Tag: bangla news

bangla news

  • Parliament’s Winter Session: নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই লোকসভায় বসছে শীতকালীন অধিবেশন 

    Parliament’s Winter Session: নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই লোকসভায় বসছে শীতকালীন অধিবেশন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament’s Winter Session) বসতে চলেছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে জানান, আগামী ২৫ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। আর অধিবেশন চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্র ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক দেশ এক ভোট নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

    কবে থেকে অধিবেশন

    এদিন এক্স হ্যান্ডলে রিজিজু লেখেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ মেনে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।” ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। সংবিধান দিবসের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি সেন্ট্রাল হলে পালন করা হবে বলে জানান কিরেণ রিজিজু। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২২ জুলাই থেকে। শেষ হয় ৯ আগস্ট। বাদল অধিবেশনেই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছিল বিজেপি সরকার। শীতকালীন অধিবেশনে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। চারটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর অধিবেশন বসবে সংসদে। এক দশক পর হওয়া কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথম লোকসভার অধিবেশন নিয়ে সকলের আগ্রহ।

    একাধিক বিল পাশের চেষ্টা

    শীতকালীন অধিবেশনে (Parliament’s Winter Session) একাধিক বিল পাশের চেষ্টা করবে কেন্দ্র। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়াকফ সংশোধনী বিল। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিলটি পাশের জন্য কেন্দ্র সর্বতোভাবে চেষ্টা করতে পারে। ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি এই মুহূর্তে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য রয়েছে। যৌথ সংসদীয় কমিটি নিয়মিত এই বিল নিয়ে বৈঠক করছে। এই বিলের সঙ্গে সম্পর্কিত সবার সঙ্গে কথা বলছে। শীতকালীন অধিবেশনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিলও সংসদে পেশ করতে পারে কেন্দ্র। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীও এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেন। এক দেশ এক নির্বাচনের লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করে চলেছে বলে মন্তব্য করেন মোদি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wikipedia: পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য পরিবেশন অনলাইন বিশ্বকোষের! উইকিপিডিয়াকে নোটিশ দিল কেন্দ্র

    Wikipedia: পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য পরিবেশন অনলাইন বিশ্বকোষের! উইকিপিডিয়াকে নোটিশ দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উইকিপিডিয়া-র (Wikipedia) পাতায় পক্ষপাতদুষ্ট এবং অসত্য তথ্য যুক্ত করা হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই এবার অনলাইন বিশ্বকোষ সংস্থা ‘উইকিপিডিয়া’কে নোটিশ পাঠাল কেন্দ্র (Central Government)। সম্প্রতি উইকিপিডিয়ার পাতায় পক্ষপাতদুষ্ট এবং অসত্য তথ্য যুক্ত করা হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কেন্দ্রের নোটিশে কী বলা হয়েছে? (Wikipedia)

    উইকিপিডিয়াকে (Wikipedia) দেওয়া কেন্দ্রের নোটিশে বলা হয়েছে, সংস্থার একটি নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী রয়েছে। সেখানে কী তথ্য যুক্ত হচ্ছে, তা দেখার জন্যও লোক আছেন। তা হলে ওই অনলাইন বিশ্বকোষ সংস্থাকে প্রকাশক হিসেবে না দেখে কেন মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হবে? তা জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে অনলাইন বিশ্বকোষ সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    এএনআইয়ের কী অভিযোগ?

    উইকিপিডিয়ার (Wikipedia) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। আদালতে এএনআইয়ের অভিযোগ, উইকিপিডিয়ায় তাদের সম্পর্কে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থার বিষয়ে কারা ওই তথ্য যোগ করেছেন, তা অনলাইন বিশ্বকোষ সংস্থার থেকে জানতে চেয়েছিল এএনআই। গত শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে আবারও আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল উইকিপিডিয়া। উইকিপিডিয়া দাবি করে তারা বিনা খরচের বিশ্বকোষ। তারা কোনও তথ্যের প্রকাশক নয়, কেবল মাধ্যম। অনলাইন বিশ্বকোষ সংস্থার সেই দাবির প্রসঙ্গ টেনেই হাই কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, “যদি আপনারা শুধু মাধ্যমই হন, তা হলে এত ভাবছেন কেন?” প্রসঙ্গত, উইকিপিডিয়া নিজেদের বিশ্বকোষ বলে দাবি করে। পাশাপাশি এটাও সতর্ক করে যে সেখানে প্রকাশিত তথ্যের দায় তাদের নয়। এই বিষয়টিও বেশ সমস্যার বলে মনে করছে হাইকোর্ট।

    দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    দিল্লি হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে উইকিপিডিয়াকে। উল্লেখ্য, তাদের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা রুজু করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। সেই মামলার শুনানি চলছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেই সময়েই আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, যে কেউ চাইলেই উইকিপিডিয়ার তথ্যাবলী এডিট বা সম্পাদনা করতে পারেন। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। শুনানি চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যে কেউ চাইলেই উইকিডিয়ার পেজে তথ্য সম্পাদনা করতে পারেন? যদি, যে কেউ ইচ্ছা মতো এভাবে তথ্যাবলী বদল করে পারেন, তাহলে সে ঠিক কেমন ধরনের পেজ?’ উল্লেখ্য, এর আগেও এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হতে হয়েছিল উইকিপিডিয়াকে। আদালত সেই তিন ব্যক্তির পরিচয় জানতে চেয়েছিল, যাঁরা এএনআই সম্পর্কে তথ্য সম্পাদনা করেছিলেন। কিন্তু, উইকিপিডিয়া সেই তথ্য এখনও পর্যন্ত সামনে আনেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার (Attack On Hindu Temple) ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন (S Jaishankar) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “সোমবারের ঘটনাটি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কানাডায় চরমপন্থী শক্তির জন্য রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।”

    ভারতের উদ্বেগ (S Jaishankar)

    অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের সরকারি মুখপাত্রের বিবৃতি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গতকালের উদ্বেগের প্রকাশ নিশ্চয়ই দেখেছেন। এতে বোঝা উচিত যে আমরা এই বিষয়ে কতটা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    জয়শঙ্করের বক্তৃতায় উঠে এসেছে ভারত এবং কানাডার মধ্যে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলার নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের প্রসঙ্গও। জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডা নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছে। তাই ভারতের কাছে এই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “আমায় আপনারা তিনটি মন্তব্য করার সুযোগ দিন। এক, কানাডা প্রায়ই কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে থাকে। দ্বিতীয়ত, যখন আমরা কানাডার দিকে তাকাই, তখন আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য যে তারা আমাদের কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তৃতীয়ত, মন্দিরে আক্রমণের ঘটনাগুলি এবং তাদের ভিডিওগুলি দেখুন। আজকের দিনে, কানাডায় রাজনৈতিক পরিসরে যে পরিমাণ জায়গা চরমপন্থী শক্তিরা পাচ্ছে, তা ভিডিওগুলি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “ভারত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়। ভারত এই বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনাও করেছে।”

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে (Attack On Hindu Temple) চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Olympics 2036: লক্ষ্য ২০৩৬, অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্য লিখিত আবেদন জানাল ভারত

    Olympics 2036: লক্ষ্য ২০৩৬, অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্য লিখিত আবেদন জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মাটিতে অলিম্পিক্স আয়োজনের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল ভারত। ২০৩৬ সালে অলিম্পিক্স আয়োজনের আবেদন জানাল ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্তা (আইওএ) (Indian Olympic Association)। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) (International Olympic Committee) কাছে এ প্রসঙ্গে ১ অক্টোবর লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স দেশে আয়োজনের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এরপর থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। সেই প্রস্তুতি হিসেবে এবার আবেদন করা হল।

    দৌড়ে আর কারা?

    বিড প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য আইওএ একটি চিঠি লিখেছে আইওসিকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইওসি। ভারত আবেদন করলেই অলিম্পিক্স আয়োজনের অনুমতি পাবে এমন নয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির প্রধান থমাস বাক জানান, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন করতে চেয়ে অনেকগুলি শহর আবেদন করেছে। ভারত ছাড়াও ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন করার দৌড়ে রয়েছে সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই বলেছিলেন, “২০৩৬ সালে ভারতের মাটিতে অলিম্পিক্স আয়োজন করার চেষ্টায় আমরা কোনও খামতি রাখব না। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের এটা বহু দিনের স্বপ্ন।”

    ২০২৮ সালের অলিম্পিক্স হবে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে (Los Angeles)। ২০৩২ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে (Brisbane)। প্রসঙ্গত, ২০৩৬-এর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে ভারতের সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০৩০ সালে যুব অলিম্পিক হতে চলেছে। যা আয়োজন করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। মুম্বই শহরকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে আইওএ। অতীতে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছে ভারত। এবার লক্ষ্য অলিম্পিক্স।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী সেই রাজ্যের নারীরা কি সুরক্ষিত? তৃণমূলের শাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। দোষীরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। নির্যাতিতারা ন্যায় বিচার পায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র চেক দিয়েই ধামাচাপা দিতে চান। একাধিক অভিযোগের বাণে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছে বিজেপি। একদিনের দলীয় কর্মশালায় বক্তব্য রেখে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার (Bulldozer) দাঁড়িয়ে থাকবে।”

    মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন (Sukanta Majumder)?

    পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যান বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের কর্মশালায় মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” সুকান্তর মুখে বাংলার বুলডোজার (Bulldozer) নীতিতে যেন উত্তর প্রদেশের যোগীরাজের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    কেন্দ্রের অন্নপূর্ণা প্রকল্প

    এদিন এই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বিজেপির মহিলা কর্মীদের জন্য অন্নপূর্ণা প্রকল্পের কথা বলেন। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের তিন হাজার করে টাকা দেবে বলে জানানো হয়। তাঁরা কীভাবে ফর্ম ফিলাপ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই ভাবে রাজ্যের নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ দিয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত হচ্ছেন সেই কথাও তুলে ধরেন। তবে নারী নির্যাতন রুখতে যোগী বাবার বুলডোজার (Bulldozer) অন্যতম প্রধান অস্ত্র সেই দিকটার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কয়েকমাস ধরে অব্যাহত নারী নির্যাতন

    উল্লেখ্য রাজ্যে গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। প্রতিবাদে রাজ্য, দেশ তথা বিদেশেও আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয় গত কয়েক মাসে জয়নগর, কৃষ্ণনগর, মালদা, চাঁচল, ভূপতিনগর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, সন্দেশখালি সহ একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিশেষ বিল পাশ করলেও এখনও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই বিজেপি এবার বুলডোজারের (Bulldozer) কথা তুলতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 06 November 2024: কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 November 2024: কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) কোনও মহিলার জন্য বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ২) চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথাগরম করবেন না।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কানাডা সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলির সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রবীণ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)।  কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Attack On Hindu Temple) নিন্দা করেন ইন্দ্রেশ। ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘অমানবিক’ আখ্যা দেন তিনি।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ? (Indresh Kumar)

    এর পরেই ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানের সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরএসএসের এই নেতা বলেন, “বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় এই ঘটনার নিন্দা করবে।” ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার মন্দিরে আক্রমণটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অমানবিক। আমি নিশ্চিত যে কেবলমাত্র ভারতের শিখ সম্প্রদায়ই নয়, বরং গোটা বিশ্ব এই ঘটনার নিন্দা করবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করবে। তিনি বলেন, ধর্মের সুরক্ষার জন্যই খালসার সৃষ্টি হয়েছিল, ধর্মের ক্ষতি করার জন্য নয়।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে মার পুণ্যার্থীদের

    রবিবার কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। মন্দিরে যাওয়া পুণ্যার্থীদেরও রেয়াত করেনি তারা। ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একদল মানুষ। এদের (Indresh Kumar) মধ্যে কানাডার এক পুলিশকর্মীও ছিলেন। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় ওই পুলিশ কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, কানাডার ওই মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ঘটনার (Attack On Hindu Temple) কড়া সমালোচনা করা হয়েছে (Indresh Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    RG Kar: ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে কীভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হত? আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। গত শুনানিতেই রাজ্যের কাছে এনিয়ে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই শুনানিতে রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এগুলি হল- সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়?  তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কীভাবে যাচাই করা হত? ইত্যাদি। এনিয়ে এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ধৃতকে নিয়োগ করেছিলেন খোদ পুলিশ সুপারই। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি। কমিশনারেট এলাকায় সেই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। জেলাস্তরে কমিটির চেয়ারম্যান হন পুলিশ সুপার। এছাড়া রাজ‍্য স্তরে ডিজি, আইজিপি’কে শীর্ষে রেখে রয়েছে অ‍্যাপেক্স কমিটি।

    উঠছে প্রশ্ন (RG Kar) 

    রাজ্যের জমা দেওয়া এই হলফনামা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিয়োগের এত কমিটি, এত ধাপ থাকা সত্ত্বেও ধৃতদের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে নিয়োগ পেল? কারণ নিয়ম বলছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় থানারই বাসিন্দা হতেই হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জনিত কোনও কাজে সিভিকদের ব‍্যবহার করা হয় না। আরও নিয়ম হল, রাজ‍্যের কোনও থানায় সিভিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ ছিল। সেকথা তার পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন। তারপরও কীভাবে নিয়োগ করা হল এমন একজন অপরাধীকে? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সুপ্রিম শুনানি (RG Kar) হল না আজ মঙ্গলবার

    অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আজ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হল না। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতির। আর সেই কারণেই শুনানি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার। তবে, রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে সিভিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে হলফনামা (RG Kar)  জমা করেছে মঙ্গলবার। সেখানেই এই কথা উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Meherbai Tata: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    Meherbai Tata: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে টাটা (India’s First Female Tennis Olympian) পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। আজকের প্রজন্ম রতন টাটার দানশীলতার জন্য তাঁকে চেনেন। তাঁর অকাল প্রয়াণের পরে তাঁর সৎভাই নোয়েল টাটাকেও মানুষ চিনেছে। তবে এঁদের আগে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা টাটা পরিবারের রত্ন। একবার, ব্যবসার উদ্দেশে বেঙ্গালুরু গিয়ে বিজ্ঞানী হোমি ভাবার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল টাটা কোম্পানির (Tata Steel) প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার। ভাবা তখন বেঙ্গালুরুর একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ভাবার নিমন্ত্রণে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর মেয়ে মেহরবাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় জামশেদজির। প্রথম দেখাতেই মেহরবাইকে ভালো লেগে গিয়েছিল। এর কিছু দিন পরই ছেলে দোরাবজিকে বেঙ্গালুরুতে ভাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মেহরবাইয়ের সঙ্গে আলাপ করার জন্য। মেহরবাইকেই পরিবারের বড় বউ করে ঘরে তুলেছিলেন জমশেদজি। তিনি নিজের সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। ১৯২৪ সালে তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের টেনিস খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাও আবার পরিবারের সম্মান বজায় রাখতে শাড়ি পরেই টেনিস কোর্টে নেমেছিলেন তিনি। পারসি শৈলিতে শাড়ি পরিধান করে তিনি খেলতে নেমেছিলেন। এটাকে ‘গারা’ বলা হয়ে থাকে।

    মেহেরবাই টাটার পরিচয়

    ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মেহেরবাই মাত্র ১৮ বছর বয়সে জামশেদজি টাটার বড় ছেলে স্যার দোরাবজির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সময়ে, যখন নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল, লেডি মেহেরবাই নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, তাদের ভোটাধিকার এবং পুরনো পর্দা প্রথা বিলোপের জন্য কাজ করেছিলেন। জমশেদজির মনের মতো করে, নিজের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি দিয়ে পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন মেহরবাই। পরিবারের প্রতি এবং স্বামীর প্রতি এতটাই দায়বদ্ধ ছিলেন যে নিজের পছন্দের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটিও পরিবারের স্বার্থে বেচে দিয়েছিলেন মেহেরবাই। অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মানসিকতার মানুষ ছিলেন তিনি। এই মানসিকতা অবশ্য বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন বলে বহু বার জানিয়েছিলেন তিনি। মহিলাদের উপর কোনও নির্যাতন মেনে নিতে পারতেন না মেহরবাই। পর্দা প্রথা রোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো— সবেতেই তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেশের বাইরেও এই সমস্ত বিষয়ে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ভারতীয় রেড ক্রস সোসাইটির সদস্যও ছিলেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯২৯ সালের শিশু বিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর হয়। 

    সংস্থাকে দেউলিয়া থেকে বাঁচান

    সালটা ১৯২০। টাটাদের ব্যবসা সে সময় ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। একাধিক ব্যবসায় হাত লাগাতে শুরু করেছিল গোষ্ঠী। কিন্তু ১৯২৪ সাল নাগাদ ব্যবসায় বড় মাপের ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে। ধার শোধ করে ব্যবসা বাঁচানোর উপায় বাতলে দিয়েছিলেন মেহরবাই। স্বামীর কাছ থেকে উপহার পাওয়া জুবিলি হিরের আংটি বেচে ধার শোধ করেছিলেন তিনি। সেইসময় হিরের ওজন ২৪৫.৩৫ ক্যারেট ছিল। আয়তনে কোহিনূর হিরের প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম হিরে ছিল সেটি। 

    অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব

    মেহরবাই শুধু ভালো মানুষ ছিলেন না, তিনি ভালো খেলোয়াড়ও (India’s First Female Tennis Olympian) ছিলেন। টেনিস খেলতে খুব ভালোবাসতেন। স্বামীর সঙ্গে উইম্বলডন দেখতে যেতেন। ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে টেনিসে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই টুর্নামেন্টের মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন লেডি মেহরবাই টাটা। তাঁর পার্টনারের নাম ছিল মহম্মদ সেলিম। যদি অলিম্পিক্স টুর্নামন্টে এই জুটি কোনও পদক জিততে পারেনি। তবে আন্তর্জাতিক টেনিসে একাধিক পদক জয় করেছেন লেডি মেহরবাই টাটা। প্রায় ৬০টি টুর্নামেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতে মহিলাদের খেলাধুলোর প্রসারে লেডি মেহরবাই টাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি এক জন দক্ষ ঘোড়সওয়ারও ছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি বিমানে উঠেছিলেন। ১৯১২ সালে জেপলিন এয়ারশিপে উঠেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কমলার থেকে কম ভোট পেয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন ট্রাম্প! জানেন কীভাবে?

    আজও অনুপ্রেরণা

    ১৯৩১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মেহরবাইয়ের। স্ত্রীর কষ্ট খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন স্বামী দোরাবজি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাই লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গড়ে তোলেন তিনি। রক্তের বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা করাই ছিল এর কাজ। লেডি মেহরবাই এখনও ভারতীয় মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Whatsapp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল নতুন ফিচার ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’, কী কী সুবিধা মিলবে?

    Whatsapp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল নতুন ফিচার ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’, কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্যনতুন ফিচার প্রায়ই নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp News Feature)। এবার গ্রাহকদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’। এর সুবিধে খানিকটা ব্রডকাস্ট মেসেজ লিস্টের মতোই। তবে আরও একটু বেশি উন্নত। গ্রুপ চ্যাটে বাড়তি সুবিধা দেবে এই নতুন ফিচার। পছন্দমতো হোয়াটসঅ্যাপের কোনও গ্রুপকে বা গুরুত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনও কথোপকথন বাছাই করে চোখের সামনেও রাখা যাবে।

    ‘কাস্টম চ্যাট লিস্ট’ কী ভাবে করবেন? (Whatsapp News Feature)

    ১) প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করুন।

    ২) হোয়াটসঅ্যাপের ওপরে ডান দিকে একটি ‘যোগ’ চিহ্ন আসবে। সেটিতে ক্লিক করলে ‘অর্গাইনজ ইওর চ্যাট’ বলে একটি পপ-আপ দেখাবে। সেখানে গিয়ে ক্লিক করুন।

    ৩) এ বার ক্যাটেগরি দেখে পছন্দের প্রোফাইল তালিকাভুক্ত করুন।

    ৪) যদি কোনও চ্যাট আলাদা করে চোখের সামনে রাখতে হয়, তা হলে ‘অ্যাড পিপল অর গ্রুপ’ অপশনে গিয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রোফাইল বা চ্যাট (Custom Chat List) বাছাই করে একেবারে ওপরের সারিতে রেখে দিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই নতুন ফিচার?

    বহুল ব্যবহৃত সোশাল অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp News Feature)। মেটা (Meta) অধিকৃত এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম গ্রাহকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। পছন্দমতো হোয়াটসঅ্যাপের কোনও গ্রুপকে বা গুরুত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনও কথোপকথন বাছাই করে চোখের সামনেও রাখা যাবে। লম্বা চ্যাট লিস্টের ভিড়ে আলাদা করে কাউকে খুঁজে বের করার কষ্ট করতে হবে না। নতুন এই ফিচারের সাহায্যে গ্রাহকরা নিজেদের চ্যাটকে গ্রাহকরা আলাদা করে নিতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফিচারের সাহায্যে গ্রাহকরা নিজেদের চ্যাটকে কয়েকটি ভাগে আলাদা করে নিতে পারবেন। যেমন, ‘পরিবার’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘বন্ধুবান্ধব’ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে তা ভাগ করা যাবে। ফলে বহু চ্যাটের মধ্যে থেকে আলাদা করে খোঁজার দরকার পড়বে না।

    কী কী সুবিধা রয়েছে ফিচারে?

    নতুন ফিচারের সাহায্যে কনট্যাক্ট লিস্টে (Whatsapp News Feature) থাকা ব্যক্তিদের নতুন তালিকা তৈরি করা যাবে এবং তা প্রয়োজনে এডিটও করা যাবে। সহজ করে বললে, আপনার হোয়াটসঅ্যাপের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা সকলের সঙ্গে বা প্রত্যেকটি গ্রুপে আপনি রোজ নিশ্চয়ই কথা বলেন না। কিন্তু কোনও দরকারে যদি চটজলদি সেই প্রোফাইল খুঁজে পেতে হয় বা গ্রুপ চ্যাট থেকে কোনও নির্দিষ্ট মেসেজ খুঁজে বার করতে হয়, তখনই এই ফিচার কাজে আসবে। কারণ, কাস্টম লিস্ট ফিচারে গ্রাহকেরা ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপাশি পছন্দের একাধিক গ্রুপকেও তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। সেগুলি ‘পিন টু টপ’ বা একেবারে চোখের সামনে রেখে দেওয়ার সুবিধাও পাবেন। অফিসের গ্রুপ থেকে হোক বা ব্যক্তিগত প্রোফাইল- জরুরি কোনও কথোপকথন খুঁজে পাওয়াও সহজ হবে। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ কিছু দিন আগেই ‘আনরিড’, ‘ফেভারিট’, ‘গ্রুপ’ নামে কয়েকটি ফিচার নিয়ে এসেছিল। যে মেসেজগুলি পড়া হয়নি সেগুলি আলাদা করে ‘আনরিড’ অপশনে পাওয়া যাবে, আবার যার সঙ্গে বেশি চ্যাট করেন, সেই প্রোফাইলটিকে ‘ফেভারিট’ অপশনে রেখে দেওয়া যাবে যাতে খোঁজাখুঁজি করতে না হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share