Tag: bangla news

bangla news

  • Nabanna Abhijan: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    Nabanna Abhijan: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতার কণ্ঠরোধ করা নয়।’’ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) আগে রাজ্যকে সতর্কবার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই কর্মসূচিকে সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। 

    রাজ্যপালের সতর্কবার্তা

    রাজভবন থেকে ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও-বার্তায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে রাজ্যপাল বোসের (CV Ananda Bose) মন্তব্য, ‘‘বাংলার ছাত্রদের তরফে যে প্রতিবাদ কর্মসূচি (Nabanna Abhijan) নেওয়া হয়েছে তা ঠেকাতে সরকার বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে বলে আমি খবর পেয়েছি। আমি রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী ছিল তা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বলতে চাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের দমন করতে পশ্চিমবঙ্গে যেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয়। মনে রাখবেন, গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে নীরব করে দেওয়া নয়।’’ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না বা প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আদালত মনে করিয়ে দেয়, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না পড়ছে, যতক্ষণ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ কোনও বাধা দেওয়া যাবে না।’’ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এই কথাই নবান্নকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশের দমননীতি

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) এর আগে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শহর জুড়ে প্রতিটি এলাকাতেই রাস্তার মোড়ে বড় বড় জমায়েত হয়েছিল। পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, এই সব জমায়েত নেতৃত্ববিহীন ছিল। ফলে কোথায় কত লোকের জমায়েত হতে পারে তা আন্দাজ করা মুশকিল ছিল। ২৭ তারিখের মিছিল নিয়েও তেমনই উদ্বেগে রয়েছে সরকার। তাই নবান্নের (Nabanna Abhijan) নিরাপত্তায় থাকছেন প্রায় ১০০ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। ২ হাজার কনস্টেবল। এছাড়াও কলকাতা ও হাওড়া ঘিরে রাখবে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 27 August 2024: সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 August 2024: সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত আশার জন্য বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির ব্যাপারে আইনি সাফল্য আসতে পারে।

    ২) বাড়িতে বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো হবে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) কোনও বিবাদ মারামারি পর্যন্ত যেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না।

    ২) কর্মজগতে জনপ্রিয়তা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বাড়িতে সুসংবাদ আসতে পারে।

    ২) নতুন কাজের সন্ধান করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) কাজের চাপে ক্লান্তি আসতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর দ্বারা ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) উদ্বেগের জন্য কোনও কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের চিকিৎসার কাজে অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সঙ্গীতে নাম বাড়তে পারে।

    ২) অতিরিক্ত লোভ আপনার জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) বন্ধুদের থেকে একটু সাবধান থাকুন, অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) কারও সমালোচনা করতে যাবেন না, সমস্যা হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধির যোগ আছে।

    ২) উপকারের বিনিময়ে অপমানিত হতে হবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) বিশেষ ব্যক্তির দ্বারা সংসারে উন্নতির যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ২) সন্তানদের পরীক্ষার ফল ভালো হবে। 

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ansarullah Bangla Team: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    Ansarullah Bangla Team: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh) কোটা বিরোধী আন্দোলনের চাবিকাঠি জামাত-বিএনপির হাতে চলে যায়। গত ৫ অগাস্ট দখল হয়ে যায় গণভবন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। আশ্রয় নেন ভারতে। হাসিনার পদত্যাগের পরেই সেদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কট্টর ইসলামপন্থীরা। আওয়ামি লিগের সরকার যেসব জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল, এখন তাদেরই মুক্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় জামিনে কারামুক্ত হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (Ansarullah Bangla Team) প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানি। সোমবার দুপুরেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জানা গিয়েছে, মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানির আদি বাসস্থান বরগুনা সদর থানার খাজুরতোলা গ্রামে। এই কট্টর ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হল এদেশে নাশকতার কাজ চালানো। প্রতিবেশী দেশে ভারত বিরোধী জঙ্গিদের মুক্তি এদেশের কাছে উদ্বেগের বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    নাম জড়ায় খাগড়াগড় বিস্ফোরণে (Ansarullah Bangla Team)

    জানা যায়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের যে ওয়েবসাইট সার্ভার ছিল, তা চলত পাকিস্তান থেকে। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ড ঘটে। এই ঘটনাতে উঠে আসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নাম এবং তাদের যোগ থাকার প্রমাণ পায় ভারতের গোয়েন্দারা। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে যে আল-কায়েদার ঘাঁটিতে পৌঁছে সশস্ত্র প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন জসিমউদ্দীন। এর পরে দেশে ফিরে ২০০৩ সাল থেকেই তিনি উগ্র ইসলামিক মতাদর্শের প্রচার শুরু করেন।

    কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিল এই জঙ্গি

    কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের আধিকারিক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানি সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় জামিন পেয়েছেন। জামিনের কাগজপত্র যাচাই করার পরই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ওই মামলায় গত রবিবার ২৫ অগাস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    ব্লগার হত্যায় নাম জড়ায় (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পল্লবী থানার পলাশনগরে নিজের বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নাম জড়ায় জসিমউদ্দিন রাহমানির। ২০১৩ সালের ১২ অগাস্ট বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। এছাড়াও আসিফ মহিউদ্দিন, অভিজিৎ রায়, ওয়াসিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, শফিউল ইসলামসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্লগারকে খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (Ansarullah Bangla Team)। ২০১৫ সালের মে মাসে, বাংলাদেশ সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে।

    ভারতেও নাশকতা চালাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সক্রিয় ছিল

    ভারতেও নাশকতা চালাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সক্রিয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এদেশে অনুপ্রবেশের সময় অসমে পাঁচজন এই সংগঠনের জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে, অসমে এই জঙ্গি সংগঠনের দুটি মডিউলকে ভাঙা হয়েছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) এবং ইসলামিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদার যোগসূত্রের একাধিক প্রমাণও মিলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    Halisahar: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার সন্ধ্যায় হালিশহরে (Halisahar) ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা মিছিল বের করেন। তাঁদের প্রিয় ফুটবল দলের পতাকা ও জার্সি গায়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। সেই মিছিলেই মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করার অভিযোগ উঠল হালিশহর থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, ওই পুলিশ কর্মীকে ধরে স্থানীয় লোকজন তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Halisahar)

    রবিবার সন্ধ্যায় বীজপুর থানা মোড় থেকে হালিশহর (Halisahar) বাগমোড় পর্যন্ত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সুবিচারের দাবিতে মিছিল বের হয়। প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য সেখানে হাজির ছিল হালিশহর থানার পুলিশ। অভিযোগ, এক কনস্টেবল সেখানে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিলেন। কাজ থেকে ফেরার পথে বিষয়টি এক মহিলার নজরে আসে। তিনি তার প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মী উল্টে ওই মহিলাকে হেনস্থা করেন। এমনকী গালিগালাজ করেন। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ওই পুলিশ কর্মীকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। সহকর্মীরা কোনওভাবে সেখান থেকে ওই পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে, ওই মহিলাসহ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা হালিশহর থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মহিলা কী বক্তব্য?

    মহিলার বক্তব্য, আমি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। আরজি কর (RG Kar Incident) নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল দেখে আমি তাতে সামিল হতে যাই। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ কর্মী বেসামালভাবে হাঁটছিলেন। আমি তার প্রতিবাদ করতেই তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। আমাকে হেনস্থা করেন। আমি ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে হালিশহর (Halisahar) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Unified Lending Interface: সহজেই মিলবে ঋণ! ইউপিআইয়ের পর আসছে ইউএলআই

    Unified Lending Interface: সহজেই মিলবে ঋণ! ইউপিআইয়ের পর আসছে ইউএলআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছে। দুনিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই এখন ইউপিআইয়ের সুবিধা মেলে। এই সিস্টেমের পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ে আসছে ইউএলআই (Unified Lending Interface)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নিজে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন। এই নতুন পরিষেবায় সহজেই মিলবে ঋণ।

    ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (Unified Lending Interface) আসলে কী?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বেঙ্গালুরুতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ইমার্জিং টেকনোলজিস সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস  (Unified Lending Interface) কী, তা খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষণ অনুযায়ী, আরবিআই সমস্যামুক্ত ঋণের জন্য ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (ইউএলআই) প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের একটি পাইলট প্রকল্প চালাচ্ছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী ঋণ অনুমোদন ব্যবস্থাকে সুবিন্যস্ত করা হবে যাতে খুব অল্প সময়ে মানুষকে ঋণ দেওয়া যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে স্বল্প পরিমাণের ঋণগ্রহীতাদের অনেক উপকার হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস  (Unified Lending Interface) কবে আসছে বাজারে

    আরবিআই গভর্নর ইউনিফাইড লেন্ডিং ইন্টারফেস চালু হওয়ার বিষয়ে বলেন, শীঘ্রই সারা দেশে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (ইউএলআই) চালু করা হবে। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম যেভাবে পুরো ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, একইভাবে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস ভারতের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    কৃষি ও এমএসএসই সেক্টরের যাঁরা ঋণ নিতে চান তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন 

    শক্তিকান্ত দাস আরও জানিয়েছেন- এই প্ল্যাটফর্মে একাধিক ডেটা প্রদানকারীর সঙ্গে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও বিভিন্ন রাজ্যের জমির রেকর্ড থাকবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও গ্রামীণ এলাকায় সহজে এবং কম সময়ে ঋণ দেওয়া যাবে। ঋণগ্রহীতারা ক্রেডিট নির্বিঘ্নে ডেলিভারি পাবেন এবং বেশি ডকুমেন্টেশন বা অন্যান্য জটিল প্রক্রিয়া  থেকে মুক্তি পাবেন। আরবিআই গভর্নর বলেছেন, ‘‘ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস সেই সব সেক্টরকে উপকৃত করবে যেখানে এখনও ঋণের চাহিদা মেটানো হয়নি। বিশেষ করে কৃষি ও এমএসএসই সেক্টরের যাঁরা ঋণ নিতে চান তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন। আন্দোলনে সামিল হয়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। এই আবহের মধ্যে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। নিজেদের অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছে তারা। তবে, কোনও রাজনৈতিক দল চাইলেই সমর্থন করতে পারে তাদের কর্মসূচিকে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। এরমধ্যে আবার ২৭ অগাস্ট যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজনীতির রং লাগছে বলে এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশের কর্তারা। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Nabanna Abhijan)

    এমনিতেই সিপিএম প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই কর্মসূচিতে নেই। তবে, অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ছাত্রদের অধিকার আছে যে পথেই হোক প্রতিবাদ করার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে (Nabanna Abhijan) দেখে ভয় পেয়েছেন। তাই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে তির চালাচ্ছেন। সামনে এসে লড়ার সৎ সাহস নেই, পুলিশকে সামনে রেখে এসব অভিযোগ করছে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আমরা উদ্যোক্তা না হলেও আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে।” এদিন সুকান্ত দাবি করেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে সীমান্তে যত না ব্যারিকেড করা হবে, তার থেকে বেশি ব্যারিকেড রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ, তৃণমূল একইসুরে কথা বলছে। উভয়ই বলছে, অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হবে। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। আইজি আইনশৃঙ্খলা তো আইজি বেআইন ও উচ্ছৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ‘নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কাঁপছে সরকার’

    এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে সরকার কাঁপছে। বলেন, আসলে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। যেভাবে রাত দখলে রাত দখলে লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও মানুষ নামবে। আর তাই সিপিএমের একটা অংশ, পুলিশ এবং তৃণমূল মিলে বোঝাতে চাইছে, এটা এবিভিপি, এটা বিজেপি। আরে বিজেপি হোক, এবিভিপি হোক সমস্ত সাধারণ মানুষ, যাই রাজনৈতিক পরিচয় হোক না কেন, তাঁরা একসঙ্গে নামবে। মাথায় রাখবেন বাঙাল-ঘটি মিশে গেছে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল। আর ঠিক তার পরেই রাতের ভেজানো ছোলা। এই খাবার খেয়েই কি দিন শুরু করেন? তাহলে কিন্তু একাধিক রোগকে সহজেই কাবু করা সম্ভব! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার উপরে খালি পেটে ভেজা ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত ভিজে ছোলা খেলে কোন রোগকে কাবু করা সম্ভব?

    স্থূলতা কাবু সহজেই (Chickpeas Benefits)

    সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা খেলে স্থূলতা সহজেই কাবু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। পাশপাশি ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই অল্প পরিমাণ ছোলা খেলেও পেট ভরে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমে (Empty Stomach)। স্থূলতার সমস্যাকেও সহজেই এড়ানো যায়।

    কাবু ডায়াবেটিসও

    ছোলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। এর জেরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এর জেরেই টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ যেমন কমে, তেমনি ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে তাঁদের সহজেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মহিলাদের আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়‌। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আয়রনের ঘাটতির জেরে কার্যক্ষমতাও কমে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে (Empty Stomach) আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গর্ভবতী মহিলারা এবং সদ্যোজাতের মায়েরা নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন‌। অ্যানিমিয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Chickpeas Benefits)

    ভেজানো ছোলা সকালে নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই ধরনের উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। হজম শক্তি বাড়ায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হজমের গোলমালের জেরেই অধিকাংশের চুল ও ত্বকের সমস্যা হয়। শরীরে নানান রকম অ্যাসিড তৈরি হয়। তার ফলেই ত্বকে নানান সমস্যা হয়‌। চুল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে এই ধরনের সমস্যা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের অনুমোদন থাকলেও ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত  উদ্যোগ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই চিঠির জবাব দেয় কেন্দ্র। সেই চিঠিতে অন্নপূর্ণা জানালেন, ধর্ষণ ও শিশুদের উপর নির্যাতনের মামলার দ্রুত শুনানির জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তার মধ্যে বেশিরভাগের কাজ শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ও শিশুদের সমস্যা দূরীকরণে কেন্দ্র একটি ন্যাশনাল হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা চালু করেনি।

    কেন্দ্রের চিঠিতে কী বলা হল

    আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত ২২ অগাস্ট চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষকদের শাস্তি দিতে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের আবেদন জানান। এইসব ঘটনার দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের কথাও বলেন তিনি। তাঁর চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী চিঠি লিখে জানান, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে অন্নপূর্ণা দেবী লিখেছেন, এই ধরনের আদালত গঠনের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র একটি প্রকল্প শুরু করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, “চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫২টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত কাজ করছে। তার মধ্যে ৪০৯টি পকসো আদালত। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এইসব আদালতে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২০টি শুধু পকসো আদালত। কিন্তু, ২০২৩ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই আদালতগুলির কাজ শুরু হয়নি।”

    আরও পড়ুন: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা

    কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এই আবহে কেন্দ্রের চিঠিতে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য। কেন্দ্রের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, তারা বার বার অনুরোধ করে মনে করালেও রাজ্যে মহিলা (১৮১) এবং শিশু (১০৯৮)-দের সাহায্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়নি। চালু করা হয়নি ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম’ও। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলা এবং শিশুরা। চিঠির শেষে অন্নপূর্ণা আশাপ্রকাশ করেছেন, রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতনের পথ বন্ধ করে সুরক্ষা দেওয়া হোক। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার অনুরোধও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার দাহ খরচ সংক্রান্ত রেজিস্টারে স্বাক্ষর পরিবারের কারোর নয়। ঠিক এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাধারণত শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করার পর পরিবারকেই স্বাক্ষর করে টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু অভয়ার ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। এই দাহ কাজে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুলিশের ভূমিকা অতি সক্রিয় বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, সবটাই সন্দেহের বাইরে নয়। একই ভাবে তিনি আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও।

    ঠিক কী বললেন শুভন্দু (Suvendu Adhikari)?

    হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচীতে যোগদান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “ঘটনার দিন নির্যাতিতার (RG Kar Rape-Murder) দেহকে তড়িঘড়ি করে শ্মশানে সৎকার করা হয়েছে। এই কাজে যারা উপস্থিত ছিল তারা কেউ এলাকার লোক নয়। শেষকৃত্যের খরচ মৃত চিকিৎসকের পরিবার দেয়নি। তাহলে দিল কে? দাহের কাজ শেষ করার পর যেসব সরকারি খাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেখানেও কোনও বাড়ির লোকের স্বাক্ষর ছিল না। তাহলে সরকারি রেজিস্টারে সই কে করল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক!

    উল্লেখ্য, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মৃতদেহের সৎকার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “সেই রাতে শ্মশানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের (RG Kar Rape-Murder) দেহ দাহ হয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আরও দুইজন আইসিও। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।” ফলে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে দাহকাজে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন। ঘটনার দিন থেকেই ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়কে ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ, এমন অভিযোগে বিজেপি সরব হয়েছে বার বার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা পুলিশের কাছে থেকে সিবিআইকে দেওয়া হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    RG Kar Incident: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) মধ্যে একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভাইরাল ভিডিওটি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুমের বলে দাবি করা হয়েছে। যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে ওই জমায়েতের ভিডিও যখন তোলা হয়েছে, তখন সেমিনার রুমের মধ্যে তরুণী চিকিৎসকের দেহ ছিল। আর বাইরে তাঁর বাবা-মা অপেক্ষা করছিলেন। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষিতে সিবিআই বা কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। (ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। )

    ভিডিওয় কী দেখা গিয়েছে

    যে ভিডিও (RG Kar Incident) সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেমিনার রুমের বাইরে শান্তনু দে-কে। তিনি আইনজীবী। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে, এই শান্তনু দে হলেন সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ছায়াসঙ্গী। কিন্তু সেখানে আইনজীবী কী করতে গিয়েছিলেন? প্লেস অফ অকারেন্সে বা ঘটনাস্থলে দেখা মিলেছে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ফরেন্সিক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের। তাঁকে সোমবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তিনি আরজি করের কর্মীই নন। কিন্তু ঘটনার পর মুহূর্তেই সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দাবি স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ। দেখা গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের আরও এক কাছের লোক ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও। 

    ভাইরাল ভিডিও তুলছে প্রশ্ন

    ফরেন্সিক মেডিসিনের ডেমনস্ট্রেটর, সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী আর সন্দীপ ঘনিষ্ঠ (Sandip Ghosh) আইনজীবী কেন সেই সময় ঘটনাস্থলে? প্রশ্ন উঠছে, এই যে ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ তাঁরা সেখানে কীভাবে পৌঁছলেন? তাঁদেরকে কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সেখানে পরিকল্পনা চলছিল, কীভাবে সেখানে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায়? চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, দেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার থেকে শুরু করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল সেদিন। শাসকদলের প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা হিসাবে পরিচিত অনেককেই সেদিন আরজি করে (RG Kar Incident) দেখা গিয়েছিল। এমনকী, এও অভিযোগ, যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল, সেই সেমিনার রুমে মিটিং করেন এই তিন মূর্তি। ওই চিকিৎসক নেতারা কেউই আরজি করে কর্তব্যরত নন। স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদাধিকারীও নন, বলে দাবি আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের।

    আরও পড়ুন: ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    ওঁরা গেলেন কীভাবে? প্রশ্ন বিজেপির

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, ‘দেবাশিস সোম – ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক। প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু দে সহ একাধিক লোকজন সেমিনার রুমে কি করছিলেন? ফরেন্সিক তথ্য লোপাটের চেষ্টা? ঘটনাস্থলে অর্থাৎ ক্রাইম সিনে কারও যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওঁরা গেলেন কীভাবে? পুলিশ আটকাল না কেন?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share