Tag: bangla news

bangla news

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

    CBI: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসককে নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগের আঙুল উঠেছিল কলকাতা পুলিশের দিকে। নির্যাতিতার পরিবার বারবার দাবি করেছেন, তদন্ত করার বদলে প্রমাণ লোপাট করতে ব্যস্ত হয়েছিল পুলিশ। সিবিআই (CBI) তদন্তভার নেওয়ার পর টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। এবার কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) চারজন অফিসারকে সমন পাঠাল সিবিআই। তার মধ্যে দু’জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে অভিজিতের স্ত্রী-কেও।

    চারজন পুলিশ কর্মীর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (CBI)

    সূত্রের খবর, আপাতত তিনটি প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এক, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা কে ঘটাল? দুই, কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? তিন, সমগ্র ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত? এই তিনটি বিষয়েই একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সমন পাঠানো চারজন পুলিশ কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করছেন সিবিআই (CBI) অফিসাররা। এই ঘটনায় তদন্তে নয়া মোড় ঘুরতে পারে বলেই মনে করছেন সকলে। খুলতে পারে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ দুয়ার। প্রসঙ্গত, সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, খুন-ধর্ষণের পিছনে আরও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সে ষড়যন্ত্রে টালা থানার ওসির সঙ্গে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আঁতাত ছিল বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। তাতে যুক্ত থাকার সন্দেহেই আরও চারজন পুলিশ অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই চারজন পুলিশ অফিসার এলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপের নির্দেশেই পুলিশ অফিসাররা তদন্তে কারচুপি করেছেন। কেস ডায়েরিতেও অনেক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। সেই সব স্পষ্ট করার জন্যই ওই চার পুলিশ অফিসারকে ডেকে জেরা করা হবে।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    কেন টালার প্রাক্তন ওসির স্ত্রীকে তলব?

    টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রীকেও তলব করল সিবিআই। সোমবারই তাঁকে সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা সমনে বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আইনজীবী শঙ্খজিৎ মিত্রকেও। ওসির স্ত্রীকে তলব করা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, টালা থানার ওসি কর্তব্যে গাফিলতি করেছে বলে সিবিআই অভিযোগ করেছে। প্রমাণ লোপাটের কাজের সঙ্গে সে জড়িত। সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এমন কাজ করেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, ওসির স্ত্রীর কাছে জানতে চান ওই ঘটনার পর অভিজিৎ বাড়িতে কিছু জানিয়েছিলেন কিনা। তাঁর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছিল কিনা, স্বামীকে দেখে স্ত্রীর সন্দেহজনক কিছু মনে হয়েছে কিনা, তাঁর স্বামী কিছু লুকোচ্ছেন কিনা, অভিজিৎ কাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন, ধর্ষণ-খুনের বিষয়ে কোনও তথ্য অভিজিৎ বাড়িতে জানিয়েছিলেন কিনা, সেসব জানতেই এই তলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অভিনব প্রতিবাদ আরজি কর-কাণ্ডে

    RG Kar Case: শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অভিনব প্রতিবাদ আরজি কর-কাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় এবার আরও এক অভিনব প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গেল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের নেতাজি পল্লিতে। নিজের মায়ের শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (We Want Justice)। নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে খুনের একমাস অতিক্রম হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তবুও মানুষের মনে আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না, মানববন্ধনে বিন্দু মাত্র ভাটা পড়েনি। প্রতিনিয়ত নানা স্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। 

    কেন শ্রাদ্ধের কার্ডে প্রতিবাদ (RG Kar Case)

    গত ৪ সেপ্টম্বর মৃত্যু হয়েছিল রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রতিমা দত্তের। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা প্রতিমা দেবী, আরজি করের (RG Kar Case) নৃশংস খুনের ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। দোষী কারা? তদন্ত প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে? কবে শাস্তি (We Want Justice) মিলবে-এই সব বিষয় নিয়ে সবসময় সংবাদ মাধ্যমের উপর নজর রাখতেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় ছেলে শুভ্রজ্যোতি দত্ত আন্দোলন-প্রতিবাদকে জিইয়ে রাখতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। যদিও মা, সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতির কথা শুনে যেতে পারেননি, কিন্তু তাঁর ছেলে মায়ের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে আরজি কর-কাণ্ডের কথা মনে রেখেছেন।

    সুবিচারের দাবি ছড়িয়ে দিতে এই ভাবনা

    সোমবার, প্রতিমা দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। ছেলে শুভ্রজ্যোতি বলেন, “মায়ের মৃত্যুর জন্য বাড়ির বাইরে গিয়ে আন্দোলন করতে পারিনি। তাই শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ পত্রে ন্যায় বিচার চাই (We Want Justice) লিখে প্রতিবাদ জানালাম। সকলের মধ্যে যাতে সুবিচারের দাবি ছড়িয়ে পড়ে সেই জন্য আমাদের এই চেষ্টা। আমি চাই নির্যাতিতার দোষীদেরকে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন (RG Kar Case) সফল হোক এই কামনা করি। সমাজের সকল স্তরের মানুষ আন্দোলনে সামিল হোক। সামাজিক সচেতনতার জন্যই আমি আমার মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ ভাবনা ভেবেছি।”

    আরও পড়ুনঃ ৯ অগাস্ট বার বার ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের, দুজনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা সিবিআইয়ের

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    শুভ্রজ্যোতির এই ভাবনাকে সাধুবাদ জনিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, “ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার প্রায় ৪০ দিন হতে চলল, এখনও দোষীদের সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা গেল না। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে তদন্তকে ভুল দিকে ঠেলে দিয়েছে। নিজের মায়ের স্মৃতির মধ্যে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিয়েছেন, যা অত্যন্ত ভালো দিক।” উল্লেখ্য ডাক্তাররা রোগী দেখার সময় তিলোত্তমার (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের জন্য স্ট্যাম্প ব্যবহার করছেন প্রেসক্রিপশনে। একই ভাবে খাবারের বিলে দোকানদাররা নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের (We Want Justice) জন্য সিল দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেছিলেন। এবার তাতে যোগ দিলেন রায়গঞ্জের শুভ্রজ্যোতিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aligarh: ‘‘প্রেমিক হিন্দু বলে মেরে ফেলতে পারে পরিবার, বাঁচান যোগীজি!’’ আর্তি মুসলিম মেয়ের

    Aligarh: ‘‘প্রেমিক হিন্দু বলে মেরে ফেলতে পারে পরিবার, বাঁচান যোগীজি!’’ আর্তি মুসলিম মেয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মুসলিম তরুণী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। ওই ভিডিওতে মুসলিম মেয়েটিকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে তিনি একজন হিন্দু ছেলেকে ভালোবাসেন এবং তাঁর সঙ্গেই জীবন কাটাতে চান। মেয়েটির আরও অভিযোগ, তাঁর পরিবার তাঁকে আটক করে রেখেছে। শুধু তাই নয়,  ওই ভিডিও বার্তায় মেয়েটি পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ তুলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে হিন্দু ছেলেকে ভালোবাসার অপরাধে পরিবার তাঁকে হত্যাও করতে পারে।

    আলিগড়ের (Aligarh) খাইর থানা এলাকার ঘটনা 

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি আলিগড়ের খাইর থানা এলাকায়। ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video), মুসলিম মেয়েটিকে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে যে তাঁর প্রেমিকের নাম শৌর্য ভার্মা। মেয়েটির দাবি, তিনি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করেন এবং সনাতন ধর্ম গ্রহণ করতে চান।

    সাহায্যের আশ্বাস যোগী পুলিশের

    মুসলিম মেয়েটি আরও জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি এবং কখনও তাঁর এমন সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবেন না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছ থেকে সাহায্য ও নিরাপত্তাও চেয়েছেন তিনি। আলিগড় (Aligarh) পুলিশ ইতিমধ্যে ওই মহিলাকে আশ্বাস দিয়েছে নিরাপত্তা প্রদান ও হিন্দু ছেলের সঙ্গে বিবাহের বিষয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর (Aligarh), যেহেতু মেয়ে এবং ছেলে উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক তাই খুব শীঘ্রই তাঁদের কোর্ট ম্যারেজ করানো হবে। যোগী পুলিশ এবিষয়ে সহযোগিতা করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kite Flying Protest: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    Kite Flying Protest: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরতের নীল আকাশে ভাসছে সাদা মেঘ। যদিও বাংলার বাতাসে পুজোর গন্ধ ম্লান। শহরের অলি-গলিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদী স্লোগান। চোখে পড়ছে দফায়-দফায় মিছিল। রাত দখল, মানব বন্ধন সবই হয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবি নিয়ে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ-বিরোধী নেতারা। এবার বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja Day) দিন আকাশে কালো ঘুড়ি উড়িয়ে (Kite Flying Protest) প্রতিবাদে নামতে চলেছে নাগরিক সমাজ। 

    প্রতিবাদের ঘুড়ি

    প্রতি বছর ভাদ্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja Day)। পুরনো সংস্কৃতি মেনে পুজোর দিন আকাশে ঘুড়ি ওড়াবার প্রচলন রয়েছে। এইবার উৎসবেই মিশে গেল প্রতিবাদের ভাষা। আজকাল স্মার্টফোনের যুগে আকাশে সেভাবে ঘুড়ির (Kite Flying Protest) দেখা পাওয়া না গেলেও, আকাশে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান লিখে কালো ঘুড়ি ওড়াবার ডাক দিল কলকাতা। এমন বেশ কয়েকটি পোস্ট চোখে পড়ল সমাজমাধ্যমে। উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের ‘ইন্ডিয়া কাইটস’ নামক দোকানে ‘বিচার চাই’ লেখা ঘুড়ি ঝুলতে দেখে অনেকেই সেই ঘুড়ি বাড়িতে কিনে নিয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রতিটি ঘুড়ির দাম ১৫ টাকা। বিভিন্ন সংস্থার তরফে এই ঘুড়ি বিতরণও করা হচ্ছে। কালো রঙের ঘুড়িতে সাদা রঙ দিয়ে লেখা ‘সকলের একটাই স্বর, বিচার পাক আরজি কর’।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    ঘুড়ির মধ্য দিয়েই বার্তা

    পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার ভোর থেকেই কলকাতার সব প্রান্তে উড়বে প্রতিবাদের এই ঘুড়ি (Kite Flying Protest)। কোনও ঘুড়িতে লেখা থাকবে, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’, আবার কোনও ঘুড়িতে মোমবাতির ছবি দিয়ে লেখা থাকবে, ‘বিচার পাক অভয়া’। ‘ইন্ডিয়া কাইটস’-এর কর্ণধার অজিত দত্ত। আপাতত দেখভাল করেন তাঁর ছেলে সৈকত দত্ত। তিনি বলেন, “প্রতিবারই আমরা অন্যরকম ঘুড়ি বানানোর চেষ্টা করি। কখনও বিশ্বকাপ, কখনও ভোট। এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সর্বত্র। আমরাও বিচার চাই। ঘুড়ির মাধ্যমে সেই কথাই তুলে ধরতে চেয়েছি।” তাঁর কথায়, “আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা কয়েকটি ঘুড়ি তৈরি করেছিলাম। ধীরে ধীরে সেই ঘুড়ির চাহিদা বেড়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত প্রায় এই ধরনের ৬০০টি ঘুড়ি আমরা বিক্রি করেছি। আমাদের কাছে আর হাতেগোনা কয়েকটি ঘুড়ি পড়ে আছে। সবাই তো সবার মতো করে প্রতিবাদ করছেন। আমরাও ঘুড়ির মধ্য দিয়েই বার্তা দিলাম, বিচার চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 17 September 2024: প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 17 September 2024: প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে।

    ২) আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মিথুন

    ১) বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ৯ অগাস্ট বার বার ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের, দুজনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা সিবিআইয়ের

    CBI: ৯ অগাস্ট বার বার ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের, দুজনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। যদিও আগেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এবার দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের (CBI) কর্তারা।

    সন্দীপ ও অভিজিতের ঘন ঘন সাক্ষাত! (CBI)

    তদন্তকারীদের (CBI) দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, দেখা গিয়েছে কল ডিটেলসে। ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সন্দীপ ও অভিজিতের কথা হয়। বিশেষ করে ১০ অগাস্ট ওই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তার পরেও সন্দীপের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ফোনালাপের বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে। টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী, সন্দীপ ও অভিজিতের ঘন ঘন সাক্ষাতের তথ্য মিলেছে। অভিজিৎ ৯ থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত নিয়মিত আরজি করে যাতায়াত করেছেন, মিলেছে তথ্য। তদন্তকারীদের কথায়, ৯ অগস্ট চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃতদেহ সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশের তরফে অভিজিৎ ও তাঁর সহযোগীরা প্রথম ওই সেমিনার হলে পৌঁছন। এর পরে ওই সেমিনার হলে থিকথিকে ভিড় হয়ে যায়, দাবি তদন্তকারীদের। সে ক্ষেত্রে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ অর্থাৎ মৃতদেহের আশপাশের নমুনা রক্ষার মূল দায়িত্ব ছিল অভিজিতের। কিন্তু অভিজিৎ ওই দায়িত্ব পালন করেননি।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    প্রমাণ লোপাটে ওসির ভূমিকা

    তদন্তকারীদের (CBI) দাবি, ময়না তদন্তকারীদের কথায়, ঘটনাক্রম অনুযায়ী সেমিনার হলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও টালা থানার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি মাত্র সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। তারও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধোঁয়াশা ও অস্পষ্ট। মৃতদেহ দ্রুত দাহ করার ক্ষেত্রেও অভিজিতের অতিসক্রিয়তার নানা ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, সন্দীপের গাড়ির চালককে আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। শনিবার লালবাজারে এক শীর্ষ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের এ কর্তা বলেন, একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল। সন্দীপ ও অভিজিৎকে জেরা করে মূল চক্রান্তকারীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই অভিজিৎ এবং সন্দীপকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা জরুরি হয়ে উঠতে পারে, দাবি সিবিআইয়ের।

    সন্দীপ ঘোষের দেওয়া তথ্যগুলি বিভ্রান্তিকর

    সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ অগাস্ট হাসপাতালে ধর্ষিত তরুণীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) প্রথমে  ঘটনার এফআইআর দায়ের করতেই চাননি। শুধু তাই নয়, বিষয়টি আদালতে চলে যাওয়ার পরেও, তিনি আইনি পরামর্শ নেন এবং আবারও এফআইআর এড়ানোর চেষ্টা করেন। আত্মহত্যা বলেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেন এই ঘটনাকে। জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের মধ্যে প্রথম যোগাযোগ হয় ৯ অগাস্ট, সকাল ১০টায়। কিন্তু, ওসি অপরাধস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি করেন। তদন্তের সময়ে সন্দীপের ভয়েস অ্যানালিসিস এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সব পরীক্ষার ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, তদন্তকারীদের সন্দীপ ঘোষের দেওয়া তথ্যগুলি বিভ্রান্তিকর ছিল এবং তাঁর বিভিন্ন দাবিই প্রতারণামূলক ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 135: “ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়, পেকে মুখ হলে তবে…।”

    Ramakrishna 135: “ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়, পেকে মুখ হলে তবে…।”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮২, ১৪ই ডিসেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মারোয়াড়ী ভক্তগণসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    বৈকাল হইয়াছে। মাস্টার ও দু-একটি ভক্ত বসিয়া আছেন। কতকগুলি মারোয়াড়ী ভক্ত আসিয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহারা কলিকাতায় ব্যাবসা করেন। তাঁহারা ঠাকুরকে বলিতেছেন, আপনি আমাদের কিছু উপদেশ করুন। ঠাকুর (Ramakrishna) হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মারোয়াড়ী ভক্তদের প্রতি)—দেখ, আমি আর আমার এ-দুটি অজ্ঞান। হে ঈশ্বর, তুমি কর্তা আর তোমার এই সব এর নাম জ্ঞান। আর আমার কেমন করে বলবে (Kathamrita)? বাগানের সরকার বলে, আমার বাগান, কিন্তু যদি কোন দোষ করে তখন মনিব তাড়িয়া দেয়, তখন এমন সাহস হয় না যে, নিজের আমের সিন্দুকটা বাগান থেকে বের করে আনে। কাম, ক্রোধ আদি যাবার নয়; ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও। কামনা, লোভ করতে হয় তো ঈশ্বরকে পাবার কামনা, লোভ কর। বিচার করে তাদের তাড়িয়ে দাও। হাতি পরের কলাগাছ খেতে গেলে মাহুত অঙ্কুশ মারে।

    তোমরা তো ব্যবসা কর, ক্রমে ক্রমে উন্নতি করতে হয় জানো। কেউ আগে রেড়ির কল করে, আবার বেশি টাকা হলে কাপড়ের দোকান করে। তেমনি ঈশ্বরের (Ramakrishna) পথে এগিয়ে যেতে হয়। হল, মাঝে মাঝে দিন কতক নির্জনে থেকে বেশি করে তাঁকে ডাকলে।

    তবে কি জানো? সময় নাহলে কিছু হয় না। কারু কারু ভোগকর্ম অনেক বাকি থাকে। তাই জন্য দেরিতে হয়। ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়। পেকে মুখ হলে তবে ডাক্তার অস্ত্র করে। ছেলে বলেছিল (Kathamrita), মা, এখন আমি ঘুমুই আমার বাহ্যে পেলে তখন তুমি তুল। মা বললে, বাবা, বাহ্যেতেই তোমায় তুলবে, আমায় তুলতে হবে না। (সকলের হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “ঘরে যদি আলো না জ্বলে, সেটি দারিদ্রের চিহ্ন…হৃদয় মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালতে হয়”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) নিয়ে প্রতিবাদ শুধু এই রাজ্যের রাজপথেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আমেরিকা, ইউরোপে সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিউড, টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে দেখা গেল ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’-এর (India’s Best Dancer) মঞ্চে। প্রতিবাদের এই অভিনব ভাষায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলেন বিচারকরাই।

    রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে প্রতিবাদের ঝড় (RG Kar Case)

    ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’ ৪ রিয়্যালিটি শো-র মঞ্চে নাচের মাধ্যমে ধর্ষণ করে হত্যার (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরলেন। ‘জিতে হে চল’ গানে নৃত্য পরিবেশন করলেন প্রতিযোগী অর্জুন শাটে এবং কোরিওগ্রাফার পঙ্কজ থাপা। তবে দুই জনেই বাংলার কেউ নন, কিন্তু আরজি করে ঘটা পৈশাচিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ডাক্তারকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে নিজেদের নাচের ভাষায় প্রতিবাদ তুলে ধরেন। তাঁদের পারফর্মেন্স দর্শকদের মন জয় করে ন্যায় বিচারের ঝড় তুলেছে।

    নৃত্যের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি

    এই শো-র (India’s Best Dancer) বিচারকের আসনে ছিলেন টেরেন্স, গীতা ও অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর। প্রতিযোগীদের নাচ দেখে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। এই নাচে শুধু ধর্ষণ করে খুনের মতো জঘন্যকাণ্ডের (RG Kar Case) সমালোচনাই করা হয়নি, সেই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। গানের মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘‘ছেলেদের পুরুষ হওয়ার মধ্যে দিয়ে মনুষত্বের পাঠ দিতে হবে। নারীদের প্রতি সম্মানের ভাব মনে রাখতে হবে।’’ এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রচুর পরিমাণে দর্শক (India’s Best Dancer)।

    আরও পড়ুনঃআরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    ৫ দাফ দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

    গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না, মানবন্ধন করে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সর্বত্র একটাই দাবি তিলোত্তমার বিচার চাই। জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case) গত ৩৭ দিন ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ৫ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকের কথা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। মমতার চায়ের আবেদন প্রত্যাখান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার বিকেল ৫ টায় ফের একবার কালীঘাটে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিয়ে অনড় তাঁরা। কোনও সমাধান সূত্র বের হয় কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারত। ৫০ বছর পর সেই ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে এবার পাকিস্তানের সঙ্গেই পরমাণু চুক্তির (Bangladesh Nuclear Treaty) দাবি করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বাংলাদেশকে পারমাণবিক সক্ষম করার দাবি তুললেন অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত বিরোধিতা এবং জামাত প্রভাবিত ইসলামি গোঁড়ামি দিনে দিনে বাড়ছে পদ্মাপারে। ভারতের সহায়তা ছাড়া যে স্বাধীন বাংলাদেশ সম্ভবই ছিল না, তা ভুলতে বসেছে ঢাকা। তাঁকে এও দাবি করতে শোনা গিয়েছে যে, পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি যারা ভাঙতে পারে তাদের থেকে এর বেশি কিছুই প্রত্যাশা করা যায় না, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। 

    পাকিস্তানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি

    শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব বাড়ছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের দিকে আরও ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিত্য-ঘটনা। ভারত-বিরোধিতায় কোনও কসুর করছে না জামাতের মতো সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি (Bangladesh Nuclear Treaty) করার আহ্বান জানালেন। তাঁর মতে, এই চুক্তি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান বলেন, “ভারতের সাধারণ ধারণা পরিবর্তনের জন্য সঠিক উত্তর হবে আমাদের পারমাণবিক সক্ষম হওয়া। পারমাণবিক সক্ষম হওয়া মানে পারমাণবিক শক্তিধর হওয়া নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে প্রবেশ করা।” 

    ভারতকে ঠেকাতে পাক সহায়তা

    শাহিদুজ্জামান আরও বলেন, পাকিস্তানের কারিগরি সহায়তা (Bangladesh Nuclear Treaty) ছাড়া ভারতকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সবসময়ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী ছিল। কিন্তু ভারতীয়রা চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। আওয়ামি লিগও চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। কিন্তু এটাই সত্য। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানিরা আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, তবে তারা চায় না আমরা ভারতের সঙ্গে থাকি। তারা আমাদের রক্ষা করতে যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত।”

    জামাত পন্থী অধ্যাপক

    অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান পাকিস্তান থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র (Bangladesh Nuclear Treaty) সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে মোতায়েন করার প্রস্তাব দেন। এর ফলে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে এটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ভারত এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক চুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র সাহায্য ভারতের এই পরিকল্পনা প্রতিহত করতে পারে। তিনি পাকিস্তানকে “বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত নিরাপত্তা মিত্র” হিসেবে অভিহিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক জামায়াত-ই-ইসলামীপন্থী মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত। 

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বান

    সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইউনূস বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, তবে এই সম্পর্কগুলো ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।” যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ইউনূসের মতকে মান্যতা দেয় না।

    আরও পড়ুন: ফের হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

    বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায়

    জামাত-পন্থী ইসলামি শক্তিগুলি শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের (Bangladesh Nuclear Treaty) দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, সম্প্রতি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিন্নার ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উর্দু গান, কবিতা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটেছে। ইসলামপন্থী বক্তারা অনুষ্ঠানে বলেন, পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশও অস্তিত্ব লাভ করতে পারত না। বক্তারা জিন্নাকে বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা এবং পিতা হিসেবে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে উর্দু চাপিয়ে দেওয়া জিন্নার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। যেখানে বাংলা ভাষাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তবে, জামাত-সহ প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী শক্তিগুলি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে সেই উর্দু ভাষার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা তীব্রভাবে বর্জন করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share