Tag: bangla news

bangla news

  • Indian Railways: বড় ঘোষণা রেলের, দীপাবলি ও ছটপুজোর মরসুমে ছুটবে ৭ হাজার বিশেষ ট্রেন

    Indian Railways: বড় ঘোষণা রেলের, দীপাবলি ও ছটপুজোর মরসুমে ছুটবে ৭ হাজার বিশেষ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল হল দেশের লাইফ লাইন (Indian Railways)। তীর্থস্থান ভ্রমণ, ঘুরতে যাওয়া কিংবা প্রতিদিনকার যাতায়াত-দেশের সবচেয়ে বড় অংশের মানুষ রেলের ওপরেই নির্ভরশীল। রেলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানও। বিশেষ উৎসবগুলিতে অতিরিক্ত ট্রেনও চালায় ভারতীয় রেল। দীপাবলি ও ছটপুজোর মরসুমে দেশবাসীর জন্য সুখবর দিল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই মরসুমে ৭ হাজার অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।

    গত বছরের তুলনায় ৪,৪২৯টি বেশি ট্রেন (Indian Railways) 

    প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী দীপাবলি ও ছট পুজো পালনের এই সময়ে বহু মানুষ কর্মক্ষেত্রে ছুটি পান। তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন। আবার উৎসব শেষ হয়ে গেলে তাঁদের কাজের স্থানে ফিরতে হয়। তাই অন্য সময়ের থেকে এই সময়ে ট্রেনের চাহিদাও ব্যাপক বাড়ে। সে কথা মাথায় রেখে, অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করল রেল (Special Train)। ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বৃহস্পতিবারই, এই বিশেষ ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, গত ১ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রেলের (Special Train) যাত্রী সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় ৪,৪২৯টি বেশি ট্রেন চালানো হবে এ বছরে। জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ষাট শতাংশ বেশি ট্রেন চলবে, যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে।

    দীপাবলির সময় প্রতিদিন ১৩৬টি করে অতিরিক্ত ট্রেন 

    প্রসঙ্গত, এই সময় মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার ভোটও রয়েছে। সেই ভোটের কথা মাথায় রেখেও বিশেষ ট্রেন (Indian Railways) চালানো হচ্ছে। রেলমন্ত্রী হিসেব দিয়ে জানিয়েছেন, দীপাবলির সময় প্রতিদিন ১৩৬টি করে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। আর এই অতিরিক্ত ট্রেনগুলি থামবে বেশ কিছু স্টেশনেও। এরজন্য থাকবে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পানীয় জলের ব্যবস্থা। এছাড়া ছট পুজোর কারণে আগামী ২, ৩ ও ৪ নভেম্বর প্রতিদিন ১৪৫টি করে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cabinet-Approves: রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারে ৬৭৮৯ কোটি টাকার অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Cabinet-Approves: রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারে ৬৭৮৯ কোটি টাকার অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পাঁচ বছরে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে, আনুষঙ্গিক খরচ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Cabinet-Approves) ৬৭৮৯ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন করেছে। দীপাবলির আগে এই বরাদ্দ দেশবাসীর জন্য সুখবর। জানা গিয়েছে, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানায় যোগাযোগকে আরও মজবুত করা হবে। একই ভাবে দুটি বিশেষ রেল প্রকল্প (Several Project) বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

    পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে ব্যাপক সহায়ক হবে (Cabinet-Approves)

    সামনেই দীপাবলি। দেশবাসী আলোর উৎসবে মেতে উঠবেন। ঠিক তার আগে কেন্দ্রের মোদি সরকারের কমিটি অফ ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স (সিসিএ) একাধিক জনমুখী প্রকল্পের (Several Project) অনুমোদন করে দেশবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছে। এই প্রকল্পে দুটি রেল সংযোগকে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, নারকাতিয়াগঞ্জ-রক্সৌল-সীতামারি-দ্বারভাঙা অংশের সঙ্গে আরও ২৫৬ কিমি সংযুক্ত করে প্রকল্পের বাজেট দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই পথ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সীমান্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করবে। পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে ব্যাপক সহায়ক হবে। এর ফলে আঞ্চলিক স্তরে আর্থিক প্রগতি-উন্নতির গতি আরও বাড়বে।

    ৮টি জেলাকে সংযুক্ত করে ৩১৩ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে

    অপর আরেকটি রেল প্রকল্প হল, অমারাবতী হয়ে এরুপালেম এবং নাম্বুরু হয়ে এনটিআর বিজয়ওয়াড়া, গুন্টুর, খাম্মাম জেলার মধ্যে একটি নতুন লাইন পাতার কাজ চলছে। এই রেল যোগাযোগও সুদুরপ্রসারী হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সংযোগ মোট ৩টি রাজ্যের ৮টি জেলাকে সংযুক্ত করে ৩১৩ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। নতুন এই রেল লাইন প্রকল্পে (Cabinet-Approves) মোট ৯টি নতুন স্টেশন সহ প্রায় ১৬৮টি গ্রাম এবং প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা পাবেন। অপর দিকে সীতামারি থেকে মুজফফরপুর পর্যন্ত রেলের বিস্তারে ৩৮৮টি গ্রাম এবং প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবেন।

    আরও পড়ুনঃ দানা মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী, কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ?

    ৩১ এমটিপিএ মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে

    এই রেলপথের বিস্তারে (Cabinet-Approves) কৃষিপণ্য, সার, কয়লা, লোহা আকরিক, ইস্পাত, সিমেন্ট ইত্যাদির মতো পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে দ্রুত সরবরাহ করা যাবে। এই রুটে আনুমানিক ৩১ এমটিপিএ মাত্রার অতিরিক্ত মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে সক্ষম হবে। একই ভাবে রেলকে পরিবেশবান্ধব, দূষণমুক্ত করতে বিশেষ নজর রাখা হবে। জলবায়ু এবং পরিবেশে যাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন যাতে কম হয়, সেই বিষয় সম্পর্কেও অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।   

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs New Zealand: ব্যাটিংয়ে ধস, বলেও নেই চমক! এক যুগ পর দেশে সিরিজ হারের আতঙ্ক রোহিতদের

    India vs New Zealand: ব্যাটিংয়ে ধস, বলেও নেই চমক! এক যুগ পর দেশে সিরিজ হারের আতঙ্ক রোহিতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) বিপক্ষে আপাতত সিরিজ বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডের ২৫৯ রানের জবাবে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। পুণে টেস্টের প্রথম ইনিংসে মিচেল স্যান্টনারের ৭ উইকেটের সুবাদে ১০৩ রানের লিড নেয় কিউইরা। দিনের শেষে ব্ল্যাক ক্যাপসদের স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮। ইতিমধ্যেই লিড ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। চতুর্থ ইনিংসে ভারতের পক্ষে এই রান তাড়া করা প্রায় অসম্ভব বললে খুব একটা ভুল হবে না। এই ম্যাচে হারলে এক যুগ পরে দেশের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারবে ভারত।

    ঘরের মাঠে জয়ের ধারা

    ভারতের ব্যাটিং-ধস, এক যুগ পর দেশে সিরিজ হারের শঙ্কায় ভুগছে টিম রোহিত (India vs New Zealand)। ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজ জেতা সর্বশেষ দলটির নাম ইংল্যান্ড। ২০১২ সালে ভারত সফরে চার ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ইংলিশরা। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি দিয়েই শুরু হয় দেশের মাটিতে ভারতের অজেয়-যাত্রা। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত দুর্দান্ত কিছু না করলে সেই যাত্রায় আপাতত ছেদ পড়তে চলেছে।

    ব্যাটিং ব্যর্থতা

    নিউজিল্যান্ডের ২৫৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম দিনই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট খোয়ায় ভারত। শুক্রবার অর্থাৎ ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে এক সেশনেই আউট হলেন ভারতের ৬ জন ব্যাটার। সবাই স্পিনারদের শিকার। বলা ভালো, মিচেল স্যান্টনার নামের এক আপাত নিরীহ বাঁহাতি স্পিনারের শিকার। ফলস্বরূপ প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়া অলআউট হয় মাত্র ১৫৬ রানে। একাই সাত উইকেট তুলে নেন স্যান্টনার। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে জয়সওয়াল (৩০), গিল (৩০) এবং জাদেজা (৩৮) ছাড়া উল্লেখ করার মতো পারফরম্যান্স কেউ দেখাতে পারেননি।

    দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) ব্যাট করতে নামতেই পিচ যেন বদলে যায়। কিছুক্ষণ আগে যে পিচ দুর্বোধ্য মনে হচ্ছিল, সেখানেই অনায়াসে ব্যাট করে গেলেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। একাই ৮৬ রানের ইনিংস খেলে গেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গত করলেন ইয়ং, ব্লান্ডেলরা। দিনের শেষে মোটে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানে খেলছে কিউইরা। লিড ৩০১ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতের সফল বোলার, ওয়াশিংটন সুন্দর। এই ইনিংসে ৪ উইকেট তুলেছেন তিনি। অশ্বিন তুলেছেন এক উইকেট। তৃতীয় দিনে এখন কোনও ম্যাজিকই ভারতকে দেশের মাঠে সিরিজ হারার থেকে রক্ষা করতে পারে। একই সঙ্গে জিইয়ে রাখতে পারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলার আশা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: নজরে এবার  লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল, মাথার দাম ১০ লক্ষ  টাকা ঘোষণা করল এনআইএ

    NIA: নজরে এবার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল, মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাইকে ধরতে মরিয়া এনআইএ (NIA)। লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোই ওরফে ভানুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভুয়ো পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত ছেড়েছেন। প্রথমে চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ায়। চলতি বছর তাঁকে শেষ বার দেখা যায় কানাডায়। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের সঙ্গেও আনমোলের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সিদ্দিকির শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন লরেন্সের ভাই।

    মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা (NIA)

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে পঞ্জাবের সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালা এবং বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলা-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর জন্য যে বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছিল, সেও জানিয়েছিল আনমোল বিষ্ণোই (Anmol Bishnoi) তাকে এই কাজের ভার দিয়েছিল। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হল ১০ লক্ষ টাকা। ২০২২ সালে নথিভুক্ত দুটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ। কর্তৃপক্ষ অনমোল বিষ্ণোইয়ের অবস্থান সম্পর্কে যে কাউকে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। সংগঠিত অপরাধ নির্মূল করা এবং তাদের কার্যক্রমের তদন্তে আনমোলকে ধরাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে এনআইএ। এর আগে গত জানুয়ারিতে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ের ৩২টি স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, গোলাবারুদ এবং ৪.৬০ লক্ষ নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার প্রায় ন’মাস পর এই ঘোষণা করল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    বিদেশে সক্রিয় আনমোল!

    লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার-সহ তার সহযোগীদের পরিচালিত এই অপরাধ সিন্ডিকেট (NIA) দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মাফিয়া-ধাঁচের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অপরাধমূলক নেটওয়ার্কগুলি পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং অস্ত্র চোরাচালান-সহ সেলিব্রিটিদের হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের ধারণা, আমেরিকা এবং কানাডা থেকে এখনও সক্রিয় আনমোল। সিদ্দিকিকে খুনের জন্য যে শুটারদের আনা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আনমোল। ‘স্ন্যাপচ্যাটে’ তার প্রমাণ মিলেছে। সূত্রের খবর, শুটারদের তিনি সিদ্দিকির পুত্র জিশানের একটি ছবিও পাঠিয়েছিলেন ওই অ্যাপের মাধ্যমেই। অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের লক্ষ্য ছিলেন জিশানও। গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জিশানেরদফতরের সামনে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। তিনজন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জন ধরা পড়েছে। তবে এখনও এক জন পলাতক। সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির দেখানো পথেই গাজা-ইউক্রেনে শান্তি সম্ভব, মত জার্মান চ্যান্সেলর শোলৎজের

    PM Modi: মোদির দেখানো পথেই গাজা-ইউক্রেনে শান্তি সম্ভব, মত জার্মান চ্যান্সেলর শোলৎজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক সমাধান না মেলার ফলেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্য প্রাচ্য। এই পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে আলোচনাই একমাত্র সমাধানের পথ। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান মেলে। ভারত যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী, আগে একাধিক বার সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদির নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি।

    কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা

    দু’দিনের ভারত সফরে বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে পৌঁছেছেন জার্মান চ্যান্সেলর। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রাতরাশ বৈঠকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। এর পরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সরকারি প্রতিনিধিস্তরের সপ্তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদির সঙ্গে শোলৎজের বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি স্থান পেয়েছে। উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রসঙ্গও। বৈঠকের পরে শোলৎজ বলেন, ‘‘আমরা আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে কথা বলেছি। কারণ এই পদ্ধতি উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।’’ ২০২২ সালে বার্লিনে জি৭ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসাবে যোগ দিয়েছিল ভারত। সেখানে প্রকাশ্যে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সেই একই সুর শোনা গেল শোলৎজের কথায়।

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে চাপে ফেলতে ভারতের সঙ্গে অক্ষ তৈরি করতে আগ্রহী জার্মানি। সেই উদ্দেশ্যেই নয়াদিল্লির সঙ্গে সামরিক বোঝাপড়া বাড়াতে চাইছেন শোলৎজ। ২০২১ সালে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পরে এই নিয়ে তৃতীয় বার ভারতে এলেন তিনি। বরাবরই যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ আলেচনার কথা বলেছে ভারত। এবার একই সুর শোনা গেল জার্মান চ্যান্সেলরের গলায়। শোলৎজ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সমাধান না মেলার কারণেই মধ্যপ্রাচ্য (পশ্চিম এশিয়া) আজ অগ্নিগর্ভ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cold and cough: সর্দি-কাশিতে নাজেহাল! খামখেয়ালি আবহাওয়ার জেরে ভুগছে আট থেকে আশি!

    Cold and cough: সর্দি-কাশিতে নাজেহাল! খামখেয়ালি আবহাওয়ার জেরে ভুগছে আট থেকে আশি!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুর্গাপুজোর রেশ কেটে গিয়েছে। কিন্তু উৎসবের মরশুম এখনও রয়েছে। দিন কয়েক পরেই আলোর উৎসব। দীপাবলি উদযাপনে মাতবেন আট থেকে আশি! কিন্তু আনন্দের এই সময়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে সর্দি-কাশি (Cold and cough) ও একাধিক ভাইরাসঘটিত ফুসফুস সংক্রমণের সমস্যা বাড়ছে। এর জেরে ভোগান্তিও বাড়ছে। ফলে, বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এখন থেকেই সতর্কতা না বাড়ালে সমস্যা বাড়বে। শীতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

    কেন ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি? (Cold and cough)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের জেরেই সমস্যা বেড়েছে। তাপমাত্রার রকমফেরের জেরে বাতাসে ভাইরাস আরও বেশি সক্রিয় হয়ে গিয়েছে। আর তার জেরেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যা বাড়ছে। ভোর কিংবা রাতের দিকে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমে যায়। আবার দিনে রোদ উঠলে গরম লাগে। অস্বস্তি বাড়ে। লাগাতার তাপমাত্রার এই ওঠানামার জেরে সমস্যা বাড়ছে। ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। এছাড়া, বছরের এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর জেরে ফুসফুসঘটিত নানান রোগের প্রকোপ দেখা দেয়।

    কীভাবে ভোগান্তি কমাবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই সর্দি-কাশির (Cold and cough) ভোগান্তি কমবে। এই সময়ে রাতভর ফ্যান চালিয়ে ঘুমানো‌ একেবারেই উচিত নয়। বরং পাতলা চাদরে গা ঢেকে ঘুমানো উচিত। তাহলে হঠাৎ ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা কমবে। 
    ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম এই সময়ে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খেলে গলা কিংবা শ্বাসনালীতে দ্রুত সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ফলে কাশি, জ্বরের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই  ধরনের খাবার আপাতত এড়িয়ে চলা ভালো। 
    সর্দি-কাশি এড়াতে নিয়মিত রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত অন্তত এক কোয়া রসুন খেলে সর্দি-কাশির মোকাবিলা সহজ হবে‌। 
    ফুসফুস সুস্থ থাকলে সহজেই সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমানো যায়। তাই ফুসফুস সুস্থ রাখতে নিয়মিত একটা এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রান্নায় এলাচ দিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এলাচ ফুসফুসের কার্যকারিতা ভালো রাখে। এর জেরে কাশি জাতীয় সমস্যা (Cold and cough) মোকাবিলা সহজ হয়। 
    নিয়মিত এক চামচ মধু মিশিয়ে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুর রসে থাকে ভিটামিন‌ সি। এই উপাদান সর্দি-কাশি মোকাবিলা করে। মধুতেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতেও সাহায্য করে। তাই এই সময়ে (Weather change) নিয়মিত মধু মেশানো লেবুর রস খেলে ভোগান্তি কমবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JNU: পশ্চিম এশিয়া নিয়ে তিন আলোচনা সভা বাতিল করল জেএনইউ

    JNU: পশ্চিম এশিয়া নিয়ে তিন আলোচনা সভা বাতিল করল জেএনইউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক অচলাবস্থা নিয়ে আয়োজিত তিনটি পৃথক আলোচনা সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। কেন পশ্চিম এশিয়া নিয়ে তিন আলোচনা সভা বাতিল করা হল, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। এই সেমিনারে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত ইরান, প্যালেস্টাইন ও লেবাননের রাষ্ট্রদূতদের। তাঁরাও সেমিনার বন্ধ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।

    কোন কোন সভা বাতিল

    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) এই আলোচনা সভার আয়োজক ছিল জেএনইউয়ের ‘সেন্টার ফর ওয়েস্ট এশিয়ান স্টাডিজ’। তিনটি পৃথক দিনে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের আসার কথা ছিল। গত বুধবার ছিল প্রথম আলোচনা সভা। আসার কথা ছিল ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ ইলাহির। পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ইরান কী চোখ দেখছে, সেটাই ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। সময় নির্ধারিত ছিল বেলা ১১টা। কিন্তু সকাল আটটাতেই আলোচনা সভার সমন্বয়ক সীমা বৈদ্য ইরানি রাষ্ট্রদূতকে ইমেল করে জানিয়ে দেন, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সেই একই বার্তা পাঠানো হয় প্যালেস্টাইন ও লেবাননের রাষ্ট্রদূতদেরও। 

    আরও পড়ুনঃ দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    কেন সভা বাতিল

    প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত আদনান আবু আল হাইজার আসার কথা ছিল ৭ নভেম্বর। লেবাননের আলোচনা সভার সময়সূচি ছিল ১৪ নভেম্বর। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, সে দেশের রাষ্ট্রদূত রাবিই নার্সের। ইরান ও লেবানন দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, কী কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। আলোচনা সভার সমন্বয়ক সীমা বৈদ্যও কারণ জানাতে চাননি। যদিও জেএনইউ (JNU) সূত্রে খবর, ‘স্কুল অব ইন্টারন্যাশন্যাল স্টাডিজ’–এর (সিস) শীর্ষ ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এই আলোচনা সভাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, আলোচনা সভা হলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ হতে পারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে নাগাড়ে বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা, কোথায় কত পরিমাণ?

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে নাগাড়ে বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা, কোথায় কত পরিমাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইক্লোন ‘দানা’-র (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলেছে রাতভর। তারই প্রভাবে শুক্রবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সাগরদ্বীপ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রাত থেকেই। বেলা বাড়লেও শহর কলকাতার (Kolkata) আকাশে আলোর দেখা নেই। সকাল থেকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে অঝোরে। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও একনাগাড়ে বর্ষণে শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, সকাল থেকে রাস্তায় যান চলাচল বেশ কম। খুব বেশি মানুষও রাস্তায় বের হননি। ফলে, ভোগান্তি তুলনামূলক কম রয়েছে।

    কোথায় কোথায় জমেছে জল? (Cyclone Dana)

    সকাল থেকে টানা বৃষ্টির (Cyclone Dana) জেরে জল জমেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গায়। এছাড়া মহাত্মা গান্ধী রোড, পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিটে জল জমেছে। উত্তর বন্দর থানার কাছে স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জল জমেছে সায়েন্স সিটির কাছেও। বেলঘরিয়া রোড, বর্ধমান রোড এবং আলিপুরের কিছু কিছু রাস্তায় জল জমেছে। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে। আশঙ্কা ছিল, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতা এবং শহরতলিতে ঝড়বৃষ্টি হবে। রাতে কোথাও তেমন বৃষ্টি হয়নি। ঝোড়ো হাওয়াও তেমন ছিল না। আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড়। রাতে ওড়িশা উপকূলে ঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় শুক্রবার সকালে। তার পর শক্তি হারিয়ে ‘দানা’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিকেলের মধ্যে আরও শক্তিক্ষয় হবে তার। পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    বৃষ্টির পরিমাণ কত?

    ঝড়ের (Cyclone Dana) ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর বৃষ্টি বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল ৪২.৭ মিলিমিটার। তবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরে ৫৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই তিন ঘণ্টায় সল্টলেকে ২৯ মিলিমিটার এবং দমদমে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গড়িয়া- ৪২ মিলিমিটার, যোধপুর পার্ক- ৪১ মিলিমিটার, বালিগঞ্জ- ৪২ মিলিমিটার, তপসিয়া- ৪০ মিলিমিটার, চেতলা- ৩৮ মিলিমিটার, মোমিনপুর- ৩৬ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া- ২৪ মিলিমিটার, উল্টোডাঙা- ১৭ মিলিমিটার, তারাতলা- ৩২ মিলিমিটার, বেহালা- ২৬.৭০ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটা- ২৪ মিলিমিটার, কালীঘাট- ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবারে ৭৪ মিলিমিটার, হলদিয়ায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

    একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি!

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের (Cyclone Dana) জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 174: “দুর্গানাম, কৃষ্ণনাম, শিবনাম, যে নাম বলে ঈশ্বরকে ডাক না কেন?… বিকার কাটবেই কাটবে”

    Ramakrishna 174: “দুর্গানাম, কৃষ্ণনাম, শিবনাম, যে নাম বলে ঈশ্বরকে ডাক না কেন?… বিকার কাটবেই কাটবে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর নাম কল্লে সব পাপ কেটে যায়! কাম, ক্রোধ, শরীরে সুখ-ইচ্ছা—এ-সব পালিয়ে যায়।

    একজন ভক্ত—তাঁর নাম করতে ভাল কই লাগে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ব্যাকুল হয়ে তাঁকে প্রার্থনা কর, যাতে তাঁর নামে রুচি হয়। তিনিই মনোবাঞ্ছা (Kathamrita) পূর্ণ করবেন—

    এই বলিয়া ঠাকুর দেবদুর্লভ কণ্ঠে গাহিতেছেন। জীবের দুঃখে কাতর হইয়া মার কাছে হৃদয়ের বেদনা জানাইতেছেন। প্রাকৃত জীবের অবস্থা নিজে আরোপ করিয়া মার কাছে জীবের দুঃখ জানাইতেছেন:

    দোষ কারু নয় গো মা, আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা ৷
    ষড়রিপু হল কোদণ্ডস্বরূপ, পুণ্যক্ষেত্র মাঝে কাটিলাম কূপ,
    সে কূপে বেড়িল কালরূপ জল, কাল-মনোরমা ॥
    আমার কি হবে তারিণী, ত্রিগুণধারিণী—বিগুণ করেছে স্বগুণে,
    কিসে এ-বারি নিবারি, ভেবে দাশরথির অনিবার বারি নয়নে ৷
    ছিল বারি কক্ষে, ক্রমে এল বক্ষে, জীবনে জীবন কেমনে হয় মা রক্ষে,
    আছি তোর অপিক্ষে, দে মা মুক্তিভিক্ষে, কটাক্ষেতে করে পার ॥

    আবার গান গাহিতেছেন। জীবের বিকাররোগ! তাঁর নামে রুচি হলে বিকার কাটবে:

    এ কি বিকার শঙ্করী, কৃপা-চরণতরী পেলে ধন্বন্তরি!
    অনিত্য গৌরব হল অঙ্গদাহ, আমার আমার একি হল পাপ মোহ;
    (তায়) ধনজনতৃষ্ণা না হয় বিরহ, কিসে জীবন ধরি ॥
    অনিত্য আলাপ, কি পাপ প্রলাপ, সতত সর্বমঙ্গলে;
    মায়া-কাকনিদ্রা তাহে দাশরথির নয়নযুগলে;
    হিংসারূপ তাহে সে উদরে কৃমি, মিছে কাজে ভ্রমি, সেই হয় ভ্রমি,
    রোগে বাঁচি কি না বাঁচি ত্বন্নামে অরুচি দিবা শর্বরী ॥

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ত্বন্নামে অরুচি! বিকারে যদি অরুচি হল, তাহলে আর বাঁচবার পথ থাকে না। যদি একটু রুচি থাকে, তবে বাঁচবার খুব আশা। তাই নামে রুচি। ঈশ্বরের নাম করতে হয়; দুর্গানাম, কৃষ্ণনাম, শিবনাম, যে নাম বলে ঈশ্বরকে ডাক না কেন? যদি নাম করতে অনুরাগ দিন দিন বাড়ে, যদি আনন্দ হয় তাহলে আর কোন ভয় নাই, বিকার কাটবেই কাটবে। তাঁর কৃপা (Kathamrita) হবেই হবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পর। এসএসসিতে (SSC) ১৪,০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ওই নিয়োগে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। এই রায়ে চাকরি প্রার্থীদের মনে ফের আশার আলো সঞ্চার হয়েছে।

    আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের

    ২০১৫ সাল থেকে এই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার তেমন ভাবে সমাধানের পথে হাঁটেনি। আবার ২০২০ সালে হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিলে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ২০২৩ সালে। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে এইরকম ভাবে মামলা আটকে ছিল। 

    গত ২৮ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সিলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করতে পারবে।” ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। 

    সংরক্ষণ না মানার অভিযোগ

    কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করা হয়েছিল। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তফশিলি জাতি এবং জনজাতি সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। একইভাবে মহিলা সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। ফলে, ফের একবার অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়। 

    আরও পড়ুনঃ দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    ২১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করবে

    কিন্তু, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। অবশেষে ৯ বছর পর এই জটিলতার অবসান হতে চলেছে। এবার আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে ১৪,০৫২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে হবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তবে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪,৩৩৯। প্রায় ৯ বছর পর চাকরির আশা দেখছেন প্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share