Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) গ্রেফতার হওয়া আন্দোলনকারী ছাত্রদের সবরকম সাহায্য করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। তার জন্য যা আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন এবং যত অর্থ খরচ হয়, তা বহন করবেন তিনিই, জনালেন শুভেন্দু নিজেই। একই সঙ্গে শুভেন্দু এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনও আন্দোলনকারীকে পুলিশ মারে তাহলে তিনি পথে নামবেন, দরকার পড়লে অবরোধে বসবেন।

    চার ছাত্রকে ছাড়াতে সাহায্য 

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান করছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত চার ছাত্রের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর এদিন সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে, বিরোধী নেতার কথাই সত্যি হয়। দেখা যায়, ওই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ওই চার ছাত্রের দায়িত্ব তিনি নেবেন। তাঁদের ছাড়ানো এবং আইনি সাহায্য তিনি করবেন। বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ছাত্রদের পরিবার মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওখানেই দেখা হবে।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আজই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবীরা ওই মামলাটি পেশ করেছে। মামলা হবে মমতা পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিনীত গোয়েল (কলকাতা পুলিশ কমিশনার) আর রাজীব কুমার (রাজ্যপুলিশের ডিজি) এবং প্রবীণ ত্রিপাঠী (হাওড়ার পুলিশ কমিশনার)-এর বিরুদ্ধে।’ 

    আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু

    একই সঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনও আন্দোলনকারীকে পুলিশ মারে তাহলে তিনি পথে নামবেন, দরকার পড়লে অবরোধে বসবেন। শুভেন্দু জানান, তিনি হাওড়ায় রেলের গেস্ট হাউসে থাকবেন। নবান্ন চলোর (Nabanna Abhijan) ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজের পাশেই তিনি রয়েছেন। আন্দোলন দমনের চেষ্টা হলে, কাউকে মারধর করা হলে রাস্তায় নেমে অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজন ছাত্র নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের পরিবারকেও আগে খবর দেয়নি পুলিশ। সকলকে মুক্ত করানোর বিষয়ে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি যা করণীয় সব কিছুই করবেন। শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনও আন্দোলনকারীকে পুলিশ মারে তাহলে তিনি পথে নামবেন, দরকার পড়লে অবরোধে বসবেন।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর আশঙ্কাই হল সত্যি, নবান্ন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চার ছাত্র গ্রেফতার

    রাজনৈতিক দল নামলে কী করবে?

    নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) আগে পুলিশ বেশ কিছু জায়গায় ধরপাকড় করেছে। সে প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, ‘‘অনেক জায়গায় গিয়েছে। শঙ্কর গুছাইত হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন। তাঁকেও টেনেহিঁচড়ে আটক করে নিয়ে গিয়েছে। মানুষ সব দেখছে। রাজ্য সরকার আজ ৪-৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। ভালো ভালো রাস্তা খুঁড়েছে। এমনকী, গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার এনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে রেখেছে। এ রকম দেখেছেন কখনও? সবাই বলেছে অরাজনৈতিক মিছিল। তার পরেও এই সব। এর পরে রাজনীতির লোকেরা পথে নামলে কী করবে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 115: “একঘটি জলে আমার তৃষ্ণার শান্তি হতে পারে; পৃথিবীতে কত জল আছে, সে খবরে প্রয়োজন নাই”

    Ramakrishna 115: “একঘটি জলে আমার তৃষ্ণার শান্তি হতে পারে; পৃথিবীতে কত জল আছে, সে খবরে প্রয়োজন নাই”

    সার্কাস রঙ্গালয়েগৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীযুক্ত মনোমোহন ও শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পরের পরিবারে (১৯ শে নভেম্বর ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ) জগদ্ধাত্রীপূজা, সুরেন্দ্র নিমন্ত্রণ করিয়াছেন। তিনি ঘর বাহির করিতেছেন—কখন ঠাকুর (Ramakrishna) আসেন। মাস্টার দেখিয়া তিনি বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি এসেছ, আর তিনি কোথায়? এমন সময় ঠাকুরের গাড়ি আসিয়া উপস্থিত। কাছে শ্রীযুক্ত মনোমোহনের বাড়ি, ঠাকুর প্রথমে সেখানে নামিলেন, সেখানে একটু বিশ্রাম করিয়া সুরেন্দ্রের বাড়িতে আসিবেন।

    মনোমোহনের বৈঠকখানায় ঠাকুর বলিতেছেন, যে আকিঞ্চন যে দীন তাঁর ভক্তি ঈশ্বরের প্রিয় জিনিস। খোল মাখানো জাব যেমন গরুর প্রিয়! দুর্যোধন অত টাকা অত ঐশ্বর্য দেখাতে লাগল; কিন্তু তার বাটিতে ঠাকুর গেলেন না। তিনি বিদুরের বাটি গেলেন। তিনি ভক্তবৎসল, বৎসরের পাছে যেমন গাভী ধায় সেইরূপ তিনি ভক্তের পাছে পাছে যান।

    ঠাকুর (Ramakrishna) গান গাহিতেছেনঃ

    যে ভাব লাগি পরম যোগী, যোগ করে যুগ-যুগান্তর।

    হলে ভাবের উদয় লয় সে যেমন লোহাকে চুম্বক ধরে।

    চৈতন্যদেবের কৃষ্ণনামে অশ্রু পড়ত। ঈশ্বরই বস্তু, আর সব অবস্তু। মানুষ মনে করলে ঈশ্বরলাভ করতে পারে। কিন্তু কামিনী-কাঞ্চন ভোগ করতেও মত্ত। মাথায় মাণিক রয়েছে তবু সাপ ব্যাঙ খেয়ে মরে!

    ভক্তিই সার। ঈশ্বরকে (Ramakrishna) বিচার করে কে জানতে (Kathamrita) পারবে। আমার দরকার ভক্তি। তাঁর অনন্ত ঐশ্বর্য অত জানবার কি দরকার? এক বোতল মদে যদি মাতাল হই শুড়ির দোকানে কত মন মদ আছে, সে খবরে আমার কি দরকার? একঘটি জলে আমার তৃষ্ণার শান্তি হতে পারে; পৃথিবীতে কত জল আছে, সে খবরে আমার প্রয়োজন নাই।

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে জোর দিয়েছি।” মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে।”

    মোদির শিরঃপীড়ার কারণ হিন্দু নিপীড়ন (PM Modi)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দুদের। ঘরবাড়ি জ্বালানোর পাশাপাশি করা হয় খুন। হিন্দু মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় হিন্দু পদাধিকারিদের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিংসা ওঠে চরমে। পড়শি দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিরঃপীড়ার কারণ, তার আঁচ মিলেছিল ১৫ অগাস্ট, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এদিন দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্খী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।”

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত সব সময় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।” ইউক্রেন ইস্যুতেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মত বিনিময় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বর্তমান (Bangladesh Crisis) যুগে যুদ্ধে যে কোনও সুফল মেলে না, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা, পুলিশ কমিশনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করুক সিবিআই’, দাবি সুকান্তর

    RG Kar Incident: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা, পুলিশ কমিশনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করুক সিবিআই’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে রবিবার সাতসকালে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ করের বাড়ি সহ ১৫টি জায়গায় সিবিআই দল হানা দিয়েছিল। এবার দুর্নীতির তদন্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফলে, আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করার দাবি (RG Kar Incident)

    সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, সিবিআই এই তদন্তের মধ্যে দিয়ে বাংলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় (RG Kar Incident) যে ঘুন ধরেছে, বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর হয়ে গিয়েছে, তাকে ঠিক করার দিকে অগ্রসর হবে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালায় একটা দুষ্ট চক্র। এই চক্রে বেশ কিছু প্রভাবশালী ডাক্তার আছেন। সবাই মিলেই ডুববেন। চিন্তা নেই। বাংলার মানুষ দেখতে চাইছেন, কবে বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে সিবিআই রেড করবে। যাঁরা যাঁরা দুর্নীতিতে এবং চক্র চালানোতে জড়িত, তাঁদের সবার বাড়িতে সিবিআই পৌঁছবে। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু, বারবার একটা কথাই বলছি, বাংলার মানুষের ইচ্ছা, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বাড়িতে সিবিআই যাক। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুক। নারায়ণ স্বরূপ নিগম সাহেবের ফোনটা, বিনীত গোয়েলের ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুক। দুজন যে মাথা রয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমার তাঁদের ফোনের তদন্ত হওয়া উচিত। এঁরা হলেন নাটের গুরু। তাঁরা দুজনে ওপরে বসে সমস্ত বুদ্ধিদাতার কাজ করেন।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির একগুচ্ছ কর্মসূচি

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) দোষীদের শাস্তি এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আগামী সপ্তাহে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অবস্থান বিক্ষোভ সহ চাক্কা বন‍্ধের ডাক। জানা গিয়েছে, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৮ অগাস্ট ধর্মতলা থেকে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ২৮ অগাস্ট রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে তালা লাগানোর কর্মসূচি রয়েছে। ২৯ অগাস্ট প্রতিটি জেলায় বেলা ১২টা নাগাদ জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর জেলার সমস্ত ব্লকে সকাল ১১টা থেকে এক দিনের অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চাক্কা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: শুভেন্দুর আশঙ্কাই হল সত্যি, নবান্ন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চার ছাত্র গ্রেফতার

    Nabanna Abhijan: শুভেন্দুর আশঙ্কাই হল সত্যি, নবান্ন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চার ছাত্র গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল (Nabanna Abhijan)। মধ্যরাতের পর হাওড়া স্টেশন থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন চার ছাত্র। পুলিশ এই চার ছাত্রকে আটক করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সমাজমাধ্যমে শুভেন্দুর পোস্টের পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চার ছাত্রের পরিবার। তাঁরা আদালতে যাওয়ার পরই পুলিশের তরফে জানানো হয় গ্রেফতারির কথা। পুলিশের দাবি, খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওই চারজন! কিন্তু প্রশ্ন হল ছাত্ররা যাই করুক তাঁদের গ্রেফতারির কথা কেন জানানো হল না পরিবারকে? বিরোধী নেতা যদি না সমাজমাধ্যমে ওই চারজনের পরিচয় জানিয়ে পোস্ট করতেন, তাহলে কেউ জানতেই পারতেন না।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, চার আন্দোলনকারীর নাম শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি ও প্রীতম সরকার। হাওড়ায় স্বেচ্ছাসেবকদের ফুড প্যাকেট বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন চার জন (Nabanna Abhijan)। হঠাৎ করে মধ্যরাত থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। এমনকী, ফোনেও তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাদের গ্রেফতার বা আটক করেছে। তাঁদের কিছু হলে সেই দায়িত্ব মমতার পুলিশকে নিতে হবে।’’

    আদালতের দ্বারস্থ পরিবার

    সমাজমাধ্যমে বিরোধী দলনেতার পোস্টের পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চার ছাত্রের পরিবার। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। পরিবারকে এই নিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। বুধবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে রাজ্য পুলিশের হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) ওই চার জন অশান্তি পাকানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    কেন ইনফর্ম করল না পুলিশ?

    মঙ্গলবার, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে প্রবীর দাস, শুভঙ্কর হালদার ও সায়ন লাহিড়িকে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যে চার জনের কথা উল্লেখ করেছেন, তাঁরাও এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে দাবি। এদিনের অভিযানে (Nabanna Abhijan) বিপুল জমায়েতের আশঙ্কা করে অতি তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তাই যে কোনও পন্থা অবলম্বন করছে মমতার পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হল, ছাত্রদের গ্রেফতারের কথা আগে পুলিশ কেন জানাল না? বাড়িতে কেন ইনফর্ম করা হল না? নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতার হলে, বাড়ির লোককে জানাতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই। সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হলেও, মঙ্গলবার বেলা গড়িয়ে গেল পুলিশের এই তথ্য খোলসা করতে। সেটাও, বিরোধী নেতা (Suvendu Adhikari) যদি না সমাজমাধ্যমে ওই চারজনের পরিচয় জানিয়ে পোস্ট করতেন, কেউ জানতেই পারতেন না। এমনকী, পরিবারও জানতে পারত না! ছাত্র সমাজ জানতে পারত না নিখোঁজ হয়ে গেল তাঁদের বন্ধুরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: ন্যায় বিচারের দাবিতে বুধবার ধর্মতলা অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Rape-Murder: ন্যায় বিচারের দাবিতে বুধবার ধর্মতলা অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসক তরুণীর হত্যাকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরাসরি এই আন্দোলনের ডাক না দিলেও, নৈতিক সমর্থন করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে থাকার বার্তা দিয়েছে। একই ভাবে বাংলার প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন করে আন্দোলনে যোগদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ন্যায় বিচারের (justice) দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার ধর্মতলা অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁরাও সমাজের সকল স্তরের আপামর জন সাধারণ মানুষকে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

    দুপুর ১২ টায় শ্যামবাজার থেকে মিছিল (RG Kar Rape-Murder)

    সোমবার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন নাগরিক গণ কনভেনশনের বৈঠক হয়। সেখানে ‘অভয়া’র হত্যাকারীদের (RG Kar Rape-Murder) ফাঁসির দাবিতে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় শ্যামবাজার থেকে শুরু হবে ডাক্তারদের মিছিল। এই মিছিলে যে শুধু জুনিয়র ডাক্তাররাই থাকবেন তা নয়, বড় অংশের সাধারণ ছাত্র সমাজও থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন তাঁদের পরিবার-পরিজনরাও। একই ভাবে, বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু করে শিক্ষক, অভিনেতা, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমাজের একটা বড় অংশ আন্দোলনে যোগদান করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে

    কনভেনশনের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে, ‘‘বিচার দাবি করে পাওয়া যাবে না, ছিনিয়ে আনতে হবে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অপরাধতন্ত্র চলছে। দুর্নীতি দেখেছিল বলেই তরুণী চিকিৎসককে খুন (RG Kar Rape-Murder) হতে হয়েছে। যে শাসক দল বলে খেলা হবে, সেই খেলাকে আমরা মানি না। হাসপাতাল হল প্রাণ বাঁচানোর জায়গা এখানে কোনও হত্যালীলা চলতে পারে না। আন্দোলন আরও চালিয়ে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তাই প্রশ্ন তাঁকেও করতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোয়াধ্যায়কে জবাব দিতে হবে।’’

    আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা

    নাগরিক কনভেনশনের মঞ্চে (RG Kar Rape-Murder) এদিন নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের (justice) দাবিতে অনেক সিনিয়র ডাক্তার, গবেষকরা যোগদান করেছিলেন। একই ভাবে একাধিক বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেছেন। বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজলকৃষ্ণ বণিক, পুণ্যব্রত গুণ, বিনায়ক সেন প্রমুখ। একই ভাবে বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন সোহিনী সরকার, দেবলীনা দত্ত, জিতু কমল, মীর আলি-সহ আরও অনেকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে সকলেই সরব হয়েছেন এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট’ কি সব হাসপাতালেই সক্রিয়? কাদের দাপটে চলছে এই সিন্ডিকেট?

    RG Kar: ‘স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট’ কি সব হাসপাতালেই সক্রিয়? কাদের দাপটে চলছে এই সিন্ডিকেট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ ছড়িয়েছে সর্বত্রই! অন্তত এমনই অভিযোগ তুলছে রাজ্যের চিকিৎসক মহল। দুর্নীতির শিকড় (Health Syndicate) নাকি গভীরে পৌঁছে গিয়েছে! আরজি কর (RG Kar) হাসপাতাল ব্যতিক্রম নয়, রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজেই চলছে এমন দুর্নীতি। এমন অভিযোগ তুলেই সরব হয়েছে রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক কলেজ কাউন্সিল অভিযুক্ত চিকিৎসক ও পদাধিকারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে! এমনটাই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।

    স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট কী?

    রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজেই এক অসাধু চক্র সক্রিয় রয়েছে। কলেজের হস্টেলে ঘর পাওয়া থেকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি, এমনকী পাশ করানোর ক্ষেত্রেও দুর্নীতির এই চক্র সক্রিয় থাকে। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা না করলে পড়ুয়াদের পাশ করানো হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়। পাশপাশি অভিযোগ, ইন্টার্ন কিংবা হাউজ স্টাফদের হুমকি দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা না দিলে ওই পড়ুয়ার এমবিবিএস সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হবে। এমনকী এমবিবিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেরও ‘দাম’ নির্ধারিত রয়েছে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট দাম দিতে পারলে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া যায়। এমনকী পরীক্ষার সময়ে অবাধে বই দেখে লেখার সুযোগও পাওয়া যায়।

    কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের কয়েকজন প্রভাবশালী চিকিৎসক এই স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের মাথায় রয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস হাসপাতাল, এমনকী খোদ স্বাস্থ্য ভবনেও রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কিছু চিকিৎসকের ছবি দিয়ে পোস্টার আটকেছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ওই চিকিৎসক নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য দুর্নীতি চলছে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়, শাসক ঘনিষ্ঠ এই তিন চিকিৎসক রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নানান অসাধু চক্র চালাচ্ছেন।

    কেন উঠছে অভিযোগ?

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই রাজ্যের চিকিৎসক মহল সরব হয়। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার পাশপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দুর্নীতি নিয়েও নানান অভিযোগ উঠছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর (RG Kar) পিছনে এই দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করার কারণও থাকতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। 
    আর তার সঙ্গেই জোরালো হচ্ছে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও দুর্নীতির আঁতুরঘরের অভিযোগ। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট নিয়ে সরব হন পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের একাংশ। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালের আরও তিনজন চিকিৎসক-শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওঠে। এরপরেই দ্রুত কলেজ কাউন্সিলের তরফে ওই তিন জন চিকিৎসক-শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কলেজের কোনও কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজেও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছে। অসৎ উপায়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং পাশ করানোর অভিযোগও উঠেছে। যদিও ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। আর এই সব ঘটনার জেরেই জোরালো হচ্ছে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের অভিযোগ।

    কী বলছেন অভিযুক্তরা?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট নিয়ে মূলত তিনজন চিকিৎসকের নাম বারবার সামনে আসছে। এই নিয়ে অবশ্য স্বাস্থ্য ভবন মুখ খুলতে চায়নি। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের (Health Syndicate) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এই বিষয়ে কিছুই বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সুহৃতা পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনের উত্তর দেননি। সুদীপ্ত রায় অবশ্য জানান, তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সোমবার রাতে এ খবর জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। এ বছরই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে চম্পাই গেরুয়া খাতায় নাম লেখালে ঝাড়খণ্ডে যে শাসক দল ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পাইকে সরতে হয় (Champai Soren)

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তখনই হেমন্তর স্ত্রীকে ওই পদে না বসিয়ে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় চম্পাইকে। তখন থেকেই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইয়ের (Champai Soren)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতারা তাঁকে অসম্মান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল চম্পাইয়ের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চম্পাইয়ের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাল গেরুয়া শিবির।

    কবে যোগ চম্পাইয়ের?

    দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ চম্পাই জানিয়েছিলেন, নতুন দল গঠন করছেন তিনি। বছর সাতষট্টির চম্পাই কবে নয়া দল গড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার আবহেই সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমি চাই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করুন।” সোমবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তার পরেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে হিমন্ত লেখেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেতা চম্পাই সোরেন। ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)।” এ ব্যাপারে অবশ্য চম্পইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাবা শিবু সোরেনকে রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলে মনে (Himanta Biswa Sharma) করেন চম্পাই। সেই ‘গুরু-পুত্র’র সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চম্পাই (Champai Soren) নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া (BJP) খাতায়। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন শিবু-হেমন্তের রাজ্যে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল, নাকি গরু চরার মাঠ’’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তুলোধনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল, নাকি গরু চরার মাঠ’’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনে ইতিমধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তাঁরা। এই আবহে সোমবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

    আন্দোলন জোরদার করার ডাক (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘রবিবার ধর্না মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলাম, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করব তাঁর বাবা, মা’র সঙ্গে। সেই মতো নির্যাতিতার বাড়িতে এসে তাঁদের সমবেদনা জানালাম। ওর বাবা, মা অত্যন্ত মর্মাহত। তাই বেশি সময় আমি ছিলাম না। ওঁরা সবাইকে অনুরোধ করেছেন আন্দোলন চালিয়ে যেতে যাতে ন্যায়বিচার হয়। কী কারণে মেয়ের এই পরিণতি হল? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কোনও ধর্ষিতা এই রাজ্যে ন্যায় পাচ্ছে না। সব থেকে বড় উদাহরণ কামদুনি। তখন আইজি সিআইডি ছিলেন বিনীত গোয়েল। এখন উনিই কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাই, পরিবারের সন্দেহ, আন্দোলন থেমে গেলে ন্যায়বিচার হবে না। সে জন্য আমিও আবেদন জানাচ্ছি সকলের কাছে। রাজনৈতিক রং দূরে সরিয়ে সকলে সামিল হন আন্দোলনে। যেভাবে আন্দোলন চলছে, তার থেকেও তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    নবান্ন অভিযান নিয়ে হুঁশিয়ারি

    নবান্ন অভিযানে পুলিশের অনুমতি না-থাকা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে আছেন। কোনও অভিযানের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয় না। নবান্ন অভিযান অরাজনৈতিক। এর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আগেও বলেছি সেখানে যাব না। তবে, এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় যেখানে আমাদের পথে নামতে বাধ্য করা হয়। নবান্ন অভিযানে পুলিশ দমন-পীড়ন করলে, বিজেপি পাল্টা নবান্ন অভিযানের ডাক দেবে।’’

    ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ!

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ! সেটাই তো বোঝা দায়! দেখে মনে হচ্ছে, নাটকের পুরো স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে আগেই। ওই ভিডিওতে সবকিছু প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দেখে মনে হয়েছে, কী করতে হবে। কী বলতে হবে। সেই চিত্রনাট্য যেন আগে থেকেই তৈরি। অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না বলে মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কারণ, প্রমাণ গায়েব করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ ছিল মৃতদেহ। স্থানীয় বিধায়ক শ্মশান ও লোকাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অন্য মৃতদেহ টপকে নির্যাতিতার দেহ দাহ করেছে। এরকম ঘটনা অন্য কোনও রাজ্যে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। এখন তো আমার মনেও সন্দেহ, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে আদৌ অপরাধী কি?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এর আগে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ। গত ১৪ অগাস্ট আরজি করে (RG Kar Incident) ছলে-বলে-কৌশলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল। সে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা পুলিশকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। তাই মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানকে (Paschimbanga Chhatra Samaj) ভয় পাচ্ছে মমতা প্রশাসন। নানারকম অপপ্রচারও চলছে। প্রশ্ন উঠছে, মঙ্গলবারের অভিযান (Nabanna Abhijan) নিয়ে পুলিশের কাছে প্রচুর তথ্য অথচ, আরজি করে হামলার আগে পুলিশের কাছে এরকম তথ্য কেন ছিল না? নবান্ন অভিযানে দমন নীতি প্রয়োগের পরিকল্পনাও নিয়েছে মমতা সরকার। কিন্তু স্বাধীনতার আগের রাতে আরজি কর হামলার সময়ে এই বীর পুলিশ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল কেন?

    নবান্ন অভিযান ঘিরে অপ্রচার

    যে কোনও প্রতিবাদকে এখন ভয় পাচ্ছে মমতা প্রশাসন। তাই ছক কষে, আগাম অপপ্রচার চালিয়ে, বদনাম রটিয়ে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে রোধ করাই মমতার প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই অপপ্রচারের অঙ্গ হিসেবে দুটি ভাইরাল অডিও-ভিডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) আটকাতে তৎপর মমতার পুলিশ। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ দাবি করে, নবান্ন অভিযানে দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে গন্ডগোল পাকানো হবে। দাবির স্বপক্ষে গত ২ দিন ধরে অডিও-ভিডিও ভাইরাল ক্লিপ প্রকাশ করা হয় পুলিশ-প্রশাসন, এমনকী তৃণমূলের তরফে। কোথাও আবার আন্দোলেনর মুখ হয়ে ওঠা ছাত্র প্রতিনিধিদের চরিত্র-হননেও নেমে পড়েছে শাসক দল ও উর্দিধারীরা। বিরোধীদের দাবি, এর উদ্দেশ্য একটাই— গণ-আন্দোলনকে খাটো করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কারণ, ছাত্রদের পুলিশ ভয় পেয়েছে। ছাত্রদের প্রশাসন ভয় পেয়েছে। তাঁদের দাবি, ভয় পেয়েছে বলেই ৬০০০ পুলিশ নামানো হচ্ছে, ১৯টি পয়েন্টে ব্যারিকেড করা হচ্ছে, নামানো হচ্ছে ২৬ জন ডিসিকে। জলকামান, বডি প্রোটেকটিভ গিয়ার, টিয়ার গ্যাসেরও প্রস্তুতি থাকছে। বিদ্যাসাগর সেতুর দু’পাশে অর্থাৎ কলকাতা ও হাওড়া দুই দিকেই ব্যারিকেড থাকছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    বিজেপির দাবি, শুভেন্দুর শুভেচ্ছা

    নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে আচমকা ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার বিষয়টাকে সন্দেহজনক বলছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, ‘‘এখন তো দেখছি ভিডিও অন ডিমান্ড! যখনই দরকার হচ্ছে, একটা করে ভিডিও চলে আসছে। এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এটা ভুয়ো কি না, জানতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি লড়াই চালাব। বিজেপির পরিকল্পনা অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব জানেন না, আর মণ্ডল সভাপতি জেনে গেলেন?’’ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটও দাবি করেছেন, “তৃণমূল মিথ্যা ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়াচ্ছে। আসলে স্বতঃফূর্ত আন্দোলনের ঝাঁঝ দেখে ভয় পাচ্ছে ওরা।”

    উল্লেখ্য, সোমবার শাসকদলের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, তাদের দাবি সেটা গেরুয়া শিবিরের যেখানে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে অশান্তি ছড়ানোর ছক কষা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে ছাত্রদের (Paschimbanga Chhatra Samaj) শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ছাত্রদের আটকাতে যুদ্ধের প্রস্তুতি পুলিশের!

    অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan) ঘিরে পুলিশ কতটা তটস্থ, তার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের নিরাপত্তার বহর দেখেই। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানকে আটকাতে যেন যুদ্ধে নামছে মমতার পুলিশ। চারজন আইজি র‍্যাঙ্কের পুলিশ অফিসার ছাড়াও থাকছেন ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সুপার, ডিসিপি বা কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এডিসিপি পদের ১৫ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার বা এসিপি পদের ২২ এবং ২৬ জন ইনস্পেক্টর নবান্ন অভিযান ঠেকাতে মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি র‌্যাফ, ইএফআর, স্ট্রাকো বাহিনীর জওয়ান-সহ প্রায় ৬,০০০ পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবেন। তাঁদের লাঠি থেকে শুরু করে হেলমেট, বডি প্রটেক্টিভ গিয়ার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মিছিল আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। থাকছে জল কামান এবং ড্রোনের ব্যবস্থা। নবান্নর সামনে ৭ ফুট উঁচু উঁচু গার্ডরেল জুড়ে দেওয়া হয়েছে নাট-বল্টু দিয়ে। তার সামনে রাখা হয়েছে বালির বস্তা। এছাড়াও লোহা দিয়ে মাটির সঙ্গে দৃঢ় ভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।  কলকাতা থেকে সেকেন্ড হুগলি ব্রিজে ওঠার আগেই রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক লোহার ও বাঁশের ব্যারিকেড। প্রতিটি ব্যারিকেডের সামনে লাগানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ, মনে হচ্ছে যেন ছাত্রদের মিছিল ঠেকাতে নয়, কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের পুলিশ! অবশ্য, যে পুলিশ আরজি করের হামলার সময় ভয়ে পালিয়ে যায়, তাদের কাছে এটা তো যুদ্ধ হবেই! তারা বলছেন, মমতা কতটা ভয় পেয়েছেন, তা এর থেকেই প্রমাণিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share