Tag: bangla news

bangla news

  • Bangladesh Crisis: ধর্মের অবমাননা, প্রতিবাদ জানাতেই খুলনায় পিটিয়ে খুন হিন্দু কিশোরকে!

    Bangladesh Crisis: ধর্মের অবমাননা, প্রতিবাদ জানাতেই খুলনায় পিটিয়ে খুন হিন্দু কিশোরকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা অব্যাহত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। দেশের কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বহু জেলাতেই নির্দিষ্ট ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপরেই হামলা চলছে। খুন করা হচ্ছে সাধারণ সংখ্যালঘুদের। সম্প্রতি খুলনায় এক হিন্দু কিশোককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। ওই কিশোরের নাম উৎসব মণ্ডল। অভিযোগ, কিছু উন্মত্ত মুসলিম জনতা পুলিশ এবং সেনার সামনেই ওই কিশোরকে (Hindu Boy Killed in Khulna) পিটিয়ে খুন করেছে। 

    কী ঘটেছিল?

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। শতাধিক হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রামদা ও দেশি বন্দুক নিয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে সোনা এবং নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাণে বেঁচে থাকতে ‘চাঁদা’ও দিতে হচ্ছে। এবার ৪ সেপ্টেম্বর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় ১৮ বছরের এক হিন্দু (Hindu Boy Killed in Khulna) ছেলেকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আহত বা মৃত একজন মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে, আর সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পিছন থেকে কেউ একজন চিৎকার করে বলছে, “হিন্দু… নাস্তিক”। 

    কেন এই ঘটনা?

    ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় ছেলেটিকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু লোক আমার ধর্মকে অপমান করে। তা শুনে আমি ঠিক থাকতে পারিনি।” এরপর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। জানা যায়, সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন ছাত্র ওই হিন্দু ছেলেটিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলামের অফিসে নিয়ে যায়। কথাবার্তা চলাকালীন সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় মুসলিম জনতা উপ-কমিশনারের অফিস ঘিরে ফেলে। উন্মত্ত জনতা হিন্দু ছেলেটির (Bangladesh Crisis) শাস্তির দাবি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু পরে ওই ছেলেটিকে যখন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন উন্মত্ত জনতা তাঁকে মারধর করে হত্যা করে। ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে, সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে।

    অনুরোধেও কাজ হয়নি

    একজন ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমি আমার সব মুসলিম ভাইয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, মাত্র ১০ মিনিট আমাদের দিন। আমরা তাকে জুতোর মালা পরিয়ে ‘নাস্তিক’ লিখে সারা এলাকায় ঘোরাব।” এ কথা শুনে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মীরা হাসছিলেন। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জনতাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে হিন্দু ছেলেটিকে (Hindu Boy Killed in Khulna) সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু উত্তেজিত জনতা এসব কথায় আমলই দেয়নি, তারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

    বাংলাদেশি পোর্টালে এখন এই খবর নেই

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবাদমাধ্যম, যারা সেনা ও পুলিশের উপস্থিতিতে হিন্দু ছেলের নৃশংস হত্যার খবর প্রকাশ করেছিল, তারা বর্তমানে তাদের প্রতিবেদন মুছে ফেলেছে বলে অনুমান। ঢাকা পোস্ট, সকালের খবর, সমকাল সহ যেসব পোর্টালে খুলনার এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলোর লিঙ্ক এখন ‘Error 404: not found’ দেখাচ্ছে।

    এটা স্পষ্ট নয় কেন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলি ঘটনাটির প্রতিবেদন মুছে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বাংলাদেশের নবনির্বাচিত ইউনুস সরকার দেশটির সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার এবং সেগুলো ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে, যাতে ‘ধর্মনিরপেক্ষ, উদার’ ভাবমূর্তিকে রক্ষা করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কেড়ে নেওয়া হোক বিনীতের পুলিশ মেডেল’, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কেড়ে নেওয়া হোক বিনীতের পুলিশ মেডেল’, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে দেওয়া রাষ্ট্রপতির জোড়া পুলিশ পদক কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) পুলিশ কমিশনারের ভূমিকায় নিন্দার ঝড় চারদিকে। তারই মধ্যে বিনীত গোয়েলের কাছ থেকে মেডেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেন শুভেন্দু। শুভেন্দু ওই প্রস্তাব দিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। পাশাপাশি, আরও একটি চিঠি তিনি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। যাঁর মন্ত্রকের অধীন দেশের পুলিশবাহিনী। 

    শুভেন্দুর চিঠি

    রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক পুলিশ মেডেল আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে সিপি বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক। তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং হাসপাতালে হামলার ঘটনায় কমিশনারের ভূমিকায় প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক প্রভুর স্বার্থে তদন্তে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করেছেন সিপি। এই সম্মানের যোগ্য নন তিনি।’’ এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন শুভেন্দু।

    পদকের মর্যাদা রাখতে পারেননি 

    বৃহস্পতিবার ওই দু’টি চিঠিই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন, ‘‘পুলিশের কাজের কৃতিত্বকে সম্মান জানাতেই ভারতের রাষ্ট্রপতি ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল’ এবং ‘পুলিশ মেডেল’ দেওয়ার নিয়ম চালু করেছে। তবে ওই মেডেলের কৃতিত্ব কারও একার নয়। সব সময়েই দলগত। সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে দলের বদলে দলপতি, অর্থাৎ পুলিশের পদাধিকারীকে ওই পদক দেওয়া হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় নানা সুযোগ, কিছু সুবিধা এবং আর্থিক পুরস্কারও।’’ শুভেন্দু জানিয়েছেন, ২০১৩ এবং ২০২৩ সালে বিনীতও পুলিশের কৃতিত্বজনিত ওই দু’টি সম্মান লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি ওই পদকের মর্যাদা রাখতে পারেননি। শুভেন্দু ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এত দিনে স্পষ্ট, কী ভাবে পুলিশ কমিশনের অপরাধস্থলের তথ্য ও প্রমাণ বিকৃত করে তদন্ত প্রক্রিয়ার ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি ওই পদক রাখার যোগ্য নন। তিনি নিজের কাজের জন্য শুধু নিজের নাম নয় কলকাতা পুলিশের ১৬৮ বছরের সুনামও ডুবিয়েছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Pradesh: পদ ৬০ হাজার ২০০, পরীক্ষার্থী ৩২ লক্ষ! পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় নজির যোগী সরকারের

    Uttar Pradesh: পদ ৬০ হাজার ২০০, পরীক্ষার্থী ৩২ লক্ষ! পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় নজির যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ পুলিশ নিয়োগ (Police Recruitment) পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী সরকার। এই রাজ্যে ৬০ হাজার ২০০টি পদের জন্য পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে মোট ৩২ লক্ষ প্রতিযোগী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একটি যুগান্তকারী কৃতিত্ব বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ, সুষ্ঠুভাবে, কোনও রকম বিঘ্ন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বিশাল পরীক্ষা। যোগী বিষয়টি নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও ছিলেন। উল্লেখ্য, আগের সমাজবাদী সরকারের অধীনে একাধিক বার পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাতিল এবং দুর্নীতির অভিযোগে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাই এবার কড়া নিরাপত্তায় নিয়োগ-পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আদিত্যনাথ সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।

    মোট কতগুলি কেন্দ্র ছিল (Uttar Pradesh)?

    বিশ্বের সর্ববৃহৎ পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা (Police Recruitment) সফলভাবে এবং নিরাপদে পরিচালনা করার জন্য সাহায্যকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নিয়োগ বোর্ড এবং সমস্ত জেলা প্রশাসনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড প্রমোশন বোর্ড (ইউপিপিআরপিবি) পাঁচদিনের মধ্যে ৬৭টি জেলার ১১৭৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজনের এই বিশাল কাজটি পরিচালনা করেছে। গত মাসের ২৩ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিয়োগের পরীক্ষা। যোগী সরকার এক অভূতপূর্ব সমন্বয় এবং নিরাপত্তার মাধ্যমে কাজটি সম্পাদন করেছে।

    ২০১৭ সাল থেকে নিয়োগের পরীক্ষায় বড় রকমের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। অতীতের সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এবারের পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং তা নির্বিঘ্নে করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করেছিল। কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারির (PAC) ৩৫টি কোম্পানি এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৮টি কোম্পানি সহ ১৯৭৮৫৯ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। এসবের পরেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষার স্বচ্ছতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্য মাত্রায়। মোট ১৬৪৪০টি পরীক্ষার কক্ষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল।

    প্রার্থীর আধার যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক ছিল (Uttar Pradesh)

    পরীক্ষার্থীদের (Police Recruitment) পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রার্থীর আধার পরীক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক। ৮৫ শতাংশ প্রার্থীর আধার বিবরণ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অবশিষ্ট ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত ই-কেওয়াইসি যাচাই করা হয়েছে। প্রতিটি শিফট শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থীর তথ্য ক্রস-ভেরিফাই করা এবং যাবতীয় তথ্য পরীক্ষার বিষয়টি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কাজগুলি সময় সাপেক্ষ হলেও উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে করা গিয়েছিল। যে কোনও অসঙ্গতি অবিলম্বে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছিল। এমনকী সন্দেহ হলে গ্রেফতারও করা হয়েছে। প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য পরিবহণ কর্পোরেশন বিনামূল্যে বাস পরিষেবাও প্রদান করেছে। একই ভাবে বেশ কয়েকটি জেলায় (Uttar Pradesh) বৈদ্যুতিক বাসে বিনামূল্যে পরীক্ষার্থীদের পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    কী বললেন যোগী?

    রাজ্যের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য জড়িত সকল সরকারি কর্মী এবং বিভিন্ন সংস্থাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “পুলিশ কনস্টেবল সিভিল পদের ৬০ হাজার ২০০টিরও বেশি পদে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য লিখিত পরীক্ষা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। তার জন্য সকল প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এটি উত্তরপ্রদেশে নিরাপত্তা ও সুশাসনের মডেলকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই পরীক্ষার সফল সম্পাদন শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের জন্য নয়, সমগ্র ভারতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। শাসন ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। নতুন পুলিশ কনস্টেবলের মধ্যে ১৫০০০ জনেরও বেশি মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যা রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশা রাখতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘খরচের অডিট হচ্ছে না’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে নোটিশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘খরচের অডিট হচ্ছে না’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে নোটিশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনে একের পর এক ক্লাব তৃণমূল সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলির কয়েকটি ক্লাব ছাড়াও অনুদান ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতার একটি ক্লাবও। আর এবার সেই অনুদান নিয়েই রাজ্যকে নোটিশ দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    অডিটের বিষয়ে রাজ্যকে নোটিশ (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজোর অনুদান দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রতি বছর বাড়ছে সেই অনুদানের অঙ্ক। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো সংগঠনগুলির সম্মেলনে দাঁড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আগামী বছর অনুদান বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অনুদান নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, পুজোর অনুদান বেড়েছে। কিন্তু, খরচের বিষয়ে সঠিকভাবে অডিট হচ্ছে না। অনুদানের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, আদৌ পুজোয় খরচ হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘অনেক ক্লাব নাকি অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছে!’ অডিটের বিষয়ে রাজ্যকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    ফের পুজোর অনুদান ফেরাল ক্লাব

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আগেই পুজোর অনুদান (Durga Puja Grant) বয়কট করার ঘোষণা করেছে রাজ্যের সাতটি ক্লাব। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল পূর্ব বর্ধমানের কালনার ‘পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি’র। অনুদান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা করেছে তারা। সংহতির দুর্গাপুজো এ বার ২৭তম বছরে পা দিল। ক্লাবের তরফে কালনা থানার আইসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বছর সরকারি অনুদান তারা নেবে না। ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ওই চিঠিতে লিখেছেন, “চলতি বছর অনিবার্য কারণে আমরা এই অনুদান গ্রহণে অপারগ। বরং এই অর্থমূল্য আপনারা গরিব কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করলে তৃপ্তি পাব।”

    তালিকায় একাধিক ক্লাব

    প্রসঙ্গত, কলকাতার আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান (Durga Puja Grant) এর আগে হুগলির চারটি ক্লাব উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সরকারি অনুদান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। একই সুরে অনুদান বয়কট করেছে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি”, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি”, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা অশুভ শক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “তামাম বিশ্বে যখন অশুভ শক্তি মাথা তুলে দাঁড়ায়, তাদের ক্ষয় হতে থাকে। আর তারা যখন ভারতে এসে পৌঁছায়, তখন আমরা তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।”

    ‘বেদসেবক সম্মান সোহলা’ অনুষ্ঠান (Mohan Bhagwat)

    বুধবার ভাগবত যোগ দেন ‘বেদসেবক সম্মান সোহলা’ অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সদগুরু গ্রুপ। অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয় ২০০ গুরুজিকে। এই গুরুজিরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় ১৬ মাস ধরে চারটি বেদের অনুষ্ঠান সম্পাদনে অংশ নিয়েছিলেন। সরসঙ্ঘ চালক বলেন, “অশুভ শক্তিগুলি সব সময় সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ থাকে। তাদের কোনও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তবে যাঁরা ন্যায়পরায়ণ, তাঁদের মাঝেমধ্যে একত্রিত হওয়া প্রয়োজন গাইডেন্স ও সাহায্য পাওয়ার জন্য।” তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান অশুভ শক্তি। তাদের ইভিল অ্যাক্টস সর্বত্র ঘটে। এর প্রথম উদাহরণ বাংলাদেশ নয়। প্রথম উদাহরণ হল আমেরিকা।”

    কী বললেন ভাগবত

    ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমি একজন আমেরিকান লেখকের লেখা একটি বই পড়েছি, যার নাম ‘কালচারাল ডেভেলপমেন্ট অফ আমেরিকা’, যেখানে আমেরিকার গত ১০০ বছরে সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রথমে এই অবক্ষয়ের পুনরাবৃত্তি হয় পোল্যান্ডে। আরব বসন্তের সময় তা ছড়িয়ে পড়ে আরব দেশগুলোতে। সম্প্রতি এটি বাংলাদেশে ঘটেছে।”

    আরও পড়ুন: আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া রুম ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ!

    আরএসএস প্রধান বলেন, “যারা বিশ্বকে তাদের দখলে রাখতে চায় এবং বিশ্বাস করে যে তারাই একমাত্র ঠিক – অন্যরা ভুল – তারাই নিজেদের স্বার্থে এই বিভাজনের প্রবণতা প্রচার করে।” তিনি বলেন, “এমন প্রবণতা কোনও একটি জাতিকে বিপর্যয় ও পতনের দিকে নিয়ে যায়। আমাদের এই প্রবণতাগুলির ওপর নজর রাখা উচিত। ইতিহাস দেখায়, এই প্রবণতাগুলি যত বড় হয়, এবং শেষ পর্যন্ত ভারতে পৌঁছায়, তারা এখানে এসে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কারণ আমরা এই প্রবণতাগুলিকে কীভাবে বশে আনতে হয়, তা জানি।”

    শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে অনাস্থা ও অশ্রদ্ধা বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভাগবত। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আদর্শ রয়েছে। কিন্তু একজন মানুষকে পরিবর্তন করতে হলে তার চারপাশে এমন কারও থাকা প্রয়োজন, যিনি (RSS) তাঁকে পথ দেখাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • RG Incident: আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া রুম ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ!

    RG Incident: আরজি করের সেমিনার হল লাগোয়া রুম ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Incident) চাঞ্চল্যকর মোড়। ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ বা ঘটনাস্থল সম্পর্কিত নতুন তথ্য প্রকাশ্য। নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরে পরেই সংস্কারের নামে ভেঙে ফেলা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালেরে সেমিনার হল লাগোয়া ঘর। এই হল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল বছর একত্রিশের মহিলা চিকিৎসকের দেহ। মেডিক্যাল কলেজের চারতলার এই সেমিনার হলটাই এই মামলার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও এই সেমিনার হল। এবার প্রকাশ্যে এল, ঠিক কার নির্দেশে সংস্কারের নামে সেমিনার হল লাগোয়া রুম ভেঙে ফেলা হয়।

    ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ নিয়ে হাজারো প্রশ্ন

    আরজি কর মামলায় প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাস্থল। আইনের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘প্লেস অফ অকারেন্স’। এই ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ কেন দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। সিবিআই যেদিন এই মামলার দায়িত্বভার হাতে পায়, তার ঠিক আগে আগেই ভাঙা হয় এই হল লাগোয়া রুম। তা নিয়েও ওঠে হাজারো প্রশ্ন। কার নির্দেশে হলের লাগোয়া ঘরটি ভাঙা হয়েছিল, ওঠে সে প্রশ্নও। সেই প্রশ্নেরই জবাব মিলল, এতদিন পর, সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) গ্রেফতার হওয়ারও দিন তিনেক পরে। জানা গিয়েছে, ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের (RG Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। 

    নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ!

    পূর্ত দফতরকে লেখা পারমিশন লেটারে স্বাক্ষর রয়েছে সন্দীপের। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশও দিয়েছিলেন সন্দীপ। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১০ অগাস্ট। আর নির্যাতিতা খুন হন ৮ অগাস্ট মধ্য রাতে। আরজি করের প্লেস অফ অকারেন্স কার নির্দেশে ভাঙা হয়েছে, সে প্রশ্ন ওঠে আদালতেও। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইও উল্লেখ করেছে, প্লেস অফ অকারেন্স থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্লেস অফ অকারেন্স ভাঙার নির্দেশও সম্পর্কিত। আদালতে ইতিমধ্যেই বিষয়টির উল্লেখ করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন সুবর্ণ গোস্বামীও। তিনি বলেন, “ঘটনাটি ঘটার পর থেকে ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের যে চেষ্টা সন্দীপ ঘোষ সহ পুরো সিন্ডিকেট, যারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাজ করে আসছিলেন, সে নামগুলো সামনে আসছে, তাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আমরা প্রথম থেকেই দাবি (Sandeep Ghosh) করেছিলাম, কলেজ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (RG Incident)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মা দুর্গার আরাধনার পর রাজা ফিরে পেয়েছিলেন রাজত্ব! জানেন সেই কাহিনি?

    Durga Puja 2024: মা দুর্গার আরাধনার পর রাজা ফিরে পেয়েছিলেন রাজত্ব! জানেন সেই কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর শিউলি ফুলের গন্ধই বলে দেয়, মা আসছেন। পুজোর এই চারটে দিনের জন্যই যেন সারা বছর হা পিত্যেশ করে বসে থাকা। কিন্তু যে উৎসব ঘিরে এত আয়োজন, এত উন্মাদনা, এত আবেগ, তা শুরু হয়েছিল কার হাতে? এই প্রশ্নটা আমাদের অনেককেই মাঝে মধ্যে ভাবায়। আসুন, পুরাণ ঘেঁটে দেখে নিই, বাংলায় কে প্রথম এই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সূচনা করেছিলেন? পুরাণে উল্লেখ রয়েছে বলিপুর নামক একটি জায়গার নাম। অনেকেই জানিয়েছেন, এই বলিপুর আসলে বীরভূম জেলার বোলপুর শহর, যা ছিল রাজা সুরথের রাজধানী‌‌। মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী, মর্ত্যলোকের এই রাজা মর্ত্যবাসীদের মধ্যে দেবীর মাহাত্ম্য তথা লীলা প্রচার করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর প্রথম উদ্যোক্তা এবং প্রথম সংগঠক। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পরিস্থিতিতে, কেন রাজা সুরথ দুর্গাপুজো শুরু করেন? এবং কোথায় তা শুরু করেন?

    দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল (Durga Puja 2024)

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কন্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সব কিছুই হারিয়েছিলেন। দাস-দাসী, আত্মীয়স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনত না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের। ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া ছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা (King Suratha), অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সাথে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির।

    মেধস মুনির আশ্রম কোথায় ছিল?

    একটি মত অনুযায়ী, মেধস মুনির আশ্রম বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হল এই পাহাড়ের উপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম। প্রতি বছর দুর্গাপুজোতে (Durga Puja 2024) ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেকগুলি মন্দির রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রম ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের অন্যতম বড় এই তীর্থস্থান থেকেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। অপর একটি মত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরের কাছে গড় জঙ্গল নামক স্থানে ছিল মেধস মুনির আশ্রম‌। আশ্রমের অবস্থান নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে দ্বিমত থাকলেও এই মেধস মুনির আশ্রমেই যে দুর্গাপুজো প্রথম শুরু হয়েছিল, এ ব্যাপারে পন্ডিত থেকে ঐতিহাসিক সকলেই একমত।

    পুজো হয়েছিল বসন্ত কালে (Durga Puja 2024)

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ (King Suratha) তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর ‘অতিসক্রিয়’ পুলিশ, কাঁচরাপাড়ায় ছাত্রীকে মার তৃণমূলের

    RG Kar Protest: বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর ‘অতিসক্রিয়’ পুলিশ, কাঁচরাপাড়ায় ছাত্রীকে মার তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) রাজ্যজুড়ে রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান সাধারণ মানুষ। কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায়। আর সেই একই ধাঁচে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (RG Kar Protest)

    বিচারের দাবিতে রাত দখলে সামিল হন সাধারণ মানুষ, তখনই পুলিশের অতিসক্রিয়তার ছবি ধরা পড়ল বারাসতে। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচার চাইতে বুধবার রাতে বারাসত কলোনি মোড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বসে তাঁরা ছবি আঁকছিলেন। আচমকা পুলিশ সেখানে আসে। এক পুলিশ আধিকারিক অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের হিন্দিতে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় এক আন্দোলনকারী ওই পুলিশ আধিকারিককে বাংলায় কথা বলতে বলেন। আর ঠিক সেই সময়ই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ওই আন্দোলনকারীর ওপর চড়াও হয়। বাকিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের রোষের মুখে পড়েন সকল আন্দোলনকারী। সকলের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। জোর করে রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয়। আন্দোলন চলাকালীনই টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হল গাড়িতে।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বাংলায় পুলিশ আধিকারিককে কথা বলতে বলার জন্য এভাবে আমাদের ওপর পুলিশ হামলা (RG Kar Protest) চালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা মহিলা পুলিশের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কলোনি মোড়ে যে অবরোধ করেছিলেন তার কোনও অনুমতি ছিল না। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকার ফলে প্রচুর পচনশীল জিনিস ট্রাক আটকে ছিল। চালকরা অবরোধ তুলে নেওয়া বা রাস্তার একটি লেন ছেড়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য বলেন। কোনওভাবেই তাঁরা কথা শুনছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেফতার করে।

    কাঁচরাপাড়ায় নাবালিকার প্রতিবাদীর ওপর হামলা

    বুধবার রাতে কাঁচরাপাড়ায় (RG Kar Protest) এক প্রতিবাদীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়ার গান্ধী মূর্তির পদদেশে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি চলছিল। সেটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল কাঁচরাপাড়া সারদা দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মৌ সরকার। জানা গিয়েছে, প্রতিবাদ চলাকালীন মদ্যপ অবস্থায় একদল যুবক সেখানে হাজির হয়। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়। হাত মুচড়েও দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে সে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  যুবকরা সকলে তৃণমূলের দলবল বলে জানিয়েছেন নাবালিকার বাবা। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।

    আক্রান্ত ছাত্রীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত ছাত্রী বলে, “আমি ওদের পরিচয় জানি না। হঠাৎ করে এসে মাইক কেড়ে নেয়। আমি সেই মাইক চাইতে গেলে ঘিরে ধরে। আমায় ঘিরে ধরে। ওরা সকলে মদ্যপ অবস্থায় ছিল।” অপরদিকে, আহত নাবালিকার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। স্লোগান দিচ্ছিল। হঠাৎ করে গান্ধীমোড়ে তৃণমূলের মিছিল থেকে আসা একটি ছেলে ওর হাত মুচড়ে দেয়। ওর মা আমায় ডেকে নিয়ে গেল। আমি যাই ওইখানে। ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করি এই কাজটা কি ভাল করলেন? একটা মেয়ের হাত মুচড়ে দিলেন। আবার আপনারাই বলছেন জাস্টিস চাই? সঙ্গে সঙ্গে আমায় মারতে এল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    Ramakrishna 124: “খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    অসংশয়ং মহাবাহো মনো দুর্নিগ্রহং চলম্‌ ৷
    অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে ॥
       (গীতা—৬।৩৫)

    তীব্র বৈরাগ্য ও বদ্ধজীব

    তীব্র বৈরাগ্য (Ramakrishna) কাকে বলে, একটি গল্প শোন। এক দেশে অনাবৃষ্টি হয়েছে। চাষীরা সব খানা কেটে দূর থেকে জল আনছে। একজন চাষার খুব রোখ আছে; সে একদিন প্রতিজ্ঞা করলে যতক্ষণ না জল আসে, খানার সঙ্গে আর নদীর সঙ্গে এক হয়, ততক্ষণ খানা খুঁড়ে যাবে। এদিকে স্নান করবার বেলা হল। গৃহিণী মেয়ের হাতে তেল পাঠিয়ে দিল। মেয়ে বললে (Kathamrita), বাবা! বেলা হয়েছে, তেল মেখে নেয়ে ফেল। সে বললে, তুই যা আমার এখন কাজ আছে। বেলা দুই প্রহর একটা হল, তখনও চাষা মাঠে কাজ করছে। স্নান করার নামটি নাই। তার স্ত্রী তখন মাঠে এসে বললে, এখনও নাও নাই কেন? ভাত জুড়িয়ে গেল, তোমার যে সবই বাড়াবাড়ি! না হয় কাল করবে, কি খেয়ে-দেয়েই করবে। গালাগালি দিয়ে চাষা কোদাল হাতে করে তাড়া করলে; আর বললে, তোর আক্কেল নেই? বৃষ্টি হয় নাই। চাষবাস কিছুই হল না, এবার ছেলেপুলে কি খাবে? না খেয়ে সব মারা যাবি! আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, মাঠে আজ জল আনব তবে আজ নাওয়া-খাওয়ার কথা কবো। স্ত্রী গতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল। চাষা সমস্ত দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, সন্ধ্যার সময় খানার সঙ্গে নদীর যোগ করে দিলে। তখন একধারে বসে দেখতে লাগল যে, নদীর জল মাঠে কুলকুল করে আসছে। তার মন তখন শান্ত আর আনন্দে পূর্ণ হল। বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে ডেকে বললে, নে এখন তেল দে আর একটু তামাক সাজ। তারপর নিশ্চিন্ত হয়ে নেয়ে খেয়ে সুখে ভোঁসভোঁস করে নিদ্রা যেতে লাগল! এই রোখ তীব্র বৈরাগ্যের (Ramakrishna) উপমা।

    আর একজন চাষা—সেও মাঠে জল আনছিল। তার স্ত্রী যখন গেল আর বললে (Kathamrita), অনেক বেলা হয়েছে এখন এস, এত বাড়াবাড়িতে কাজ নাই। তখন সে বেশি উচ্চবাচ্য না করে কোদাল রেখে স্ত্রীকে বললে, তুই যখন বলছিস তো চল! (সকলের হাস্য) সে চাষার আর মাঠে জল আনা হল না। এটি মন্দ বৈরাগ্যের উপমা।

    খুব রোখ না হলে, চাষার যেমন মাঠে জল আসে না, সেইরূপ মানুষের ঈশ্বরলাভ হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “যার তীব্র বৈরাগ্য, তার প্রাণ ভগবানের জন্য ব্যাকুল; মার প্রাণ যেমন পেটের ছেলের জন্য ব্যাকুল”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mobile Phone: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্ন করে না, জানালো ‘হু’

    Mobile Phone: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্ন করে না, জানালো ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) ব্যবহার ক্যান্সার ডেকে আনে না। অনেক আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে স্বস্তির খবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO)। তাদের দাবি, সারা বিশ্বে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, মোবাইল ফোনের বেশি ব্যবহার মস্তিস্কে ক্যান্সার বৃদ্ধি করেনি। মানব শরীরে আলাদা করে তেমনভাবে প্রভাবও ফেলেনি। এই গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি জার্নালে। ২০১১ সালে আইএআরসি (IARC) রেডিয়েশনকে মানব স্বাস্থ্যেরর জন্য কার্সিনোজেনের তকমা দিয়েছিল। আর এই ঘটনার কারণেই ব্রেন ক্যান্সার এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর গবেষণা, পর্যালোচনা শুরু হয়।

    গবেষণায় কী বলেছে (Mobile Phone)?

    গবেষণায় (WHO) জানা গিয়েছে, সেই সব ব্যক্তিদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে, যাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলে (Mobile Phone) কথা বলেন। পেশাগত কারণে গত কয়েক দশক ধরে এই ভাবে মোবাইলে যাঁরা বেশি কথা বলেন, তাঁদেরকে সামনে রেখে তথ্য গ্রহণ করে গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৩টি গবেষণার প্রতিবেদনকে একত্রিত করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষক দলে ছিলেন ১০টি দেশের মোট ১১ জন বিশেষজ্ঞ। একই ভাবে এই গবেষণা কাজে ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন অথরিটি’ যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    গবেষকদের বক্তব্য

    গবেষক দলের সদস্য নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মার্ক এলউড বলেন, “বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কোনও ক্ষেত্রেই ক্যান্সার বাড়ার আশঙ্কা দেখা যায়নি। শুধু পরিণতদের ক্ষেত্রেই নয়, কম বয়সিদের শরীরেও মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) রেডিয়েশনের প্রভাব খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই বিপদের আশঙ্কা নেই। মস্তিষ্কের ক্যান্সার বা পিটুইটারি গ্ল্যান্ড-স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে ক্যান্সার কিংবা লিউকেমিয়ার ভয় একেবারেই নেই।” একই ভাবে আরও দুই বিজ্ঞানী সারা লোগার্ন ও কেন কারিপিডিস বলেছেন, “গবেষণার ফালাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। মোবাইল ফোনে খুব সামান্য মাত্রায় রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ করে। আর এই বিকিরণ একদম বিপজ্জনক নয়। মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যে তার খুব একটা প্রভাব পড়ে না।”

    লো-লেভেল রেডিওওয়েভ

    উল্লেখ্য আগেও একটি সমীক্ষা করেছিল হু (WHO)। সেখানেও রিপোর্টে বলা হয়েছে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ব্যবহারের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে সেই সময় বলা হয়েছিল, আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন। তবে এই বারের গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা আরও জোর দিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোবাইলের সেফটি লিমিট স্থির করা হয়েছে। এই লিমিটের মধ্যেই খুব লো-লেভেল রেডিওওয়েভ নিঃসরণ করে মোবাইল ফোন। যা খুব একটা প্রভাব ফেলে না বলে দাবি গবেষকদের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share