Tag: bangla news

bangla news

  • SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    SSC: এসএসসিতে ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর বাধা নেই, হাইকোর্টের নির্দেশে সায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পর। এসএসসিতে (SSC) ১৪,০০০ শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ওই নিয়োগে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। এই রায়ে চাকরি প্রার্থীদের মনে ফের আশার আলো সঞ্চার হয়েছে।

    আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের

    ২০১৫ সাল থেকে এই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার তেমন ভাবে সমাধানের পথে হাঁটেনি। আবার ২০২০ সালে হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিলে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ২০২৩ সালে। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে এইরকম ভাবে মামলা আটকে ছিল। 

    গত ২৮ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সিলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করতে পারবে।” ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। 

    সংরক্ষণ না মানার অভিযোগ

    কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করা হয়েছিল। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তফশিলি জাতি এবং জনজাতি সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। একইভাবে মহিলা সংরক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। ফলে, ফের একবার অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়। 

    আরও পড়ুনঃ দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    ২১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করবে

    কিন্তু, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। অবশেষে ৯ বছর পর এই জটিলতার অবসান হতে চলেছে। এবার আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে ১৪,০৫২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে হবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তবে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪,৩৩৯। প্রায় ৯ বছর পর চাকরির আশা দেখছেন প্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hoax Bomb Threat: মোট ঘটনার সংখ্যা ২৫০ পার! ফের ৯৫ বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক, কড়া পদক্ষেপের ভাবনা

    Hoax Bomb Threat: মোট ঘটনার সংখ্যা ২৫০ পার! ফের ৯৫ বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক, কড়া পদক্ষেপের ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক (Hoax Bomb Threat)! ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, স্পাইসজেট, অ্যালায়েন্স এয়ার এবং আকাসা এয়ারের অন্তত ৯৫টি বিমানে বোমা হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরেই বিভিন্ন বিমানবন্দরে একাধিক বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, দমদম বিমানবন্দরেও ৭টি বিমানের (Flights) জরুরি অবতরণ করানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই নিয়ে গত ১০ দিনে প্রায় আড়াইশোর বেশি বিমানে বোমা সংক্রান্ত হুমকি তথ্য গিয়েছে।

    কত বিমানে বোমাতঙ্ক? (Hoax Bomb Threat)

    জানা গিয়েছে, আকাসা এয়ারের ২৫টি বিমানে (Flights) বৃহস্পতিবার এই ধরনের হুমকি গিয়েছে। পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং ভিস্তারা উড়ান সংস্থার ২০টি করে বিমানে হুমকি গিয়েছে। স্পাইস জেট এবং অ্যালায়েন্স এয়ারেরও পাঁচটি করে বিমানে হুমকি গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের এই বোমাতঙ্কগুলির আগে পর্যন্ত ১৭০টি বিমানে বোমা থাকার ভুয়ো হুমকি ছিল। এই ঘটনায় বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্কের (Bomb Threat) ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে হল অন্তত ২৬৫। সাম্প্রতিক এই বোমাতঙ্কগুলির বেশির ভাগই ছড়িয়েছিল সমাজমাধ্যম থেকে। যার জেরে একাধিক বিমান বাতিল হয়েছে। কোনওটির যাত্রাপথ বদল হয়েছে। পরে দেখা গিয়েছে, সবই ভুয়ো বোমাতঙ্ক (Hoax Bomb Threat)। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। ভুয়ো বোমাতঙ্কে অভিযুক্তদের উড়ান সংস্থার ‘নো ফ্লাই লিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও চলছে। এই তালিকায় থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থার কোনও বিমানে (Flights) তাঁরা উঠতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, ভুয়ো বোমাতঙ্কের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত আটটি মামলা রুজু করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উড়ান সংস্থাকে নিয়ে বৈঠকও করেছে অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিওরিটি।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    যাত্রীরা আতঙ্কিত

    সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আকাসা এয়ারের ২৫টি ফ্লাইট, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও ভিস্তারার ২০টি এবং স্পাইসজেট ও অ্যালায়েন্স এয়ারের পাঁচটি ফ্লাইটকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। একদিনে ৩৫টি বিমানে বোমা রাখার হুমকি (Hoax Bomb Threat), ফের হইচই যার বেশিরভাগটাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানেই সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এমনকী বৃহস্পতিবারও দীর্ঘ তল্লাশি অভিযানে তেমন কিছু উদ্ধার হয়নি বলেই খবর। এই ঘটনায় বিমানে থাকা যাত্রীদের (Flights) মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

    আকাসা এয়ার সংস্থার এক আধিকারিক?

    আকাসা এয়ার সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের একাধিক বিমানের বোমা হুমকি (Hoax Bomb Threat) দেওয়া হয়। এরপরেই জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। জরুরি অবতরণ করা হয় বিমানগুলিকে। নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা-সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।’’

    কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রী  কী বলেছিলেন?

    তবে, যেভাবে এই ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে তা রীতিমত উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফেও। গত কয়েকদিন আগেই এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু বলেন, ‘‘বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক (Hoax Bomb Threat) ছড়ানো অপরাধ হিসেবে গ্রাহ্য হবে। হুমকি দেওয়ার ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা দোষী তাও দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এমনকী তাঁদের বিমানে (Flights) ওঠার উপরেও নিষেধাজ্ঞা সরকার জারি করবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Gold: ব্রিটেন থেকে ১ লক্ষ কেজি সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত, দেশের অর্থনীতি আরও মজবুতের দিকে

    India Gold: ব্রিটেন থেকে ১ লক্ষ কেজি সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত, দেশের অর্থনীতি আরও মজবুতের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন থেকে ১ লক্ষ কেজি সোনা (India Gold) ফিরিয়ে আনল ভারত (RBI)। ১৯৯১ সালের পর ভারতে এতটা বিশাল পরিমাণ সোনা হস্তান্তরের খবরে শোরগোল পড়েছে দেশে। ভারত সহ বিশ্বের বড় মাপের অর্থনীতিবিদরা বিশেষ অগ্রগতির চলনকে ইঙ্গিত করেছেন। এই সোনা ব্রিটেন থেকে ভারতের রিজার্ভ ব্যঙ্কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মোদি সরকারের প্রশংসায় ওয়াকিবহাল মহল। ভারত দ্রুত পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি থেকে তৃতীয় অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।

    মোদির আমলে বিরাট সাফল্য (India Gold)

    ১৯৯১ সালে দেশের বেহাল আর্থিক দশার কারণে ১০০ টন সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছিল আরবিআইকে (RBI)। ওই সময়ে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত দুর্বল। এবার বর্তমান মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে। ফলে এই বিপুল পরিমাণ সোনা (India Gold) নিজের দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে ভারতের অর্থনীতিকে যে আরও গতি প্রদান করা সম্ভব হবে, একথা অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন। এই পদক্ষেপের সঙ্গে দেশে মজুত সোনা পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কৌশলগত পরিবর্তনের একটা বিশেষ ইঙ্গিতও নজরে পড়েছে। এই সোনা দেশে ফিরেছে বিভিন্ন দফতরের সুপরিকল্পনা, সমন্বয় এবং নেতৃত্বের কারণেই।

    অনেক খরচ কমবে

    আরবিআই-এর বেশিরভাগ সোনাই বিদেশের মাটিতে রাখা আছে। সেই জন্য বিদেশের ব্যাঙ্কগুলিতে স্টোরেজের খরচ দিতে হয়। ব্রিটেন থেকে এই সোনা ফিরিয়ে আনার ফলে এবার থেকে বেশ কিছু খরচও বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় এই কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    ২০২৩ সালে ২৭.৫ টনের বেশি সোনা কিনেছিল ভারত

    আরবিআই (RBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, “এখন মোট ৮২২.১ টন সোনা (India Gold) মজুত রয়েছে ভারতের। বিশ্বের আর্থিক মন্দার কারণে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সোনার ভাঁড়ার বাড়ানোর দিকে ঝুঁকেছে। ভারতের আরবিআই একই ভাবে কাজ করছে। আরবিআই তাই বেশি বেশি সোনা কিনছে। ২০২৩ সালে আগের বছর তুলনায় ২৭.৫ টন বেশি সোনা কিনেছিল। এই ভাঁড়ার বৃদ্ধির ফলে কোনও একক বৈদেশিক মুদ্রার উপর ভারতের নির্ভরতা কমেছে। মুদ্রার দর ওঠা-নামা আর্থিক অস্থিরতার সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি কমেছে। ব্রিটেন থেকে সোনা ফিরিয়ে আনা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMF: দ্রুততম হারে বাড়তে থাকা অর্থনীতির তকমা ধরে রাখবে ভারত, জানাল আইএমএফ

    IMF: দ্রুততম হারে বাড়তে থাকা অর্থনীতির তকমা ধরে রাখবে ভারত, জানাল আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে দ্রুততম হারে বাড়তে থাকা অর্থনীতির তকমা ভারত ধরে রাখতে পারবে বলে জানাল আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)। এর কারণ হিসেবে ভালো বর্ষার প্রভাবে কৃষিফলনের উন্নতি এবং গ্রামাঞ্চলে খরচের ক্ষমতা বৃদ্ধিকেই সামনে এনেছে আইএমএফ। বৃহস্পতিবার এক রিপোর্ট সামনে এসেছে, সেখানেই আইএমএফ (IMF) জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭ শতাংশ। অন্যদিকে, মার্কিন পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েট ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চলতি বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭ শতাংশ থেকে ৭.২ শতাংশ। এদিনই মার্কিন সফরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছেন, পরিকাঠামো, লগ্নি এবং উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলির ওপরে জোর দিয়ে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত অর্থনীতি হয়ে উঠবে।

    ভারতের অর্থ ব্যবস্থা বেশ শক্তপোক্ত জায়গায় রয়েছে

    আইএমএফের (IMF) এশিয়া-প্যাসিফিক ক্ষেত্রের নির্দেশক কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, ভারতের অর্থ ব্যবস্থা বেশ শক্তপোক্ত জায়গায় রয়েছে, দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়া সত্ত্বেও। রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে ও বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ভালো জায়গায় রয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতে বেশি সংখ্যায় কাজ তৈরি করা দরকার। আমার মতে, ২০১৯-২০ সালে পাশ হওয়া শ্রমবিধি কার্যকর করা উচিত। তাতে কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধির পাশাপাশি, শ্রমের বাজার নমনীয় হবে।’’

    কৃষি এবং ভূমি সংস্কারের দিকে মনোনিবেশের পরামর্শ দেন আইএমএফের ডিরেক্টর (IMF)

    কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, ‘‘আমি বলব যে সংস্কারের কাজ চালিয়ে যান। পরিকাঠামো বৃদ্ধি, তা ভৌত পরিকাঠামোই হোক বা ডিজিটাল পরিকাঠামো, সেটা তো করে যেতেই হবে। এটা অন্যতম বড় অর্জন। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে, আমি বলব আপনাকে কৃষি এবং ভূমি সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আপনাকে আরও ভাবতে হবে। যে অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতে অনেক বেশি চাকরি তৈরি হয়, সেখানে সঠিক ধরনের দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই, শিক্ষায় বিনিয়োগ করা, শ্রম বাহিনীকে দক্ষ করে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে শক্তিশালী করা আরও একটি সংস্কার।’’

    বেকারত্বের হার কমেছে

    বেকারত্বের হার ৪.৯ শতাংশে নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ এবং কর্মসংস্থান-জনসংখ্যার অনুপাত বাড়ছে। তিনি (Krishna Srinivasan) বলেন, ‘‘শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার ৫৬.৪ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান-জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় ৫৩.৭ শতাংশ। গত শতাব্দীর চারের দশকের তুলনায় এটা অনেকটাই বেড়েছে। বেশিরভাগ উন্নতি হয়েছে স্ব-নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pulse Price: মুগ-মুসুর ডাল মিলবে ২৫ শতাংশ কম দামে, দীপাবলির আগে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Pulse Price: মুগ-মুসুর ডাল মিলবে ২৫ শতাংশ কম দামে, দীপাবলির আগে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে ২৫ শতাংশ কম দামে মুগ-মুসুর ডাল পাওয়া যাবে। দেশের মধ্যবিত্ত মানুষকে স্বস্তি দিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বড় পদক্ষেপ। বুধবার কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর এই ডাল বিক্রি (Pulse Price) প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের পুজোর আগে থেকে মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন নাজেহাল হয়ে উঠছে। অগ্নিমূল্যের জেরে নিচুতলার মানুষের পকেটে রীতিমতো টান পড়েছে। অপর দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত বিশেষ টাস্ক ফোর্সের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই বলে দাবি আমজনতার। এখন কেন্দ্রের উদ্যোগে ডালের দামে ছাড় মেলায় কিছুটা পরিত্রাণ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বাফার স্টক থেকে ডাল বিক্রির পরিকল্পনা (Pulse Price)

    কেন্দ্রীয় সরকার ভারত ব্রান্ডের নামে ভর্তুকিযুক্ত দামে ছোলা, মুগ এবং মুসুরের ডাল (Pulse Price) বিক্রি করে থাকে। এইবার এই প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত ডালের মূল্যের উপর ভর্তুকির মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। কম দামে ভালো ডাল মিলবে বলে এখন ক্রেতারা উচ্ছ্বসিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, “ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাফার স্টক থেকে ডাল বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকার মোট ৩ লক্ষ টন চানা বা ছোলার ডাল এবং ৬৮ হাজার টন মুগ ডাল রিলিজ করেছে বাফার স্টক থেকে।”

    আরও পড়ুন: ‘দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হচ্ছে ডাল

    ভারত ব্রান্ডের অধীনে গোটা ছোলার ডাল ৫৮ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে। ভাঙা ছোলার ডালের (Pulse Price) দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৭০ টাকা। এছাড়া মুসুর ডাল ৮৯ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন সরকারি কো-অপারেটিভ কেন্দ্রগুলিতে ওই ব্রান্ডের ডাল পাওয়া যাবে। এই ডালের মূল্য হবে খুচরো বা অনলাইনে বিক্রিত মূল্যের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম। ভারত ব্রান্ডের ডাল বিক্রির মাধ্যমে একদিকে যেমন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে উৎসবের মরশুমে বাজারের পর্যাপ্ত জোগানও থাকবে ডালের। কেন্দ্রীয় সরকারে বক্তব্য, “ডালের উৎপাদন বাড়াতে গত খরিফ মরশুমেই কৃষকদের ভাল গুণমানের বীজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে অরহর, উরদ ও মুগ ডাল কেনা হচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে। কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নই একান্ত লক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকা তবে প্রাণহানি হয়নি, জানালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী

    Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকা তবে প্রাণহানি হয়নি, জানালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) কাঁপাল বাংলা ও ওড়িশা (Odisha)। গত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড় আর ওড়িশা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। বারবার ওড়িশা উপকূল তছনছ করেছে বিভিন্ন সাইক্লোন। ঘটেছে প্রাণহানি। তবে এবার, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে ওড়িশায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও, কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করে উপকূলভাগ থেকে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে শরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। সজাগ ছিল প্রশাসন। তাই এড়ানো গিয়েছে হতাহতের ঘটনা। ওড়িশা সরকারের ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’ সফল হয়েছে, বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।

    ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সক্রিয় সরকার

    শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রচেষ্টায় ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’ সফল হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) শেষ হয়। ‘ল্যান্ডফলের’ এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।”

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    নিরাপদ আশ্রয়ে ৫.৮ লক্ষ মানুষ

    ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানিয়েছেন, মোট ৫.৮ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার জন্য বিপর্যয় (Cyclone Dana) মোকাবিলা দফতরের ৩৮৫টি দল কাজ করেছে৷ স্থানান্তরিতদের মধ্যে ছিলেন ৬০০০ সন্তানসম্ভবাও। তাঁদের তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে ওড়িশার ধামারা। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে সেই গাছ কেটে রাস্তা সাফ করার কাজে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভুবনেশ্বরের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট কাটিয়ে কলকাতায় স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা, চালু হল ট্রেনও

    Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট কাটিয়ে কলকাতায় স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা, চালু হল ট্রেনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ধামরা, ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র। তার প্রভাব পড়ে বাংলার উপকূলেও। তবে ঝড়ের (Cyclone Dana) তাণ্ডবলীলা সেভাবে চলেনি, রক্ষা পেয়েছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারাও। এই পরিস্থিতিতে রেল লাইনেও তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ছন্দে ফিরছে স্টেশনগুলিও। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার মুখে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাব থেকে বাঁচতে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ট্রেন (Train Service) চলাচল। এদিন সকালে শিয়ালদা এবং হাওড়া স্টেশন (Sealdah Howrah) থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ছন্দে ফিরেছে কলকাতা বিমানবন্দরও। সেখানেও শুরু হল নিয়মিত পরিষেবা।

    শুরু হল ট্রেন চলাচল (Cyclone Dana)

    রেলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা বলা হয়ে ছিল। তবে, শুক্রবার সকালে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে থেকেই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হল শিয়ালদা ডিভিশনে। দক্ষিণ শাখার প্রথম ট্রেন ডাউন সোনারপুর লোকাল শিয়ালদা স্টেশন ছাড়ে। তারপর একে একে ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, বারুইপুর এবং লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ট্রেন। তবে যাত্রীর সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেক কম। ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেক রাত থেকে শিয়ালদা স্টেশন অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। সময়ের অনেক আগে থেকে অনেকেই টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইন দেওয়া শুরু করেন (Cyclone Dana)। যাতে কাউন্টার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হওয়ায় অনেকেই ধৈর্য্যচ্যুত হয়ে পড়েন। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় যাত্রীদের। অন্যদিকে, হাওড়া স্টেশনেও দুর্যোগের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোননি। আবার কেউ কেউ ট্রেন চলাচল নিয়েও অনিশ্চয়তায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বনগাঁ শাখার ট্রেন চললেও হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলেনি। সেই পরিষেবাও শুক্রবার স্বাভাবিক করা হয়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেও নতুন করে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। আগে থেকে বাতিল হওয়া ট্রেন বাদে সবই চলবে স্বাভাবিক সময়ে (Train Service)। 

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    চালু বিমান পরিষেবা

    এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হয়েছে বিমান পরিষেবা। তবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানার প্রভাবে বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে। সাইক্লোন ‘দানা’-র কথা মাথায় রেখে যাত্রী সুরক্ষার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে ১৫ ঘণ্টা উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে সাইক্লোন ‘দানা’-র ল্যান্ডফল। এর প্রভাবে কলকাতায় বৃষ্টিপাত হলেও বিশেষ প্রভাব পড়েনি। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালিয়ে নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে পরিষেবা চালু হয়। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে দিনের প্রথম উড়ান অবতরণ করে সাড়ে ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ। তা দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে এবং সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি উড়ান ইম্ফলের উদ্দেশে রওনা দেয়। সকাল ৮টা থেকেই বিমানবন্দরের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সুষ্ঠু ভাবে উপনির্বাচন হলে বিজেপি ভালো ফল করবে’’, তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সুষ্ঠু ভাবে উপনির্বাচন হলে বিজেপি ভালো ফল করবে’’, তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপনির্বাচন হলে বিজেপি ভালো ফল করবে। বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে ঠিক এইভাবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে আক্রমণ করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নাম না করে নির্বাচনী হিংসা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই ভাবে লোকসভার পর ফের আরেকবার উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপি অত্যন্ত আশাবাদী।

    অশান্ত করতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা (Sukanta Majumdar)

    আগামী ১৪ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। প্রতিটি আসনে ইতিমধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট এবং সিতাই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি (BJP) জয়ের বিষয়ে আশাপ্রকাশ করে হিংসা-অশান্তি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ভোটের আবহে বলেন, “এই মাদারিহাট আসন বিজেপির দখলে রয়েছে। আমাদের দলের সাংসদও এখানে রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ঠিক করে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন করাতে পারলে এইবারও আমরা আসনে জয়ী হব। তবে মুখ্যমন্ত্রী হার্মাদ বাহিনী ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করবে। যদি প্রশাসন এবং আমরা ঠিক করে আটকাতে পারি তাহলে আমাদের জয় নিশ্চিত।” এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের মনোনয়নে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, আলিপুর দুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জেলার বিধায়করা। প্রশাসনিক ভবনের ডুয়ার্স কন্যায় মনোনয়ন জমা দেন। 

    আরও পড়ুনঃ রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি

    মনোনয়নের সময় স্থানীয় বিএম ক্লাব মাঠে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই মাঠে বিজেপির কর্মসূচির অনুমোদিন প্রথমে দেয়নি পুলিশ। পরে, আদালতের নির্দেশে সেখানে মিছিল করে রাজ্যের বিরোধী দল। বিজেপি উপনির্বাচনে জিতলে বীরপাড়া রেলগেটের উপর ফ্লাইওভার হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন সুকান্ত। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, “জায়গা রেলের, গেট রেলের, তার উপর দিয়ে তৃণমূল কীভাবে বলছে তিন মাস ফ্লাইওভার করে দেবে? কাল তো বলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাড়ি গজাবে। ২০১৬ সাল থেকে এই এলাকার মানুষ আমদের সঙ্গে রয়েছেন। এইবারও আমাদের আশীর্বাদ করবেন। বিজেপি এলাকার উন্নয়ন আরও বেশি পরিমাণে করবে, জয় নিয়ে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India China Relation) দুই দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল শুক্রবার। এদিন সকাল থেকে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করল ভারত ও চিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সৈন্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনের অবস্থানে সামরিক সরঞ্জামগুলি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে, চিনেরও সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    শুরু হল সেনা সরানোর প্রক্রিয়া

    পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন (India China Relation) সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন অংশে, গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছিল। দুই পক্ষেরই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রেখে দেওয়া হয়েছিল ওই সব এলাকায়। অবশেষে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটছে। গত সোমবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো গিয়েছে। বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বরফ গলার ইঙ্গিত দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, লিন জিয়ান-ও। এরপর বুধবার, রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সমান্তরালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর মধ্যে। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই পূর্ব লাদাখে প্রকৃ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারি এবং সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত-চিনের চুক্তিকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    আলোচনার মধ্য দিয়েই অগ্রগতি

    ভারত ও চিনের (India China Relation) মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্তের যে জায়গাগুলি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ৷ বৃহস্পতিবার চাণক্য ডিফেন্স ডায়লগ অনুষ্ঠানে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)৷ তিনি জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কয়েকটি জায়গায় সেনার প্রহরা দেওয়া এবং গবাদি পশুদের বিচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ ৷ এই চুক্তি আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ৷ রাজনাথ সিং বলেন,“প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে মতভেদ ছিল৷ এই বিবাদ মেটাতে দুই দেশ সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করেছে৷ এই কথোপকথনের ফলেই বাস্তবের মাটিতে বৃহত্তর ক্ষেত্রে একমত হয়েছে দু’দেশ৷ সমানাধিকার এবং পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতিতে এই চুক্তি হয়েছে৷ এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সেনার প্রহরা এবং গবাদি পশুদের বিচরণের বিষয় দু’টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ এটাই নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শক্তি৷ কারণ আজ হোক বা কাল, সমাধান মিলবেই৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Space Start Up: ৩০-৩৫টি স্পেস স্টার্টআপ চালু করতে ১০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন মোদি সরকারের

    Space Start Up: ৩০-৩৫টি স্পেস স্টার্টআপ চালু করতে ১০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ থেকে ৩৫টি স্পেস স্টার্টআপ চালু করার জন্য ১,০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবারই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য হবে স্টার্টআপগুলিকে (Space Start Up) বাণিজ্যিকীকরণ পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যে কোনও স্টার্টআপের প্রথম দিকটাই সবচেয়ে জটিল হয় এবং এই সময়ে স্টার্টআপগুলিকে লালন পালন করলে, তারা এগিয়ে যায় এবং সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।’’ জানা গিয়েছে, যে তহবিল কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছে, সেখান থেকে প্রতিটি স্টার্টআপ ১০ কোটি থেকে ৬০ কোটি টাকার মধ্যে সহায়তা পাবে। এই অনুদানের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলির উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)।

    দেশে এই মুহূর্তে ২৫০টি মতো স্পেস স্টার্টআপ (Space Start Up) রয়েছে

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপ সারা বিশ্বের নিরিখে মহাকাশ গবেষণায় একটি বড় জায়গা তৈরি করতে পারবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে মহাকাশ খাতে ব্যয় করা হয় ৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, এরই পরিমাণ বাড়িয়ে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ২০২০ সাল থেকেই মহাকাশ গবেষণায় ভারত উদারীকরণের পথ নেয়। জানা গিয়েছে, দেশে এই মুহূর্তে ২৫০টির মতো স্পেস স্টার্টআপ রয়েছে।

    কয়েক হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাকরিরও সুযোগ তৈরি হবে

    প্রসঙ্গত, সরকার যে এমন উদ্যোগ নিতে চলেছে, তা চলতি বছরের বাজেট অধিবেশনেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কয়েক হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাকরিরও সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই তহবিলের মাধ্যমে মহাকাশ স্টার্টআপগুলি (Space Start Up), স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, তার উৎক্ষেপণের পাশাপাশি আরও অন্যান্য বিষয়ে গবেষণা চালাতে পারবে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘অন্যান্য দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যে ধরনের ইকোসিস্টেম তৈরি করা হয়েছে, আমাদের এমন পদক্ষেপ (Space Start Up) তারই সমতুল্য।’’

    কী বলছেন ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের ডিজি?

    ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে ভাট বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে শিল্পের অন্যতম প্রধান প্রয়োজনীয়তা হল আর্থিক সহায়তা। আমরা বিশ্বাস করি, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন তহবিল, শুধুমাত্র ভারতীয় মহাকাশ ইকোসিস্টেমের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে না, একই সঙ্গে অন্যান্য বিনিয়োগকারীরাও এই সেক্টরটিকে বিনিয়োগক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেবেন এবং ধীরে ধীরে ভারতের মহাকাশ গবেষণা আরও সাফল্যের মুখ দেখবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share