ্যাত) (Durga Puja 2024) বরাবর চমক থাকে। গত বছর ২০২৩ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছিল। উদ্বোধন করতে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিল মণ্ডপ চত্বর। ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনরা ৭৫ বছর উপলক্ষে ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’ স্মরণ করে লালকেল্লার আদলে পুজোর মণ্ডপ নির্মাণ করা হয়। দেখার জন্য প্রচণ্ড ভিড়ে উপচে পড়েছিল। একই ভাবে বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ (RG Kar Incident) করতে দেখা গিয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মার্কিন মুলুকে ফের বৈঠকে মোদি-জেলেনস্কি, এবার কী নিয়ে কথা হল?

    PM Modi: মার্কিন মুলুকে ফের বৈঠকে মোদি-জেলেনস্কি, এবার কী নিয়ে কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর। তা কখনওই যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।” সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায়  যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর কথা যে নিছক কথার কথা নয়, তিনি যে প্রকৃতই বিশ্বশান্তির পক্ষে, এক মাসে দ্বিতীয়বার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে বৈঠক করে তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে শান্তি ফেরাতে ভারত পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে একযোগে কাজ করবে ভারত ও ইউক্রেন।

    মোদি-জেলেনস্কি বৈঠক (PM Modi)

    দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” একবার নয়, একাধিকবার পুতিনের কানে এই মন্ত্র দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। মাসখানেক আগে ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও তিনি জানিয়েছিলেন, “যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়।” তিন দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জেলেনস্কি যে মোদির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে আগ্রহী, তা জানিয়েছিল ইউক্রেন। সেই মতো হয় পার্শ্ববৈঠক।

    কী বললেন মোদি?

    বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জেলেনস্কিকে বার্তা দিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার। শান্তি ও স্থিতাবস্থা না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। যুদ্ধ শেষ হবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে যুদ্ধ যাতে শেষ হয়, সেদিকেই মনোনিবেশ করা উচিত প্রত্যেকের। বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “নিউইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে গত মাসে ইউক্রেন সফরে আমাদের আলোচনায় যে বিষয়গুলি উঠে এসেছিল, তা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে (Volodymyr Zelenskyy) দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ভারত সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

    আরও পড়ুন: মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হল না, মার্কিন সফর সেরে ভারতে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • Police Encounter: পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে গুলি, পাল্টা গুলিতে নিহত বদলাপুর কাণ্ডের অভিযুক্ত

    Police Encounter: পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে গুলি, পাল্টা গুলিতে নিহত বদলাপুর কাণ্ডের অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশেরই গুলিতে মৃত্যু (Police Encounter) হল মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের স্কুলে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্তর (Badlapur Sexual Assault)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুম্বরা বাইপাসের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মুম্বরা বাইপাসে যায় বিশেষ তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ‘‘পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে৷’’

    আত্মরক্ষায় পুলিশের গুলি (Police Encounter)

    পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দায়ের করা বধূনির্যাতনের একটি পৃথক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বদলাপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে হেফাজতে নিতে সোমবার তালোজা জেলে গিয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পথে মুম্বরা বাইপাসের কাছে অভিযুক্ত এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। ওই কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় অভিযুক্ত। এর পরেই পুলিশের পাল্টা গুলি তার গায়ে এসে বেঁধে (Police Encounter)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় মুম্বরা বাইপাসের কাছে এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত। তারপর কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন অন্য এক অফিসার অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালান। 

    ঘটনার সূত্রপাত

    ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ অগাস্ট। অভিযোগ, ওই দিন বদলাপুরের এক স্কুলে নার্সারির দুই পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ করে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মী (Badlapur Sexual Assault)। ঘটনার তিন দিন পর, ১৬ অগাস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। তদন্তের স্বার্থে গড়া হয় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ওই ঘটনায় ১৭ তারিখেই অক্ষয় শিন্ডেকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বদলাপুর (Police Encounter)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়, তিনি স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্যের প্রতীক

    Durga Puja 2024: স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়, তিনি স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্যের প্রতীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা (Devi Skandamata) মানে হল কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পুজো করা হয় নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত এবং মাতা পার্বতীর স্কন্দমাতা হয়ে ওঠার কাহিনি জানতে হলে অপর একটি পৌরাণিক কাহিনি শুনতে হবে (Durga Puja 2024)।

    অসুর-দেবতা যুদ্ধ

    পুরাকালে বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিলেন। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে (Durga Puja 2024) মুক্ত করেন। 

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্মপথে চলতে পারেন, সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মকর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহস্থের কর্ম সম্পাদন করতেন।

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, “আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।”‌ ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনোমতো বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারক নামের অসুরের‌। 

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে, “একমাত্র শিবের বালকপুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।” ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে, এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুরকে বধ করতে পারবেন।

    শিব-পার্বতীর বিবাহ

    আয়োজন শুরু হল শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হল। পার্বতী দেবী (Durga Puja 2024), মাতা চন্দ্রঘণ্টার রূপধারণ করে অসুরদের বিতাড়িত করলেন। এরপর সুসম্পন্ন হল শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হল কার্তিকের। মাতা পার্বতী তখন হলেন স্কন্দমাতা (Devi Skandamata) অর্থাৎ কার্তিক জননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে “স্কন্দ পুরাণে”।

    স্কন্দমাতার বিবরণ (Durga Puja 2024)

    স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়। ত্রিনয়নী মাতার (Durga Puja 2024) কোলে তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে পাই আমরা। এই শিশুপুত্রই হলেন স্কন্দ বা কার্তিক। স্কন্দমাতা স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্য-এর প্রতীক। মাতার ভক্তরা মনে করেন দেবীর পুজো করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়, জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর হয়, অশুভ শক্তি বিনষ্ট হয়, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। দেবী পদ্মাসনা। তাঁর বাহন সিংহ। তাঁর দুই হাতে দুটি পদ্ম। একহাতে কার্তিককে ধরে থাকেন। অপর হাত বর-মুদ্রার ভঙ্গিতে থাকে। যার দ্বারা ভক্তদের উদ্দেশে সর্বদাই আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। স্কন্দমাতার পুজো করলে শত্রু বিনাশ হয়, শক্তি বৃদ্ধি হয়, এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। স্কন্দমাতার পুজোতে সাদা রঙের পোশাক পরলে মাতা প্রসন্ন হন, এমনটাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা নৈবেদ্যতে কলা বা কদলী ভোগ দেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দেবীর এক হাতে সৃষ্টি ও অপর হাতে ধ্বংস, মহা চতুর্থীতে পূজিতা হন মাতা কুষ্মাণ্ডা

    Durga Puja 2024: দেবীর এক হাতে সৃষ্টি ও অপর হাতে ধ্বংস, মহা চতুর্থীতে পূজিতা হন মাতা কুষ্মাণ্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণে কথিত আছে, হাসির দ্বারা তিনি (Devi Kushmanda) এই জগৎ বা বিশ্বসংসার সৃষ্টি করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁকেই জগজ্জননী মানেন ভক্তরা। তিনিই সূর্যের তেজ স্বরূপা। তিনিই আসুরিক শক্তির বিনাশক। নবরাত্রির চতুর্থীতে (Durga Puja 2024) ভক্তদের দ্বারা পূজিতা হন দেবী কুষ্মাণ্ডা।

    দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান (Durga Puja 2024) 

    পুরাণ অনুযায়ী, এ বিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, প্রাণের স্পন্দন যখন কোথাও ছিল না, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই ছিল না, তখন এক মহাজাগতিক দৈব আলোকরশ্মি ক্রমশ নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। দৈব ক্ষমতার অধিকারী, জগতের সৃষ্টিকর্ত্রী এই নারী মাতা কুষ্মাণ্ডা (Devi Kushmanda) নামে পরিচিত। মহাবিশ্বে প্রাণের উৎস, শক্তির উৎস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথের সৃষ্টিকর্ত্রী তিনি (Durga Puja 2024)‌। তিনি সূর্যের কেন্দ্রে অবস্থান করেন। দিন ও রাত্রি তাঁর জন্যই হয়। জীবনের সমস্ত কর্মকাণ্ডের গতি তাঁর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় বলে মনে করেন ভক্তরা।

    কুষ্মাণ্ডা শব্দের অর্থ জানেন?

    সৌরমণ্ডলকে পরিচালিত করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা (Durga Puja 2024)। তাঁর মুখমণ্ডল সূর্যের মতোই দীপ্তিমান, তেজোদীপ্ত। পণ্ডিতমহলের মতে, ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই দুঃখ। দেবী জগতের সমস্ত দুঃখ এবং কষ্ট হরণ করে নিজের উদরে ধারণ করেন বলে তাঁর নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’ মনে করা হয়। দেবাদিদেব মহাদেব যেমন সমুদ্র মন্থনের সময় সমস্ত বিষ নিজের শরীরে ধারণ করে দেবতাদের রক্ষা করেছিলেন, একই ভাবে মাতা কুষ্মাণ্ডা এ জগতের সকল অশুভ প্রভাব, দুঃখ, কষ্ট, রোগ, যন্ত্রণা, পীড়াকে হরণ করে তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন।

    দেবী কুষ্মাণ্ডার বিবরণ

    ভক্তরা মনে করেন, যখন এ বিশ্বে অসুরদের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল, তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কুষ্মাণ্ডা। দেবী সিংহে সওয়ার। তিনি অষ্টভূজা। আটটি হাত সাজানো রয়েছে অস্ত্র তথা অন্যান্য সামগ্রী দ্বারা। চারটি হাতে রয়েছে-চক্র, গদা, তির ও ধনুক। অন্য চারটি হাতে রয়েছে জপমালা, পদ্ম, কলস এবং কমণ্ডলু। দেবীর হাতে অস্ত্র ছাড়াও দুটো পাত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। একটিতে থাকে অমৃত ও অপরটিতে থাকে রক্ত। অর্থাৎ দেবী কুষ্মাণ্ডার এক হাতে সৃষ্টি ও অপর হাতে ধ্বংস। দেবীর বাহন সিংহকে ধর্মের প্রতীক বলে মনে করা হয়। ধর্মের স্থাপন (Durga Puja 2024) এবং ধর্মকে বহন করে মাতা কুষ্মাণ্ডার সিংহ।

    কীভাবে সন্তুষ্ট হন দেবী কুষ্মাণ্ডা 

    মাতা কুষ্মাণ্ডার সামনে কুমড়ো বলির প্রথা চালু আছে। দেবী কুষ্মাণ্ডার ভক্তরা মায়ের উদ্দেশে যে সব সামগ্রী নিবেদন বা অর্পণ করে থাকেন, সেগুলি হল-সিঁদুর, কাজল, চুড়ি, বিন্দি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, গলার মালা, লাল চুনরি ইত্যাদি। ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা কুষ্মাণ্ডাকে মালপোয়া, দই থেকে তৈরি যে কোনও পদ এবং হালুয়া নৈবেদ্যতে ভক্তিপূর্বক অর্পণ করলে মাতা প্রসন্ন হন। তিনি তাঁর ভক্তদের জীবনকে সুখী, শান্তি, সমৃদ্ধি, যশ, আয়ু দ্বারা পরিপূর্ণ করে তোলেন। ভক্তদের ব্রহ্ম জ্ঞানও তিনিই দান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হল না, মার্কিন সফর সেরে ভারতে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হল না, মার্কিন সফর সেরে ভারতে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি (PM Modi) একজন দুর্দান্ত মানুষ। আমার দেখা একাধিক চমাৎকার নেতাদের মধ্যে তিনি একজন। আগামী সপ্তাহে আমাদের দেখা হতে পারে।” দিন কয়েক আগে এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্প চাইলেও বহু আকাঙ্খিত এই বৈঠক হল না। অথচ টানা প্রায় তিনদিন আমেরিকায় ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। 

    ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    আর ছ’সপ্তাহ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ট্রাম্প। আর মার্কিন দেশে ঠাসা কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন কোয়াড সামিটে। পার্শ্ব বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘সামিট অফ দ্য ফিউচারে’। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী ধরেন ভারতের বিমান। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই যাত্রায় ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি।

    ‘নমস্তে ট্রাম্প’

    অথচ মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের কথা সুবিদিত। বছর কয়েক আগে টেক্সাসে হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’। তার পরে ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে হয়েছিল ‘নমস্তে ট্রাম্প’। এই দুই মেগা ইভেন্টের সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ট্রাম্প। রবিবার নিউইয়র্কের শহরতলিতে প্রবাসী ভারতীয়দের সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তার পরে কিছু সময় বরাদ্দ করে রেখেছিলেন ট্রাম্পের জন্য। কিন্তু সেই সময় ট্রাম্প ছিলেন নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী সমাবেশে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবাহ আল খালিদের সঙ্গে। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে মোদি শেষ বৈঠক সেরে নেন ইফক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গেও। 

    আরও পড়ুন: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চাইছেন ট্রাম্প। তার আগে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্কটা ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের একটি মন্তব্যে বেশ ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। ভারতের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত আমদানি শুল্কের খুবই অপব্যবহার করে থাকে।” ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে তাঁকে তিরস্কারও করেন (Donald Trump) মোদি। ট্রাম্প-মোদির বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক না হওয়ার এটাও একটা কারণ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার তদন্ত করবে লোকায়ুক্ত। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) এই রায়ে চাপ বাড়ল কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর। বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দুর্নীতির প্রত্যকে বিষয়ে তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সরকারি পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আরও আগে হওয়া উচিত। এনিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কোর্টের বক্তব্য তদন্ত হওয়া দরকার (Siddaramaiah)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ অগাস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার এখনও পর্যন্ত ৬টি শুনানি হয়েছে। তবে কোর্ট (Karnataka High Court) রায়দান স্থগিত রেখেছে। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) আবেদন খারিজ করে বলেন, “আবেদনে যে যে বিষয়গুলি এসেছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই কর্মকাণ্ডের দ্বারা সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছেন, যাঁরা, তাঁরা হলেন মামলার আবেদনকারীর পরিবারের লোকজন। এখানে বাইরের কেউ নেই। আবেদন বাতিল করা হল।”

    আরও পড়ুনঃ তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মুডা দুর্নীতির অভিযোগ

    কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলটের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন টিজে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা। মূল অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নথিপত্র বদল করে স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ (মুডা) বা মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্প সস্তায় পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মোট জমির পরিমাণ ছিল ৩.১৪ একর। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে উচ্চ আদলাতে গেলে মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরে মামলার কয়েকটি শুনানি হয়।

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এই কারণেই গত মাসে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে কথা বলেন। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, আইনি লড়াই থেকে রেহাই না পেলে গদি ছাড়তে হতে পারে সিদ্দারামাইকে। সূত্রের খবর, আগে আদালতের রায় আসুক তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী চান তদন্ত বহাল থাকলে তাঁর সরে যাওয়া দরকার। তবে সিদ্দারামাইয়া পদত্যাগ করলে ডিকে শিব কুমারের নাম উঠে আসছে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এদিকে, গতবছর গতিতে বসার পর থেকে কংগ্রেসের অপর একগোষ্ঠী সিদ্দারামাইয়াকে অপসারণের অভিযোগও তুলেছে। পরবর্তীতে মামলার গতি কোনদিকে এগোয় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: প্রেম, আনুগত্য, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও জ্ঞানের প্রতীক নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ মাতা ব্রহ্মচারিণী

    Durga Puja 2024: প্রেম, আনুগত্য, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও জ্ঞানের প্রতীক নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ মাতা ব্রহ্মচারিণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির (Durga Puja 2024) দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, সঠিক নিয়ম মেনে মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো করলে সব ইচ্ছা পূরণ হয়। মা ব্রহ্মচারিণীকে প্রেম, আনুগত্য, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও জ্ঞানের প্রতীক বলে মানা হয়। তাঁর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে সুখ-শান্তি আসে। দেবী ব্রহ্মচারিণীকে (Devi Brahmacharini) জবা এবং পদ্মফুলও প্রদান করা হয়। দেবীর এই রূপে এক হাতে মালা এবং অন্য হাতে কমণ্ডলু ধারণ করা অবস্থায় দেখা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস (Durga Puja 2024) অনুযায়ী, দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন নবদুর্গার অবিবাহিত রূপ। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর ভোগে চিনি নিবেদন করতে  হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এর ফলে দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণীর পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক কাহিনি (Durga Puja 2024) অনুসারে, দেবী পার্বতী ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পেতে ব্রহ্মচারিণী (Devi Brahmacharini) হয়ে কয়েক হাজার বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। মায়ের এই তপস্যার কারণেই তাঁর নাম হয় দেবী ব্রহ্মচারিণী। কথিত আছে, সতী পরবর্তীকালে পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর নাম হয় পার্বতী বা হেমাবতী। পার্বতী ভগবান শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চান। কিংবদন্তি অনুসারে, তখন ব্রহ্মার মানসপুত্র নারদ তাঁকে কঠোর তপস্যা করার পরামর্শ দেন। নারদ মুনির কথা শুনে তিনি কঠোর তপস্যা করতে শুরু করেন। তপস্যার ফলে তিনি ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পান পরবর্তীকালে।

    কীভাবে করবেন মাতা ব্রহ্মচারিণীর পুজো

    ১) নবরাত্রির (Durga Puja 2024) দ্বিতীয় দিনে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠুন। 

    ২) স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। 

    ৩) নিয়ম অনুযায়ী, মা ব্রহ্মচারিণীর পুজোর আগে যথাযথভাবে কলস দেবতা এবং ভগবান গণেশের পুজো করুন।

    ৪) মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো শুরু করুন। প্রথমে মাকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান। তারপর মাকে ফুল, অক্ষত, কুমকুম, সিঁদুর দিয়ে সাজান।

    ৫) পান, সুপারি, মিষ্টি ইত্যাদি প্রদান করুন।

    ৬) মা ব্রহ্মচারিণীর ব্রতকথা পাঠ করুন।

    ৭)  মায়ের আরতি করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    Darjeeling: পুড়ছে পাহাড়! শরতের গরমে জেরবার দার্জিলিং, কমছে পর্যটকের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমতলে তো বটেই, শরতে পাহাড়েও অধরা হিমের পরশ। সকালের দিকে হালকা হিমেল হাওয়া থাকলেও বেলা বাড়তেই হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল অবস্থা শৈলশহর দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। পরিস্থিতি এমন যে, ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও দিনের বেলায় হোটেলের বাইরে বেরই হচ্ছেন না। রাস্তাঘাট শুনশান। শীতল আবহাওয়ায় (Weather) অভ্যস্ত পাহাড়বাসীর গলদঘর্ম অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যে, স্থানীয়রা এখন এসি কিনতে ছুটছেন! কালিম্পং, সিকিমেও একই পরিস্থিতি। ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্পও। শৈলশহরে এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।

    পুড়ছে পাহাড়! (Darjeeling)

    সাধারণত, সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকেই পাহাড়ে (Darjeeling) শীতের আমেজ শুরু হয়। কিন্তু এবার যেন উলটপুরাণ। দুপুরে রাস্তাঘাট জনশূন্য থাকলেও বিকেলের পর ভিড় বাড়ছে ম্যাল সহ শহরের অন্যত্র। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরে পাহাড়ে সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রির আশপাশে। এবার প্রায় ৩০ বছরের উষ্ণতার রেকর্ড ভেঙেছে পাহাড়। আবহাওয়া দফতর বলছে, ক্রমশ উষ্ণতা বাড়ছে পাহাড়ে। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি- কোথাও তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি, তো কোথাও ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিকিম আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সিকিমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দার্জিলিংয়ে দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের পর থেকে বিক্ষিপ্ত জায়গায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এমন বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

     পাহাড়ে এমন তাপমাত্রা কেন?

    পরিবেশবিদরা এর জন্য দায়ী করছেন বছরের পর বছর ধরে পাহাড়ে হয়ে চলা অপরিকল্পিত নির্মাণকে। আর এই নির্মাণ বাড়ার কারণে গরমও বাড়ছে বলে দাবি করেন তাঁরা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত মনে করছেন, কোনও জায়গায় বাধা না পেয়ে সূর্যরশ্মি পড়লে গরম বাড়ে। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) গরমের কারণ এটাই। দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপ ছিল। উত্তরের আকাশের পরিষ্কার হওয়ার কারণে গরম বেড়েছে।

    গরমে কমছে পর্যটক!

    হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, গরমের কারণেই পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। দিনের বেলায় ম্যাল মোটামুটি ফাঁকাই থাকছে। দাজিলিং (Darjeeling) শহরে তাপমাত্রা বাড়লেও পাহাড়ের গ্রামীণ জায়গাগুলোতে তাপমাত্রা কিন্তু স্বাভাবিকই রয়েছে। আর ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকার ফলে পর্যটকদের একাংশ হয়ত ভাবছেন, দার্জিলিংয়ে যাতায়াত এখন বন্ধ। কিন্তু সেটা তো নয়।

    পর্যটকরা কী বললেন?

    দার্জিলিং (Darjeeling) বেড়াতে এসে তীব্র গরমে হতাশ পর্যটকরা। এক পর্যটক বলেন, গরমে একটু স্বস্তির জন্য দার্জিলিং এসেছিলাম। কিন্তু এখানে গত দু’দিন ধরে যা গরম, তাতে হোটেলের বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। আর এক পর্যটক বলেন, এই সময়ে আগেও দার্জিলিতে এসেছি। কিন্তু এরকম আবহাওয়া দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share