Tag: bangla news

bangla news

  • Durga Puja 2024: অষ্টমীতে ইলিশ, দশমীতে পান্তা ভোগ খেয়ে মা কৈলাশের উদ্দেশে রওনা দেন

    Durga Puja 2024: অষ্টমীতে ইলিশ, দশমীতে পান্তা ভোগ খেয়ে মা কৈলাশের উদ্দেশে রওনা দেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহ্য এবং নিষ্ঠার অন্যতম নিদর্শন নদিয়ার শান্তিপুরের বনেদি বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম জজ পণ্ডিত বাড়ি (Durga Puja 2024)। আনুমানিক ৬০০ বছরেরও বেশি আগে থেকে এখানে পূজিত হন দেবী দুর্গা। আগে গয়ায় ছিল এই পরিবারের পিতম্বর চ্যাটার্জির জমিদারি। তারপর সেখান থেকে নদিয়ার শান্তিপুর। এখানে আসার পর আবারও পুজোর প্রচলন হয়। যদিও তাঁদের এই জমিদারি পরবর্তীতে আর বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। জমিদারি না থাকলে কী হবে, আজও রীতিনীতি মেনে এবং নিষ্ঠার সঙ্গেই পূজিত হন দেবী দুর্গা।

    নবমীতে কচু শাক, কলার বড়া (Durga Puja 2024)

    দেবী এখানে পূজিত হন তন্ত্র মতে। তবে এই পুজোর বিশেষত্ব হল, দেবী একাই পূজিত হন। আগে পুজোয় ১০৮টি মহিষ বলি দেওয়া হত। তবে বর্তমানে মহিষ বলি আর দেওয়া হয় না, পরিবর্তে আখ, চালকুমড়ো, কলা ইত্যদি ফল বলি দেওয়া হয় দেবীর চরণে। ভোগেও রয়েছে বিশেষ নিয়ম। সপ্তমী থেকে শুরু হয় দেবীর ভোগ। অষ্টমীতে দেবীকে দেওয়া হয় ইলিশ মাছের ভোগ, নবমীতে কচু শাক, কলার বড়া। তবে নবমীর ভোগ, দশমীতে পান্তা হিসেবে দিয়ে মায়ের আরাধনা করা হয়। এই পান্তা ভোগ খেয়েই মা কৈলাশের উদ্দেশে রওনা দেন।

    বেলজিয়াম ফানুসের আলোয় পুজো

    বাড়ির সদস্যা সঞ্চারী শাস্ত্রী জানান, আগে পুজোয় বেলজিয়াম ফানুসের আলোয় দেবী মূর্তি পূজিত হত (Durga Puja 2024)। পরবর্তীকালে সেই ফানুস চুরি হওয়ার পর বর্তমানে ইলেকট্রিক আলো ব্যবহার করা হয় পুজোয়। যদিও বাড়ির মাতৃমূর্তি যে বেদিতে পূজিত হয়, সেটি পঞ্চমুন্ডির আসন। কালের নিয়মে সেই বেদি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সেটি ঠিক করার জন্য একজনকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মাটি খুঁড়তে গিয়েই মৃত্যু হয়। দেবী এই বাড়িতে খুবই জাগ্রত, এমনটাই জানা যায়। সঞ্চারী দেবী জানান, বাড়ির সকলে এই পুজোর কদিন একত্রিত হয়। শান্তিপুরের জজ পণ্ডিত বাড়িতে মহা আনন্দে, রীতি মেনে নিষ্ঠা সহ পূজিত হন মা (Nadia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ফের হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

    Donald Trump: ফের হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর), গুলি চলেছে ফ্লোরিডায় (Florida) তাঁর গল্ফ ক্লাবের কাছেই। তবে, ট্রাম্প নিরাপদেই রয়েছেন। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই জানিয়েছে, তাঁরা এই ঘটনাটিকে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হিসেবেই বিবেচনা করছে এবং এই ঘটনার তদন্ত করছে। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস। ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে তারাই।

    ট্রাম্পের উপর হামলার নিন্দা

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ২টোর (ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিট) কিছু আগে, ট্রাম্পের গল্ফ ক্লাবের কাছে একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সিক্রেট সার্ভিস। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, কিন্তু পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম রায়ান ওয়েসলি রাউথ, বয়স ৫৮ বছর। তবে, তিনি কী উদ্দেশ্যে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনার পরপরই, ট্রাম্প (Donald Trump) একটি ইমেল করে তাঁর সমর্থকদের জানিয়েছেন, তিনি নিরাপদে আছেন। তিনি আরও বলেছেন, “কখনও আত্মসমর্পণ করব না।” হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের উপর হামলার নিন্দা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, “ট্রাম্প নিরাপদ জেনে আমরা আনন্দিত। আমেরিকায় হিংসার কোনও স্থান নেই।”

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    ট্রাম্প এখন নিরাপদে

    আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এর আগে পেনসিলভেনিয়ায় হামলার শিকার হয়েছিলেন। অল্পের জন্য সে বার রক্ষা পেয়েছিলেন ট্রাম্প। গুলি তাঁর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল। কান থেকে রক্তও ঝরেছিল বিস্তর। রবিবার আবার ট্রাম্পের উপর হামলার চেষ্টা হল। যদিও এ বার গুলি চললেও ট্রাম্প নিরাপদেই ছিলেন। ফ্লোরিডায় (Florida) তিনটি গল্ফ কোর্টের মালিক ট্রাম্প। প্রায়শই তাঁর দিন শুরু হয় ওয়েস্ট পাম বিচে অবস্থিত এই গল্ফ কোর্টে এক রাউন্ড গল্ফ খেলে। ঘটনার সময়ও তিনি সেখানে গল্ফ খেলছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    কে এই রায়ান ওয়েসলি রাউথ?

    এদিকে, ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাওয়ার অভিযোগে ধৃত রায়ান ওয়েসলি রাউথ কট্টর ডেমোক্র্যাট সমর্থক এবং ঘোরতর ভাবে ট্রাম্পের বিরোধী বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে তিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করেন। এমনকী, যুদ্ধ করতে ইউক্রেনেও গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। পাশাপাশি, আমেরিকার লোকজনকেও যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনে আহ্বান জানাতেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঘটনার সময়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে মাত্র ২৭৫ থেকে ৪৫০ মিটার দূরে ছিলেন ওই বন্দুকধারী। শুধু তাই নয়, তাঁর হাতে একটি একে-৪৭ ধরনের রাইফেলও ছিল। তাতে দুরবীনও লাগানো ছিল। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে একটি গোপ্রো ক্যামেরাও ছিল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox: মাঙ্কি পক্স রুখতে কোন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? কেন করোনার মতোই তৎপরতা?

    Mpox: মাঙ্কি পক্স রুখতে কোন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? কেন করোনার মতোই তৎপরতা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দাপট। আর তাই উদ্বেগও বাড়ছে। কয়েক বছর আগের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এখনও তাজা। ফের কেউ সেই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাইছেন না। তাই আগাম আটঘাট বেঁধে রাখতে চাইছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশ জুড়ে তারা বাড়াচ্ছে সতর্কতা। গত বছরে মাঙ্কি পক্স (Mpox) বেশ কিছু দেশে প্রকোপ বাড়িয়েছিল। চলতি বছরেও এই ভাইরাস ফের সক্রিয় হয়েছে। তাই সজাগ স্বাস্থ্য প্রশাসন।

    কোন দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? (Mpox)

    করোনা-কালে অন্য দেশ থেকে আসা মানুষদের থেকেই ভারতে এই মহামারি ছড়িয়েছিল। তাই মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে চাইছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের সবকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষত বেঙ্গালুরু এবং মুম্বই বিমানবন্দরে এই ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। কারণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এই সব বিমানবন্দরে বেশি যাতায়াত হয়। তবে বাদ নেই কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ অন্যান্য বিমানবন্দরও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে কেউ ভারতে আসলেই তার নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সেই ব্যক্তির অবাধ যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি মাঙ্কি পক্সের নমুনা কোনও ব্যক্তির দেহে পাওয়া যায়, তাহলে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হবে। একদম করোনার পথেই মাঙ্কি পক্সের দাপট রুখতে চাইছে কেন্দ্র।

    কেন উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক?

    গ্রীষ্মপ্রধান দেশে মাঙ্কি পক্সের দাপট বেশি। রেইন ফরেস্ট এলাকা থেকেই এই রোগের (Mpox) প্রকোপ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার পরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বিভিন্ন দেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে চলতি বছরে মাঙ্কি পক্সের দাপট বেড়েছে। মূলত আফ্রিকার দেশগুলোতে এই বছরে এই ভাইরাসের দাপট বেড়েছে। আফ্রিকার দেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে আসেন। পর্যটক হিসেবে যাতায়াতের পাশপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক কারণেও বিভিন্ন দেশের মানুষ ভারতে আসেন। ফলে যোগাযোগ যথেষ্ট নিবিড়। তাই বাড়তি সতর্ক না থাকলে ভারতেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ।

    মাঙ্কি পক্স কতখানি ভয়াবহ? (Mpox)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মাঙ্কি পক্স নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। চিকেন পক্সের মতোই এই রোগে জ্বর হয়। গোটা শরীরে লাল চাকা দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। কিন্তু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রক্তনালীর ভিতরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে নানান জটিলতা তৈরি হয়। মাঙ্কি পক্স থেকে মৃত্যুও হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মূলত পশুর দেহ থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক। আক্রান্তের নাক, চোখ, মুখের লালা রস থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে।‌ এমনকী আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাই সংক্রমণ রুখতে মরিয়া চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে এই রোগ সম্পর্কে জন সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, যে কোনও সংক্রামক রোগ রুখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার জন সচেতনতা। জ্বর, কাশি কিংবা শরীরের বিভিন্ন জায়গা হঠাৎ লাল ফুসকুড়ি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। যাতে এই রোগের (Monkey Pox) দাপট বাড়ার আগেই মোকাবিলা সম্ভব হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    RG Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম-শুনানি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিয়োগ করলেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি। তার আগেই বিরাট পদক্ষেপ জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনকারী জিনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার তাঁদের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে শীর্ষ আদালতে হওয়া আগের শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের’ হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তাঁর পরিবর্তে এবার সওয়াল করবেন ইন্দিরা। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের সংগঠন, ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর হয়ে সওয়াল করবেন করুণা নন্দী এবং সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে এই সংগঠনও ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবারই জানা যায়, ইন্দিরা জয়সিংকে নিজেদের আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমরা আইনজীবী হিসাবে ইন্দিরা জয়সিংকে নিয়োগ করেছি। আগামী মঙ্গলবার তিনি আমাদের হয়ে সওয়াল করবেন।”

    সুপ্রিম কোর্টে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ আর্জি জানিয়েছিলেন 

    প্রসঙ্গত, ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি সওয়াল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি যাতে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ইন্দিরা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ আর্জিকে মান্যতা দেওয়ার কথা জানায়।

    জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এ কীসের আপত্তি মমতার?

    বর্তমানে ‘লাইভ স্ট্রিমিংয়ের’ মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মামলার শুনানি ঘরে বসেই দেখা যায়। আরজি করের (RG Kar) ঘটনা নিয়ে শীর্ষ আদালতের শুনানিও সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। এদিকে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বিতর্কেই বার বার ভেস্তে যাচ্ছে রাজ্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। অনেকেই বলছেন, লোকসভা অধিবেশন, রাজ্যসভার অধিবেশন, সুপ্রিম শুনানি যদি ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এ আলোচনা করছেন না? প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে (RG Kar) বসার আগে জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তোলেন। কিন্তু তারপরেও মমতা সরকার চিকিৎসক পড়ুয়াদের দাবি না মানায় ভেস্তে যায় বৈঠক। বাড়ি ডেকে কার্যত তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    Arvind Kejriwal: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে কী ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)? মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানিয়েছেন, পদত্যাগ করবেন তিনি। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় জেলমুক্তির পরেই দিল্লির জনসভা থেকে তিনি ঘোষণা করেন, “দুদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।”

    কী বললেন কেজরিওয়াল? (Arvind Kejriwal)

    তিনি বলেন, “আমি প্রতিটি মানুষের বাড়িতে যাব। রাস্তায় যাব। কিন্তু মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসব না।” রবিবার দিল্লির জনসভায় তিনি বলেন, “ওরা (বিজেপি) ভেবেছিল, আমাকে জেলে পাঠিয়ে আমাদের দল ভেঙে দেবে। কিন্তু সেটা ওরা পারেনি। আমি সংবিধান বাঁচাতে চেয়েছিলাম, সেই জন্যই জেল থেকে ইস্তফা দিইনি। সুপ্রিম কোর্টই প্রমাণ করে দিয়েছে জেল থেকেই সরকার চালানো যায়।”

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    কেজরিওয়াল পদত্যাগ করছেন খবর ছড়িয়ে পড়তেই উঠছে প্রশ্ন, কে হবেন দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? এই পদে উঠে আসছে অতীশির নাম। যদিও এ ব্যাপারে অতীশি কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) কে হবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করলেও, সাধারণ মানুষের সরকার এক সপ্তাহ বা এক মাস স্থায়ী হবে। তবে এই সরকার দিল্লির জনগণের জন্য কাজ করতে থাকবে।” তিনি বলেন, “পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা বিধানসভা দলের বৈঠকেই ঠিক হবে। দিল্লিবাসী শুধু আপ সরকারকেই চায়।

    আরও পড়ুন: অন্য কাশ্মীর! ৩৭ বছর পর দোরে দোরে ঘুরে প্রচার করছেন প্রার্থীরা

    মার্চ মাসে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। জেলে থেকেই সরকার চালিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়াল যখন জেলে, তখনই তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। পদ্ম শিবিরের প্রবল চাপেও ইস্তফা দেননি তিনি। জেল থেকেই অতীশি এবং কয়েকজন মন্ত্রীকে দিয়ে সরকার চালিয়েছিলেন তিনি। সেই তিনিই ঘোষণা করলেন ইস্তফার কথা।

    কেজরিওয়ালের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “যখন আপনি জেলে ছিলেন তখন পদত্যাগ করলেন না। আর এখন বলছেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করবেন। রহস্যটা কী (Arvind Kejriwal)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indias Workforce: ভারতে কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যায় যুক্ত হবে ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ

    Indias Workforce: ভারতে কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যায় যুক্ত হবে ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালে হবে স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি। তার ঠিক দুবছর আগে ভারতে কর্মক্ষম বয়সের (Working Age Population) জনসংখ্যায় অন্তত ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ যুক্ত হবেন (Indias Workforce)। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে।

    কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা (Indias Workforce)

    বর্তমানে ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা ৯৬১ মিলিয়ন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার রয়েছে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ সংস্থা জেফারিজের মতে, ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা (এঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে) মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হিসেবে বাড়ছে, যা সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। এই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হারও বেড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমশক্তি সম্প্রসারণের অন্যতম চালিকা শক্তি হবে এই নারী শ্রমশক্তি।

    কী বলছে জেফারিস?

    জেফারিসের সাম্প্রতিক নোট থেকে জানা গিয়েছে (Indias Workforce), ২০৩০ সালের মধ্যে শ্রমশক্তির জোগান কমে হতে পারে ৬ মিলিয়ন। এই ফাঁক পূরণ হতে পারে কৃষি কর্মসংস্থান থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে। অগাস্টেই একটি তথ্য প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান মন্ত্রক। সেই তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতের শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এলএফপিআর ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন মাসে ছিল ৪৮.৮ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫০.১ শতাংশ। এই তথ্য দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে।

    প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য এলপিএফআরও গত বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ছিল ২৩.২ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৫.২ শতাংশ। আর একটি কর্মসংস্থান সূচক হল শ্রমিক জনসংখ্যার অনুপাত। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির মধ্যে শহরাঞ্চলে গত বছর এপ্রিল-জুন মাসে এই হার ছিল ৪৫.৫ শতাংশ। চলতি (Working Age Population) বছর এটাও বেড়েছে। হয়েছে ৪৬.৮ শতাংশ (Indias Workforce)।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গে! পুজোর আগেই দুর্গার মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা!

    Durga Puja: বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গে! পুজোর আগেই দুর্গার মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোর (Durga Puja) আগেই দেবী দুর্গা এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর (Broke idol) করেছে দুষ্কৃতীরা। মা দুর্গার মূর্তির সঙ্গে লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য বলেন, “মা দুর্গা, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিগুলিকে অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় দিয়ে পুজোর আগেই ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলায় হিন্দুরা সঙ্কটে রয়েছেন।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Durga Puja)?

    বাংলায় সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গা পুজো (Durga Puja)। কিন্তু হিন্দুদের এই উৎসবের আগেই হুগলি জেলার ঝরিয়া গ্রামে নির্মীয়মাণ দুর্গা মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। মুসলমান রাষ্ট্র বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা প্রায় প্রায় ঘটে থাকে। এবার পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের দেবদেবীর উপর আঘাত নেমে এল। শনিবার, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “হুগলির গোঘাট থানা এলাকায় মা দুর্গা, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানার পরেও গোঘাট পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি। তবে পুলিশকে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সামনে মিথ্যা আশ্বাস দিলেও অপরাধীদের ধরা এবং শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। এই মামলাটিও অন্যান্য অগণিত মামলার মতো ধামাচাপা দেওয়া হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা সব সময় তোষণের রাজনীতি করেন। যদি আমাদের দেবদেবীরাও নিরাপদ না থাকেন, তবে বাংলার নারীরা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন।”

    আরও পড়ুনঃ দেহ উদ্ধারের সকালে সন্দীপ-অভিজিৎ ফোনে কথা, মোক্ষম অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে

    ধুপগুড়িতে আগেও হামলা হয়েছিল

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের (Broke idol) ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এই বছরের মে মাসের শুরুতেই জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা তিনটি হিন্দু মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাবে মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দুরা বিরাট প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। একই ভাবে গত বছর আবার বহরমপুরে সরস্বতী মূর্তি ভাঙা হয়। ২০২২ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে রাধাকৃষ্ণ, কালী মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাউকেই আটক করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, দুর্গা (Durga Puja) পুজোর ভাসান, শিব ভক্তদের শোভা যাত্রা-সহ নানা সময়ে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সব ক্ষেত্রেই প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: দেহ উদ্ধারের সকালে সন্দীপ-অভিজিৎ ফোনে কথা, মোক্ষম অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে

    RG Kar Case: দেহ উদ্ধারের সকালে সন্দীপ-অভিজিৎ ফোনে কথা, মোক্ষম অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হত্যাকাণ্ডে বৃহৎ ষড়যন্ত্র হয়েছে। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে। রবিবার তাঁকে শিয়ালদা কোর্টে তোলা হয়। আদালতে প্রশ্ন-উত্তরের সময় সিবিআই দাবি করে, দেহ উদ্ধারের দিনেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং ওসির মধ্যে কথাবার্তা হয়েছিল। এই বার্তালাপের রেকর্ড তাদের হাতে এসেছে। এটাই হতে পারে সিবিআইয়ের মোক্ষম অস্ত্র, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

    প্রয়োজনীয় তথ্য অনেক দেরিতে সংগ্রহ হয় (RG Kar Case)

    আদালত রবিবার সন্দীপ এবং অভিজিৎকে (Sandeep-Avijit) তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তবে অভিজিৎকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেনি সিবিআই। তাঁকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তদন্ত প্রক্রিয়াকে দেরি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে আইনজীবী বলেন, “প্রথমে আত্মহত্যা (RG Kar Case) বলা হয়েছিল। কিন্তু বডি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, যৌন নির্যাতন হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য অনেক দেরিতে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই গ্রেফতারিকে সিবিআই-পুলিশে টানাটানি বলে অনেকে মনে করছেন, কিন্তু এমনটা নয়। আমরা সত্যটা সন্ধান করতে চাইছি। সত্য সামনে আসুক। এই ঘটনাকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু দেখে বোঝা যাচ্ছিল, এটা শারীরিক হেনস্থা হয়েছে। সন্দীপ ছিলেন হাসপাতালের কর্ণধার, ফলে প্রক্রিয়ার কাজ ঠিক ভাবে হয়নি। ওসি ঘটনার খবর পেয়েছিলেন সকাল ১০ টায়, গিয়েছেন ১১ টায়। ফলে সময়ের ব্যবধান রয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    ওসি একজন সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি!

    সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, “ওসি (Sandeep-Avijit) একজন সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, সত্যটা ঠিক কী হয়েছিল তা জানা। পুলিশ হিসেবে নিজের কাজ করেননি তিনি। পদ্ধতি ভালো করে জানতেন, কিন্তু কাজ করেননি। ধর্ষণ এবং খুনের (RG Kar Case) মামলায় যতটা সতর্ক থাকা দরকার ছিল, তিনি তা পালন করেননি। প্রমাণ লোপাট হয়েছে। অটোপসি, ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফুট প্রিন্ট উধাও বা নষ্ট করা হয়েছে।” অপর দিকে ওসির আইনজীবী মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “গ্রেফতারের মেমো পরিবারকে দেওয়া হয়নি। মামলা তো জামিন যোগ্য। অভিজিতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ঝাড়খণ্ডে মোদি, নতুন ৬টি বন্দে ভারত রুটের উদ্বোধন, ২০ হাজার উপভোক্তাকে পাকা বাড়ি

    PM Modi: ঝাড়খণ্ডে মোদি, নতুন ৬টি বন্দে ভারত রুটের উদ্বোধন, ২০ হাজার উপভোক্তাকে পাকা বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিধানসভা নির্বাচন। ভোটপ্রচারে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রয়েছেন সে রাজ্যে। রবিবারই ঝাড়খণ্ডের টাটানগর থেকে বন্দে ভারতের ৬ রুটের উদ্বোধন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁর হেলিকপ্টারে করে টাটানগর উড়ে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল হয় এবং ওই ছয়টি ট্রেনকে ভার্চুয়াল ভাবেই উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রেনের রুটগুলি হল, টাটানগর-পাটনা, ব্রহ্মপুর-টাটানগর, রাউরকেলা-হাওড়া, দেওঘর-বারাণসী, ভাগলপুর-হাওড়া, গয়া-হাওড়া। নতুন এই বন্দে ভারত রুটগুলি দেশের মোট ২৮০টি জেলাকে সংযোগ করবে বলে জানা গিয়েছে। তীর্থযাত্রী, পর্যটক ও অন্যান্য যাত্রীরা এর ফলে প্রভূত উপকৃত হবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঝাড়খণ্ডে বাতিল মোদির (PM Modi) রোড শো 

    প্রসঙ্গত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঝাড়খণ্ডে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জামশেদপুরের রোড-শো বাতিল করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি শাখা সমাজ মাধ্যমের পোস্টে এ কথা জানিয়েছে। এদিন ছয়টি বন্দে ভারত রুটের উদ্বোধন করার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি ঝাড়খণ্ডের ২০ হাজার উপভোক্তাকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গৃহপ্রদানও করেন। নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ছয়টি নতুন বন্দে ভারতের উদ্বোধন করা হল, যার খরচ মোট ৬০০ কোটি টাকা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যথেষ্ট উন্নতি হবে। একইসঙ্গে কয়েক হাজার ঝাড়খণ্ডবাসীকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর প্রদান করা হল। আমি ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মানুষকে অভিনন্দন জানাই এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণের জন্য।’’

    উন্নয়ন দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন উন্নয়ন দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’- নীতিতে দেশ বদলে গিয়েছে। এখন দরিদ্র, আদিবাসী এবং দলিতরা উন্নয়নের অগ্রাধিকার পান। পূর্ব ভারতের রেল পরিষেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়ন হবে। ঝাড়খণ্ডের রেল উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। যদি আমরা ১০ বছর আগে তুলনা করি তবে তা ১৬ গুণ বেশি বর্তমানে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 134: “ঘরে যদি আলো না জ্বলে, সেটি দারিদ্রের চিহ্ন…হৃদয় মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালতে হয়”

    Ramakrishna 134: “ঘরে যদি আলো না জ্বলে, সেটি দারিদ্রের চিহ্ন…হৃদয় মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালতে হয়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
              (গীতা — ১২।৫)

    কিন্তু হাজার চেষ্টা কর, তাঁর কৃপা না হলে কিছু হয় না। তাঁর কৃপা না হলে তাঁর দর্শন হয় না। কৃপা কি সহজে হয়? অহংকার একেবারে ত্যাগ করতে হবে। ‘আমি কর্তা’ এ-বোধ থাকলে ঈশ্বরদর্শন (Ramakrishna) হয় না। ভাঁড়ারে একজন আছে, তখন বাড়ির কর্তাকে যদি কেউ বলে, মহাশয় আপনি এসে জিনিস বার করে দিন। তখন কর্তাটি বলে, ভাঁড়ারে একজন রয়েছে, আমি আর গিয়ে কি করব! যে নিজে কর্তা হয়ে বসেছে তার হৃদয়মধ্যে ঈশ্বর সহজে আসেন না।

    কৃপা হলেই দর্শন (Kathamrita) হয়। তিনি জ্ঞানসূর্য। তাঁর একটি কিরণে এই জগতে জ্ঞানের আলো পড়েছে, তবেই আমরা পরস্পরকে জানতে পারছি, আর জগতে কতরকম বিদ্যা উপার্জন করছি। তাঁর আলো যদি একবার তিনি নিজে তাঁর মুখের উপর ধরেন, তাহলে দর্শনলাভ হয়। সার্জন সাহেব রাত্রে আঁধারে লণ্ঠন হাতে করে বেড়ায়; তার মুখ কেউ দেখতে পায় না। কিন্তু ওই আলোতে সে সকলের মুখ দেখতে পায়; আর সকলে পরস্পরের মুখ দেখতে পায়।

    যদি কেউ সার্জনকে দেখতে চায়, তাহলে তাকে প্রার্থনা করতে হয়। বলতে হয়, সাহেব, কৃপা করে একবার আলোটি নিজের মুখের উপর ফিরাও, তোমাকে একবার দেখি।

    ঈশ্বরকে (Ramakrishna) প্রার্থনা করতে হয়, ঠাকুর কৃপা করে জ্ঞানের আলো তোমার নিজের উপর একবার ধর, আমি তোমায় দর্শন করি।

    ঘরে যদি আলো না জ্বলে, সেটি দারিদ্রের চিহ্ন। হৃদয় মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালতে হয়। জ্ঞানদীপ জ্বেলে ঘরে, ব্রহ্মময়ীর মুখ দেখ না।

    বিজয় সঙ্গে ঔষধ আনিয়াছেন। ঠাকুরের সম্মুখে সেবন করিবেন। ঔষধ জল দিয়া খাইতে হয়। ঠাকুর জল আনাইয়া দিলেন। ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিন্ধু, বিজয় গাড়িভাড়া, নৌকাভাড়া দিয়ে আসিতে পারেন না। ঠাকুর মাঝে মাঝে লোক পাঠাইয়া দেন, আসতে বলেন। এবার বলরামকে পাঠাইয়াছিলেন (Kathamrita)। বলরাম ভাড়া দিবেন। বলরামের সঙ্গে বিজয় আসিয়াছেন। সন্ধ্যার সময় বিজয়, নবকুমার ও বিজয়ের অন্যান্য সঙ্গিগণ বলরামের নৌকাতে আবার উঠিলেন। বলরাম তাঁহাদিগকে বাগবাজারের ঘাটে পৌঁছাইয়া দিবেন। মাস্টারও ওই নৌকায় উঠিলেন।

    নৌকা বাগবাজারের অন্নপূর্ণা ঘাটে আসিয়া পৌঁছিল। যখন বলরামের বাগবাজারের বাড়ির কাছে তাঁহারা পৌঁছিলেন, তখন জ্যোৎস্না একটু উঠিয়াছে। আজ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি, শীতকাল, অল্প শীত করিতেছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) অমৃতোপম উপদেশ সমরণ করিতে করিতে ও তাঁহার আনন্দমূর্তি হৃদয়ে ধারণ করিয়া বিজয়, বলরাম, মাস্টার প্রভৃতি গৃহে প্রত্যাবর্তন করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share