Tag: bangla news

bangla news

  • Govardhan Puja: আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    Govardhan Puja: আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি ও কালীপুজোর পর্ব মিটে যেতেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয় (Govardhan Puja)। আজ শনিবার ২ নভেম্বর সারা দেশ জুড়ে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো। এই উৎসবে সাধারণত কৃষ্ণভক্তরা অংশগ্রহণ করেন এবং এই দিনে তাঁরা ভগবানের উদ্দেশে বিশেষ প্রার্থনাও করেন। গোবর্ধন পুজোর দিনে অনেকে বাড়িতে গোবর থেকে গোবর্ধন (Govardhan Puja) পাহাড়ের মূর্তিও তৈরি করেন এবং ভগবান কৃষ্ণের জন্য বিশেষ পুজো করা হয়। এই দিনেই নতুন ফসল থেকে অন্নকূটও দেওয়া হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পুজোয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Lord Krishna) প্রসন্ন হন এবং তাঁর আশীর্বাদে ঘরে কখনও খাবারের অভাব হয় না।

    গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) পৌরাণিক আখ্যান

    মনে করা হয়, বিশেষ এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন ভক্তরা। মথুরা-বৃন্দাবন সহ উত্তর ভারতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গোবর্ধন পুজো। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতেই এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দীপাবলির ঠিক পরের দিনে গিরি গোবর্ধনকে তাঁর আঙুলের ডগায় তুলেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং সেই গোবর্ধন পাহাড়ের নিচেই আশ্রয় নিয়েছিলেন বৃন্দাবনের সকল মানুষ। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, তারপর থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো করতেন বৃন্দাবনবাসী। ভালো বর্ষা ও উৎকৃষ্ট মানের ফসলের আশাতেই চলত এই পুজো। বৃন্দাবনবাসীরা ছিলেন অত্যন্ত গরিব, তাই দেবরাজ ইন্দ্রের পুজোর জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ ভোগ নিবেদন করতে হত, যা শ্রীকৃষ্ণের পছন্দ হয়নি। শ্রীকৃষ্ণ মনে করতেন, সেই ভোগ ইন্দ্রকে না দিয়ে বৃন্দাবনের গরিবদের খাওয়ানো উচিত। এর পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণের কথা মেনে নেন বৃন্দাবনবাসী এবং ইন্দ্রের পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তখনই দেবরাজ ইন্দ্র প্রচন্ড ক্ হন বৃন্দাবনবাসীর ওপর। এরপরেই বৃন্দাবনের সাধারণ মানুষের ওপর রেগে গিয়ে প্রবল বৃষ্টি নামান দেবরাজ ইন্দ্র। বৃষ্টিতে বৃন্দাবন তখন ভেসে যাচ্ছে, তখন একথা জানতে পেরে বৃন্দাবনবাসীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। নিজের আঙুলের ডগায় গোবর্ধন পাহাড়কে অনায়াসে তুলে ফেলেন তিনি। বৃষ্টির হাত থেকে বৃন্দাবনবাসী বাঁচতে গোবর্ধন পাহাড়ের নিচে আশ্রয় নেয়। এরপরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে প্রবল বৃষ্টি বন্ধ করেন দেবরাজ ইন্দ্র।

    পালিত হয় অন্নকূট উৎসবও

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনটিতে অন্নকূট উৎসবও পালন করতে দেখা যায় অনেককে। এই দিনে, প্রত্যেকে তাঁদের বাড়ি থেকে চাল, ডাল, শাকসবজি এবং অন্যান্য খাবারের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবার সংগ্রহ করে এবং এক জায়গায় রাখেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে (Lord Krishna) অর্পণ করে। এর সঙ্গে, ভগবানকে ৫৬ ভোগের একটি বিশেষ নৈবেদ্যও দেওয়া হয়। ৫৬ ভোগ মানে দিনের ৮ ঘণ্টা অনুসারে প্রতি ঘন্টায় ৭ প্রকারের খাবার ভগবানকে নিবেদন করা হয়। এই নৈবেদ্য ভগবান কৃষ্ণের (Govardhan Puja) প্রতি ভালোবাসা এবং উৎসর্গের প্রতীক। কলকাতার বহু মন্দির ও পরিবারেও অন্নকূট উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় বাগবাজারের মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে ১১৫ রকমের রান্না করা, ১২০ রকমের মিষ্টির ভোগ অর্পণ করা হয়ে থাকে। মোচা, থোড়, কুমড়ো এসব তো থাকেই, এর পাশাপাশি ফুচকা, আইসক্রিমও অর্পণ করেন অনেকে। আসলে, গোবর্ধন পুজোর দিনে যে অন্নকূট উৎসব হয় তা হল সম্পদ এবং প্রাচুর্যের প্রতীক। মনে করা হয়, এই দিন অন্নকূট উৎসব পালন করলে কোনও অভাব থাকে না।

    জ্যোতিষশাস্ত্রেও উল্লেখযোগ্য দিন

    গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) এই বিশেষ দিনটি জ্যোতিষ শাস্ত্রেও অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিনে কিছু কাজ করা হলে সৌভাগ্য আসতে পারে বলেই ধারণা অনেকের। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, গোবর্ধন পুজোর দিন, গরুকে স্নান করিয়ে দেওয়ার পরে তিলক লাগিয়ে, ৭ বার প্রদক্ষিণ করলে অর্থভাগ্য ফিরে যায়।

    গোবর্ধন পুজোর তাৎপর্য

    গোবর্ধন পুজোতে ভারতীয় সভ্যতা ও পরম্পরার প্রতিফলনও দেখা যায়।

    প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা: গোবর্ধন পুজোর দিনটি আমাদের প্রকৃতিমাতাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়। প্রকৃতির ভরপুর সংস্থানকেও পুজো করতে শেখায়। তার কারণ, পাহাড়, নদী, অরণ্য অথবা মাঠ এগুলি থেকে আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্য, পানীয় ও এবং বাসস্থানের বন্দোবস্ত হয়। তাই বর্তমান যুগে গোবর্ধন পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিদেবীকে রক্ষা করারও একটি বার্তা দেওয়া হয়।

    ভগবানে বিশ্বাস:  গোবর্ধন পুজো, আমাদেরকে শেখায় যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, বৃন্দাবনের সাধারণ মানুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ওপরে ভরপুর ভরসা করেছিল, ইন্দ্রদেবের ক্রোধ থেকে বাঁচতে। পরে ভগবানের আশীর্বাদেই বৃন্দাবনে নাগরিকরা সুরক্ষিত হন।

    অহঙ্কার না করা: গোবর্ধন পুজো আমাদের অহঙ্কার না করতে শেখায়। নিজের ক্ষমতার দম্ভে বৃন্দাবনবাসীর ওপরে প্রয়োগ করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র এবং এর মাধ্যমেই তিনি বৃন্দাবনবাসীর ওপর বদলা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রের সেই দর্পকে চূর্ণ করেন। আমাদের সর্বদাই মনে রাখতে হবে, অহঙ্কার এবং দম্ভ বিনাশের কারণ হয়।

    গোবর্ধন পাহাড়ের চারিপাশে ভক্তদেরকে হাঁটতে দেখা যায়

    গোবর্ধন পুজো সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। মথুরা এবং বৃন্দাবনে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল এই উৎসব। এই দিন কৃষ্ণভক্তরা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের পালন করে থাকেন। গোবর্ধন পাহাড়ের চারিপাশে ভক্তদেরকে হাঁটতে দেখা যায়। সেখানেই তাঁরা প্রার্থনা জানান ও মন্ত্র পাঠ করেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করেন। এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাদের সমর্পণভাব।

    এই দিন গো মাতারও পুজো করেন অনেকে

    হিন্দু ধর্মে গরুর এক আলাদা মর্যাদা রয়েছে। গোবর্ধন পুজো হল সেই দিন, যেদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গরুকে পুজো করে। বিভিন্ন গ্রাম এবং গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে এদিন গরুকে স্নান করানো হয়। ফুল দিয়ে পুজো করা হয়। গরুকে বিশেষ খাবার খেতে দেওয়া হয়। এই আচার অনুষ্ঠানই প্রতিফলিত করে যে ভারতীয় সভ্যতা,সংস্কৃতি ও কৃষিক্ষেত্রে গরু ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মহারাষ্ট্রে বর্ষগণনা শুরু হয়

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে গোবর্ধন পুজো বালি প্রতিপদ নামে পরিচিত। এই দিনে সেখানে নতুন বছরেরও সূচনা হয় বলে মনে করা হয়। মারাঠীরা তাঁদের স্ত্রীদের বিশেষ উপহার প্রদান করেন এই বিশেষ দিনে। দম্পতিরা নিজেদের সমৃদ্ধি ও সুখী জীবনের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন।

    গুজরাতের গোবর্ধন পুজো

    গুজরাতে গোবর্ধন পুজোর বিশেষ স্থান রয়েছে। এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বিশেষ ভোগ অর্পণ করেন গুজরাতিরা এবং নানারকমের আধ্যাত্মিক ও ভক্তিগীতিতে ভরে ওঠে কৃষ্ণ মন্দিরগুলি। বিশেষ কিছু অঞ্চলে মাটির তৈরি গোবর্ধন পাহাড়ের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয় এবং তা পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Threat in Train: চলন্ত ট্রেনে বোমার হুমকি! মাঝপথে থামল বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস, আতঙ্কে যাত্রীরা

    Bomb Threat in Train: চলন্ত ট্রেনে বোমার হুমকি! মাঝপথে থামল বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস, আতঙ্কে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানে বোমাতঙ্ক (Bomb Threat in Train) ছড়ানোর পর এবার চলন্ত ট্রেনেও এল বোমা রাখার হুমকি। মাঝ পথেই ট্রেন দাঁড় করিয়ে চলল তল্লাশি। আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। ১২৫৬৫ বিহার-সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস ট্রেনে বোমা রাখার উড়ো খবর আসতেই আতঙ্ক ছড়ায়। তল্লাশির পর কিছু না মেলায় ট্রেন ফের গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।

    দিল্লিগামী ট্রেনে তল্লাশি

    বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস (Bomb Threat in Train) দ্বারভাঙা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল শুক্রবার। সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই ট্রেনে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। দিল্লির কন্ট্রোল রুম থেকে খবর আসে, ট্রেনে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি পেয়েছেন তাঁরা। ঝুঁকি না নিয়ে তাই ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ গোণ্ডা স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা গোটা ট্রেন তন্ন তন্ন করে খোঁজেন। কিন্তু কোথাও বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া যায়নি। গোণ্ডার জিআরপি ইনস্পেক্টর নরেন্দ্র পাল সিং বলেন, ‘‘দিল্লির কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার জিআরপি, আরপিএফ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা সতর্ক হন। গোণ্ডা স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বম্ব স্কোয়াড ডেকে তল্লাশি করানো হয়। কিছু পাওয়া যায়নি।’’

    আরও পড়ুন: ভোর ও রাতে ঠান্ডার আমেজ! আগামী সপ্তাহেই কমতে পারে তাপমাত্রা

    সরকারের পদক্ষেপ

    তল্লাশি পর্ব শেষ হলে ট্রেনটি (Bomb Threat in Train) গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এমনকি, ট্রেনের নিরাপত্তারক্ষীরাও বোমার হুমকি পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ভুয়ো বোমাতঙ্ক কে বা কারা ছড়াল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনার পর এবার ট্রেনেও বোমাতঙ্ক ছড়াল। শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক হোটেলেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। রবার এমন ভুয়ো বোমাতঙ্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ratna Bhandar: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ নেই, জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী

    Ratna Bhandar: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ নেই, জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে (Ratna Bhandar) কোনও গোপন সুড়ঙ্গ বা চেম্বার নেই। শুক্রবার ঠিক এই কথাই জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকে নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের মধ্যে সুড়ঙ্গ নিয়ে রহস্যের জট বেঁধেছিল। এবার তার সমাধান সূত্র পাওয়া গেল।

    শীঘ্রই সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ হবে (Ratna Bhandar)

    দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারকে (Ratna Bhandar) ঘিরে ওড়িশায় লোকমুখে নানা গল্প-গুজব তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে সঠিক সমাধানের জন্য ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (এএসআই) পক্ষ থেকে সমীক্ষা করা হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি লেজার স্ক্যানিং করা হয়। লোক মুখে গুজব ছিল যে, ওই জায়গায় সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রচুর ধনরত্ন সঞ্চয় করা আছে। এই সব তথ্যকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এএসআই। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত এবং বিশদ মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে শীঘ্রই সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

    লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ফাটল দেখা গিয়েছে

    আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বিতর্কিত রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) নিয়ে এএসআই-এর চলা সমীক্ষার উপর বিশেষ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ নিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সমীক্ষা এবং অনুসন্ধান চালিয়ে স্পষ্ট জানা গিয়েছে যে, ভিতরে কোনও রকম সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব নেই। তবে লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ভিতরে অনেক ফাটলের চিত্র ধরা পড়েছে। এই সব বিষয়গুলিকে দ্রুত ঠিকঠাক করা হবে। এই রত্ন ভান্ডারের ভিতর বাইরে ক্ষয়ক্ষতির জায়গায়গুলিকে দ্রুত মেরামত করা হবে। এই গর্ভের ভিতরে থাকা মূল্যবান রত্ন, ধন এবং সামগ্রীর দ্রুত গণনার কাজ শুরু হবে। তবে গণনার সময় লক্ষ লক্ষ জগন্নাথ ভক্তের আস্থা এবং বিশ্বাসে যেন আঘাত না পড়ে, সেই দিকগুলিও নজরে রাখা হবে। মন্দিরের পবিত্রতা এবং সম্মানকে সামনে রেখে গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখা হবে। এই কার্তিক মাস পবিত্র মাস, এই মাসে ভগবানকে দর্শন করার জন্য প্রচুর ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে দেখা যায়। তাই আপাতত মেরামতের কাজ স্থগিত রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে একই কাজ শুরু হবে।”

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরে আহত উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিক

    রথ যাত্রার পর থেকে সমীক্ষা শুরু

    উল্লেখ্য রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। তাঁদের কাজ হবে রত্ন ভান্ডার মেরমতের কাজ দেখা, রত্ন, অলঙ্কার সহ মূল্যবান সম্পদের হিসেব রাখা। হিসেব করে রীতিমতো একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে। গত রথযাত্রা উৎসবের পর থেকে এই কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষার কাজটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় গত ২২ সেপ্টেম্বরের থেকে শুরু হয়েছে এবং এখনও তা প্রবাহমান। এই পর্যায়ের কাজ, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার পাণ্ডের নেতৃত্বে ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনজিআরআই) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chess World Record: বয়স সবে সাড়ে তিন! দাবায় বিশ্বরেকর্ড বিস্ময় প্রতিভা কলকাতার অনীশের

    Chess World Record: বয়স সবে সাড়ে তিন! দাবায় বিশ্বরেকর্ড বিস্ময় প্রতিভা কলকাতার অনীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স সবে সাড়ে তিন পেরিয়েছে। তারই মধ্যে সাদা-কালো খোপে দাপট দেখাতে শুরু করেছে কৈখালির ছোট্ট অনীশ। কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসাবে ফিডে রেটিং (Chess World Record) পেল বাংলার খুদে অনীশ সরকার। ভেঙে দিল ভারতেরই তেজস তিওয়ারির রেকর্ড। গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার ছাত্র অনীশ সরকার। এন্টালির সেন্ট জেমস স্কুলের লোয়ার নার্সারির এই পড়ুয়া। অঙ্কই তার ধ্যান-জ্ঞান। দাবার বোর্ড তার স্বপ্ন। ৩ বছরের জন্মদিনে মামা তাকে ভালবেসে দাবা উপহার দিয়েছিল। সেই দাবাই বদলে দিল ছোট মনের কল্পনা।

    কোন পথে বিশ্ব রেকর্ড

    দাবার (Chess World Record) বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ফিডে রেটিং অর্জন করতে হলে কোনও ফিডে রেটিং প্রাপ্ত দাবাড়ুকে হারিয়ে এক পয়েন্ট পেতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ ২৬ মাস সময় দেওয়া হবে, পাঁচজন দাবাড়ুর বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে অক্টোবর মাসে তিনজনের বিরুদ্ধে খেলেই সেই লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছে সাড়ে তিন বছর বয়সি অনীশ। গত মাসে রাজ্য স্তরের অনূর্ধ্ব ৯ এবং অনূর্ধ্ব ১৩ দুটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল অনীশ। অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে একটিও ম্যাচে জিততে পারেনি সে। অনূর্ধ্ব ৯ বিভাগে খেলতে নেমেও প্রথম ম্যাচে হারতে হয়। তবে সেখান থেকে দুরন্ত কামব্যাক খুদে অনীশের। পরপর দুই ম্যাচে ফিডে রেটিংপ্রাপ্ত দাবাড়ুকে চেকমেট করে সকলকে চমকে দেয় বাংলার দাবাড়ু। দুই পয়েন্ট পেয়ে ফিডে রেটিং অর্জন করা নিশ্চিত করে ফেলে সে। মাসের প্রথম দিনেই প্রকাশিত হয়েছে নভেম্বরের ফিডে রেটিং। দেখা যাচ্ছে, ১৫৫৫ পয়েন্ট রয়েছে অনীশের নামের পাশে। এত কম বয়সে আর কোনও দাবাড়ু ফিডে রেটিং অর্জন করতে পারেনি। সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে ফিডে রেটিং পাওয়ার বিশ্বরেকর্ড এতদিন ছিল ভারতেরই তেজস তিওয়ারির দখলে। গত বছরই মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ফিডে রেটিং অর্জন করেছিল সে।

    কোচের আশা

    ছাত্রের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার (Chess World Record) দিব্যেন্দু বড়ুয়া। প্রথমে নিজের অ্যাকাডেমিতে অনীশকে নিতেই চাননি দিব্যেন্দু। কারণ ৫ বছরের আগে তাঁর অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয় না। কিন্তু বারবার গুরুর পরীক্ষায় সফল হয় ছোট্ট অনীশ। দিব্যেন্দু বাধ্য হন তাকে সুযোগ দিতে। এখন অ্যাকাডেমিতেই দিনের ৭-৮ ঘণ্টা কাটে অনীশের। দিব্যেন্দু বললেন, “প্রথম দিন আমি পরীক্ষা নিয়েছিলাম, এখন সেই ছেলে আমাকে বিভিন্ন ঘুঁটি সাজিয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেয়।” দিব্যেন্দু বললেন, “ও বিস্ময় বালক। মাত্র ক’মাস হয়েছে খেলছে। তাতেই বুঝিয়ে দিচ্ছে ও কতটা প্রতিভাধর। তবে ফিডে রেটিং পাওয়াটাই তো সব নয়। এখন অনেকটা পথ যাওয়া বাকি। অনীশ সেটা পারবে। ওর শেখার ইচ্ছা আছে। এখন ও জানতে চায় বিভিন্ন জিনিস। শিখতে চায়। আমাকে জিজ্ঞেস করে দাবা খেলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শব্দের মানে। ও হয়তো এখনই সবটা বোঝে না। কিন্তু বোঝার ইচ্ছেটা রয়েছে পুরো। দিনে সাত-আট ঘণ্টা অ্যাকাডেমিতে কাটায়। খেলা ছেড়ে উঠতে চায় না। আমি মাঝেমাঝে বাড়িতেও ডেকে নিই। আশা করছি আরও অনেক সাফল্য পাবে অনীশ।”

    আরও পড়ুন: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’, জেনে নিন রবিবার ভাইকে টিকা পরানোর শুভ সময়

    গর্বিত মা-বাবা

    অনীশ এতই ছোট যে চেয়ার বসে ঘুঁটিতে হাত পায় না। চেয়ারের উপর হাঁটু মুড়ে বসে দাবা খেলতে হয়। উচ্চতা কম হলেও ইতিমধ্যেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে তাকে নিয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম অনীশের। বাবা স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক। মা গৃহবধূ। অনীশকে নিয়েই সময় কাটে মায়ের। নাম প্রকাশ্যে আনতে অনিচ্ছুক তাঁরা। ছেলের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত হলেও চান না তাঁদের পরিচয় জানুক সকলে। নেপথ্যে থেকেই ছেলেকে এগিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। অনীশের মা-এর কথায়, “অন্য কোনও খেলনার থেকে দাবাটাই মনে হয়েছিল বেশি সুরক্ষিত। ও তো খুব ছোট, কোনও কিছু পেলেই মুখে দেওয়া অভ্যেস। দাবার ঘুঁটিগুলো বড়, তাই মুখে দিলেও গিলে ফেলতে পারবে না। সেই কারণেই দাবা নিয়ে বসিয়ে দেওয়া হত ওকে। ইউটিউব দেখে দেখে খেলা শিখত। আমি খেলতে বসলে ওর সঙ্গে পাঁচ দানও খেলতে পারি না। দাবার প্রতি এই ভালবাসা দেখেই দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে নিয়ে যাই। ওঁর হাতেই তৈরি হচ্ছে অনীশ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Governor CV Bose: জনগণের দরজায় যাবেন রাজ্যপাল, চালু হল ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি

    Governor CV Bose: জনগণের দরজায় যাবেন রাজ্যপাল, চালু হল ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল (Governor CV Bose) চালু করলেন ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ (Apna Bharat Jagta Bengal) কর্মসূচি। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগ নেবে রাজভবন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে দু’বছর পূর্ণ করবেন সিভি আনন্দ বোস। সেই উপলক্ষে একমাসব্যাপী রাজভবনের পক্ষ থেকে ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। এনিয়ে রাজ্যপাল (Governor C V Bose) সিভি বোস বলেন, “মানুষ নিজের সমস্যার সম্পর্কে আমাকে জানাবেন। সেই কারণেই মানুষের পাশে যাচ্ছি, মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। আমি অন্য কারও কোনও প্রকল্পের কপি করছি না।”

    ‘‘বাংলার মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি’’

    একইসঙ্গে রাজ্যপাল (Governor CV Bose) আরও বলেন, “আমার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।” তিনি আরও বলেন, “শেষ দু’বছরে বাংলার মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু দিতে পেরেছি অল্প। আমার যতটুকু করার ছিল, তার তুলনায় অল্প করেছি। এটা আমাকে আরও অনেক কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাকে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার শিক্ষাও দিয়েছে।”

    ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ (Apna Bharat Jagta Bengal) কর্মসূচি –

    ১) এই কর্মসূচির মাধ্যমে ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচির অধীন রাজ্যের মোট ২৫০টি স্থান পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose)।

    ২) রাজ্যের পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose) এবং সেইসব এলাকার হতদরিদ্র মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবেন তিনি।

    ৩) কর্মসূচির অধীনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুল ক্যাম্পাসগুলি পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল বোস।

    ৪) এই কর্মসূচির মাধ্যমে যে কোনও জনতা বা বাসিন্দা চাইলেই রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রাজ্যপাল তাঁর কথা শুনবেন।

    ৫) চালু হবে রাজ্যপালের গোল্ডেন গ্রুপ।

    ৬) চালু হবে রাজ্যপালের স্কলারশিপ প্রকল্প।

    ৭) চালু হবে রাজ্যপালের অ্যাওয়ার্ড স্কিম।

    ৮) এই কর্মসূচিতে ‘অভয়া প্লাস’ নামে কেবলমাত্র মেয়েদের জন্য একটি কোর্স চালু করা হয়েছে। এখানে মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ পড়ানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরে আহত উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিক

    Jammu And Kashmir: জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরে আহত উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দুই জন পরিযায়ী শ্রমিক জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ করছিলেন ওই শ্রমিকরা। প্রকল্পটি চলছে মধ্য কাশ্মীরের বডগাম জেলাতে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা নয় এমন মানুষদের ওপর এটা ছিল ষষ্ঠ হামলা এবং নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরে জম্মু কাশ্মীরে এটা হল তৃতীয় হামলা। প্রসঙ্গত গত ১৬ অক্টোবর ওমর আবদুল্লা জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই দুই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম হল সুফিয়ান এবং উসমান। আহত অবস্থায় তাঁদের ভর্তি করা হয় শ্রীনগর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। একজনের গুলি লেগেছে হাতে ও অপরজনের পায়ে।

    অক্টোবরেই একাধিক হামলা (Jammu And Kashmir)

    হামলার পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা গোটা এলাকাকে সঙ্গে সঙ্গে ঘিরে ফেলেন এবং শুরু হয় সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি। প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর ৩০ বছরের একজন পরিযায়ী শ্রমিককে ওপরে একই ধরনের হামলা চলে। বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিককে নাম ছিল অশোক চৌহান। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ২৪ অক্টোবর, ১৯ বছরের শুভম কুমার নামের উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দাকে একইভাবে হামলা করে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনাটি ঘটে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলাতে।

    ২০২৪ সালের অন্যান্য হামলা (Jammu And Kashmir) 

    এছাড়া চলতি বছরের ৮ এপ্রিল দিল্লির এক ক্যাব চালক রঞ্জিত সিং-এর ওপরেও প্রাণঘাতী হামলা হয়। অন্যদিকে, ৩৫ বছর বয়সি রাজু শাহ যিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা ছিলেন, তাঁকেও গত এপ্রিলে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করে অনন্তনাগে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই পাঞ্জাবের দুজনকে জম্মু-কাশ্মীরে হত্যা করে জঙ্গিরা। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Jammu And Kashmir) ঘোষণা করা হয় জম্মু-কাশ্মীরকে। পর্যটকরা ভিড় জমাতে থাকেন ভূস্বর্গে। ঠিক এই সময়ই বেছে বেছে ভিন্‌রাজ্যের শ্রমিক ও পর্যটকদের ওপর হামলা বাড়াতে থাকে জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 02 November 2024: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 November 2024: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sexist Remark: অশালীন মন্তব্য, অরবিন্দ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের শায়নার

    Sexist Remark: অশালীন মন্তব্য, অরবিন্দ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের শায়নার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য (Sexist Remark) করায় প্রতিদ্বন্দ্বী সেনা গোষ্ঠীর নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন শিবসেনা নেত্রী শায়না এনসি। শায়না বলেন, “এমন (Maharashtra Assembly Elections) মন্তব্য তাঁর দলের মানসিকতাই প্রকাশ করে।

    “ইম্পোর্টেড মাল” (Sexist Remark)

    বিতর্কের সূত্রপাত শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্তের একটি মন্তব্যে। শায়নাকে তিনি “ইম্পোর্টেড মাল” বলে অভিহিত করেছেন। শায়না সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে মহারাষ্ট্র একনাথ শিন্ডে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন। অরবিন্দ বলেন, “তিনি (শায়না এনসি) এতদিন বিজেপিতে ছিলেন। সেখানে টিকিট না পেয়ে তিনি অন্য দলে চলে গিয়েছেন। ইমপোর্টেড মাল এখানে গ্রহণযোগ্য নয়। অরিজিনাল মালই এখানে গ্রহণযোগ্য। আমাদের পণ্য আসল।”

    শায়নার প্রতিক্রিয়া

    সাওয়ান্তের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শায়না এটিকে এক নারীর শালীনতার অবমাননা বলে উল্লেখ করেছেন। শিবসেনা (ইউবিটি) নেতাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শায়না বলেন, “অতীতে নির্বাচন প্রচারের জন্য অরবিন্দ সাওয়ান্ত আমায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আর এখন আমি ইম্পোর্টেড মাল (Sexist Remark)?” তিনি বলেন, “আমি তোমার মাল নই। আমি নাগপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছি।” পরে শায়না তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নাগপাড়া থানায় যান। সেখানে অরবিন্দ সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    শায়না বলেন, নারীদের এই বস্তুকরণ ও অবমাননা কেন? আমিন প্যাটেল (মুম্বাদেবীর কংগ্রেস প্রার্থী) পাশে দাঁড়িয়ে হাসছেন। নারীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা কেন? তিনি বলেন, এটি অরবিন্দ সাওয়ান্ত ও তার দলের মানসিকতার পরিচয় দেয়। তিনি কি মুম্বাদেবীর প্রতিটি নারীকে ‘মাল’ হিসেবে দেখেন? তিনি নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন না। এমন একজন সক্ষম রাজনৈতিক নারীকে এই ধরনের শব্দে বর্ণনা করেন। শায়না বলেন, এখানে তুমি হেরে যাবে। কারণ তুমি মহিলাকে ‘মাল’ বলেছ। আমি পদক্ষেপ নিই বা না নিই, জনতা তোমায় উপযুক্ত জবাব দেবে।

    শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মিলিন্দ দেওরাও সাওয়ান্তের শায়না এনসিকে নিয়ে মন্তব্যের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, অরবিন্দ সাওয়ান্তের শায়না এনসিকে ‘মাল’ বলে অভিহিত করা পুরোপুরি অশোভন (Sexist Remark)। যদি কেউ ‘ইমপোর্টেড মাল’ হয়ে থাকেন, তবে সেটা অরবিন্দ সাওয়ান্ত নিজে। উনি ২০১৪ সালে দক্ষিণ মুম্বইয়ের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলেও পওয়াইয়ে বসবাস করেন (Maharashtra Assembly Elections)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটা নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক আখ্যান, জানেন সেই গল্প?

    Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটা নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক আখ্যান, জানেন সেই গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইফোঁটা (Bhai Phota 2024) বাঙালিদের চিরকালীন সম্প্রীতির উত্‍সব। বাঙালির ঘরে ঘরে ভাই-বোনদের ভিতর এই মিষ্টি-মধুর মঙ্গলময় উৎসব, যার নাম ভাইফোঁটা, সেটিকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো পশ্চিম ভারতে বলা হয় ভাইদুজ। আবার কর্ণাটক, গোয়ায় ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। উত্তরবঙ্গেই ভাইফোঁটাকে বলে ভাইটিকা। হিন্দুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উত্‍সব ঘিরে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনী।  

    যম-যমুনার গল্প

    কথিত, সূর্য ও তাঁর স্ত্রী সংজ্ঞার ছিল যমুনা নামে এক কন্যা ও যম নামে এক পুত্র। পুত্র ও কন্যা সন্তানের জন্মদানের পর সূর্যের উত্তাপ স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে প্রতিলিপি ছায়ার কাছে রেখে চলে যান। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ায় কেউ ছায়াকে চিনতে পারে না। ছায়ার কাছে ওই দুই সন্তান কখনও মায়ের মমতা, ভালবাসা পায়নি। দিনের পর দিন ধরে অত্যাচার করতে থাকে। অন্য দিকে, সংজ্ঞার প্রতিলিপি ছায়াকে বুঝতে না পেরে সূর্যদেবও কোনও দিন কিছু বলেননি। ছায়ার ছলে স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা। এক সময় যমুনার বিয়েও হয়। বিয়ে হয়ে যমের থেকে অনেক দূরে সংসার করতেন যমুনা। দীর্ঘ কাল ধরে দিদিকে দেখতে না পেয়ে মন কাঁদে যমের। মন শান্ত করতে এক দিন দিদির বাড়ি চলে যান যমরাজ। প্রিয় ভাইয়ের আগমনে হাসি ফোটে দিদির মুখেও। দিদির আতিথেয়তা ও স্নেহে মুগ্ধ হয়ে ফেরত যাওয়ার সময় যম একটি বর চাইতে বলেন যমুনাকে। তখন যমুনা বলেছিলেন, এই দিনটি ভাইদের মঙ্গল কামনা চেয়ে প্রত্যেক বোন যেন ভ্রাতৃদ্বিতীয়া হিসেবে পালন করে। সেই বর দান করে যম পিতৃগৃহে চলে যান। যমের মঙ্গল কামনায় এ দিনটি পালন করায় যমরাজ অমরত্ব লাভ করেন। 

    কৃষ্ণ-সুভদ্রার কাহিনী

    আরও এক পৌরাণিক কাহিনিতে বলা হয়েছে, একসময় বালির হাতে পাতালে বন্দি ছিলেন বিষ্ণু। সেইকারণে চরম বিপদের মুখে পড়লেন স্বর্গের সব দেবতারা। কোনও ভাবেই যখন বিষ্ণুকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, ঠিক সেই সময় লক্ষ্মীর উপর সকলে ভরসা করতে শুরু করেন। নারায়ণকে উদ্ধার করা জন্য় লক্ষমী বালিকে ভাই পাতিয়ে ফেলেন। তাকে ফোঁটাও দেন লক্ষ্মী। সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয় তিথি। ফোঁটা পেয়ে লক্ষ্মীকে উপহার দিতে চাইলে লক্ষ্মী তখন বিষ্ণুর মুক্তি চেয়ে উপহার চেয়ে নেন। ভাইফোঁটা নিয়ে কৃষ্ণ ও সুভদ্রার উপাখ্যানও শোনা যায়। কথিত রয়েছে, ধনত্রয়োদশীর পরের দিন চতুর্দশী তিথিতে নরকাসুরকে বধ করেন কৃষ্ণ। তারপর দ্বারকায় ফিরে আসলে বোন সুভদ্রার আনন্দের সীমা থাকে না। কৃষ্ণের আদরের বোন হল সুভদ্রা। কৃষ্ণকে অনেকদিন পর দেখতে পেয়ে তার কপালে বিজয়তিলক পরিয়ে দেন। কপালে ফোঁটা দিয়ে দাদাকে মিষ্টিও খেতে দেন। সেই থেকে নাকি ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইফোঁটা উত্‍সব পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: নদিয়ার মাজদিয়ার ১১২ বছরের ‘ডাকাতে কালী’র কাহিনি আজও যেন গায়ে কাঁটা দেয়!

    জৈন ধর্মের কাহিনী

    চতুর্দশ শতাব্দীর পুথি অনুসারে, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক মহাবীর বর্ধমানের মহাপ্রয়াণের পরে তাঁর অন্যতম সঙ্গী রাজা নন্দীবর্ধন মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। সেই সময়ে তাঁর বোন অনসূয়া নন্দীবর্ধনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে। সেখানে অনেক প্রার্থনার পরে নন্দীবর্ধন বোনের কাছে অনশন ভঙ্গ করেন। এই কাহিনি সত্যি হলে ভাইফোঁটা উৎসবের (Bhai Phota 2024) বয়স আড়াই হাজার বছরের বেশি। কারণ, মহাবীরের প্রয়াণে হয়েছিলেন ৫২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। ছোট-বড় এরকম নানা গল্প কহিনীকে মনে রেখে কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে, কালীপুজোর পরের পরের দিন ভাইফোঁটা উৎসবটি পালিত হয়। এদিন বোনেরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় উপবাস রেখে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • iPhone 16: ‘আইফোন ১৬’র বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে ১৫কে, রাজস্বে সর্বকালের রেকর্ড করল অ্যাপল

    iPhone 16: ‘আইফোন ১৬’র বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে ১৫কে, রাজস্বে সর্বকালের রেকর্ড করল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইফোন (iPhone 16) ১৫কে ছাপিয়ে গিয়েছে আইফোন ১৬র বিক্রি। ভারতে অ্যাপল ফোন বিক্রির রাজস্ব সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সিইও কুক চারটি নতুন স্টোরের কথা ঘোষণা করেছেন এবং এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ফলে আইফোনের বাজারে চিনের তুলনায় অনেক এগিয়ে গেল ভারত। ভারতে আইফোনের এই সাফল্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সর্বকালের রাজস্ব রেকর্ড (iPhone 16)

    অ্যাপল সাম্প্রতিক কালে ত্রৈমাসিক বিক্রিতে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্বের কথা ঘোষণা করেছে। বিশ্বব্যাপী আইফোন বিক্রিতে বিশেষ স্থান দখল করেছে তারা। সংস্থার সিইও টিম কুক বলেন, “ভারতে আইফোন (iPhone 16) বিক্রি সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা ভারতে যে আগ্রহ দেখছি, তাতে আমরা উৎসাহ পেয়েছি। আমরা সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া তিন মাসের মধ্যেই রাজস্বে সর্বকালের রেকর্ড স্থাপন করেছি। আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহক এবং কারিগরদের কাছ থেকে অসামান্য প্রতিক্রিয়া এসেছে। আইফোনের বাইরে, অ্যাপলের আইপ্যাডের চাহিদাও ভারতে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রির পরিমাণ দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছে গিয়েছে। অ্যাপল এখন ভারতের বেঙ্গালুরু, পুণে, মুম্বই এবং দিল্লি-এনসিআর-এ চারটি নতুন স্টোর খোলার পরিকল্পনা করেছে। ক্রমেই এখন খুচরো বিক্রির দিকে জোর দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ১২০ জন পড়ুয়ার উত্তরপত্র উধাও!

    বিক্রি ৯৪.৯ বিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে

    বর্তমানে কেবলমাত্র অ্যাপলের মুম্বই এবং নয়াদিল্লিতে স্টোর রয়েছে। প্রথম স্টোরটি গত বছরের এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছিল। তারপরে দিল্লির সিলেক্ট সিটিওয়াকে দ্বিতীয় স্টোরটি খোলা হয়। বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের আয় ওয়াল স্ট্রিট অনুমানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট বিক্রি ৬.১ শতাংশ বেড়ে ৯৪.৯ বিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা ছিল ৯৪.৪ বিলিয়ন, যা তাঁদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে।

    যদিও চিন অ্যাপলের (iPhone 16) বাজারে মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। কারণ স্থানীয় প্রতিযোগিতার প্রভাবে রাজস্ব কিছুটা কমে ১৫ বিলিয়ন হয়েছে তাদের। তবে সমস্ত ভৌগোলিক অঞ্চল জুড়ে আইফোনের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুক অবশ্য অন্যান্য পণ্য লাইনে দুর্বল কর্মক্ষমতাকে চিনের পতনের জন্য দায়ী করেছেন। আইফোন ১৬-র প্রাথমিক চাহিদা একই সময়সীমার মধ্যেই গত বছরের আইফোন ১৫র থেকে অনেকটা ছাপিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share