Tag: bangla news

bangla news

  • RG Kar Rape Murder: সুপ্রিম-নির্দেশের পরই নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই, সন্দীপের ওপরেও ‘অন্য মাথা’?

    RG Kar Rape Murder: সুপ্রিম-নির্দেশের পরই নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই, সন্দীপের ওপরেও ‘অন্য মাথা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার বাবার লেখা চিঠিতে যে সব ‘সূত্র’ মিলেছে, তা ধরে সিবিআইকে এগনোর নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এরপরই মঙ্গলবার রাতেই নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা কথা বলেন। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছে সিবিআই। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। 

    নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই (CBI)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার পর নির্যাতিতার বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) পাঁচ সদস্যের একটি দল। এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় সেখানে ছিলেন তদন্তকারীরা। চিঠির সূত্র ধরে নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ক্রাইম সিনে তাঁরা কী দেখেছিলেন, সেই বিষয় নিয়েও ফের কথা হয় তদন্তকারীদের। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার শুনানির সময় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবার চিঠিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে গুরুত্ব সহকারে সেটি বিবেচনা করে দেখতে বলেন তিনি। এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার বাবা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা প্রকৃত।’’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা যে যে বিষয়গুলির উত্থাপন করেছিলাম, সেটার জবাব দিয়েছে সিবিআই। চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া কী রকম ছিল, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সিবিআই। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য হাতে এখনও সময় আছে। সিবিআইকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে আমাদের। ওরা ঘুমোচ্ছে না। সত্য উদঘাটনের জন্য ওদের সময় দিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    সিবিআইয়ের রিপোর্ট পেশ

    মঙ্গলবার শিয়ালদা আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা(CBI)। সেই রিপোর্টেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ। উল্লেখিত রিপোর্টে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে আদালতে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, ৯ অগাস্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই সেমিনার রুমে যাননি আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যদিও সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজনকেই দেখা গিয়েছে। এদিকে শিয়ালদা আদালতে সিবিআই যে রিপোর্ট জমা করেছে, তাতে পুলিশের কর্মপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী পুলিশ যেভাবে বয়ান রেকর্ড করেছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে সিবিআই রিপোর্টে।

     অন্য কারও নির্দেশ!

    জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছিল দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে। টালা থানার সেই ৫৪২ নম্বর জিডিতে লেখা হয়, আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমে সেখানকারই এক পড়ুয়া চিকিৎসকের অচেতন দেহ পাওয়া গিয়েছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। দুপুরের মধ্যে এই খুনের ঘটনা সর্বত্র রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছিল। তাহলে কেন ‘অচেতন অবস্থায় দেহ মিলেছে’ বলে উল্লেখ করা হয় জিডি-তে? সিবিআই (CBI) প্রশ্ন তুলেছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতেই কি সেই জিডি? এদিকে সিবিআই বলছে, সন্দীপের উচিত ছিল, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে যত শীঘ্র সম্ভব পুলিশে এফআইআর দায়ের করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই আবহে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে সিবিআইয়ের বক্তব্য, অন্য কারও নির্দেশে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে সন্দীপ ঘোষ এফআইআর করা থেকে বিরত থেকেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সন্দীপের নির্দেশে দেরিতে এফআইআর!

    সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী বলেন, সম্ভবত সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই টালা থানার ওসি দেরিতে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এদিকে, সেই ৯ অগাস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ করে ছিল। তবে, এরপরও এফআইআর হতে হতে পৌনে ১২টা বেজেছিল। অভিযোগ, এর পরেই পুলিশের তৎপরতায় তড়িঘড়ি দাহ করে ফেলা হয় দেহ। এদিকে সন্দীপ ঘোষের ফোন রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হচ্ছে তিনি সেদিন কার কার সঙ্গে কতক্ষণ কথা বলেছিলেন। ধৃত দু’জনেরই কল-লিস্টে বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহভাজন’ নম্বর রয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে মনসা পুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম!

    Durga Puja 2024: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে মনসা পুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে যখন গোটা জেলা মেতে ওঠে, তখন অন্য চিত্র দেখা যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলঘরা গ্রামে। কারণ এই গ্রামের মানুষ দুর্গাপুজোর সময় মনসা পুজোয় মেতে ওঠেন। তাঁরা দেবী দুর্গার আসনে মা মনসাকে বসিয়েই দীর্ঘদিন পুজো করে আসছেন। দুর্গাপুজোর নিয়ম মেনেই এখানে মা মনসা পূজিতা হন। মূলত এখানে মনসা রূপেই দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। পুজোর (Durga Puja 2024) কয়েকটা দিন গ্রামে সকলে মিলে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। মিলন কেন্দ্র হয়ে ওঠে ফুলঘরা গ্রাম।

    একপাশে দেবী লক্ষ্মী, অপর পাশে দেবী সরস্বতী (Durga Puja 2024)

    তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্গার আসনে মা মনসার পুজো হয়ে আসছে ফুলঘরা গ্রামে। পুরনো নিয়ম-রীতি-রেওয়াজ কিছুই বদলায়নি আজও। জনশ্রুতি রয়েছে, বহুকাল আগে ফুলঘরা গ্রামের বহু ব্যক্তি সর্পাঘাতে মারা গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র মানুষ নয়, সর্পাঘাতে অনেক পশুও মারা গিয়েছিল। বহু কিছু করেও সর্পাঘাতে মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা। সেই সময় গ্রামের এক ব্যক্তি গুদর মণ্ডল স্বপ্নাদেশ পান, গ্রামে মনসা পুজো করলেই কেউ আর সর্পাঘাতে মারা যাবে না। এরপর আত্রেয়ী নদীতে একদিন স্নান করতে গেলে মা মনসার কাঠামো ভেসে যেতে দেখেন তিনি। গ্রামবাসীরা সেই কাঠামো তুলে নিয়ে এসে মন্দিরে স্থাপন করে মা মনসার পুজো (Mansa Puja) শুরু করেন। প্রথমে শ্রাবণ মাসে এই পুজো শুরু হয়। গোটা এলাকায় কোনও দুর্গাপুজো না হওয়ায় সেই পুজোর সময়টা বদলে শারদোৎসবে মা মনসার পুজো শুরু হয়। সেই থেকে দুর্গার আসনে মা মনসার পুজো করে আসছে ফুলঘরা বারোয়ারি মনসা পুজো কমিটি। পুজোর কয়েকটা দিন চণ্ডী ও মনসামঙ্গল গান হয়। সকলের আত্মীয়রা গ্রামে আসেন। এখানে মা মানসার একপাশে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। অপর পাশে থাকেন দেবী সরস্বতী। পুজোর চার দিন নিয়ম মেনে গ্রামের সকলে নিরামিষ খাবার খান।

    নাটক থেকে শুরু করে যাত্রাগান (Durga Puja 2024)

    আজও এই পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। বহিরাগত শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা পুজো প্রাঙ্গণে নাটক থেকে শুরু করে যাত্রাগান অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর কয়েকটা দিন মেলা বসে ফুলঘরা গ্রামে। এতদিন ছোট মণ্ডপেই পুজো হত মা মনসার৷ তাই ছোট মন্দিরটি ভেঙে বড় করা হচ্ছে বর্তমানে। মন্দির তৈরির কাজ চলছে। এবিষয়ে ভজন মণ্ডল জানান, তাঁদের পূর্বসূরি গুদর মণ্ডল এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁদের জায়গাতেই পুজোটা হয়। তবে এখন বারোয়ারি হিসেবেই পুজোটা হয়। বংশ পরম্পরায় পুরোহিত ও মৃৎশিল্পীর কাজ করে আসছে নির্দিষ্ট পরিবার। পুজোর বায়না দিতেও হয় না বা ডাকতে হয় না। সময়মতো চলে আসেন সকলেই। এখনও পুজোতে (Durga Puja 2024) আগের কাঠামোর বাঁশ দিতে হয়। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিভোর সরকার বলেন, ‘‘পুজোর কয়েকদিন আগে গ্রামে ফিরে আসে সব বাড়ির ছেলেমেয়েরা। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। মানত করেন তাঁরা। মানত পূরণ হলে মাকে বিভিন্ন অলংকার দেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Press Club: বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন, আমেরিকায় সাংবাদিককে নিগ্রহ কং সমর্থকদের

    US Press Club: বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন, আমেরিকায় সাংবাদিককে নিগ্রহ কং সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সফরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রত্যাশিতভাবেই ভিড় করেছিলেন সাংবাদিকরা। সেই অনুষ্ঠানেই এক সাংবাদিককে আক্রমণ করে বসেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। আক্রান্ত সাংবাদিকটি হলেন ‘ইন্ডিয়া টুডে’র রোহিত শর্মা। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের সদস্য। তাঁর ‘অপরাধ’, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন স্যাম পিত্রোদাকে তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এর পরেই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে আক্রমণ করেন। এভাবে সাংবাদিককে হেনস্থার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মার্কিন প্রেস ক্লাবের বিবৃতি (US Press Club)

    এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দিল আমেরিকার প্রেস ক্লাব (US Press Club)। বিবৃতিতে ডালাস এলাকার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এনপিসি-র প্রেসিডেন্ট এমিলি উইলকিন্স জানান, ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, তখন শর্মা ডালাস এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটি হোটেলে পিত্রোদার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া টুডে’র ওই সাংবাদিক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন।

    নিগ্রহের শিকার সাংবাদিক

    সাক্ষাৎকারের সময় আইওসি-র বেশ কয়েকজন সদস্য ও কংগ্রেস কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শর্মা যখন তাঁর শেষ প্রশ্ন করেন, তখন উপস্থিত কয়েকজন আপত্তি জানান। তাঁকে বাধা দিয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। ধাক্কাধাক্কিও করা হয় তাঁকে। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর ফোন। অভিযোগ, ওই দলে থাকা রাহুল গান্ধীর কর্মীরা শর্মার ফোন থেকে কিছু ফাইল মুছে দিয়েছিলেন। তার পরেই ফেরত দেওয়া হয়েছিল ফোনটি।’

    আরও পড়ুন: দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ভোটগ্রহণ শুরু ২৪ আসনে

    পরে অবশ্য পিত্রোদাকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি পরে শর্মার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। উইলকিন্স বলেছিলেন, “নিরাপত্তা কর্মীদের অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা সাংবাদিকরা তিনি যে দেশেরই হোন না কেন, তিনি প্রথম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত। শর্মার ফোন বাজেয়াপ্ত করা, বিষয়বস্তু মুছে ফেল ঠিক হয়নি। এটা একটা অননুমোদিত একটি (US Press Club) কাজ।”

    ঘটনায় কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “তারা (কংগ্রেস) মহব্বত কি দুকান চালাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের এক সাংবাদিকক আমেরিকায় কংগ্রেসের নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হচ্ছে। ভারতের এক সন্তানকে আমেরিকায় অপমান করা হয়েছে (Rahul Gandhi)। যারা মত প্রকাশের দাবিদার, তারা বর্বরতায় লিপ্ত হয়েছে (US Press Club)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prachand LCH: হ্যালের তৈরি ৪টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কিনছে নাইজিরিয়া

    Prachand LCH: হ্যালের তৈরি ৪টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কিনছে নাইজিরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে ভারত। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রির উপরে ভারত বিশেষ নজর দিয়েছে। এবার ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল (HAL) ‘প্রচণ্ড’ লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH) রফতানি করতে চলেছে। নাইজিরিয়ায় চারটি ‘প্রচণ্ড’ হেলিকপ্টার (Prachand LCH) প্রথম রফতানি করা হবে। শীঘ্রই এই বিষয়ে নাইজিরিয়ার (Nigeria) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে বলে, হ্যাল সূত্রে খবর।

    হ্যালের সঙ্গে চুক্তি সময়ের অপেক্ষা

    রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালের (HAL) এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, নাইজিরিয়ার সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। সম্প্রতি রোটারি উইং অ্যাকাডেমিতে নাইজিরিয়ার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ধ্রুব হেলিকপ্টারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ তাঁদের লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Prachand LCH) চালনার জন্য প্রস্তুত করেছে। অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ধ্রুব হেলিকপ্টারের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে এলসিএইচ প্রচণ্ড-কে। ধ্রুব মূলত ইউটিলিটি কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে এলসিএইচ প্রধানত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক এবং অ্যান্টি-পার্সোনেল হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই হেলিকপ্টারে সামনে রয়েছে ৭০ মিমি বন্দুক, যা মিনিটে ১ হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়তে সক্ষম। এছাড়া, দুদিকের ডানায় রয়েছে রকেট-পড। এর পাশাপাশি, এই হেলিকপ্টার থেকে আকাশ-থেকে ভূমি ‘ধ্রুবাস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করাও যায়।

    দেশে তৈরি প্রথম এলসিএইচ ‘প্রচণ্ড’ (Prachand LCH)

    দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি দেশের প্রথম লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার হল ‘প্রচণ্ড’ । ৫০০০ থেকে ৬০০০ হাজার মিটার উচ্চতায় এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার টেক অফ এবং ল্যান্ড করতে পারে। টুইন ইঞ্জিন সম্পন্ন ৫.৮ টন ক্লাসের এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৬৮ কিলোমিটার এবং রেঞ্জ ৫৫০ কিলোমিটার (Prachand LCH)। নাইজিরিয়ার (Nigeria) সশস্ত্র বাহিনী এই অ্যাটাক হেলিকপ্টারকে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম এবং উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলে অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চায়।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার! ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের খরচে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

    দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির অঙ্ক বাড়ছে

    কেন্দ্রে মোদি (PM Modi) সরকার আসার পর থেকেই ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির অঙ্ক বাড়ছে প্রতি বছরই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (Prachand LCH) করেছিল ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। হ্যাল (HAL) সেই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে চলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alzheimer’s Disease: মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    Alzheimer’s Disease: মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিচ্ছে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার সমস্যা। বিশ্ব জুড়ে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর জেরে জীবনযাপনের মান কমছে। স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও অ্যালজাইমারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই রোগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, রোগ নির্ণয় না হওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী অ্যালজাইমার (Alzheimer’s Disease) আক্রান্ত কিনা, তা বুঝতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। পাশপাশি এই রোগ নিরাময়ে নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তাই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই প্রথম পর্যায়েই রোগ নির্ণয় করতে পারলে, নানান থেরাপির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে নয়া গবেষণা? (Alzheimer’s Disease)

    বিশ্ব জুড়ে অ্যালজাইমার নিয়ে একাধিক গবেষণা চলছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান-এর একদল চিকিৎসক-গবেষক জানিয়েছেন, অ্যালজাইমারের মতো রোগের কিছু উপসর্গ চল্লিশ বছরের পরেই স্পষ্ট হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই ধরনের উপসর্গকে অবহেলা করেন। কিন্তু সেই উপসর্গ দেখা দিলে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে ওই ব্যক্তির অ্যালজাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কতখানি! তাহলে নানান থেরাপির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করা সহজ হয়। ওই চিকিৎসক-গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    অ্যালজাইমার্স কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, অ্যালজাইমার (Alzheimer’s Disease) হল মস্তিষ্কের স্নায়ুঘটিত এক ধরনের সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের একাধিক স্নায়ু কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে, ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। নিজের পরিচয়, নাম এগুলোও আক্রান্ত ভুলে যান। আস্তে আস্তে শরীরের ক্ষমতাও হারিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ষাট বছরের পরে অধিকাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ওই আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চল্লিশের পরে এই রোগের কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়। কিন্তু কোন লক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে গবেষণা?

    দিনের সাধারণ ঘটনা মনে থাকছে তো!

    সাম্প্রতিক ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দিনের খুব সাধারণ ঘটনা মনে থাকছে কিনা সেদিকে খেয়াল করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চল্লিশের পরে অনেকেই খুব সাধারণ জিনিস ভুলে যান। অনেক সময়েই কাজের চাপে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কিন্তু অ্যালজাইমারের মতো রোগের অন্যতম উপসর্গ এই ভুলে যাওয়া। তাই খেয়াল রাখা জরুরি চল্লিশোর্ধ ব্যক্তি নিয়মিত সাধারণ জিনিস ভুলে যাচ্ছেন কিনা। ওই গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, দশ মিনিট আগে ঘটনা কোনও ঘটনা, হয়তো কাঁচের গ্লাস ভেঙে যাওয়া কিংবা পরিবারের কোনও সদস্যের বাইরে যাওয়ার মতো কথা একেবারেই মনে করতে না পারলে, নিয়মিত এই ধরনের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়লে সতর্ক হতে হবে। এটা অ্যালজাইমারের লক্ষণ।

    বারবার মেজাজ বদল বিপজ্জনক! (Alzheimer’s Disease)

    পরিবারের চল্লিশোর্ধ্ব সদস্যের বারবার মেজাজ বদল হলে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, হঠাৎ করেই রেগে যাওয়া, অকারণে উত্তেজিত হয়ে থাকা, সামান্য বিষয়েও বিরক্তি বা মারাত্মক উদ্বিগ্ন হয়ে থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মস্তিষ্ক নানান আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত দ্রুত এই মেজাজ বদল ইঙ্গিত দিচ্ছে মস্তিষ্ক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

    ঘরের জিনিস রাখা মনে থাকছে কি?

    গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘরে কোথায় কোন জিনিস রাখা হয়, সেটা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে (Problems in Mid-forties) মনে থাকছে কিনা সেটা খেয়াল করা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, রান্নাঘরে চা তৈরির সামগ্রী কোথায় থাকে কিংবা ব্যাঙ্কের ডকুমেন্ট আলমারির কোথায় রাখা হয়, সেটা মনে রাখতে পারছেন কিনা সে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠে পা দেওয়ার আগেই অনেকে এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মনে রাখতে পারছেন না। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বেশ কিছু নির্দিষ্ট থেরাপি রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত রোগ (Alzheimer’s Disease) নির্ণয় হলে মোকাবিলা সহজ হবে। দরকার সচেতনতা। তবেই অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট রুখতে পারবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, ফের পথে নামছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, ফের পথে নামছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ধর্না অবস্থানের শেষ দিনের মঞ্চ থেকেই আগামীদিনে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP) একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার থেকে টানা দু’সপ্তাহ ব্যাপী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করছে পদ্ম শিবির। এদিন দমদম নাগেরবাজারে আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্ব বিক্ষোভ মিছিল হবে। একই দাবিতে এদিন নিজের খাসতালুক কাঁথিতে পথে নামতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে শুধুমাত্র আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোই নয়, আরজি করের ঘটনায় আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।

    বুধবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি বিজেপির। ‘থানা সাফাই’ অভিযানেরও ডাক দিয়েছে। ঝাঁটা আর গঙ্গাজল দিয়ে ২৩ তারিখ এই অভিযান করবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ তারিখ কালীঘাট চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার কর্মসূচির প্রথম দিন বিকেলে কাঁথির ভবতারিণী মন্দির থেকে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল শেষে পথসভাতেও বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, এদিন বিকেলেই দমদমের নাগেরবাজার থেকে সেন্ট মেরি স্কুল পর্যন্ত বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    এমনিতেই আরজি কর ইস্যুতেই প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ। এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরাও পথে থাকতে চাইছেন। এই আন্দোলন প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের এখন দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। যতদিন না পর্যন্ত এই ঘটনায় যারা জড়িত তারা কঠোর শাস্তি পাচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন ততদিন পর্যন্ত বিজেপি রাস্তায় থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pager Blast: লেবাননে একের পর এক পেজার হামলা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আহত ৪ হাজার

    Pager Blast: লেবাননে একের পর এক পেজার হামলা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আহত ৪ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননে লাগাতার পেজার বিস্ফোরণে (Pager Blast) মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। আহতের সংখ্যা চার হাজার ছুঁইছুঁই। সিরিয়াতেও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত হিজবুল্লা (Hezbollah) জঙ্গি সংগঠনকেই নিশানা করে এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলকেই (Israel) দোষারোপ করেছে হিজবুল্লা। হামলার পরই লেবাননের (Lebanon) সরকার সাধারণ মানুষকে পেজার ফেলে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া রেডিও এবং ট্রান্সমিটারও বিস্ফোরিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ধরনের কোনও যন্ত্রই  আপাতত ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। 

    পেজার কী?

    পেজার (Pager Blast) হল যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম একটি ডিভাইস। মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসাবে পেজারের ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এই ডিভাইস ব্যবহার করে। লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না এই পেজারে। হাতে বা পকেটে করে পেজার নিয়ে ঘোরা যায়। সেই পেজারের মধ্যেই বিস্ফোরক রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে খবর। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে বহুল ব্যবহার হত পেজারের। পেশাদার লোকজন অফিসের বাইরেও একে অপরকে দ্রুত কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য পেজার ব্যবহার করতেন। জরুরি পরিষেবাগুলিতে চিকিৎসক, নার্সদের কাছে এটি একটি দরকারি ডিভাইস ছিল। মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেজারের ব্যবহার কমতে থাকে। আজকাল আর কেউ পেজার ব্যবহার করে না। স্মার্টফোনেই কলিং, মেসেজ  থেকে ইন্টারনেটের যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার! ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের খরচে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

    কেন হামলা?

    লেবাননে (Lebanon) পর পর পেজার বিস্ফোরণের (Pager Blast) পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলেই দাবি হিজবুল্লার। গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন করে হিজবুল্লা। ইজরায়েলের উপরে হামলাও চালিয়েছে এই গোষ্ঠী। তাদের সন্দেহ, বদলা নিতেই এবার পেজার হ্যাক করে লাগাতার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে ইজরায়েল। দাবি করা হচ্ছে, লেবাননের রাজধানী এবং তার সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় পড়ে শয়ে শয়ে মানুষ। কারও হাত উড়েছে, কারও আবার পা। কেউ আবার চোট পেয়েছেন মাথায়। পরিজনদের খোঁজে উদ্ভান্তের মতো চারপাশ দৌড়তেও দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। সামান্য সময়ের পর পর বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত লেবানন এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ জনজীবন। সরকারি সূত্রে খবর, এই হামলায় হিজবুল্লার একাধিক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের তালিকায় রয়েছে এক কিশোরীও। ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজিতবা আমানি আহত হয়েছেন এই হামলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: অষ্টম শ্রেণির বইয়ে আরএসএস নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য! প্রকাশকের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে সঙ্ঘ

    RSS: অষ্টম শ্রেণির বইয়ে আরএসএস নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য! প্রকাশকের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে সঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অষ্টম শ্রেণির বইয়ে ‘ইতিহাস বিকৃত’ করার অভিযোগ তুলল বিজেপি। একটি প্রকাশক সংস্থার ইতিহাস বই নিয়েই এই বিতর্ক সামনে এসেছে। অভিযোগ, আরএসএস এবং সঙ্ঘের দ্বিতীয় সর-সঙ্ঘচালক গোলওয়ালকারের সম্পর্কে ‘ভুল’ তথ্য দেওয়া হয়েছে ওই বইতে। এনিয়ে রবিবারই নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ওই প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে পোস্ট করেন। ‘বিকৃত ইতিহাস’ বদল না করলে মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। অন্যদিকে, আরএসএস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাচ্ছে। একথা জানিয়েছেন সঙ্ঘ নেতা (RSS) জিষ্ণু বসু। সঙ্ঘের পক্ষে জিষ্ণু বসু বলেন, ‘‘আমরা যে বইটি পেয়েছি, সেই প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধেই আইনি পথে যাচ্ছি। আর কোন কোন বইয়ে এ সব রয়েছে, সেটা বরং তাঁরা আদালতে গিয়ে বলবেন!’’

    মূল অভিযোগ

    প্রকাশনা সংস্থার অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের সহায়িকা বইয়ের একটি অধ্যায় রয়েছে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও দেশভাগ’। সেখানে লেখা হয়েছে ‘‘হিন্দু মহাসভার মতো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের শক্তি বাড়তে থাকে। তা ছাড়া কংগ্রেসে মদনমোহন মালব্যের মত গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী নেতাদের (RSS) কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক মুসলিম নেতার দূরত্ব বৃদ্ধি পায়।’’ এর পাশাপাশি ওই বইয়েই ভারতে ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বৈশিষ্ট্য ও উত্তরের পটভূমি’ শীর্ষক অংশে ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা’ নিয়ে একটি আলোচনায় লেখা হয়েছে, ‘‘হিন্দু সংগঠনগুলিও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পটভূমি রচিত হয়েছিল। আর্য সমাজ, হিন্দু মহাসভা, আরএসএস প্রভৃতি সংগঠনগুলি হিন্দুধর্ম বিপন্ন বলে প্রচার করে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেছিল।’’ এর সঙ্গে আরও সংযোজন করা হয়েছে, ‘‘বিনায়ক দামোদর সাভারকর, এসএস গোলওয়ালকর (এমএস গোলওয়ালকর) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানান তথ্য প্রচার (Hindu Nationalism) করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করেছিলেন।’’

    কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

    এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হিন্দুদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে (RSS) বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য, বীর সাভারকারের মত ব্যক্তিত্বদের। হিন্দু মহাসভা, আর্য সমাজ, আরএসএসের মতো সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো এখানেও মগজধোলাই শুরু হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘করোনাকালে বসিরহাট থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা আরএসএস দফতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সেবামূলক কাজে যোগ দেন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS)। দেশভাগের বিরোধিতাও করেছিল সঙ্ঘ। সেই সঙ্ঘ সম্পর্কে এই ধরনের ভুল ধারণা স্কুলপড়ুয়াদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত (Hindu Nationalism) মানা যায় না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ভোটগ্রহণ শুরু ২৪ আসনে

    Jammu Kashmir: দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ভোটগ্রহণ শুরু ২৪ আসনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তায় এক দশক পর বুধবার শুরু হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন৷ সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বুধবার প্রথম দফার ২৪ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বুধবারের ভোটগ্রহণ পর্বে সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের বিধাসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় নির্বাচনী (Kashmir Assembly Election 2024) এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’

    নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা উপত্যকা (Jammu Kashmir)

    নির্বাচনের (Kashmir Assembly Election 2024) কারণে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকাকে। বিগত কয়েক দিন ধরে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেই কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা সাজিয়েছে প্রশাসন। সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ— নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে বহু স্তরে। নির্বাচন শুরু হতেই এক্স বার্তায় কাশ্মীরিদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, ‘‘শুধুমাত্র দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন সরকারই সন্ত্রাসমুক্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) তৈরি করতে পারে৷ সেখানকার নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতে পারে এবং উন্নয়ন কাজের গতি বাড়াতে পারে। আজ, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদের কাছে আমার আবেদন, এমন একটি সরকার গঠনের জন্য বিপুল সংখ্যক ভোট দিন, যা এলাকার যুবকদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের অবসানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    সুষ্ঠু নির্বাচন লক্ষ্য কমিশনের

    নির্বাচন (Kashmir Assembly Election 2024) কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ভোটার সংখ্যা ২৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৮০ জন। উপত্যকায় সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে বদ্ধ পরিকর কমিশনও। একই সঙ্গে ভোটদানে সর্বাধিক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় তারা। সেই মতো একাধিক পদক্ষেপও করেছে কমিশন এবং পুলিশ। যেখানে যেখানে ভোট, সেই সব এলাকায় চলছে রুটমার্চও। বুধবার, জম্মুতে আটটি এবং কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ১৬ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মঙ্গলবারই ছিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। এই দিনই বিকাল চারটে থেকে জেনারেল বডির বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে এবং এরপরেই তাঁদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আন্দোলন (RG Kar) চালিয়ে যাওয়ার কথাই এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ সব দাবি পূরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের দাবি মতো স্বাস্থ্য সচিব, ডিসি সেন্ট্রাল – এই দুজনকে সরানো হয়নি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করার বদলে রাজ্য মহিলা ডাক্তার-নার্সদের রাতে ডিউটি দেবেনা বলেছে, এরফলে নারী-পুরুষ বৈষম্য তৈরি হবে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা (Junior Doctor)।

    জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি (RG Kar)

    প্রসঙ্গত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচটি দাবি। তাঁদের প্রথম দাবি, আরজি কর কাণ্ডের বিচার। দ্বিতীয় দাবি, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, যদিও তিনি এখন জেলে, (রাজ্য অবশ্য সন্দীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছিল)। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার অপসারণ। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার বদলি হলেও, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে সরায়নি রাজ্য।

    জুনিয়র ডাক্তারদের তৃতীয় দাবি ছিল, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ, এর পাশাপাশি ডিসি নর্থ ও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ। মঙ্গলবার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে এসটিএফের এডিজি করা হয়। ডিসি নর্থ থেকে সরিয়ে অভিষেক গুপ্তকে ইএফআর-এ পাঠানো হয়। কিন্তু, ডিসি সেন্ট্রাস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে সরানো হয়নি।

    চতুর্থ দাবি, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্য়বস্থা জোরদার করা। যা এখনও সম্পন্ন হয়নি। এই নিয়ে মঙ্গলবারের সুপ্রিম-শুনানিতেও ভর্ৎসিত হয়েছে রাজ্য। পঞ্চম দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর ভীতি প্রদর্শনের সংস্কৃতি বন্ধ করা। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি নাকি থ্রেট কালচার সম্পর্কে জানতেন না। 

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের (Junior Doctor) কথায়, ‘‘মহিলা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের রাতের পরিবর্তে দিনের ডিউটি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য তার আমরা বিরোধিতা করছি। এর ফলে নারী-পুরুষ বৈষম্য তৈরি হবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে শুধু নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে হাসপাতালের সুরক্ষা সম্ভব নয়। বহু হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ থাকে না। ফলে কাজ করতে গিয়ে রোগীর পরিজনদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়। তাই নিরাপত্তা-সহ এই দাবিগুলি যাতে দ্রুত পূরণ হয়, তা নিয়ে আরও আলোচনা জরুরি।’’ আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি কিংবা নিরাপত্তারক্ষী এখনও মোতায়েন হয়নি। বহু জায়গায় নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। কাজে ফেরার আগে এগুলো পূরণ হওয়া জরুরি।’’

    কী বলছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ ডাক্তার অনিকেত

    ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘হাসপাতালগুলিতে একাধিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আমরা কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠনের দাবি করেছিলাম। সেই দাবি অনুযায়ী, একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেটা কীভাবে কাজ করবে, তা আমাদের কাছে এখনও অস্পষ্ট। এছাড়াও, রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশের কপি এখনও পাননি তাঁরা। এই সমস্ত দাবি নিয়েই বুধবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা (RG Kar)। চিঠিতে ফের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share