Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    তবে “ঈশ্বরের পথে যেতে যেও না”—এই কথা ছাড়া বাকি সব কথা শুনবি।
    “দেখি তোর হাত দেখি,”—এই বলিয়া ঠাকুর তারকের হাত দেখিতেছেন।
    হাত যেন খুব ভারি, মনোযোগ দিয়ে দেখিয়া একটু পরে বলিলেন,
    “একটু আড় আছে… কিন্তু ওটুকু কেটে যাবে। একটু প্রার্থনা করিস, আর এখানে একবার আসিস—ওটুকু চলে যাবে।”

    ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন:
    “কলকাতার বহুবাজারে বাসা তুই করেছিস?”
    তারক উত্তর দিল:
    “আমি আগে করিনি, তারা করেছিল।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে বলিলেন:
    “তুই করেছিস—তাড়াতাড়ি, বাঘের ভয়ে!”
    (ঠাকুর কামিনীকে কি বাঘ বলিতেছেন?)

    তারক প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    ঠাকুর তখন ছোট খাটে শুয়ে ছিলেন, যেন ভাবিতেছেন তারকের কথা। হঠাৎ মাস্টার-কে বলিলেন,
    “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন, যেন কী উত্তর দিবেন ভাবিতেছেন।
    ঠাকুর আবার জিজ্ঞাসা করিলেন,
    “বল না!”

    এই সময় মোহিনী মোহনের পরিবার ঠাকুরের ঘরে আসিয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাদের এক পাশে বসতে দিলেন।

    ঠাকুর তখন তারকের সঙ্গীর কথা মাস্টার-কে বলিতেছেন:
    “ওকেও কেন সঙ্গে আনলি?”
    মাস্টার বলিলেন:
    “রাস্তার সঙ্গী ছিল, অনেকটা পথ একসঙ্গে এসেছে, তাই সঙ্গে আনতে হয়েছে।”

    এই কথার মধ্যে হঠাৎ ঠাকুর মোহিনীর পরিবারকে উদ্দেশ করে বলিলেন,
    “অপঘাত মৃত্যু হলে পেত্নী হয়। সাবধান! মনকে বুঝাবি। এত কিছু দেখলি, শুনলি, শেষে কী—এই হলো?”

    মোহিনী এবার বিদায় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করিলেন, পরিবারও প্রণাম করিল।

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে উত্তর দিকের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন।
    পরিবারটি মাথায় কাপড় ঢেকে আস্তে আস্তে ঠাকুরকে কিছু বলিতেছেন।

  • Health Insurance: চিকিৎসা খরচে লাগাম টানতে উদ্যোগী কেন্দ্র, আসছে স্বাস্থ্য বীমা পাওনার পোর্টাল

    Health Insurance: চিকিৎসা খরচে লাগাম টানতে উদ্যোগী কেন্দ্র, আসছে স্বাস্থ্য বীমা পাওনার পোর্টাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চিকিৎসা খরচ আদায় করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের (Health Insurance)। এবার সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার ও ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI)। এই ধরনের অনিয়ম যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সরকার নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে (Finance Ministry)।

    আসছে স্বাস্থ্য বীমা পাওনার (Health Insurance Claim) পোর্টাল

    অতিরিক্ত চার্জ থেকে রোগীদের রক্ষা করতে, কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক ও IRDAI মিলে স্বাস্থ্য বীমা পাওনা সংক্রান্ত একটি পোর্টাল চালুর কথা ভাবছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে বীমা সংস্থা (Health Insurance), হাসপাতাল এবং রোগীদের মধ্যে একটি স্বচ্ছ সংযোগ গড়ে উঠবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ন্যাশনাল হেলথ ক্লেইমস এক্সচেঞ্জ (NHCE) নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ নির্ধারণে একাধিক স্তরে নজরদারি থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তত্ত্বাবধানে হাসপাতালগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো অতিরিক্ত চার্জ নিতে পারবে না, যা সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটাই স্বস্তির (Finance Ministry)।

    স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বেড়েই চলেছে (Health Insurance)

    সম্প্রতি আওন গ্লোবাল মেডিকেল ট্রেন্ড রেটস নামের একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ভারতের স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই হারে বৃদ্ধি বৈশ্বিক গড় ১০ শতাংশের চেয়েও বেশি। ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে চিকিৎসা ব্যয় ১২ শতাংশ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ধস (Health Insurance)

    স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম আয়ে বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম ইনকাম নেমে এসেছে মাত্র ৯ শতাংশে, যেখানে এর আগের বছর এই হার ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেক হারে কমে গেছে স্বাস্থ্যবিমার বাজারে প্রবাহিত অর্থ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল বিমার প্রিমিয়াম বারবার বাড়তে থাকায় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার এখন আর নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে একদিকে নতুন পলিসি কেনার আগ্রহ কমেছে, অন্যদিকে পুরনো পলিসিগুলির পুনর্নবীকরণেও অসুবিধা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ, তেমনই দীর্ঘমেয়াদে বিমা শিল্পের উপরও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেদেশে তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া (Russian Labour Ministry) নাকি ভারত থেকে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, এমনই এক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্য মস্কো টাইমস-এ। প্রতিবেদনে অনুসারে, উরাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান আন্দ্রে বেসেদিন সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন (Indian worker)। তিনি জানান, রাশিয়ায় ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর কোরিয়া থেকেও কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

    অস্বীকার করল রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক

    তবে রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক (Russian Labour Ministry) এই দাবি অস্বীকার করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।  প্রসঙ্গত, জানা গেছে গত এক বছরে ৪,০০০-এর বেশি ভারতীয় রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) সেন্ট পিটার্সবার্গে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। অনেক ভারতীয় শ্রমিক বর্তমানে কালিনিনগ্রাদ ও মস্কোর বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত আছেন।

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭১,৮১৭টি জায়গা

    চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়ে পরীক্ষামূলক নিয়োগ কর্মসূচিও শুরু করে। এর আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালানো হয়। তবে রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি খুব একটা সফল হয়নি। রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকটের মধ্যে, ২০২৪ সালে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মোট ২,৩৪,৯০০টি পদ নির্ধারণ করেছে রুশ সরকার। এই কোটা অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের রাশিয়ার নির্মাণ, উৎপাদন, পরিষেবা ও কৃষি খাতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মোট কোটার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ৭১,৮১৭টি পদ।

    রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (Russian Labour Ministry) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বহু পুরুষ নাগরিক সামরিক দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ায়, অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহণ, কৃষি এবং বিভিন্ন পরিষেবা খাতে অভাব দেখা দিয়েছে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের।

  • India’s lithium-ion battery: ভারতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে, ঘাটতি মেটাতে সক্রিয় সরকার

    India’s lithium-ion battery: ভারতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বাড়ছে, ঘাটতি মেটাতে সক্রিয় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত প্রতিদিন ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। এই আবহে ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহন (EV), স্টেশনারি স্টোরেজ এবং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের দ্রুত বিকাশ ঘটছে। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (LiB) চাহিদা ১১৫ গিগাওয়াট-ঘন্টা (GWh)-তে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাসেনচার (Accenture) ও ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)-এর যৌথভাবে প্রস্তুত করা রিপোর্টে এমনই পূর্বাভাস মিলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ইভি খাতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (India’s lithium-ion battery) চাহিদা বার্ষিক ৪৮% হারে বাড়বে, যেখানে স্টেশনারি স্টোরেজে ১৪% এবং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সে ৩% হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বৃদ্ধির কারণ

    ভারতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (India’s lithium-ion battery) চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারণ হল বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি। এছাড়াও সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার বাড়ছে। গ্রিড-ভিত্তিক এবং অন্যান্য শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার জন্য লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের জন্য এই ব্যাটারি একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি।

    সরকারের সাহায্য

    সরকারের প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের ফলে দেশে ব্যাটারি উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ২২০ গিগাওয়াট-ঘন্টা-তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric), রিলায়েন্স নিউ এনার্জি সোলার (Reliance New Energy Solar), ও রাজেশ এক্সপোর্ট (Rajesh Exports) এই স্কিমের আওতায় ৪০ গিগাওয়াট-ঘন্টা উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাহিদা মেটাতে শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, পুনর্ব্যবহার যোগ্য ব্যাটারির পরিমাণও বাড়াতে হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতে ব্যবহৃত ব্যাটারির মাত্র ১% পুনর্ব্যবহার হয়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশগত ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে একটি সম্ভাব্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সুযোগ। ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)-এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মোহিন্দরু বলেন, “টেকসইতা হলো এই সময়ের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সুযোগগুলির একটি… ভারত যদি এখনই পদক্ষেপ নেয়, তাহলে একটি শক্তিশালী চক্রাকার ব্যাটারি অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং ভারত বিশ্বে ক্লিন টেকনোলজির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।”

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে (Maoist) ফের মিলল বড়সড় সাফল্য। আত্মসমর্পণ করল ১২ জন মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া জেলার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দান্তেওয়াড়ার এসপি গৌরব রাইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে তারা। তাদের মধ্যে ৯ জনের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের জন্য ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ডি ভাষায় এর অর্থ হল বাড়ি ফিরে আসার আবেদন)। যারা অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে ৪ জন মহিলা মাওবাদীও রয়েছে।

    মাওবাদীদের মাথার দাম (Chhattisgarh)

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে ৯ জনের মাথার মোট দাম ছিল সাড়ে ২৮ লাখ টাকা। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রান্না নামের এক প্রবীণ মাওবাদীও। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৮ লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল অমিত ওরফে হুঙ্গার মাথারও। করুণা, দেবা কাওয়াসি, রাজেশ মাদকম, পাইকে ওয়্যাম, রাজু এবং মহেশ এদেরও মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাওবাদীদের ফাঁপা আদর্শে বিরক্ত এবং দৈনন্দিন জীবনে বৈষম্যের শিকার হওয়ায় হতাশ হয়েছিল তারা। সেই কারণেই সমাজের মূলস্রোতে ফেরা।

    আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন

    ছত্তিশগড় প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবারের আত্মসমর্পণের পর সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ২০০জনেরও বেশি মাওবাদীকে ধরতে ঘোষণা করা হয়েছিল মাথার দাম (Chhattisgarh)। এদিকে, বস্তারের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল এবং নকশাল প্রভাবিত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী অভিযান আরও জোরদার করেছে। এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে কিংবা নিরস্ত্র করা গিয়েছে ৪০০ এরও বেশি মাওবাদীকে।

    মাওবাদী দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি সরকারের নেওয়া কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এবং মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। যার ফলে বনপার্টিদের (মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে এই নামেই পরিচিত) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই প্রশাসনের কোনও গতিবিধি আর এখন জানতে পারছে না মাওবাদীরা। এর পাশাপাশি মাওবাদীদের অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানানো হচ্ছে (Maoist) সরকারের তরফে। তার জেরেই দেশ ক্রমেই হচ্ছে মাওবাদী মুক্ত (Chhattisgarh)।

  • Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Water Crisis)। বর্তমানে এই শহর চরম জলসংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মার্সি কর্পস-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, কাবুল হতে পারে আধুনিক যুগের প্রথম শহর, যেখানে সম্পূর্ণরূপে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ২০৩০ সালের মধ্যেই কাবুলের সমস্ত ভূগর্ভস্থ জলের (Kabul) উৎস শুকিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র শহরের ৭০ লক্ষ মানুষের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য এক গভীর সংকেত। দ্য গার্ডিয়ান-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ৩০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।

    শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য

    দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের কারণে কাবুলে জলের সংকট চরমে উঠেছে। কেবল জলস্বল্পতাই নয়, কাবুলের জলের গুণমানও আজ প্রশ্নের মুখে। মার্সি কর্পস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য। এতে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশনের বর্জ্য, লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত উপাদান। কাবুলের (Kabul) অনেক পরিবার প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস বিশুদ্ধ জলের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। কিছু পরিবার তাঁদের আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ শুধু জল কেনার পেছনে খরচ করছে, আবার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পরিবার জলের জন্য ঋণে জর্জরিত।

    জল এখন বিলাসবহুল বস্তু (Water Crisis)

    কাবুলের খায়ের খানহ্ এলাকার এক শিক্ষিকা নাজিফা বলেন, “জলের অভাব এখন আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ভালো মানের নলকূপের জল এখন দুর্লভ।” তিনি আরও জানান, কিছু বেসরকারি কোম্পানি এই সংকটকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে। তারা বেপরোয়াভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। নাজিফার কথায়, “আগে ১০ দিনের জন্য ৫০০ আফগানি মুদ্রায় জল কিনতাম, এখন সেই পরিমাণ জলের জন্য লাগে ১০০০ আফগানি। গত দুই সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে জলের দাম আরও বেড়ে যাবে।”

    সংকট বাড়ছে কেন?

    ২০০১ সালে কাবুলের (Water Crisis) জনসংখ্যা ছিল ১০ লক্ষেরও কম, যা এখন সাত গুণ বেড়ে গেছে। এই বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলের চাহিদাও কয়েকগুণ বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরুতে আফগানিস্তানে জল ও স্যানিটেশন প্রকল্পের জন্য ২৬৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও, এখন পর্যন্ত মাত্র ৮.৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অনুদান অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পাঞ্জশির নদীর পাইপলাইন প্রকল্প কাবুলের জল সংকটের একটি বড় সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল পাবে। এই প্রকল্পের (Kabul) নকশা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে (২০২৪ সালে), তবে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় মেটাতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।

  • Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশপ্রেমী বিপ্লবীরা সন্ত্রাসবাদী! তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেগে দেওয়া হল ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে। এর আগে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইতে ক্ষুদিরাম বসুকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়ে বিতর্কে (Controversy) জড়িয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এবার খোদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ঘোর বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রশ্নপত্রে ভারতের মহান বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ স্রেফ একটা ভুল নয়, চরম অপমান। ইতিহাস বিকৃতির জঘন্য নজির।

    বিতর্কিত প্রশ্ন (Vidyasagar University)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ পাতায় ১২ নম্বর প্রশ্নে লেখা হয়েছে, “মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?” শিক্ষাবিদদের মতে, প্রশ্নে যাঁদের উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুরের তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট – বার্জ, পেডি এবং ডগলাস। পেডিকে হত্যা করেছিলেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত এবং জ্যোতিজীবন ঘোষ। ডগলাসকে হত্যা করেছিলেন প্রভাংশুশেখর পাল এবং প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। বার্জকে হত্যা করেছিলেন অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ এবং ব্রজকিশোর চক্রবর্তী। এঁদের মধ্যে অনেকেই শহিদ হয়েছিলেন।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা

    এই বিপ্লবীদের নামে আজও মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে মূর্তি ও স্মৃতিস্তম্ভ। প্রশ্নপত্রের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, “এই সব ব্যক্তিরা শহিদ এবং দেশপ্রেমিক হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছেন। তাঁদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?” প্রশ্ন উঠছে (Vidyasagar University), “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কীভাবে এমন প্রশ্ন বা তার শব্দচয়ন অনুমোদন দিল? কীভাবে এমন একটি প্রশ্ন পরিষদের নজর এড়িয়ে ছাপা হল?” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, প্রশ্নটি ভুল না ঠিক, তা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দচয়ন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের সাফ কথা, এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ভুল যাতে না হয়, সেজন্য (Controversy) প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে হবে (Vidyasagar University)।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। জাতীয় ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছে।

    কম্পনের উৎসস্থল (Earthquake)

    কম্পনের উৎসস্থল ছিল দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার ঝজ্জরে। কম্পনটি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ঝজ্জর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের মেরঠ এবং শামলিতেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পন টের পেয়েছেন হরিয়ানার সোনিপত ও হিসারের বাসিন্দারাও। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের নয়ডা ও হরিয়ানার গুরুগ্রামেও বহু সংস্থার অফিস রয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছে এই সব এলাকাও। ভয়ে অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা। রাজধানীর বাসিন্দারাও আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন খোলা জায়গায়। যদিও এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। মেলেনি ক্ষয়ক্ষতির খবরও।

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ (Earthquake) অনুযায়ী, ভারতকে চারটি সিসমিক জোন বা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল জোন ২, জোন ৩, জোন ৪ এবং জোন ৫। এই জোনগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল জোন ৫। আর ঝুঁকি সব চেয়ে কম জোন ২-এ। দিল্লি পড়ে জোন ৪ এর আওতায়। তাই মাঝেমধ্যেই সেখানে দেখা দেয় ৫-৬ মাত্রার ভূমিকম্প। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। তখনও কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৫৯ শতাংশ এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দিল্লিতে ভূমিকম্প হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছে এনডিআরএফ। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কভাবে সিঁড়ি ব্যবহার করে বাইরে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভূমিকম্প চলাকালীন যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের খোলা জায়গায় (Delhi) দাঁড়িয়ে পড়ার পরামর্শও দেওয়া হয় (Earthquake)।

  • Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার, গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025)। ফি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত (Rituals) হয়। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার’। ‘রু’ শব্দের অর্থ দূর করা। তাই ‘গুরু’ শব্দের অর্থ হল, ‘যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করেন’। গুরু আমাদের আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করেন। এক অর্থে তাই গুরুপূর্ণিমা আসলে নিজেকে চেনার দিন। কেবল হিন্দুধর্ম নয়, বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মেও গুরুপূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই এই তিন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছেন, তাঁরাই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন দিনটি। গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও।

    গুরুপূর্ণিমার তিথি (Guru Purnima 2025)

    হিন্দুদের একটি অংশ আদিগুরু মানেন মহর্ষি বেদব্যাসকে। এই তিথিতেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। তাই গুরুপূর্ণিমাকে অনেকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলেন। এই ব্যাসদেব মহাভারতের রচয়িতা। বৈদিক জ্ঞানকে তিনিই ঋক, সাম, যর্জু এবং অথর্ববেদের চারটি খণ্ডে লিপিবদ্ধ করেন। এ বছর গুরুপূর্ণিমার তিথি শুরু হবে ১০ জুলাই, রাত ১টা ৩৬ মিনিটে, পূর্ণিমা ছাড়বে ১১ জুলাই রাত ২টো ৬ মিনিটে। হিন্দুদের বিশ্বাস, গুরুপূর্ণিমার দিনটি যে কোনও বিশেষ কাজ শুরু করার জন্য শুভ। এদিন বাড়িতে যে কোনও শুভ কর্ম করলে গৃহের উন্নতি হয়। ধর্মীয় কাজের জন্যও দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপ গুরুমূর্তি

    হিন্দুদের আর একটি মতে, শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপকে গুরুমূর্তি বলা হয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং সপ্তঋষি এই দিনটিতে মহাদেবের কাছ থেকে পরম জ্ঞান লাভ করেন। তাই শিবই হলেন আদি গুরু। হিন্দুদের পাশাপাশি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন বৌদ্ধরাও। কথিত আছে, বুদ্ধদেব নৈরঞ্জনা নদীর তীরে বোধিবৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পরে বুদ্ধগয়া থেকে সারনাথে চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর পাঁচ পুরানো সঙ্গীকে প্রথম তাঁর বাণী প্রদান করেন। কারণ, বুদ্ধদেবের মনে হয়েছিল, ওই পাঁচজন তাঁর ধর্মের বাণী সহজে বুঝতে এবং আত্মস্থ করতে পারবেন। এই দিনটিতেই তিনি তাঁদের সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন। তার ফলে ওই পাঁচজনও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হন গুরুপূর্ণিমা তিথিতেই। বৌদ্ধরা অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করেন। এই দিনে তাঁরা বিপাসনা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধনা করেন গুরু নির্দেশিত পথে। নেপালে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনটি সে দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপাদেয় খাবার, মালা এবং দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি টপি নামক এক বিশেষ টুপি দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানান (Rituals)।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন জৈনরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন জৈনরাও। তাঁরা এই দিনটিকে পালন করেন ট্রিনোক গুহ পূর্ণিমা হিসেবে। জৈন ঐতিহ্য অনুসারে এই দিনে চতুর্মার শুরুতে চার মাসের বর্ষাকালের পশ্চাদপসরণে ভগবান মহাবীর চব্বিশতম তীর্থঙ্কর কৈবল্য প্রাপ্তির পর ইন্দ্রভূতি গৌতমকে, পরে গৌতম স্বামী নামে পরিচিত, একজন গণধরা, তাঁর প্রথম শিষ্য, এভাবেই তিনি নিজেই একজন ট্রিনোক গুহ হয়ে ওঠেন।

    ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন সিংহলিরা

    সিংহলিরা এই  দিন থেকে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন, তাঁদের ক্যালেন্ডারে যখন বর্ষা আসে সেই অনুযায়ী। আর তাইল্যান্ডের বৌদ্ধরা একে বলেন ফানসা। জুলাই থেকে অক্টোবর অবধি শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন তাঁরা। ভিয়েতনাম, তিব্বত এবং কোরিয়ার বেশ কিছু বৌদ্ধ গোষ্ঠী এই সময় এক স্থান থেকে অন্যত্র যান না। মায়ানমারেও অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন গুরু পূর্ণিমা।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) পালন করেন শিখ ধর্মাবলম্বীরাও। এটি গুরু বা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। শিখ ধর্মে গুরু বা শিক্ষককে ঈশ্বরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গুরু পূর্ণিমার দিন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এদিন গুরুদের কাছ থেকে জ্ঞান ও নির্দেশনা লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয় (Rituals)। শিখদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল গুরুপূর্ণিমা। এদিন থেকেই গুরুদের দেখানো পথে চলতে প্রাণিত হন শিখেরা। গুরু পূর্ণিমা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধির একটি উপলক্ষ। এই দিনে শিখেরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে গুরুদের পূজা করে এবং তাঁদের শিক্ষাগুলি স্মরণ করে। গুরু পূর্ণিমার দিনে শিখেরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ করেন। গুরুদের জীবনী আলোচনা করেন এবং তাঁদের আদর্শে জীবন যাপন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। গুরুপূর্ণিমা শিখদের জন্য একটি পবিত্র দিন (Rituals), যা তাদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য উৎসর্গীকৃত (Guru Purnima 2025)।

LinkedIn
Share