Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 117: “সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন, তবে চিত্তশুদ্ধি হয়, তাঁর দর্শন হয়”

    Ramakrishna 117: “সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন, তবে চিত্তশুদ্ধি হয়, তাঁর দর্শন হয়”

    সার্কাস রঙ্গালয়েগৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

                                             চতুর্থ পরিচ্ছেদ     

    দেখ! ঈশ্বরকে (Ramakrishna) দেখা যায়। ‘অবাঙ্মনসোগোচর বেদে বলেছে: এর মানে বিষয়াসক্ত মনের অগোচর। বৈষ্ণবরচণ বলত, তিনি শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধির গোচর। তাই সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন। তবে চিত্তশুদ্ধি হয়। তবে তাঁর দর্শন (kathamrita) হয়। ঘোলা জলে নির্মলি ফেললে পরিষ্কার হয়। তখন মুখ দেখা যায়। ময়লা আরশিতে ও মুখ দেখা যায় না।

    চিত্তশুদ্ধির পর ভক্তিলাভ করলে, তবে তাঁর কৃপায় তাঁকে দর্শন হয়। দর্শনের পর আদেশ পেলে তবে লোকশিক্ষা দেওয়া যায়। আগে থাকতে লেকচার দেওয়া ভাল নয়। একটা গানে আছে:

    ভাবছো কি মন একলা বসে,

    অনুরাগ বিনে কি চাঁদ গৌর মিলে।

    মন্দিরে তোর নাইকে মাধব,

    পোদো শাঁক ফুঁকে তুই করলি গোল।

    তায় চামচিকে এগারজনা,

    দিবানিশি দিচ্ছে থানা।

    হৃদয়মন্দিরে আগে পরিষ্কার রাখতে হয়; ঠাকুর প্রতিমা আনতে হয়; পূজার আয়োজন করতে হয়। কোন আয়োজন নাই, ভোঁ ভোঁ করে শাঁক বাজানো, তাতে কি হবে?”

    এইবার শ্রীযুক্ত বিজয় গোস্বামী বেদীতে বসিয়া ব্রাহ্মসমাজের পদ্ধতি অনুসারে উপাসনা করিতেছেন; উপাসনান্তে তিনি ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে আসিয়া বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—আচ্ছা, তোমরা অত পাপ পাপ বললে (kathamrita) কেন? একশোবার আমি পাপী আমি পাপী বললে তাই হয়ে যায়। এমন বিশ্বাস করা চাই যে, তাঁর নাম করেছি — আমার আবার পাপ কি? তিনি আমাদের বাপ-মা; তাঁকে বল যে, পাপ করেছি, আর কখনও করব না। আর তাঁর নাম কর, তাঁর নামে সকলে দেহ-মন পবিত্র কর—জিহ্বাকে পবিত্র কর।

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুন: “শ্রীরামকৃষ্ণ সংসারী বদ্ধজীবের কথা বলিতেছেন, তারা যেন গুটিপোকা…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 116: “প্রহ্লাদ করজোড়ে হরির নিকট প্রার্থনা করিতেছেন, হে হরি, পিতাকে সুমতি দাও”

    Ramakrishna 116: “প্রহ্লাদ করজোড়ে হরির নিকট প্রার্থনা করিতেছেন, হে হরি, পিতাকে সুমতি দাও”

     

    সার্কাস রঙ্গালয়েগৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

                                              চতুর্থ পরিচ্ছেদ      

    মণি মল্লিকের ব্রাহ্মোৎসবে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ     

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতায় শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিকের সিন্দুরিয়াপটীর বাটীতে ভক্তসঙ্গে শুভাগমন করিয়াছিলেন। সেখানে ব্রাহ্মসমাজের প্রতি বৎসর উৎসব হয়। বৈকাল, বেলা ৪টা হইবে। এখানে আজ ব্রাহ্মসমাজের সাংবাৎসরিক উৎসব। (২৬শে) নভেম্বর, ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ। শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অনেকগুলি ব্রাহ্মভক্ত আর শ্রীপ্রেমচাঁদ বড়াল ও গৃহস্বামীর অন্যান্য বন্ধুগণ আসিয়াছেন। মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে আছেন।

    শ্রীযুক্ত মণিলাল ভক্তদের সেবার জন্য অনেক আয়োজন (kathamrita) করিয়াছেন। তিনি অদ্যকার উপাসনা করিবেন। তিনি এখনও গৈরিকবস্ত্র ধারণ করেন নাই।

    কথক মহাশয় প্রহ্লাদচরিত্র-কথা বলিতেছেন। পিতা হিরণ্যকশিপু হরির নিন্দা ও পুত্র প্রহ্লাদকে বারবার নির্যাতন করিতেছেন। প্রহ্লাদ করজোড়ে হরির নিকট প্রার্থনা করিতেছেন আর বলিতেছেন, “হে হরি, পিতাকে সুমতি দাও।” ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই কথা শুনিয়া কাঁদিতেছেন। শ্রীযুক্ত বিজয় প্রভৃতি ভক্তেরা ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে বসিয়া আছেন। ঠাকুরের ভাবাবস্থা হইয়াছে।

    শ্রীবিজয় গোস্বামী প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগকে উপদেশ—ঈশ্বর দর্শন ও আদেশপ্রাপ্তি, তবে লোকশিক্ষা

    কিয়ৎক্ষণ পরে বিজয়াদি ভক্তদিগকে বলিতেছেন, “ভক্তিই সার। তাঁর নামগুণকীর্তন সর্বদা করতে করতে ভক্তিলাভ হয়। আহা! শিবনাথের কী ভক্তি! যেন রসে ফেলা ছানাবড়া।

    এরকম মনে করা ভালো নয় যে, আমার ধর্মই ঠিক, আর অন্য সকলের ধর্ম ভুল। সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। আন্তরিক ব্যাকুলতা থাকলেই হল। অনন্ত পথ—অনন্ত মত।”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Health Ministry: ‘যথাযথ আলো, কন্ট্রোল রুম স্থাপন’, ডাক্তারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের ১০ দফা সুপারিশ

    Union Health Ministry: ‘যথাযথ আলো, কন্ট্রোল রুম স্থাপন’, ডাক্তারদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের ১০ দফা সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি হত্যার ঘটনা নয়, এর সঙ্গে দেশজুড়ে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত রয়েছে। হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে (Centarl Health Ministry) চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রকে সেই সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই নির্দেশিকা জারি করার জন্য কেন্দ্র সরকারকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। ঠিক এরই মধ্যে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের (Doctors Safety) কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখতে কী কী করণীয়, ২৮ অগাস্ট তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য সচিব এবং পুলিশ ডিজিদের এই বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

    ১০টি করণীয় বিষয়ের তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Centarl Health Ministry) –

    ১. হাসপাতাল ভিতরে সবার চোখে পড়বে এমন জায়গায়, স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারীদের সুরক্ষা বিষয়ক আইন এবং শাস্তি বা দণ্ডের বিশদ বিবরণ, ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষায় লিখতে হবে।

    ২. সিনিয়র ডাক্তার (Doctors Safety) এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি ‘হাসপাতাল নিরাপত্তা’ এবং ‘হিংসা প্রতিরোধ’ কমিটি গঠন তৈরি করতে হবে। এই কমিটি দুটিই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কৌশল তৈরি করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।

    ৩. হাসপাতালের (Centarl Health Ministry) মূল এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের আত্মীয়দের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং রোগীর পরিচর্যাকারী এবং/অথবা আত্মীয়দের জন্য একটি কঠোর ‘ভিজিটর পাস’ নীতি প্রয়োগ করতে হবে।

    ৪. নাইট ডিউটির সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন, সেইসঙ্গে হস্টেল এবং হাসপাতালের অন্যান্য এলাকায় আবাসিক ডাক্তার এবং নার্সদের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৫. সমস্ত ভবনের ভিতরে এবং হাসপাতাল ক্যাম্পাস জুড়ে যথাযথ আলো দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    ৬. রাতের বেলা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিয়মিত টহল দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

    ৭. ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে এমন একটি সিকিওরিটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করতে হবে।

    ৮. স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

    ৯. যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করতে হবে।

    ১০. ক্যাম্পাস জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা কার্যকর করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) নিয়োগে ছাড়পত্র দিল হাইকোর্ট। ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হল। চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হবে কাউন্সেলিং। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ৯ বছরের নিয়োগ-জট কাটল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Upper Primary Recruitment)

    আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। ২০১১ ও ২০১৫ সালের দুটি টেটের পরীক্ষার্থীরা এই পদের জন্য যোগ্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ২৭ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্সোনালিটি টেস্ট হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে নথি যাচাই করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বার বার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তখন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে,কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। তার পরে মামলাটি যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।

    আইনজীবী কী বললেন?

    আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় যে ‘আফটার ইন্টারভিউ ওএমআর’ আসন পুনর্মূল্যায়ন করে ১৪৬৩ জনকে বাতিল করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেটা সংশোধন করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের বাতিল করা হয়েছিল, তাঁদের আবার মেধাতালিকায় ঢোকাতে হবে। সঙ্গে ১৪ হাজার ৫২ জনের প্রত্যেককে মেধাতালিকায় রেখে কাউন্সেলিং করাতে হবে। কমিশনের পুরনো মেধাতালিকা ভুল ছিল।”

    কেন মামলা?

    উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে ধরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা জানান, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের তা জানানো হয়নি। পরে চার বার তা খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি কাউন্সেলিংয়ের সময়। তফশিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এমনকী, সেখানে মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। ওএমআর শিটেও গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতে। দীর্ঘ ৯ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে জট কাটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ‘পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সন্দীপ’, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ

    Sandip Ghosh: ‘পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সন্দীপ’, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) সাসপেন্ড করল চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেই এমন পদক্ষেপ করেছে আইএমএ। বুধবার আইএমএ-র তরফ থেকে সন্দীপের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইএমএ জানিয়েছে, আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার এবং অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। আইএমএ-র মতে, ‘পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন সন্দীপ’!

    নির্দেশিকায় কী জানাল আইএমএ?

    সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) কাছে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে আরজি করের ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে আইএমএ। আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি আর ভি অশোকান একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সদস্যরা আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে যান এবং সেখানে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। সেই সময় নির্যাতিতার পরিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বলে খবর। এর পাশাপাশি আইএমএ মনে করেছে, আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপের (Sandip Ghosh) ভূমিকা মোটেও আশানুরূপ নয়। সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের মতে, যেভাবে সন্দীপ গোটা বিষয়টি সামলানোর চেষ্টা করেছেন, তাতে যথেষ্ট সহানুভূতির অভাব ছিল। সন্দীপকে সাসপেন্ড করার আগে কেন্দ্রীয় আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার পদাধিকারীদের সঙ্গেও কথা বলে। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ নিজে আইএম-এর কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওই নির্দেশিকায় আইএমএ আরও জানিয়েছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে সংগঠনেরই অনেক চিকিৎসক ক্ষুদ্ধ। সন্দীপ এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন বলেও অভিযোগ এনেছে আইএমএ। অনেকেই সন্দীপের শাস্তির দাবিও জানিয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে আইএমএ-এর তরফে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএমএ।

    প্রথম থেকেই ক্ষোভ সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামেন। প্রথম থেকেই তাঁদের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। প্রথম দিন থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনের চাপে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) নিজে ইস্তফা দেন। সকালে ইস্তফা দেওয়ার পরে বিকেলে তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দেয় রাজ্য সরকার। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আরজি কর কাণ্ড কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছালে সন্দীপ ঘোষকে প্রধান বিচারপতি লম্বা ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং ন্যাশনাল মেডিক্যালের দায়িত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মামলার তদন্তভার সিবিআই গ্রহণ করলে সন্দীপ ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে থাকে। গত রবিবার তাঁর বাড়িতেও হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরই মাঝে আইএমএ (Indian Medical Association) সাসপেন্ড করল সন্দীপ ঘোষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIT Silchar: ভারত-বিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি, শিলচরের পড়ুয়াকে ফেরত পাঠানো হল বাংলাদেশে

    NIT Silchar: ভারত-বিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি, শিলচরের পড়ুয়াকে ফেরত পাঠানো হল বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, (এনআইটি) শিলচর (NIT Silchar) থেকে ফেরত পাঠানো হল এক বাংলাদেশি পড়ুয়াকে (Bangladesh Student)। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভারত বিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি দিয়েছিলেন চতুর্থ সেমেস্টারের ওই পড়ুয়া। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম মাইসা মাহাজেবিন। তিনি ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলি-কমিউনিকেশনের চতুর্থ সেমেস্টারের পড়ুয়া। তাঁকে করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

    কী বললেন পুলিশ সুপার? (NIT Silchar)

    শিলচরের পুলিশ সুপার নুমাল মাহাতা বলেন, “ওই পড়ুয়াকে প্রত্যাপর্ণ করা হয়নি। বরং, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই পড়ুয়া ফেসবুকে একটি ভারত বিরোধী পোস্টে লাভ ইমোজি দিয়েছিলেন। ওই পোস্টটি করেছিলেন এনআইটি শিলচরের (NIT Silchar) প্রাক্তন ছাত্র সাদাহাত হোসেন আলফি। মাস ছয়েক আগে তিনি পড়াশুনা শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন। ভারত বিরোধী ওই পোস্টটি বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।” তাঁর ভবিষ্যৎ পড়াশুনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পুলিশ সুপার করেন, ” ওই ছাত্রী এখনও তাঁর কোর্স শেষ করেননি। তিনি তাঁর পড়াশুনা শেষ করতে আবার ফিরে আসবেন কি না, এখনই কিছু বলা যাবে না।” জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী তাঁর কোর্স শেষ করার জন্য ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, তিনি শিলচরে আর ফিরবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    বাংলাদেশি পড়ুয়াদের জন্য সতর্কতা

    এমনিতেই পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পড়ুয়াদের ভারতী বিরোধী কোনও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না থাকার জন্য বার বার বলা হয়েছিল। তারপরও ওই পড়ুয়ার এই আচরণে অনেকে ক্ষুব্ধ। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে মোট ৭০ জন বাংলাদেশি পড়ুয়া রয়েছেন এনআইটি শিলচরে (NIT Silchar)। এনিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। ওই ৭০ জনের মধ্যে ৪০ জন হিন্দু পড়ুয়া। পুলিশ সুপার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ওইসব পড়ুয়াদের সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম। তাঁদের পরামর্শ দিয়েছিলাম কোনওভাবেই যেন তাঁরা কোনও ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: ‘‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে’’, আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: ‘‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে’’, আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মহিলাদের উপর অপরাধ আর বরদাস্ত করা যাচ্ছে না। কোনও সভ্য সমাজ মা-বোনেদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না। অনেক হয়েছে, এবার জেগে উঠতে হবে।’’ আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। 

    অনেক হয়েছে, আর না…

    আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনার ২০ দিন পার হয়েছে। তবে বিচারের জন্য আমজনতার আন্দোলন এতটুকু কমেনি। গোটা দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এই আবহে এমন ঘটনায় নিজের হতাশা ব্যক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর মতে, মহিলাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক পরিবর্তনের আশু প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি খুবই হতাশ এবং আতঙ্কিত। মহিলাদের বিরুদ্ধে এমন অপরাধ কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র ঘাপটি মেরে আছে। কোনও সভ্য সমাজে মেয়ে-বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না। সমাজকে সৎভাবে, ন্যায্যভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে আত্মদর্শন করতে হবে এবং নিজেদের কিছু কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রায়শই মহিলাদের কম শক্তিশালী, কম সক্ষম, কম বুদ্ধিমান হিসাবে দেখা হয়। এই শোচনীয় মানসিকতা রয়েছে সমাজে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৭ দিনের ধর্না বিজেপির, ঘোষণা সুকান্তর

    নির্ভয়াকে স্মরণ

    তিলোত্তমা কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে প্রথম মুখ খোলার দিনে, নির্ভয়া মামলার কথাও স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu)। তিনি বলেন, “নির্ভয়া ঘটনার পর থেকে ১২ বছরে, অগণিত ধর্ষণ হয়েছে, যা সমাজ ভুলে গিয়েছে। এই সম্মিলিতভাবে ভুলে যাওয়া অত্যন্ত আপত্তিকর। যে সমাজ ইতিহাসের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, তারাই এই সম্মিলিত স্মৃতিভ্রংশের পথ অবলম্বন করে। এখন ভারতেরও ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার সময় এসেছে।” মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সমাজের সৎ এবং নিরপেক্ষ আত্মদর্শন প্রয়োজন। তাঁর আহ্বান, সময় এসেছে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের “বিকৃত প্রবৃত্তি” থেকে জেগে ওঠার এবং সেই মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার। যারা এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন তারা নারীকে ‘বস্তু’ হিসেবে দেখেন। ভয় থেকে মুক্তি পাওয়ার পথে যে সকল বাধা রয়েছে তা দূর করে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata-Bangkok highway: কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে জুড়বে ব্যাংকক! ২৮০০ কিমি হাইওয়ে প্রকল্প কেন্দ্রের

    Kolkata-Bangkok highway: কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে জুড়বে ব্যাংকক! ২৮০০ কিমি হাইওয়ে প্রকল্প কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডকে সংযুক্ত করতে কলকাতা-ব্যাংকক (Kolkata-Bangkok highway) হাইওয়ে বা মহাসড়কের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মহাসড়ক সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের সঙ্গে বাকি দুই দেশের সড়ক পথের মেলবন্ধনকে শক্তিশালী করবে। এই পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রাধান্য পাবে। প্রস্তাবিত এই মহাসড়কের নাম হবে ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক বা  ট্রাইল্যাটারাল হাইওয়ে। তিন দেশের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে একযোগে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। খুলে যাবে অপার সম্ভাবনা।

    মোট ২৮০০ কিমি মহাসড়ক হবে (Kolkata-Bangkok highway)

    এই প্রস্তাবিত মহাসড়ক (Kolkata-Bangkok highway) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহর থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। তাইল্যান্ড পর্যন্ত সড়ক হলেও মাঝখানে মায়ানমারের উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ হবে। ফলে তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ ও আঞ্চলিক পরিসরের নৈকট্য বৃদ্ধি পাবে। এই সড়কের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২৮০০ কিলোমিটার হবে। তবে বাকি দুই দেশের তুলনায় ভারতে সবথেকে দীর্ঘ পথ হবে। এই মহাসড়ক ভারতের লুক ইস্ট নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এই প্রকল্পটি বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশনের (বিমস্টেক) ​​অংশ। এটি নির্মিত হলে ভারতের দীর্ঘতম হাইওয়ে প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

    বাজপেয়ী সরকার প্রস্তাবনা করেছিল

    ভারত, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উন্নীত করার জন্য ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এই ত্রিপাক্ষিক হাইওয়ের (Kolkata-Bangkok highway) প্রস্তাব পেশ করেছিল। প্রকল্পটির লক্ষ্য তিনটি দেশের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাকে উন্নীত করা। বর্তমানে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে একাধিক বাধাকে অতিক্রম করে মহাসড়কটি ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কোন কোন শহর যুক্ত হবে

    কলকাতা-ব্যাংকক (Kolkata-Bangkok highway) হাইওয়ের মূল সুবিধাগুলি হল, দেশ এবং বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে সংযুক্ত করা যাবে। মহাসড়ক নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন জীবনরেখা বা লাইফ লাইন তৈরি করা। এই সড়ক তিনটি দেশের অন্যান্য প্রধানগুলির মধ্যে যেমন-ব্যাংকক, ইয়াঙ্গন, মান্ডালে এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে। একই ভাবে ভারতের শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি এবং কোহিমার মতো শহরগুলিকেও সংযুক্ত করা হবে। এতে আঞ্চলিক সংযোগ আরও উন্নত হবে। হাইওয়েটি শুধুমাত্র এই তিন দেশই নয়, পূর্ব-পশ্চিম করিডর যথা — কম্বোডিয়া থেকে শুরু করে লাওস এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই হাইওয়ে।

    উন্নত বিকল্প ভ্রমণপথ

    এই মহাসড়ক (Kolkata-Bangkok highway) একবার চালু হলে কলকাতা এবং ব্যাংককের মধ্যে যাত্রার একটি বিকল্প পথ পাবেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, এই মহাসড়কে গাড়ি চালানোর জন্য বিশেষ অনুমতিও দেওয়া হবে। বিমান যাত্রার বিকল্প পথের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করবে এই হাইওয়ে। একই ভাবে ভ্রমণ বা যাত্রায় খরচ কম হবে।

    আরও পড়ুন:১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    বাণিজ্য বৃদ্ধি

    মহাসড়কটি (Kolkata-Bangkok highway) ভারত এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে রফতানি ও আমদানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে। এই পথে বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক দিকটিও উন্নীত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক পরিকাঠামো, পর্যটন শিল্প, শিল্পাঞ্চল, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বিরাট প্রভাব পড়বে। তবে মহাসড়কটিকে কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন নির্মাণ এবং নানা বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি মহাসড়কের আশেপাশের এলাকায় শীঘ্রই বিনিয়োগ করবে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই আটকে ছিল কাজ

    ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বসেছিলেন মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে। মায়ানমারের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। এই বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারত-মায়ানমার-তাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক মহাসড়কের ওপর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু মায়ানমারের রাজনৈতিক অশান্ত পরিস্থিতির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই এই রাস্তার কাজ থমকে গিয়েছিল। এবার মনে করা হচ্ছে দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: বন‍্ধে রণক্ষেত্র মানকুণ্ডু স্টেশন, বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস

    BJP Bangla Bandh: বন‍্ধে রণক্ষেত্র মানকুণ্ডু স্টেশন, বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির ডাকা বাংলা বন‍্ধে (BJP Bangla Bandh) রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া-বর্ধমান শাখার হুগলির (Hooghly) মানকুন্ডু স্টেশন। ট্রেন আটকাতে এই স্টেশনে রেললাইনের ওপর নেমে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। উন্মত্ত কর্মীদের রেললাইন থেকে হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে বন‍্‍ধ সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলে বিজেপি। কর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP Bangla Bandh)

    বন‍্‍ধ সমর্থকরা এদিন হুগলি জেলার একাধিক রেল স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন। শ্রীরামপুর, চন্দননগর, হুগলি, হিন্দমোটর, কোন্নগর, ত্রিবেণী স্টেশনেও অবরোধ করা হয়। তাতে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। কোথাও দেড় ঘণ্টা, কোথাও দুঘণ্টা অবরোধ চলে। বুধবার সকাল থেকেই রেল অবরোধে (BJP Bangla Bandh) সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। মানকুন্ডু স্টেশনেও এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। দুটি লাইনেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। একটিতে দূরপাল্লার বালুরঘাট এক্সপ্রেসও দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। জিআরপি ও আরপিএফ অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। দীর্ঘক্ষণ হাওড়া-বর্ধমান মেন ও ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পুলিশ লাইন থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী-র‍্যাফ-উইনার্স টিম ও কমব্যাট ফোর্সও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপরেই কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মানকুণ্ডু স্টেশনের অবরোধ নিয়ে ট্যুইট সুকান্তর

    রেল অবরোধ (BJP Bangla Bandh) নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে বলেন, বনধের সমর্থনে সাধারণ মানুষও সামিল হয়েছেন।

    <p

    পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা

    ট্রেন ছাড়া হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধও (BJP Bangla Bandh) করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। শ্রীরামপুরের পেয়ারাপুরের কাছে দিল্লি রোডের মোড়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি হয়। হাতাহাতিতে আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। শ্রীরামপুর থানা থেকে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে দুপক্ষকে বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাল্লা ভারী হল এনডিএ (NDA) জোটের। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষের উপ-নির্বাচনে বিজেপির ৯ জন নির্বাচিত হন৷ এছাড়া শরিক দলেরও দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ একমাত্র তেলঙ্গানার আসনটিতে বিনা লড়াইয়ে জিতলেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। স্বাভাবিক ভাবে, এবার উচ্চকক্ষে সহজে বিল পাশ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

    বিল পাশে সুবিধা

    রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এনডিএ শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে বিজেপি সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করাতে পারবে৷ বিলটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) খতিয়ে দেখছে৷ রাজ্যসভার ১২টি আসনের উপনির্বাচনে এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায় এর মধ্যে ১১টিতেই জয় পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ (NDA)। এ বারের ১২ আসনের উপনির্বাচনের ফলে ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় ৯৬-এ পৌঁছে গেল বিজেপি। এনডিএ পৌঁছল ১১২-তে। নির্দল এবং মনোনীত সদস্যদের ধরলে সংখ্যাটি পৌঁছচ্ছে ১২১-এ। আটটি আসন বর্তমানে শূন্য। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলল মোদি সরকার। এর ফলে শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন বিল পাশ করাতে সুবিধা পাবে সরকার পক্ষ। 

    কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই সংখ্যা?

    জুলাই অবধিও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পক্ষে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কিছু পাশ করানো কঠিন ছিল। কারণ, সেই সময়, সংসদের উচ্চকক্ষে মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। বিজেপির সংখ্যা কমে ৮৬ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এখন এই উপনির্বাচনের পর, সংখ্যা এক লাফে বেড়ে ৯৫ হয়েছে। আর এনডিএ পৌঁছে গেল ১২১-এ। এবার, আরও ৪ মনোনীত সদস্যকে যুক্ত করতে পারলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে হয়ে যাবে ১২৫। এছাড়া, এমনিতেই আরও ৬ মনোনীত সদস্য এবং এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থন পাবে এনডিএ সরকার। ফলত, ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সরকারের শক্তি বেড়ে দাঁড়াবে ১৩২। ফলে, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর জন্য বিজেডি বা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থনের প্রয়োজন নেই মোদির। 

    জয়ী প্রার্থী কারা

    কোনও বিরোধিতা ছাড়াই যাঁরা রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নির্বাচিত হলেন- রাজস্থানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু, মধ্যপ্রদেশের জর্জ কুরিয়েন, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তেলঙ্গানা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন৷ বিজেপির অসম থেকে মিশন রঞ্জন দাস, রামেশ্বর তেলি, বিহার থেকে মনন কুমার মিশ্র, হরিয়ানা থেকে কিরণ চৌধুরি, মহারাষ্ট্রের ধীরাশীল পাটিল, ওড়িশার মমতা মোহন্ত এবং ত্রিপুরার রাজীব ভট্টাচার্য৷ ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নিতিন পাটিল মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন ৷ রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিহার থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন৷ এই দু’টি দলই বিজেপির শরিক ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share