Tag: bangla news

bangla news

  • Supreme Court: মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হলফনামা, একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ল

    Supreme Court: মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হলফনামা, একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি কোটায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল মমতা সরকার। তবে এক্ষেত্রে শুধু মমতা সরকারকে দোষ দিলেও ভুল হবে, তার পূর্ববর্তী বামপন্থী সরকারও একই পথে হেঁটেছিল এবং তাদের নীতিকে বহাল রাখার সঙ্গে আরও অনেক নতুন কিছু যোগ করে মমতা সরকার। ৭৭টি জাতিকে ওবিসি কোটায় আনেন মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষমতায় আসার পরপরই যার মধ্যে ৭৫টি জাতিই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়। ২০১০ সালের ৫ মে থেকে ২০১২ সালের ১১ মে পর্যন্ত এই ৭৭ সম্প্রদায়কে ওবিসি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া হলফনামায়। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) গত ৫ অগাস্ট দেওয়া নির্দেশ মতো মমতা সরকার যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক জাতি ওবিসি কোটার জন্য আবেদন না করলেও তাদের সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া না মেনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম জাতিকে (West Bengal) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ওবিসি কোটায়।

    ধর্মই একমাত্র মাপকাঠি বলে মনে হচ্ছে জানিয়েছিল হাইকোর্ট

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রদায়িক তোষণের কারণেই (West Bengal) মমতার এমন সিদ্ধান্ত। অত্যন্ত সুকৌশলে ৭৭টি সম্প্রদায়ের মধ্যে মাত্র ২টি সম্প্রদায়কেই হিন্দু রাখা হয়, যাতে বিতর্ক না ওঠে যে শুধুমাত্র ধর্মীয় মাপকাঠিতেই মুসলিমদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু ঝুলি থেকে বিড়াল বের হয়ে পড়ে, চলতি বছরের ২২ মে। ঐদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে অর্থাৎ তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে, সংখ্যায় গুণতে গেলে যা প্রায় ৫ লাখ। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের পরিষেবা এবং পদগুলিতে এই ধরনের সংরক্ষণকে বেআইনি বলে জানায়। হাইকোর্ট সেসময় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এই সম্প্রদায়গুলিকে ওবিসি হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে ধর্মই একমাত্র মাপকাঠি বলে মনে হচ্ছে ।’’

    সুপ্রিম নির্দেশ (Supreme Court)

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করে। তারই শুনানিতে গত ৫ অগাস্ট প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বলে, এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আদালতের সামনে একটি হলফনামা দাখিল করবে, যাতে ৭৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে তার ব্যাখা থাকবে। এখানেই ধরা পড়ল অনিয়ম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Daily Horoscope 23 August 2024: বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 August 2024: বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা। 

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে। 

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI: ভারতে দৈনিক ইউপিআই লেনদেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার সমান

    UPI: ভারতে দৈনিক ইউপিআই লেনদেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার সমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দৈনিক ইউপিআই (UPI) লেনদেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) জনসংখ্যার সমান। বুধবার ওয়ারশ-তে ভারতীয় প্রবাসীদের সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি তুলনা করে ডিজিটাল লেনদেনের তাৎপর্যকে তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করে বলেন, দৈনিক ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল ভারতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে দেশ।

    ভারতে ৯,৮৪০.১৪ মিলিয়ন ইউপিআই লেনদেন (UPI)

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের একটি ক্লিপ পোস্ট করে বলেন, “৪৪৮ মিলিয়ন হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) মোট জনসংখ্যা। একই ভাবে ভারতের দৈনিক ইউপিআই লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬৬ মিলিয়ন। সারা দেশে নগদহীন এই লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের ডিজিটাল (UPI) অর্থনীতির ভিত্তিস্বরূপ এটি একটি মাইলফলক পদক্ষেপ। এনপিসিআই (NPCI)-এর মতে, ইউপিআই পেমেন্ট বছরে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই লেনদেনের মোট মূল্য ২০.৬৪ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য

    এই বছরের জুন মাসে ইউপিআই (UPI) লেনদেন ছিল ২০.০৭ ট্রিলিয়ন এবং মে মাসে ছিল ২০.৪৪ ট্রিলিয়ন। জুলাই মাসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪৬৬ মিলিয়ন বা প্রায় ৬৬,৫৯০ কোটি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) তার মাসিক বুলেটিনে ইউপিআই-এর অসাধারণ বৃদ্ধির কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, লেনদেনের পরিমাণ ২০১৯-২০-এর ১২.৫ বিলিয়ন থেকে ২০২৩-২৪-এ ১৩১ বিলিয়ন, অর্থাৎ দশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) লেনদেনগুলি আর্থিক বছরে ৫৭ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (BCG) ব্যাঙ্কিং সেক্টর রাউন্ডআপ অনুসারে ফোন পে (PhonePe) এবং গুগুল পে (Google Pay) বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi:‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    PM Modi:‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। ভারত মনে করে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সমাধান হওয়া অসম্ভব। ইউক্রেন সফরের (Modi Ukraine Visit) আগে পোল্যান্ড থেকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউরোপে যুদ্ধের আবহের মধ্যেই পোল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়েছেন মোদি৷ প্রায় ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ড সফরে গিয়েছেন৷ ওয়ারশ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়৷ 

    এটা যুদ্ধের সময় নয়

    ইউক্রেন সফর (Modi Ukraine Visit) শুরুর আগে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) মুখে শোনা গেল, “দিস ইজ নট অ্যান এরা অব ওয়ার” (এটা যুদ্ধের সময় নয়)। তিনি পোল্যান্ডের মাটিতে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন। মোদি বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট৷ আমরা কখনওই যুদ্ধকে সমর্থন করি না৷ যুদ্ধ সবসময়ই মানবতার পরিপন্থী। আমরা পৃথিবীতে শান্তি-মানবতা স্থাপনে বিশ্বাসী৷ পৃথিবী জুড়ে সংঘাতের আবহে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য একজোট হয়ে লড়াই করা জরুরি৷’’ সুন্দর আতিথেয়তার জন্য পোল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি৷ গৌতম বুদ্ধের অহিংসার দর্শনের তুলনা টেনে মোদি বলেন, “ভারত বুদ্ধের ঐতিহ্যে বিশ্বাসী। তাই ভারত শান্তিতে বিশ্বাস রাখে, যুদ্ধে নয়।” উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে এসসিও সামিটেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    সহানুভূতি ভারতীয়দের বৈশিষ্ট্য

    মোদি (PM Modi) পোল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “সহানুভূতি ভারতীয়দের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যখনই কোনও দেশ সঙ্কটে পড়েছে, প্রথম দেশ হিসেবে ভারত সাহায্য করেছে। যখন কোভিড এল, তখন ভারত বলেছিল, আগে মানবিকতা।” পোল্যান্ড থেকে মোদি দেশের বিদেশনীতিতে বদল আসার ইঙ্গিতও দেন। তিনি বলেন, “কয়েক দশক ধরে বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারত অন্য দেশগুলির থেকে দূরত্ব বজায় রাখত। পরিস্থিতি এখন বদলে গিয়েছে। আজ ভারতের নীতি হল সব দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা। 

    ইউক্রেন সফর মোদির

    পোল্যান্ড সফর শেষে আগামিকাল, ২৩ অগাস্ট ইউক্রেনে (Modi Ukraine Visit) যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) তন্ময় লাল জানিয়েছেন, জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রাধান্য পাবে কৃষি, পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 111: “গৌর, নিতাই হরিনাম দিতে লাগলেন, আর আচণ্ডালে কোল দিলেন”

    Ramakrishna 111: “গৌর, নিতাই হরিনাম দিতে লাগলেন, আর আচণ্ডালে কোল দিলেন”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    আগে সাধান, তারপর সংসার; অভ্যাসযোগ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে বলিতেছেন, দেখলে, বিবি কেমন একপায়ে ঘোড়ার উপর দাঁড়িয়ে আছে, আর বনবন করে দৌড়ুচ্ছে! কত কঠিন, অনেকদিন ধরে অভ্যাস করেছে, তবে তো হয়েছে! একটু অসাবধান হলেই হাত-পা ভেঙে যাবে, আবার মৃত্যুও হতে পারে। সংসার করা ওইরূপ কঠিন। অনেক সাধন-ভজন করলে ঈশ্বরের কৃপায় কেউ কেউ পেরেছে। অধিকাংশ লোক পারে না। সংসার করতে গিয়ে আরও বদ্ধ হয়ে যায়, আরও ডুবে যায়, মৃত্যুযন্ত্রণা হয়! কেউ কেউ, যেমন জনকাদি অনেক তপস্যার বলে সংসার করেছিলেন (Kathamrita)। তাই সাধন-ভজন খুব দরকার, তা না হলে সংসারে ঠিক থাকা যায় না।

    বলরাম-মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গাড়িতে উঠিলেন। গাড়ি বাগবাজারে বসুপাড়ায় বলরামের বাটীর দ্বারে উপস্থিত হইল, ঠাকুর ভক্তসঙ্গে দোতলায় বৈঠকখানায় গিয়ে বসিলেন। সন্ধ্যার বাতি জ্বালা হইয়াছে। ঠাকুর সার্কাসের গল্প (Kathamrita) করিতেছেন। অনেকগুলি ভক্ত সমবেত হইয়াছেন, তাঁহাদের সহিত ঈশ্বরীয় অনেক কথা হইতেছে। মুখে অন্য কথা কিছুই নাই, কেবল ঈশ্বরীয় কথা।

    জাতিভেদ সমন্ধে কথা (Kathamrita) পড়িল। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, এক উপায়ে জাতিভেদ উঠে যেতে পারে। সে উপায়—ভক্তি। ভক্তের জাতি নাই। ভক্তি হলেই দেহ, মন, আত্মা—সব শুদ্ধ হয়। গৌর, নিতাই হরিনাম দিতে লাগলেন, আর আচণ্ডালে কোল দিলেন। ভক্তি থাকতে চণ্ডাল, চণ্ডাল নয়। অস্পৃশ্য জাতি ভক্তি থাকলে শুদ্ধ, পবিত্র হয়।

    আরও পড়ুনঃ “সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি, পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!”

     আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhapar: গুজরাটের মাধাপার বিশ্বের সবথেকে ধনী গ্রাম, কী করে এর এত প্রতিপত্তি?

    Madhapar: গুজরাটের মাধাপার বিশ্বের সবথেকে ধনী গ্রাম, কী করে এর এত প্রতিপত্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়িক গন্তব্যগুলির মধ্যে অন্যতম গুজরাট (Gujarat)। স্বাধীনতার পরে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব শিল্পপতির উত্থান এ রাজ্য থেকেই। এ রাজ্যের সমৃদ্ধি শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নয়, ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেও। কচ্ছে রয়েছে মাধাপার গ্রাম (Madhapar)। এই গ্রামই সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। ভুজের উপকণ্ঠে মাধাপার গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে ৭ হাজার কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে। এই গ্রামে বেশিরভাগই প্যাটেল সম্প্রদায়ের মানুষ। 

    কী করে এত সম্পদ?

    এই গ্রামের ধনী হয়ে ওঠার রহস‍্যের চাবিকাঠি রয়েছে ‘বিদেশে’। আসলে এই গ্রামের (Madhapar) প্রচুর বাসিন্দা এই মুহূর্তে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার মতো প্রথম সারির দেশগুলিতে কর্মরত। তবে কাজের জন‍্য বিদেশ গেলেও নিজেদের শেকড়কে ভুলে যাননি তাঁরা। তাই বিদেশ থেকেই গ্রামে টাকা পাঠান তাঁরা। যে কারণেই এই গ্রামের এত সমৃদ্ধি। গ্রামের অনাবাসীরা প্রতি বছর স্থানীয় ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে কোটি কোটি টাকা জমা করেন। ওই গ্রামে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বাড়ি। এর মধ্যে ১২০০টি পরিবারই বিদেশে বাস করে। বেশিরভাগই আফ্রিকার দেশগুলিতে। মধ্য আফ্রিকার নির্মাণ ব্যবসা গুজরাটিদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। সেখানকার জনসংখ্যার একটা বৃহৎ অংশ মাধাপার গ্রামের মানুষ। অনেকেই আবার ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং নিউজিল্যান্ডেও বসবাস করেন।

    আরও পড়ুন: ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    সব ব্যাঙ্কে গড়ে ৫০০০ কোটি টাকা

    কচ্ছ জেলায় অবস্থিত এই গ্রামে (Madhapar) মোট ৭৬০০টি বাড়ি রয়েছে। ছোট্ট এই গ্রামে ব‍্যাঙ্ক রয়েছে ১৭টি। গড়ে ৫০০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে সেখানে। কয়েক বছর আগেও মাধাপারের অবস্থা এত উন্নত ছিল না। এক সময় এই গ্রামের মানুষদেরও কাঁচা বাড়ি ছিল। কোনও ভাবে কাটত দিন। কিন্তু এখন পুরো ভোল বদলে গিয়েছে এখানকার। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বাঁধ। গ্রামের সমৃদ্ধির নেপথ্যে এখানকার অনাবাসী ভারতীয় পরিবার। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

    BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচিতে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল সল্টলেকে (Salt Lake)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিডকো থেকে বিজেপির (BJP) মিছিল শুরু হয়। গন্তব্য ছিল স্বাস্থ্য ভবন। মিছিলে পা মেলান সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা। মিছিল কিছুটা এগোতেই স্বাস্থ্য ভবনের ৪ কিলোমিটার আগেই বিজেপি কর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। ফলে, পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরই মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে একটি প্রিজন ভ্যানে পুলিশ তুলে নেয়। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই ভ্যানও আটকে দেন ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, মিছিল নিয়ে এগতে থাকলে অর্জুন সিং সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। এদিন বিজেপি কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের সামনে পুলিশকে অনেক সময়ই অসহায় মনে হয়েছে। তারা লাঠি উঁচিয়ে বার বার তেড়ে গেলেও একরোখা বিজেপি কর্মীদের মনোবলে এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি।

    শুভেন্দুকে আটক করতেই প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ (BJP)

    পূর্ব ঘোষণা মতো বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি নেতারা মিছিল নিয়ে রওনা দেন স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশে। কিন্তু,অনেক আগেই রাস্তার ওপরে ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল পুলিশ। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগে থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন ছিল স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার পথে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে চার কিলোমিটার দূরেই বিজেপির মিছিল আটকে দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতেই পুলিশ আটকে দেয় করুণাময়ীর আগে ইন্দিরা ভবনের সামনে। কিন্তু একটার পর একটা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। পুলিশের ব্যারিকেড টপকে অনেক বিজেপি কর্মী স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে শুরু করেন। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীদের বাধার কাছে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়।  মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে। রাস্তার ওপরে আরও ব্যারিকেড ছিল। সেই সময়েই শুভেন্দু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিজন ভ্যানের দিকে এগিয়ে যান। পুলিশ তাঁকে টেনে গাড়িতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে গাড়িতে তোলার পরেও মিছিল এগোতে থাকে। এর পরে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পুলিশ আটক করে। তবে সুকান্ত পতাকা নিয়ে এগিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শমীককে তোলার সময়ে সুকান্তকেও গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। তবে, সেই সময় কর্মীরা ছিনিয়ে নেন সুকান্তকে। ঘটনার পর পরই সুকান্ত বলেন, “বাংলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার একমাত্র সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা। আর পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই দাবিতেই এই অভিযান। বিচার না-পাওয়া পর্যন্ত পথেই থাকবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    পুলিশকে ধাওয়া

    এদিন মিছিলে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি হাঁটেন প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহেরা। মিছিলে আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা প্রতীকী হাতকড়া, ফাঁসির দড়ি নিয়ে হাঁটেন। পুলিশের গাড়িতে বিরোধী দলনেতা-সহ কয়েক জন উঠে যাওয়ার পরেও নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের ভ্যানের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এর পরে অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলেও পুলিশকে ধাওয়া করে একদল বিজেপি কর্মী।  একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপির মিছিল।

    শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ

    মিছিলের সামনে থাকেন সুকান্ত, দিলীপের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে চাওয়া অনেক কর্মীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, মিছিল এগোতে থাকে। পুলিশের গাড়িতে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রেফতার হওয়া কর্মীরা। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের গাড়ির উপরে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী থাকায় বিজেপি কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। এর পরে সুকান্ত, দিলীপরাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে রাস্তার ওপরে বসে পড়েন। পরে সেখানেই ছোট একটি সভা হয় বিজেপির। বক্তব্য রাখেন দিলীপ ও সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, “পুলিশ অনেক বাধা দিলেও স্বাস্থ্য ভবনের প্রবেশ দ্বারে পৌঁছে গিয়ে সফল হয়েছে দলের অভিযান। রাজ্য সরকার এখনও আগুন নিয়ে খেলছে। কিন্তু এটা করে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেবে। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র সব থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: চারদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং, হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    Rajnath Singh: চারদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং, হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখান থেকে তিনি যাবেন ইউক্রেনে। এবার চার দিনের মার্কিন মুলুক (US) সফরে যাচ্ছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। চারদিনের সরকারি সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন রাজনাথ।

    আমেরিকা সফরে রাজনাথ (Rajnath Singh)

    ২৩ অগাস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। থাকবেন ২৬ তারিখ পর্যন্ত। রাজনাথের এই সফরে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজনাথ। একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। এই সফরে রাজনাথ সাক্ষাৎ করবেন প্রেসিডেন্ট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট জ্যাক সুলিভানের সঙ্গেও। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন স্তরে প্রতিরক্ষা এনগেজমেন্টের ব্যকড্রপে হচ্ছে রাজনাথের এই সফর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-মার্কিন কম্প্রিহেনসিভ গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপকে আরও গভীর এবং চওড়া করা হবে বলে আশা।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    মনে রাখতে হবে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। গত বছর রাজনাথের (Rajnath Singh) সঙ্গে অস্টিনের বৈঠক হয়েছিল। তার আগে আগে হয়েছিল ভারত-মার্কিন ২+২ মিনিস্ট্রিয়াল ডায়লগ। জটিল ক্ষেত্রগুলিতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত টেকনোলজি কো-অপারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। এই সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করবেন। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন মার্কিন ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্তাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, মার্কিন মুলুকে কিছু মিলিটারি ফেসিলিটি ঘুরে দেখবেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চলতি সফরে ৩১টি এমকিউ ৯বি প্রিডেটর ড্রোন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতে জিই এফ ৪১৪ ইঞ্জিনের উৎপাদন নিয়ে কথা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে। জিই-হল চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। গত বছর জুনে মোদি যখন বাইডেন সরকারের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউস সফরে গিয়েছিলেন তখনই স্বাক্ষরিত হয়েছিল জিই হাল চুক্তি (GE HAL Pact)। অস্টিন-রাজনাথের আগের বৈঠকেও উঠেছিল বিষয়টি। এবারও (Rajnath Singh) উঠবে বলেই আশাবাদী (US) বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, জিই (GE) হল জেনারেল ইলেকট্রিক অ্যারোস্পেস এবং হাল (HAL) হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকার অর্ডার দেওয়া হলেও সেই সিসিটিভি লাগানোই হয়নি। ঠিক এমনটাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় প্রথম থেকেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এমনটাই অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেছে।

    ক্যামেরা থাকলে খোঁজ করা যেত (RG Kar Rape-Murder)

    চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করে বলেন, “প্রাক্তন অধ্যক্ষ আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসাননি। ক্যামেরা থাকলে ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে খোঁজখবর করা সম্ভব হত। আমরা পাঁচ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে সামনে এনেছি। তাঁরা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য দেবেন। একই ভাবে খুন এবং ধর্ষণ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেবেন তাঁরা। এই সমস্ত ঘটনার পিছনে প্রাতিষ্ঠানিক সমঝোতা রয়েছে। রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের তদন্তে নজর দেওয়া উচিত। কারণ এই সিট তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে।”

    আরও পড়ুনঃ অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশ এখন উত্তাল। সমাজের সকল স্তরের প্রতিবাদীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। এদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ পড়াশুনা করেছিলেন বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলে। সেখানে কৃতি ছাত্রদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এবার ওই স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা, প্রধান শিক্ষককে চিঠি লিখে বলেন, অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে। এক প্রাক্তনী সৌম্যদীপ সরকার বলেন,“সন্দীপ ঘোষ কোনও না কোনও ভাবে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। আজ তাঁকে রাজ্য পুলিশ ডাকছে, সিবিআই তলব করছে। সেই কারণে আমাদের আর্জি স্কুলের কাছে ওঁর নাম কৃতি ছাত্রদের বোর্ডে যেন না থাকে। বনগাঁ হাইস্কুলের গৌরব নষ্ট করেছেন তিনি।” অপর দিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেছেন, “প্রাক্তন ছাত্ররা একটা আবেদন জমা দিয়েছে। সন্দীপ ঘোষ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তখন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Assembly Election: ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে  বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    Jammu Kashmir Assembly Election: ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে  বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu Kashmir Assembly Election) দলের নির্বাচনী ইনচার্জ নিযুক্ত হলেন সঙ্ঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাম মাধব (Ram Madhav)৷ তাঁর সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী ইনচার্জ হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডিও৷ তবে আসল ব্যক্তি রাম মাধবই, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতার নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে বিজেপি (BJP)।

    সঙ্ঘ পরিবার থেকে রাজনীতিতে

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বিজেপির সঙ্গে সঙ্ঘ (RSS) পরিবারের সমন্বয় সাধন করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল রাম মাধবের (Ram Madhav) কাঁধে৷ সেই বছরেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu Kashmir Assembly Election) রাম মাধবের নেতৃত্বে লড়াই করে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি আসন৷ পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি৷ রাম মাধবই পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বিজেপির সঙ্গে পিডিপির ভোট পরবর্তী সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করিয়েছিলেন, জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মেহবুবা৷ তবে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর আরএসএস-র সেন্ট্রাল কমিটিতে যোগ দেন রাম মাধব। সংগঠনের দায়িত্ব সামলান। প্রায় পাঁচ বছর পরে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল রাম মাধবের। জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে বিজেপি-র প্রাক্তন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকে দায়িত্বভার তুলে দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং একটি বিবৃতি জারি করে সেই তথ্য জানিয়েছেন।

    উপত্যকায় পরিচিতি

    সূত্রের দাবি, উপত্যকার সবক’টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে রাম মাধবের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়৷ ১০ বছর আগে কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে (Jammu Kashmir Assembly Election) সাফল্যের পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রাম মাধবকে৷ রাতারাতি দলের সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদে উত্তীর্ণ হন রাম মাধব (Ram Madhav)৷ এর পরে অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যেও বিজেপির জয়রথ দৌড়তে শুরু করেছিল রাম মাধবের রণকৌশলেই, দাবি বিজেপি সূত্রের৷ বস্তুত, তিনিই ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা ভোটে বিজেপির (BJP) প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রচার কৌশল নির্ধারণের মূল দায়িত্বে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share