Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, এভাবে তিনি যে কথা রাখবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (Panskura Flood) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা। কথা দিয়েছিলেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেই কথা রাখলেন শুভেন্দু। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    টানা বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। ২০ সেপ্টেম্বর প্লাবিত পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী। বলতে থাকেন কীভাবে নিমেশের মধ্যে তাঁর দোতলা বাড়ি-ঘর সর্বস্ব জলে ভেঙে গিয়েছে। সেদিন আশ্রয়হীন দুর্গতের গামছা দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলাম। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেননি। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি সরকার নই। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেব।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পারব করব।”

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    শুভেন্দুর দেওয়া চেক পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুর্গত

    রবিবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রতিশ্রুতি মতো সেই টাকা দিয়ে যান শুভেন্দুর টিমের সদস্যরা। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশবাবু। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, এদিন কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! বাদ নেই ভারত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর সময়ের আগেই ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হৃদরোগ। বিশেষত ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তাই এ বছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্কতাই পারবে হৃদরোগের বড়‌ ঝুঁকি রুখতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সময় মতো হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে পারলে, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই অসচেতনতার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Heart Disease)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে ৫৫ বছর বয়সের আগেই ৫০ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বিশেষত করোনা পরবর্তীকালে এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। দেড় দশক আগেও‌ এই ধরনের শারীরিক সমস্যা ৫০ বছর বয়স পার করেই দেখা দিত। তার সঙ্গে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সমস্যা দেশের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে দেশ জুড়ে নানান কর্মসূচি নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মানুষকে হৃদরোগ (Heart Disease) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছেন তাঁরা। জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর থাকলে হার্ট অ্যাটাক মোকাবিলা সহজ, এই সব কর্মশালায় সে সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করা হচ্ছে। তবে, বংশানুক্রমিক হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে, নিজের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষাও জরুরি। যাতে হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা হলে প্রথম পর্বেই রোগ চিহ্নিত হয়। তাহলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে।

    তরুণ প্রজন্মকে কোন ‘তিন মন্ত্রে’ হৃদযন্ত্রের যত্ন শেখাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরত এবং ঘুম-এই তিনটি দিকে তরুণ প্রজন্ম নজর দিলেই হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কয়েকগুণ কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছর কুড়ির চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে অভ্যাস করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় নির্ধারণ করতেই হবে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। স্কুল জীবনে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া এবং ভোরে ওঠার অভ্যাস থাকলেও পরবর্তীতে অনেকেই সেই অভ্যাস ধরে রাখতে পারেন না। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এবং অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, প্রাতঃরাশ না করার মতো একাধিক অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা কিংবা অন্য কোনও শারীরিক কসরত করার অভ্যাস শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম হাতিয়ার (High blood pressure)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস আটকানোর সহজ পথ শরীরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং যোগাভ্যাস। এর পাশপাশি খাবারেও নজরদারি জরুরি। বিশেষত তেলজাতীয় খাবার যে কোনও রকম ভাজা কিংবা অতিরিক্ত রাসায়নিক দিয়ে তাজা রাখা মাংস খাওয়া একেবারেই চলবে না। প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব্জি এবং ফল নিয়মিত খেতে হবে। খাওয়ার পরিমাণেও সতর্কতা জরুরি। রক্তের শর্করা, দেহের ওজন এবং কোলেস্টেরল-এই তিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই তরুণ প্রজন্ম হৃদরোগকে সহজেই মোকাবিলা করবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সুস্থ জীবনের একমাত্র পথ!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেই ভাসবে বাংলা! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেই ভাসবে বাংলা! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের বৃষ্টি বাংলায়। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, সোমবারই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে চলেছে। তা থেকে পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপও দানা বাঁধতে পারে। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। 

    কোথায় নিম্নচাপ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার উপর দিয়ে। তা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর প্রভাবে ঘূর্ণাবর্তগুলি থেকে সোমবারই একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সোমবার থেকেই দেশ থেকে মৌসুমী বায়ু একটু একটু করে সরে যাবে।  ২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাজস্থানের বেশ কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বর্ষা বিদায় নেবে।

    কোথায় কত বৃষ্টিপাত

    আলিপুর হাওয়া অফিসের (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার সতর্কতা রয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য। তবে বুধবার থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র।

    আরও পড়ুন: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    সোমবার দার্জিলিং থেকে মালদা সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) রয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি (Heavy Rain), সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি এই তিন জেলায়। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই চার জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghaziabad: ভূতের সাহায্যে রোগ নিরাময়! ধর্মান্তকরণের চেষ্টায় গাজিয়াবাদে গ্রেফতার মৌলবী

    Ghaziabad: ভূতের সাহায্যে রোগ নিরাময়! ধর্মান্তকরণের চেষ্টায় গাজিয়াবাদে গ্রেফতার মৌলবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের সাহায্য রোগ সারানোর নামে প্রতারণা ও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Religious Conversion) করার চেষ্টা- এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মৌলবীকে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে (Ghaziabad)। সেখানে এক হিন্দু মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন যে, এক মৌলবী তাঁর অসুস্থ স্বামীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Religious Conversion) করার চেষ্টা করেছেন ও তাঁকে (মহিলার স্বামী) দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য প্ররোচনাও দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মহিলার আরও অভিযোগ, তাঁর স্বামীর থেকে টাকা-গাড়িও হাতিয়েছেন ওই মৌলবী।

    ঘটনাটি হল গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) জেলার ওয়েব সিটি থানা এলাকার

    জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মৌলবীর নাম আবদুর রহমান। স্থানীয় থানায় এই ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ওই মৌলবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর কথোপকথনের কল রেকর্ডিং-ও দিয়েছেন ওই মহিলা (Religious Conversion)। এই ঘটনার জেরে  ১৯ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। যোগী রাজ্যের পুলিশ আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘটনাটি হল গাজিয়াবাদ জেলার ওয়েব সিটি থানা এলাকার। এখানেই ওই হিন্দু মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্বামী শ্রীশ ওঝা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সেই মতো মৌলবী আবদুর রহমানের কাছে তাঁরা যান এর সমাধান খুঁজতে।

    স্ত্রীকে ভূতের সাহায্যে সুস্থ করা হবে (Religious Conversion)

    পেশায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের মালিক শ্রীশ ওঝা। বাড়ি এবং বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের নকশা তৈরি করেন তিনি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শ্রীশের স্ত্রী কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। বর্তমানে তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রী সাড়া দিচ্ছিলেন না, এনিয়ে শ্রীশ খুব চাপে ছিলেন এবং এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে মৌলবী আবদুরের খপ্পরে পড়েন (Religious Conversion)। মৌলবী দাবি করেন যে, তাঁর স্ত্রীকে ভূতের সাহায্যে (Ghaziabad) সুস্থ করা হবে এবং সেই মতো বিগত চার পাঁচ মাস ধরে ৭ লাখ টাকা নেন মৌলবী। এমনকী, শ্রীশের গাড়ি বিক্রি করে সেই টাকাও হাতিয়ে নেন ওই মৌলবী। শুধু তাই নয়। ওই মৌলবী শ্রীশকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য ক্রমাগত প্ররোচনা দিতে থাকেন এবং বলতে থাকেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেই সব রোগ থেকে মুক্তি মিলবে (Religious Conversion)। আবদুর রহমান স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর জন্য শ্রীশকে বলতে থাকেন, তাঁর স্ত্রী চরিত্রহীনা। এরপরেই অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায় এবং গ্রেফতার করা হয় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সি মৌলবী আবদুরকে। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: জমিদারি নেই, পারিবারিক দুর্গাপুজো নিষ্ঠার সঙ্গে বজায় রেখেছেন গ্রামের মানুষই!

    Durga Puja 2024: জমিদারি নেই, পারিবারিক দুর্গাপুজো নিষ্ঠার সঙ্গে বজায় রেখেছেন গ্রামের মানুষই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ঐতিহ্যবাহী মনোহলি জমিদার বাড়ি। কাটোয়ার সিন্নি গ্রাম থেকে এসে তারাচাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায় মনোহলি জমিদারবাড়ির পত্তন করেছিলেন। তিনি শুধু জমিদারি পত্তন করেননি, ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জমিদারবাড়িতে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) প্রচলন করেছিলেন। যা অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার বনেদি বাড়ির পূজোগুলির মধ্যে অন্যতম। তিনি পুজোর জন্য দালান‌ মন্দির‌ও নির্মাণ করেছিলেন।

    ভগ্নপ্রায় মন্দিরে আর পুজো হয় না (Durga Puja 2024)

    শোনা যায়, রাজমহলের পাথর-চুন-সুরকি দিয়ে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। বিল্ডিং-এর ছাদ লোহার পাটাতনের ওপর ঢালাই দেওয়া। জমিদারি নেই, কিন্তু পুজো এখন‌ও চলেছে। বংশের অধিকাংশ শরিক কর্মসূত্রে গ্রাম ছেড়ে বাইরে থাকেন। বর্তমানে পুজোর জৌলুস কমলেও রীতি-নিষ্ঠার এতটুকু‌ও ঘাটতি হয়নি। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক পুজো ২০১২ সাল থেকে বারোয়ারি পুজোয় রূপ নিয়েছে। জমিদার বাড়ির (Dakshin Dinajpur) পুরনো ভগ্নপ্রায় মন্দিরে আর পুজো হয় না। জমিদারের জমিতে এখন তৈরি হয়েছে স্থায়ী দুর্গামন্দির। পুজোর ৫ দিন মহা সমারোহে মহাভোজ হয়, সেই সঙ্গে মন্দির চত্বরে বসে মেলা‌ও। দেবীর প্রতিমা হয় সাবেকি। এখন তান্ত্রিক মতে দেবীর পুজো হলেও দীর্ঘদিন থেকে বলি প্রথা উঠে গিয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে দেবী দুর্গাকে পঞ্চব্যঞ্জনে অন্নভোগ দেওয়া হয়।

    উৎসাহ ও উন্মাদনা একই রকম

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিদার তারাচাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Dakshin Dinajpur) ছেলে রমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ও যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কালের নিয়মে বর্তমানে এই জমিদারবাড়ি ও ঠাকুর দালানের ভগ্নপ্রায় অবস্থা। তবে বর্তমানে বংশের সমস্ত শরিক পুজোয় সেভাবে অংশগ্রহণ করে না। গ্রামবাসীরা এখন এই জমিদার বাড়ির পুজোকে সর্বজনীন পুজো কমিটি তৈরি করে চিরাচরিত রীতি ও প্রথা অনুযায়ী উদযাপন (Durga Puja 2024) করেন। সকলের মঙ্গলার্থে গ্রামবাসীরা এখন‌ও দুর্গাপুজো করে আসছেন। পুজোর দিন জমিদার বাড়ির সকল শরিকদের আমন্ত্রণ করা হয়। গ্রামের সকলে চাঁদা তুলে এই পুজো করেন। জনশ্রুতি, জমিদার আমলে তপন এলাকার আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ এই পুজো দেখতে আসতেন। তাঁরা পুজোতে অংশগ্রহণ করতেন। সেই সময়ে জমিদার বাড়ি থেকে গ্রামের মানুষজনদের মেলা দেখতে টাকা দেওয়া হত। বর্তমানে পরিচর্যার অভাবে এই জমিদার বাড়ি ভগ্নপ্রায়। তবুও এই জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মানুষজনের উৎসাহ ও উন্মাদনায় একটুও ভাটা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মার্কিন মুলুকে সুন্দর পিচাই সহ শীর্ষ টেক সিইওদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মার্কিন মুলুকে সুন্দর পিচাই সহ শীর্ষ টেক সিইওদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দর পিচাই সহ ১৫ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রযুক্তি সিইও। বৈঠক হয়েছে নিউ ইয়র্কের লোটে নিউ ইয়র্ক প্যালেস হোটেলে। সেখানে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারই ফাঁকে হয় এই বৈঠক।

    গোলটেবিল বৈঠক (PM Modi)

    এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কাম্পিউটিং, সেমি কন্ডাক্টর এবং বায়েটেকনোলজিতে বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন কোম্পানির মাথা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুগলের সুন্দর পিচাই, এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং এবং অ্যাডোবের শান্তনু নারায়ণের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “নিউ ইয়র্কে টেক সিইওদের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ গোলটেবিল বৈঠক করেছি, যেখানে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির বিষয়গুলিও তুলে ধরেছি, আমি আনন্দিত যে ভারতের ওপর প্রচুর আশাবাদ দেখা যাচ্ছে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই রাউন্ডটেবিল বৈঠক অত্যাধুনিক ক্ষেত্রগুলির ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল, যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, জীবপ্রযুক্তি ও সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির বিকাশমান পরিসর ও এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলি কীভাবে ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিইওরা গভীরভাবে আলোচনা করেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেছেন কীভাবে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যার মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতি ও মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের নীতিই হল সবার জন্য এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রচার করা।” ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রক্ষায় ও প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনের জন্য সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারত দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বৈঠকে উপস্থিত সিইওদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত যে অচিরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (MIT) দেশে পরিণত হবে, বৈঠকে তাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মা দুর্গার দশ হাতের দশটি অস্ত্রই নানা বার্তাবাহক! জেনে নিন তাদের তাৎপর্য

    Durga Puja 2024: মা দুর্গার দশ হাতের দশটি অস্ত্রই নানা বার্তাবাহক! জেনে নিন তাদের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। শক্তিরূপিণী মহামায়াকে কোনও এক রূপের আধারে ধরা যায় না বলেই মায়ের অনেক রূপ। তিনি মা দুর্গতিনাশিনী রূপে পূজিতা (Durga Puja 2024) হন। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) আরও এক নাম দশভূজা। তাঁর দশ হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বিদ্যমান থকে। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভশক্তিকে সংহার করতে মর্তধামে আসেন। মানব-জাতির ওপর নেমে আসা অন্ধকার দূর করতে, অশুভশক্তির বিনাশ করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেন। তিনি আবার সকল সৃষ্টি-স্থিতি-লয়কে একত্রে ধারণ করেন। দশভূজা দেবীর দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্যকথা কেমন জানেন? আসুন একবার মায়ের দশ অস্ত্রের উৎস এবং শক্তির প্রকার জেনে নিই।

    দেবীকে রণসাজে সাজালেন কারা?

    ত্রিশূল: দেবাদিদেব মহাদেব মা দুর্গাকে (Durga Puja 2024) ত্রিশূল দান করেছিলেন। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ—এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার। তিন গুণের ধারক-বাহক দেবী দুর্গা।

    সুদর্শন চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গার সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন। এই চক্রের নির্দেশে বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয়। দেবীর ব্রহ্মাণ্ড শক্তি আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে। অধর্মের মাত্রা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে মা চক্র দিয়ে সমূলে বিনাশ করেন।

    পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে। পরিপূর্ণ জ্ঞণা বা প্রজ্ঞার আধার হল এই পদ্ম। পুজোতে তাই ১০৮টা পদ্ম নিবেদন করা হয়।

    তির এবং ধনুক: পবনদেব-সূর্যদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, তির নির্দেশ করে ওই ক্ষমতার গতিময়তাকে। একই সঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস। শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে এই অস্ত্র।

    অসি: গণেশদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন অসি। এই অস্ত্র জ্ঞান এবং ধীশক্তির প্রতীক। জ্ঞানের তীক্ষ্ণতা এবং দীপ্তি নির্দেশ করে বুদ্ধিকে পথ দেখায় অসি। অপশক্তিকে দমন করতে মহামায়ার শক্তি অপরিহার্য।

    বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয়, তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই। এই শক্তি দিয়ে অসুর দমন করা যায়।  

    বর্শা:  এই অস্ত্র পবিত্রতা এবং ভুল-ঠিকের প্রতীক। অগ্নিদেব বর্শা প্রদান করেছিলেন মা দুর্গাকে। যুদ্ধ করতে গেলে ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে হয়। এই বর্শা হল সত্য-মিথ্যার নির্ণায়ক মাপকাঠি।

    সর্প: মা দুর্গাকে (Durga Puja 2024), মহাদেব অস্ত্র হিসেবে সাপ প্রদান করেছিলেন। এই সর্প হল চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ হল—চেতনার নিম্নস্তর থেকেও সাধনাকে উচ্চতরে পৌঁছানোর প্রতীকী আধার।

    কুঠার: বিশ্বকর্মা কুঠার প্রদান করেছিলেন দেবীকে। অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হল কুঠার। একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভীত না হওয়ার প্রতীকও হল কুঠার। ভয়কে জয় করতে অভয়রূপ শক্তির (Goddess Durga) আধার হল কুঠার।

    শঙ্খ: জলদেবতা বরুণদেব মহামায়াকে (Durga Puja 2024) দিয়েছিলেন শঙ্খ। যার ধ্বনি মঙ্গলময় এবং সংকেতবহ। শঙ্খের আওয়াজে স্বর্গ, মর্ত্য ও নরক জুড়ে থাকা সব অশুভ শক্তি ভীত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। যুদ্ধের প্রধান প্রারম্ভিক অস্ত্র হিসেবও ব্যবহার হয় শঙ্খ।

    তলোয়ার: তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    গদা: যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা। কখনও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, কখনও সিবিআই, যাতায়াত লেগেই আছে তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতার বাড়ি, নার্সিংহোম, বাংলোয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ নাগাদ সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) বাড়িতে হাজির হয় তদন্তকারীদের একটি দল। রাত ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যায় তারা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (CBI)

    সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলজির মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়। সুদীপ্তর সিঁথির নার্সিংহোম তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, জমা পড়ে, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। শাসকদলের বিধায়ক হওয়ার কারণে তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজের নার্সিংহোমে সরকারি নানা সরঞ্জাম নিয়ে যেতেন। তথ্যপ্রমাণও রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানানো হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর সুদীপ্ত রায়কে বারবারই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষে সুদীপ্ত দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা জারি রাখবেন। এদিকে উত্তরবঙ্গ লবির দুই নেতা অভীক ও বিরূপাক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। গত ৯ অগাস্ট সকালে ফোনে কথা সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলে মেনে নিয়েছেন সুদীপ্ত রায়।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    এর আগে ইডিও হানা দিয়েছিল

    সম্প্রতি আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেবার আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালায়। এছাড়াও বালিগঞ্জে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ জৈন।  সেদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েই সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর মেয়েকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তবে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডিও তদন্তে নামে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম হাতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chess Olympiad 2024: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    Chess Olympiad 2024: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট-বিশ্বে শীর্ষে ভারত। ফুটবলের জন্যও পাগল। হকি-কাবাডিতেও সেরা। এবার দাবা-ক্ষেত্রেও (Chess Olympiad 2024) সোনালি ইতিহাস রচনা করল ভারত। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে দাবার ৪৫তম অলিম্পিয়াডে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন ভারতের দাবার তারকারা। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ ও ডি গুকেশদের পাশাপাশি দিব্যা দেশমুখ ও তানিয়া সচদেবরাও দুরন্ত দাবা খেলে জিতে নিলেন সোনা। ভারতীয় দাবাড়ুদের এই সাফল্য নজর কেড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও।

    দুরন্ত প্রজ্ঞানন্দ-গুকেশরা

    প্রথম বার ওপেন বিভাগে ছেলে ও মেয়েরা সোনা জিতল। শেষ রাউন্ডে স্লোভেনিয়াকে হারিয়েছেন ডি গুকেশ, রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, অর্জুন এরিগাইসি, বিদিত গুজরাটি, পেন্টালা হরিকৃষ্ণ এবং শ্রীনাথ নারায়ণন (ক্যাপ্টেন)রা। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে শেষ রাউন্ডের আগে ভারতের পয়েন্ট ছিল ১০ রাউন্ডে ১৯। দ্বিতীয় স্থানে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ছিল চিন। শেষ রাউন্ডে আমেরিকার বিরুদ্ধে দু’টি খেলায় পয়েন্ট নষ্ট করে চিন। তখনই ভারতের সোনা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অন্য দলের খেলার উপর নির্ভর করেনি ভারত। ভারতের গুকেশ, অর্জুন এরিগাইসি ও প্রজ্ঞানন্দ নিজেদের ম্যাচ জেতেন। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে শুরুটা করেছিলেন বিশ্বের তিন নম্বর গুকেশ। ভ্লাদিমির ফেদোসিভের বিরুদ্ধে কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেন তিনি। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি তাঁর। ভ্লাদিমির লড়াই করেও ভারতের ১৮ বছর বয়সি গুকেশকে হারাতে পারেননি। সামনেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (Chess Olympiad 2024) হওয়ার জন্য চিনের ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে নামবেন গুকেশ। তার আগে দাবা অলিম্পিয়াডে সোনা গুকেশের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে। দ্বিতীয় ম্যাচে নামেন অর্জুন। তিনিও কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেন। স্লোভেনিয়ার ইয়ান সুবেলিকে হারান তিনি। এই দুই জয়ের পরে ভারতের সোনা নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু প্রজ্ঞানন্দ নিজের ম্যাচ হাল্কা ভাবে নেননি। তিনি অ্যান্টন ডেমচেঙ্কোকে হারান। 

    আরও পড়ুন: “ভারত বললে বিশ্ব শোনে, প্রবাসীরাই প্রধান রাষ্ট্রদূত”, নিউ ইয়র্কে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    সাফল্য মেয়েদেরও

    পুরুষদের পরে ভারতের মহিলা দলও সোনা জিতেছে (Chess Olympiad 2024) অলিম্পিয়াডে। ১০ নম্বর রাউন্ডে চিনকে হারিয়ে সোনার সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আর বৈশালীরা। শেষ রাউন্ডে ভারতের সামনে ছিল আজারবাইজান। তাদের বিরুদ্ধে ৩.৫-০.৫ জয়ের সুবাদে সোনা জিতেছেন। ডি হারিকা ছিলেন সেরা ফর্মে। দলের হয়ে দারুণ খেললেন। তাঁর কৌশল ছিল দেখার মতো। অন্যদিকে, দিব্যা দেশমুখ আবারও তৃতীয় বোর্ডেই তাঁর ব্যক্তিগত স্বর্ণপদক নিশ্চিত করে ফেলেন। আর বৈশালী ড্র করার পর, ভান্তিকা আগরওয়ালের দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে সোনা নিশ্চিত করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Laddu: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    Tirupati Laddu: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের  লাড্ডু (Tirupati laddu) প্রসাদ বিতর্কে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। উচ্চপর্যায়ের এই সিট এবার তদন্ত করবে লাড্ডু তৈরি করতে যে ঘি ব্যবহার করা হত, তা কীভাবে তৈরি হত? জানা গিয়েছে, তদন্তের কারণে মন্দির থেকে লাড্ডুর নমুনাও সংগ্রহ করবে তারা।

    সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা চন্দ্রবাবুর (Tirupati laddu)

    সিট গঠনের কথা জানাতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu) এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করছি। আইজিপি এবং তার ঊর্ধ্ব পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা থাকবেন এই দলে। বিশেষ তদন্তকারী দল সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এই বিষয়ে (Tirupati laddu)। তারপরেই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

    কী বলছে মন্দির কমিটি?

    প্রসঙ্গত, লাড্ডু বিতর্ক সামনে আসতেই টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু অভিযোগ তোলেন জগন্মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন পূর্বতন ওয়াইএসআরসিপি সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন যে, পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে তিরুপতির লাড্ডু তৈরিতে। এ বিষয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু হাতিয়ার করেন গুজরাটের ল্যাবের একটি রিপোর্টকে। অন্যদিকে, চন্দ্রবাবু নাইডুর দাবিতেই সিলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে তিরুপতি মন্দির পরিচালন সমিতিকে, যার পোশাকি নাম ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’। তারাও গত শুক্রবার জানিয়েছে, লাড্ডু (Tirupati laddu) তৈরিতে যে ঘি ব্যবহার করা হয় সেখানে শুয়োরের চর্বি পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, মন্দির কমিটির অন্যতম পদাধিকারী  জে শ্যামলা রাও জানিয়েছেন, গুজরাটের ল্যাব পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে, সেখানেই প্রমাণ মিলেছে যে ঘি তৈরিতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত।

    আমূলের নামে গুজব, বিবৃতি দিল সংস্থা

    প্রসঙ্গত এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন। একইভাবে তদন্ত চেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিজা সিং-ও। লাড্ডু বিতর্কের আবহে সমাজ মাধ্যমের পাতায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু তৈরিতে ঘি সরবরাহ করে আমূল। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে আমূল কোম্পানি এবং তারা জানিয়েছে, সকলের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার যে তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati laddu) ঘি কোনওভাবেই আমূল সরবরাহ করে না। আপাতত, তিরুমালা মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু তৈরি করার জন্য কর্নাটক স্টেট কো-অপারেটিভ ডেয়ারির তৈরি নন্দিনী ঘি ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে অন্ধ্র সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share