Tag: bangla news

bangla news

  • RG Kar: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

    RG Kar: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সরবও হয়েছে বিভিন্ন মহল। বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। এবার আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা। বুধবারই তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে। সেইমতো বুধবার সন্ধ্যায় অভিষেক গুপ্তা হাজির হন সিবিআই দফতরে। নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা অফার করার অভিযোগ উঠেছে অভিষেক গুপ্তার বিরুদ্ধে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ‘অভয়া’র বাবা থেকে কাকিমা সকলেই। অন্যদিকে, বুধবারই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন আরজি করের ৪ জুনিয়র চিকিৎসকও। এদিন দুপুর নাগাদ তাঁদের সিবিআই (CBI) দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। আরজি করের খুন-ধর্ষণ মামলাতেই তথ্য জানতে চেয়ে ওই জুনিয়র ডাক্তারদের তলব করা হয়েছিল বলে খবর। 

    ঘটনার দিন নির্যাতিতার বাবাকে টাকা অফার!

    প্রসঙ্গত, অভিষেক গুপ্তার ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররাও। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল মেয়ের মৃত্যুর পরেই ডিসি নর্থ তাঁদের টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এ ধরনের অভিযোগ ওঠার আবহেই তাঁকে তলব করা হল। প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বরে আরজিকরের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ‘অভয়া’র বাবা জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন রাতেই ময়নাতদন্তের পর তাঁর মেয়ের দেহ যখন বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়, তখনই সেখানে ছিল কয়েকশো পুলিশ, দেহ যখন ঘরে শায়িত ছিল, তখনই পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে ডিসি নর্থ তাঁকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    কেন সিজিওতে তলব চার জুনিরকে?

    সন্ধ্যায় ডিসি নর্থের আগে, দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন আরজি করের চার জুনিয়র ডাক্তার। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে প্রবেশ করেন চারজন। সূত্রের খবর, আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে সিবিআই। এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতালের অন্দরের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে কি না, তা জানার জন্যই সিবিআই দফতরে ডাকা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। 

    একাধিক প্রশ্ন আরজি কর (RG Kar) নিয়ে

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক সংশয়ের কথা বলেন জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও ময়নাতদন্ত নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন। ময়নাতদন্তের চালান কোথায়, তা-ও রাজ্যের থেকে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার (আরজি কর খুন-ধর্ষণ) ক্ষেত্রে (RG Kar) প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে পাঁচ দিন পর। এর ফলে বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PNB Fraud: ঋণখেলাপি মামলায় নীরব মোদির প্রায় ৩০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    PNB Fraud: ঋণখেলাপি মামলায় নীরব মোদির প্রায় ৩০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির (Nirav Modi) ২৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করল (PNB Fraud) ইডি। নীরব পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত। ইডির মুম্বই আঞ্চলিক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন, ২০২২-এর আওতায় এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার মধ্যে যেমন জমি রয়েছে, তেমনি রয়েছে বাড়ি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সঞ্চিত অর্থও রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে। এই প্রথম নয়, এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নীরব ও তাঁর সহযোগীদের ভারত ও বিদেশে থাকা প্রায় ২ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে।

    প্রতারণা মামলা (PNB Fraud)

    ২০১৮ সালে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন এই হিরে ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়ে পালান নীরব। পরে ইডি তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ব্রিটেনে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সেই থেকে রাজার দেশেই বন্দিদশা কাটাচ্ছেন তিনি। ব্রিটেনের আদালতও জানিয়েছে, নীরবের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে সাতবার।

    সম্পত্তি নিলাম

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে সব মিলিয়ে নীরব প্রতারণা করেছিলেন প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সব মিলিয়ে ইডি তার চার হাজার কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আদালতের নির্দেশে কয়েকটি সম্পত্তি নিলাম করে যে ৭১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল, তা ফেরানো হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে (PNB Fraud)। বাকি সম্পত্তি নিলামের জন্য শুনানি চলছে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে গিয়ে ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাহুলকে নিশানা বিজেপির

    জানা গিয়েছে, নীরব ও তার সহযোগীদের স্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৬৯২.৯০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব। বছরখানেক আগে আদালতে এই হিরে ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীর ফি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন ঋণখেলাপের (Nirav Modi) মামলায় এই অভিযুক্ত (PNB Fraud)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sikh Group Protests: রাহুল-সোনিয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শিখ সংগঠনের

    Sikh Group Protests: রাহুল-সোনিয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শিখ সংগঠনের (Sikh Group Protests)। বিরোধী দলনেতা রাহুলকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় শিখ সংগঠন। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে ভারতে শিখ ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে (Sonia Gandhi) বুধবার রাহুলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই সংগঠনের সদস্যরা। কেবল রাহুল নন, বিক্ষোভ দেখানো হয় সনিয়া গান্ধীর বাড়ির সামনেও।

    শিখ সংগঠনে বিক্ষোভ (Sikh Group Protests)

    জানা গিয়েছে, বিজেপির শিখ সংগঠন প্রকোষ্ঠের সদস্যরা এদিন বিক্ষোভ দেখান।পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকায়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সামান্য ধস্তাধ্বস্তিও হয়। বিজেপি নেতা আরপি সিং বলেন, “রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। ভারতের মুখে কালি মাখাতে তিনি সব সময় বিদেশের মাটিকে ব্যবহার করেন। ভারতে শিখদের পাগড়ি কিংবা কড়া (বালা) পরতে দেওয়া হবে না বলে তিনি যা বলছেন, তা সর্বৈব মিথ্যে বলছেন।“

    কী বলছেন পুরী

    রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, তাঁর (রাহুলের) কথার সঙ্গে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের দাবি মিল রয়েছে। উনি কি পান্নুনের সঙ্গেও (Sikh Group Protests) দেখা করেছেন, প্রশ্ন পুরীর। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেস আবার জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। পাগড়ি নিয়ে তাঁর মন্তব্যে দেশের শিখদের মধ্যে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে বিদেশে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলির সুবিধা হয়ে গিয়েছে। ওরা সমর্থন করছে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে গিয়ে ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাহুলকে নিশানা বিজেপির

    শিখরা ধর্ম কাণ। মাথায় রঙিন পাগড়ি পরেন। পাগড়ি পরে তাঁরা গুরুদ্বারে যেতে পারেন। পঞ্চ ক ধারণ করা শিখ ধর্মে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এহেন শিখ সম্প্রদায়ই নেমেছে অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে। জানা গিয়েছে, রাহুলের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, এদিনের (Sonia Gandhi) সভায় খালিস্তানপন্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আবার রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Birupaksha Biswas: মেডিক্যালে ভর্তির আশ্বাসে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ!

    Birupaksha Biswas: মেডিক্যালে ভর্তির আশ্বাসে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসছে। কয়েকদিন আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে আইএমএ। এবার মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রকে মেডিক্যালে সুযোগ করে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে। এর আগে শক্তিপুর হাসপাতালের এক চিকিৎসক অনুপম মণ্ডলকে পোস্টিং করে দেওয়ার নাম করে অনেক টাকা হাতিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ। এবার ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা (Birupaksha Biswas)

    জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ভাদুরিয়াপাড়ার দীন মহম্মদের ছেলে ডাক্তারি পড়ার জন্য নিট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হয়নি। কম নম্বর পাওয়ায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ সুযোগ পাচ্ছিলেন না ওই ছাত্র। সেই সময়ে ছাত্রের বাবা দীন মহম্মদের সঙ্গে স্থানীয় এক চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই চিকিৎসকই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (Birupaksha Biswas) সঙ্গে ওই ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে ছেলেকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন তিনি। তাই বিরূপাক্ষের কাছে সাহায্য চান। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। দু’দফায় মোট ৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেননি ওই ডাক্তারবাবু। ওই চিকিৎসক কলেজে সিট বুকিং করে দেওয়ার নাম করে ছাত্রের বাবার কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা নেন। দু’দফায় সেই টাকা দিয়েছিলেন দীন মহম্মদ। কিন্তু, কোনও সদর্থক উত্তর না আসায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে ছাত্রের বাবাকে হুমকি দেন বিরূপাক্ষ। চার বছর আগে তাঁর সঙ্গে এমন প্রতারণা হয়। আদালতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি। দীন মহম্মদের দাবি, গত শনিবার আচমকাই তাঁকে ফোন করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। সেখানে সুর নরম করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে ৪৫ হাজার টাকা তাঁকে ফেরত দিয়েছেন বলে ছাত্রের বাবার দাবি। এই বিষয়ে জানতে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে ফোন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেন, এভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। কেন এমন করা হচ্ছে তিনি জানেন না।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    সাগর দত্তে বিরূপাক্ষ-বাহিনীর দাপাদাপি

    সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে বিরূপাক্ষ-বাহিনী (Birupaksha Biswas) দাপিয়ে বেড়াত। টোকাটুকি থেকে তোলাবাজি- নৈরাজ্য সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে। বাধা দিলে জুটত বদলির হুমকি। বিরূপাক্ষ-বাহিনীর দাপটে ত্রস্ত বিভাগীয় প্রধানরাও। এসব নিয়ে মুখ খুলেছেন কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান।

    কী বললেন সাগর দত্তের অধ্যক্ষ?

    সাগর দত্তের (Sagar Dutta Hospital) অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “এখানকার যা পরিস্থিতি আমি এসে ফেস করেছি, সেটা অকল্পনীয়। দীর্ঘ ৩০ বছরের শিক্ষক জীবনে আমাকে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়নি। ২০২২ সালে আসার পর থেকেই একটা নাম বারবার আমার কাছে আসত, তাঁকে আমি কখনও চোখে দেখিনি। নাম হচ্ছে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। তিনি এখানে দুটো ঘর দখল করে ছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কম অভিযোগ পেয়েছি, যাঁরা অন্যান্য ক্যাটাগরি অফ স্টাফ, তাঁদের থেকেই বেশি অভিযোগ পেয়েছি। কে কোন ক্লাস করাবেন, কে করবে, কে হস্টেল পাবে কি পাবে না, সে সব কিছু ঠিক হত বিরূপাক্ষের সিদ্ধান্তেই। আমি নিজে পদক্ষেপ করি। আমি বলেছিলাম লিখিত অভিযোগ জানাতে। কিন্তু কেউ ভয়ে লিখিত দেয়নি। এখনও পর্যন্ত যা যা লিখিত পড়েছে, তা স্বাস্থ্যভবনে জমা দিই। জুলাই মাসে এক ছেলেকে বুঝিয়ে অভিযোগ দায়ের করাই। বরানগর থানার পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আন অথারাইজড কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল। কিন্তু তারপর থেকে আড়াই বছরে আমি ও আমার স্টাফরা বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার হই। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করতে দেওয়া হয় না, তাদের মিটিং মিছিলে ব্যস্ত রাখা হয়। মার্কস কম পায়। অনেক বিভাগীয় প্রধান বলেও ফেলেন, তাঁরা থ্রেট পেতেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, টুকলি করলে কাদের ধরতে হবে, আর কাদের ধরা যাবে না, সেটাও ঠিক করে দিত বিরূপাক্ষ-বাহিনী (Birupaksha Biswas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মার্কিন মুলুকে গিয়ে ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাহুলকে নিশানা বিজেপির

    Rahul Gandhi: মার্কিন মুলুকে গিয়ে ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাহুলকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণপনার শেষ নেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)! সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের এই নেতা। সেখানে তিনি মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমরের (Ilhan omar) সঙ্গে বৈঠক করেন বলে খবর। তার পরেই বিজেপি নেতাদের চাঁদমারি হয়ে গিয়েছেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির এই নেতা।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস ‘দেশবিরোধী কাজ করছে’ বলে অভিযোগ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তার আগে সংরক্ষণ নিয়ে রাহুল যে মন্তব্য করেছিলেন, ‘তাকে দেশ বিরোধী, সংরক্ষণ বিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রায় একই সুর শোনা গেল অমিত মালব্যের গলায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলহান ওমরের সঙ্গে দেখা করেছেন। একজন পাকিস্তান-স্পনসর্ড ভারত বিরোধী কণ্ঠস্বর, একজন ইসলামপন্থী কট্টরপন্থী ও স্বাধীন কাশ্মীরের একজন উকিল। এই ধরনের উন্মাদ কম্পোনেন্টগুলোর সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে পাকিস্তানি নেতারা আরও সতর্ক হবেন। কংগ্রেস এখন প্রকাশ্য ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”

    কী বললেন শেহজাদ পুনাওয়ালা

    বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালাও রাহুলের কড়া সমালোচনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শিখদের বিরুদ্ধে বিষ ছড়ানো এবং বিদেশের মাটিতে ভারতকে ধ্বংস করার পর এখন রাহুল গান্ধী ভারত বিরোধী ইলহান ওমরের সঙ্গে দেখা করেন। এই ইলহান মার্কিন কংগ্রেসে ভারত বিরোধী প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। ভূস্বর্গ থেকে যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়, তিনি তার বিরুদ্ধে ছিলেন। ভারতের সার্বভৌমত্বও লঙ্ঘন করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান স্পনসর্ড একটি ভ্রমণে তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি ভারতে ইসলামফোবিয়া নিয়ে আলোচনা করতে ইমরান খান ও এই জাতীয় অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল। রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল? তিনি কেন প্রতিটি বিদেশ সফরে সব চেয়ে উগ্র ভারত বিরোধী কম্পোনেন্টসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন?”

    আরও পড়ুন: “দেশবিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়ানো ওঁর স্বভাব”, রাহুলকে নিশানা শাহের

    পার্টির মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানপন্থী ইলহান ওমরের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক স্পষ্ট করেছে যে তিনি পাক অ্যাপোলজিস্টদের সমর্থন করেন। তিনি ভারত বিরোধী উপাদানকে সমর্থন করেন (Ilhan omar)। কংগ্রেস পার্টি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করতে পছন্দ করে (Rahul Gandhi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: আরজি করে দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি ডাকল সন্দীপের স্ত্রীকে, সিজিওতে প্রসূন

    ED: আরজি করে দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি ডাকল সন্দীপের স্ত্রীকে, সিজিওতে প্রসূন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষকে ফের তলব করল ইডি (ED)। এর আগে দুর্নীতির মামলা সিবিআই সন্দীপকে গ্রেফতার করে। সোম ও মঙ্গলবার ইডি সন্দীপের স্ত্রীকে ডেকেছিল। ফের তাঁকে ডাকা হল। ইতিমধ্যেই ২৫টি ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সন্দীপের একাধিক সম্পত্তি সামনে আসতে শুরু করেছে।

    সন্দীপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করছে ইডি (ED)

    সূত্রের খবর, কলকাতায় সন্দীপের অন্তত তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। এমনকী সন্দীপের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের নামে কলকাতায় দুটি ফ্ল্যাট ও একটা ফার্ম হাউস রয়েছে বলেও খবর। বহরমপুরে জোড়া ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে সন্দীপের নামে। তবে, সেই সম্পত্তির কতটা বৈধ সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দীপের আত্মীয়দের নামে কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না সেটার খোঁজও চলছে। প্রসঙ্গত, সন্দীপ যখন আরজি করে অধ্যক্ষ পদে ছিলেন তখন তাঁর স্ত্রীও ছিলেন একই মেডিক্যাল কলেজে সহকারি অধ্যাপক। ইতিমধ্যেই ইডি সন্দীপ ও সঙ্গীতার সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে। ইডির (ED) তরফে আধিকারিকরা সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়েছিলেন। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় তিনঘণ্টা বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করেছিল ইডি। এরপর সন্দীপের স্ত্রী এসে তালা খুলে দেন। তবে, সন্দীপের স্ত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন তাঁর স্বামী কোনও অন্যায় করেননি। সব অভিযোগই মিথ্যে বলে তিনি দাবি করেছিলেন। তবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে সবটাই খতিয়ে দেখছেন সিবিআই ও ইডির আধিকারিকরা। আলিপুর কোর্টে সন্দীপকে ঘিরে মঙ্গলবারও চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এমনকী প্রিজন ভ্যানে জুতো দিয়েও আঘাত করেন অনেকে। সন্দীপের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান তোলেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    সিজিওতে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূন

    আরজি কর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় এবার সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাল ইডি (ED)। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অপারেটর হিসেবে কাজ করেন এই প্রসূন। বুধবার সকালে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ 24 পরগনায় প্রসূনের বাড়িতে প্রায় ৭ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখান থেকে এই মামলা সংক্রান্ত একাধিক নথি পান তাঁরা। এরপর প্রসূনকে আটক করে সন্দীপ ঘোষের ক্যানিংয়ের ফার্ম হাউসে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে সন্দীপের ব্যবহার করা একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পান ইডি-র আধিকারিকরা।

    সন্দীপের সম্পত্তি সম্পর্কে প্রসূন ঠিক কতটা জানেন ?

    আরজি কর হাসপাতালে যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তে নেমেছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। তবে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি সামনে আসায়, সমান্তরাল তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসূনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হলেও সেখানে হাজিরা দিয়ে সোজা চলে আসতেন উত্তর কলকাতার আরজি করে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক তছরুপের ঘটনাও রয়েছে। সন্দীপের (Sandip Ghosh) সম্পত্তি সম্পর্কে প্রসূন ঠিক কতটা জানেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে (ED) ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda’s Speech: যখন মোদিকে আত্মানুসন্ধানে সাহায্য করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

    Swami Vivekananda’s Speech: যখন মোদিকে আত্মানুসন্ধানে সাহায্য করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালটা ১৮৯৩। তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর। আজ থেকে ঠিক ১৩১ বছর আগে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে আলোড়ন তুলেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী (Swami Vivekananda’s Speech)। তাঁর কথাগুলি শুধুমাত্র যে ভারতের সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তাই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অগণিত ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর শিকাগোর বাণী আকর্ষিত করেছে দেশের হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে। যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ১৭ বছর বয়সি নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রীর জীবনে প্রভাব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনের নানা অজানা দিক তুলে ধরে মোদি আর্কাইভ। বুধবার নরেন্দ্র মোদির একটি পুরানো ছবি শেয়ার করে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রীর তরুণ, মুগ্ধ মনের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল সে সম্পর্কে জানায় মোদি আর্কাইভ। নরেন্দ্র মোদি এত অল্প বয়সে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda’s Speech) শিক্ষার দ্বারা এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে তিনি তাঁর বাড়ি ছেড়ে হিমালয়ের উদ্দেশে আত্ম-আবিষ্কারের যাত্রায় চলে যান। প্রধানমন্ত্রীর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ডক্টর বসন্তভাই পারিখের কাছ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের কথা জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বারবার তাঁর জীবনে স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার প্রভাব সম্পর্কে বলেছেন। নিত্য দিন তাঁর জীবনে স্বামীজিকে যাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বছর, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি কন্যাকুমারীর স্বামী বিবেকানন্দ স্মৃতিসৌধে পাথরের উপর ধ্যান করে দুই দিন কাটিয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভারত সফরের পর সেখানে ধ্যান করতে বসার কারণে স্মৃতিসৌধটির নামকরণ করা হয়েছিল। এখানে কন্যাকুমারীতেই স্বামী বিবেকানন্দ আধুনিক ভারতের দর্শন পেয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ বিচারক! রায় পছন্দ না হওয়ায় বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা! পকসো মামলার রায় পছন্দ না হওয়ায় হামলা বলে সন্দেহ বিচারকদের। এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার আদালতের বিচারকদের আবাসনে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ডায়মন্ড হারবার শিবালয়ে মহকুমা আদালতের বিচারকদের আবাসনে গিয়ে হামলা চালায়। বিদ্যুতের লাইন কাটতে আবাসনে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। আবাসনে নিরাপত্তায় নিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা বেষ্টনী কতটা নড়বড়ে সেই কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিঠিতে আতঙ্কের কথা জানান বিচারকরা

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা জজকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান ডায়মন্ড হারবার আদালতের (Diamond Harbour Court) তিন বিচারক। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্রও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদেরর। সেই চিঠি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছেন জেলা জজ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। চিঠিতে বিচারক ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সাব-ইন্সপেক্টর কুমারেশ দাসের নাম উল্লেখ করেছেন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও কুমারেশ দাস বলেন, ‘‘কেন আমার নাম নেওয়া হল জানি না। আমি পৈলানে ট্রাফিক ডিউটি করি।’’

    বার অ্যাসোসিয়েশনের কী বক্তব্য?

    বিচারকের আবাসনের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ক্রিমিনাল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক দেবাংশু পান্ডা। তিনি জানান, বিচারকরা নিরাপদ নন, তাহলে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ সঠিক তদন্ত শুরু করুক। বিচারকের আবাসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সকল কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের আইনজীবীরা বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই ঘটনা কার্যত আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।

    সরব সুকান্তও

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সুকান্ত মজুমদার আরও জানান, রাজ্যে বিচারকরাই (South 24 Parganas)  নিরাপদ নন। পুলিশ বিচারকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে?

    জেলা পুলিস-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বুধবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের এসিজিএমের বিচারকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে ছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী  বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। বিচারকের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “দেশবিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়ানো ওঁর স্বভাব”, রাহুলকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: “দেশবিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়ানো ওঁর স্বভাব”, রাহুলকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ সফরে গিয়ে বারংবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি আমেরিকায় দুটি পৃথক কর্মসূচিতে ভারতে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থার যৌক্তিকতা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে শিখদের স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রাহুল। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে একেবারে ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    দেশ-বিরোধী (Amit Shah)

    আমেরিকায় রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “দেশ-বিরোধী, সংরক্ষণ বিরোধী” বলে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাহুলের স্বভাবই হল বার বার দেশবিরোধী শক্তিদের পাশে দাঁড়ানো। এ সব দেশ-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী মন্তব্য করে উনি বার বার দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। আঘাত করেছেন মানুষের ভাবাবেগেও।” তিনি বলেন, “রাহুলের এই সব মন্তব্য ধর্ম, প্রাদেশিকতা ও ভাষাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিভাজনের রাজনীতিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।” শাহ বলেন, “কিন্তু যতদিন বিজেপি রয়েছে, সংরক্ষণও থাকবে। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ছেলেখেলা করতে পারবে না।”

    কী বললেন বিজেপি নেতারা

    রাহুলকে তুলোধনা করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও। তিনি বলেন, “রাহুলের মন্তব্যের জবাবে মুখ খোলা উচিত ইন্ডি ব্লকের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) সদস্য ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ, সমাজবাদী পার্টি প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব এবং বাম নেতাদের (Amit Shah)।”

    বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, “প্রত্যেকেই জানেন রাহুল গান্ধী একজন অপরিণত এবং পার্ট-টাইম নেতা। যেহেতু তিনি বিরোধী দলনেতা, তাই তার কাঁধে বিরাট দায়িত্ব। আমার বলতে খারাপ লাগছে, ভারতীয় গণতন্ত্রে রাহুল গান্ধী একটি কলঙ্কিত অধ্যায়।”

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “ইতিহাস বলে আমরা নানা সময় উদ্বেগে ভুগেছি, নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছি, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল রাহুল গান্ধীর পরিবার।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির স্ত্রীকে নিয়ে ফেক ট্যুইট, অভিযোগ দায়ের

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির স্ত্রীকে নিয়ে ফেক ট্যুইট, অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) স্ত্রীকে নিয়ে ট্যুইটের জেরে ‘সাইবার অভিযোগ’ দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের স্ত্রী কল্পনা দাসের পারিবারিক সম্পর্ক উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি ট্যুইট করা হয়। যা পুরোপুরি ভুল এবং মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সামনে এসেছে দুর্নীতির পাহাড়। আর সেই দুর্নীতিতে বারবারই উঠে এসেছে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র কথা। চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ‘লবি’ই নাকি বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি নতুন দাবি উঠে এসেছে, যে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে পারিবারিক যোগ রয়েছে উত্তরবঙ্গ লবির ‘মাথা’ হিসেবে চিহ্নিত এসপি দাসের!

    কী বলা হয়েছে ভুয়ো ট্যুইটে

    ট্যুইটারে-ফেসবুকে ভাসছে, মমতা-অভিষেকের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ যোগ রয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। এমনকী, বিচারপতির স্ত্রীর নামেও কিছু দাবি করা হচ্ছে নানা ভাইরাল পোস্টে। বলা হচ্ছে, সম্পর্কে জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের স্ত্রী কল্পনা দাসের কাকা হন এসপি দাস। এখানেই নয়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। এই ট্যুইট নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রেজিস্ট্রির তরফে। বলা হয়েছে, ‘এই ট্যুইট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসত্য। এটি বিচারব্যবস্থার অবমাননা করছে।’ 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    আইনি পদক্ষেপ 

    কয়েক দিন ধরেই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা গিয়েছে, জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে এসপি দাসের ‘পারিবারিক যোগ’ থাকার কারণেই, ‘ষড়যন্ত্র’ করে আরজি কর নিয়ে সুয়ো মোটো মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এমনকী, ৫ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত শুনানিও নাকি এই জন্যই পিছিয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছড়াতে দেখে যে কেবল দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফেও নেটিজেনদের সতর্ক করা হয়েছে এই বিষয়ে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ‘বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে মিথ্যাচার ছড়ানো যায় না। বিশেষ করে শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো হলে তা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য। এই ক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যারা বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে, তাদের নিস্তার দেওয়া হবে না।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share