Tag: bangla news

bangla news

  • Kolkata Metro: এবার থেকে রবিবারেও ছুটবে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো, পুজোর মুখে ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

    Kolkata Metro: এবার থেকে রবিবারেও ছুটবে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো, পুজোর মুখে ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) এবার মিল মিলবে রবিবারও। প্রসঙ্গত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা রবিবার বন্ধ থাকত। তবে এবার রবিবারও ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রবিবারও চলবে মেট্রো। তবে মেট্রোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা আপাতত পরীক্ষামূলক, তা স্থায়ী হবে কিনা তা নির্ভর করবে যাত্রীদের চাহিদার ওপরেই। প্রসঙ্গত, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) চালু হয়েছে চলতি বছরের ৬ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে এই পরিষেবা। অন্যান্য রুটের তুলনায় যাত্রীদের চাহিদাও এখানে বেশি। রাস্তার যানজট এড়াতে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে মেট্রোকেই বেছে নেন বেশিরভাগ যাত্রী। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার রবিবারও মেট্রো চলবে।

    আপ-ডাউন মিলিয়ে চলবে ৬২টি মেট্রো (Kolkata Metro) রবিবার

    মেট্রো তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে রবিবার হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড রুটের আপ এবং ডাউন মিলিয়ে মোট ৬২টি মেট্রো চলবে। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর মিলবে ট্রেন। আরও জানা গিয়েছে, রবিবার হাওড়া ময়দান থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়বে দুপুর ২:১৫ মিনিট নাগাদ। ওই একই সময়ে এসপ্ল্যানেড থেকেও প্রথম মেট্রো ছাড়বে। অন্যদিকে, রাত্রি ৯:৪৫মিনিটে আবারও দুই স্টেশন থেকেই শেষ মেট্রো ট্রেন মিলবে।

    ৪.৮ কিমি রুটের এই মেট্রো (Kolkata Metro) নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ বেশি

    জেলা থেকে প্রতি দিন অসংখ্য মানুষ কলকাতায় আসেন নিজেদের কাজে। তাঁদের যাতায়াতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে গঙ্গার নীচে মেট্রো পরিষেবা। হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, মহাকরণ এবং ধর্মতলা— মোট চারটি স্টেশনে মেট্রো (Howrah Maidan Esplanade Metro) দাঁড়ায়। এই ৪.৮ কিলোমিটার দূরত্বের রুট নিয়েই যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ সবচেয়ে বেশি। প্রসঙ্গত, গঙ্গার নীচের সুড়ঙ্গপথের দৈর্ঘ্য ৫২০ মিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগছে ৪৫ সেকেন্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    PM Modi: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় একাধিক দুর্নীতির টাকা ফেরত দেওয়া হবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি কথা রাখলেন। টাকা ফেরাতে শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হল। অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটিকে ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের নির্দেশেই টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল।

    মোদির প্রতিশ্রুতি

    লোকসভা ভোটের প্রচারে একাধিকবার বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেই প্রচার সভা থেকেই টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এতদিন পর্যন্ত আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই টাকা বাংলার মানুষের হাতে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তারই আইনি উপায় খুঁজছি আমরা। ক্ষমতায় ফিরলে, আইনি উপায়েই বাংলার মানুষকে সেই ৩০০০ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” রাজ্যে দুর্নীতির টাকা ফেরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারই রোজভ্যালি মামলায় বাজেয়াপ্ত করা ১৯.৫০ কোটি টাকা ফেরাল ইডি। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রথম ধাপ হিসেবে এই টাকা তুলে দেওয়া হল বিশেষ কমিটির হাতে। 

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    দ্রুত পদক্ষেপ ইডির

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, সংস্থার তিন উচ্চপদস্থ অফিসার, স্পেশাল ডিরেক্টর সুভাষ আগরওয়াল, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ শেওরান এবং ডেপুটি ডিরেক্টর অজয় লুহাচ অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির অফিসে যান। সেখানে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রোজভ্যালির যে টাকা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তার মধ্যে থেকে ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে মাথায় রেখে আগেই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তারাই এবার আমানতকারীদের ফেরত দেবে ওই টাকা। আমানতকারীরা বৈধ কাগজ দেখালে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে ওয়েবসাইটও খোলা হয়, যেখানে নিজেদের নথিপত্র জমা দিয়ে টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করতে পারেন আমানতকারীরা। সেই নথি যাচাই করে আমানতকারীদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। ইডি (ED) সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে বাজেয়াপ্ত করা আরও টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: পড়ুয়াদের বিক্ষোভ! মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে পারলেন না আরজি করের অধ্যাপক

    RG Kar: পড়ুয়াদের বিক্ষোভ! মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে পারলেন না আরজি করের অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজে। তিনিই ছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়া ‘অভয়া’-র বিভাগীয় প্রধান। ঘটনার পর তাঁকে বদলি করা হয় মালদা মেডিক্যালে। এখানেই কাজে যোগ দিতে এসে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত অভিযোগ থেকে তিনি মুক্ত হচ্ছেন, মালদা মেডিক্যাল কলেজের (Malda Medical College) অধ্যাপক হিসেবে তাঁকে মেনে নেওয়া হবে না। এই ঘটনায় মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁরা বৈঠকে বসছেন।

    আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ঠিক দুদিন আগেই মালদা মেডিক্যাল (Malda Medical College) কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবর্জনার স্তুপ নয়। আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের কোনও অধ্যাপককে মালদা মেডিক্যালে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন পড়ুয়ারা। তখনই বোঝা গিয়েছিল আরজি করের ওই অধ্যাপকের কাজে যোগ দেওয়া খুব সহজ হবে না। বৃহস্পতিবার সেই প্রমাণই মিলল।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো কাজে যোগ দিতে আসেন ওই অধ্যাপক

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর থেকেই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই বিভাগীয় প্রধান। সেই মতোই স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কাজে যোগ দিতে এসেই এমন পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হল তাঁকে।

    অধ্যাপককে ঘেরাও

    বৃহস্পতিবারে কাজে যোগ দিতে এসে প্রথমেই অরুনাভ দত্ত চৌধুরী অধ্যক্ষের ঘরের দিকে যান। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা তাঁর পিছু পিছু চলে যায়। সে সময় দেখা যায় যে অধ্যক্ষের ঘরেও অনেক জন অপেক্ষা করছেন। এই সময়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয় অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে ঘিরে ধরে এবং তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, এমন স্লোগান তুলতে থাকেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    কী বলছেন মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ? 

    মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, ‘‘আজ উনি আমাদের কাছে এসেছেন। জয়েনিং অর্ডার নিয়ে এসে তিনি এই মেডিক্যালে কাজে যোগদান করতে চান বলে জানিয়েছেন। এতক্ষণ আমরা একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমরা বিষয়টি দেখছি। এনিয়ে আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলব। কথা বলব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। অরুণাভবাবু এখনও কাজে যোগ দেননি ৷ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মাত্র।’’

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INS Arighat: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    INS Arighat: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার নতুন সদস্য ‘আইএনএস অরিঘাত’ (INS Arighat)। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে নৌসেনার (Indian Navy) নতুন সদস্য হিসাবে যোগ দিল পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে এই ডুবোজাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এর ধারণা থেকে নকশা, নির্মাণ এবং একীভূত করা – সবটাই হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে। এটি দেশের দ্বিতীয় পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ। এই ডুবোজাহাজ সাধারণ সাবমেরিনের তুলনায় অনেক বেশিক্ষণ জলের নীচে ডুবে থাকতে পারে। ফলে, শত্রুর চোখকে ফাঁকি দিতে এর জুড়ি মেলা ভার।

    ঘুম ছুটবে চিনের

    ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমে দুই বিশাল জলসীমা। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর। দুই সাগর দক্ষিণে এসে মিশেছে ভারত মহাসাগরে। ফলে দেশের পূর্ব-পশ্চিমের দুই জলসীমাই যাতে সমান সুরক্ষিত থাকে সে জন্য নৌসেনার (Indian Navy) চাহিদা ছিল অন্তত ২টি বিমানবাহী রণতরী। আইএনএস বিক্রমাদিত্যর পর আইএনএস বিক্রান্ত এসে যাওয়ায় সে প্রয়োজন মিটেছে। একইভাবে নৌসেনার দাবি ছিল চিনের বিপদের কথা মাথায় রেখে অন্তত ২টো পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ চাই-ই চাই। এতদিন ভারতের হাতে ১টা পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে আইএনএস অরিহন্ত। এবার তার সঙ্গেই নৌ-সেনায় এসে গিয়েছে আইএনএস অরিঘাত (INS Arighat)। পাকিস্তানের একটা বড় অংশ ও চিনের ইউনান প্রদেশ চলে আসছে এর আওতায়।

    নৌসেনার প্রশংসায় রাজনাথ

    অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানান, দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ভারত উপমহদেশীয় অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আইএনএস অরিঘাত। দেশীয় এই সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ডিআরডিও-র ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। এ প্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর মন্ত্রকে স্মরণ করে রাজনাথ বলেন, “আজকের এই কৃতিত্ব আত্মনির্ভরতার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। ভারত একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রতিরক্ষা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের দ্রুত এগোতেই হবে। বিশেষ করে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটা অপরিহার্য। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি, আমাদের একটা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী লাগবে। যাতে আমাদের সৈন্যরা ভারতের মাটিতে তৈরি সেরা মানের অস্ত্র এবং প্ল্যাটফর্মগলি পায়, আমাদের সরকার তার জন্য অভিযানে নেমেছে।”

    অত্যাধুনিক সাবমেরিনে নতুনত্ব

    সূত্রের খবর, ‘আইএনএস অরিঘাত’-এ (INS Arighat) ১২টি কে-১৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ১,৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে অনায়াসে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করে এই জাহাজ সমুদ্রের উপরে ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে চলবে। সমুদ্রের নীচে ঘণ্টায় এর গতিবেগ ৪৪ কিলোমিটার। ১১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজ সমুদ্রের ৯৮০ থেকে ১৪০০ ফুট নীচ দিয়ে চলতে পারে। কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এই জাহাজে চারটি কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। যেগুলি ৩,৫০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ক্ষেপনাস্ত্র ছাড়াও ২১ ইঞ্চির চারটি টর্পিডো লঞ্চার টিউব রয়েছে এই ডুবোজাহাজে। নতুন ডুবোজাহাজে দরকারে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোও যাবে।

    নৌসেনার পরিকল্পনা

    চিন ও পাকিস্তানকে ঠেকাতে ভারতের নৌসেনার (Indian Navy) পরিকল্পনা এখানেই শেষ নয়। আগামী বছর নৌসেনায় যোগ দেবে আরও একটা পরমাণু শক্তিধর সাবমেরিন। যার নাম ‘আইএনএস অরিদমন’। যাতে থাকবে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। আর দেশে চার নম্বর নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরির কাজ এখন চলছে। সূত্রের খবর, এই ৪টি ছাড়া আরও ২টি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন নির্মাণের পরিকল্পনা এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির ছাড়পত্রের অপেক্ষায়। এটা সহজেই অনুমেয়, সবকটা জাহাজ হাতে চলে এলে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে চিনের চোখ রাঙানোর দিন শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে খেলতে শুরু করেছে চিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির বিরোধিতা করার কারণে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনা করল মমতার সরকারকে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্টের মন্তব্য, ‘‘যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না, সেখানে আপনারা বাঁ হাত ব্যবহার করেন। আপনাদের পদ্ধতি আমাদের জানা আছে।’’

    শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধর্মতলাতে ধর্না অবস্থান করার অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মামলাতেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল বিজেপির ধর্নার পক্ষেই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিরোধিতায় বিরক্তি প্রকাশ করে। শাসক দল কর্মসূচি নিলে তখন অসুবিধা হয় না, এমন ইঙ্গিতও বৃহস্পতিবার করা হয়েছে আদালতের (Calcutta High Court) রায়ে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন যে শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে।

    শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস! বুধবারের কর্মসূচিতে কেন আপত্তি করেনি রাজ্য, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির 

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং সেদিনই শহরে কর্মসূচি পালন করে শাসক দল। বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়েই সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বুধবার শহরে চারটি বড় কর্মসূচি হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট কর্মসূচি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপত্তি আসেনি। এক পক্ষ বিচার করলে তো হবে না। উভয় পক্ষই কর্মসূচি করছে।’’ আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গেও রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘একটি ঘটনা নিয়ে মানুষের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করুন। নতুন করে আঘাত দেবেন না, যাতে তা আরও বেড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।’’

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ওই স্কুলপড়ুয়া। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    নির্যাতিতার পরিবার (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবাচ-মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে, মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার মা বলেন, “পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। আমরা আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছি। যেই এসেছি, অমনি ও আমাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল।” এদিকে, রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার বাড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই বিষয় নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তৃণমূল নেতার ছেলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি, তাকে খুন করারও চেষ্টা করেছিল। সে নিজেও একজন তৃণমূল কর্মী।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এই ঘটনা নতুন নয়। তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করতে চেয়েছিল। আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব। পাল্টা তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, আইন আইনের পথে হাঁটবে। তা সে অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হলেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দাপট কমে রাজ্যের আবহাওয়া (Weather Update) কিছুটা ঝরঝরে হয়েছিল। কিন্তু, সেটাও বেশিদিন আর স্থায়ী হল না। নতুন করে নিম্নচাপের জেরে আবার বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর রোদ-মেঘের খেলা চলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার থেকেই ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তবে এই নিম্নচাপে বাংলায় ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলেই ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের। নিম্নচাপে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায়। গুজরাট লাগোয়া আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

    মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা (Weather Update)

    আলিপুর (Kolkata) আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৯ অগাস্ট উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নতুন করে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপটি তৈরি হবে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের ওপর থাকা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে রাতলাম, দামহো, সিদ্ধি, চুর্ক, দিঘা হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া আছে। ২৯ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা। সমুদ্র উত্তাল হবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি দু-এক পশলা চলবে। হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল, বিশেষ করে শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বেশ কয়েকটি জেলায়। ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাতেই থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং,কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: তিনবার ফোন করে তিনরকম কথা! আরজি করকাণ্ডে ভাইরাল অডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

    RG Kar Incident: তিনবার ফোন করে তিনরকম কথা! আরজি করকাণ্ডে ভাইরাল অডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেয়েটা কেমন আছে? একবার বলুন মেয়েটা কেমন আছে….’! বারবার ভাঙা গলায় এই একটা প্রশ্নই সেদিন করে গিয়েছিলেন আরজি করে (RG Kar Incident) নৃশংসতার শিকার পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। তিলোত্তমার পরিবারকে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন করে বলেছিলেন, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনবার বলেছিলেন তিন রকম কথা। তখনও বাবা-মা জানতেন না কী হয়েছে মেয়ের। তবে তাঁরা বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন। প্রথম থেকেই আরজি কর-কাণ্ডে একটি ফোনকলের কথা উঠে আসছিল। এবার সেই ফোন কলের (RG Kar Viral Audio) অডিও ক্লিপ ভাইরাল। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি মাধ্যম।

    ভাইরাল অডিও ক্লিপে কী প্রকাশ পেল

    আরজি করের (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর পর পরই তাঁর পরিবারের কাছে তিনবার ফোন যায়, অন্তত ভাইরাল হওয়া অডিও (RG Kar Viral Audio) ক্লিপে এমনই দাবি জোরালো হচ্ছে। তিনবার ফোনে তিন রকম কথা বলা হয় হাসপাতালের তরফে। এমনটাই দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে ফোন করে বলা হয়, “মেয়ে (অভয়া) অসুস্থ”। দ্বিতীয়বার অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নাম করে ফোন করা হয়। সেই ফোনে হাসপাতালে যেতে বলা হয় নিহত নির্যাতিতার মা-বাবাকে। দ্বিতীয়বার ফোন করে বলা হয় “মেয়ে (অভয়া) গুরুতর অসুস্থ”। তৃতীয়বার ফোন করে বলা হয়, তাঁদের মেয়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অডিও ক্লিপ। বৃহস্পতিবার এক মহিলা কণ্ঠের সঙ্গে অন্য এক পুরুষ এবং নারী কণ্ঠের কথোপকথনের অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, আরজি করের ঘটনার দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথোপকথনের অডিয়ো এটি। অডিওর তিনটি ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে।

    আরও পড়ুন: শাহি তলব! আরজি কর কাণ্ডের আবহে দ্রুত দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল বোস

    বাব-মার কথাই প্রমাণিত!

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন তাঁদের হাসপাতাল থেকে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়া হয়েছিল। কেন বলা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ এবং পরে বলা হয়েছিল তাঁদের মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন, যেখানে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে! কলকাতা পুলিশ যদিও আগেই জানিয়ে দেয়, তাদের তরফে নিহতের বাড়িতে কোনও ফোন করা হয়নি। হাসপাতালের তরফে কেউ ফোন করেছিলেন। পরে নিহতের বাবা-মা জানিয়েছিলেন, ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার’ পরিচয় দিয়ে কেউ এক জন ফোন করেছিলেন। তিনি প্রথমে ‘মেয়ে অসুস্থ’ বলেন। পরে বলেন, ‘সুইসাইড’ করেছে বলা হয়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অডিও  (RG Kar Viral Audio) ক্লিপেও তেমনই দেখা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ ঢাকার চাদর বদল! প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?

    RG Kar Incident: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ ঢাকার চাদর বদল! প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) বার বার তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। নির্যাতিতার বাবা-মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী সকলেই এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠায় আরও বেশ একটা সুদৃঢ় প্রমাণ সামনে এসেছে। সেমিনার রুমের নীল রঙের একটা ম্যাট্রেসের ওপর পড়ে নির্যাতিতার দেহ। কিন্তু, তাঁর শরীরের ওপর কী রঙের চাদর ছিল? চাদরের রঙ বদলেছে বারবার। অন্ততপক্ষে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান ও জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া বয়ানে চাদরের রঙে পার্থক্য রয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে রহস্য তৈরি হয়েছে।

    চাদর রহস্য! (RG Kar Incident)

    আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের বয়ান অনুযায়ী, নীল রঙের ম্যাট্রেসের ওপর নির্যাতিতার (RG Kar Incident) শরীরে ছিল নীল রঙের চাদর। সেমিনার রুমের একটি ছবি পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে। সেখানেও দেখা যায় নীল রঙের চাদর। কিন্তু, যখন বাবা-মা তাঁদের মেয়ের দেহ দেখতে পান, বদলে গিয়েছিল চাদরের রঙ! বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, চাদরের রঙ ছিল সবুজ। হাসপাতাল (Hospital) থেকে ফোন পাওয়ার পর ১২টা ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, মেয়েকে দেখতে পেয়েছিলেন দুপুর সাড়ে তিনটেয়। প্রশ্ন হল, তাহলে মাঝের সময়ে চাদর কি কেউ বদলে দিল?

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    মেয়ের দেহ সরিয়েছে!

    নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বাবা বলেন, “আমরা যখন মেয়েকে দেখতে পাই। মেয়ে বেডের ওপর শুয়ে ছিল। পা দুটো ছড়ানো ছিল।  মেয়ের শরীরে সবুজ চাদর ছিল। কিন্তু, ছবিতে দেখছি নীল চাদর।” কেবল চাদরের রঙ নয়, মৃতদেহের অবস্থানও দুক্ষেত্রে দু’রকম। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “পাগুলো ছড়ানো ছিল। দুটো পা গদির ওপরে ছিল। কিন্তু, ছবিতে দেখছি একটা পা ম্যাট্রেসের বাইরে ডায়াসের ওপর রয়েছে। নিশ্চয়ই আমার মেয়ের দেহ কেউ সরিয়েছে।”

    সন্দীপকে গ্রেফতারের দাবি

    বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ফের সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছে সিজিওতে। পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ে গিয়েছে সন্দীপের। ওই তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar Incident) মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছিল। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা প্রশ্ন তুলছেন একজন বাদে কেন আর কেউ গ্রেফতার হল না। সূত্রের খবর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও শক্তপোক্ত প্রমাণ হাতে আসেনি সিবিআইয়ের (CBI)। ধৃত সঞ্জয় রায় একমাত্র দোষী নাকি ওই মৃত্যুর ঘটনার পিছনে আরও কেউ রয়েছে সেটাই এখন বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমারও প্রশ্ন, এখনও কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়নি? আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই এই প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আসলে এই প্রশ্ন উত্তর আমার কাছে নেই। এর উত্তর সিবিআই ও আদালতের কাছে রয়েছে। তবে শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, টালা থানার আইসি, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ যাঁরা যাঁরা ওখানে ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: শাহি তলব! আরজি কর কাণ্ডের আবহে দ্রুত দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল বোস

    CV Ananda Bose: শাহি তলব! আরজি কর কাণ্ডের আবহে দ্রুত দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বৃহস্পতিবার বিকেলেই রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কোন কারণে রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) দিল্লিতে তলব করা হয়েছে, সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। 

    কেন দিল্লিতে তলব

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালকে ডেকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই তলবেই তড়িঘড়ি দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে শাহের আলোচনা হতে পারে। আরজি করকাণ্ডের আবহে রাজ্যপালকে বৈঠকের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যপাল দিল্লি যাবেন বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আরও সিরিয়াস বিষয় আছে’’, ছবি মুক্তি নিয়ে রাজ্যের আপত্তি শুনলই না হাইকোর্ট

    সুকান্ত-দিলীপ সাক্ষাত

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তার পরে বুধবার তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছিলেন। মমতার মন্তব্য ‘বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে’, বলে অভিমত সুকান্তর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেছেন সুকান্ত। এরপরই দিল্লিতে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বোসকে ডাকা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share