Tag: bangla news

bangla news

  • India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    India vs Pakistan: ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ’ যুদ্ধেও জয়ী ভারত! যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ক্রিকেট মাঠ পাকিস্তানকে কড়া জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্রে পর পর সাফল্যের পর এবার ক্রিকেট মাঠেও পাকিস্তানকে (India vs Pakistan) কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর, এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানকে টানা দু’বার হারিয়ে ক্রিকেট যুদ্ধেও জয়ী ভারত। তবে শুধু ব্যাট ও বলেই নয়, কথিত ‘সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ যুদ্ধ’-এও ভারত দিয়েছে চোখে চোখ রেখে জবাব। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় পেসার অর্শদীপ সিং পাকিস্তানের হারিস রউফকে পাল্টা এক ইঙ্গিত দেন। এই ‘জবাব’-কে ভক্তরা বলছেন পাকিস্তানের আগ্রাসী বার্তার যোগ্য প্রত্যুত্তর।

    পাকিস্তানের আগ্রাসী ভঙ্গি ও ভারতের শান্ত-তীক্ষ্ণ জবাব

    ২১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সুপার ফোর ম্যাচে পাক পেসার হারিস রউফ দর্শকদের ভিড় থেকে “কোহলি-কোহলি” ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়ে ‘ফাইটার জেট ক্র্যাশ’-এর ভঙ্গিতে ভারতের দিকে কটাক্ষ ছোড়েন। তিনি হাত দিয়ে ‘৬-০’ দেখিয়ে দাবি করেন মে মাসের চারদিনের সংঘর্ষে পাকিস্তান ৬টি ভারতীয় জেট গুলি করে নামিয়েছে। যদিও বাস্তবে তা শুধুই প্রোপাগান্ডা। অন্যদিকে, পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান ব্যাটকে ‘একে-৪৭’-এর মতো তুলে ধরে ভারতীয় ডাগআউটের দিকে ‘গোলাগুলি’র ভঙ্গি করেন। এই কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের মৌলবাদী মানসিকতার প্রতিচ্ছবি বলেই অনেকের অভিমত। ভারতের ব্যাটসম্যান শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা জবাব দেন ব্যাটে-বলে। ১৭২ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে অর্শদীপ সিংয়ের ‘বিমান ভেঙে পড়া’র ইঙ্গিত মুহূর্তে ভাইরাল হয়। পাকিস্তানের আগ্রাসনকে ব্যঙ্গ করে দেওয়া এই সাইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ড করে।

    সীমান্তে পাকিস্তানের বিপর্যয়

    ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার সম্মিলিত অভিযানে পাকিস্তান এবং পিওকে-র (India vs Pakistan)  ন’টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর মতো সংগঠনের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। সরাসরি আক্রমণের পাশাপাশি ভারত সুনির্দিষ্ট উপগ্রহ চিত্র ও তথ্য দিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচার ভেঙে দেয়। লস্কর এবং জইশের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেরাই তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে, যা ভারতের তথ্যভিত্তিক কূটনৈতিক জয়ের অন্যতম নিদর্শন। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (S-400 ও আকাশতীর সিস্টেম) কারণে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক ড্রোন ও মিসাইল হামলা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

    ‘ভারতের সাংকেতিক ভাষা’ বনাম ‘পাকিস্তানের প্ররোচনা’

    পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বোলাররা যেখানে স্লেজিং, অঙ্গভঙ্গি ও মৌলবাদী ভঙ্গিমায় মাঠকে উত্তপ্ত করতে চেয়েছিল, ভারতীয় দল তাদের খেলায় এবং সূক্ষ্ম বার্তায় তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়। অর্শদীপের ছোট্ট কিন্তু মারাত্মক ‘সংকেত’-ই বুঝিয়ে দিয়েছে— ভারত এখন শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিরোধেও সিদ্ধহস্ত। যুদ্ধ হোক বা খেলা— ভারত জানে কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হয়। অপারেশন সিঁদুর থেকে দুবাইয়ের ক্রিকেট মাঠ সর্বত্রই ‘চক দে ইন্ডিয়া’

    এশিয়া কাপ ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান!

    চলতি এশিয়া কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে এখন মূলত রয়েছে তিনটি দল – ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান। পাকিস্তানের (India vs Pakistan) কাছে পরাজয়ের পরে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছে। সুপার ফোরে ওঠা বাকি সবকটি দল ১টি করে ম্যাচ জিতে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার খাতায় এখনও শূন্য। তবে তাদের হাতে একটি ম্যাচ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। সেই অর্থে, আজকের ম্যাচটি ভারত বা বাংলাদেশের জন্য নকআউট না হলেও ‘সেমিফাইনাল’। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে ২ পয়েন্ট অর্জন করেছে, সঙ্গে ভারতের এখন নেট রান রেট +০.৬৮৯। আজ সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশেরও এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কারে হারিয়েছিল। এদিকে সলমন আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুটি ম্যাচ খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে। এদিকে সুপার ফোর পর্বে নিজেদের পরবর্তী এবং শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেই পাকিস্তানও উঠে যাবে ফাইনালে। তাই বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রবিবার, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এশিয়া কাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

     

     

     

     

     

  • Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনার পরেপরেই প্রবল বর্ষণে (Rain in Kolkata) জমা জলে নাজেহাল কলকাতা শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকা। ইতিমধ্যে শহরে ১০ জনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত দুদিন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। বিপর্যয় উত্তরণে বেসামাল হয়ে আগেভাগেই সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এত বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে এমন ইঙ্গিত তো আগে থেকেই আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল! প্রস্তুতি বা সুরক্ষার ব্যাপার ভেবে কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা? কলকাতায় জলজমার জন্য ফরাক্কা-ডিভিসিকে দায়ী করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মিথ্যাচারকে একযোগে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু-সুকান্ত (Suvendu Adhikari)। মমতার দাবিকে খারিজ করেছে ডিভিসিও। তারাও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, “ফরাক্কার জল কলকাতায় যায় না।” পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগে কলকাতাবাসী, আর তাতেই চরম চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।

    ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার (Rain in Kolkata)

    বৃষ্টির জল জমে কার্যত অবরুদ্ধ গোটা কলকাতা শহর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, “রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে। তিনি এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিকে (Rain in Kolkata) হঠাৎ ও আকস্মিক বলে চালানোর চেষ্টা করে আসল সত্যকে চেপে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করলেন। আসলে তিনি এবং তার সরকার প্রশাসনিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন।”

    সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন

    কলকাতার মেয়র ববি হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আবহাওয়া দফতর (IMD) আগেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন হবার অনেক আগেই রাজ্য সরকার এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। মানুষ জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন আর শহরের জলমগ্ন রাস্তায় তাদের প্রাণহীন দেহ ভাসছে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যও রাজ্যবাসীকে দেখতে হচ্ছে কারণ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। আগাম সতর্কতা পেয়েও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শুধুমাত্র প্রশাসনিক অবহেলা ও অব্যবস্থার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেলো। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতে মাননীয়া ঈশ্বরের দোহাই দিচ্ছেন।”

    পুজোর আগে এতোগুলি মৃত্যু

    জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সিইএসসি এবং সঞ্জীব গয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ বিষয়ের উপর নজর রাখছেন তিনি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পাল্টা সুকান্ত মজুমদার, মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “পুজোর আগে এতোগুলি পরিবার নিজেদের পরিজনদের হারালেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপর যে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তা ঠিক নয়। দায় এড়িয়ে অন্যের অপর দায় চাপানো ঠিক নয়। দেশের কোনও মেট্রোপলিটন শহরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে না । সম্প্রতি বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদে জল জমে ছিল কিন্তু বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে কোনও মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। কলকাতায় বারবার এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার! সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কাদের সম্পর্ক রয়েছে? ভোটের সময় কারা টাকা নিয়েছে সবাই জানে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

    ডিভিসির অজুহাত মমতার

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতাকে ঢাকতে সামাজিক মাধ্যমে ডিভিসির ওপর দায় ঠেলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আকস্মিক দুর্যোগের (Rain in Kolkata) আক্রমণে বিপর্যয়ে কলকাতা শহরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ডিভিসির একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল, নদী, খাল সব টইটুম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল, যেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার ওপরে এলো জল।” পাল্টা ডিভিসির সাফ কথা, “ডিভিসির জল কলকাতায় যায় না। আমতা হয়ে গঙ্গায় মিশে যায়, কলকাতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”

  • Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal)। গত কয়েক দিনে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা (Judiciarys Long Vacations) নিয়ে তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। দিল্লিতে অ্যাডভোকেট জেনারেলদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা। আইন অনেক সময় সমস্যার সমাধান তো করেই না, উল্টে বিষয়টিকে জটিল করে তোলে।”

    উন্নত দেশ হওয়ার পথে বড় বাধা (Sanjeev Sanyal)

    সঞ্জীবের মতে, বিচারব্যবস্থা ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার আশার পথে সব চেয়ে বড় বাধা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনের মতো সেকেলে রীতি, ‘প্রেয়ার্স’ নামের ঔপনিবেশিক ধারা, দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার প্রথা, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব। তাঁর কথায়, “সময়ে ন্যায়বিচার মেলে না। এটা অন্যতম বড় সমস্যা।” আদালতের দীর্ঘ ছুটি দেওয়া নিয়েও আপত্তি রয়েছে সঞ্জীবের। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়?”

    ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর

    সঞ্জীবের মন্তব্যে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন আইনজীবী মহল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সঞ্জীবের ভাইরাল হওয়া বক্তব্য আদতে ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর। মনে রাখতে হবে, এটি শাসনব্যবস্থার কোনও বাইরের লোকের হালকা সমালোচনা নয়। বরং এটি সেই অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, যা প্রতিটি মামলাকারী, উদ্যোক্তা এবং নাগরিক অনুভব করেছেন। ভারতে ন্যায়বিচার দেরিতে মেলে, ব্যয়বহুল এবং অপ্রাপ্য। ভারতের আইন পেশা এখনও সবচেয়ে আঁটসাঁট একটি পেশা, যা রক্ষণশীল, ঔপনিবেশিক এবং পরিবর্তনের বিপ্রতীপ। সান্যালের মন্তব্য সরাসরি বিচারব্যবস্থার অদক্ষতার সঙ্গে দেশের বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশার মধ্যে একটা সীমারেখা টেনে দেয় বই কি!

    আইনি ডিগ্রির প্রয়োজন

    সঞ্জীবের (Sanjeev Sanyal) মতে, সব ক্ষেত্রেই আইনি ডিগ্রির প্রয়োজনও হয় না। নিজের দাবির স্বপক্ষে সওয়ালও করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সঞ্জীব বলেন, “ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা কেবল প্রক্রিয়ার কারণেই নয়, মানসিকতা ও সংস্কৃতির কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনি ব্যবস্থা মধ্যযুগীয় কাঠামোর। এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, যেমন সিনিয়র অ্যাডভোকেট, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড এবং অন্যান্য। একবিংশ শতাব্দীতে এত স্তর কেন? অনেক ক্ষেত্রে মামলা লড়তে আইনি ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয় না। কারণ আজকের বিশ্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তিও।”

    ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Judiciarys Long Vacations)

    সান্যালের বক্তব্য যে নিছক অর্থহীন, তা বলা যাবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টে সাধারণত ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দশেরা ও বড়দিনে ছোট ছোট ছুটিও থাকে। হাইকোর্টগুলিও একই ধরনের ছুটির সময়সূচি মেনে চলে। সঞ্জীবের কথায়, ‘বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়? আপনি কি পুলিশ বিভাগ বা হাসপাতালগুলিকে মাসের পর মাস বন্ধ রাখতে পারেন?’ যদিও ছুটিতেও বেঞ্চ বসে। সঞ্জীবের মতে, দীর্ঘ ছুটির এই প্রতীকী দিকটি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে, বিশেষ করে যখন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড থেকে জানা গিয়েছে, সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তাতে এই অমীমাংসিত মামলাগুলি শেষ করতে বহু বছর লেগে যাবে।

    বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা

    সান্যালের (Sanjeev Sanyal) মূল বক্তব্য হল, বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ডুইং বিজনেস ২০২০ রিপোর্টে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম স্থানে রাখা হয়েছে, যেখানে একটি বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১ হাজার ৪৪৫ দিন সময় লাগে। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রায়ই মামলার জটে আটকে থাকে। আর ভূমি ও সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধ ভারতের আদালতগুলির সবচেয়ে সাধারণ দেওয়ানি মামলার মধ্যে অন্যতম (Judiciarys Long Vacations)।

    প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতার অবস্থা

    ২০১৮ সালের কমার্শিয়াল কোর্টস অ্যাক্টের অধীনে প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতা চালু করা হয়েছিল যাতে এই জাতীয় বিরোধগুলিকে বিচার ব্যবস্থা থেকে দূরে সরানো যায়। কিন্তু বাস্তবে মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে এর সাফল্যের হার খুবই কম। আর অনেক মামলাকারীকে শেষ পর্যন্ত আবার আদালতে ফিরে যেতে হয়। ফলস্বরূপ, মামলার চাপ কমার বদলে প্রায়ই সময় এবং খরচ আরও বেড়ে যায়। এর পরিণতি হল, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়নের সময় আইনি অনিশ্চয়তাকে হিসেবের মধ্যে রাখে। ব্যবসাগুলি এমন খাতে সম্প্রসারণে দ্বিধা করে, যেখানে চুক্তি বাস্তবায়ন অপ্রত্যাশিত থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য ‘তারিখ পে তারিখ’ অর্থাৎ একের পর এক মুলতুবি শুনানি এক পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আইনের নিষ্পত্তি

    সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই আইন তৈরি করেন অতিরিক্ত জটিল করে। কারণ তাঁরা মনে করেন অল্প সংখ্যক মানুষ এর অপব্যবহার করতে পারে। এর ফলে আইনে অসংখ্য ব্যতিক্রম ও শর্ত যোগ হয়, যা পরে বিচারিক ব্যাখ্যার স্তরে স্তরে জমা হয়ে যায়। দেউলিয়াত্ব ও দেউলিয়া আইন (Insolvency and Bankruptcy Code) এই সমস্যার একটি উদাহরণ। যদিও আইনটির ৩৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে বাস্তবে মামলাগুলি প্রায় দ্বিগুণ সময় নেয় (Judiciarys Long Vacations)। যদি বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস থাকত যে এটি সোজাসাপ্টা নিয়ম দ্রুত ও আগাম অনুমানের ভিত্তিতে কার্যকর হবে, তবে আইন প্রণেতারা প্রতিরক্ষামূলক আইন বানাতে বাধ্য হতেন না। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার শুধু মামলা-পেন্ডেন্সি কমানো নয়, বরং আরও স্পষ্ট এবং সরল শাসনব্যবস্থা তৈরির শর্ত তৈরি করা।

    স্বাধীনতা হল সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ

    বিচারব্যবস্থার রক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতা হল এর সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ। এটি সঠিক, কিন্তু স্বাধীনতা মানে জবাবদিহি থেকে মুক্তি নয়। জবাবদিহি মানে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের কাছে সহজলভ্যতার জন্য জবাবদিহি থাকা। দু’টি ধারণা এক সঙ্গে রাখা (Sanjeev Sanyal) সম্ভব। বিচারব্যবস্থা হল এক্সিকিউটিভ কর্তৃত্বের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ। কিন্তু এটি ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের পথে অন্তরায়ও হয়ে উঠতে পারে, যখন এটি পুরনো পদ্ধতি আঁকড়ে ধরে থাকে, বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখে এবং আধুনিকীকরণের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের সংস্কার করতে ক্ষমতাবান করে তুলবে। তাদের উচিত নয়, জনগণের সমালোচনা থেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা (Judiciarys Long Vacations)।

    ‘বিকশিত ভারত’

    সান্যালের বক্তব্যটি শক্তিশালী। কারণ তিনি কোনও আইনজীবী বা বিচারক নন। তিনি অর্থনীতিবিদ, যিনি বিচারব্যবস্থাকে একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। বিচার বিভাগীয় সংস্কারকে ভারতের উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বিতর্ককে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর কথা গভীরভাবে অনুরণিত হয়, কারণ তা বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। যতক্ষণ না আদালত ন্যায়বিচার দিচ্ছে, ততক্ষণ সত্যি সত্যিই ভারতের অগ্রগতি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। সঞ্জীব (Sanjeev Sanyal) বলেন, “আমার দৃষ্টিতে বিচারব্যবস্থাই ‘বিকশিত ভারত’ হওয়ার এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যথা সময়ে চুক্তি কার্যকর করতে না পারা কিংবা ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হওয়া এখন এত বড় সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমি আপনাদের বলছি যদি আমরা পুরো আইনি কাঠামোয় বড় ধরনের কোনও সংস্কার না দেখি, তবে সিস্টেমের অন্য যে ক্ষেত্রেই যত কাজই করি না কেন, তার কোনও গুরুত্ব থাকবে না।”

    আগেও বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন সঞ্জীব

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে অন্য একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়ে সঞ্জীব বলেছিলেন, “এটি (বিচার বিভাগ) ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে কিছু দিক থেকে সবচেয়ে (Judiciarys Long Vacations) বড় বাধা। এটি এখন আমলাতন্ত্রের চেয়ে সময়ের চেয়েও ঢের বেশি পিছিয়ে।” তিনি তখনও বলেছিলেন, “এর বিশাল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি অবশ্য কেবল বিচারব্যবস্থাকেই দোষারোপ করব না, বিচারকদের ক্ষেত্রে – একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রয়েছে এবং বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আইনজীবী এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বার কাউন্সিল ইত্যাদির পদস্থ ব্যক্তিরা আসলে অগ্রগতি থামিয়ে দিচ্ছেন (Sanjeev Sanyal)।”

  • Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে পুরস্কার দেবেন ১১ কোটি টাকা। কার্যত এমন প্রস্তাব করার অভিযোগে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। ২০২৫ সালের ১৫ অগাস্টে স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় উস্কানির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এই কুখ্যাত জঙ্গির বিরুদ্ধে বাইরের দেশে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের ছক করার মতো আরও গুরুতর একাধিক মামলা রয়েছে।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার)!

    নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হলেন নিষিদ্ধ খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তবে এই সংগঠন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে চললেও ভারতের অভ্যন্তরে বিশেষ করে পঞ্জাবকে অস্থির করে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পাতাকা উত্তোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছিলেন। এই কথা পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান যে জঙ্গি উৎপাদন করে একথা সকলেই জানে, আর তাই ভারতের ক্ষতি করতে পান্নুন পাকিস্তানকে সবসময়ে পাশে চান।

    খালিস্তানের মানচিত্রে

    পান্নুনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬১ (২), ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন-এর ধারা ১০ এবং ১৩ ব্যবহার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে তা ২০২৫ সালের ১০ অগাস্ট পাকিস্তানের লাহোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মিট দ্য প্রেসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় পান্নুনের। ওয়াশিংটন, ডিসি থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এই জঙ্গি।

    তবে এফআইআরে বলা হয়, “ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়ার সময় পান্নুন দাবি করেন, দিল্লি হবে খালিস্তান (Khalistani Pannun)। সেইসঙ্গে একটি গণভোটের ভিত্তিতে মানচিত্রকে উন্মোচন করেছিলেন। তাঁর প্রস্তাবিত খালিস্তানের মানচিত্রে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ এবং দিল্লিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। মামলায় (NIA) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পানুন্নের নাম ছাড়াও আরও অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তিদেরও যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনা এবং উস্কানি দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

  • Jagannath Mandir: সংস্কারের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে ফিরল রত্নালঙ্কার

    Jagannath Mandir: সংস্কারের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে ফিরল রত্নালঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Mandir) রত্নভান্ডার সংস্করণের পরে এবার সরিয়ে নেওয়া মূল্যবাণ রত্নালঙ্কার ফেরানো হল রত্নভান্ডারেই। চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযানে শ্রীশ্রী পুরীধামের মন্দিরের মূল্যবান অলঙ্কার এবং ধনরত্নগুলিকে পুনরায় যথাযথভাবে পুরনো জায়গায় রাখা হয়েছে। জগন্নাথধামে ২০২৪ সালে রত্নগুলোকে (Ratna Bhandar) একটি স্ট্রংরুমে সুরক্ষিত রেখে রত্নভান্ডারের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এবার ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) বিশেষ সমীক্ষা চালায়। আর তারপর চলতি সপ্তাহে ধর্মীয় যথাযথ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করে, সরকারের বিধিনিষেধ মেনে সমস্ত সম্পত্তি সংরক্ষণ করা হয়েছে। রত্নভান্ডারের সমস্ত মূল্যবান সামগ্রীকে পুনরায় স্থাপানা করে ভিডিওগ্রাফি করে সিল করা হয়েছে।

     ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাসের পুনরুদ্ধার (Jagannath Mandir)

    একেই বলে যেই কথা সেই কাজ। ওড়িশায় সরকারে আসার আগেই রত্নভান্ডার খোলা নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সংস্করণের কাজ করেছে প্রশাসন। মন্দিরে (Jagannath Mandir) গত ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৫৫ মিনিটে শুরু হয় রত্নালঙ্কারগুলির পুনর্স্থাপনের অভিযান এবং দুপুর ২.৫৫ মিনিটে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে প্রতিস্থাপন করার এই বিশেষ অভিযানটি চালানো হয়। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক ড. অরবিন্দ কুমার পাধী বলেছেন, “রত্নভান্ডারের এই সংস্কারটি ১৯৬০ সালের শ্রী জগন্নাথ মন্দির বিধিমালার বিধান এবং রাজ্য সরকারের দ্বারা অনুমোদিত নির্দেশিকা অনুসারেই করা হয়েছে। সমস্ত অলংকারগুলিকে মন্দিরের শয়নকক্ষের পাশেই অস্থায়ী স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মূল্যবান ধন-রত্নগুলিকে ফুলঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এই রত্নভান্ডার দেশের অন্যতম পবিত্র এবং সুরক্ষিত ভান্ডার (Ratna Bhandar)। এখানেই ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র, দেবী সুভদ্রার অলঙ্কার এবং নৈবেদ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। রত্নগুলি নিজের স্থায়ীগৃহে ফিরিয়ে আসায় কেবল পুনরুদ্ধার হয়নি বরং ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গাও ফিরে এসেছে।”

    বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে গোটা সংস্কারের কাজ

    রত্নভান্ডার (Ratna Bhandar) -এর ঐতিহ্য এবং পরম্পরা মেনে যথারীতি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাপ্রভুর আশীর্বাদ নিয়ে শ্রী জগন্নাথের (Jagannath Mandir) সামগ্রীকে স্থানান্তরিত করা হয়। মন্দিরের রত্নভান্ডারের যে কমিটি রয়েছে এবং উচ্চ পর্যায়ের এএসআই সমীক্ষার কমিটির সকল সদস্য এদিন বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে গোটা সংস্কারের কাজটি সুসস্পন্ন করেন। কোষাগার থেকে প্রাপ্ত চাবি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই অস্থায়ী স্টংরুম খোলা হয়। এরপর উদ্ধারকৃত সামগ্রী রত্নভান্ডারে রাখার পর কাজ শেষ হলে কক্ষটিকে তালাবদ্ধও করা হয়।

  • BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, কালীপুজো উৎসবের মরসুমেও সতর্ক ভারতীয় সেনা। আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর নতুন ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল (newly established Drone Warfare School) থেকে প্রথম ব্যাচের ৪৭ জন জওয়ান ড্রোন কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে পাস আউট করবেন। মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে (Tekanpur, Madyapradesh) এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) ৪৭ জন কমান্ডো অফিসারের প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। এই প্রশিক্ষণ অবশ্য ভিন্ন ধরনের। কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ড্রোন পরিচালনার কৌশল শেখানো হচ্ছে তাঁদের (Drone Commandos)।

    ড্রোন নিয়েই লড়বেন কমান্ডোরা

    বিএসএফের ওই অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত ডিজি শামশের সিং জানিয়েছেন, শত্রুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জওয়ান, অফিসারেরা রাইফেল, লাইট মেশিনগান ব্যবহার করে থাকেন। এবার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ৪৭ কমান্ডো অফসার লড়াই করবেন ড্রোন নিয়ে। তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। লড়াইয়ের সময় ড্রোনকে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ব্যবহার করবেন। তারই প্রশিক্ষণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, ড্রোন কমান্ডার নিয়ে ভাবনাচিন্তার শুরু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা হল, যুদ্ধের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। তাই বিমান বাহিনীর মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ড্রোন লড়াইয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ট্রেনিং সেন্টারে যে ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির মধ্যে সীমান্তে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নবরাত্রির (Navaratri) একদিন সীমান্তে সেনা, সীমান্ত রক্ষীদের শিবিরে কাটান। বিএসএফের যে কোনও সীমান্ত পোস্টে তিনি ড্রোন কমান্ডোদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন।

    ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

    ইতিমধ্যেই জওয়ান এবং আধিকারিকদের জন্য ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএসএফ ৷ তার ফলে এখন থেকে বাহিনীর ২ লাখ ৭০ হাজার সদস্যকেই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ পাশাপাশি শত্রুদের দিক থেকে আসা ড্রোন কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও শিখতে হবে তাঁদের ৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বাহিনীর কর্তাদের মনে হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে সামরিক সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বিএসএফের জওয়ান থেকে শুরু করে সকলেরই ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ৷ আর তাই মধ্যপ্রদেশে বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে ড্রোন সংক্রান্ত কৌশল শেখাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বিএসএফেরই নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ৷

    ড্রোন প্রশিক্ষণের নানা পদ্ধতি

    নতুন ড্রোন যুদ্ধবিদ্যা স্কুলে জওয়ানদের ড্রোন ওড়ানো, নজরদারি, আক্রমণ এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল শেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সিনিয়র অফিসারদের জন্যও ড্রোন যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হবে। শামশের সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যুদ্ধ শুধু ট্যাঙ্ক আর রাইফেলের নয়, এখন এটি আকাশপথেও হচ্ছে। আমাদের জওয়ানরা যেমন মাত্র ১৫ সেকেন্ডে একটি ইনসাস রাইফেল খুলে আবার জোড়ার দক্ষতা রাখে, তেমনি আমরা চাই ড্রোনকেও তারা যেন তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।” এই স্কুলে দুটি মূল প্রোগ্রাম চালু হয়েছে— ‘ড্রোন কমান্ডো’ (জওয়ানদের জন্য) এবং ‘ড্রোন ওয়ারিয়র’ (অফিসারদের জন্য)। স্কুলটি তিনটি শাখায় বিভক্ত— ফ্লাইং অ্যান্ড পাইলটিং, ট্যাকটিক্স (প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ কৌশল) এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্কুলের ট্রেনিং প্রধান ব্রিগেডিয়ার রুপিন্দর সিং জানান, কোর্সে ফ্লাইং, কারিগরি এবং কৌশলগত বিভিন্ন মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসএফ অ্যাকাডেমির আইজি উমেদ সিং জানান, সব প্রশিক্ষণ কোর্সেই এখন থেকে ড্রোন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • India Mocks Pakistan: “নিজেদের জনগণের ওপরই বোমাবর্ষণ করছে”, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের

    India Mocks Pakistan: “নিজেদের জনগণের ওপরই বোমাবর্ষণ করছে”, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল ভারত (India Mocks Pakistan)। নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনার জন্য ইসলামাবাদকে কাঠগড়ায় তোলে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান নিজেই নিজেদের জনগণের ওপরই বোমাবর্ষণ করছে এবং এই মঞ্চের অপব্যবহার করছে।

    তিরা উপত্যকায় বিমান হামলা (India Mocks Pakistan)

    ভারতের এহেন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে এল এমন সব প্রতিবেদন প্রকাশের পর যেখানে বলা হয়েছে, পাক বিমানবাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরা উপত্যকায় বিমান হামলা  চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য – ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, পোড়া যানবাহন এবং ধসে পড়া ভবনের ভেতর থেকে দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে (Air Attack)।

    ভারতের তোপ

    রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় ফরেন সার্ভিস আধিকারিক ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন, “যে প্রতিনিধি দল এই দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ উল্টো মত উপস্থাপন করে, তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এই মঞ্চকে ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের ভূখণ্ড দখল করার লোভ না করে, তাদের উচিত বেআইনিভাবে দখল করা ভারতীয় ভূখণ্ড খালি করা এবং মনোযোগ দেওয়া—একটি অর্থনীতি উদ্ধার করতে যা কেবলমাত্র জীবনধারণ যন্ত্রে টিকে আছে, একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেটি সামরিক প্রভাবশালী শাসনে স্তব্ধ, এবং একটি মানবাধিকার রেকর্ড যেটি নির্যাতনের কলঙ্কে কলঙ্কিত। হয়তো, তারা যখন সন্ত্রাসবাদ রফতানি, রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দান এবং নিজেদের জনগণকে বোমা মারার কাজ থেকে কিছুটা সময় পাবে, তখনই তা করতে পারবে।”

    জোরালো বিস্ফোরণ

    প্রসঙ্গত, সোমবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরা ভ্যালিতে পাকিস্তানি তালিবানের মালিকানাধীন একটি কম্পাউন্ডে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ২৪ জন মানুষ, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল, নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন জখম হয়েছেন। অনুমান, ওই বিস্ফোরণ পাকিস্তানি তালিবান যোদ্ধাদের মজুত করা বোমা তৈরির উপকরণ থেকেই ঘটে। তবে অন্য কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের (Air Attack) জঙ্গিবিমানগুলিই বিমান হামলা চালায় (India Mocks Pakistan)।পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরণটি সেই কম্পাউন্ডেই ঘটে যেখানে পাকিস্তানি তালিবান সদস্যরা বোমা তৈরির উপকরণ মজুত করে রেখেছিল। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষ, যাঁদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছে এবং ১৪ জন জঙ্গি নিহত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। বিস্ফোরণে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

    সক্রিয় টিটিপি

    খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরা উপত্যকায় টিটিপি (তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান) নামক জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয়। স্থানীয় পুলিশ এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের মোকাবিলার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় পাক নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানও চলছে বলে খবর। তার মধ্যেই ঘটে সোমবারের বিস্ফোরণ (Air Attack)। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “বিমান থেকে পর পর কয়েকটি বোমা ফেলা হয়েছে ওই অঞ্চলে। এলাকার পাঁচটি বাড়ি এর ফলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে (India Mocks Pakistan)।”

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ

    পাকিস্তানে যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম টিটিপি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের নানা প্রান্তে জঙ্গি হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। অভিযোগ, অনেক টিটিপি নেতাই এখন আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের আশ্রয়ে রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে তুলে ধরে আসছে ভারত। জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপের নেপথ্যে থাকে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিই (India Mocks Pakistan)।

    পাক পুলিশের বক্তব্য

    পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিরা যে পাকিস্তানেরই ক্ষতি করবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ইসলামাবাদ। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জাফর খান জানান, তিরা উপত্যকার একটি ভবনে ঘাঁটি গেড়েছিল টিটিপির দুই জঙ্গি নেতা আমন গুল এবং মাসুদ খান। পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল সাধারণ মানুষকে। ওই জঙ্গিঘাঁটিতেই তৈরি করা হচ্ছিল বোমা। বোমা তৈরির নানা উপাদানও মজুত করা ছিল সেখানে। সেখান থেকেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আশপাশের অনেকগুলি বাড়ি (Air Attack)। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জন সাধারণ মানুষের। এছাড়াও যে ১৪ জন নিহত হয়েছে, তারা সবাই জঙ্গি (India Mocks Pakistan)।

  • Navratri Fasting: নবরাত্রিতে উপবাস! শুধু ঐতিহ্য নয়, এই রীতি কতখানি স্বাস্থ্যসম্মত জানেন?

    Navratri Fasting: নবরাত্রিতে উপবাস! শুধু ঐতিহ্য নয়, এই রীতি কতখানি স্বাস্থ্যসম্মত জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে নবরাত্রি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেই বছরের এই সময়ে নবরাত্রির উৎসব পালন হয়। হিন্দু শাস্ত্র (Hindu Traditions) মতে, নবরাত্রি অর্থাৎ নয় রাত ধরে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। পবিত্রতা, শান্তির প্রতি আস্থা রাখার পাশপাশি দুষ্টের দমন এবং শুভ শক্তির পালন, এই আর্জি নিয়েই দেশ জুড়ে মা দুর্গার আরাধনা চলে। তবে হিন্দু শাস্ত্রের এই নবরাত্রি উদযাপনের (Navratri Fasting) এই পাঠ, শুধুই ধর্মীয় রীতি নয়। বরং এর তাৎপর্য আরও গভীর।‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নয় রাতের এই ব্রত সুন্দর জীবন যাপনের (Healthy Lifestyle) পথ আরও সুগম করে। তাই নবরাত্রি উদযাপনের গভীরতা আরও বেশি।

    নবরাত্রি পালন কীভাবে সুস্থ জীবন যাপনের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নবরাত্রি উদযাপন শুধুই উপোস আর প্রার্থনা নয়। এই ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে এক গভীর জীবন‌বোধ এবং জীবন‌ যাপনের পদ্ধতি। যা খুবই স্বাস্থ্যকর! তাঁরা জানাচ্ছেন, নবরাত্রি পালনের সময় সকালে নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠা, যোগাসন করা, ধ্যান করার মতো নিয়ম পালনের কথা বলা হয়। সকলের কল্যাণের কথা চিন্তা করে ঈশ্বরের প্রার্থনার, নবরাত্রির অন্যতম আচার। অর্থাৎ একটি নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপনের দিকে এই উৎসব সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।

    পজিটিভ এনার্জি আসে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা, রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের মতো জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। মানসিক চাপ কমাতে, অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা কমাতে ধ্যানের অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। নবরাত্রি পালনের (Navratri Fasting) জন্য সেই অভ্যাস জীবনে স্থায়ী হয়। ঈশ্বরের কাছে কল্যাণ প্রার্থনার মাধ্যমে মনে পজিটিভ এনার্জি বা ইতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। যার ফলে নানান ভালো কাজের ইচ্ছে হয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা দূর হয়। মানসিক শান্তি বজায় থাকে। এর ফলে অবসাদ, মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মতো সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    হজমের গোলমাল কমায়

    নবরাত্রি পালনের সময় উপোস করতে হয়। কিন্তু ঐতিহ্য মেনে এই উদযাপনে সম্পূর্ণ অভুক্ত থাকার রীতি (Hindu Traditions) নেই। নবরাত্রির সময় পুষ্টিকর অথচ সহজপাচ্য সাত্ত্বিক খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে। প্রাণীজ প্রোটিন নয়। পরিমিত আহার শরীরের জন্য উপকারি এই ভাবনা বোঝানোর জন্য নবরাত্রি রীতি (Navratri Fasting) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব, স্থূলতা, বন্ধ্যাত্ব, কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা হৃদরোগের মতো জটিল অসুখের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস। তরুণ প্রজন্মের একাংশের অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার অভ্যাস, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংসের পদ খাওয়ার অভ্যাস অসুখ বাড়াচ্ছে। নবরাত্রি পালনের সময়ে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সাত্ত্বিক খাবার খাওয়ার রেওয়াজ খুবই স্বাস্থ্যকর। পাশপাশি, পরিমিত খাবারের অভ্যাস হজমের গোলমাল কমায়। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই নবরাত্রি পালন অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    মানসিক চাপ কমে

    নবরাত্রি (Navratri Fasting) উদযাপনের সময়ে সামাজিক যোগাযোগ নিবিড় হয়। প্রতিবেশি, আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে একাকিত্ব বাড়ছে। আর একাকিত্বের হাত ধরেই শরীর ও মনে বাসা বাঁধছে নানান রোগ।‌ নিয়মিত কথা বলা, পারিবারিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে পারলে নানান সঙ্কট সহজেই কাটানো যায়। তাই নবরাত্রি উদযাপনের মতো ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করলে মানসিক চাপ কমে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে

    তবে, এর পাশপাশি নবরাত্রি যে সময়ে পালন হয়, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরে দু’বার নবরাত্রি (Navratri Fasting) পালন হয়। একটি চৈত্র মাসে অর্থাৎ বসন্ত ঋতুতে। আরেকটি শরৎ ঋতুতে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই দুই সময়েই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তন দেখা যায়। অর্থাৎ তাপমাত্রার রদবদল হয়। বাতাসে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ে। ফলে নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি নজরদারি জরুরি। পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত যোগাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আবার অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমায়। তাই নবরাত্রি পালন করলে শরীর সুস্থ থাকবে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Scientists List: স্ট্যানফোর্ড এলসেভিয়ার শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানী তালিকায় ঠাঁই ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষকের

    Scientists List: স্ট্যানফোর্ড এলসেভিয়ার শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানী তালিকায় ঠাঁই ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ার ‘টপ ২ পারসেন্ট সায়েন্টিস্টস লিস্ট’ (Scientists List) ২০২৫। এই বৈশ্বিক ডেটাবেসে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এঁদের র‍্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২২টি প্রধান ক্ষেত্র ও ১৭৪টি উপক্ষেত্রে তাঁদের সাইটেশন ইমপ্যাক্ট অনুযায়ী (PU Teachers)।

    ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষক (Scientists List)

    ২০২৫ সালের তালিকায় মোট ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষক স্থান পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এলসেভিয়ারের সহযোগিতায় যে তালিকাটি তৈরি করেছে, তা স্কোপাস ডেটার ওপর ভিত্তি করে এবং এতে একটি যৌথ উদ্ধৃতি স্কোর ব্যবহার করা হয়েছে, যা সহ-লেখকত্ব ও লেখকের অবস্থান অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়। অর্থাৎ, এটি শুধু বেশি প্রকাশনা নয়, বরং কাজটির প্রভাবের ওপর গুরুত্ব দেয়। বিজ্ঞানীদের র‍্যাঙ্ক করা হয়েছে একটি যৌগিক উদ্ধৃতি স্কোরের ভিত্তিতে, যেখানে লেখকত্ব, সহলেখকত্বের সমন্বয় এবং স্ব-উদ্ধৃতির হিসাব রাখা হয়েছে, যাতে প্রভাব মূল্যায়ন আরও ন্যায্য হয়। ২০২৪ সালে ৫৩০০-রও বেশি ভারতীয় বিজ্ঞানী এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

    র‍্যাঙ্কিং কীভাবে কাজ করে

    তালিকাটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘমেয়াদি (ক্যারিয়ার-ভিত্তিক) প্রভাব এবং ২০২৪ সালের এক বছরের উদ্ধৃতি-সংক্রান্ত তথ্য, দুই-ই দেয়। এতে প্রত্যাহৃত গবেষণাপত্রগুলিও ধরা হয় এবং অতিরিক্ত বা ফুলিয়ে-ফাঁপানো উদ্ধৃতি সংখ্যার সংশোধন করা হয়। এ বছরের ডেটাসেটটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের ২,৩০,০০০-এরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (Scientists List)। প্রসঙ্গত, ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এরপর রয়েছে বড় বড় আইআইটিগুলি। দীর্ঘমেয়াদি ডেটাসেটে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা হল—

    আইআইএসসি-১৩৩

    আইআইটি দিল্লি -১০৫

    আইআইটি খড়গপুর – ৯১

    আইআইটি মাদ্রাজ – ৭৫

    আইআইটি বম্বে – ৭০

    আইআইটি রুরকি -৫৬

    আইআইটি কানপুর -৪৯

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদানকারীদের মধ্যে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৪০), ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (৩৯), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (৩৮) এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৮)। এ বছর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় (PU Teachers) ৪৮ জন শিক্ষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট স্থানীয় সাফল্য।

    তালিকার পরিসর

    প্রসঙ্গত, তালিকাটি ২২টি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র জুড়ে তৈরি, যেখানে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং টেকনোলজি সম্পর্কিত বিশেষ শাখাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানের বেশ কিছু সুপরিচিত নামও এতে রয়েছে। চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও এবং অশোক সেন—এই দুজনই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, যারা ভারতীয় বিজ্ঞানকে অনুসরণ করেন তাঁদের কাছে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।বড় গবেষণা কেন্দ্রগুলি সংখ্যার দিক থেকে প্রাধান্য পেলেও, বেশ কিছু ছোট বা ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান—আঞ্চলিক কলেজ, একক ল্যাব ইউনিট এবং বিশেষায়িত গবেষণা কেন্দ্র থেকেও এক বা দু’জন গবেষকের নাম এসেছে। এই বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর প্রভাব কখনও অপ্রত্যাশিত স্থান থেকেও আসতে পারে (Scientists List)।

    ডেটাসেটের ক্ষেত্র

    ডেটাসেটটি ২২টি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র জুড়ে বিস্তৃত, ফলে উপস্থিতি রয়েছে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞানসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে। এখানে দুটি কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একটি হল দীর্ঘ-মেয়াদি কর্মজীবনের প্রভাব এবং একক-বছরের প্রভাব। টপ সায়নেটের অনুসন্ধানযোগ্য ডাটাবেস গবেষকদের প্রোফাইল খুঁজে বের করতে, দাবি করতে এবং আপডেট করতে সাহায্য করে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ সংশোধনের একটি দ্রুত উপায় (PU Teachers)। এই তথ্য ব্যবহার করে সহযোগিতা পরিকল্পনা করুন, কৌশলগতভাবে নিয়োগ করুন এবং যেখানে উদ্ধৃতির গতি বাড়ছে সেখানে অর্থায়নকে টার্গেট করুন।

    অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতার গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড

    প্রতিষ্ঠান ও তরুণ গবেষকদের জন্য স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ তালিকা অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হয়ে উঠেছে। এটি কেবল বৈজ্ঞানিক সাফল্য উদযাপনই করে না, বরং তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণার প্রভাব কীভাবে মাপা হয় তার আরও আন্ডারস্ট্যান্ডিংকে উৎসাহিত করে (Scientists List)। প্রসঙ্গত, স্ট্যানফোর্ড টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীনদের তালিকা হল একটি সরল কিন্তু কার্যকর প্রতিফলন – যা ২০২৫ সালে ভারতের উদ্ধৃত গবেষণার শক্তি কোথায় রয়েছে, তা দেখায়। বড় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইআইটিগুলি মূল অংশ দখল করে রয়েছে, এবং প্রচলিত সীমার বাইরে উৎকর্ষতার (PU Teachers) নতুন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে (Scientists List)।

  • Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের শুরুতেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের কোণায় কোণায় জলযন্ত্রণার ছবি চোখে পড়েছে মঙ্গলবার। বুধবার সকাল থেকে শরতের আকাশে চলছে রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি। আকাশ কখনও পরিষ্কার, কখনও মেঘলা। তবে বৃষ্টি এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু এখনও শহরের বহু রাস্তা জলের তলায়। অলি-গলির ভিতর জল জমে রয়েছে। গতকাল জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও জলে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আজ আবহাওয়া কেমন থাকে তার ওপর নির্ভর করবে শহরের জলছবি।

    শহরের কোথায় কোথায় এখনও জল

    রোদ উঠেছে কলকাতার আকাশে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে নতুন করে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি কলকাতা এবং শহরতলিতে। তবে রাতেও জল জমেছিল কলকাতার বহু অঞ্চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একটি অংশে এখনও রয়েছে জল। গতকাল পার্ক সার্কাসের রাস্তায় জল থইথই করছিল। পার্ক সার্কাসের একটা অংশে জল এখনও নামেনি। এদিকে পাটুলিতেও জল রয়েছে রাস্তায়। এছাড়া মুকুন্দপুরের চিত্রটাও প্রায় এক। গতকাল মিন্টো পার্ক অঞ্চলে এজেসি বোস রোড জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সেখানে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। আজও সেখানে জল পুরোপুরি নামেনি সকালের দিকে। এদিকে চিংড়িঘাটা বা সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় জল নেমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরের শহরতলিতেও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় জল জমেছিল গতকাল। সেই জল নেমেছে। এদিকে অঘটন এড়াতে জল না-নামা পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় পথবাতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গতকাল। এছাড়া স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ (এমজি রোড ক্রসিং থেকে গিরিশ পার্ক), বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, জেএম অ্যাভিনিউতে জল নেমেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

    জল না নামায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

    বুধবার সকালেও পাটুলিতে দেখা গেল, হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে জল ডিঙিয়ে হেঁটে চলেছেন বাসিন্দারা। জল কতক্ষণে নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কলকাতা পৌরনিগম জানায়, দিনরাত কাজ করছেন পৌরনিগমের কর্মীরা। পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর কাজ চলছে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন জলযন্ত্রণার ছবি তাঁরা আগে দেখেননি। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও জল না কমায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। পুজোর মুখে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। আজ ফের বৃষ্টি হলে শহরের পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবেই শঙ্কায় শহরবাসী।

    পুজোর আগে আবার বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বুধবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা অবশ্য সেই পাঁচ জেলার মধ্যে নেই। কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বাঁকুড়া পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও। প্রায় ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৮ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসেই ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ৩৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।তার জেরে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশে । ১৯৮৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হওয়া বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭৪.৪ মিলিমিটার। আর সোমবার রাতে বৃষ্টির পরিমাণ ২৫১.৪ মিলিমিটার।

    শহরবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর মুখে অসুররূপী বৃষ্টি কি সব আনন্দ মাটি করে দেবে?

LinkedIn
Share