Tag: bangla news

bangla news

  • ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    ASI: প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে এএসআই ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হয়ে চলা পুরাতত্ত্ব খনন প্রকল্পগুলির কিছুটা অংশ রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (এএসআই)। আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্পগুলির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এএসআই-এর কর্মী ও সম্পদের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

    কীভাবে চলবে কাজ

    এই নয়া উদ্যোগের ফলে, বড় প্রকল্পগুলি সরাসরি এএসআই পরিচালনা করবে। কিন্তু ছোট ও নির্দিষ্ট সাইটের খননকার্য পরিচালনার জন্য রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়া হবে। যদিও প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধান এএসআই-ই করবে, এবং এএসআই-এর নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রকল্পগুলির জন্য পুরো খরচও এএসআই বহন করবে। এএসআই কোনও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এএসআই ভারতের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান ও সংরক্ষণ করতে চায়।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ২০২২-২৩ সালে এএসআই ৩১টি খনন স্থানের অনুমোদন দিয়েছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানার রাখিগড়ি, দিল্লির পুরানা কিলা, এবং গোয়ার সেন্ট অগাস্টিন চার্চ। তবে কর্মী ও অর্থের অভাবে অনেক প্রকল্প এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। যদিও কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা পায় এএসআই, তার অল্প অংশই খনন কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়। অধিকাংশ অর্থ অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, ফলে খনন কার্যক্রমের বাজেট অপূর্ণ থেকে যায়। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এএসআই রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    কোথায় কোথায় খনন কার্য

    ভবিষ্যতে গুজরাটের দ্বারকা এবং তামিলনাড়ুর কাবেরী অববাহিকার মতো পুরাণে উল্লেখিত ডুবে যাওয়া শহরগুলিতে খনন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশার উপকূলে জলতাত্ত্বিক গবেষণা পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে ভারতের সমুদ্রের ইতিহাসও আবিষ্কৃত হবে। এই বছর, এএসআই খনন প্রকল্পগুলিতে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে, যা আগামী বছরে ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে খনন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্য রয়েছে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রত্নতাত্ত্বিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunil Gangopadhyay: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিটে হাতালেন বিএনপি নেতা, তীব্র প্রতিবাদে হল দখলমুক্ত

    Sunil Gangopadhyay: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিটে হাতালেন বিএনপি নেতা, তীব্র প্রতিবাদে হল দখলমুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যতই শান্তি ফেরানোর দাবি করুক, ফের তার অন্তঃসারশূন্যতা সামনে এল। মূলত, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরপরই ভাঙা পড়েছিল খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহির বাড়ি। সেটা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চুপসে যায় সরকার। দখলমুক্ত হয় রাজশাহির বাড়ি। এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদারিপুর জেলায় জবরদখল হয়ে গিয়েছিল ভারত-বাংলা দু’দেশেই সমান জনপ্রিয় প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sunil Gangopadhyay) পৈতৃক ভিটে। সুনীলের ওই ভিটেতে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। মূলত ভারত-বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কার্যত চাপে পড়ে নড়েচড়়ে বসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রবল চাপে দখলমুক্তও করা হয়। কিন্তু, দখলদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না-করায় সুনীলের ওই ভিটে কতদিন নিরাপদ থাকবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সকলে। কারণ, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। এমনই অভিযোগ উঠেছে। মূলত, এই সরকারের আমলেই বাংলাদেশ জুড়ে বিএনপির এত বাড়বাড়ন্ত। তারা জানে এই ধরনের অন্যায় করলেও সরকার কিছু করবে না। তবে, তীব্র প্রতিবাদে সরকার বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sunil Gangopadhyay)

    বাংলাদেশের মাদারিপুরে সুনীলের (Sunil Gangopadhyay) একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে কয়েক বছর আগে গড়া হয়েছিল সুনীল স্মৃতি পাঠাগার। অভিযোগ, গত শনিবার বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার এবং তাঁর সঙ্গীরা তালা ভেঙে ঢুকে সেই পাঠাগার ভেঙে তছনছ করে। দুষ্কৃতীরা সুনীলের ব্যবহৃত লেখার সরঞ্জাম, বই নষ্ট করে দেয়। পাঠাগারের আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি-সহ একাধিক ছবি ভাঙচুর করে। লেখকের বাড়ির সামনে শেখ হাসিনার জমানায় জেলা প্রশাসনের লাগানো একটি সাইনবোর্ডও ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ওই ঘরে এক ট্রাক চাল রেখে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়কার ভাঙচুর, তাণ্ডবের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সব মিডিয়াতে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। ভারতবাসীও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে। এত হইচই শুরু হওয়ায় সোমবার রাতেই জেলা প্রশাসনের তরফে বাড়িটি পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পাঠাগার (Sunil Gangopadhyay) ভাঙচুরের অভিযোগ স্বীকার করেছেন মাদারিপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আধিকারিক উত্তমকুমার দাস। তিনি বলেন, পুলিশ ও সামরিক কনভয় গিয়ে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সেই মতো প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে- ‘লেখকের ভিটে-জমি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে প্রশাসন। নতুন তালা লাগানো হয়েছে। এই জমিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। খুব শীঘ্রই এখানে মিউজিয়াম, লেখকের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন, পুকুরপাড় সংলগ্ন উন্মুক্ত মঞ্চ, শান বাধানো ঘাট নির্মাণ করা হবে। এটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করবে।’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে গণেশ পুজোর মণ্ডপে ‘হামলা’ জেহাদিদের

    Uttar Pradesh: মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে গণেশ পুজোর মণ্ডপে ‘হামলা’ জেহাদিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বাড়ির গণেশ পুজোর (Ganesh Puja) মণ্ডপে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল জেহাদিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। হামলাটি হয়েছে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জনের একটি জেহাদি গোষ্ঠী ওই পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, মণ্ডপকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ইট-বৃষ্টি চলতে থাকে। লুট করা হয়ে বাড়ি, ভাঙচুর করা হয় গণেশ মূর্তি। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করল যোগী প্রশাসন।

    কী বলছেন অভিযোগকারী?

    এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেখানে অভিযোগকারী বাড়ির মালিক প্রদীপ চৌরাশিয়ার স্ত্রী কিরণ চৌরাশিয়া উল্লেখ করেছেন, ‘‘৭ সেপ্টেম্বর গণেশ পুজো শুরু হয়। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতি বছরই আমাদের এই অনুষ্ঠান চলে। ঠিক সেইদিনই বাড়ির আশেপাশে ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয় এবং তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতে থাকে (Uttar Pradesh)। তারপরে তারা সেই সময়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় কিন্তু ঠিক ১০ সেপ্টেম্বর যখন আরতি চলছিল তখন ফের আবার ২০-২৫ জনের জেহাদি বাহিনী ইট বৃষ্টি শুরু করে এবং মূর্তি (Ganesh Puja) ভাঙচুর করে।’’ আরও অভিযোগ ওই জেহাদি গোষ্ঠী পরিবারকে হুমকি দেয়, যদি এরপরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলে জানায় তারা।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১ সন্দেহভাজন (Uttar Pradesh)

    জানা গিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরেই ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ (Uttar Pradesh)। সন্দেহজনক একজনকে গ্রেফতার করেছে তারা। তার নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শশাঙ্ক সিং জানিয়েছেন যে, কিরণ চৌরাশিয়া যিনি গঙ্গা বিহার এলাকার বাসিন্দা, তিনি নিজের বাড়ির পুজোতে হামলার অভিযোগ এনে এফআইআর করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    Swami Vivekananda: ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’, ফিরে দেখা স্বামীজির শিকাগো ভাষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) শিকাগো ভাষণের ১৩১তম বর্ষপূর্তি। ১৮৯৩ সালের এই দিনেই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন শ্রী রামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শিকাগো ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অফ আমেরিকা…’’ এখানেই প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে করতালি চলতে থাকে। কারণ প্রথমবারের জন্য বিশ্ববাসীকে কেউ ‘ভাই ও বোন’ বলে সম্বোধন করেন শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে। তাঁর আগের বক্তারা প্রত্যকেই ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সেখানে তুলে ধরেন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা (Vivekananda Chicago Speech)। ভারতের সীমাহীন সভ্যতার কথা। ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরার কথা। সেখানেই শোনান এদেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা। ভারতবর্ষ কোনও ধর্মের ওপর কখনও আঘাত হানেনি, সে কথাও সেখানে তুলে ধরেন স্বামীজি। বিশ্ব মঞ্চে স্বামীজির ভাষণ সেদিন আলোড়ন তৈরি করে। ভারতীয় সভ্যতার মর্যাদা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন স্বামীজি তাঁর নিজের ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর সেদিনের ভাষণের নির্বাচিত কিছু অংশের বিশ্লেষণ নীচে করা হল।

    পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি

    ‘‘হে আমার আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা আমাদিগকে যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তাহার উত্তর দিবার জন্য উঠিতে গিয়া আমার হৃদয় অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জানাইতেছি। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ, তাঁহার নামে আমি আপনাদিগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর হইয়া আমি (Swami Vivekananda) আপনাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি।’’

    আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি

    ‘‘এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁহারা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য হইতে যাঁহারা এখানে সমাগত হইয়াছেন, তাঁহারাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করিতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়া আসিতেছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে ধর্মের পবিত্র সংস্কৃত ভাষায় ইংরেজি ‘এক্সক্লুশন’ (ভবার্থঃ বহিষ্হকরণ, পরিবর্জন) শব্দটি অনুবাদ করা যায় না, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলিয়া গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়া আসিয়াছে, আমি (Swami Vivekananda) সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।’’

    আমরাই ইহুদীদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি 

    ‘‘আমি আপনাদের এ কথা বলিতে গর্ব অনুভব করিতেছি যে, আমরাই ইহুদিদের খাঁটি বংশধরগণের অবশিষ্ট অংশকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি; যে বৎসর রোমানদের ভয়ংঙ্কর উৎপীড়নে তাহদের পবিত্র মন্দির বিধ্বস্ত হয়, সেই বৎসরই তাহারা দক্ষিণভারতে আমাদের মধ্যে আশ্রয়লাভের জন্য আসিয়াছিলেন। জরাথুষ্ট্রের অনুগামী মহান পারসিক জাতির অবশিষ্টাংশকে যে ধর্মাবলম্বীগণ আশ্রয় দান করিয়াছিল এবং আজ পর্যন্ত যাহারা তাঁহাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, আমি তাঁহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’’

    যত মত তত পথের কথা (Vivekananda Chicago Speech)

    ‘‘বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তাহারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাহাদের জলরাশি ঢালিয়া মিলাইয়া দেয়, তেমনই হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যাহারা চলিয়াছে, তুমিই তাহাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসম্মেলনে গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরই সত্যতা প্রতিপন্ন করিতেছি, সেই বাণীই ঘোষণা করিতেছিঃ ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ।।’ (যে কোনও ব্যক্তি যে ভাব আশ্রয় করিয়া আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে অর্জুন মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে)।’’

    সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে

    ‘‘সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করিয়া রাখিয়াছে। ইহারা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করিয়াছে, বরাবার ইহাকে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করিয়াছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করিয়াছে। এই-সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকিত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হইত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হইয়াছে, তাহাই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক।’’

    খেতড়ির রাজা অজিত সিংহের সাহায্যে স্বামীজি পৌঁছান আমেরিকা

    খুব সহজে অবশ্য স্বামীজির (Swami Vivekananda) আমেরিকা সফর সম্পন্ন হয়নি। উত্তর-পূর্ব রাজস্থানে খেতড়ির রাজা অজিত সিং স্বামী বিবেকানন্দকে শিকাগো যাওয়ার জন্য ‘ওরিয়েন্ট’ জাহাজে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কিনে দেন বলে জানা যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল দারুণ দুঃখ-কষ্ট। তিনি শিকার হন বর্ণ-বিদ্বেষের। কারণ তৎকালীন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের লোকেদের কাছে এই ভারত ছিল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। শিকাগো পৌঁছে শেষ পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের ব্যক্তিগত পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন (Vivekananda Chicago Speech)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Israel Relation: ভারতে বড় লগ্নি করবে ইজরায়েল, জানালেন নয়া রাষ্ট্রদূত

    India Israel Relation: ভারতে বড় লগ্নি করবে ইজরায়েল, জানালেন নয়া রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর প্রতিদান পেতে চলেছে ভারত! ইজরায়েল (India Israel Relation) থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারতে আসছে বড় বিনিয়োগ। সেমিকন্ডাক্টর খাতে এই বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।

    কী বললেন রাষ্ট্রদূত? (India Israel Relation)

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, “আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কে বড় খবর পাব আশা করছি। আমাদের পরিকল্পনায় কিছু রয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের কোম্পানি টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টর, যা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরিতে বিশেষজ্ঞ, ভারতে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে।” ইজরায়েলের কোম্পানির তরফে এখনও কিছু ঘোষণা হয়নি। এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমি ঘোড়ার সামনে গাড়ি রাখতে চাই না। কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রের লোকজন এই বিনিয়োগ করবে। তারাই এ ব্যাপারে ঘোষণা করবে।”

    সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য

    সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতা হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ভারত। ভারত সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই লক্ষ্য পূরণে ভারত (India Israel Relation) সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির মতো দেশের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশীদারিত্ব খুঁজছে। সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলিকে রাজ্যে টানতে নানা পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। গুজরাট, অসম ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। বিনিয়োগ টানতে উত্তরপ্রদেশে চলতি মাসে হবে সেমিকন ইন্ডিয়া অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জানান, ইজরায়েল পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী তেল আভিভ এলাকায় একটি নয়া মেট্রো সিস্টেম এবং নয়া বিমানবন্দর তৈরি। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্দান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে। আমরা একটি নয়া ক্ষেত্র প্রবর্তন করতে চাই। সেটা হল ভারতীয় পরিকাঠামো কোম্পানিগুলিকে আকৃষ্ট করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “পরিকাঠামো খাতে আমরা ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি। আমাদের ইজরায়েলে ভারতীয় কোম্পানি ও ভারতীয় (India Israel Relation) কর্মশক্তির প্রয়োজন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 12 September 2024: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 12 September 2024: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ বন্ধ হতে পারে।

    ২) কোনও কাজের দ্বারা সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি হতে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা। 

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ থাকলেও আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসার দিকে সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতির সময়।

    ৩) বন্ধুদের পাশে পাবেন।

    মীন

    ১) চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
  • Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL) সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কেনা হবে বায়ুসেনায় ব্য়বহৃত সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের জন্য ২৪০টি এরো-ইঞ্জিন। নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে, প্রতিরক্ষা উৎপাদন সচিব সঞ্জীব কুমার এবং বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং হ্যাল-এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  

    ভারতেই তৈরি হবে ইঞ্জিন

    সুখোই ভারতের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান যুদ্ধবিমান। তথ্য বলছে, বায়ুসেনায় এই মুহূর্তে রুশ-জাত সুখোইয়ের সংখ্যা ২৬০টি। এ বছরের শেষদিক থেকে এই বিমানগুলোর ইঞ্জিনের মেয়াদ ফুরনো শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের হাতে এখন যত সুখোই বিমান রয়েছে, সেগুলো পুরো পাল্টাতে সবমিলিয়ে ৯০০টি ইঞ্জিন লাগবে। গোড়ায় ২৪০টি ইঞ্জিনের বরাত পেল হ্যাল। এতদিন, সুখোইয়ের ইঞ্জিনের দরকার হলে আমাদের রাশিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। সেই পরিস্থিতি আর থাকছে না। এবার ওড়িশার কোরাপুটে হ্যালের কারখানাতেই তৈরি হবে সুখোইয়ের ইঞ্জিন। এই জন্য রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি দেবে। ইঞ্জিনের খুব সামান্য পরিমাণ যন্ত্রাংশই সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে।

    ৮ বছরের মধ্যে ডেলিভারি 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হ্যালের থেকে এই এরো ইঞ্জিন কেনার বিষয়টি, বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করবে, এছাড়াও সেনার অপারেশনগুলি বিনা বাধায় এরফলে এগোতে পারবে, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রস্তুতিকে চাঙ্গা করবে। এই ২৪০টি ইঞ্জিনের ডেলিভারি আগামী ৮ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Trump vs Harris: কমলার নিশানায় ট্রাম্প, বিতর্কসভা জমিয়ে দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    Trump vs Harris: কমলার নিশানায় ট্রাম্প, বিতর্কসভা জমিয়ে দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন মুলুকে (US Presidential Election 2024)। নির্বাচনে মুখোমুখি হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump vs Harris)। নির্বাচনী দৌড় থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছিটকে যাওয়ায় ডেমোক্র্যাটরা সর্বসম্মতিক্রমে বেছে নিয়েছেন হ্যারিসকে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গোহারা হারানোর শপথ নিয়েছে তিনি। সম্প্রতি এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যোগ দিয়েছিলেন বিতর্কসভায় (US Presidential Debate)। সেখানেই ট্রাম্পকে একের পর এক কটাক্ষ-বাণে বিদ্ধ করতে থাকেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

    ট্রাম্পকে ধুয়ে দিলেন কমলা (Trump vs Harris)

    বিতর্কসভায় প্রথম থেকেই ঝাঁঝালো ছিলেন কমলা। আগাগোড়াই তিনি চাঁদমারি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে। বলেন, “যাঁরা ভাবছেন ট্রাম্প দেশবাসীর কথা ভাবছেন, তাঁরা সকলেই ভুল করছেন। বোকামো করবেন না। ট্রাম্পের সমস্ত ভাবনার পিছনের কোনও না কোনও স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে। নিজের লাভ ছাড়া কোনও কথাও ভাবেন না উনি।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী (Trump vs Harris) বলেন, “ট্রাম্প কেবলমাত্র ধনীদের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলছেন। সকলের মন ভোলাতে এসব কথা বলছেন উনি। আখেরে এতে লাভ হবে ধনীদেরই। গোটা দেশকে বেকারত্ব ও কর্মহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন উনি। তার মারাত্মক ফল ভোগ করেছে গোটা দেশ।” তিনি (US Presidential Debate) বলেন, “ট্রাম্প চিন ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়াতে চান। এটা আসলে মার্কিনদের ওপর বিক্রয় কর বসানো। এর ফলে পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে।”

    প্রসঙ্গ গর্ভপাত

    গর্ভপাত প্রসঙ্গে কমলা বলেন, “মহিলারা তাঁদের শরীর নিয়ে কী করবেন, কী তাঁদের করা উচিত, সরকার কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trump vs Harris) তা বলা উচিত নয়।” তাঁর দাবি, “ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিষিদ্ধ বিলে সই করে দেবেন।” সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি এমন কোনও নিষেধাজ্ঞায় সই করছি না, করার প্রয়োজনও নেই।”

    আরও পড়ুন: “সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তাও অসম্ভব”, বললেন শাহ

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ প্রসঙ্গে কমলা বলেন, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী (Trump vs Harris) বলেন, “অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার। গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধ বিরতি প্রয়োজন। সেই সঙ্গে যাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে (US Presidential Debate)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত! আপত্তিতে আমল দেয়নি পুলিশ-হাসপাতাল, প্রকাশ্যে সেই চিঠি

    RG Kar: সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত! আপত্তিতে আমল দেয়নি পুলিশ-হাসপাতাল, প্রকাশ্যে সেই চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যাস্তের পরে ময়নাতদন্ত করা যায় না। কিন্তু, আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছিল। ২০২১-র ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশিকার চার নম্বর পয়েন্টে স্পষ্ট বলা রয়েছে, ধর্ষণ করে খুনের ক্ষেত্রে সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা যাবে না। যদি না আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়। সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়, জেলা পুলিশ সুপার, হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল, সুপারকে। দেখা যাচ্ছে, সাব ইন্সপেক্টর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখছেন। ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়েছেন। আর ফরেন্সিক বিভাগের প্রধানই হলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য। তিনি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ ওঠে। অভয়ার ক্ষেত্রে তা মানাই হয়নি। তাতে আপত্তি জানিয়ে নোট দিয়েছিলেন ময়না তদন্তের বোর্ডে থাকা এক সদস্য। কিন্তু তাতে আমল না দিয়েই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছিলেন বলেই অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    মঙ্গলবার ওই নোট এবং আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসককে টালা থানার তরফে দেওয়া চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ওই দিনই ময়নাতদন্ত সেরে ফেলতে চেয়েছিল প্রশাসন। সেই মতো আরজি করের (RG Kar) সুপার একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। তাতে ওই মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর রিনা দাস এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata) অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখা হয়। বোর্ড গঠনের নির্দেশিকায় এক সদস্য নোট দিয়ে জানান, বিকেল ৪টের পরে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে পুলিশের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা লাগবে। সেই বিষয়ে ২০২১ সালে স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দেশিকার মেমো নম্বরও তিনি উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওই এসওপি-তে বলা ছিল, আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা ছাড়া খুন, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, উদ্ধার হওয়া পচাগলা দেহ এবং রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাতে ময়নাতদন্ত করা যাবে না।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছিল?

    সূর্যাস্তের পর অভয়ার ময়নাতদন্ত করতে চেয়ে আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগকে (RG Kar) সরাসরি চিঠি দেন টালা থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। চিঠিতে লেখা ছিল, জরুরি বিষয়, ‘স্পেশ্যাল ইস্যু’। কিন্তু কী সেই স্পেশ্যাল ইস্যু, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করেছে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী, বিকাল চারটের পর ময়নাতদন্ত করতে হলে এসপি পদমর্যাদার পুলিশকে অনুরোধ করতে হবে। হাসপাতালের সুপার কিংবা প্রিন্সিপ্যালকে সেই অনুরোধে শীলমোহর দিতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন সাব ইন্সপেক্টর চিঠি লিখলেন? প্রিন্সিপ্যাল কিংবা সুপারকে এড়িয়ে কেন সরাসরি ফরেন্সিক বিভাগকে চিঠি? সাব ইন্সপেক্টরের চিঠি পেয়ে কেন ময়নাতদন্তে রাজি হল ফরেন্সিক বিভাগ? প্রসঙ্গত, এই খামতির অভিযোগই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ময়নাতদন্তের চালান দেখতে চান। কিন্তু তা দেখাতে পারেনি রাজ্য। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এখন নতুন করে এই চিঠি সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিকিৎসককে কী ভাবে বোর্ডে রাখা হল?

    আরজি করের (RG Kar) ঘটনায় ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে বোর্ড গঠন করে নির্দেশিকা জারি করলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অভিযোগ ওঠে, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠ দুই চিকিৎসককে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ বোর্ডে রাখা হয়েছিল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়েও ময়নাতদন্তের বোর্ডে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠদের থাকার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সিনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা দেহ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ তা করতে দেয়নি। এই নোট এবং চিঠি সামনে আসায় সেই অভিযোগ জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে।

    অভয়ার বন্ধু কী বলেছেন?

    ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে নিয়ম যে মানা হয়নি, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অভয়ার বিশেষ বন্ধু, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, “আমার যতটুকু জ্ঞান তাতে, অন্ধকার হয়ে গেলে কালার চেঞ্জগুলো বোঝা যায় না। শরীরে বিষ থাকলে, যদি শরীরের বিশেষ অংশের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে তা ধরা যায় না। তাই সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত (RG Kar) করা হয় না।” সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়টি মামলাকারীর আইনজীবীর হাতে যথেষ্ট সাক্ষ্য, বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পুরুলা শহর, ধারচুলা, চামোলি নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

    কী বলছেন ডিজিপি (Uttarakhand)?

    লাভ জিহাদের বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁদের পছন্দ মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতেই পারেন, কিন্তু যদি কারও ধর্ম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করা হয়, তখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সম্প্রীতি বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে যে, দেরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল প্রভৃতি জায়গাতে ইসলামপন্থী মানুষজনের (Land Jihad) জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং উত্তরাখণ্ডের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের হিন্দু ৮৩ শতাংশ

    সাংবাদিক সম্মেলনের ডিজিপি অভিনব কুমার জানিয়েছেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে (Uttarakhand) অনুপ্রবেশের কারণে বদলে গিয়েছে জনবিন্যাস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা শুরু হবে এবং এ নিয়ে অভিযানও করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরাখণ্ডের জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ। এর মধ্যে ৮৪ লাখ হিন্দু যা মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৪ লাখ মুসলিম বসবাস করেন উত্তরাখণ্ডে, শতাংশের হিসেবে ১৩.৯।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share