Tag: bangla news

bangla news

  • Droho Carnival: রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    Droho Carnival: রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের আগেই শুরু হয়ে গেল ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ (Droho Carnival)। ব্যারিকেড সরতেই উচ্ছ্বাস শুরু রানি রাসমণি রোডে। হুরমুড়িয়ে ঢুকল জনস্রোত। পুলিশের ধারা ১৬৩ খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কোনও শর্তেই কর্মসূচি করতে দেবেন না?” রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “যদি অন্যদিন এই কর্মসূচি করা হয় অথবা রামলীলা ময়দানে স্থানান্তরিত করা হয়।” এরপর রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দ্রোহের কার্নিভালকে অনুমতি দিলেন বিচারপতি। ফলে আরও একবার মুখ পুড়ল মমতা সরকারের।

    ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে (Droho Carnival)

    দ্রোহকে (Droho Carnival) আটকাতে ব্যারিকেড বাঁধতে আনা হয়েছিল লোহার ভারী শিকল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হয়। সেই শিকলের স্থান হয় ফুটপাতে। তবে পুজোর কার্নিভাল এবং দ্রোহের কার্নিভালের রুটের মাঝের রাস্তায় ব্যারিকেড থাকতে পারে। অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতার রাজপথে দ্রোহের কার্নিভালকে রুখতে পুলিশ জারি করেছিল বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। হাইকোর্টের নির্দেশকে পুলিশ অপব্যাখ্যা করেছে বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ তুলেছেন। বিষয় তুলে ধরে সিপি মনোজ ভর্মাকে ইমেলের মাধ্যমে চিঠিও করেছিলেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ইমেল করেন প্রধান বিচারপতিকে (Calcutta High Court)। অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “রাজ্য কার্নিভাল ম্যানেজ করতে পারছে না?” একই ভাবে রাজ্যকে বিচারপতি বলেন, “বার বার আদালত আপনাদের নির্দেশ দিয়েছে র‍্যালির অনুমতি দিন। তারপরেও একই আচরণ।”

    আরও পড়ুনঃ পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    পুলিশের আদেশ বাতিল

    জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ যে আদেশ দিয়েছিল তা বাতিল। শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে দ্রোহের কার্নিভাল (Droho Carnival), পুজো কার্নিভাল হয় এবং সেখানে যাতে কোনও বিরোধ না হয়, সেই জন্য আদালতের কাছে প্রস্তাব ছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে রেড রোড পর্যন্ত পুলিশ ব্যারিকেড করুক। আমাদের কোনও তাতে আপত্তি নেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে।” তবে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে ছিলেন কিন্তু কলকাতা উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) তা খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, দ্রোহের কার্নিভাল যেহেতু অভয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি, তাই তাকে আটকাতে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন ৯ জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অবশেষে দ্রোহের কার্নিভালে আর বাধা রইল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আউটডোরে ডাক্তার না থাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে তান্ডব চালালেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। হামলা চালানো হল হাসপাতালের সুপারের অফিসেও। মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনার পুরো দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে জানালেন বিজেপির (BJP) জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BJP)

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘ আন্দোলন এবং অনশন চলছে। গত সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে সিনিয়র ডাক্তাররা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তবুও, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার এবং মঙ্গলবার আউটডোরে রোগী দেখেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, এদিন সাইক্রিয়াটিক আউটডোরে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। সকাল থেকে রোগীদের লাইন ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ডাক্তারের দেখা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীরা। অভিযোগ, সেসময় সাইক্রিয়াটিক বিভাগের কর্মীদের তরফে রোগীদের সুপারের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তারপরই একদল রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন সুপারের অফিসে গিয়ে  তাণ্ডব চালান। ওয়েটিং রুমের সেন্টার টেবিল উল্টে দেয়। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। বাঁধা দিতে গিয়ে উত্তেজিত রোগীদের হাতে নিগৃহীত হন এক বেসরকারি সিকিউরিটি কর্মী। ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে আটক করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা!

    এদিন ঘটনার পরপরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ি বিজেপি (BJP) সাংসদ জয়ন্ত রায়। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে ঘুরে সব খোঁজখবর নেন। এদিন সুপার অফিসে  হামলার ঘটনার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি যদি ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতেন তাহলে এই আন্দোলন চলত না। মানুষও পরিষেবা নিয়ে এধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটাতো না। এখনও যে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি তা এদিনের এই ঘটনায় প্রমাণ হল। আসলে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে লড়াই করছেন না। তাঁর লড়াই অন্যায়কে আড়াল করার। আরজি করকাণ্ডের অভিযুক্ত তাঁর কাছের লোকদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি অনমনীয় মনোভাব নিয়ে চলেছেন। এর পরিণতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। আগামীতে রাজ্য সরকারের নেতা মন্ত্রীদের এনিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে।’’

     কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘আমি অফিসে ছিলাম না। শুনেছি সাইক্রিয়াটিক আউটডোরে রোগীরা সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কোনও ডাক্তার ছিলেন না। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এসে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। সে কারণেই এদিন তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অফিসে হামলা চালান। তবে, কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Predator Drones: শঙ্কিত চিন-পাকিস্তান! চুক্তি সম্পন্ন, ৩১টি মার্কিন ‘প্রিডেটর ড্রোন’ পাচ্ছে ভারত

    Predator Drones: শঙ্কিত চিন-পাকিস্তান! চুক্তি সম্পন্ন, ৩১টি মার্কিন ‘প্রিডেটর ড্রোন’ পাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে পাকিস্তান ও চিনের আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে বেশ কয়েকদিন ধরেই মার্কিন ড্রোন কেনার লক্ষ্য ছিল ভারতের। মঙ্গলবার তা চূড়ান্ত রূপ পেল। আমেরিকার অন্যতম ঘাতক অস্ত্র ‘প্রিডেটর ড্রোন’ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। এখন শুধু হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। সূত্রের খবর, ৩২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। তার বিনিময়ে ভারতের হাতে ৩১টি ‘প্রিডেটর ড্রোন’ তুলে দেবে আমেরিকা। 

    মোদি-বাইডেন আলোচনার ফল

    লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে বিবাদের আবহে ভারতের হাতে প্রিডেটর ড্রোন আসার খবর চিন্তায় রাখবে বেজিংকে। চিনের লালফৌজের চোখরাঙানির মাঝেই ভারতীয় সেনার হাতে আসবে এই ‘এমকিউ-৯বি’ ড্রোন। ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও মজবুত হবে। সম্প্রতি আমেরিকার ডেলওয়ারে ‘কোয়াড’ শীর্ষ সম্মেলন হয়। সেখানে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর আলোচনাও হয়। তার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই ড্রোন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার ফল বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই ড্রোন কবে ভারতে আসবে তা এখনও জানা যায়নি। ৩১টি ড্রোনের মধ্যে ১৫টি পাবে নৌসেনা। অন্যদিকে, ৮টি করে পাবে স্থলসেনা এবং বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: সম্পর্কে ইতি! কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার, ভারতীয় দূতকে ডেকে নিল দিল্লি

    প্রিডেটর ড্রোনের ক্ষমতা

    তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে আল কায়দা প্রধান আয়মান আর জাওয়াহিরি— গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকারের’ তালিকায় এমন অনেকেই রয়েছেন। জেনারেল অ্যাটোমিক্স-এর তৈরি এই ড্রোনের পোশাকি নাম এমকিউ-৯বি। আবহাওয়া যেমনই হোক, নিঃশব্দে শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে পারে প্রিডেটর ড্রোন। এর সর্বোচ্চ গতি ৪৪২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আকাশ থেকে ভূমি, আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র বহনেও এই প্রিডেটর ড্রোন বেশ কার্যকরি। মূলত, ১৭ হাজার কেজি কার্গো বহন করতে পারে এই ড্রোন। ৪৫০ কেজির বোমাও বহন করতে পারে এই প্রিডেটর ড্রোন। জানা যাচ্ছে, ভারতে ৪টি বিশেষ সামরিক ঘাঁটিতে এই ড্রোন মোতায়েন হতে পারে। তার মধ্যে একটি আইএনএস রাজালি, এটি চেন্নাইয়ের কাছে। গুজরাটের পোরবন্দর, সারসাওয়া, ও উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এটি মোতায়েন থাকতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs New Zealand: বৃষ্টিতে পণ্ড অনুশীলন, বেঙ্গালুরুতে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও বিঘ্ন ঘটাবে আবহাওয়া?

    India vs New Zealand: বৃষ্টিতে পণ্ড অনুশীলন, বেঙ্গালুরুতে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও বিঘ্ন ঘটাবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পর এবার নিউজিল্যান্ডকেও (India vs New Zealand) নাস্তানাবুদ করতে চায় রোহিত ব্রিগেড। বুধবার শুরু ভারত-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ বদল হলেও ভারতের আগ্রাসী খেলার ধরন যে পাল্টাবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। কিন্তু কানপুরের মতোই বেঙ্গালুরুতেও বৃষ্টির জন্য মাঝে মধ্যেই খেলা থমকে যেতে পারে। অন্তত ম্যাচের আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস তেমনই বলছে। বৃষ্টির জন্যই মঙ্গলবার অনুশীলন বাতিলও হয়ে যায় ভারতের।

    প্রতিপক্ষকে ক্লিনসুইপ করাই লক্ষ্য

    ঘরের মাঠে সদ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে ২-০ জিতেছে ভারত (India vs New Zealand)। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ফুল পয়েন্টেই লক্ষ্য। এই সিরিজেও প্রতিপক্ষকে ক্লিনসুইপ করতে পারলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দিকে অনেকটা এগিয়ে থাকবে ভারত। প্রথম টেস্টে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বৃষ্টি। মঙ্গলবার, সকালে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে নামার কথা ছিল বিরাটদের। প্রাথমিক ভাবে এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় প্র্যাক্টিস। এরপর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার জানিয়ে দেন, প্র্যাক্টিস বাতিল করা হয়েছে বৃষ্টির কারণে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি রয়েছে। 

    কোন দিন কত বৃষ্টি

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস (India vs New Zealand) অনুযায়ী, টেস্টের প্রথম দু-দিন ৭০-৯০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকবে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে বেঙ্গালুরুতে।  বুধবার, টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে ৪১ শতাংশ বৃষ্টিপাতের আভাস দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিকেলে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির খেলার গতি রোধ করতে পারে, দ্বিতীয় দিনেও ৪০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। তবে সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে শুক্রবার। ম্যাচের তৃতীয় দিনে পূর্বাভাস অনুসারে ৬৭% বৃষ্টিপাত হতে পারে। শেষ দুই দিনও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    স্কোয়াড-রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জসপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, সরফরাজ খান, ঋষভ পন্থ, ধ্রুব জুরেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ।

    রিজার্ভ-মায়াঙ্ক যাদব, নীতীশ রেড্ডি, হর্ষিত রানা, প্রসিধ কৃষ্ণ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। পুজোর আগে সিবিআই (CBI) আদালতের থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি পেয়েছিল। পুজো মিটতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবারই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সিবিআই।

    আদালতে মিলল অনুমতি (CBI)

    বর্তমানে এসএসসি মামলাতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করলেও পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। বরং জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই সিবিআই (CBI) তৎপর হয়। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়নক শীলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকেও অবশ্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর

    প্রসঙ্গত, প্রায় আড়াই বছর আগে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশিতে দু’জায়গা থেকে প্রচুর নগদ, সোনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছিল তারা।সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ও পরবর্তী সময়ে পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জামিনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির মামলায় জামিনের যে আর্জি করা হয়েছিল পার্থর তরফে তা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। তার আগে সিবিআই কার্যত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজন”, বললেন মোদি, ব্যাখ্যা করলেন কারণও

    PM Modi: “ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজন”, বললেন মোদি, ব্যাখ্যা করলেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তির (Technology) নৈতিক প্রয়োগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। গ্লোবাল ডিজিটাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির জন্যই যে এটা প্রয়োজন, তাও জানিয়ে দিলেন তিনি।

    ভারতের অভিজ্ঞতা

    আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন – ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডর্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি ও ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের (India Mobile Congress) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যেভাবে বিশ্ব সম্প্রদায় একটা বিস্তৃত কাঠামো তৈরি করেছে, তেমনি ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলির এক সঙ্গে আসা উচিত। আর কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত।” মর্যাদা ও সমতার ওপর ভিত্তি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ব্যবহারের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী (India Mobile Congress)। ভারতের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দ্রুত রোলআউটের পর ৫জি টেলিকম পরিষেবা এখন দেশের বেশিরভাগ জায়গায় উপলব্ধ এবং ৬জি নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত দশকে ভারত মোবাইল ফোন আমদানিকারী থেকে রফতানিকারী দেশে পরিণত হয়েছে। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্বের আট গুণ বেশি অপটিক ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে।” মোদি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালে উন্মোচিত ভারতের ডিজিটাল ভিশন চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে – ডিভাইসগুলোকে সস্তা করা, সকলের জন্য সংযোগ স্থাপন, সাশ্রয়ী ডেটা ও ডিজিটাল – প্রথম উদ্যোগ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ডিজিটাল সংযোগকে শেষ প্রান্তে পরিষেবা সরবরাহের কার্যকর হাতিয়ারে পরিণত করেছি।” তিনি বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো গঠনে ভারতের সফল অভিজ্ঞতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে (Technology) আগ্রহী ভারত (PM Modi)।”

    আরও পড়ুন: এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kojagori Lakshmi Puja 2024: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    Kojagori Lakshmi Puja 2024: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’’-এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে থাকে। দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024) পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা (Lakshmi Puja) তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ ও শান্তি প্রদানকারী দেবী। বাংলার গৃহস্থ থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2024) নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত। আসুন জেনে নিই এই বছরের লক্ষ্মী পুজোর নির্ঘণ্ট।

    এবছর লক্ষ্মীপুজোর সময়সূচি কেমন (Kojagori Lakshmi Puja 2024)?

    বৈদিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে প্রতিবছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী পুজোর উৎসব পালিত হয়। এইবার পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে আজ, বুধবার ১৬ অক্টোবর, রাত ০৮টা ৪০ মিনিট থেকে এবং এই তিথি চলবে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর, বিকেল ০৪টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। ফলে উদয় তিথিতে ১৬ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2024) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পুজোর নিশীথ কাল মুহূর্ত হল রাত ১১টা ৪২ মিনিট থেকে ১২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এদিন চন্দ্রোদয় হবে বিকেল ৫ টা ৫ মিনিটে।

    ‘কোজাগরী’ কেন বলা হয়?

    এবার আসা যাক, ‘কোজাগরী’ শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja 2024) দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে, একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী (Lakshmi Puja)। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই ‘কোজাগরী’ শব্দ (Kojagori Lakshmi Puja 2024) এই লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    পুজোর বিভিন্ন রীতি (Kojagori Lakshmi Puja 2024)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে। গৃহস্থরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন, যেমন আড়ি লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024)। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”-বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    লক্ষ্মীপুজো করলে কী কী ফল মেলে?

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা বা পটচিত্র আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক এক প্রকারের সরা দেখা যায়, যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2024)। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্থ কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিঁড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই। ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja) ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি (Kojagori Lakshmi Puja 2024) পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয়, গৃহে সুখ, শান্তি, ধন, সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম

    প্রায় সাড়ে পাঁচটা-ছয়টা হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নিজের ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় বসিয়া আছেন। ভক্তদের দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—সংসারত্যাগী সাধু—সে তো হরিনাম করবেই। তার তো আর কোন কাজ নাই। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা (Kathamrita) করে তো, আশ্চর্যের বিষয় নয়। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা না করে, সে যদি হরিনাম না করে তাহলে বরং সকলে নিন্দা করবে।

    সংসারী লোক যদি হরিনাম করে, তাহলে বাহাদুরি আছে। দেখ, জনক রাজা খুব বাহাদুর। সে দুখানি তরবার ঘুরাত। একখানা জ্ঞান ও একখানা কর্ম। এক দিকে পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞান, আর-একদিকে সংসারে কর্ম করছে। নষ্ট মেয়ে সংসারের সব কাজ খুঁটিয়ে করে, কিন্তু সর্বদাই উপপতিকে চিন্তা করে।

    সাধুসঙ্গ সর্বদা দরকার, সাধু ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ (Kathamrita) করে দেন।

    কেদার—আজ্ঞে হাঁ! মহাপুরুষ (Ramakrishna) জীবের উদ্ধারের জন্য আসেন। যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়। অথবা যেমন নদী বা তড়াগ, কত জীবের পিপাসা শান্তি করে।

    ক্রমে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হইলেন। একে একে সকলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাঁহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ভবনাথকে দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, তুই আজ আর যাস নাই। তোদের দেখেই উদ্দীপন!

    ভবনাথ এখনও সংসারে প্রবেশ করেন নাই। বয়স উনিশ-কুড়ি, গৌরবর্ণ, সুন্দর দেহ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) নামে তাঁহার চক্ষে জল আসে। ঠাকুর তাঁহাকে সাক্ষাৎ নারায়ণ দেখেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আইএমএ-র ডাকে দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Incident: আইএমএ-র ডাকে দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে চলছে প্রতীকী অনশন (RG Kar Incident)। এই অনশনের (Symbolic Hunger Strike) ডাক দিয়েছিল আইএমএ হেডকোয়ার্টার জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্ক। প্রতীকী এই অনশন হবে ১২ ঘণ্টার। সকাল ৬টায় শুরু হওয়া প্রতীকী অনশন চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। আরজি করকাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতেই এই কর্মসূচি।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কেরল চলছে অনশন

    আইএমএ দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসক সংগঠন। তাদেরই জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের ডাকে চলছে এই অনশন। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে কেরল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জুনিয়র ডাক্তারেরা তাতে শামিল হয়েছেন। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেরলের ভেঞ্জরামোদুতে শ্রী গোকুলম মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চলছে ১২ ঘণ্টার অনশন (Symbolic Hunger Strike)। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার অনশন চলছে দেশ জুড়ে। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে— ‘শোনো বাংলা, শোনো ভারত’। কয়েকদিন আগেই, ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে এসেছিলেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি আরভি অশোকন (RG Kar Incident)। ‘আমরণ অনশনে’ বসে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি নিয়ে নিজে দেখে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

    প্রতীকী কর্মবিরতি 

    এদিকে, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আরএন টেগোর, ফর্টিস এবং পিয়ারলেসের পর এবার আংশিক কর্মবিরতি (RG Kar Incident) পালন করছেন উডল্যান্ডসের চিকিৎসকরা। আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়ণ মেমরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। সল্টলেকের মণিপাল এবং পিয়ারলেস হাসপাতালেও চলছে আংশিক কর্মবিরতি। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা (RG Kar Incidents)। বৈঠক চলে ঘণ্টা আড়াই।

    পেনডাউন পিয়ারলেসে

    তার পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে ১০ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত অচলাবস্থা চলবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ চিকিৎসক সংগঠনগুলো। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন করছেন পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক।

    আরও পড়ুন: কানাডার কূটনীতিককে তলব ভারতের, কেন জানেন?

    এদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ধর্মতলার মঞ্চে এক এক করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনরত চিকিৎসকরা। তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক সমাজ। তারা চায়, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে নামুক প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনকে বারবার সেকথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হলেও, সদর্থক কোনও ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    অনশনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছে তারা। তাতে বলা হয়েছে, ‘ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময়। সমাধান না মিললে অনশনকারীরা (Symbolic Hunger Strike) মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন (RG Kar Incidents)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Kalyani Medical: গণ ইস্তফা ৭৭ ডাক্তারের, মঙ্গলবার থেকে কল্যাণী মেডিক্যালে থমকে কাজ

    Kalyani Medical: গণ ইস্তফা ৭৭ ডাক্তারের, মঙ্গলবার থেকে কল্যাণী মেডিক্যালে থমকে কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল। এবার কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ হাসপাতালে ৭৭ জন ডাক্তার গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেল করে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার থেকেই কাজ বন্ধ করেছেন তাঁরা। আরজি করকাণ্ডে বিচারের দাবিতেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

    চিঠিতে কী জানিয়েছেন ডাক্তাররা?(Kalyani Medical)  

    ইস্তফাপত্রে (Kalyani Medical) ডাক্তাররা লিখেছেন, “গত ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশনে বসেছেন। তাঁদের দাবিগুলি সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যই। অনশনরত জুনিয়রদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। ওঁদের এই ভোগান্তি, এই যন্ত্রণা আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে কাজ করার মতো মানসিক অবস্থাই নেই আমাদের কারও। জোর করে কাজ করলে আমাদের কাজে ভুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীদের জীবনসঙ্কট তৈরি হতে পারে। তাই আমরা গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” যদিও চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়ে দেন, গণ ইস্তফা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। ইস্তফা ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তির ব্যক্তিগত পদত্যাগপত্র না জমা দিে সেটা পদত্যাগপত্র নয়। একটা যৌথ চিঠি, অনেকের সংগ্রহ সম্বলিত, যাতে বিষয়ের উল্লেখ নেই। বিভ্রান্তি দূর করতেই সরকার এই অবস্থা জানায়।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে পালটা আইএমএ-র

    আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্যর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শব্দচয়নে যে কদর্যতার পরিচয় দিয়েছেন, তা নিন্দনীয়। ওনার কাছে থেকে এই ধরনের ভাষা আমরা আশা করি না। উনি যে পদ্ধতিগত ইস্তফার কথা বলেছেন, সেই বিষয়ে উনি যদি আমাদের একটি নির্দিষ্ট প্রোফর্মা তৈরি করে দেন, তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী একে একে সই করে ইস্তফা দেব।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি ক্ষেত্রে ৩৫০ জন এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও ৪০০ জন ডাক্তার ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ অগ্নুৎপাতের মতো বিস্ফারিত হচ্ছে। রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের প্রতি যে অসংবেদনশীল আচরণ করছে, তার পরিবর্তন না হলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য সরকার তৈরি থাকুক।”

    আন্দোলনকারী ডাক্তাররা কী বললেন?

    কল্যাণী জেএনএম (Kalyani Medical) হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, “গোটা রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে থ্রেট কালচার চলছে, তার অন্যতম ভয়ঙ্কর রূপ হল কল্যাণী জেএনএম। বেশ কয়েকজনকে অপসারণ করার পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই থ্রেট কালচারের সিন্ডিকেটের যারা মূল মাথা, রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমরা রাজ্য সরকারকে গণইস্তফার মধ্যে দিয়ে একটি বার্তা দিতে চাইছি। আর আলাপনবাবু যেভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন, সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমরা এই ইস্তফা দিয়েছি। আমরা ওদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকারি হাসপাতালে চাকরি না করলেও ডাক্তাররা না খেয়ে মরবেন না।”

    আরও পড়ুন: পুলিশের ‘না’, তবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হচ্ছেই, আজ মানব-বন্ধন কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের

    জেলায় জেলায় আন্দোলন

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসে অনিকেত মাহাতো, আলোক বর্মার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা। আপাতত স্থিতিশীল অনুষ্টুপ। রক্তক্ষরণের কারণ সন্ধানে এন্ডোস্কপি হবে তাঁর। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন বহরমপুরের নাগরিকরা। সকাল ৭টা থেকে বহরমপুর রবীন্দ্র ভবনের সামনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতেই এই প্রতীকী অনশন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনের আবাসিকরাও। আবাসনের মূল গেটের সামনে প্রতীকী অনশনে। তাঁরা নিজেদের আবাসনের মূল গেটের সামনে বসে প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন। নাচ-গান, আবৃত্তির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। আবাসনের বাসিন্দা অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রও প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share