Tag: bangla news

bangla news

  • CBI: সন্দীপের বাড়ি থেকে বড় ব্যাগ নিজামে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই, কী আছে তাতে?

    CBI: সন্দীপের বাড়ি থেকে বড় ব্যাগ নিজামে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে প্রায় ১৩ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। ঠিক কী খুঁজতে তাঁরা সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে, তল্লাশি শেষে একটা বড় ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায় সিবিআই দল। সূত্রের খবর, তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল রয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশিতে কী মিলল? (CBI)

    আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তো বটেই, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই তদন্তেই রবিবার সাত সকালে কলকাতা শহর এবং হাওড়ার একাধিক জায়গায় ১৫টি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সিবিআই। রবিবার সকাল ৭টার কিছু আগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। দরজা না খোলায় ৭৫ মিনিট বাইরে অপেক্ষা করেন সিবিআই কর্তারা। পরে, তাঁরা সন্দীপের বাড়িতে ঢুকতে পারেন। তবে, প্রথমে যে কজন সিবিআই আধিকারিক তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন, পরে আরও বেশ কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। সূত্রের খবর, এদিন সন্দীপের তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরের আনাচে কানাচে তল্লাশি চলেছে। এদিন তল্লাশির পাশাপাশি আরও এক দফায় সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গোটা প্রক্রিয়ারই ভিডিও রেকর্ড হয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে তল্লাশি শেষ করে নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছয় সিবিআইয়ের টিম। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়ি থেকে বেশকিছু নথি ও ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া একটি বড় ব্যাগও নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ৫ থেকে ৬টি হলুদ রঙের ফাইল নিজামে আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    চোর ডাক্তার স্লোগান

    সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে ‘চোর ডাক্তার’ স্লোগান দেন প্রতিবেশীরা। এলাকারই এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো ওনাকে কখনও দেখিইনি। গত সাতদিনে একটা জিনিস দেখলাম, আমাদের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। কিন্তু পুলিশ রীতিমতো ওনাকে প্রোটেকশন দিচ্ছেন। বাড়ির সামনে চেয়ার পেতে বসে পুলিশ। কড়া শাস্তি দরকার ওনার।”

    সিবিআই আধিকারিক কী বললেন?

    সন্দীপ ঘোষের বাড়ির পাশাপাশি, আরজি করে এমএসভিপির দফতরে হানা দেয় সিবিআই। সাড়ে ৯ ঘণ্টা এমএসভিপি-র ঘরে ছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। বেরিয়ে তাঁরা হিন্দিতে জানালেন, “বহুত কুছ এভিডেন্স হ্যায়।” জানা গিয়েছে, এমএসভিপির ঘর থেকে উপাধক্ষ্যের কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ যে কম্পিউটার ব্যবহার করতেন সেটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট থেকেও মিলেছে অনেক নথি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখানেই শেষ নয়, ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান প্রদীপ চক্রবর্তীকেও তলব করা হয়েছিল। ফলে এই সকল নথিই যে তদন্তে অগ্রগতি আনতে সাহায্য করবে তা হয়ত হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami 2024: আজ জন্মাষ্টমী, গোপালের কৃপালাভে পুজোর উপকরণে রাখুন এই জিনিসগুলি

    Janmashtami 2024: আজ জন্মাষ্টমী, গোপালের কৃপালাভে পুজোর উপকরণে রাখুন এই জিনিসগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের মিলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে তাঁর মর্ত্যে আগমন। এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। এই পুজের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। শিষ্টাচারে, যথাযথ নিয়ম মেনে এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। 

    জন্মাষ্টমী পুজোর উপকরণ

    ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচা হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃত্তিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, মিছরি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা। এই পুজোতে লাগে— আমপল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপর্কের বাটি। 

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরের পালক ও বাঁশির মাহাত্ম্য

    ময়ুর পালক: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে ময়ূরের পালক দেওয়া ভগবান কৃষ্ণের আরাধনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ বাঁশির মতো ময়ূরের পালক অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই তিনি এটিকে মুকুট হিসাবে ব্যবহার করতেন। জন্মাষ্টমীর পুজো সফল করতে ময়ূরের পালক ও একটি মুকুট অর্পণ করুন গোপালকে। ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে সরিয়ে সমৃদ্ধি পেতে চাইলে বাড়িতে রাখুন ময়ূরের পালক। জন্মাষ্টমীর পুজোতেও ময়ূরের পালক রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরে সুখ শান্তি আসে।

    বাঁশি: ময়ূরের পালকের মতো বাঁশি ছাড়াও পুজো করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি যদি চান যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, তা হলে আপনাকে অবশ্যই গোপালকে জন্মবার্ষিকীতে বাঁশি নিবেদন করতে হবে। বলা হয়, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে বাঁশি রাখলে খুবই উপকার হয়। এতে ঘরে ধন-সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে সুখ ও শান্তি। ফলে পুজোর বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি রেখে দিতে পারেন।

    শঙ্খ ও তুলসীর তাৎপর্য

    শঙ্খ: জন্মাষ্টমীর পুজোতে শঙ্খ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সনাতন ঐতিহ্যে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে গোপালকে স্নান করাতে এবং পুজোর সময় শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় সঙ্গে রাখুন একটি শঙ্খ।

    তুলসী:  জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী পাতা অবশ্যই নিবেদন করতে হয় গোপালকে। কারণ তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী নিবেদন করলে শীঘ্রই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত বরদান করেন।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। তারপর ব্রত বা উপাসনার সংকল্প নিন। সারাদিন জলাহার ও ফলাহার করুন। সাত্বিক থাকুন। 

    আরও পড়ুন: তালক্ষীর থেকে তালের বড়া, জন্মাষ্টমীতে গোপালকে দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ! কেন জানেন?

    শ্রীকৃষ্ণের স্নান পদ্ধতি

    তারপর একটি পাত্রে ভগবান কৃষ্ণের একটি ধাতব মূর্তি রাখুন এবং স্নান করান। প্রথমে দুধ, তারপর দই, তারপর মধু, তারপর চিনি এবং সবশেষে ঘি দিয়ে প্রভুকে স্নান করান। একে পঞ্চামৃত স্নান বলে। প্রভুকে যথাযথভাবে স্নান করানোর পর, তাকে জল দিয়ে স্নান করান। মনে রাখবেন যে জিনিসগুলি নিবেদন করা হবে তা শঙ্খের মধ্যে রেখেই নিবেদন করা উচিত।

    প্রসাদ নিবেদন

    এরপর পীতাম্বর, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। এর পর ভগবানকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। ননীও মাখন দিতে ভুলবেন ন। তারপর নাড়ুগোপালের আরতি করুন। ঈশ্বরের কাছে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করার জন্য অনুরোধ করুন। এর পরে, আপনি “হরে কৃষ্ণ” মহামন্ত্রও জপ করতে পারেন।  জীবনে প্রেম এবং সুখের জন্য “মধুরাষ্টক” পাঠ করুন। শ্রী কৃষ্ণকে গুরুরূপে পেতে হলে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশের কোটি কোটি হিন্দুর আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্বদানের মাধ্যমে আপামর হিন্দু সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছে এই সংগঠন। আজ জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট তিথি ছিল জন্মাষ্টমীর (Janmasthami)। সেই দিনই মুম্বইতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিবরাও গোলওয়ালকরের প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)।

    ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এই সংগঠন

    বর্তমানে এই সংগঠন ভারত ছাড়াও বিদেশেও কাজ করছে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার জন্য। জানা যায়, ৫০টিরও বেশি দেশে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা (VHP)। রাম মন্দির আন্দোলনে বিপুল সফলতা লাভ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এরপর থেকেই এই সংগঠন গোহত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, লাভ জিহাদ- এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে সরব হয়। হিন্দু সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করতে আন্দোলনও গড়ে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এখনও পর্যন্ত ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এবং সনাতন ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে চলে গিয়েছিলেন সেই রকম ৯ লাখ ব্যক্তিকে তাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন।

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে অবস্থিত স্বামী চিন্ময়ানন্দ মহারাজের আশ্রমে একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ, স্বামী তুকডোজি মহারাজ, শিখ নেতা মাস্টার তারা সিং, জৈন নেতা সুশীল মুনি, গীতা প্রেসের হনুমান প্রসাদ পোদ্দার এবং শ্রী গুরুজি (দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক)। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রতিনিধিও।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে। সংগঠনের পুরনো নেতারা বলেন, সে বছর কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানুয়ারি মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। জানা যায়, ওই সম্মেলনে ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধু ভারত থেকেই নয়,  অন্যান্য ১২টি দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। যাঁদের মধ্যে তিনশোর বেশি খ্যাতনামা সন্ন্যাসীও ছিলেন। ওই সম্মেলনের মাধ্যমেই ‘ঘর ওয়াপসি’ ভাবনাও গ্রহণ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে গিয়েছেন, তাঁদেরকে পুনরায় সনাতনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যে প্রক্রিয়া, তা গ্রহণ করা হয় ১৯৬৬ সালেই। এর পাশাপাশি ধর্মান্তকরণ রোধের বিরুদ্ধেও ওই সম্মেলনে সরব হন সাধুসন্তরা। ১৯৬৬ সালের ওই সম্মেলনেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নীতিবাক্য স্থির করে, ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ’। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র থেকে নেওয়া এই সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ হল, ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধর্ম তাঁকে রক্ষা করে।

    ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ

    চলতি বছরে জন্মাষ্টমীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ৬০ বছরে পা দিল। এই সময়ের মধ্যে অসংখ্য সফল আন্দোলন তারা দেশ জুড়ে গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংগঠনের অবদান উল্লেখযোগ্য। হিন্দু ধর্মের জাতিভেদ প্রথা রোধ করার জন্যও অনেক আন্দোলনই করেছে বা এখনও করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ এবং সেখানেই প্রস্তাব নেওয়া হয়, ‘হিন্দবঃ সোদরা সর্বে, ন হিন্দু পতিত ভবেত মম দীক্ষা হিন্দু রক্ষা, মম মন্ত্র সমানতা’- এই মন্ত্রের। অর্থাৎ, সব হিন্দু আমার ভাই, কোনও হিন্দু কখনও পতিত হতে পারে না। হিন্দুকে রক্ষা করাই আমার ধর্ম, সমানতাই আমার মন্ত্র। ওই ধর্ম সংসদে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। হিন্দু সমাজে সমতা রক্ষা করার কথা বলা হয়।

    ১৯৮৪ সালেই রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা, ওই বছরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বজরঙ দল

    ১৯৮২ সালেই অশোক সিঙ্ঘল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে আসেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন সারা দেশ জুড়ে বিস্তার লাভ করতে থাকে। ১৯৮৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একতা যাত্রা করে, যার লক্ষ্য ছিল গোটা হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা। দেশের হাজার হাজার গ্রামে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রায় ৬ কোটি হিন্দু প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই কর্মসূচিতে। 

    ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে ধর্ম সংসদের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সেখানে ১২৫টি সম্প্রদায় থেকে বিভিন্ন সাধুরা অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরেরই ৮ অক্টোবর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা করে এবং সেদিনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরঙ দল স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এক লাখেরও বেশি প্রকল্প চলছে সারা দেশ জুড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে। যার মধ্যে ৭০ হাজারেরও বেশি রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ২,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১,৮০০-এর বেশি স্বাস্থ্য পরিসেবা এবং দেড় হাজারেরও বেশি আত্মনির্ভর কেন্দ্র চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে সোমবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami) এমনিতেই বৃষ্টিপাত হয়। পুরাণ অনুযায়ী, কৃষ্ণের জন্মের রাতেও আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ ছিল। আজ জন্মাষ্টমী। আজও দুর্যোগের পূর্বাভাস দিল আলিপুর। রবিবার রাতভর বৃষ্টিতে ভাসল শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। সপ্তাহের শুরুতেও নিস্তার নেই বৃষ্টির ভ্রুকুটি থেকে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উপরে তৈরি নিম্নচাপের জেরে আজও দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত দিনকয়েক ধরেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ সহ একাধিক জেলায়। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উপর রয়েছে নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গ হয়ে আগামী ২ দিনে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরবে নিম্নচাপ। সেই অনুযায়ী বৃষ্টিও কমবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সূর্যের দেখা মিলতে পারে মঙ্গলবার। তবে বৃষ্টি পরিস্থিতিতে রাশ পড়লেও মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকার কারণে মাঝেমাঝেই হালকা বৃষ্টি হবে রাজ্যে৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদীয়া, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমের কিছু কিছু জায়গায় ৷ এছাড়াও, দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের মালদা ও জলপাইগুড়িতে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ 

    আরও পড়ুন: তালক্ষীর থেকে তালের বড়া, জন্মাষ্টমীতে গোপালকে দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ! কেন জানেন?

    বন্যার আশঙ্কা

    এদিকে, বৃষ্টি (Weather Update) শুরু হতেই বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ডিভিসিও জল ছাড়ছে। এখনও ৩৬ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। এরপর বেশি বৃষ্টি হলে হাওড়া, হুগলির কিছু এলাকা ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার দিনের আকাশ থাকবে মেঘলা৷ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি এবং ২৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷ রাতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG kar Issue) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই আন্দোলনে রয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)। বিক্ষোভ-ধর্নার পাশাপাশি গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা বিধাননগর। শ্যামবাজারে বিজেপির ধর্না তো চলছেই। সেখান থেকেই একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি চালাবে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের কথায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্না চলবে।’’

    মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে 

    রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেন, ২৮ অগাস্ট মহিলা কমিশনের অফিসে দুপুর ২টো নাগাদ তালা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মহিলারাই নেতৃত্বে থাকবেন তাতে। সুকান্ত মজুমদার এবিষয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি। না দিলে আদালতে যাব। মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।’’ এর পাশাপাশি, ২৯ অগাস্ট সব জেলার জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    ব্লকে ব্লকে অবস্থান, পথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা

    এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বিজেপির (Bengal BJP) কর্মীরা। ৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি মণ্ডলে (বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয়, একটি জেলাপরিষদের আসন অনুযায়ী মণ্ডল গঠিত হয়) এক ঘণ্টা ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলবে আরজি কর ইস্যুতে। জানা যাচ্ছে, এই এক ঘণ্টা একটি গাড়িও বিজেপি চলতে দেবে না। একইসঙ্গে, আজ সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন অভয়ার বিচার (RG kar Issue) প্রার্থনায় প্রত্যেক বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে, রাস্তার সামনে সাধারণ মানুষকে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J K Polls: পিডিপির বিরুদ্ধে ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ ন্যাশনাল কনফারেন্সের

    J K Polls: পিডিপির বিরুদ্ধে ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ ন্যাশনাল কনফারেন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারদ! নারদ! এবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ পিডিপির বিরুদ্ধে! যেহেতু কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের অ্যাজেন্ডা ও পিডিপির অ্যাজেন্ডা এক, তাই পিডিপিকে জোটের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। প্রায় দশ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে (J K Polls)। নির্বাচন হবে তিন দফায়। নির্বাচনী-বৈতরণী পার হতে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস-ন্যাশলান কনফারেন্স। বিজেপি ‘একলা চলো’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েক জন নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমতাবস্থায় পিডিপির বিরুদ্ধে উঠল ইস্তাহার ‘চুরি’র অভিযোগ।

    কী বললেন ওমর? (J K Polls)

    রবিবার ভূস্বর্গে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন ওমর। সেখানে তিনি বলেন, “আপনি ইতিমধ্যেই আমাদের অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করেছেন। এখন আমাদের অ্যাজেন্ডা ও আপনার অ্যাজেন্ডার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তাই বলি কী, আপনি প্রার্থী দেবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচনা করব আমরা।” ইস্তাহারে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রথম বছর ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে (J K Polls)। সরকারি চাকরি তৈরি হবে এক লাখ। অভিযোগ, মেহবুবা মুফতির পিডিপির ইস্তাহারেও এই দুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    ইস্তাহার চুরি!

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা প্রথম বছর এক লাখ সরকারি চাকরি দেব। এটা ওরাও ওদের ইস্তাহারে রেখেছে। আমরা ক্রস-এলওসি রিওপেন করার কথা বলেছি। এটাও ওদের ইস্তাহারে রয়েছে। আমরা আলোচনার দরজা খোলা রাখব। তাদের ইস্তাহারেও এটা রয়েছে। প্রায় সবই, যেগুলো আমাদের সহকর্মীরা আমাদের ইস্তাহারে রেখেছে, তারাও সেইগুলোই রেখেছে তাদের ইস্তাহারে।” এর পরেই পিডিপিকে আলাদা করে প্রার্থী না দেওয়ার পরামর্শ দেন ওমর।

    আরও পড়ুন: “রাহুলের মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক”, মিস ইন্ডিয়া ইস্যুতে পাল্টা তোপ রিজিজুর

    মুফতি আগেই জানিয়েছিলেন, যদি কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট পিডিপির অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করে, তাহলে তার দল জোটকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের সব (Omar Abdullah) বিধানসভা আসনও তারা ছেড়ে দেবে জোটকে (J K Polls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Krishna-Janmashtami) পালনের জন্য স্কুল ও কলেজগুলিকে অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোহন যাদবের সরকার। রাজ্যের স্কুলগুলিকে গুরু পূর্ণিমার জন্য বিশেষ দু’দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশের পর, বিজেপি সরকার এবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী ২৬ অগাস্ট সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ নির্দেশ জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের জীবন দর্শন, শিক্ষা ভাবনা, মানব দর্শন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেছে রাজ্য সরকার।

    কৃষ্ণের শিক্ষা তুলে ধরার নির্দেশিকা (Krishna-Janmashtami)

    প্রশাসন বিভাগ থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে ছয় দফা নির্দেশ জারি করেছে মোহন যাদবের সরকার (Madhya Pradesh)। সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজে পণ্ডিতদের দ্বারা বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ভগবান কৃষ্ণের শিক্ষা, জীবন, দর্শন, মানবতা ও বন্ধুত্বের মূল্যবোধের বিষয়গুলিকে অনুষ্ঠানে রাখার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য, যেমন যোগব্যায়ামের উপর প্রবন্ধ রচনার প্রতিযোগিতা, বক্তৃতামালার মধ্যমে বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে উপস্থাপন করতে হবে। একই ভাবে জন্মাষ্টমীর (Krishna-Janmashtami) সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরগুলিকে পরিষ্কার করা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপাভা (দেওয়াস), আমঝেরা (ধর), নারায়ণ এবং সন্দীপনি আশ্রম (উজ্জয়ন) সহ একাধিক জায়গা যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবন কথা জড়িত হয়ে আছে, সেই ধর্মীয় স্থানগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়।

    আরও পড়ুন: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    কংগ্রেসকে পাল্টা তোপ বিজপির

    ভোপাল-মধ্যের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের এই নির্দেশিকাকে (Krishna-Janmashtami) তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “কেন এই সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চাইছে? ধর্মীয় উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করার বিধান তো রয়েছেই।” পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিয়ে ভোপালের হুজুরের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, “আমাদের সরকার রাজ্য জুড়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Assam: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    Assam: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা ধর্ষণে নাম জড়িয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের তিন তরুণের। তিনজনেই মিঞা মুসলমান (Miya Muslim) সম্প্রদায়ের। অসমের (Assam) ধিং এলাকার ঘটনা। তার পরেই সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে সেখানকার তিরিশটি সংগঠন।

    মিঞা মুসলমান (Assam)

    উল্লেখ্য যে, অসমে মুসলমান সম্প্রদায়ের দু’টি শাখা। একটি অসমের নিজস্ব। আর অন্যটি বাংলাদেশ ওরিজিন। যারা বাংলাদেশি ওরিজিন, তাদেরই এলাকা ছাড়ার জন্য সাতদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তাই অহম যুব পরিষদের তরফে বলা হয়েছে, “পুরো ঘটনাটা ঘটিয়েছে মিঞা মুসলমানরা। অসমে মিঞা মুসলমান এখন ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। নামনি অসমে অনেক মিঞা মুসলমান রয়েছে। তারা ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ওদের কাজে মানুষ বিরক্ত।”

    আলটিমেটাম

    সংগঠনটির তরফে আরও বলা হয়েছে, “নামনি অসমের মতো ঘটনা উচ্চ অসমেও ঘটতে পারে ভেবে তারা উদ্বিগ্ন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুসলমানদের উচ্চ অসম থেকে বহিষ্কার করতে বলা হয়েছে সরকারকে। এজন্য আমরা একটা সময়সীমাও নির্ধারণ করেছি। সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে, অহোম যুব পরিষদ শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাদের উচ্ছেদ করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। এটাই আমাদের শেষ কথা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    যে ৩০টি সংগঠন এই সময়সীমা জারি করেছে, তার মধ্যে রয়েছে অল তাই আহোম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অসমিয়া যুব মঞ্চ, অসমিয়া মহিলা মঞ্চ (Assam), বীর লচিত সেনা, অল অসম আদিবাসী ছাত্র ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, অসম সাব্বাস ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, গড়িয়া মারিয়া দেশি জাতীয় পরিষদ, চুতিয়া জাতীয় যুব সম্মেলন, সমস্ত অসম চুতিয়া ছাত্র ইউনিয়ন, সমস্ত অসম সোনোয়াল কাচারি ছাত্র ইউনিয়ন, তাই অহোম যুব পরিষদ, সমস্ত অসম সোনোয়াল কাছারি ছাত্র ইউনিয়ন, তাই অহোম যুবসমাজ কাউন্সিল অল মোরান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অহোম সেনা ও অন্যান্য। মিঞা মুসলিম শ্রমিকদের বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও বলেছে (Miya Muslim) তারা (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 113: “ঠাকুর শুনিয়াছেন…নরেন্দ্র প্রভৃতি ছোকরারা মিলিয়া ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা করেন”

    Ramakrishna 113: “ঠাকুর শুনিয়াছেন…নরেন্দ্র প্রভৃতি ছোকরারা মিলিয়া ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা করেন”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ষড়ভুজদর্শন ও শ্রীরাজমোহনের বাড়িতে শুভাগমন—নরেন্দ্র

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গড়ের মাঠে যে দিন সার্কাস দর্শন করিলেন তাহার পরদিনেই আবার কলকাতায় শুভাগমন করিয়াছেন; বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ১৮৮২, কার্তিক শুক্লা ষষ্ঠী, (১লা অগ্রহায়ণ)। আসিয়াই প্রথমে গরাণহাটায় ষড়ভুজ মহাপ্রভু দর্শন করিলেন। বৈষ্ণব সাধুদের আখড়া; মহন্ত শ্রীগিরিধারী দাস। ষড়ভুজ মহাপ্রভুর সেবা অনেকদিন হইতে চলিতেছে। ঠাকুর বৈকালে দর্শন (Kathamrita) করিলেন।

    সন্ধ্যার কিয়ৎকাল পরে ঠাকুর সিমুলিয়া নিবাসী শ্রীযুক্ত রাজমোহনের বাড়িতে গাড়ি করিয়া আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর শুনিয়াছেন (Kathamrita) যে, এখানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ছোকরারা মিলিয়া ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা করেন। তাই দেখিতে আসিয়াছেন। মাস্টার ও আরও দু-একজন ভক্তের সঙ্গে আছেন। শ্রীযুক্ত রাজমোহন পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত।

    ব্রাহ্মভক্ত ও সর্বত্যাগ বা সন্ন্যাস

    ঠাকুর (Ramakrishna) নরেন্দ্রকে দেখিয়া আনন্দিত হইলেন। আর বলিলেন (Kathamrita), তোমাদের উপাসনা দেখব! নরেন্দ্র গান গাহিতে লাগিলেন। শ্রীযুক্ত প্রিয় প্রভৃতি ছোকরারা কেহ কেহ উপস্থিত ছিলেন। এইবার উপাসনা হইতেছে। ছোকরাদের মধ্যে একজন উপাসনা করিতেছেন। তিনি প্রার্থনা করিতেছেন, ঠাকুর যেন সব ছেড়ে তোমাতে মগ্ন হই! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখিয়া বোধ হয় তাঁহার উদ্দীপন হইয়াছে। তাই সর্বত্যাগের কথা বলিতেছেন। মাস্টার ঠাকুর খুব কাছে বসিয়াছিলেন, তিনিই কেবল শুনিতে পাইলেন, ঠাকুর (Ramakrishna) অতি মৃদুস্বরে বলিতেছেন, তা আর হয়েছে!

    শ্রীযুক্ত রাজমোহন ঠাকুরকে জল খাওয়াইবার জন্য বাড়ির ভিতরে লইয়া যাইতেছেন।   

    আরও পড়ুন: “শ্রীরামকৃষ্ণ সংসারী বদ্ধজীবের কথা বলিতেছেন, তারা যেন গুটিপোকা…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: “রাহুলের মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক”, মিস ইন্ডিয়া ইস্যুতে পাল্টা তোপ রিজিজুর

    Kiren Rijiju: “রাহুলের মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক”, মিস ইন্ডিয়া ইস্যুতে পাল্টা তোপ রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধীর মন্তব্য বালক বুদ্ধির পরিচায়ক।” রবিবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ শানালেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি বলেন, “রাহুল যেভাবে মিস ইন্ডিয়া, সিনেমা ও খেলাধুলোয় সংরক্ষণ চাইছেন, সেটা বালক বুদ্ধির পরিচায়ক।”

    কী বললেন রিজিজু? (Kiren Rijiju)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এখন তিনি (রাহুল গান্ধী) মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা, ফিল্ম, খেলাধুলোয় সংরক্ষণ চাইছেন। এটা যে কেবল বালক বুদ্ধির পরিচায়ক তাই নয়, যাঁরা তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন, তাঁরাও একই রকম।” তিনি আরও বলেন, “শিশুসুলভ এহেন আচরণ বিনোদনের খোরাক হতে পারে। তবে এভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে উপহাস কিংবা আন্ডার এস্টিমেট করা উচিত নয়।”

    কী বলেছিলেন রাহুল?

    ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। এদিন যুব কংগ্রেসের ‘সংবিধান সম্মান’ সম্মেলনে ভাষণ দেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেখানেই রাহুল (Rahul Gandhi) বলেন, “আমি মিস ইন্ডিয়ার তালিকাটা দেখছিলাম। ভেবেছিলাম, অন্তত একজন আদিবাসী বা দলিত মহিলা থাকবেন। কিন্তু ওই তালিকায় একজনও দলিত, ওবিসি কিংবা আদিবাসী নেই।” তিনি বলেন, “তা সত্ত্বেও (Kiren Rijiju) সংবাদমাধ্যমে নাচ-গান, সিনেমা, ক্রিকেট, বলিউড – এসব নিয়ে কথা হয়। কৃষক-শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে কথা হয় না।” রাহুল বলেন, “আগামিদিনে নীতি নির্ধারণের মূল ভিত্তি হতে পারে জাতিগত জনগণনা।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এবং ইস্তাহারে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি বলেছিল, কংগ্রেসকে ভোট দিলে জাতি, উপজাতি এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার গণনা করতে দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক কাস্ট শুমারি হবে।”

    আরও পড়ুন: মোদি-যোগীর প্রশংসা, স্ত্রীর গায়ে ফুটন্ত ডাল ছুড়ে তিন তালাক যুবকের!

    গত এপ্রিলে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল এও বলেছিলেন, “কংগ্রেস কেন্দ্রে সরকার গড়লে, দেশবাসীর মধ্যে সম্পদের বণ্টন নিশ্চিত করতে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা চালাবে।” রাহুলের (Rahul Gandhi) ওই মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেস দেশের সম্পদ অনুপ্রবেশকারী ও যাদের বেশি সন্তান আছে, তাদের মধ্যে বিতরণ করবে (Kiren Rijiju)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share