Tag: bangla news

bangla news

  • Tripura Flood: ত্রিপুরার ভয়াবহ বন্যা, ১৯ জনের মৃত্যু, নামছে ধস, গৃহহীন ৬৫ হাজার

    Tripura Flood: ত্রিপুরার ভয়াবহ বন্যা, ১৯ জনের মৃত্যু, নামছে ধস, গৃহহীন ৬৫ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ত্রিপুরার (Tripura Flood) একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু এলাকা প্লাবিত। লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত চার দিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে একই সঙ্গে দুই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। সরকারের উদ্যোগে কয়েকশো ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আর বৃষ্টি না থামার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজ্যবাসী।

    বন্ধ ট্রেন পরিষেবা (Tripura Flood)

    গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে ত্রিপুরায় (Tripura Flood)। এর ফলে একাধিক নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা এবং উনকোটির মতো রাজ্যের ছ’টি জেলায় নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যার কারণে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এরমধ্যে সব থেকে আতঙ্কের বিষয় হল, বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। ২২ অগাস্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরার বগাফায় ৪৯৩.৬ মিমি, সেপাহিজলার  সোনামুরায় ২৯৩.৪ মিমি, আগরতলায় ২৩৩ মিমি এবং গোমাইপুরে ১৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গিয়েছে। অধিকাংশ চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ভারী, অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যায় ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। তাঁদের ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় ২০৩২টি স্থানে ধসের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে এনডিআরএফ (NDRF) কর্মীদের উদ্যোগে ১৭৮৯টি ধস কবলিত এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় বন্যার কারণে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    সাড়ে চারশোর বেশি ত্রাণশিবির

    বন্যা কবলিত (Tripura Flood) এলাকার মানুষদের খাবার, ত্রাণসামগ্রী পৌঁচ্ছে দেওয়ার জন্য সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে সাড়ে চারশোর বেশি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ত্রিপুরায়। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বায়ুসেনা। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা চিহ্নিত করে সেনার কপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আগরতলায় পৌঁছেছে আরও বাহিনী। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরার গোমতী জেলা। এ ছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনকোটিতেও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তাল-ফুলুড়ি কিংবা তালের পিঠে! বাঙালি বাড়িতে জন্মাষ্টমীর ভোগে (Janmashtami Festival) এমন নানান পদ তৈরির রীতি রয়েছে! শ্রাবণ মাসে বাজারে সহজেই তাল পাওয়া যায়! বর্ষার মরশুমে এই ফলের চাহিদাও অনেক। কিন্তু তাল খেলে কী হয়, শরীরের জন্য কতখানি উপকারী এই ফল? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    ডায়ারিয়া রুখতে বিশেষ সাহায্য করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কচি তালের শাঁস দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। আর দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা পেলে ডায়ারিয়ার মতো রোগকে সহজেই কাবু করা যায়। পাশপাশি কচি তালের শাঁস বমি ভাব কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর (Janmashtami Festival)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তাল সহজেই দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগানে সাহায্য করতে পারে। এর জেরে ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    তাল লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, তালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস সহ একাধিক উপাদান থাকে।  এই সব উপাদান লিভারের রোগ কমাতে সাহায্য করে (Janmashtami Festival)।

    বাতের সমস্যার মোকাবিলা করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাতের সমস্যা মোকাবিলায় তাল (Taler Bora) বিশেষ সাহায্য করে! তালের রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব সহজেই পূরণ হয়। তাই বাতের সমস্যা কমে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এই খাবার খেলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।

    জেলাটিন কমাবে স্থূলতার ঝুঁকি (Janmashtami Festival) 

    তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে জেলাটিন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জেলাটিন থাকার কারণে অল্প পরিমাণে তাল খেলেও পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। আর সেই কারণেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এতে স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি কমে! 

    তবে, তাল টাটকা কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, পাকা তাল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাজা তাল না খেলে নানান সমস্যা হতে পারে। পেটের অসুখ, হজমের গোলমাল সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই তাল পেকে গেলে (Taler Bora) একদিনের বেশি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ, পাকা তাল সতেজ না থাকলে সেই খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ থাকবে না। বরং আরও সমস্যা বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Flood: বাংলাদেশের বন্যায় দায়ী নয় ভারত, স্পষ্ট জানাল বিদেশমন্ত্রক, সাহায্যের আর্জি ইউনূসের

    Bangladesh Flood: বাংলাদেশের বন্যায় দায়ী নয় ভারত, স্পষ্ট জানাল বিদেশমন্ত্রক, সাহায্যের আর্জি ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক অস্থিরতা হোক বা বন্যা— যে কোনও কিছুর জন্য ভারতের হাত খুঁজতে ব্যস্ত বাংলাদেশের একাংশ। বা বলা ভালো, বর্তমান বিএনপি-জামাত ও তাদের ঘেঁষে থাকা সংগঠনগুলি। গত একমাস ধরে হিংসা ও অশান্তিতে জেরবার বাংলাদেশে এবার বন্যা-পরিস্থিতি। প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির একাংশ। বানভাসি সেদেশের ৬ জেলা। তবে এর পিছনেও ভারতের চক্রান্ত দেখছে বাংলাদেশের একাংশ। বাংলাদেশের বন্যা (Bangladesh Flood) পরিস্থিতির জন্য ভারতেকে দায়ী করে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের একাংশের এই দাবিকে তথ্য দিয়ে খারিজ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞরাও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দাবি খারিজ করেছে। যদিও এই কঠিন সময়ে বন্যা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় গঠন করতে ভারতকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    ত্রিপুরায় গোমাতী নদীর বাঁধের স্লুইস গেট খোলার ফলে বাংলাদেশে বন্যা (Bangladesh Flood) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খারিজ করল ভারত। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, “ত্রিপুরার ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হচ্ছে। সেদেশে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ, এই তত্ত্ব একেবারেই সত্য নয়। গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও বাংলাদেশের নানা জায়গায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দুদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদী সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমরা উল্লেখ করতে চাই, ডম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশের সমতলভূমি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে উচ্চভূমিতে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এখান থেকে কিন্তু বাংলাদেশেও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।”

    এছাড়াও বিবৃতিতে জানানো হয়, “বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ২১ অগাস্ট থেকে ভারী বর্ষণ জারি রয়েছে। ফলে এই এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ফলে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে বিঘ্ন ঘটছে। তবু আমরা বাংলাদেশকে বন্যা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।” প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টির জেরে ত্রিপুরাতেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

    বিশেষজ্ঞদের দাবি

    বাংলাদেশের (Bangladesh Flood) কুমিল্লা, ফেনি, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালি ও মৌলভিবাজার জেলার ৪৩টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত। এই অঞ্চলে মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত তবে এর জন্য ভারতের দোষ নেই বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের দাবি, ২নদেশের মধ্যে দিয়ে একটি নদী প্রবাহিত হলে সেখানে যদি বন্যা হয় তাহলে ভারত ও বাংলাদেশ-২টি দেশেই ভোগান্তি হয়। দুটি দেশের জনগণই সমস্যায় পড়েন। এই ধরনের সমস্যা সামাল দিতে দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। বুধবার সকাল থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। যার জেরে বিকেল ৩টের পর জলপ্রবাহ অতিরিক্ত বেড়ে যায়। যার পরিণামে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বাঁধের স্লুইস গেট খুলে কিছু জল প্রবাহিত হয়ে যায় বাংলাদেশের দিকে।

    আরও পড়ুন: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    ভাসছে ত্রিপুরাও

    বাংলাদেশের উত্তর প্রান্তের জেলাগুলিতে এমন বন্যা বলতে গেলে প্রতি বছর হয়ে থাকে। ওই এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এবার সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ত্রিপুরার একটি নদীর উপর তৈরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পর বাঁধকে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র ভারত বিরোধী প্রচার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে।  যদিও সে দেশের নদী বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, বিগত এক সপ্তাহ যাবত প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়া সত্বেও কেন প্রশাসন জন সাধারণকে আগাম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়নি। ভারতের ত্রিপুরারও বিরাট অংশ জলের তলায়। সেখানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত। ৬৬২০টি পরিবার বন্যার ফলে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৪৬টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে।

    বাংলাদেশের আর্জি

    ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণেই বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি (Bangladesh Flood) দেখা দিয়েছে বলে সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। বন্য়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে প্রচার চলছে, তা দুঃখজনক, বলে জানান বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় তিনি ভারতের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান। ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণব বর্মা। ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁদের সাক্ষাত্‍ হয় বলে খবর। সূত্রে খবর, স্রেফ বন্যা পরিস্থিতিই নয়, বৈঠকে দু’দেশের যৌথ নিরাপত্তা, বাণিজ্য়, এবং সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kamala Harris: মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মনোনীত কমলা, কী বললেন তিনি?

    Kamala Harris: মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মনোনীত কমলা, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (US Presidential Election 2024) জাতীয় কনভেনশনের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করে তিনি বললেন, ‘‘আমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’’ এর পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, ট্রাম্প আর ফিরবেন না আমেরিকায়। শিকাগোর সভায় তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কাজ করতে হবে। চলো আমরা কাজ করি।’’

    আমেরিকার নাগরিক হিসেবে কাজ করতে হবে (Kamala Harris)

    শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কনভেনশনের সমাপ্তি ভাষণে কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) জানিয়েছেন, তাঁর এই মনোনয়ন একটি নতুন পথের দিশা দেখাবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে কোনও একটি দল বা উপদলের সদস্য হিসেবে নয়, আমেরিকার নাগরিক হিসেবে কাজ করতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকেই শিকাগোয় শুরু হয়েছিল ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশন। গতকাল বৃহস্পতিবারই তা শেষ হয়েছে। ওই সম্মেলনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, প্রাক্তন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সহ অন্যান্য নেতারা হাজির ছিলেন (US Presidential Election 2024)।

    অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের

    কমলা হ্যারিসকে (Kamala Harris) অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইটও করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী প্রজন্মকে কমলা ও তাঁর টিম প্রেরণা জোগাবে বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Malda: আরজি করের ‘আবর্জনা’ মালদা হাসপাতালে ফেলা যাবে না, হুঁশিয়ারি জুনিয়র চিকিৎসকদের

    Malda: আরজি করের ‘আবর্জনা’ মালদা হাসপাতালে ফেলা যাবে না, হুঁশিয়ারি জুনিয়র চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এবার মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ারা নতুন করে আন্দোলনে নামতে চলেছেন। আরজি কর থেকে ট্রান্সফার হওয়া চিকিৎসককে মালদা হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার দাবিতে সকলে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    মালদা মেডিক্যাল আবর্জনার স্তূপ নয় (Malda)

    জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পরই তড়িঘড়ি বদল করা হয় আরজি করে (RG Kar Incident) সদ্য দায়িত্ব নেওয়া নয়া প্রিন্সিপ্যাল সহ চার শীর্ষ আধিকারিককে। বদলি করা হয় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজে। সেই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকেই মালদা মেডিক্যালে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়ারা সাফ জানাচ্ছেন, অরুনাভ দত্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসার কারণেই ওনাকে মালদা মেডিক্যালে ট্রান্সফার করা হয়েছে। বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আন্দোলনরত এক চিকিৎসক পড়ুয়া রবি মীনা বলেন, ‘‘আমরা ওনাকে এখানে আসতে দেব না। প্রয়োজনে তালা মেরে দেওয়া হবে। কারণ, মালদা মেডিক্যাল কোনও আবর্জনার স্তূপ নয়। আরজি কর থেকে আবর্জনা তুলে এখানে ফেলে দেওয়া হবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।’’ এক মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসক সুহানি সাহিল বলেন, ‘‘আরজি করের পরিত্যক্ত অধ্যাপকদের এখানে ফেলে দেওয়া হোক এটা আমরা মানতে পারব না। মালদা মেডিক্যালের পরিবেশ খারাপ হোক আমরা তা চাই না। উনি এখানে এলে আমরা একত্রিত হয়ে লড়াই করব।’’ জুনিয়র চিকিৎসক রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, সোহানি সাইতি বলেন, ‘‘ওনার যদি কোনও গাফিলতি না থাকত, তবে ওনাকে ট্রান্সফার করা হত না। বিষয়টিকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মালদায় এলে আমরা একত্রিত হয়ে লড়াই করব।’’

    হাসপাতালের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মালদা (Malda) মেডিক্যালে অরুনাভবাবুকে রুখতে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই বিষয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওয়েবসাইটে আমরা দেখেছি। তবে এখনও অর্ডার কপি হাতে পাইনি।’’ এর আগে, সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও এক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। রাতারাতি ‘পুরস্কার বদলি’ করে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠানো হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ  সন্দীপ ঘোষকে। এর পরই, ন্যাশনাল মেডিক্যালে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। চিকিৎসক-পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সন্দীপকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে দেবেন না। এমনকী, অধ্যক্ষের ঘরে তালাও লাগিয়ে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি ছিল, ন্যাশনাল মেডিক্যালের পরিবেশ দূষিত হোক, তাঁরা চান না। এবার মালদা মেডিক্যালেও দেখা গেল একই চিত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয় তাদের নেতা-কর্মীদের। এরই প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে আন্দোলনের কর্মসূচির কথা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘পুলিশের মনে হয়েছিল পরিস্থিতি অশান্ত হবে। আমাদের কর্মীরা ভ‍্যান ভাঙবে, জ্বালাবে। সেই জন‍্য ৩০ মিনিট বসিয়ে রেখেছিল। ওদের পরিকল্পনা সফল হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হতেই আটক করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সন্ধ্যার আগে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন ৪৫ জন কর্মী। বৃহস্পতিবার থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, পুলিশ বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি (BJP)।

    নবান্ন অভিযান রুখতে আদালতে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন দাবি শুভেন্দুর (BJP) 

    অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফ থেকে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য় সরকার এই অভিযান রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য সরকারের আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তই বুঝিয়ে দিচ্ছে আরজি কর ইস্যুতে (RG kar Incident) ঠিক কতটা চাপে রয়েছে তারা। এ প্রসঙ্গে মমতা সরকারকে চরম কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবারই  শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন তাই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন। আমাদের ক্লিয়ার স্ট্যান্ড, পতাকা ছাড়া যারা এই ইস্যুতে (RG kar Incident) যে কোনও আন্দোলনে নামবেন তাদের পাশে বিজেপি আছে।’’

    ‘নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম, আবার হারাব

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি (BJP) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি দলের কাছে আবেদন করব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন আমাকে যেন সেই কেন্দ্রেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়। নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম। আবার হারাব।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সুপ্রিম অনুরোধেও অটল, কর্মবিরতি চলবে, জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা

    RG Kar Incident: সুপ্রিম অনুরোধেও অটল, কর্মবিরতি চলবে, জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মামলার (RG Kar Incident) শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন চিকিৎসকরা যেন কাজে ফেরেন। সেইমতো কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। তবে কর্মবিরতির পথ থেকে সরছে না জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। বাংলার এই চিকিৎসক সংগঠন তদন্তের অগ্রগতি জানা না পর্যন্ত ‘সিজওয়ার্ক’-জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার, সিবিআই দফতরে গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইবেন চিকিৎসকরা। এরপরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা

    বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের অবস্থানে অনড়। এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই কর্মবিরতি চলবে। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) ৩১ বছর বয়সি তরুণী ট্রেনি চিকিৎসকের খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করলে তবেই কর্মবিরতি উঠবে। তাঁদের কথায়, সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি এখন‌ও স্পষ্ট নয়। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা দীর্ঘ হলেও নতুন করে কোন‌ও গ্রেফতার নেই। সন্দীপ ঘোষের ভূমিকাও স্পষ্ট নেই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি ইতিবাচক না হ‌ওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকবে। তদন্তের গতিধারা নিয়ে কথা বলতেই শুক্রবার সিবিআই দফতরে যাবেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    সুপ্রিম-আর্জি

    সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে চিকিৎসকদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। এই আবহে দিল্লির এইমস-এ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি দেশেও আন্দোলনরত চিকিৎসকরা (RG Kar Incident) সেই পথেই হাঁটছেন। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের সব হাসপাতালের রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন বা আরডিএ-ও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন আরডিএ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে, কাজে ফিরতে। সেই ভরসাতেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি নিয়ে এদিন শীর্ষ আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে। চিকিৎসকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদানের কথাও বলা হয়। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আহ্বান জানায়, চিকিৎসক সংগঠনগুলি যেন তাদের কর্মবিরতি তুলে নেয়। চিকিৎসায় ফেরে। সেই ডাকেই সারা দিয়েছে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে একাধিক সংগঠন। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Ukraine Visit: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    PM Modi Ukraine Visit: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ পথে নয়, পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে ইউক্রেনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit)। দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ড থেকে দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছবেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের কূটনৈতিক পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সব থেকে নিরাপদ পরিবহণ ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এই ট্রেনে সফর করেছেন।

    রেলফোর্স ওয়ান কী

    বিলাস বহুল পর্যটনের জন্য ২০১৪ সালে চালু হয় এই ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রনেতা ও কূটনীতিকদের ইউক্রেন যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হচ্ছে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’। এই ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনও বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়। বিশেষ ভাবে তৈরি এই ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই প্রোফাইল যাত্রীর যাত্রা সুখকর করতে রয়েছে নানা সামগ্রী। কাঠের প্যানেল-সহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে প্রশস্ত টেবিল। ট্রেনে সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমনোর জন্য আরামদায়ক বিছানাও রয়েছে।

    আয়রন বা লৌহ-কূটনীতি (PM Modi Ukraine Visit)

    এই ট্রেন পথ ‘আইরন কূটনীতির’ অংশ। ইউক্রেন পরিচালিত এই ট্রেনে বিশ্বনেতারা সওয়ার হয়ে ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সহমর্মিতা দেখান। বসার জায়গা থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দিক থেকে এই ট্রেন অন্য ট্রেনের থেকে একেবারেই আলাদা। ট্রেনে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই ট্রেন কখন ছাড়বে এবং কখন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবে তাও গোপন রাখা হয়। ট্রেনের পাশাপাশি রেললাইনের নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর থাকে ৷ দিনের বিভিন্ন সময়ে এই রেল লাইনের প্রতিটি অংশে নজরদারি চলে। নিরাপত্তার ভার থাকে সেনার হাতে। রাশিয়া হামলা শুরু করার পর পাল্টা কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে এই রেলপথ শুরু করে ইউক্রেন (PM Modi Ukraine Visit)। বিশ্বের তাবড় নেতাদের ট্রেনে পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনে নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করাই এই কূটনীতির লক্ষ্য। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অস্ত্র বা অন্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ট্রেন লাইনের ব্যবহার করে ইউক্রেন সেনা।

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    কেন ট্রেন সফর মোদির

    রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইউক্রেনের আকাশ এখন বিপজ্জনক। আকাশপথে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ। ফলে বিমানে চেপে কিয়েভে পৌঁছনোর উপায় নেই। তাই ট্রেনই (Rail Force One) ভরসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit) এর আগেও বেশ কয়েকবার ট্রেনে সফর করেছেন। ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় জুরিখ থেকে দাভোস পর্যন্ত ট্রেনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সে বছর অক্টোবর মাসে জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে সঙ্গে নিয়ে বুলেট ট্রেনে সফর করেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    RG Kar: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। তাঁর ভূমিকা আতসকাচের তলায়। আদৌ সন্দীপ সিবিআইকে সত্যি কথা বলছেন তো? নাকি সুকৌশেলে তাদের বিভ্রান্ত করছেন একদা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ? এসব জানতেই এবার সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে। এমনই অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। তবে সন্দীপের (Sandip Ghosh) পাশাপাশি ঘটনার রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে যে চার চিকিৎসক ডিনার করেছিলেন সেমিনার রুমে (RG Kar), তাঁদেরও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। জানা গিয়েছে, আজ, শুক্রবার তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে।

    বৃহস্পতিবার শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই 

    বৃহস্পতিবারই আরজি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ও চার চিকিৎসককে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ থেকে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। রুদ্ধদ্বার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মুখোমুখি বসানো হয় ওই পাঁচজনকে। এরপরেই সিবিআই-এর তরফে তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করা হয়। সন্ধ্যায় সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি আগেই পেয়েছে সিবিআই। তবে অভিযুক্তের টেস্ট এখনও করাতে পারেনি সিবিআই। এবার সন্দীপ ঘোষ এবং আরজি করের চার চিকিৎসক পড়ুয়ারও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    এই পলিগ্রাফ টেস্ট আসলে (RG Kar) কী?

    পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলছেন কি না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারও পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি, নাড়ির স্পন্দন তথা গতি, রক্ত চাপ, শরীর থেকে কতটা ঘাম-ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাধারণভাবে কেউ মিথ্যা কথা বললে তাঁর হৃৎস্পন্দন এবং রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। প্রসঙ্গত, আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষর (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অভিযোগ আগেই এনেছিলেন চিকিৎসক মহলের বড় অংশ এবং নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar)। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এবার তদন্তের আরও অগ্রগতির প্রয়োজনেই পলিগ্রাফ টেস্ট হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Christian Missionary: তেলঙ্গনায় খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে অবৈধ হোম চালনা ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগ

    Christian Missionary: তেলঙ্গনায় খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে অবৈধ হোম চালনা ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেলেঙ্গনার (Telangana) রাচাকোন্ডা জেলার চেঙ্গিচারলাতে ইমানুয়েল ট্রাইবাল মিশন সোসাইটি (Christian missionary) নামের একটি খ্রিস্টান সংস্থার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হোম পরিচালনা এবং শিশুদের ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ অগাস্ট এই মর্মে মামলা দায়ের করা হয়। এফআইআর নম্বরটি হল ৯৮৩/২০২৪। জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ৪২ নং ধারা অনুযায়ী এই মামলা চলছে।

    ১৪ অগাস্ট ওই শিশু হোম পরিদর্শনে যান রাচাকোন্ডা ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার 

    গত ১৪ অগাস্ট ওই শিশু হোম পরিদর্শনে (Christian missionary) যান রাচাকোন্ডা ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার মামিদির সতীশ এবং সেই সময় তিনি সেখানেই তিনি সাতজন শিশুকে দেখতে পান। শিশুদের দেখে তাঁর সন্দেহ হয় হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরে জানা যায়, এই শিশুদের মধ্যে পাঁচ জন তেলেঙ্গনার বাসিন্দা এবং দুজন নেপালের। এরপরেই পদক্ষেপ করেন ওই অফিসার এবং সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    অভিযোগ ধর্মান্তকরণের (Christian missionary)

    প্রসঙ্গত এই সংস্থার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের অভিযোগও উঠেছে। এই সংস্থার খ্রিস্টান মিশনারিদের একটি ভিডিও ২০২১ সালে ইউটিউবে ভাইরাল হয়, সেখানে দেখা যায় যে নাবালকদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত নেপাল থেকে আসা ওই দুই শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে এবং এর জন্য কাজে লেগেছে লিগ্যাল রাইট প্রটেকশন ফোরাম। এর পাশাপাশি তেলেঙ্গনার (Telangana) ৫ শিশুকেও উদ্ধার করে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share