Tag: bangla news

bangla news

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড থেকে শুরু করে কুলতলি, পুরুলিয়া, কৃষ্ণনগর। রাজ্যে (West Bengal) একের পর এক মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নারী সুরক্ষা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি দিলেন। মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sukanta Majumdar)

    কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সিট গঠন করা হয়েছে। তবে, পুলিশি তদন্তের ওপর আস্থা নেই পরিবারের। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। পুরুলিয়ার বরাবাজার এলাকায় নদীর ধার থেকে এক তরণীর দেহ উদ্ধার হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ওই তরুণীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুন: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত?

    পর পর নারী নির্যাতিনের ঘটনার নিয়ে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সুরক্ষা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।” আরজি করের ঘটনার পর কুলতলির ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। কুলতলির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সামনে আসার পরেই আন্দোলনে নিজে পথে নেমেছিলেন। এবার পুরুলিয়া এবং কৃষ্ণনগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নানা মহলে। কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়ার ঘটনা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর অভিযোগ, “বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা চাই।” এর আগে কুলতলির ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার কৃষ্ণনগর এবং পুরুলিয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Women: সমাজমাধ্যমে দুই হিন্দু মহিলাকে কুরুচিকর আক্রমণ, ভাইরাল হতেই ক্ষমা চাইল মুসলিম যুবক

    Hindu Women: সমাজমাধ্যমে দুই হিন্দু মহিলাকে কুরুচিকর আক্রমণ, ভাইরাল হতেই ক্ষমা চাইল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতার বুকে আজান জাহাঙ্গির নামের এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে, দুই হিন্দু মহিলাকে (Hindu Women) কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। পরে গালিগালাজ ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে ওই যুবক। গালিগালাজের ওই স্ক্রিনশট অথবা যুবকের ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও-র কোনওটারই সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। 

    আসল ঘটনা (Hindu Women)

    ওপি ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ অক্টোবর ওই মুসলিম যুবক, দুই হিন্দু মহিলার (Hindu Women) উদ্দেশে বেশ কিছু অশালীন শব্দ প্রয়োগ করে। এর পরেই ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয় @HPhobiaWatch-এই প্রোফাইল থেকে (Muslim man)। @HPhobiaWatch তাদের পোস্টে অভিযুক্ত যুবকের কলেজকেও ট্যাগ করে। তাদের পোস্টে প্রশ্ন রাখা হয় যে, ছাত্রের ওই ধরনের বয়ানকে কলেজ সমর্থন করে কিনা এবং এটা শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে কিনা! @HPhobiaWatch-র ট্যুইটের ১২ ঘণ্টা পরে আজান জাহাঙ্গির নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা (Muslim man) করে ভিডিও পোস্ট করে।

    আজান জাহাঙ্গিরের ক্ষমা চাওয়ার পোস্ট

    ভিডিওতে সে বলে, ‘‘আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি সমস্ত হিন্দুদের কাছ থেকে ক্ষমা চাইছি। আমার কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’ শুধু তাই নয় সে আরও বলতে থাকে, ‘‘বেশ কিছু উগ্র মৌলবাদীর খপ্পরে পড়ে সে এই ঘটনা (Hindu Women) ঘটিয়েছে।’’ এর পাশাপাশি সে দাবি করে যে ভবিষ্যতে আর কখনও সমাজ মাধ্যমে তাকে দেখা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মরশুমে বাড়তে পারে ডেঙ্গি! কেন বাড়ছে উদ্বেগ? কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    Dengue: উৎসবের মরশুমে বাড়তে পারে ডেঙ্গি! কেন বাড়ছে উদ্বেগ? কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুর্গাপুজো শেষ। শেষ লক্ষ্মীপুজো। সামনেই কালীপুজো ও দীপাবলি। উৎসব চলছে। কিন্তু এই মরশুমে নতুন উদ্বেগ রাজ্য জুড়ে! একদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যার জেরে জীবন বিপর্যস্ত। দেখা দিচ্ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। ডায়ারিয়া থেকে জ্বর, রোগের কবলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আরেকদিকে নতুন রোগের ভ্রুকুটি দেখছেন চিকিৎসক মহল। তাঁদের আশঙ্কা, উৎসবের মরশুমে নতুন ভাবে বিপদ (Dengue) জাঁকিয়ে বসতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি।

    কোন বিপদ নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ফের বাড়তে পারে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। তাঁদের আশঙ্কা, উৎসবের মরশুমে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। বিশেষত, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাগুলিতে এই মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছে। অক্টোবরে সেই সংক্রমণ কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।

    কেন উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল। কিন্তু গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজ্য জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে মশাবাহিত রোগের দাপট কিছুটা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টি পড়লে মশা কম জন্মায়। তার জেরেই ডেঙ্গির মতো রোগের প্রকোপ কিছুটা কমে। তবে, অক্টোবরে (Festive season ডেঙ্গির দাপট বৃদ্ধির প্রধান কারণ জমা জল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপাতত বৃষ্টি একনাগাড়ে হচ্ছে না। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। নিকাশি ব্যবস্থা অধিকাংশ জায়গায় খুব খারাপ। আর এই জমা জল মশাবাহিত রোগের মূল কারণ। তাই উৎসবের মরশুমে মশার দাপট বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে‌ বাড়তে পারে ডেঙ্গি। বছরের এই মরশুমে ডেঙ্গি সংক্রমণ বেশি হয়।

    বাড়তি বিপদ কেন? (Festive season)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের মরশুমে একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঠিকমতো কাজ হয় না। অধিকাংশ পুরকর্মী ছুটিতে থাকেন। এর ফলে জ্বর হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ‌ মতো সময়ের মধ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষা হয় না। এর জেরে রোগ নির্ণয়ে অনেক সময়েই দেরি হয়ে যায়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। আবার পরিস্থিতি জটিল হলে হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা চালানো নিয়ে নানান‌ সঙ্কট তৈরি হয়। প্রত্যেক বছর রক্তের আকালের একাধিক অভিযোগ ওঠে। ব্লাড ব্যাঙ্কেও উৎসবের মরশুমে প্লেটলেটের জোগান পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। পরিজনদের হয়রানিও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা একাংশের।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, পরিবেশ-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এলাকায় জল জমলে, অপরিচ্ছন্ন‌ বাগান‌ কিংবা পার্ক থাকলে সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই বিপদ কিছুটা আটকানো যাবে। তবে জ্বর, কাশি, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রথম থেকেই রোগীকে মশারি টাঙিয়ে, তার ভিতরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি জ্বর হলেই বেশি পরিমাণে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ শরীরের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমলে‌ ডেঙ্গির বড় বিপদ আটকানো‌ সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল বিভাগে শুক্রবার ভোরে আচমকাই আগুন লাগে (Hospital Fire)। প্রবল ধোঁয়ায় হাসপাতাল ঢেকে যায়, ফলে দমবন্ধ হয়ে আসে রোগীদের। আগুনে দমবন্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর নাম উত্তম বর্ধন। ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও ২ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hospital Fire)

    পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরাই দমকলে খবর দেন। আচমকা দেখা যায়, হাসপাতালের একটা অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে (Hospital Fire)। এরপরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় হাসপাতালে (ESI Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন ৮০ জন রোগী। পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের দ্রুত বাইরে বের করে আনেন। রোগীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। খবর পেয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও দমকলের উচ্চ পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে পৌঁছন। পৌনে আটটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। তাঁদের দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ধোঁয়ায় একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে (Hospital Fire)। দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ইএসআই হাসপাতালের (ESI Hospital) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে, হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। উত্তম বর্ধন নামে ওই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সুপার। 

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    দমকল দফতরের কী বক্তব্য?

    দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই আগুন (Hospital Fire) লেগেছে। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে আগুন লাগে এদিন ভোরে। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। একাধিক বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরাও। পরিস্থিতি কত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, সেদিকে নজর রয়েছে হাসপাতাল (ESI Hospital) কর্তৃপক্ষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: ঐক্যবদ্ধ জোটের ছবি চণ্ডীগড়ে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোদির

    NDA: ঐক্যবদ্ধ জোটের ছবি চণ্ডীগড়ে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এনডিএ (NDA) শাসিত রাজ্যেগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে জাতীয় স্তরের নানা ইস্যু সমেত দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে এনডিএ-এর ঐক্যবদ্ধ চেহারাও সামনে আসে। জোটের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ কেন্দ্রীয় বিজেপির একাধিক নেতা। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। বিজেপি ছাড়াও এনডিএ-তে (NDA) থাকা মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন। 

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট 

    বৈঠকের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘সুশাসন এবং মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়নের নানা ইস্যু নিয়েই আমরা বিস্তৃত আলোচনা করেছি। এনডিএ জোট (NDA) দেশের অগ্রগতি এবং গরিবদের জীবন জীবিকার উন্নয়নের প্রশ্নে বদ্ধপরিকর।’’

    কী বললেন নাড্ডা

    প্রসঙ্গত, বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, ২০২৫ সালে জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের হত্যা বলে উল্লেখ করে প্রস্তাবও পাশ করেন।’’ এর পাশাপাশি নাড্ডা আরও জানিয়েছেন, বৈঠকে (NDA) আত্মনির্ভর ভারত, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, দেশের অর্থনীতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অনশন। তার মধ্যেই এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পদযাত্রার ঘোষণা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।

    ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন (Junior Doctor)

    আগামী শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) তরফে বলা হয়েছে, অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওই একই সময়ে ন্যায় বিচার যাত্রাও করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, এদিন স্বাস্থ্য ভবনের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যাচার করছে রাজ্য সরকার। যে কাজের খতিয়ান স্বাস্থ্যভবনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটাই সম্পূর্ণ হয়নি। নিজেদের দাবির সমর্থনে একাধিক ছবিও দেখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যাচার করছেন

    জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে সত্যজিৎ সরকার (Junior Doctor) বলেন, ‘‘দুপুর দু’টোর সময় আমরা ছবি তুলেছি। কোথায় কী কাজ রয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কেন এই মিথ্যাচার? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যে রিপোর্ট অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ৮৩৯টি সিসিটিভির প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিয়েছে ৩৬০টি সিসিটিভির। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বলছে এখনও বসানো হয়েছে ৩৩১টি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। বহু জায়গায় সিসিটিভি বসানো এখনও বাকি। স্বাস্থ্যসচিব মিথ্যাচার করছেন। ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এর সঙ্গে আমরা জানতে পারছি, এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে মাত্র ৪৫ দিনের জন্য।’’

    নারী সুরক্ষা উপেক্ষিত

    জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, ‘‘বাংলার বিভিন্ন যাত্রায় নারী সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একই দিনে সমস্ত নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করুন। প্রথম দিন থেকে যেভাবে প্রতিবাদে রয়েছেন সেটা চালিয়ে যান। যে মানবিক সরকারের কথা বলা হত সেই সরকারের যে অমানবিক মুখ দেখতে পাচ্ছি তাতে আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’’ সেই সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন গণস্বাক্ষর অভিযান যেমন চলছে তেমনি চলবে। রাজ্যের জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। অনশনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। অনিকেত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও শারীরিকভাবে এখনও যথেষ্ট দুর্বল। ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোমা মুখোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট সময় পর অনিকেতর প্রেসার মাপতে হবে। খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ জল। আর আপাতত তিনি এখন অনশনে যোগ দিতে পারবেন না। আপাতত অনশনে যাচ্ছেন না অনিকেত। তবে লড়াইয়ের মঞ্চ ছাড়ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purnima Kandu: বিষ দিয়ে হত্যা পূর্ণিমা কান্দুকে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য

    Purnima Kandu: বিষ দিয়ে হত্যা পূর্ণিমা কান্দুকে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে গুলিতে নিহত পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর (Purnima Kandu) মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই বাড়ছে জটিলতা। আগেই তাঁর দেওরপো মিঠুন কান্দু দাবি করেছিলেন, কাকিমাকে (পূর্ণিমা কান্দু) কেউ বা কারা খুন করেছে। এই মৃত্যু  স্বাভাবিক নয়, বলেই উল্লেখ করেন মিঠুন। ঠিক এই আবহে পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের (Post Mortem) রিপোর্ট নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুর পেটে পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক পদার্থ। তবে কি শত্রুতার কারণে খাবারে বা পানীয়ে বিষ দেওয়া হয়েছিল? এনিয়েই শুরু হয়েছে জটিলতা, উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    দুর্গা পুজোয় নবমীর রাতে আচমকা মৃত্যু হয় পূর্ণিমাদেবীর (Purnima Kandu)

    প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu)। চলতি বছরের দুর্গা পুজোয় নবমীর রাতে আচমকা মৃত্যু হয় পূর্ণিমাদেবীর। তাঁর চিকিৎসার সময়ও পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর রাতে বাড়িতে পূর্ণিমাদেবী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। পরে বাড়ি ফিরে পূর্ণিমার সন্তানরা দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁদের মা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) ব্যবস্থা করা হয়।

    ‘স্লো পয়জন’ দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর কাকিমাকে, দাবি মিঠুনের

    সম্প্রতি, পূর্ণিমা কান্দুর (Purnima Kandu) ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পেট থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। তবে কী সেই ক্ষতিকারক পদার্থ, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও। মিঠুন কান্দুর আগেই দাবি করেছিলেন, ‘স্লো পয়জন’ দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর কাকিমাকে। মিঠুন আরও দাবি করেন, কাকিমার বাড়ির সিসিটিভিও খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস- দুই দলই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ মাসের বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন তপন কান্দু। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                               (গীতা, ৩।৬)

    নরেন্দ্র প্রভৃতি নিত্যসিদ্ধ—তাদের ভক্তি আজন্ম 

    (অমৃত ও ত্রৈলোক্যের প্রতি)—নরেন্দ্র, রাখাল-টাখাল এই সব ছোকরা, এরা নিত্যসিদ্ধ, এরা জন্মে ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্ত। অনেকের সাধ্যসাধনা করে একটু ভক্তি হয়, এদের কিন্তু আজন্ম ঈশ্বরে ভালবাসা। যেন পাতাল ফোঁড়া শিব—বসানো শিব নয়।

    নিত্যসিদ্ধ একটি থাক আলাদা। সব পাখির ঠোঁট বাঁকা নয়। এরা কখনও সংসারে আসক্ত (Kathamrita) হয় না। যেমন প্রহ্লাদ।

    সাধারণ লোক সাধন করে, ঈশ্বরে ভক্তিও করে। আবার সংসারেও আসক্ত হয়, কামিনী-কাঞ্চনে মুগ্ধ হয়। মাছি যেমন ফুলে বসে, সন্দেশে বসে, আবার বিষ্ঠাতেও বসে। (সকলে স্তব্ধ)

    নিত্যসিদ্ধ যেমন মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে। নিত্যসিদ্ধ হরিরস পান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না।

    সাধ্য-সাধনা করে যে ভক্তি, এদের সে ভক্তি নয়। এত জপ, এত ধ্যান করতে হবে, এইরূপ পূজা করতে হবে—এ-সব ‘বিধিবাদীয়’ ভক্তি। যেমন ধান হলে মাঠ পার হতে গেলে আল দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে। আবার যেমন সম্মুখের গাঁয়ে যাবে, কিন্তু বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।

    রাগভক্তি প্রেমাভক্তি ঈশ্বরে আত্মীয়ের ন্যায় ভালবাসা(Kathamrita), এলে আর কোন বিধিনিয়ম থাকে না। তখন ধানকাটা মাঠ যেমন পার হওয়া। আল দিয়ে যেতে হয় না। সোজা একদিক দিয়ে গেলেই হল।

    বন্যে এলে আর বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হয় না। তখন মাঠের উপর এক বাঁশ জল! সোজা নৌকা চালিয়ে দিলেই হল।

    “এই রাগভক্তি, অনুরাগ, ভালবাসা না এলে ঈশ্বরলাভ হয় না।”

    সমাধিতত্ত্ব—সবিকল্প ও নির্বিকল্প 

    অমৃত—মহাশয়! আপনার এই সমাধি অবস্থায় কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—শুনেছ, কুমুরে পোকা চিন্তা করে আরশুলা কুমুরে পোকা হয়ে যায়, কিরকম জানো? যেমন হাঁড়ির মাছ গঙ্গায় ছেড়ে দিলে হয়।

    অমৃত—একটুও কি অহং থাকে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, আমার প্রায় একটু অহং থাকে। সোনার একটু কণা, সোনার চাপে যত ঘষ না কেন, তবু একটু কণা থেকে যায়। আর যেমন বড় আগুন আর তার একটি ফিনকি। বাহ্যজ্ঞান চলে যায়, কিন্তু প্রায় তিনি একটু  ‘অহং’ রেখে দেন—বিলাসের জন্য! আমি তুমি থাকলে তবে আস্বাদন হয়। কখন কখন সে আমিটুকুও তিনি পুঁছে ফেলেন। এর নাম ‘জড়সমাধি—নির্বিকল্পসমাধি। তখন কি অবস্থা হয় মুখে বলা যায় না। নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল, একটু নেমেই গলে গেল। ‘তদাকারকারিত’। তখন কে আর উপরে এসে সংবাদ দেবে, সমুদ্র কত গভীর!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamas Chief Yahya Sinwar: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    Hamas Chief Yahya Sinwar: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলি সেনার বিমান হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas Chief Yahya Sinwar)। ইজরায়েলের (Israel) বিদেশমন্ত্রী কাট্‌জের দাবি, বৃহস্পতিবারই ইজরায়েলের সেনা হামলা চালিয়েছিল গাজার একটি ভবনে। ওই ভবনে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যেই ছিলেন হামাস প্রধান সিনওয়ার। প্রাথমিকভাবে হামাস প্রধানের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও ডিএনএ পরীক্ষার পর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় হামাসের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। 

    খুশির হাওয়া ইজরায়েলে (Israel)

    ইতিমধ্যেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Hamas Chief Yahya Sinwar) মৃত্যুর পর উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ইজরায়েলে। সেনাবাহিনীকে রীতিমতো উদযাপন করতে দেখা যাচ্ছ ভিডিওতে। তবে এরই মধ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন লড়াই জারি থাকবে। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আজ আমরা হিসেব মিটিয়েছি। কিন্তু আমাদের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে এবং আমাদের জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে।”

    হামাসকে হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    একই সঙ্গে হামাসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, সব হামাস যোদ্ধার পরিণতি ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Hamas Chief Yahya Sinwar) চেয়েও খারাপ হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ না আমাদের সমস্ত লোককে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।” ইহুদি নেতা  সিনওয়ারের মৃত্যুকে হামাসের (Hamas) শাসনের পতন হিসেবে অভিহিত করে তিনি এটিকে ইজরায়েলের  জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কে এই সিনওয়ার?

    ৬১ বছরের হামাস নেতা ইয়াহিয়ার (Hamas Chief Yahya Sinwar) জন্ম হয়েছিল গাজার খান ইউনিয়ের একটি শরণার্থী শিবিরে। ২০১৭ সালে গাজাতেই তাঁকে হামাসের এক জন নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর অনেক বছর কেটেছে কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে। ২২ বছর ইজরায়েলে (Israel) জেলবন্দি ছিলেন তিনি। সেই কারণে ইজরায়েলি সেনার কার্যকলাপ, তাদের অভিযানের ধরন সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল। এইভাবেই গত এক বছর ধরে আইডিএফ-এর চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে থাকতে পেরেছিলেন সিনওয়ার। ইজরায়েলের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করার সন্দেহে ১২ জন প্যালেস্টাইন নাগরিককে হত্যা করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। হামাসের হাতে ধরা পড়া এক ইজরায়েলি জওয়ানের পরিবর্তে ২০১১ সালে ১ হাজার ২৭ জন জেলবন্দিকে ছেড়ে দেয় ইজরায়েল সরকার। তাদের মধ্যে ছিল এই সিনওয়ারও। গাজায় ফিরেই সে দ্রুত হামাসের শীর্ষস্তরে উঠতে শুরু করে। হামাসে যোগ দেওয়ার আগে ইয়াহিয়া বেশ কয়েক বছর জেলবন্দি ছিলেন। ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় আত্মগোপন করে ছিলেন ইয়াহিয়া। তবে হানিয়ার পর হামাসের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। গত অগাস্টে তাঁকে হামাসের প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Modi Government: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী (Dhupguri Falakata) জাতীয় সড়ক এবার ফোর লেন হতে চলেছে। বেশ কিছুটা কাজ এগিয়েও গিয়েছে। কেন্দ্রীয় (Modi Government) সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry of Highways) এর জন্য ১৬০৬.১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার লোকজন। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত ফোর লেনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। ফালাকাটা থেকে সলসলাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার চার লেনের কাজ এখন জোরকদমে চলছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ আরও ভালো হবে।

    কেন্দ্রীয় (Modi Government) সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির পোস্ট

    কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ফোর লেনের অর্থ বরাদ্দের কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার এনএইচ-৩১ডি জাতীয় সড়ককে আপগ্রেড ও পুনর্বাসনের করার জন্য বিরাট অঙ্কের টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত ফোর লেনের হাইওয়েতে প্রসারিত করা হচ্ছে। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা (Dhupguri Falakata) পর্যন্ত এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ২৯.৮৬ কিলোমিটার বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সংযোগ করবে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে (Modi Government)

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে পোরবন্দর থেকে রাজকোট, সমখিয়ালি, রাধনপুর, কোটা, ঝাঁসি, কানপুর, লখনউ, অযোধ্যা, গোরখপুর, এবং মুজাফফরপুর থেকে শিলিগুড়ি, অসম এবং গুয়াহাটিকে সংযোগ করবে এই রাস্তা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বাড়াবে। পাশাপাশি এই রাস্তাটি হয়ে গেলে দূরত্ব যেমন কমবে ও সময়ও বাঁচবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share