Tag: bangla news

bangla news

  • North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড় চলছে। এই আবহের মাঝে এবার জাল নিয়োগপত্র নিয়ে বিড়ম্বনায় রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের লোগো, আধিকারিকের সই জাল করা নিয়োগপত্র প্রতারণা চক্র সক্রিয়। এক যুবক জাল নিয়োগপত্র নিয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ায় এই দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবক ও তার সঙ্গে আসা আর এক যুবককে। দু’জনেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুমারজল গ্রামের বাসিন্দা।

    কীভাবে ধরা পড়ল জাল নিয়োগপত্র? (North Bengal Medical)

    চতুর্থ শ্রেণির পদের একটি নিয়োগপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ অফিসে কাজে যোগ দিতে আসেন মুস্তাক আলি নামে এক যুবক। নিয়োগপত্রটি দেখে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার সন্দেহ হয়। মুস্তাক আলি ও তাঁর সঙ্গী ইমরানকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) ফাঁড়ির পুলিশ এসে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘কোনও নিয়োগপত্র ছাড়া হলে স্বাস্থ্যভবন থেকে পোর্টালে তা তোলা হয়। কিন্তু পোর্টালে এই নিয়োগপত্রের উল্লেখ নেই। নিয়োগপত্রে যে আধিকারিকের সই রয়েছে সেটিও সন্দেহজনক। এত অসঙ্গতি দেখে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া দেয়।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    কীভাবে প্রতারিত হলেন মুস্তাক আলি?

     প্রায় এক বছর আগে গ্রামেরই এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে দেখা হয় মুস্তাকের। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের কাজের টোপ দেন সেই ব্যক্তি। মুস্তাক বলেন, ‘‘৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন তার দেখা পাইনি। হঠাৎই কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক আসে। তাতে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজের নিয়োগপত্র দিয়ে ছ’লক্ষ টাকা চান। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, সরকারি চাকরি তাই বেশি টাকা দিতে হবে। বন্ধুদের কাছ থেকে ধার দেনা ৬০ হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে দিয়ে বলি বাকি টাকা পরে দেব। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসি। বুঝতে পারিনি যে, আমাকে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।’’ 

    জাল নিয়োগপত্র চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ

    এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির প্রতারণা চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ উঠে এল। প্রায় দুবছর আগে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হয়েছিলেন মালদার এক ব্যক্তি। সেই ঘটনাতেও জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার পিছনে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি প্রতারণা চক্রের হাত ছিল। পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। তারপরেও এই চক্রের সক্রিয়তায় উঠছে প্রশ্ন।

     কী বলছে পুলিশ?

    মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রামেরই এক ব্যক্তি প্রতারণা করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শুধু ওই ব্যক্তি একা নন। এই চক্রের জাল (North Bengal Medical) অনেক দূর বিস্তৃত। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। নিয়োগপত্রে যেভাবে স্বাস্থ্যভবনের লোগো ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যভবনের কোনও কর্মীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসলামি মৌলবাদীরা, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য হিন্দু সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। দুর্গাপুজো যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীগুলির হুমকি এবং জুলুমবাজি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ৫ অগাস্ট, ছাত্র আন্দোলনের নামে চক্রান্ত করে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনার শাসন কায়েম হলেও সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

    চাঁদা না দিলে হামলা হবে (Bangladesh)

    সম্পত্তি লুট, বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পর উগ্র মুসলমানরা এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) দুর্গাপুজোর (Durga Puja) উৎসবকে টার্গেট করেছে। দেশের প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে চাঁদাবাজির শিকার করা হচ্ছে। এই বছর দুর্গাপুজো করতে ইচ্ছুক যে কোনও পুজো কমিটিকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ছেলে এসে চাঁদার চিঠি দিয়ে গিয়েছে আমাদের ‘বীনাপানি’ নামক দুর্গাপুজো কমিটিকে। এমন চিঠি আরও বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিও পেয়েছে। স্পষ্ট ভাবে বাংলায় লেখা, পুজো কমিটিগুলি যদি চাঁদা না দিয়ে অনুষ্ঠান করে, তাহলে হামলার শিকার হতে হবে। বাংলাদেশের সুপরিচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেসবুক পেজ ‘অগ্নিবীর’-এও চাঁদাবাজির হুমকির কথা স্বীকার করেছে। চাঁদার টাকা না দিলে সরকার, পুলিশ এমনকী সেনাবাহিনীর কাছ থেকেও নিরাপত্তাও মিলবে না। শুধু তাই নয়। চিঠিতে পুজো কমিটির সদস্যদের পরিবারকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে মৌলবাদীরা।

    উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালাচ্ছে

    হিন্দু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) কার্যত জামাত শিবির, বিএনপি এবং জেএমবি-সহ একাধিক জেহাদি সংগঠনের দ্বারা সংঘটিত হামলা ক্রমাগত অব্যাহত রয়েছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের এক গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গণতান্ত্রিক সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন না থাকায় বাংলাদেশের হিন্দু সংস্কৃতি, ধর্ম, পুজো এবং সম্পত্তির উপর উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja) তাই মন্দির, মানুষ, পরিবার, ব্যবসা, সম্পত্তি এবং মূর্তিকে টার্গেট করছে দুষ্কৃতীরা। ফলে, গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পদ্মাপারের সমগ্র হিন্দু সমাজ।

    আরও পড়ুনঃ হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্য়েই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পুজো করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগ্র মুসলমানরা প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল ভাঙচুরের কাজ করে থাকে। হিন্দুদের রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়। শেখ হাসিনার শাসনামলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দুরা ন্যায় বিচার কোনও সময় সেই দেশে পায়নি। তবে প্রতিবেশী এই দেশে সাম্প্রতি ক্ষমতার লড়াই এবং জামাতের মতো উগ্র ইসলামপন্থীদের উত্থান, হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা হিন্দু সম্প্রদায় এখন আতঙ্কিত। যদিও চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর, সিলেট, গোপালগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)। দীর্ঘদিন ধরেই এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করা হবে। এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    কেন এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)

    বুধবার কোবিন্দ কমিটির সেই প্রস্তাব অনুমোদনও করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে এ সংক্রান্ত বিলটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এহেন প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। তার পরেও বিলটি সংসদে পেশ করতে ও পাশ করাতে মরিয়া মোদি সরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি স্পষ্ট। এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর হলে বারবার ভোট করতে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা বন্ধ হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এই কারণে থমকে যায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। উন্নয়নের গতির চাকা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এহ বাহ্য। ঘন ঘন নির্বাচন হলে ঝামেলা পোহাতে হয় ভোট কর্মীদের। তাদের প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয় হয় সময়, অর্থ। কাজকর্ম ফেলে তাঁদের যেতে হয় ভোট করাতে। এক দেশ, এক নির্বাচন হলে, এই তিন সমস্যাই মিটবে। তার পরেও অযথা বিরোধীরা হইচই করছেন বলে অভিযোগ।

    বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে এই ব্যবস্থা

    অথচ, বিশ্বের অনেক দেশেই চালু হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে সুইডেন, বেলজিয়ামের মতো দেশ, তেমন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এই দেশগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন হয় একই সঙ্গে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। এ তো গেল বিদেশের কথা। ভারতেও বেশ কয়েকবার একই সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভার। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়। প্রথমবার নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। তার পর থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিবারই লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে বিধানসভারও। দিব্যিই চলছিল এই ব্যবস্থা। গোল বাঁধে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে গিয়েছিল কয়েকটি বিধানসভা। শুরু হয় অকাল নির্বাচন। তার পর থেকে আর এক সঙ্গে ভোট হয়নি। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে আলাদা আলাদা সময়ে।

    এই ব্যবস্থায়ই বদল আনতে চান মোদি

    এই ব্যবস্থাতেই বদল আনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ নয়, তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও তিনি এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তাতেও এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় মোদি জমানায় সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। সেই দফায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ এ ধারা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করতে কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছে মোদি সরকার। সোমবারই যার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়।

    কোবিন্দ কমিটি

    তবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) কার্যকর করতে মোদি সরকার যে বদ্ধপরিকর, তার আঁচ মিলেছিল গত সেপ্টেম্বরেই। তখনও লোকসভা নির্বাচনের ঢের দেরি। মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরবে কিনা, তাও নিশ্চিত ছিল না। তা সত্ত্বেও, কার্যত দেশের স্বার্থেই এক দেশ, এক নির্বাচন প্রস্তাব কার্যকর করতে কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মোদি সরকার। সেই কমিটি কথা বলে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। আলোচনা করে অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। বিশ্বের যেসব দেশে এক সঙ্গেই সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন হয়, সেসব দেশে কীভাবে এই ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তাও খতিয়ে দেখে কোবিন্দ কমিটি। শেষমেশ দিন কয়েক আগে রিপোর্ট পেশ করে সেই কমিটিই। তার পরেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে চর্চা।

    কীভাবে কার্যকর করা হবে

    কোবিন্দ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’ধাপে কার্যকর করা যেতে পারে এই ব্যবস্থা। প্রথমে একযোগে হবে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন (One Nation One Election)। এর ঠিক ১০০ দিনের মধ্যে করা হবে দেশের সব পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন। অবশ্য, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে সংবিধানের ৮৩ ও ১৭২ নম্বর ধারা। এই দুই ধারায় বলা হয়েছে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কতদিনের হবে।

    কমিটি জানিয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাহত না করে নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করার জন্য টেকসই আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন। মেয়াদ ফুরনোর আগে কোনও সরকারের বিলুপ্তি ঘটাতে হলে সেই জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অথবা সুসঙ্গত নির্বাচন চক্রে সামিল করতে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদের সরকার গঠন করা যেতে পারে।

    বাড়বে ভোটার

    কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সুখ্যাতি গাওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, একযোগে নির্বাচন হলে নির্বাচনী খরচ এক ধাক্কায় কমে যাবে অনেকটা। প্রশাসনিক বোঝাও হালকা হবে। বাড়বে ভোটারের সংখ্যাও। কমিটির বক্তব্য, বারবার নির্বাচন হলে অনেক সময়ই ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোটাররা। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের সমস্যাটা আরও বেশি। কাজের ক্ষতি করে মোটা টাকা গচ্চা দিয়ে বারবার ভোট দিতে ‘গাঁয়ে’ ফেরা তাঁদের পক্ষেও বোঝা স্বরূপ। এক সঙ্গে নির্বাচন হলে, এক ঢিলে তাঁরা মারতে পারবেন দুই পাখি। এক খরচে এবং এক ছুটিতেই লোকসভা ও বিধানসভার ভোট দিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন কর্মস্থলে।

    ২০২৯ সালেই এক দেশ, এক নির্বাচন

    দেশে ফের লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সে ক্ষেত্রে কী হবে সেই সব রাজ্যের, যেগুলিতে আগামী বছরই নির্বাচন রয়েছে? এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করা হয়েছে। এবং কীভাবে এর সমাধান করা হবে, তাও বাতলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৫ সালে, সেই সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ হবে চার বছরের। আবার কর্নাটকের মতো রাজ্য যেখানে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৮ সালে, সেখানে বিধানসভার মেয়াদ হবে মাত্রই কয়েক মাসের।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    যদি কখনও কোনও কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। সেক্ষেত্রে পরবর্তী মেয়াদকে এমনভাবে সীমাবদ্ধ করতে হবে যাতে তাকে মিলিয়ে (PM Modi) দেওয়া যায় পরবর্তী এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purulia: শাল, পলাশ, মহুয়ার ইতস্তত অরণ্য, মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জয়চণ্ডী পাহাড়!

    Purulia: শাল, পলাশ, মহুয়ার ইতস্তত অরণ্য, মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জয়চণ্ডী পাহাড়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জয়চণ্ডী পাহাড় (Purulia)। প্রকৃতপক্ষে এই জয়চণ্ডী পাহাড় হল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি পাহাড়ের সমষ্টি। এইসব পাহাড়গুলির নামও আলাদা আলাদা। যেমন, একটি পাহাড়ের নাম ‘ঘড়ি’, একটির নাম ‘রাম-সীতা’, আবার অন্য একটি পাহাড়ের নাম ‘যোগীঢাল’ প্রভৃতি।

    অত্যন্ত জাগ্রত দেবী জয়চণ্ডী (Purulia)

    পুরুলিয়া জেলার সদর শহর রঘুনাথপুর থেকে তিন-সাড়ে তিন কিমি দূরে পুরুলিয়া-বরাকর রোডের ওপর অবস্থিত এই পাহাড় শ্রেণির মধ্যে মধ্যমণি হল এই জয়চণ্ডী পাহাড়। প্রায় ৫০৯ ফুট উঁচু এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মা জয়চণ্ডী দেবীর মন্দির। বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠে যেতে হয় মন্দিরে। এখানকার স্থানীয় মানুষ এই দেবী জয়চণ্ডীকে অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করেন। পাহাড়ের (Joychandi Pahar) আশেপাশে শাল, পলাশ, মহুয়া গাছের ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অরণ্য। নৈসর্গিক সৌন্দর্য, এক কথায় বলা যায়, অসাধারণ। উল্লেখ্য, এই জয়চণ্ডী পাহাড়েই হয়েছিল বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত জনপ্রিয় ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’-র শুটিং।

    ঘুরে নিতে পারেন বড়ন্তি

    জয়চণ্ডী থেকে মাত্র ২১ কিমি দূরে পুরুলিয়ার আর এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বড়ন্তি (Purulia)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে এক সঙ্গেই ঘুরে নেওয়া যায় বড়ন্তিও। সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেচা, দুই-ই হবে। মন্দির দর্শনের পুণ্য যেমন হবে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেও থাকা হবে। এখানকার লাল মাটির রাস্তা, আদিবাসী গ্রাম, সবই মন কেড়ে নেওয়ার মতো।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতা থেকে জয়চণ্ডী যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে আসানসোল। হাওড়া স্টেশন থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে আসানসোল। ধর্মতলা থেকে বাসেও আসা যায় আসানসোল। এখান থেকে আদ্রা শাখার ট্রেনে মিনিট পনেরোর পথ জয়চণ্ডী স্টেশন (Purulia)। স্টেশন থেকে সামান্য পথ রিকশায় গেলেই জয়চণ্ডী পাহাড়। তবে মন্দির পর্যন্ত যেতে হলে শেষ ১ কিমি পথ পাহাড় ভেঙে উঠতে হবে।থাকা-খাওয়া-এখানে রয়েছে জয়চণ্ডী যুব আবাস (ফোন-৬২৯২২৪৮৮৭১)। এছাড়াও আছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল বা লজ। তবে এখানে হোটেলের অপ্রতুলতা আছে। সেক্ষেত্রে বড়ন্তি থেকেও ঘুরে নেওয়া যায় জয়চণ্ডী। বড়ন্তিতে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি হোটেল রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। উৎসবের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এমনিতেই রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। ফলে, নতুন করে নিম্নচাপ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর তা ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather Update) অফিস। এর জেরে ২৩ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে। এই আবহে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি গাঙ্গেয় বঙ্গে। তবে, সেটি কতটা শক্তিশালী হবে, বা তার অভিমুখ কোন দিকে থাকবে, তা এখনই স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েকদিনে এই বিষয়ে সবিস্তারে জানানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। এদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গে সামান্য বৃষ্টি হবে। ওই দু’দিনই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ওই দু’দিন কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    উত্তরবঙ্গে কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    এছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হবে না শুক্রবার এবং শনিবার। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। ওই তিনটি জেলার আবহাওয়া (Weather Update) শুষ্ক থাকবে। প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে যে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে, তা বন্ধ হয়েছে। আগের তুলনায় পরিমাণ অনেকটা কমলেও বৃহস্পতিবার রাতেও পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকলে আর জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমলে বন্যা পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু আগামী সপ্তাহের গোড়ায় নতুন নিম্নচাপ তৈরি হলে তার জেরে হওয়া বৃষ্টিতে ফের রাজ্যের একাংশ প্লাবিত হবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 139: “বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে, গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন”

    Ramakrishna 139: “বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে, গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ভক্তির অবতার কেন? রামের ইচ্ছা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আর তোমাকেই বা কেন জিজ্ঞাসা করি। এর ভিতরে কে একটা আছে। সেই আমাকে নিয়ে এইরূপ কচ্ছে। মাঝে মাঝে দেবভাব প্রায় হত,—আমি পুজো না করলে শান্ত হতুম না।

    আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। তিনি যেমন করান, তেমনি করি। যেমন বলান (Kathamrita), তেমনি বলি।

    প্রসাদ বলে ভবসাগরে, বসে আছি ভাসিয়ে ভেলা।
    জোয়ার এলে উজিয়ে যাব, ভাটিয়ে যাব ভাটার বেলা ॥

    ঝড়ের এঁটো পাতা কখনও উড়ে ভাল জায়গায় গিয়ে পড়ল, কখন বা ঝড়ে নর্দমায় গিয়ে পড়ল—ঝড় যেদিকে লয়ে যায়।

    তাঁতী বললে, রামের ইচ্ছায় ডাকাতি হল, রামের ইচ্ছায় আমাকে পুলিসে ধরলে—আবার রামের ইচ্ছায় ছেড়ে দিলে।

    হনুমান বলেছিল, হে রাম, শরণাগত, শরণাগত;—এই আশীর্বাদ কর যেন তোমার পাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি হয়। আর যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় (Ramakrishna) মুগ্ধ না হই।

    কোলা ব্যাঙ মুমূর্ষ অবস্থায় বললে, রাম, যখন সাপে ধরে তখন ‘রাম রক্ষা কর’ বলে চিৎকার করি। কিন্তু এখন রামের ধনুক বিঁধে মরে যাচ্ছি, তাই চুপ করে আছি।

    আগে প্রত্যক্ষ দর্শন হতো—এই চক্ষু দিয়ে—যেমন তোমায় দেখছি। এখন ভাবাস্থায় দর্শন হয়।

    ঈশ্বরলাভ হলে বালকের স্বভাব হয়। যে যাকে চিন্তা করে তার সত্তা পায়। ঈশ্বরের (Ramakrishna) স্বভাব বালকের ন্যায়। বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন। বালক যেমন কোনও গুণের বশ নয়—তিনিও তেমনি সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ তিন গুণের অতীত।

    তাই পরমহংসেরা দশ-পাঁচজন বালক সঙ্গে রাখে, স্বভাব আরোপের জন্য।

    আগরপাড়া হইতে একটি বিশ-বাইশ বছরের ছোকরা আসিয়াছেন। ছেলেটি যখন আসেন ঠাকুরকে ইশারা করিয়া নির্জনে লইয়া যান ও চুপি চুপি মনের কথা কন। তিনি নূতন যাতায়াত করিতেছেন। আজ ছেলেটি কাছে আসিয়া মেঝেতে বসিয়াছেন।

    প্রকৃতিভাব ও কামজয়—সরলতা ও ঈশ্বরলাভ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ছেলেটির প্রতি)—আরোপ করলে ভাব বদলে যায়। প্রকৃতিভাব আরোপ করলে ক্রমে কামাদি রিপু নষ্ট হয়ে যায়। ঠিক মেয়েদের মতন ব্যবহার হয়ে দাঁড়ায়। যাত্রাতে যারা মেয়ে সাজে তাদের নাইবার সময় দেখেছি—মেয়েদের মতো দাঁত মাজে, কথা কয়।

    তুমি একদিন শনি-মঙ্গলবারে এস।

    (প্রাণকৃষ্ণের প্রতি)—ব্রহ্ম ও শক্তি অভেদ। শক্তি না মানলে জগৎ মিথ্যা হয়ে যায়, আমি-তুমি, ঘরবাড়ি, পরিবার—সব মিথ্যা। ওই আদ্যাশক্তি আছেন বলে জগৎ দাঁড়িয়ে আছে। কাঠামোর খুঁটি না থাকলে কাঠামোই হয় না—সুন্দর দুর্গা ঠাকুর-প্রতিমা হয় না।

    বিষয়বুদ্ধি ত্যাগ না করলে চৈতন্যই হয় না—ভগবানলাভ হয় না—বিষয়বুদ্ধি থাকলেই কপটতা হয়। সরল না হলে তাঁকে পাওয়া যায় না—

    এইসি ভক্তি কর ঘট ভিতর ছোড় কপট চতুরাই।
    সেবা বন্দি আউর অধীনতা সহজে মিলি রঘুরাই ॥

    যারা বিষয়কর্ম করে—অফিসের কাজ কি ব্যবসা—তাদেরও সত্যেতে থাকা উচিত। সত্যকথা কলির তপস্যা।

    প্রাণকৃষ্ণ—অস্মিন্‌ ধর্মে মহেশি স্যাৎ সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ।
    পরোপকারনিরতো নির্বিকারঃ সদাশয়ঃ ॥

    মহানির্বাণতন্ত্রে এরূপ আছে (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ওইগুলি ধারণা করতে হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ভাব-ভক্তির দ্বারা তাঁর সেই অতুলনীয় রূপ দর্শন করা যায়, মা নানারূপে দর্শন দেন”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড! শুক্রবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির ভিডিও পর্যন্ত। এনিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ অনেকেই।

    ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন 

    কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এটা ছোটখোটো ঘটনা নয়, হতে পারে পরিকল্পিত। কারণ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) আবহেই এমন ঘটনা ঘটল। শুধু তাই নয়, আরজি করের শুনানির (Supreme Court) ভিডিও পর্যন্ত উধাও হয়ে গেল।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শেষ শুনানির দিন লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে রাজ্য আগেই আপত্তি জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীকে সেই সময় বলেন, ‘‘আমরা শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটি জনস্বার্থ মামলা। ‘ওপেন কোর্ট’-এ শুনানি হচ্ছে। আপনাদের বিষয়টি আমরা দেখব।’’ এই আবহে ভিডিও গায়েব হয়ে গেল আরজি করে শুনানির।

    খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত (Supreme Court)

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) বিচার প্রক্রিয়া যেখানে লাইভ স্ট্রিমিং হয়, সেই চ্যানেলই হ্যাক হওয়ায়, তা নিরাপত্তায় বড়সড় ত্রুটি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বদলে উল্টো-পাল্টা নানা ভিডিও সেখানে দেখা যাচ্ছে। কখনও ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কেউ আবার সার্চ করেও সুপ্রিম কোর্টের চ্যানেলটিই খুঁজে পাচ্ছেন না। শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক আপাপতত নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির যে ভিডিও রেকর্ডিং ছিল, তা হ্যাকাররা প্রাইভেট করে দিয়েছে। ওই সংক্রান্ত ভিডিও সার্চ করলেই, তার বদলে আসছে ‘Brad Garlinghouse: Ripple Responds To The SEC’s $2 Billion Fine! XRP PRICE PREDICTION’ নামক ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও। এখানেই বাড়ছে সন্দেহ…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নাশকতার বড় ছক ফাঁস, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার ২৮ কেজি আইইডি

    Manipur: মণিপুরে নাশকতার বড় ছক ফাঁস, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার ২৮ কেজি আইইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী এবং পুলিশের (Army Police) যৌথ অভিযানে ২৮.৫ কেজি ওজনের সাতটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সংক্ষেপে আইইডি (IED) উদ্ধার হল। এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে সেনা। বাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আইইডিগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গত তিন মাসে মণিপুরে (Manipur) এটি ছিল দ্বিতীয় বড় আইইডি উদ্ধারের ঘটনা। 

    ইম্ফল পূর্ব জেলা থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক (Manipur)

    সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরকগুলিকে, স্নিফার ডগের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে ইম্ফল পূর্ব জেলার বোংজাং এবং ইথাম গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে ফাঁস সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাকে প্রতিরোধ করে মূল্যবান জীবন এবং সম্পত্তির রক্ষা করা গিয়েছে।’’ এর আগে, গত ২০ জুলাই ইম্ফল পূর্ব জেলার সাইচাং এর পাহাড়ি এলাকায় ৩৩ কেজি আইইডি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছিল সেনা। বাহিনী জানিয়েছে,  ‘‘মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সেনার সমন্বয়ের ফলে এই সাফল্য এসেছে। এই যৌথ অভিযানটি এলাকার নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করেছে এবং একই ভাবে দেশবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুনঃ আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    অনুপ্রবেশের অভিযোগে সতর্ক পুলিশ

    আবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়ে থৌবাল জেলার সিনিয়র অফিসারদের কাছে বিশেষ প্রশাসনিক বার্তা এসেছে। তাতে যে কোনও ধরনের হামলা এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মণিপুরে (Manipur) কুকি উপজাতি এবং মেইতিদের মধ্যে ২০২৩ সালের মে থেকে জমির অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ একাধিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। মণিপুরের হিংসায় ইতিমধ্যে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এছাড়া, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বহিরাগত শক্তি অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু প্রশাসন নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা বিষয়ে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ সংঘাতের পর থেকেই সমুদ্র সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Indian Navy)। চিনকে আরও কড়া বার্তা দিতে সমুদ্রেও রণসজ্জা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। চিন এবং পাশাপাশি পাকিস্তান, এই দুই বিরোধী শক্তিকে রুখতে সবরকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা চলছে দফায় দফায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর চষে ফেলছে দুটি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন। এগুলি আমেরিকার থেকে লিজ নিয়েছিল ভারত। কিন্তু গত বুধবার তার মধ্যে একটি ড্রোন হঠাতই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এবং বিকল হয়ে যায়। একটা ড্রোন দিয়ে যেহেতু নজরদারি চালানো সম্ভব নয় তাই শীঘ্রই ওই বিকল ড্রোন প্রতিস্থাপন করতে চলেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস (General Atomics)। ভারত-মার্কিন (Indian Navy) লিজ চুক্তি অনুযায়ী জেনারেল অ্যাটমিকস ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে।

    দ্রুত কেন প্রয়োজন এই ড্রোন

    পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আমেরিকার কাছ থেকে দু’টি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন লিজ নিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা কার্যকলাপের উপর নজর রাখতেই ড্রোনগুলি ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ভারত মহাসাগরে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে সমুদ্রেও চোরাগোপ্তা পথে হামলা চালানোর ছক কষছে তারা। তাই সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। চেন্নাইয়ের ৮০ কিলোমিটার পূর্বে আরাক্কোনাম এয়ারবেস থেকে নামানো হয়েছে দুটি সি-গার্ডিয়ান ড্রোন। সি গার্ডিয়ান হল হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুর‍্যান্স – রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্র্যাফট (HALE-RPA), যা সমুদ্রের উপরে ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা অবধি উড়তে পারে। টানা ৩৩ ঘণ্টা আকাশে ঘুরে নজরদারি চালাতে পারে। রিমোর্ট কন্ট্রোলে চালনা করা যায় এই ড্রোন। নৌসেনা (Indian Navy) জানাচ্ছে, শীত নেমেছে লাদাখে। তাপমাত্রা পৌঁছেছে হিমাঙ্কের নিচে। তুষারপাত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে চিন। বিশেষত সমুদ্র উপকূলীয় দ্বীপগুলিতে নজরদারি চালাতে তাই এই ড্রোন প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    ড্রোন প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা

    ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) সূত্রে খবর, বুধবার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়ার পরে চেন্নাইয়ের কাছে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ড্রোনটি (MQ-9B Sea Guardian)। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের কাছে আরাককোনামের নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালি থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। চেন্নাইয়ের উপকূলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানায়। তারপরই দ্রুত ড্রোনটি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির জেরে পুজোর আগে রাজ্যে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে সকলেই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বন্যাকে পরিচিত ধাঁচে ‘ম্যান মেড’ বলে কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে পত্রপাঠ খারিজ করল কেন্দ্র। শুক্রবার জল শক্তি মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হল, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা? (Flood Situation)

    বৃহস্পতিবারই হাওড়ার (Flood Situation) উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিভিসির সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখব কি না, তা ভেবে দেখব।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ কেন্দ্র। এমনকী, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘ম্যান মেড বন্যা’র কথা শোনা গিয়েছিল। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, মাইথন, পাঞ্চেত বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের যেমন জল ছাড়ার জন্য দোষারোপ করেন, একই সঙ্গে কেন্দ্রকেও দুষেছিলেন তাদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ডিভিসির জলে ভেসে যাচ্ছে বাংলা। আমি জানি না কেন্দ্র কেন ডিভিসির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছে না। কেন্দ্রের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য বাংলাকে কেন ভুগতে হবে? এটা পশ্চিমবঙ্গের জল নয়। এটা ঝাড়খণ্ডের জল যা পাঞ্চেত বাঁধ থেকে আসছে।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    মমতার তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির জবাবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে তরফে জানানো হয়েছে যে, ডিভিসি (Flood Situation) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই জল ছেড়েছে। পাঞ্চেত ও মাইথন বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে ডিভিসির যে কমিটি, তাতে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তাদের জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। এমনকী, আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবগত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকারের অধীন তেনুঘাট বাঁধ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতে সমস্যা বেড়েছে। এই বাঁধটি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির আওতার বাইরে। বারবার বলা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড সরকার এ’টি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির অধীনে আনেনি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিভিসি-র বাঁধে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল জমলেও মাত্র আড়াই লক্ষ কিউসেকের মতো জল ছাড়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় জলাধারে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১৬৩ কিউসেক জল জমলেও মাত্র ৯০,৬৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। ফলে ৭৮.৫ শতাংশ জলই ধরে রাখা হয়েছিল। ডিভিসি নিজে দায়িত্ব নিয়ে পাঞ্চেত জলাধারে মাত্রাতিরিক্ত জল ধরে রেখেছিল। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলেও ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ৮০ হাজার কিউসেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share