Tag: bangla news

bangla news

  • Durga Puja 2024: প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ! মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    Durga Puja 2024: প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ! মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। হাতে গোনা আর মাত্র এক মাসের কয়েকটা দিন বেশি বাকি। দেবী দশভুজা চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মর্তে আসেন। মর্ত্যবাসী তাঁকে নিজের মেয়ের মতো মনে করেই বরণ করে নেন। তাই এখন থেকেই দিকে দিকে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেকের মনেই যে প্রশ্ন জাগে, তা হল, কবে এই দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়েছিল? এর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে পুরাণের (Puranas) দিকে। কারণ বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থই এসবের উত্তর বের করার মূল রাস্তা। এছাড়া এ ব্যাপারে আর নির্ভর করার মতো তেমন কিছু নেই।

    প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ

    ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তিনি পুজো করেছিলেন বৈকুণ্ঠের মহারাস মণ্ডলে। ওই শাস্ত্রের প্রমাণ বাক্যটি হল, প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা। শ্রীকৃষ্ণের পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। মহামায়ার পুজো করেছিলেন স্বয়ং মহাদেবও। ত্রিপুরাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার আগে তিনি পুজো করেছিলেন দেবী দুর্গার। মহাদেবীর আরাধনা করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রও। তার অনেক পরে মর্ত্যে শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা (Worship of Mahamaya)।

    দেবী ভাগবত পুরাণ কী বলছে?

    দেবী ভাগবত পুরাণ মতে, ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু প্রথম পৃথিবীতে দুর্গাপুজো প্রচলন করেন। শ্রী শ্রী চণ্ডী অনুযায়ী, রাজা সুরথ রাজ্য লাভের আশায় দেবী দুর্গার পুজো করেন। বাল্মীকি রামায়ণে দুর্গাপুজোর কোনও বর্ণনা নেই। তবে কৃত্তিবাস ওঝা বিরচিত রামায়ণে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে। বাসন্ত কালে দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণও। মৈথিলি কবি বিদ্যাপতি দুর্গা ভক্তি তরঙ্গিনীতে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে।

    আরও নানা মত (Durga Puja 2024)

    কারও কারও মতে, ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গাপুজো করেন। কারও কারও মতে আবার ষোড়শ শতকে রাজশাহী তাহেরপুর এলাকার রাজা কংস নারাযণ প্রথম দুর্গাপুজো করেন মর্তে। কোচবিহারে ১৫১০ সালে দুর্গাপুজো করেন রাজসিংহ। কেউ কেউ মনে করেন, ১৬০৬ সালে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার। কলকাতার বরিশাল রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন বলেও মনে করেন অনেকে। আবার কারও কারও মতে, ১৬১০ সালে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিল কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার। তাঁরা মহিষমর্দিনী দুর্গার পুজো করেননি। ওই পরিবারে দেবীর আগমন (Durga Puja 2024) ঘটেছিল ছেলেমেয়ে সহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: টোকিওকে টেক্কা প্যারিসের! প্যারালিম্পিক্সে রেকর্ড পদক ভারতের, আবেগে ভাসলেন মোদি

    PM Modi: টোকিওকে টেক্কা প্যারিসের! প্যারালিম্পিক্সে রেকর্ড পদক ভারতের, আবেগে ভাসলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিসে প্যারালিম্পিক্সের (Paralympics 2024) আসরে টোকিওকে টেক্কা দিল ভারতীয় অ্যাথলিটরা। ইতিমধ্যেই প্যারিসে ইতিহাস রচনা করে ফেলেছে ভারত। এবার সবচেয়ে বেশি পদক জিতেছে তারা।  দু’দিনের সিঙ্গাপুর সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর তাঁকে জমকালো অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর আগে ব্রুনাই সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই প্যারালিম্পিক্সের মঞ্চে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্যকে কুর্নিশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আবেগাপ্লুত মোদি

    ভারতের এই পারফরম্যান্সে দেশবাসীর মতোই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। তিনি একাধিক ট্যুইট করে নিজের উচ্ছ্বাস জাহির করেছেন। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘ভারতের খেলাধূলার ইতিহাসে প্যারিস প্যারালিম্পিক্স (Paralympics 2024) বরাবরের জন্য আলাদা একটি জায়গা করে নিল। এই সাফল্য সব ভারতীয়র মনে সারা জীবনের মতো গেঁথে থাকবে। পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাথলিটদের এই সাফল্য উদ্বুদ্ধ করবে।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, ‘‘যে রেকর্ড সংখ্যক ভারত পদক জিতেছে, তাতে আমাদের মন খুশিতে ভরে গিয়েছে। আমি সেই সঙ্গে কোচেদের, সাপোর্ট স্টাফেদের এবং প্লেয়ারদের পাশে সব সময়ে থাকার জন্য তাঁদের পরিবারকেও বাহবা জানাব।’’

    প্যারিসে সাফল্য

    বুধবারের শেষে ভারতের ঝুলিতে যোগ হয়েছে ২৪টি পদক। এফ ৫১ ক্লাব থ্রো ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন ধরমবীর। একই ইভেন্টে রুপো পেয়েছেন ভারতের প্রণব সুরমা। এই দুজনের পদক জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের পদক সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ২৪। যার মধ্যে পাঁচটি সোনা রয়েছে। আর্চারি প্রথমবার সোনা জমিতেছেন হরবিন্দর সিং। টোকিওর ১৯ পদক ছাপিয়ে এটিই ভারতের সেরা প্যারালিম্পিক্স (Paralympics 2024)। বুধবার ইতিহাস গড়লেন মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু। ২০১৬ সালে রিও প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন তিনি। টোকিওয় এসেছিল রুপো। এবার প্যারিসে ব্রোঞ্জ জিতে প্রথম ভারতীয় প্যারালিম্পিয়ান হিসাবে নাগাড়ে তিন প্যারালিম্পিক্সে তিন পদক জিতলেন মারিয়াপ্পান। হাই জাম্পের টি৬৩ বিভাগে ১.৮৫ মিটার লাফিয়ে জিতে নিলেন ব্রোঞ্জ। তবে সেই একই বিভাগে মারিয়াপ্পনকে ছাপিয়ে গেলেন স্বদেশীয় শরদ কুমার। অলিম্পিক্স হোক বা প্যারিলিম্পিক্স, জ্যাভলিন থ্রোয়ে ভারতীয়দের দৌরাত্ম্য অব্যাহত। প্যারিস অলিম্পিক্সে নাগাড়ে দ্বিতীয়বার অলিম্পিক্স পদক জিতেছেন নীরজ চোপড়া। প্যারালিম্পিক্সে ইতিমধ্যেই জ্যাভিলন ছুড়ে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতে নিয়েছেন সুমিত আন্টিল। এই অ্যাথলিটদে লড়াকু মনোভাবকে সম্মান জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    Modi Government: লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে গুজরাটের সানন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) এই রাজ্যে নয়া সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট (Semiconductor Factory) খুলছে কেন্স কোম্পানি। পুরো নাম কেন্স সেমিকন প্রাইভেট লিমিটেড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। এই ইউনিটটি হবে ভারতের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট। এটি তৈরি হলে মজবুত হবে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম।

    বিরাট বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, কোম্পানিটি সানন্দের এই ইউনিটে বিনিয়োগ করবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই ইউনিটে প্রতিদিন ৬০ লাখ চিপ উৎপাদন হবে। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে এই চিপগুলি। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, অটোমোটিভ টেকনোলজি, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম ইক্যুপমেন্ট এবং মোবাইল ফোন।

    সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট

    ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হয় প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টর্স অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া। এই প্রোগ্রামের টোটাল বাজেট ছিল ৭৬ হাজার কোটি টাকা। সানন্দে দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি খোলে ২০২৩ সালের জুন মাসে। তার পরের তিনটি ইউনিট অনুমোদন পায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। টাটা ইলেকট্রনিক্স ঢোলেরায় সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব সেটিং তৈরি করেছে। এই চারটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট দ্রুত তৈরি হচ্ছে। যার জেরে এই এলাকায় দ্রুত সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে উঠছে। এই ইউনিটগুলি সব মিলিয়ে টানবে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ। সব ইউনিটগুলি মিলিয়ে দৈনিক উৎপাদন (Modi Government) হবে ৭ কোটি চিপ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    কৃষিক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার প্যাকেজ

    এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার প্যাকেজও অনুমোদিত হয়েছে। দেশে যাতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় থাকে, তাই এই প্যাকেজ অনুমোদন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, সব মিলিয়ে সাতটি প্রকল্পকে এদিন সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের জীবনের মানোনয়ন ও তাঁদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রথমটি হল, ডিজিট্যাল কৃষি মিশন। এটি কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “মোট ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকার (Semiconductor Factory) বিনিয়োগে ডিজিটাল কৃষি মিশন স্থাপন করা হবে (Modi Government)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নম্বর দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রদের একটানা বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন সুদীপ্ত শীল। টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসকদের বদলির হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস। নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ডিনের বিরুদ্ধে। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ডিন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা।

    আন্দোলনের চাপে ডিনের পদত্যাগ! (North Bengal Medical)

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উঠে আসে অভীক দে’র নাম। চিকিৎসক অভীক দে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে সরব হন ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ঘেরাও হন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, ডিন এবং অতিরিক্ত ডিন। অবিলম্বে হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন মূলত অভীক দে-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয় কলেজে। শুধু তাই নয়, অভীককে মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) ঢুকতে না দেওয়ার দাবিও জানান জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    এরই মধ্যে, অভিযোগ ওঠে যে, বিশেষ একজন ছাত্রনেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এই অভিযোগেই ছাত্র-ছাত্রীসহ অধ্যাপকরা ঘিরে ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। পরে, সন্দীপ সেনগুপ্ত স্বীকার করে নেন যে অভীক দে-র ফোন যেত তাঁর কাছে। ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে এরপরেই পদত্যাগ করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    কী সাফাই দিলেন ডিন?

    মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম। তাই তাঁদের বক্তব্যকে অনুধাবন করতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। পরীক্ষা নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। আমি পরীক্ষক ছিলাম না। তাই, সেই দায় আমার নয়। তবে, আমাদের আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “আমি দায়ভার নিয়ে নয়, ছাত্রদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। নয়াদিল্লির বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে এ কথা জানাল আমেরিকা। বুধবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা জন কিরবি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও কথা বলেছিলেন বাইডেন।

    কী বললেন কিরবি (Bangladesh Crisis)

    আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা বলেন, “প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে নিজের ধারাবাহিক উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও নিজের মনোভাব জানিয়েছেন।” ২৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রেও জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।

    কী লিখেছিলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “বাইডেনের সঙ্গে আজ ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেন পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের বিশদে মত বিনিময় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি। দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছি। জোর দিয়েছি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর।”

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    হোয়াইট হাউসের তরফেও জারি করা হয়েছিল বিবৃতি (Bangladesh Crisis)। তাতে বলা হয়েছিল, “প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রসঙ্গও।” এই বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ছিল না। তা নিয়ে চড়ে জল্পনার পারদ। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিল কিরবির বিবৃতি।

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অশান্তির সুযোগে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দু পদাধিকারীদের জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। হিন্দু নারীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। ধর্ষণের অভিযোগেও তপ্ত হয় বাংলাদেশ। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর পরিস্থিতি চরমে ওঠে। এই ঘটনায় মোদির পাশাপাশি (Bangladesh Crisis) উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেনও (Joe Biden)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: শাল-মহুয়া-পলাশের ঘন অরণ্য, দূরে পাহাড়ের শ্রেণি, ঘুরে আসুন প্রজাপতির দেশে!

    Jharkhand: শাল-মহুয়া-পলাশের ঘন অরণ্য, দূরে পাহাড়ের শ্রেণি, ঘুরে আসুন প্রজাপতির দেশে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরণ্য যাঁদের প্রথম প্রেম, অখণ্ড নির্জনতা, পাখির কূজন আর পাহাড়ের বুক চিরে আদিবাসী কিশোরীর প্রাণবন্ত চপলতায় নেমে আসা ঝর্ণা যাঁদের হৃদয়ে, তাঁদের কাছে অন্যতম সেরা গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান মারোমার (Jharkhand) আর আঁকশি। বেতলা জাতীয় উদ্যান থেকে নেতারহাট যাওয়ার পথে পড়বে মহুয়াডার। এই মহুয়াডার থেকেই রাস্তা ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটি রাস্তা চলে গিয়েছে নেতারহাট, অপর রাস্তাটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এবড়ো-খেবড়ো, আঁকা-বাঁকা রুক্ষ পাথুরে পথ বেয়ে চলে গিয়েছে মারোমারের দিকে। চারদিকে শাল, মহুয়া, পলাশ, শিমুলের ঘন অরণ্য, দূর থেকে দেখা যায় পাহাড়ের শ্রেণি, এরই মাঝে অবস্থান এই মারোমারের। মারোমার যেন শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা এক ছবি, স্থানীয় মানুষের ভাষায় যা বেশি পরিচিত মারুমার নামে।

    প্রজাপতির দেশ (Jharkhand)

    এখানকার বন বাংলোটিতে বসে বসেই কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির। তাই অনেকেই একে প্রজাপতির দেশ বলে থাকেন। বাংলোর পাশেই পাহাড়। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে একটি অপূর্ব সুন্দর ঝর্ণা। নাম, মিরচাইয়া ফলস। উত্তর কোয়েল নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট মিরচাইয়া ফলস প্রায় ১০০ ফুট উঁচু থেকে পাথরের বুকে ধাক্কা খেতে খেতে নেমে এসেছে নীচে। এই অপরূপ সৌন্দর্যকে (Maromar Forest) ভাষায় প্রকাশ করা এক প্রকার অসাধ্য।

    সুগা বাঁধ ও আঁকশি 

    মারোমার থেকে আরও প্রায় ২০ কিমি দূরে আর একটি দারুণ সুন্দর স্পট ‘সুগা বাঁধ’। মারোমার থেকে আর একটু অরণ্য পথে গেলে ‘আঁকশি’। এও এক অসামান্য রূপসী স্থান। চারদিকে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের শ্রেণি, নিবিড় অরণ্য, নীচ দিয়ে বয়ে চলা নদী, মনপ্রাণ যেন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এর কাছেই রয়েছে উলফ স্যাংচুয়ারি। এখানকার অরণ্যে বাস হরিণ, বুনো শুকর, শজারু, হায়না, বন্য কুকুর, যাদের স্থানীয় ভাষায় বলে ‘ঢোল’। আছে অজস্র বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, আর আছে দামাল হাতির পাল। তবে মারোমারের (Jharkhand) পর থেকে আর সহজে হাতির দেখা মেলে না।

    অবস্থান, যাতায়াত, থাকা-খাওয়া (Jharkhand)

    বেতলা থেকে মারোমারের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিমি। পথ হবে এই রকম, বেতলা-গাড়ু-মহুয়াডার-মারোমার-বারেসাদ-আঁকশি-উলফ স্যাংচুয়ারি।

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে ডাল্টনগঞ্জ যাওয়ার ট্রেনে (যাচ্ছে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস, ভূপাল এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন ) এসে নামতে হবে বারাওডি ষ্টেশনে। সেখান থেকে বাকি পথ যেতে হবে গাড়িতে।

    থাকা-খাওয়া-এই পথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভরসা বনবাংলো। এখানেই হতে পারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা (Maromar Forest)। বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ-ডিএফও, ডাল্টনগঞ্জ, অথবা ফোন করতে পারেন ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে। আর গাড়ি বা জঙ্গলে সাফারি করার জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    RG Kar Protest: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলা যখন পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ছবি এঁকে, গান গেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। আচমকা শাসক দলের কর্মীরা দল এসে জল ঢেলে সব ছবি আঁকা মুছে দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদীরা রীতিমতো চমকে যান এই আকস্মিক হামলায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (RG Kar Protest)

    কোচবিহারের মাথাভাঙা শহরের চৌপতিতে বুধবার গণতান্ত্রিক লেখক সংগঠন এবং ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচির (RG Kar Protest) আয়োজন করা হয়েছিল। বহু সাধারণ মানুষ তাতে শামিল হয়েছিলেন। রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদের প্রতীকী ছবি এঁকেছিলেন শিল্পীরা। অভিযোগ, কর্মসূচি চলাকালীন আচমকা ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় তৃণমল নেতাকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদীদের মারধর করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবাদীদের কথা কাটাকাটিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। অভিযোগ, রাস্তায় আঁকা প্রতিবাদের ছবি জল ঢেলে মুছে দেন তৃণমূল কর্মীরা।

    আয়োজকদের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে আয়োজকদের এক জন বলেন, “গণসংগঠনের তরফে আমরা আরজি করের প্রতিবাদে কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। গান-বাজনা-আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। বহু বিশিষ্ট নাগরিক প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। কোনও রাজনৈতিক ঝান্ডা ছিল না। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের নেতৃত্বে আমাদের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিচার চেয়ে রাস্তায় ছবি এঁকেছিলেন শিল্পীরা। তাও মুছে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    ঘটনার নিন্দায় বিরোধী দলনেতা

    ঘটনার নিন্দা করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মাথাভাঙায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে (RG Kar Protest) কাপুরুষের মতো হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এবং তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে।” এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “চিকিৎসকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ ন্যায়ের জন্য আলো জ্বালাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তৃণমূল এই মোমবাতির আলোর তাপ সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা জোর করে আলো নেভানোর চেষ্টা করছে। এমনকী, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিবাদীদের ছবিকেও মুছে ফেলছে।”

    সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    এক্স হ্যান্ডলে মাথাভাঙার ঘটনার (RG Kar Protest) নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তৃণমূল গণতন্ত্র-বিরোধী এবং মানবতা-বিরোধী বলে আক্রমণ করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    Tripura: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনএলএফটি (NLFT) ও এটিটিএফ (ATTF)-এর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করলেন (Tripura) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত বছরেরই অক্টোবরে ত্রিপুরার এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলিকে। বছর ঘোরার আগেই অবস্থান বদলে তাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ (Tripura)

    এই চুক্তি স্বাক্ষরকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন শাহ। তিনি বলেন, “৩৫ বছর পরে আপনারা অস্ত্র ছেড়ে গণতন্ত্রের মূল স্রোতে ফিরে এলেন। এটা আমাদের সকলের জন্য আনন্দের বিষয়।” এদিন নয়াদিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে স্বাক্ষরিত হয় শান্তিচুক্তি। শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় একদিকে যেমন রাজ্যে উন্নত হবে আইনশৃঙ্খলা, তেমনি সুগম হবে উন্নয়নের পথ।

    কী বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে আর একটি পদক্ষেপ করল ত্রিপুরা। উত্তর-পূর্ব ভারতে এ নিয়ে দ্বাদশ চুক্তি হল, ত্রিপুরায় হল তৃতীয় চুক্তি। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বিদ্রোহী আত্মসমর্পণ করেছেন, অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন এবং সমাজের মূলধারায় যোগ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর আত্মসমর্পণ ও এই চুক্তির মাধ্যমে ৩২৮ এর বেশি সশস্ত্র ক্যাডার সমাজের মূলধারায় যোগ দেবেন।”

    আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাজালেন ঢোল, প্রবাসীরা নাচলেন লাভানি

    ১৯৯৬ সালে বাম আমলে আত্মপ্রকাশ করে ওই দুই জঙ্গি সংগঠন। গণহত্যা, অপহরণ, চোরাচালান-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এনএলএফটি উগ্র বাম বিরোধী বলে পরিচিত। আবার এটিটিএফ নেতৃত্বের একাংশ বাম ঘনিষ্ঠ বলে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে। দুই সংগঠনের নেতারাই দক্ষিণ ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায়ের। উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি ফেরাতে এই দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর (Amit Shah) একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে (Tripura)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paralympics 2024: ইতিহাস হরবিন্দরের, প্যারালিম্পিক্স তিরন্দাজিতে প্রথমবার সোনা পেল ভারত

    Paralympics 2024: ইতিহাস হরবিন্দরের, প্যারালিম্পিক্স তিরন্দাজিতে প্রথমবার সোনা পেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024) তিরন্দাজিতে প্রথমবার সোনা জিতল ভারত। বুধবার তিরন্দাজ হরবিন্দর সিং পুরুষদের ব্যক্তিগত রিকার্ভ ডব্লিউ২ বিভাগে পোল্যান্ডের লুকাজ সিজেককে ফাইনালে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতেন। এ দিন ফাইনালে ছয় সেটের ম্যাচে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন হরবিন্দর। প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন তিনি। হরবিন্দর ২৮-২৪, ২৮-৩৭, ২৯-২৫ ফলে লুকাজকে হারান। ২০২০ সালে টোকিও প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024) ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন হরবিন্দর। 

    অভিনন্দন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রথম তিরন্দাজিতে সোনা জিতে নজির গড়ল ভারত। হরবিন্দরের হার না মানা লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, প্যারিস প্যারালিম্পিক্সের তিরন্দাজিতে ব্যক্তিগত রিকার্ভ বিভাগে সোনা জয়ের জন্য হরবিন্দরকে অনেক অভিনন্দন।

    হরবিন্দরের সাফল্যের পর তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্যারালিম্পিক্সে পুরুষদের ব্যক্তিগত রিকার্ভে সোনা জেতার জন্য হরবিন্দর সিংকে অনেক অভিনন্দন। সোনা জিতে সকলকে গর্বিত করেছেন তিনি।” এদিন হরবিন্দরের খেলার ধরনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

    প্যারালিম্পিক্সে ভারতের পদক 

    এখনও পর্যন্ত প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024)  ভারত মোট ২২টি পদক জিতেছে, তার মধ্যে ৪টি সোনা, ৮টি রুপো এবং ১০টি ব্রোঞ্জ আছে। বুধবার, এই মূহূর্তে জোড়া সোনার পদক জয়ের সৌজন্যে ভারত পদক তালিকায় রয়েছে ১৩ নম্বরে। ক্লাব থ্রো এফ৫১-এর ফাইনালে সোনা এবং রৌপ্য পদক ভারতের দখলে। ৩৪.৯২ মিটার দূরত্বে থ্রো করে সোনা জিতলেন ভারতের ধরমভীর সিং। ৩৪.৫৯ মিটার দূরত্বে থ্রো করে এই ইভেন্টে রূপো জিতলেন ভারতের প্রণব সুরমা। এটি তাঁর নিজের কেরিয়ার বেস্ট থ্রো। পুরুষদের এফ৪৬ শট পাট ইভন্টে ভারতকে রৌপ্য পদক এনে দেন সচিন সর্জেরাও খিলাড়ি। ১৬.৩২ মিটার দূরত্বে থ্রো করেন করেন তিনি। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় সোনার পদক, নাহলে ভারতের পদক তালিকায় আরও উত্থান হতে পারত।  ১০০ মিটার টি১২-এর দৌড়ে সেমিফাইনালে প্রবেশ করলেন স্প্রিন্টার সিমরন। ১২.১৭ সেকন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চাননি মেয়েকে দ্রুত দাহ করা হোক। কিন্তু থানায় ও তাঁর বাড়িতে যেভাবে ৩০০-৪০০ করে পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, তারপর আর কিছু করার ছিল না তাঁর। সেই কারণেই ওই রাতে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হন বলে জানালেন আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা। প্রায় এক মাস হতে চলল। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর পুরো ঘটনা সুকৌশলে চাপা দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল পুলিশ। কিন্তু কেন? 

    নির্যাতিতার বাবার প্রশ্ন

    বুধবার তিলোত্তমার জন্য ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। আরজি করেও সেই কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।” আরজি করে (RG Kar Incident)  গিয়ে নির্যাতিতার বাবা কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’

    আরও পড়ুন: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    টাকা দিতে চাইল পুলিশ

    মেয়ের মৃত্যুর (RG Kar Incident) ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা।  তিনি বলেন, “আমার ঘরে তখনও আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো। পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” সে দিন রাতে কীভাবে তাঁর মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ওপর প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। টালা থানায় এক ঘণ্টা বসেছিলাম। তারপর বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাই। বাড়ি গিয়ে দেখি সেখানে ৪০০ পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তখন আর আমাদের কিছু করার ছিল না দেহ পোড়াতে বাধ্য হই। কিন্তু সেদিন শ্মশানের খরচ কারা দিল, আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। আমার মেয়ে বোধ হয় বলে গেল, আমার বাপি এই টাকাটাও খরচ করতে পারল না! এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share