Tag: bangla news

bangla news

  • Daily Horoscope 03 September 2024: নামী কারও সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 September 2024: নামী কারও সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পড়াশোনার জন্য দূরে ভ্রমণ।

    ২) যে কোনও দিক থেকে আয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ২) কর্মস্থানে দক্ষতার জন্য সুনাম পাবেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বাড়িতে কোনও শুভ কাজ হতে পারে।

    ২) পড়ে থাকা কাজ সেরে ফেলুন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আপনার হাতের কাজের জন্য সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ২) মানসিক কষ্ট থাকবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ২) বিবাহ নিয়ে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) সামাজিক কাজে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) মধুর বক্তব্যের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ২) দাম্পত্য কলহের অবসান।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ২) আপনার আচরণে পরিবারের কেউ আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ২) বাক্‌পটুতায় শত্রুর মন জয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে।

    ২) মামলা-মোকদ্দমায় হঠাৎ ফেঁসে যেতে পারেন।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ২) নামী কারও সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অস্থির বাংলাদেশ! ভারতের দিকে ঝুঁকছেন পোশাক বিক্রেতারা, কী ভাবছে রেমন্ড?

    Bangladesh Crisis: অস্থির বাংলাদেশ! ভারতের দিকে ঝুঁকছেন পোশাক বিক্রেতারা, কী ভাবছে রেমন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের (Bangladesh Crisis) কারণে রেডিমেড পোশাক এবং কাপড়ের জন্য সে দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পোশাক আমদানির জন্য আপাতত আর বাংলাদেশের ওপর ভরসা করতে চাইছে না। তাই ভারতের প্রথম সারির টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল সংস্থা রেমন্ডের (Raymond) দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা পোশাক সংস্থা। শুধু তাই নয়, বিশ্বের যে সব সংস্থা বাংলাদেশে ব্যবসা করে, সেগুলিও রেমন্ডের কাছে তাদের ব্যবসা বিক্রি নিয়ে কথাবার্তা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম হরি সিঙ্ঘানিয়া। 

    বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে পরিস্থিতি অনুকূল

    বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা (Bangladesh Crisis) দেখা দেওয়ার পর বিশ্বের নানা পোশাক বিক্রয়কারী সংস্থা রেমন্ডের (Raymond) সঙ্গে কথা বলেছে, বলে জানালেন গৌতম হরি সিঙ্ঘানিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্কটের কারণে বিশ্বের বহু দেশ থেকে পোশাক বিক্রেতা সংস্থাগুলি রেমন্ডের সঙ্গে ব্যবসায় আগ্রহ দেখিয়েছে এবং খোঁজখবর চালাচ্ছে। আমরা সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখছি।’ ভারতে পোশাক তৈরির অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। পোশাকশিল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা প্রয়োজন, ভারতে তা রয়েছে। রেমন্ডের কাপড় তৈরির যেমন ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনই রয়েছে পোশাক তৈরির ব্যবস্থাও। ফলে পণ্যের চূড়ান্ত সরবরাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো সময় বাঁচাতে পারবে। গৌতম বলেন, বাংলাদেশের কাপড়ের সরবরাহ নেই। কাপড় সরবরাহের দিক থেকে ভারতে খুব সুবিধা রয়েছে। ভারতে শ্রমিকের মজুরি বেশি হলেও বিষয়টি সার্বিকভাবে দেখতে হবে। 

    বাংলাদেশে ফ্যাব্রিক সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্যুট নির্মাতা সংস্থা হিসাবে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের কারখানায় বিপুল বিনিয়োগ করেছে রেমন্ড। বর্তমান পরিস্থিতির পূর্ণ সুযোগ তুলে সেই দিশায় এগোতে প্রস্তুত সংস্থাটি। রেমন্ডের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে ৭৫ লাখ জ্যাকেট, ট্রাউজার ও শার্ট তৈরির সক্ষমতা রয়েছে এই কোম্পানির। এর বাইরে ইথিওপিয়ায় তাদের ৩২ লাখ পোশাক তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। রেমন্ড (Raymond) কর্তার কথায়, ‘বাংলাদেশে ফ্যাব্রিক সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই। সে দেশে শুধুমাত্র পোশাক তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। কাপড়ের চাহিদা মেটাতে ভারতের উপরেই নির্ভর করতে হবে। এই পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করার বিপুল সুযোগ ভারতের কাছে রয়েছে।’

    ভারতের রফতানি ক্রমশ বাড়ছে

    চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন পর্বে ভারত থেকে টেক্সটাইল রফতানি ৪.১৫ শতাংশ বেড়েছে। সিআইএস গোষ্ঠীভুক্ত এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বিপুল চাহিদাই এর প্রধান কারণ বলে সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের একই সময়ের ৮.৪৩ বিলিয়ন ইউএস ডলারের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়ে ৮.৭৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্লোদিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসেসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার চিফ মেন্টর রাহুল মেহতা বলেন, ‘গত দু’বছর ধরে পোশাক রফতানি নিম্নমুখী ছিল। চলতি অর্থবর্ষের গোড়াতেই সেই দিশা ঘুরে গিয়েছে। আমরা এই বদলকে স্বাগত জানাচ্ছি। ইউএসএ-র অর্থনীতি সামান্য চাঙা হওয়া এবং চিন ও বাংলাদেশ থেকে রফতানি কমে যাওয়াই এর মুখ্য কারণ।’ ধারাবাহিক ঘরোয়া চাহিদা বৃদ্ধি, রফতানি বাড়তে থাকা এবং তুলোর দাম কমতে থাকায় ভারতের টেক্সটাইল শিল্পক্ষেত্রের বিকাশ ঘটবে বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে রেটিং সংস্থা ক্রিসিল।

    আরও পড়ুন: ‘বাইরে অপরাধীরা, ভয়ে নির্যাতিতারা’, ধর্ষণের মামলার বিলম্ব নিয়ে সরব রাষ্ট্রপতি

    সহানুভূতিশীল ভারত

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির (Bangladesh Crisis) কারণে স্বল্পমেয়াদী পোশাকের অর্ডার ভারতে স্থানান্তরিত হতে পারে। অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (এইপিসি) মহাসচিব মিথিলেশ্বর ঠাকুর সম্প্রতি একথা জানান। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সব রফতানিকারকদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হোক এবং স্বাভাবিক ব্যবসা আবার শুরু হোক। আমরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংস বিক্ষোভের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রতি সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল। ভারতের বাংলাদেশের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর কোনও ইচ্ছা বা প্রবণতা নেই।  তবে সারা বিশ্বে পোশাকের চাহিদা মেটাতে ভারত সব সময়ই প্রস্তুত।’ এ প্রসঙ্গে রেমন্ডের (Raymond) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম হরি সিঙ্ঘানিয়া জানান, বিশ্ব ‘চিন প্লাস ওয়ান’ কৌশল গ্রহণ করেছে। ফলে ভারতকে পণ্যের উৎস হিসেবে অনেক দেশ দেখতে চাইছে। বিষয়টি ভারতের পক্ষে ভাল। সবাই নিরাপদে থাকার কৌশল গ্রহণ করতে চায়। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। রেমন্ডও সেই পথেরই পথিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Chalisa: বাড়ে মনের জোর, কাটে যাবতীয় বাধা, হনুমান চালিশা পাঠে মেলে হরেক ফল!

    Hanuman Chalisa: বাড়ে মনের জোর, কাটে যাবতীয় বাধা, হনুমান চালিশা পাঠে মেলে হরেক ফল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান চালিশায় (Hanuman Chalisa) উল্লেখ রয়েছে, ‘‘জো য়াহ পড়ে হনুমান চালিশা, হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা’’। অর্থাৎ যিনি এই হনুমান চালিশা ভক্তি সহকারে পাঠ করেন, স্বয়ং ভগবান শিব সাক্ষী, তিনি অবশ্যই সিদ্ধিলাভ করেন। মঙ্গলবার অনেকেই হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন। ভক্তি ও নিষ্ঠাভরে পুজো করেন বজরঙ্গবলিকে। হনুমানজিকে (Lord Hanuman) খুশি করার অনেক উপায় হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। সেই সব পদ্ধতি মেনে পুজো করলে সঠিক উপকারও পাবেন। হনুমান চালিশা পাঠে মনের জোর বাড়ে, জীবনের সকল বাধা দূর হয়, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমান চালিশা পাঠ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তবে আপনি চাইলে প্রতিদিনও করতে পারেন।

    হনুমানজিকে কী কী অর্পণ করবেন

    শাস্ত্র মতে, বজরঙ্গবলীর পুজো করতে হলে স্নান সেরে ১১টি পিপল গাছের পাতা নিতে বলছেন পণ্ডিতরা। গঙ্গাজল দিয়ে এই পাতাগুলি পরিষ্কার করার পরে কুমকুম বা চন্দন দিয়ে শ্রী রাম লিখে তা মালা বানিয়ে হনুমানজিকে অর্পণ করলে জীবনে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। রীতি অনুযায়ী লাড্ডুতে তুলসী পাতা দিয়ে হনুমান মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোনও কাজ আটকে থাকলে বা কোনও বিশেষ কাজে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার হনুমানজিকে (Lord Hanuman) পান অর্পণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। বিশ্বাস, এর ফলে প্রতিটি কাজে সাফল্য আসে। এর পাশাপাশি হনুমানজিকে জুঁই তেল ও ফুল নিবেদন করলেও তিনি প্রসন্ন হন। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

    শনির খারাপ দৃষ্টি রোধ করে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    অনেক ব্যক্তির কোষ্ঠীতে শনি খারাপ অবস্থানে থাকে। ফলে পদে পদে বাধা আসে। তাই শনির দশা কাটাতেও হনুমান চালিশা পাঠ বিশেষ ফল দেয় বলে বিশ্বাস। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, একবার শনিদেবের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন হনুমান। প্রসন্ন শনিদেব জানিয়েছিলেন, হনুমানের সত্যিকারের ভক্তের তিনি কখনও কোনও ক্ষতি করবেন না। এছাড়া দুষ্টদমনে হনুমান চালিশা খুব কাজে দেয়। এখানেই উল্লেখ রয়েছে, ‘‘ভূত পিশাচ নিকট নহি আবে, মহাবীর যব নাম শুনাবে।’’ যে কোনও ধরনের ভয়, আতঙ্ক কাটে এই মন্ত্রে। এই কারণে শিশুদেরও এই মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।

    হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের পদ্ধতি

    হনুমান চালিশা পাঠের নানা নিয়ম-বিধিও রয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আচার মেনে মঙ্গল ও শনিবার ভোরে স্নান করে সকালেই হনুমান মন্ত্র জপ করে থাকেন ভক্তরা। বিশ্বাস, এতে কেটে যায় জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতি। এক নজরে দেখে নিন, কীভাবে পুজো করবেন বজরঙ্গবলির।

    সকালে স্নান করে উঠে পুজোর আয়োজন করুন।

    শুদ্ধবস্ত্রে একটি চৌকি নিয়ে, তার ওপর একটি লাল কাপড় বিছিয়ে দিন।

    হনুমানজিকে সেই আসনের ওপর রাখুন।

    ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে লাড্ডু নিবেদন করুন।

    এরপর হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করুন।

    সন্ধ্যাবেলাতে হনুমানালিশা পাঠ করলে একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করুন।

    বজরঙ্গবলির পুজো করার দিনে অবশ্যই নিরামিশ আহার করুন।

    হনুমান চালিশার শুরুতে এবং শেষে ভগবান রামের নাম জপ করতে ভুলবেন না যেন।

    হনুমান চালিশা পাঠে কী কী ফল মেলে?

    কর্মক্ষেত্রে সাফল্য

    ভক্তদের বিশ্বাস, হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের আরাধনা করা যায়, সৌভাগ্য প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয় খুব তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো।

    মনের জোর বাড়ে

    এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মঙ্গল ও শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চালিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারপাশে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব খুবই বেড়ে যায়। মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবনের পথে চলতে চলতে যতই বাধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।

    বাধা কেটে যায়

    জীবনে যে কোনও বাধা আপনি টপকে যেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠের দ্বারা। বাধার পরিস্থিতিতে হনুমান চালিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাধার পাহাড় খুব তাড়াতাড়ি সরে যেতে বাধ্য হয়। কোনও সমস্যায় যদি বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চালিশা পড়া শুরু করুন।

    নেগেটিভ শক্তি দূর হয়

    নেগেটিভ এনার্জি আমাদের চিন্তাভাবনাকেও নেতিবাচক করে তোলে। চারপাশ থেকে নেগেটিভ এনার্জিকে সরাতে ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের আশীর্বাদে সর্বদাই ইতিবাচক শক্তি মেলে।

    স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে

    আধুনিক জীবনে মানুষের বড় রোগ হল স্ট্রেস। যে কোনও শারীরিক রোগের সঙ্গেও স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থ ভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কাটাতেই হবে। নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া শুরু করলে দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনেও গভীর শান্তি অনুভব করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirbhaya Fund: পড়ে রয়েছে ‘নির্ভয়া তহবিল’-এ প্রাপ্ত কেন্দ্রের বরাদ্দ, টাকা পেয়েও খরচে ব্যর্থ রাজ্য

    Nirbhaya Fund: পড়ে রয়েছে ‘নির্ভয়া তহবিল’-এ প্রাপ্ত কেন্দ্রের বরাদ্দ, টাকা পেয়েও খরচে ব্যর্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার দিক দিয়ে যে রাজ্যের অবস্থান তলানিতে, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে আরজি করকাণ্ডেই। এবার জানা গেল, নারী সুরক্ষার খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খরচেও নীচের সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ। 

    আরজি কর কাণ্ডে ‘নাটক’ মমতার

    আরজি করকাণ্ডের ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনতে চলেছেন। অথচ, দেশের নয়া আইনেই ধর্ষককে কড়া শাস্তি দেওয়ার সংস্থান রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কারণ, দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণ দেবী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে একাধিক অতিরিক্তি ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু হয়নি। মন্ত্রীর দাবি, তার জেরে বকেয়া রয়েছে ধর্ষণ ও পকসো সংক্রান্ত কয়েক হাজার মামলা। সেই বিষযে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করছে। রাজ্যে হাজার হাজার ধর্ষণের মামলা ঝুলে রয়েছে।

    কেন্দ্রের ‘নির্ভয়া তহবিল’ খরচে ব্যর্থ!

    এবার প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোদি সরকারের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে জানা গেল, নারী সুরক্ষায় কেন্দ্রের দেওয়া তহবিল খরচ করতেও ব্যর্থ মমতার প্রশাসন। নারী সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘নির্ভয়া তহবিল’ (Nirbhaya Fund) গঠন করেছিল। প্রায় এক দশক পরেও সেই তহবিলে বরাদ্দ টাকা খরচে একেবারে নীচের দিকে এই রাজ্য! পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই তহবিলে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৭৫.৭০ কোটি টাকা। আর খরচ করা হয়েছে মাত্র ৩.৯২ কোটি টাকা। তালিকা অনুযায়ী, দেশের রাজ্যগুলির নিরিখে ২৯ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর কোনও জবাব দেবে কি মমতার-প্রশাসন?

    সব রাজ্যের মতো কেন্দ্রীয় অর্থ পেয়েছে বাংলাও

    ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়াকাণ্ডের পরে কেন্দ্রের তরফে ‘নির্ভয়া তহবিল’ (Nirbhaya Fund) গঠিত হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকার ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ‘নির্ভয়া তহবিল’ তৈরি করেছিল। এর পর থেকে ফি বছরই ওই তহবিল বাবদ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে সাধারণ বাজেটে। তাতে অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলাও টাকা পেয়েছে। নির্ভয়া তহবিলের টাকা খরচের জন্য নানা প্রকল্পও তৈরি করে কেন্দ্র। ২০১৫ সালে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রককে ‘নোডাল এজেন্সি’ করে দেখাশোনার ভার দেওয়া হয়েছিল তহবিলের অধীন বিবিধ প্রকল্পের। তার মধ্যে মহিলাদের অভিযোগ বা দুর্দশার কথা শুনতে ছিল ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ (ওএসসি) গঠন, মেয়েদের জন্য তৈরি হেল্পলাইন নম্বরের সার্বিক উন্নয়ন, ‘মহিলা পুলিশ ভলান্টিয়ার স্কিম’ (এমপিভিএস)।

    ‘সেফ সিটি’ বানাতে কলকাতার বরাদ্দের কী হাল? (Nirbhaya Fund)

    পাশাপাশি, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের মোট আটটি শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ‘সেফ সিটি’ তৈরির তালিকায় আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের সঙ্গে ছিল কলকাতাও। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল ওই বাবদ। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতাকে ‘সেফ সিটি’ বানাতে মোট ১৮১.৩২ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ছিল ১০৮.৭৯ কোটি টাকা। ২০১৯-‘২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্র রাজ্যকে দু’দফায় ৫৫.৫৭ কোটি টাকা দেয়। পরে আরও টাকা আসায় ওই খাতে মোট ৭৫ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য।

    এই তহবিলে রাজ্যের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে ২০১৯ সালে জানতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই সাংসদ। তাঁরা হলেন তৃণমূলের মালা রায় এবং কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। তার জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যওয়াড়ি যে হিসেব সংসদে জমা দিয়েছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেই সময় পর্যন্ত বাংলার জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছিল ৭৫.৭০৮ কোটি টাকা। আর রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে পাঠানো খরচের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার মতো। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে এই প্রকল্পে রাজ্য টাকা খরচই করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ

    পিছিয়ে বাংলা!

    ‘নির্ভয়া তহবিলের’ টাকায় কী কী খরচ করা হবে, তা বছরে বছরে বদলেছে। শহরে-গঞ্জের রাস্তায় আলো লাগানো থেকে মহিলাদের সুরক্ষায় শহরাঞ্চলে সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, মেয়েদের জন্য চলমান শৌচাগার নির্মাণ- এ সব যেমন রয়েছে, তেমনই এই তহবিলের টাকায় নির্যাতিতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন কেন্দ্রীয় নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লোকসভায় বলেছিলেন, ‘সেন্ট্রাল ভিকটিম কমপেনসেশন স্কিম’ (সিভিসিএফ) নামে প্রকল্পে ২০১৬-‘১৭ আর্থিক বছরে বাংলা পেয়েছে ১২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। খরচ করতে পেরেছে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা।”

    নির্ভয়া তহবিলের টাকা যাচ্ছে অন্য খাতে!

    কোন রাজ্যে নির্ভয়া তহবিলের অর্থ কেমন খরচ হচ্ছে, তা নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা ২০১৯ সালে সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। তাতে দাবি করা হয়েছে, দেশের মধ্যে নির্ভয়া তহবিলের (Nirbhaya Fund) টাকা খরচের নিরিখে পিছনের সারিতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। নারী শিশুসুরক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থা ২০২১ সালে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাতে শেষ তিন বছরে নির্ভয়া তহবিলের টাকা কেমন খরচ হয়েছে তার একটা ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়, টাকা শুধু যে পড়েই থাকছে তা নয়। এমন এমন খাতে খরচ হচ্ছে, যার সঙ্গে নারীকল্যাণের সরাসরি তেমন যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে উঠল আরজি কর প্রসঙ্গ, নারী নির্যাতন রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    RSS: সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে উঠল আরজি কর প্রসঙ্গ, নারী নির্যাতন রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর (RSS) সমন্বয় বৈঠকে আলোচিত হল আরজি কর ইস্যু (RG Kar Issue)। প্রসঙ্গত কেরলের পালাক্কড়ে তিনদিনের আরএসএস-এর বৈঠকের আজ সোমবারই শেষ দিন। এদিন সন্ধ্যায় সমাপন ভাষণ দেবেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার আগে এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। সেখানেই উঠে এল আরজি কর ইস্যু। সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এবিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বৈঠকে, যাতে এধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।

    আরজি কর ইস্যুতে কী বললেন সুনীল আম্বেকর?

    সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘সমন্বয় বৈঠকে (RSS) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোচনা করা হয়েছে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Issue) হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে। সঙ্ঘ পরিবারের প্রায় প্রতিটি সংগঠনই আরজি কর কাণ্ডে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই ধরনের ঘটনাগুলি কেন ঘটছে তার কারণ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। নারী নির্যাতন রোধে সরকারকে অত্যন্ত দায়িত্ববান হতে হবে। কঠোর আইন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে।’’ এর পাশাপাশি সুনীল আম্বেকরের আরও সংযোজন, ‘‘মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত হতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই (RG Kar Issue) এই ধরনের মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া চলা উচিত।’’ সুনীল আম্বেকর (RSS) আরও বলেন, ‘‘নারী নির্যাতন রোধে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সঙ্ঘের বৈঠকে। এগুলি হল, শক্তিশালী আইন প্রণয়, সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, ছোট থেকেই বাচ্চাদের সংস্কার শেখানো, শিক্ষাদান, মহিলাদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো এবং যে ধরনের কনটেন্ট অশ্লীলতা ছড়ায় তা প্রতিরোধ করা।’’ প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে বাংলা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে মমতার সরকারের ভূমিকা। এবিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলায় কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত? উত্তরে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে এমনটা কাম্য নয়, তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত।’’

    দেশের ৪৭২টি স্থানে মহিলা সম্মেলন করেছে আরএসএস (RSS)

    সুনীল আম্বেকর আরও একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত বছর আরএসএস-এর উদ্যোগে সারাদেশে ৪৭২টি স্থানে নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন মোট ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪০ জন মহিলা। এই সম্মেলনগুলিতে নারী অধিকার ও মহিলা সশক্তিকরণের একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    অন্যান্য ইস্যু 

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি আম্বেকর জানান, সেখানকার হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই উদ্বিগ্ন। ভারত সরকার এবিষয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানান এই সঙ্ঘ (RSS) নেতা। রানি অহল্যাবাঈ-এর ৩০০তম জন্মবার্ষিকী ও রানি দুর্গাবতীর ৫০০তম জন্ম বার্ষিকীতে আরএসএস সারা দেশে একাধিক কর্মসূচি নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শেষ দিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে সুনীল আম্বেকরের পাশাপাশি হাজির ছিলেন উত্তর কেরলের সঙ্ঘ চালক কেকে বলরাম। প্রসঙ্গত, গত শনিবার ৩১ অগাস্ট কেরলের পালাক্কড়ে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তিন দিনের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক। বৈঠকে যোগ দেন আরএসএস-এর (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে সমেত অন্যান্য নেতারা। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডাও হাজির ছিলেন বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: জনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    BJP: জনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে বিজেপির (BJP) দফা এক, দাবি এক, ‘মমতার পদত্যাগ’। এই ইস্যুতে কোচবিহার, বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া, মালাদা সহ বিভিন্ন ডিএম অফিস ঘেরাও করা হল। আর সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলেও তা টপকে জেলাশাসকের অফিসের (DM office) দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মীরা। ফলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। কোচবিহারে জনরোষ আটকাতে পুলিশ ব্যবহার করে জলকামান। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। উল্লেখ্য, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা আগেই করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলায় জেলায় জেলাশাসকের দফতর অভিযানের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল।

    বাঁকুড়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ (BJP)

    বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের (DM office) দফতর অভিযানে নামে বিজেপি (BJP)। চিকিৎসক তরুণীকে নির্যাতন করে খুনের প্রতিবাদে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। এদিন বাঁকুড়া হিন্দু হাই স্কুল ময়দান থেকে মিছিল করে ডিএম অফিসের দিকে এগিয়ে যায় জনতা। কিন্তু আইজি মোড়ের কাছে যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। এরপর তা ভেঙে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে  ওঠে। এরপর সেখানেই বসে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ করেন।

    মালদায় ব্যারিকেড ভাঙল জনতা

    বিজেপির (BJP) ঘোষিত অভিযানকে মাথায় রেখে পুলিশ আগে থেকেই মালদা জেলাশাসকের অফিসের (DM office) সামনে ত্রিস্তরীয় গার্ডরেল দিয়ে রেখেছিল। এদিন দুপুর ১টায় বিজেপির জেলা অফিস থেকে একটি মিছিল সারা শহর পরিক্রমা করে। মিছিলে পা মেলান উত্তর বাংলার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত এবং পার্থসারথি ঘোষ। পরে এই মিছিল জেলাশাসকের অফিসের সামনে এলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। এরপর উত্তেজিত কর্মীরা ‘বিচার চাই বিচার চাই’ বলে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    একাধিক জেলায় বিক্ষোভে উত্তাল জেলা

    মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় জেলাশাসকের দফতর (DM office) ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয় বিজেপি (BJP)। রাস্তায় নেমে মিছিল করে প্রতিবাদ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। বর্ধমানে বিজেপির কর্মসূচিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করতে গিয়ে ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে দেন কর্মীরা। এদিন আসানসোলেও এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। সর্বত্র একটাই স্লোগান ওঠে ‘এবার মমতা গদি ছাড়ো’।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘সায়নের জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’’, রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Incident: ‘‘সায়নের জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’’, রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ির জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম (Supreme Court) দুয়ারে কড়া নেড়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বহাল রইল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। শীর্ষ আদালত জানাল, ওই ছাত্রনেতার (সায়ন) জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত। সোমবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুনানি ছিল সেই মামলার। শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন সায়নরা (Sayan Lahiri)।

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে অশান্তির অভিযোগে সায়ন লাহিড়িকে (Sayan Lahiri) গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে আজ, সোমবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুনানি ছিল ওই মামলার। সেখানেই সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পারদিওয়ালা জানতে চান, ১০০ জনের মধ্যে ওই ছাত্রনেতাকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করল? পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, ‘ওই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত। কিন্তু এফআইআর খারিজের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আপনার মা-বোনেদের…’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর

    হাইকোর্টের রায়ে শিলমোহর

    প্রসঙ্গত হাইকোর্টেই (Calcutta High Court) জামিন মামলার শুনানিতে আদালত প্রশ্ন করেছিল, নবান্ন অভিযানে সায়নকে কোনও রকম অশান্তি করতে বা কারও উপর হামলা করতে দেখা গিয়েছে কি না। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, কোনও অশান্তির সঙ্গেই সায়ন যুক্ত ছিলেন না। কেবল কর্মসূচির ডাক দেওয়ার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে জানতে চায় সায়নের বিরুদ্ধে কতগুলো এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জানায়, ১১টি এফআইআর দায়ের হয়েছে সায়নের বিরুদ্ধে।  সায়নের গ্রেফতারির পক্ষে যুক্তি সাজাতে, ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বও সংযোজনের চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। তবে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন একজন ছাত্রনেতা (Sayan Lahiri) এত প্রভাবশালী হতে পারেন নাকি। হাইকোর্টের নির্দেশমতো শনিবারই সায়ন মুক্তি পায়। শীর্ষ আদালতও সায়নের মুক্তির নির্দেশে শিলমোহর দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rally: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    RG Kar Rally: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rally) সুবিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজের ডাকে মধ্যমগ্রামে সামিল হলেন নির্যাতিতা পড়ুয়া চিকিৎসকের আত্মীয়রা। এর আগেও এই ইস্যুতে মধ্যমগ্রামে আন্দোলন হয়েছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা। প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়েছে। ফের মধ্যমগ্রামে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন।

    প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতা চিকিৎসকের আত্মীয়রা (RG Kar Rally)

    আরজি করের ঘটনার পর ১৪ অগাস্ট রাতে মহিলাদের রাস্তা দখল থেকে শুরু করে লাগাতার মধ্যমগ্রাম (Madhyamgram) প্রতিবাদের (RG Kar Rally) আওয়াজ তুলেছে দিনের পর দিন। কখনও ছোট জমায়েত, কখনও কয়েকশো মানুষের জমায়েত হয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চেয়ে সরব হয়েছে। অন্যান্য দিন এই প্রতিবাদ জমায়েত মধ্যরাতে হলেও রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন কয়েকশো সাধারণ মানুষ। অরাজনৈতিক এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন রুদ্রনীল ঘোষ। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এর আগেও মধ্যমগ্রামে এই প্রতিবাদী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। 

    মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় তিন দিন ধরে চলা এক অরাজনৈতিক অবস্থান বিক্ষোভের শেষ দিনে এসেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেই দিনই ঘোষণা হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর ফের জমায়েত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর কথা হয়েছিল। সেইমতো এদিন কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন। এই মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়দের মধ্যে কাকিমা, মামা-মামী হাজির হয়েছিলেন। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা এসে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয়। এদিন প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার কাকিমা। তিনি বলেন, ‘‘ দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। আমরা সেই দাবিতেই রাস্তায় নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছি।’’ আন্দোলনকারীরাও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ

    পরিকল্পিতভাবে খুন

    প্রতিবাদের শামিল হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবেই আরজি করের (RG Kar Rally) নির্যাতিতাকে খুন করা হয়েছে। তাই, তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে এত দেরি হচ্ছে। মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। দোষীদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল সরকার। পুলিশ দিয়ে মানুষের প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার আবেদন, পুলিশ সাধারণ মানুষের বন্ধু হন। জল কামানের প্রয়োজন নেই, বাংলার  মা-বোনেদের চোখে অনেক জল আছে। দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন সকলে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: প্রধানমন্ত্রীর মতো নিরাপত্তার বলয়ে ঢুকে পড়লেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: প্রধানমন্ত্রীর মতো নিরাপত্তার বলয়ে ঢুকে পড়লেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঁটসাঁট করা হল সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এখন থেকে তিনি থাকবেন এএসএল (ASL) নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। এতদিন আরএসএস প্রধান পেতেন জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। এবার থেকে তিনি পাবেন সেই নিরাপত্তা, যা পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগে মোহন ভাগবতকে (RSS) ঘিরে থাকতেন ৫৫ জন সিআইএসএফ কমান্ডো। এঁরা আধাসেনা। এঁদের বদলে এবার ভাগবতের নিরাপত্তার দায়িত্ব বর্তাল অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজোঁ (এএসএল)-এর ওপর।

    আকাশপথেও কড়া নিরাপত্তা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভাগবত যখন হেলিকপ্টার যাত্রা করবেন, সেই সময় আকাশপথেও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন জাতীয় সুরক্ষা দলের লোকজন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ইসলামিক ও অন্যান্য সংগঠন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তার পরেই তাঁর আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীক। বর্তমানে গোটা দেশের ২০০ জনকে ঘিরে রাখে এই নিরাপত্তা বলয়। সেই তালিকায় চলে এলেন ভাগবতও।

    কেমন হবে ভাগবতের (Mohan Bhagwat) সুরক্ষা-বলয়

    সরকারি সূত্রের খবর, ভাগবত এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো তিন স্তরের নিরাপত্তা পাবেন। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি এখন অ্যাডভান্স সিকিউরিটি লিয়াজঁর (এএসএল) অন্তর্ভুক্ত হল। অর্থাৎ সরকারি জাতীয় সুরক্ষা টিম আরএসএস প্রধানের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবে। সঙ্ঘ প্রধান কোথাও হেলিকপ্টারে যেতে চাইলে সে ব্যাপারেও এএসএল-এর অনুমতি নিতে হবে। হেলিকপ্টারের ডিজাইন, ইঞ্জিনের সক্ষমতা যাচাই করে তারা ছাড়পত্র দিলে কবেই কপ্টারে যাত্রা করা যাবে।

    কারা দিয়েছে হুমকি

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিহার পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল একটি লিখিত বিবৃতি জারি করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী), বেশ কয়েকটি ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, পাকিস্তানের আইএসআই এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের হুমকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাঁর অনুষ্ঠান (বিহারে), ভ্রমণ এবং বিশ্রামের জায়গায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ডিআইজি। সেই সময় ভাগলপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভাগবত। ডিআইজি জানিয়েছিলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    সেই সময় ডিআইজি জানিয়েছিলেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিশেষ তথ্য পাওয়ার পরে বিশেষ শাখা সদর দফতরকে অবহিত করা হবে। ভাগবতের কর্মসূচি চলাকালীন শীর্ষ পুলিশ কর্তারা ভাগলপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রহরায় ছিলেন ভাগবতের। এর পরেও একাধিকবার ভাগবতকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে চলেছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। তার প্রেক্ষিতেও ভাগবতের আঁটসাঁট নিরাপত্তার প্রয়োজন (RSS) ছিল। সেই ব্যবস্থাই করা হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 121: “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

    Ramakrishna 121: “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্‌।
      (গীতা — ৯।৩৩)

    জীব চার থাক —বদ্ধজীবের লক্ষণ কামিনী-কাঞ্চন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীব চার থাক বলেছে—বদ্ধ, মুমুক্ষু, মুক্ত, নিত্য। সংসার জালের স্বরূপ, জীব যেন মাছ, ঈশ্বর (যাঁর মায়া এই সংসার) তিনি জেলে। জেলের জালে যখন মাছ পড়ে, কতকগুলো মাছ জাল ছিঁড়ে পালাবার অর্থাৎ মুক্ত হবার চেষ্টা করে। এদের মুমুক্ষু জীব বলা যায়। যারা পালাবার চেষ্টা করছে, সকলেই পালাতে পারে না। দু-চারটা মাছ ধপাঙ্‌ শব্দ করে পালায়; তখন লোকেরা বলে (Kathamrita), “ওই মাছটা বড়, পালিয়ে গেল!” এই দু-চারটা লোক মুক্তজীব। কতকগুলি মাছ স্বভাবত এত সাবধান যে, কখনও জালে পড়ে না। নারদাদি নিত্যজীব কখনও সংসারজালে পড়ে না। কিন্তু অধিকাংশ মাছ জালে পড়ে; অথচ এ-বোধ নাই যে, জালে পড়েছে মরতে হবে। জালে পড়েই জাল-শুদ্ধ চোঁ-চা দৌড় মারে ও একেবারে পাঁকে গিয়ে শরীর লোকোবার চেষ্টা করে। পালাবার কোন চেষ্টা নাই বরং আরও পাঁকে গিয়ে পড়ে। এরাই বদ্ধজীব। জালে এরা রয়েছে, কিন্তু মনে করে, হেথায় বেশ আছি। বদ্ধজীব, সংসারে—অর্থাৎ কামিনী-কাঞ্চনে—আসক্ত হয়ে আছে; কলঙ্ক-সাগরে মগ্ন, কিন্তু মনে করে বেশ আছি! যারা মুমুক্ষু বা মুক্ত সংসার (Ramakrishna) তাদের পাতকুয়া বোধ হয়; ভাল লাগে না। তাই কেউ কেউ জ্ঞানলাভের (Kathamrita) পর, ভগবানলাভের পর শরীরত্যাগ করে। কিন্তু সে-রকম শরীরত্যাগ অনেক দূরের কথা।

    “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না। এত দুঃখ, এত দাগা পায়, এত বিপদে পড়ে, তবুও চৈতন্য হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share