Tag: bangla news

bangla news

  • Junior Doctor: ‘স্বাস্থ্য-দুর্নীতিতে পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    Junior Doctor: ‘স্বাস্থ্য-দুর্নীতিতে পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অবস্থান-বিক্ষোভ অব্যাহত। তাঁদের লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি নবান্ন মেনে না নেওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়নি। বলা যেতে পারে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাহায্য চেয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    কী রয়েছে চিঠিতে? (Junior Doctor)

    বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) স্নায়ুর লড়াই দেখেছে রাজ্য। নবান্নর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই ব্যর্থতাকে সামনে রেখেই নাকি অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু যে চিঠির কপি সামনে এসেছে, তা ভেস্তে যাওয়া নবান্ন-বৈঠকের পর পাঠানো হয়নি। ডাক্তাররা খোলসা করে বলেছেন, ‘‘ওই চিঠি ৯ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর পাঠানো হয়েছিল। ভেবেছিলাম আরজি করের যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করে সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে বলব। সেই মর্মেই ১২ সেপ্টেম্বর আমরা রাষ্ট্রপতিকে (President Of India) চিঠি পাঠাই।’’ কী কী উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে? রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির পরও এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি স্বাস্থ্যভবন। সেই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফার কথা বলে তাঁদের পাঁচ দফা দাবির কথা সেখানে বলা হয়।

    আরও পড়ুন:সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কী বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা?

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) বৈঠক না হওয়ার পর ডাক্তাররা বলেছিলেন, ‘‘আমরা নবান্নর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কী চেয়েছিলাম? আমাদের বোনের সঙ্গে যে জঘন্য ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার বিচার। ভবিষ্যেতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার নিশ্চয়তা। তা নিশ্চিত করার জন্য যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যাঁরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন তাঁদের শাস্তি চেয়েছিলাম। মখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের ওপর ভরসা রেখেই আমরা গিয়েছিলাম। গত ৩৩ দিন ধরে আমরা রাস্তায়। দরকারে আরও ৩৩ দিন আমরা রাস্তায় পড়ে থাকব। কিন্তু বিচার আমাদের চাই। আমরা চেয়ার চাই না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তে অগ্রগতির জন্য অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নার্কো পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে নিম্ন আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। অনুমতি মিললেই অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা করানো হবে। তবে নার্কো পরীক্ষা করতে গেলে প্রয়োজন হয় অভিযুক্ত ও চিকিৎসকের অনুমতিও।

    কেন নার্কো পরীক্ষা

    এর আগে সিবিআই (CBI) ধৃত সিভিকের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করায়। সিবিআই সূত্র মারফত জানা যায়, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় ১০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি দাবি করেন, ওই অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। প্রেসিডেন্সি জেলেই হয় এই পরীক্ষা। যদিও এর আগে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় সঞ্জয় অপরাধ কবুল করেছে বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে যেতেই খুন ও ধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সে। সিবিআইকে সে জানায়, সে সেমিনার রুমে গিয়েছিল। কিন্তু আগে থেকেই ঘটনাস্থলে (RG Kar Incident) পড়ে ছিল দেহ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, তা দেখার জন্যই নার্কো পরীক্ষা করতে চাইছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    কীভাবে হয় নার্কো অ্যানালিসিস?

    এই পরীক্ষায় ব্যক্তির ওজন ও অন্যান্য শারীরিক মাপকাঠি অনুসারে তার দেহে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাদক প্রবেশ করানো হয়। মাদকের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা ও তা প্রয়োগ করার জন্য থাকেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মাদকের প্রভাবে ব্যক্তি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তখন সে মিথ্যে কথা বলতে পারে না। অর্থাৎ, যাকে নার্কো করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সজ্ঞানে নয়, আধা-তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। সেই অবস্থায় তার থেকে উত্তর আদায় করা হয়।

    নার্কো পরীক্ষার জন্য নানা অনুমতি

    সম্প্রতি অভিযুক্তের (RG Kar Incident) লালারস এবং কামড়ের নমুনা বা ‘টিথ ইমপ্রেশন’-ও সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসকের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলির সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের সাহায্য নিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রেও নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়েছিল সিবিআই (CBI)। আদালত সম্মতি দেওয়ায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এবার সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই। নিয়ম অনুসারে নার্কে অ্যানালিসিস পরীক্ষা করতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয়। যার পরীক্ষা হবে তাঁর অনুমতি লাগে। এছাড়া যার নার্কো করা হবে, তার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখে ছাড়পত্র দেবেন একজন চিকিৎসক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নার্কো অ্যানালিসিস পরীক্ষার যোগ্য কি না সেই মর্মে লিখিত দেন ওই চিকিৎসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘এক মঞ্চে থাকব না’’, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘এক মঞ্চে থাকব না’’, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকরা পথে নেমে সরব হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) সামাজিকভাবে বয়কট করার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে রাজ্যপাল জানান, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন ছাড়া কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির থাকবেন না তিনি। ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টেনে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, হুগলি নদীর সব জল দিয়েও তিনি তাঁর নোংরা হাত দু’টো পরিষ্কার করতে পারবেন না।

    মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট ঘোষণা রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)

    বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে ৫ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সড়কে হিংসা, ঘরে হিংসা, ক্যাম্পাসে হিংসা, হাসপাতালে হিংসা, গ্রামে হিংসা, শহরে হিংসা। সব জায়গায় হিংসা। আর মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহুমত গণতন্ত্রের অংশ। চুপ করাবেন না। এই নিঃস্তব্ধতাও হিংসা। লোকে বলছে, আজকে বাংলা কোন নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হয়েছে? এর দায়িত্ব তো কাউকে নিতে হবে। যতদিন বাংলার মানুষ বিচার না পাচ্ছেন, দোষীদের গ্রেফতারির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া না হচ্ছে, যতক্ষণ মানুষের মনে এই আস্থা না জন্মায় যে সুবিচার হয়েছে — আমি রাজ্যপাল হয়ে অপেক্ষা করতে পারি না। তাই আমি সংকল্প নিচ্ছি যে, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও প্রকাশ্য মঞ্চে থাকব না। আমি এমন কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে থাকব না যেখানে মুখ্যমন্ত্রী হাজির রয়েছেন। রাজ্যপাল হিসেবে আমার ভূমিকা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর থেকে কমও না বেশিও না।” শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্যপাল তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি। নিঃসন্দেহে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর রাজ্য-রাজভবন তরজাই নয়, রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যেও একটা টানাপোড়েন চলে এল।

    লেডি ম্যাকবেথ বলে কটাক্ষ

    এদিনের ভিডিও বার্তায় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) মুখে শোনা গিয়েছে ‘লেডি ম্যাকবেথ’ প্রসঙ্গও। রাজ্যপাল বলেন, “আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন? আমি সংবিধান, জনতা ও মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। সরকার বর্তমান সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রবলভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সব থেকে বড় বিড়ম্বনা হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনিই আবার মুখ্যমন্ত্রী। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে তাদের বিরোধিতা করছেন বাংলার লেডি ম্যাকবেথ। হুগলি নদীর সব জল দিয়েও বাংলার লেডি ম্যাকবেথ নিজের নোংরা হাত দু’টো পরিষ্কার করতে পারবেন না।”

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দীপের শ্যালিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষার প্রচুর উত্তরপত্র! বলছে ইডি

    ED: সন্দীপের শ্যালিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষার প্রচুর উত্তরপত্র! বলছে ইডি

    মাধ্যম নিউ ডেস্ক: আরজি করের দুর্নীতি মামলায় এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) গ্রেফতার হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে। শুধু সন্দীপ নন, এই দুর্নীতি মামলায় তাঁর একাধিক আত্মীয়ও তদন্ত সংস্থার স্ক্যানারে। একাধিকবার সন্দীপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, শ্যালিকার বাড়িতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়ে নয়া তথ্য হাতে এসেছে ইডির (ED)। সন্দীপের শ্যালিকার বাড়ি থেকে মিলেছে বিপুল পরিমাণে ডাক্তারি পরীক্ষার উত্তরপত্র। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী আধিকারিকদের।

    শ্যালিকার বাড়িতে মিলল উত্তরপত্র (ED)

    কলকাতা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি সন্দীপের শ্যালিকার। আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ এবং শ্যালিকা অর্পিতা বেরাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি (ED)। তার আগে শ্যালিকার বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশি করেছে। উদ্ধার হওয়া একাধিক নথি নিয়ে শ্যালিকাকে এজেন্সির আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। শ্যালিকার বাড়ি থেকেই বিপুল পরিমাণে উত্তরপত্র মেলে বলে খবর। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০ পাতার উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষার উত্তরপত্র রয়েছে। এই উত্তরপত্রের কপি নিয়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি (ED)।

    উদ্ধার আরও টেন্ডার, দলিল, সম্পত্তির কাগজ

    এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে টেন্ডারের কপি, দলিল, সম্পত্তির কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে ইডি। এর আগে, শ্যালিকার বাড়ি থেকেই সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ল্যাপটপ উদ্ধার করেছিল ইডি (ED)। এছাড়া, শ্যালিকার বাড়ির পাশেই যেখানে সন্দীপের শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন, সেখান থেকে একটি কালো ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সন্দীপের শ্যালিকাও ইএসএআই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ডাক্তার। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার স্বামী এসএসকেএমের একজন ডাক্তার। প্রশ্ন উঠছে, এত উত্তরপত্র সেখানে কেন? এই কপি কীভাবে সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার বাড়ি থেকে পাওয়া গেল, তা জানার জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে ইডি। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি থাকা সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) সঙ্গে এই বিষয় কথা বলতে চান ইডি-র (ED) তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    দুর্নীতিতে সন্দীপের গোটা পরিবার যুক্ত!

    এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “কত বড় জালিয়াতি, দুর্নীতি, একে একে সব বেরোচ্ছে। সন্দীপ ঘোষ একা নয়, গোটা পরিবার যুক্ত। প্রথম থেকেই বলছি, এটা একটা সিন্ডিকেট। সন্দীপরা মাঝের অংশ। নিচে কিছু স্যাঙাত আছে, ওপরে আছে মাথারা। এই শ্যালিকা আবার দেশছাড়া না হয়ে যান।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে আরজি কর হাসপাতালে যে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রথম সামনে আনেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন-মেডিক্যাল) আখতার আলি। তবে, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চারতলার সেমিনার রুমে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার পর সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ঘটনার তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে রাজ্য সরকার। গঠিত হয় সিট। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্তভারও চলে যায় সিবিআই দুর্নীতি দমন শাখার হাতে। যেহেতু আর্থিক তছরুপের ঘটনা, ফলে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে ইডিও (ED)। আর ইডি-র হাত ধরে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলায় বিচারকদেরও নিরাপত্তা নেই! সিবিআই তদন্ত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বাংলায় বিচারকদেরও নিরাপত্তা নেই! সিবিআই তদন্ত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা নিয়ে মহকুমা আদালতের বিচারকরা আগেই সরব হয়েছিলেন। পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে জেলা জজের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এবার এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে বিচারকদের আবাসন এবং রাজ্যের সব কটি বিচারালয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

    চিঠিতে কী লিখেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরজি করে নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তাঁর কথায়, ‘আরজি করে নিজের কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্রীকে খুন-ধর্ষণের নৃশংস ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এবার দুষ্কৃতীদের নজরে বিচারকরা।’ এক পুলিশ অফিসারের মদতেই এই ষড়যন্ত্র ঘটানো হয়েছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলায় বিচার বিভাগও আক্রমণের মুখে! বিচারকের রায় পছন্দ না হওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে গভীর রাতে তাঁদের আবাসনে হামলা চালানো হয় এবং ওই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন এক পুলিশ অফিসারও। এই ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’  এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলায় বিচারবিভাগের জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্যও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন রাখলেন বিরোধী দলনেতা। এর আগে এই ঘটনা নিয়ে বুধবারই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে চিঠি লিখে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের এসিজেএম আদালতের তিনজন বিচারক। সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশ কর্তা কুমারেশ দাসের যুক্ত থাকার অভিযোগও এনেছেন ওই তিন বিচারক। ঘটনার জেরে তাঁরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাও উল্লেখ করেছেন বিচারকেরা। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছেন জেলা বিচারক শুভদীপ মিত্র। প্রসঙ্গত, বিচারকদের আবাসনে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছে একজনকে। আবাসনে হামলার ঘটনা নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: “পুরোটাই নাটক’’! জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    RG Kar Incident: “পুরোটাই নাটক’’! জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জটে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্ন-বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার দাবি, মমতার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, অনেক প্রশ্নের জবাব ওনার কাছে ছিল না, তাই ভয়ে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিরোধিতা করেছেন। শুভেন্দুর এও জানান, সমাজমাধ্যমে ফাঁকা সভাঘরের ছবি প্রকাশ করে আসলে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনাকে ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক’’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    আদালত অবমাননার প্রশ্ন নেই

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান সূত্র বার করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মমতার সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করল শুধুমাত্র আদালতকে প্রভাবিত করার জন্য।’’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে ওই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই, বলে জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “লাইভ স্ট্রিমিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক।’’ 

    লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কীসের আপত্তি?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, যেখানে প্রশাসনিক বৈঠকের সরাসরি স্ট্রিমিং হয়, সেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কীসের আপত্তি? এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়?’’ কারণও ব্যাখ্যা করে দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, মমতা জানতেন যে, তিনি অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারতেন না। তাই তিনি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হননি। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের (RG Kar Incident) নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন উঠলে উনি জবাব দিতে পারতেন না।’’

    সুপ্রিম শুনানির আগে সিমপ্যাথি কার্ড

    সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন, বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ‘সিমপ্যাথি কার্ড’ ব্যবহার করছেন এই বলে যে বৈঠক হলে নাকি নির্যাতিতার জন্য নীরবতা পালন করতেন, অথচ বিধানসভায় অপরাজিতা বিল আনার সময় নির্যাতিতার জন্য কোনও শোকপ্রস্তাব কেন ছিল না।’’ শুভেন্দুর প্রশ্ন, “উনি নাকি দু’দিন ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু অভয়ার মা বাবা, সহকর্মীগণ, নাগরিক সমাজ আজ ৩৩ দিন অপেক্ষায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে ওনার কী মতামত?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Incident: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) অধরাই রয়ে গেল সমাধানসূত্র। মঙ্গল, বুধের পর বৃহস্পতিতেও ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের সম্ভাবনা। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্ত রাজ্য না মানায় বৈঠকে রাজি হননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁদের প্রশ্ন, “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ কেন তাঁরা এই লাইভ স্ট্রমিংয়ের বিষয়ে অনড়, ঠিক কোন আশঙ্কায়, সেই কারণও খোলসা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    ভয়ের কারণ খোলসা

    বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আন্দোলনকারীদের ইমেল পাঠান। জানান তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তাররাও বৈঠকে যোগ দিতে আগ্রহী হন। তবে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা যে শর্ত দিয়েছিলেন, তা না মানায় ভেস্তে গেল বৈঠক। সেখান থেকে স্বাস্থ্যভবনের ধর্নাস্থলে ফিরে এসে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, আন্দোলন চলবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর মত অত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। সেই কারণেই ভয় লাগছিল। যদি আমাদের কোনওভাবে চাপ দেওয়া হয়, তখন কী হবে? সেই কারণেই আমরা বারবার সরাসরি সম্প্রচারের কথা বলেছি ৷ তাহলে একটি স্বচ্ছতা থাকে।’’

    রাজ্যের আপত্তি

    বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে যান জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) ৩২ জনের প্রতিনিধি দল। সকলকেই নবান্নের সভাগৃহে বৈঠকে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়। তত ক্ষণে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর সঙ্গে সেখানে অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাগৃহে আর প্রবেশ করেননি চিকিৎসকরা। বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, তাঁদের এই শর্ত না মানলে বৈঠকে প্রবেশ করবেন না। একে একে এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব মনোজ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ছিলেন অনড়। এই আবহে মুখ্যসচিব এবং রাজ্যপুলিশের ডিজি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, এই শর্ত মানছে না রাজ্য। সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তিনি দাবি করেন, কেউ কেউ (আন্দোলনকারী) বিচার চান না। চান ক্ষমতার চেয়ার।

    আন্দোলন চলবে

    নবান্নে দাঁড়িয়েই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা দাবি করেন, চেয়ারে ভরসা রেখেই এসেছিলেন, তাই চেয়ার তাঁরা চান না। চান উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। চান নিজেদের বোনের বিচার। সে কারণেই চলবে তাঁদের অবস্থান। এর পর নবান্ন থেকে বেরিয়ে রওনা হন স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছে তাঁরা জানিয়ে দেন, ৩৩ দিন পথে থেকেছেন, প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন পথে থাকবেন তাঁরা। তবু বিচারের দাবি থেকে সরবেন না। তাঁদের কথায়, “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কিসের ভয়? আমরা ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। যাতে কর্মস্থলে নিরাপত্তা থাকে এবং কর্মস্থলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে, সে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম।’’ দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আমাদের আশা ছিল আজকের বৈঠককে নিয়ে। আমরা সবাই জানতাম আজকে বৈঠকটা হবে। আমরা যদি জানতাম বৈঠকটা হবে না তাহলে এতদূর যেতামই না। আমরা হতাশ। আমাদের এই আন্দোলন স্বাস্থ্যভবনের সামনে চলবে।’’

    আরও পড়ুন: মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে? ঘরোয়া উপাদানেই পেতে পারেন আরাম

    জুনিয়রদের পাশে সিনিয়ররা

    কোন কোন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors Protest) কাজে যোগ দিলেন, এবার খতিয়ে দেখবে স্বাস্থ্য ভবন। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজগুলির কাছে কাজে যোগ দেওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা চেয়েছে রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্যের সব হাসপাতালকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়, দুপুর ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কাজে যোগ দেননি কেউ। এই আবহেই এবার স্বাস্থ্য ভবন জানিয়ে দিল, কারা কাজে আসছেন, অবিলম্বে জমা দিতে হবে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট। রাজ্যের সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তবে, এই রিপোর্ট তলবের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দেয় সিনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হলে কর্মবিরতির পথে যাবেন বলে জানিয়ে দেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে ১০টি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা জানান, প্রয়োজনে সরকারি এবং বেসরকারি দুই হাসপাতালেই কর্মবিরতি শুরু করবেন তাঁরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 September 2024: যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 September 2024: যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: জুনিয়র ডাক্তারদের শাস্তি হলেই দেশজুড়়ে আন্দোলন, হুঁশিয়ারি সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলির

    Junior Doctors: জুনিয়র ডাক্তারদের শাস্তি হলেই দেশজুড়়ে আন্দোলন, হুঁশিয়ারি সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar) ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থান ফের স্পষ্ট করল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে কর্মবিরতির পথে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে ১০টি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যেরা জানালেন, প্রয়োজনে সরকারি এবং বেসরকারি দুই হাসপাতালেই কর্মবিরতি শুরু করবেন তাঁরা।

    দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি (Junior Doctors)

    সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কাজে তো তাঁরা যোগ দেননি। বরং, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি পূরণ না হওয়ায় রাতভর চলে ধর্না। বুধবারও চলেছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতেই এবার রাজ্যকে কড়া বার্তা দিল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি। এমনকী তাঁরা হুমকি দেন, কাজে ফেরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশজুড়ে ফের আন্দোলনে নামতে পারেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি

    মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব চন্দ বলেন, “আমরা সিনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ করছি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যতটা সম্ভব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। সরকারের কাছে আবেদন করছি, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে মানুষের স্বাস্থ্য প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে যায়।” তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতি দমনের জন্য তাঁরা আবেদন করছেন। তাঁর কথায়, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। যত পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো হচ্ছে, দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। আমরা সরকার এবং তদন্তকারী সংস্থার কাছে এই দুর্নীতিকে উৎপাটনের আবেদন করছি। সরকার এমন কোনও ঘটনা ঘটাবে না, যাতে চিকিৎসকদের (Junior Doctors) আন্দোলন হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়।”

    জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ‘ন্যায়সঙ্গত’

    ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স’-এর সদস্য সুশান্ত চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) দাবি ‘ন্যায়সঙ্গত’। তিনি বলেন, “জুনিয়র জাক্তারেরা এমন কোনও দাবি করেননি, যা মানা যাবে না। এই দাবি মানার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সদিচ্ছা থাকা দরকার।” ওই সংগঠনের সদস্য তমোনাশ চৌধুরী বলেন, “সাধারণ মানুষকে সুস্থ পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন। দুঃখের ঘটনা, আমাদের বোনের মৃত্যু পর আগুন জ্বলেছে, তবে এই আগুন দীর্ঘদিন ধরে জ্বলছে।”

    ভুল তথ্য দিচ্ছে রাজ্য!

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। আইএমএ-র অ্যাকশন কমিটির সদস্য সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আইএমের পক্ষ থেকে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কাছে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছি। তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে। সেই কমিটিতে অধ্যক্ষেরা রয়েছেন।” ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্টস অ্যান্ড জুনিয়র ডক্টরস জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পেশ করা জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) কর্মবিরতির জেরে রোগী মৃত্যুর হিসেব ভুল। খুব শীঘ্রই সব রাজ্যের রেসিডেন্ট ডক্টরসরা বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকেই ঠিক হবে পরবর্তী কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jawhar Sircar: মমতার অনুরোধ বিফলেই গেল, ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার

    Jawhar Sircar: মমতার অনুরোধ বিফলেই গেল, ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রবিবারই সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন জহর সরকার (Jawhar Sircar)। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরেই দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জহর।

    তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২

    প্রসঙ্গত, জহর সরকারের (Jawhar Sircar) ইস্তফার ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২। পশ্চিমবঙ্গে মোট ১৬টি রাজ্যসভার আসন রয়েছে। তার মধ্যে একটি খালি হয়ে গেল। তৃণমূলের ১২ জন ছাড়াও বিজেপির দুই এবং বামেদের এক জন রাজ্যসভা সাংসদ রইলেন। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, ২০২২ সালে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন জহর। দলের একটা গোটা দিক পচে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন

    গত রবিবার আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে মমতাকে চিঠিতে জহর (Jawhar Sircar) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।’’

    মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে রাজনৈতিক বলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ফুঁসতে থাকে গোটা বাংলা। সেই সময়ই প্রতিবাদ জানান জহর সরকার। প্রকাশ্যেই জহর (Jawhar Sircar) লেখেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু একবাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share