Tag: bangla news

bangla news

  • Jammu Kashmir: ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ ধাপে নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ফল প্রকাশ ৪ অক্টোবর

    Jammu Kashmir: ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ ধাপে নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ফল প্রকাশ ৪ অক্টোবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও নির্বাচন হবে হরিয়ানাতেও। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর অবশেষে জম্মু-কাশ্মীরে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Elections Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে, তিন ধাপে নির্বাচন হবে জম্মু-কাশ্মীরে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। পাশাপাশি হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ অক্টোবর। ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর।

    কমিশন যা বলল

    হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে যথাক্রমে ৩ নভেম্বর ও ২৬ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন (Elections Commission of India) ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছিল। কারণ কমিশনকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “সম্প্রতিই আমরা জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়েছিলাম নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখার জন্য। অদ্ভুত উন্মাদনা দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ-সকলেই চান দ্রুত নির্বাচন হোক। লোকসভা ভোটের সময় জম্মু-কাশ্মীরে ভোটকেন্দ্রগুলিতে যে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল, তা শুধুমাত্র ভোটদানের জন্য নয়, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সাধারণ মানুষ শুধু পরিবর্তনই নয়, সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চেয়েছিলেন। ‘ব্যালেট ওভার বুলেট’-এর স্বপ্নই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপত্য়কায় ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।”

    আরও পড়ুন: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা

    ২০১৪ সালের পরে আবার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অবশ্য পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার (Elections Commission of India) রাজীব কুমার বলেন, “কাশ্মীরী পরিযায়ী ভোটারদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্পেশাল বুথ তৈরি করা হবে। ভোটারদের সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্তকরণ ও ভোটদান প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের জন্য সবরম প্রস্তুতি নেবে কমিশন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: বিজেপির ধর্নায় উত্তেজনা, মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দলের

    RG Kar Incident: বিজেপির ধর্নায় উত্তেজনা, মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) তরুণী ডাক্তার খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে বিজেপির ধর্না কর্মসূচি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা শ্যামবাজারে। ১৪ আগস্ট রাতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন-প্রতিবাদের মাঝেই হামলা চলে আরজি করে। ভাঙচুর চলে হাসপাতালের একাধিক জায়গায়। সেই হামলার প্রতিবাদে এবং আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় (RG Kar Incident) বিচার চেয়ে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এদিন শ্যামবাজারে ধর্নায় বসার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের। কিন্তু শুক্রবার সকাল হতেই অভিযোগ ওঠে অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার। পরে একে একে বিজেপির নেতা-নেত্রীরা হাজির হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করতেই নতুন করে বাড়ে উত্তেজনা। পুলিশ আটকাতে গেলে, রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।

    বিজেপির অভিযোগ (BJP Workers) 

    এদিন ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পথ অবরোধের পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। স্থির হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের অদূরে শ্যামবাজার ১ নম্বর মেট্রো স্টেশনের কাছে ধর্নামঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ চলবে। মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে গতকালই মঞ্চ বেঁধেছিল গেরুয়া শিবির। শুক্রবার ওই ধর্নামঞ্চে অবস্থানে বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মঞ্চ বাঁধার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে বিজেপি যুব মোর্চার দাবি, ভোর পাঁচটাতেও ধর্নামঞ্চে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা গিয়ে দেখেন ধর্নামঞ্চ উধাও। এ ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পুলিশই মঞ্চ খুলে নিয়ে গিয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 

    বিজেপি নেতা-নেত্রীকে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    এই ঘটনার পরে ওই জায়গাতেই ফের মঞ্চ বাঁধার তোড়জোড় শুরু করে বিজেপি। জানা গিয়েছে, সেই সময়ই বিজেপি নেতা-কর্মীদের (BJP Workers) বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। পরে হাজির হন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। পুলিশ তাদের আটকাতে গেলে, রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বিজেপি নেতা উমেশ রায় সহ একাধিক নেতা-নেত্রীকে কার্যত চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‌্যাফ। কাঁদানে গ্যাস নিয়েও হাজির হয় পুলিশ। ফলে সব মিলিয়ে তৈরি হয় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। 

    আরও পড়ুন: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার (RG Kar Incident) 

    এ ঘটনা প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পল সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের (BJP Workers) অভিযোগ, রাজ্য সরকার আরজি কর-কাণ্ডে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে, আর যাঁরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের গায়ের জোরে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর পরেই অগ্নিমিত্রা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘বুধবার রাতে আরজি করে হামলার ঘটনায় পুলিশের কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি, অথচ বিজেপির ধর্নায় কেন এত তৎপর পুলিশ?’’ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্রভাবশালীর আত্মীয় আরজি করের ঘটনায় যুক্ত। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী বা পুলিশ প্রশাসন কারও ওপর আমাদের ভরসা নেই।” এরপরেই পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আদালতে যাচ্ছি..।’’
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    RG Kar Incident: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। বুধবার রাতে রাস্তায় নেমেছিলেন মহিলারা। শনিবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আইএমএ। আর লাগাতার এই আন্দোলনে চরম ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। আন্দোলনেও সামিল হয়েছে নেটিজেনরা। সমাজ মাধ্যমে আরজি করকে সামনে রেখে একের পর এক জ্বালাময়ী পোস্ট তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। তাই, নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে আসরে নেমেছে মমতার পুলিশ (Kolkata Police)। এমনিতেই রাজধানীর বুকে ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকে তথ্য লোপাট করতেই ব্যস্ত ছিল পুলিশ। যতদিন পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ছিল মূল অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে করা পোস্ট ডিলিট করতে তারা বাড়ি বাড়ি ছুটছে। এমনই অভিযোগ নেটিজেনদের। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

    লেখক শেফালি বৈদ্যকে হুমকি চিঠি পুলিশের! 

    বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পোস্ট ডিলিট করে দিন। আর ভবিষ্যতে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সেটা মেনে না চললে আইনের নির্দিষ্ট ধারার আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RG Kar Incident)। এমন কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন। লেখক শেফালি বৈদ্য অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে স্রেফ কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে হুমকি (Kolkata Police) দেওয়া চিঠি পেলাম। কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর যে দমিয়ে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটা।’’

    দুষ্কর্মের টাকার যেত তৃণমূল নেতাদের পকেটে!

    সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের নির্দেশে ‘ভয়’ পেয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন না। বরং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে, তারপর নিজের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। দেবায়ন সেন নামে এক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যে পোস্টটি ডিলিট করতে বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাতে দেবায়নবাবু লিখেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়নি, নিহত চিকিৎসক আরজি কর মেডিক্যালে ড্রাগ, যৌন, ওষুধ ও অঙ্গ পাচার চক্রের ব্যাপারে জেনে ফেলেছিলেন। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। এই সব দুষ্কর্মের টাকার একাংশ তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেত। এখন সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    কী বললেন সুকান্ত?

    সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট (RG Kar Incident) ডিলিট করতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছেন নোটিশ প্রাপকরা। শুক্রবার এক পোস্টে সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘নোটিশ পাঠিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের পুলিশ। যারা সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতি: আমরা তৃণমূলের পুলিশের হুমকিতে ভয় পাই না। আমরা লক্ষ্যে অবিচল অটল দৃঢ়তায় ন্যায়ের লক্ষ্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বাক স্বাধীনতা হরণ করতে কলকাতা পুলিশ নোটিশ পাঠিয়ে যাক।’’ সুকান্তবাবু তাঁর পোস্টে ৩ জনকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার পাঠানো নোটিশ প্রকাশ করেছেন। সাইবার ক্রাইম থানার ডেপুটি কমিশনারের তরফে নোটিশগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্ট ডিলিট না করলে তা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ গণ্য হবে বলে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে (RG Kar Incident)।

    To everyone demanding justice for #BengalDoctor :

    We will not be intimidated by TMC police. Our resolve remains unshaken. We will continue to fight for justice with unwavering determination.

    Let TMC police issue notices in an attempt to stifle free speech. pic.twitter.com/6MgYO1YiGx

    আক্রমণ শানিয়েছেন অমিত মালব্য

    এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের ভয় দেখানোর পরিবর্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে (RG Kar Incident) যদি মনোনিবেশ করত কলকাতা পুলিশ, তাহলে কাজে দিত। কলকাতা পুলিশ এবং তাদের মধ্যরাতের ছলচাতুরি কোনওদিন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। রাত ১ টা ৩৭ মিনিটে লোকজনকে পোস্ট ডিলিট করতে বলছে। হাস্যকর।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    RG Kar Incident: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Incident) নিরাপদ নয়, এটা বন্ধ করে রোগীদের অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া ভালো, এমনই অভিমত হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম৷ পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা দিয়ে তাদের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলেছেন তিনি৷ আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷

    পুলিশকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় যখন ফুঁসছে গোটা দেশ, তারই মধ্যে বুধবার রাতে হামলা। ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে আরজি করের ইমার্জেন্সি বিভাগ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেই অভিযোগ। সেই ঘটনার পর এবার কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই ঘটনায় শুক্রবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়, রাজ্য তথা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কার্যত বিরক্ত প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা কোথায়?

    এদিন শুনানির শুরু থেকেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা কোথায়? এভাবে কি আদৌ হাসপাতাল চালানো সম্ভব। এদিন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলে দেন, আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিন্দনীয়। তিনি বলেন, “হাসপাতাল বন্ধ করে দিন, আমরা রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলছি৷” এদিন  আদালত প্রশ্ন তুলেছে, ১০০ জন লোক জড় হলেও পুলিশের কাছে খবর থাকা জরুরি, তাহলে ৭০০০ লোকের উপস্থিতি কেন বোঝা গেল না? পুলিশের ইনটেলিজেন্সের কাছে কোনও খবর ছিল না ? এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দু-সুকান্তর, চিঠি গেল শাহ-মন্ত্রকে

    সন্দীপ ঘোষকে ধমক

    শুক্রবার পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এদিনই দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদনও জানান সন্দীপবাবু। সেই শুনানি চলাকালীন অধ্যক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সবটাই আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি খুবই ক্ষমতাশালী। আপনি আমাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন। বাড়িতে শান্তিতে থাকুন। না হলে বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব।”

    “রাজ্যের গালে থাপ্পড়”

    বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে বলেন, “আদালত জানে যে আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতাল বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করেই এ কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এটা রাজ্যের গালে থাপ্পড় বলতে পারেন। আমরা রাজ্যের কাছে আর কিছু আশা করছি না। মানুষ এবার এই সরকার পরিবর্তন করুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ! স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে গেল ইসরোর ক্ষুদ্রতম রকেট

    ISRO: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ! স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে গেল ইসরোর ক্ষুদ্রতম রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই ইসরোর নয়া সাফল্য। শুক্রবার সকালে শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সফলভাবে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর (ISRO) নতুন মিশন ইওএস-০৮ (EOS-08)। তবে, এই অভিযানে এই স্যাটেলাইটটি নয়, বরং সকলের চোখ ছিল এর বাহক, ‘স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল ডি৩’-এর (SSLV D3) দিকে। কারণ, এটিই হল ইসরোর তৈরি সবথেকে ছোট রকেট। অতি সম্প্রতি, ইসরো এই রকেটটি তৈরি করেছে। 

    এই বেবি রকেটের কিছু বিশেষত্ব (SSLV launch) 

    গত বেশ কয়েকবছর ধরেই ছোট আকারের রকেট তৈরি নিয়ে কাজ করছে ইসরো (ISRO)। এই অভিযান ইসরোর মিশন স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের চূড়ান্ত সংস্করণের প্রথম উড়ান। ৩৪ মিটার এই রকেটটি ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের ছোট উপগ্রহগুলি বহন করতে পারে। ছোট আকারের স্যাটেলাইটগুলিকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করার জন্যই এই রকেটটির নকশা করা হয়েছে।  

    ইওএস-০৮ স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য

    ইওএস-০৮ স্যাটেলাইটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৭৫ কিলোমিটার উচ্চতায় লো-আর্থ অরবিটে স্থাপন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এটি এক বছরের জন্য কাজ করবে। ১৭৫.৫ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি প্রায় ৪২০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে। যে পেলোডগুলি রয়েছে স্যাটেলাইটটিতে, সেগুলি আসন্ন গগনযান মিশনে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। এই স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য হল পরিবেশ এবং দুর্যোগ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদান করা। 
    যদিও স্বাধীনতা দিবসের সকালেই এই রকেট (SSLV launch) উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু, কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য তা করা যায়নি। তার বদলে, স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন অর্থাৎ ১৬ অগাস্ট অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের প্রথম লঞ্চ প্যাড থেকে, সকাল ৯টা বেজে ১৯ মিনিটে যাত্রা শুরু করে রকেটটি। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণ একেবারে সফল। ইসরো সফলভাবে ইওএস-০৮ এবং এসএসএলভি ডি৩-কে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। পাশাপাশি ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। পুরো দলকে অভিযানের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাই।’

    আরও পড়ুন: ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    ইসরোর প্রশংসা করলেন বিজ্ঞানমন্ত্রী (ISRO) 

    কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ইওএস-০৮ এবং এসএসএলভি-ডি৩ (SSLV launch) মিশনের সফল উৎক্ষেপণের জন্য ইসরো দলের প্রশংসা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘‘ইওএস-০৮ এবং এসএসএলভি ডি৩ মিশনের সফল উৎক্ষেপণের জন্য ইসরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় টিম ইসরো ধারাবাহিকভাবে একের পর এক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দু-সুকান্তর, চিঠি গেল শাহ-মন্ত্রকে

    RG Kar Incident: আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দু-সুকান্তর, চিঠি গেল শাহ-মন্ত্রকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত আরজিকর (RG Kar Incident)। পড়ুয়া চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল বাংলা। বিচারের দাবিতে সরব আমজনতা। চিকিৎসকদের আন্দোলনের অভিমুখ ঘোরাতে তৎপর রাজ্য সরকার। চলছে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, এমনই দাবি বিরোধীদের। বুধবার মধ্যরাতে একদল দুষ্কৃতীর তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন আরজি করের আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওই ঘটনায় এবার আরজিকরের সামনে অবিলম্বে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ।

    চিঠিতে কী বলেছেন শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আরজি করে (RG Kar Incident) ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বাকি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে বুধবার মধ্যরাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই মর্মেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবকে আরজি কর-এ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি ফের যাতে নথি নষ্ট না করা হয় সে ব্যাপারে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকেও চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে শুভেন্দু নিজেই এখবর জানান। টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘পুলিশ এবং তৃণমূলের মদতেই আরজি করে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত। ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ আগেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটে উঠে পড়ে লেগেছিল। যেটকু তথ্যপ্রমাণ অবশিষ্ট ছিল, তা নষ্ট করতে বুধবার রাতে হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হয়েছে।’’

    কেন আবেদন

    আরজি করে (RG Kar Incident) মধ্যরাতে হামলার ঘটনায় বাংলায় সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। সুকান্ত বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সেনাকে ডাকতে হবে!’’ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, হামলার সময় পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে টয়লেটে লুকিয়ে ছিল! দুষ্কৃতীরা ফের হামলার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। তাই আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IMA: আরজি কর কাণ্ডের জের, শনিবার দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিল আইএমএ

    IMA: আরজি কর কাণ্ডের জের, শনিবার দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিল আইএমএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনায় লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে কর্মবিরতিও চলছে। বুধবার রাতে রাজ্যের মহিলারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এবার এই প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দিল ডাক্তারদের সর্বভারতীয় সংগঠন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA) । ২৪ ঘণ্টার জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল তারা।

    কী জানাল আইএমএ? (IMA)

    বুধবার আরজি করের নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি থেকে বাংলায় আসেন কেন্দ্রীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র (IMA) সভাপতি আর ভি অশোকান এবং সর্বভারতীয় সম্পাদক। বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আপৎকালীন বৈঠকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এক বিবৃতিতে ডাক্তারদের সংগঠনটি বলেছে, ‘‘শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করল আইএমএ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপৎকালীন পরিষেবা ছাড়া ওই ২৪ ঘণ্টা অন্য সবরকম পরিষেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন চিকিৎসকরা। সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু থাকবে। হতাহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ওপিডি-র নিয়মিত কাজকর্ম হবে না এবং ইলেকটিভ সার্জারি (যেগুলি পরে করলেও অসুবিধা নেই) করা হবে না। যেখানে যেখানে আধুনিক মেডিসিনের ডাক্তাররা পরিষেবা দেন, সেই সকল সেক্টরে পরিষেবা প্রত্যাহার করা হবে।’’ ডাক্তারদের ন্যায়সঙ্গত কারণের সঙ্গে গোটা দেশের সহানুভূতি চাইছে আইএমএ।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    দেশজুড়ে কর্মবিরতি

    বুধবার রাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্যে লুকিয়েই একদল দুষ্কৃতী আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ‘ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ বা ‘ফোরডা’ও বৃহস্পতিবার থেকে ফের ধর্মঘট শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে, ১৩ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ডাক্তারদের এই সংগঠন। এদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফোরডা বলেছে, ‘‘এরপর থেকে যে যে ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে বুধবার রাতের হিংসা, তা আমাদের সবাইকে হতবাক ও ব্যথিত করেছে। এটা আমাদের পেশার এক অন্ধকার অধ্যায়। একটি সমিতি হিসেবে, আমরা আমাদের সহকর্মী আবাসিক চিকিৎসকদের সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।’’ খুনের ঘটনায় ফের দেশজুড়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত রেসিডেন্ট ডাক্তারদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানায় আবাসিক চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা)। এবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিল দেশের মধ্যে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) (IMA)।

    প্রতিবাদে যাদবপুরের অধ্যাপকরা

    অন্যদিকে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা কর্মবিরতির ডাক দিলেন। দুপুর একটা থেকে তিনটে অরবিন্দ ভবনে অবস্থান- বিক্ষোভ। আর পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: থিসিসে সই পেতে হলে দিতে হবে ‘বাড়তি’ মূল্য! রাজি ছিলেন না নির্যাতিতা, তাই কি ‘শাস্তি’?

    RG Kar: থিসিসে সই পেতে হলে দিতে হবে ‘বাড়তি’ মূল্য! রাজি ছিলেন না নির্যাতিতা, তাই কি ‘শাস্তি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে সাত দিন! কিন্তু একের পর এক প্রশ্ন উঠছেই! আর বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে‌ কলেজ কর্তৃপক্ষ! আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক বার উঠে আসছে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল, সেই প্রশ্ন! জুনিয়র চিকিৎসক, বিশেষত ইন্টার্ন এবং স্নাতকোত্তর ট্রেনিদের একাংশের অভিযোগ, নানান অবৈধ লেনদেনে অংশ নিতে না চাওয়ার জেরেই এই পরিণতি (Punishment) ঘটতে পারে! বিশেষত, হাউজস্টাফ এবং স্নাতকোত্তর ট্রেনিদের রেজাল্ট এবং সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে যে ধরনের দুর্নীতি হয়, তা নিয়ে নির্যাতিতা একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর নানান সময়ে বচসাও হয়েছিল। এমনটাই জানাচ্ছে স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের একাংশ।

    কী অভিযোগ আরজি কর হাসপাতালের স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের? (RG Kar)

    নির্যাতিতার মৃত্যুর পরেই একাধিক অভিযোগ নিয়ে সামনে এসেছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। ওই হাসপাতালের স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমডি কিংবা এমএস কোর্সে থিসিস খুব জরুরি। চিকিৎসক-পড়ুয়া পাশ করবেন‌ কিনা, তার অনেকটাই নির্ভর করে তাঁর থিসিসের ওপরেই। আর এই থিসিস হাসপাতালে করতে হয়। দরকার হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সই।‌ বিভাগীয় প্রধান ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাহায্য ছাড়া এই ধরনের থিসিসের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয় না। আর এখানেই চলে নানান দুর্নীতি। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক কার্যত একটি চক্র চালাতেন। বাড়তি অর্থ দাবি করতেন। সেই অর্থ দিলে তবেই স্নাতকোত্তর পড়ুয়ার থিসিসে সই হবে। শুধু স্নাতকোত্তর পড়ুয়া নয়, হাউজস্টাফ এবং ইন্টার্নদের থেকেও অর্থ দাবি করা হত। দাবি মতো অর্থ না দিলে এমবিবিএস কোর্সের ফাইনাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ উঠছে।

    কেন সমস্যা হয়েছিল?

    জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নির্যাতিতা এই অসাধু লেনদেনে নারাজ ছিলেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলেজের (RG Kar) একাধিক বেআইনি কাজ নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পাশপাশি, থিসিসে সই পেতে বাড়তি অর্থ দেওয়ায় তিনি অসম্মত হয়েছিলেন। এই নিয়ে বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গেও তাঁর মতান্তর হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই অনৈতিক লেনদেন তিনি মানতে নারাজ ছিলেন। আর তার জেরেই শাসক দলের একাংশের তাঁর প্রতি রাগ ছিল। এমনই অভিযোগ করছে ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? (RG Kar)

    রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে,‌ আরজি কর হাসপাতালের এই দুর্নীতি কোনও ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এই অসাধু চক্র চলছে। প্রশাসন সব কিছু জানার পরেও অধিকাংশ সময়েই কোনও পদক্ষেপ করে না। এমবিবিএস কোর্সে কে ইন্টার্ন হওয়ার সুযোগ পাবে, কোন‌ বিভাগে‌ কে হাউজস্টাফ হিসেবে কাজ করবে কিংবা স্নাতকোত্তর কোর্সে থিসিসে সই কিংবা নম্বর কতখানি‌ দেওয়া হবে, সব কিছু মেধার দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছে না। বরং, এই সব কিছুর জন্য নির্দিষ্ট ‘দাম’ নির্ধারণ করা হচ্ছে। অভিযোগ জানানোর পরেও অনেক সময়েই কাজ হচ্ছে না। বরং যাঁরা অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাঁদের প্রাপ্য হচ্ছে ‘শাস্তি’ (Punishment)। অনেক সময়েই রাজ্যের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বহু পড়ুয়া মাঝপথেই পড়া ছেড়ে দিচ্ছেন। পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Direct Action Day: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    Direct Action Day: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে বাংলাদেশ। মনের হিংসা পুড়িয়ে দিচ্ছে সভ্যতার দলিল। উন্মত্ত জনতার হাতে বলি হচ্ছে বহু হিন্দু পরিবার। বলি হচ্ছে বিএনপি-জামাত বিরোধীরা। খুন করে উল্টে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেহ। আজ যখন বাংলাদেশে এই অবস্থা, তখন আমরা একটু পিছন দিকে ফিরে দেখার চেষ্টা করব (Direct Action Day)।

    ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট…

    সময়টা ছিল ১৯৪৬। তখনও দেশ ভাগ হয়নি। তবে স্বাধীনতার তোড়জোড় চলছে। দেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ব্রিটেন থেকে পাঠানো হয়েছে ক্যাবিনেট মিশনকে। দিল্লিতে থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন ভাইসরয় লর্ড ওয়েভেল। প্রায় প্রতিদিনই আলোচনা চলছে। মুসলিম লিগ আলাদা পাকিস্তানের দাবিতে অনড়।

    পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি (Direct Action Day)

    ১৯৪০ সালের লাহোর অধিবেশন থেকেই মুসলিমদের আলাদা দেশ তৈরির জন্য উঠে পড়ে লাগেন মহম্মদ আলি জিন্না। চল্লিশের দশকের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অশান্তির ঘটনা।অবিভক্ত বাংলায় তৈরি হয় সুরাবর্দীর সরকার। মনে রাখতে হবে, সেসময় অখন্ড বাংলায় মুসলিমদের সংখ্যা সামান্য বেশি ছিল। হিন্দুরা ছিল ৪৭ শতাংশ। মুসলিম প্রায় ৫২ শতাংশের ওপর। এই প্রেক্ষিতেই প্রাদেশিক সরকার তৈরি করে মুসলিম লিগ। যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দী। (সেই সময় বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছিল না। প্রদেশের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই উল্লেখ করা হত।)

    তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। চার্চিলের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ক্লেমেন্ট অ্যাটলি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৯৪৮ সালের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে। কিন্তু কীভাবে এই কাজটা হবে, কতটা মসৃণভাবে করা যাবে, তার জন্যই চলছে আলোচনার পর আলোচনা। নেহরুর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে মুসলিম লিগ কখনও ঢুকছে, কখনও বেরোচ্ছে। বলা চলে, সরকার গঠন নিয়ে খেলা করছে। এই পরিস্থিতিতেই ১৯৪৬ সালের ৭ এপ্রিল দিল্লিতে ৩ দিনের কনভেনশনের ডাক দেন জিন্না। সেখানে ডাকা হয় লিগপন্থী সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রাদেশিক নেতাদের। বাংলা থেকে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য একটা গোটা ট্রেনেরই ব্যবস্থা করে ফেলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। তাতে অংশ নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুরও। তিনি তখন কলকাতার কলেজের ছাত্র। 

    ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক জিন্নার 

    এই কনভেনশন থেকেই ১৬ অগাস্ট দেশজুড়ে ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’ (Direct Action Day) বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন জিন্না। স্লোগান ওঠে, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান। মানে, যে কোনও ভাবেই হোক আদায় করতে হবে পাকিস্তান। হিসেব বলছে, দেশে তখন প্রায় ৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় দশ কোটি। এর মধ্যে বাংলা ও পাঞ্জাবে সংখ্যায় বেশি মুসলিমরাই। 

    ডায়রেক্ট অ্যাকশন প্ল্যান ডাক দেওয়াই নয়, সেই মতো প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে এর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৬ অগাস্ট সরকারি ভাবে ছুটি ঘোষণা করেন তৎকালীন অখণ্ড বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র আজাদের সম্পাদকীয়তে লেখা হল, ১৬ অগাস্ট থেকে পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ শুরু হবে। মৌলানা আক্রম খান পবিত্র রমজান মাসে কাফেরদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার দায়িত্ব স্মরণ করালেন। আর শুক্রবার ময়দানে জমায়েতের ডাক দিল মুসলিম লিগ। 

    মুসলিম জনতাকে উত্তেজিত করে সুরাবর্দীর ভাষণ

    সেদিন দুপুর ২টোর দিকে সমাবেশ শুরু হয়, যদিও নামাজের পর থেকেই কলকাতার সব জায়গা থেকে মুসলমানদের মিছিল জড়ো হতে শুরু করে (The Great Calcutta Killing)। অংশগ্রহণকারীদের একটি বিশাল অংশের হাতে ছিল লোহার রড ও লাঠি। সমাবেশে হাজির ছিল বিপুল মানুষ। প্রধান বক্তা হিসাবে খোয়াজা নাজিমউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী হোসেন শাহিদ সুরাবর্দী ছিলেন। তাঁরা সেই অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মুসলিম জনতাকে যথেষ্ট উত্তেজিত করলেন, গর্জন উঠতে থাকল সভা থেকে। দীনেশ চন্দ্র সিনহা তাঁর ১৯৪৬ কলকাতা হত্যা বইতে লিখেছেন, সুরাবর্দী নাকি সেখানে বলেছিলেন, তোমাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল, যা করার তাই করো। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে জানা যাচ্ছে, সোরাবর্দীর প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল – যাতে কোনও পুলিশ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে আটকাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

    মৃত ২ হাজার, আহত ৮ হাজারের বেশি

    সেই সময়ের হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড কাগজের প্রথম পাতায় খবরে দেখা যাচ্ছে, তিন দিনের হিংসায় ২ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮ হাজার জন (Direct Action Day)। সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। হাসপাতালে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছিলেন এবং রেড ক্রস সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, অনেকেই সেদিন হাসপাতালে যেতে পারেননি। রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। 

    ১৬ অগাস্ট সকাল দশটা পর্যন্ত সব কিছু শান্তই ছিল। ৩০ অগাস্টের পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে জানা যাচ্ছে, আড়াইশ-তিনশ জন মুসলিম আচমকা হামলা শুরু করে চোরবাগান এলাকায়। লাঠি, ছুরি, কুকরি নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই এলাকায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ১৮ বছরের ছেলেকে কুপিয়ে মারে। এরপর এগিয়ে যায় মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের দিকে। সেখান থেকে ফিরে এসে একটি ধরমশালায় ঢুকে ৬ জনকে কুপিয়ে মারে। চলে নির্বিচারে লুঠপাট। 

    কিশোরীকে চৌরাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয় 

    হ্যারিসন রোড ও ধর্মতলা স্ট্রিটে কয়েক হাজার দোকান ও বাড়িতে লুঠপাট করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। সোনার দোকান থেকে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবরের কাগজ থেকে জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার দোকান ও বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ক্ষতি হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা (The Great Calcutta Killing)। 

    ১৬ অগাস্ট দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে মানিকতলা, টেরেটি বাজার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, বিডন স্ট্রিট এলাকায়। শিয়ালদা স্টেশনের কাছে এক হিন্দু পরিবারকে কোপানো হয়। ওই পরিবারের কিশোরী কন্যাকে চৌরাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয়। ধর্মতলা, রিপন স্ট্রিট, চাঁদনি চক, গরপার, হ্যারিসন স্ট্রিট, মল্লিক বাজার — এসব এলাকায় দাপাতে শুরু করে মুসলিম ন্যাশনাল গার্ডের দাঙ্গাকারীরা।

    শহরে রক্তগঙ্গা বয়েছিল, আকাশ ঢেকেছিল শকুনে

    ১৬ অগাস্ট নরসংহারের সবচেয়ে বড় ছবি পাওয়া যায় মেটিয়াবুরুজে (Direct Action Day)। সেখানে ৬০০ জন হিন্দু খুন হন। তাদের বেশিরভাগই ওড়িয়া। তাঁরা থাকতেন কেশোরাম কটন মিলের পিছনে। লিচুবাগানে। সকলেই শ্রমিক। এই হামলা চলাকালীন দিলখুশ স্ট্রিটে চলচ্চিত্র অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাড়ির ওপর আক্রমণ হয়। নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকারের বড় ছেলেকে। মৃত্যু হয় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ভীমচন্দ্র নাগের সন্তানের। বলা হয়, এত লাশ পড়েছিল সেদিন যে শহরে রক্তগঙ্গা বয়েছিল। কলকাতার আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল শকুনে।

    আজও বন্ধ ভিক্টোরিয়া কলেজের সেই হলঘর

    তবে, নৃশংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা গিয়েছিল ভিক্টোরিয়া কলেজে। সেখানে ঢুকে একের পর এক হিন্দু মেয়েদের গণধর্ষণ করে লিগের গুন্ডারা।  তাদের জনপ্রিয় স্লোগান ছিল, ‘হাতে বিড়ি মুখে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান।’ শুধু তাই নয়, রাজাবাজারের মাংসের দোকানে হিন্দু মেয়েদের নগ্ন দেহ হত্যা করার পর টাঙিয়ে দেওয়া হয়। হত্যার পর কয়েকজনের বক্ষদেশ শরীর থেকে আলাদা করে কলেজের দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছিল গুন্ডারা। শোনা যায়, কলেজের যে হলে ওই নৃশংস কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তা সেদিন থেকে তালাবন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে।

    গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে প্রতিরোধ হিন্দুদের (The Great Calcutta Killing)

    ক্রমশ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে হিন্দুরাও আত্মরক্ষার জন্য জায়গায় জায়গায় সঙ্ঘবদ্ধ হতে শুরু করে। এই সময় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। যিনি এলাকায় পরিচিত গোপাল পাঁঠা নামে। বউবাজার এলাকায় তাঁদের পারিবারিক মাংসের দোকান ছিল। তাই ওই নামেই সবাই তাঁকে চিনত। তাঁর কাকা ছিলেন বিপ্লবী বিপিন বিহারী গাঙ্গুলির অনুগামী অনুকূল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকেই নেতাজি সুভাষ, অরবিন্দ ঘোষের গুণমুগ্ধ ছিলেন গোপাল। শরীর গঠনের জন্য তাঁদের একটি দলও ছিল। নাম ভারত জাতীয় বাহিনী। তিনি যখন দেখেন, মুসলিম লিগের পোশা গুণ্ডা মীনা পেশোয়ারি, বোম্বাইয়ার মতো দাঙ্গাবাজরা এলাকায় হিন্দুদের কচুকাটা করছে, তখন দলবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোপাল। একজন হিন্দু মারা গেলে ১০ জন মুসলিমকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁকে নিরস্ত হওয়ার ডাক দেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু গোপাল বলেন, আগে দাঙ্গা বন্ধ হোক, তারপর তিনি চুপ করবেন। 

    গোপাল পাঁঠার কাছে হার মানে দাঙ্গাবাজরা

    তাঁর একরোখা মানসিকতার কাছেই হার মানে দাঙ্গাবাজরা (Direct Action Day)। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেনা নামানোর জন্য আর্জি জানান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দী। তবে তার আগেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কলকাতা ছাড়েন অসংখ্য লোক। এই দাঙ্গাকেই ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ (The Great Calcutta Killing) বলে অভিহিত করা হয়। মুলত তাঁদের এই রুখে দাঁড়ানোতেই থমকে যায় মুসলিম লিগ। থমকে যায় ইংরেজ সরকারও। কারণ, মুসলিম লিগ প্ল্যান করেছিল, কলকাতা সহ গোটা বাংলাকেই পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার। কিন্তু সেসময় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। হিন্দুদের জন্য আলাদা হোমল্যান্ডের দাবি করেছিলেন তিনি। এই উদ্যোগে সামিল হন অনেকেই। শেষে হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়। 

    বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অন্ধকার অধ্যায়

    তবে চিরকালের জন্য বাংলার বুকে ঘা রেখে যায় ১৬ অগাস্টের দাঙ্গা (The Great Calcutta Killing)। যেদিন মুসলিমদের জন্য পৃথক দেশের দাবি তুলে নিধন যজ্ঞে সামিল হয় এক শ্রেণির গুন্ডা। আর তাতে সরাসরি প্ররোচনা দেয় শাসক পক্ষ। নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে মানুষ খুন করতেও যারা পিছপা হয়নি। ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট (Direct Action Day), বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rabindranath Tagore: জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন কবিগুরু, প্রকাশ্যে সেই পাণ্ডুলিপি

    Rabindranath Tagore: জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন কবিগুরু, প্রকাশ্যে সেই পাণ্ডুলিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত ‘জন-গণ-মন’ ইংরেজিতেও লেখা হয়েছিল। আর সেটা লিখেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) স্বয়ং। এই তথ্য অনেকের কাছেই হয়তো অজানা। বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সঙ্গীতের একটি পাণ্ডুলিপির ছবি পোস্ট করল নোবেল পুরস্কার কমিটি। পাণ্ডুলিপিটি ইংরেজি ভাষায়। শিরোনাম ‘দ্য মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া’। অর্থাৎ ‘ভারতের প্রভাতী’। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ওই ইংরেজি পাণ্ডুলিপি আদতে ‘জন-গণ-মন অধিনায়ক’ গানটিরই ইংরেজি তর্জমা।

    গানটির ইংরেজিতে অনুবাদ হয় অন্ধ্রপ্রদেশে (Rabindranath Tagore)

    রবীন্দ্র গবেষকেরাই জানাচ্ছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মদনপল্লিতে বিশ্বকবির বন্ধু আইরিশ ভাষার কবি জেমস এইচ কাজিন্স থাকতেন। তিনি ছিলেন সেখানকার বেসান্ত থিওজফিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর আমন্ত্রণে কবি সেখানে গিয়েছিলেন। কবিগুরু (Rabindranath Tagore) তাঁকে গানটি বাংলায় গেয়ে শোনান। পরে, তাঁর অতিথি হয়ে থাকাকালীনই গানটির ইংরেজি অনুবাদও করেন। কবিগুরুর হস্তাক্ষরে সেই অনুবাদ এখনও ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা আছে মদনপল্লির ওই কলেজের গ্রন্থাগারে। নোবেল কমিটি ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তারই ছবি প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, “জনগণমন হল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। যা প্রথমে বাংলায় লিখেছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাঁকে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল।”

     

    style=”text-align: justify;”> 

    ‘জন-গণ-মন অধিনায়ক’ গানটি প্রথম কবে গাওয়া হয়?

    জানা গিয়েছে,’জন-গণ-মন অধিনায়ক’ গানটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয় ১৯৫০ সালে। রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) মৃত্যুর ন’বছর পরে। তবে, গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া ওই গানটির পরিচালনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের বড় দাদার পৌত্র দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার পরের দিন ‘দ্য বেঙ্গলি’ পত্রিকায় ওই অধিবেশনের খবরের পাশাপাশি গানটির ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশিত হয়।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    নেটিজেনরা কী বললেন?

    ইংরেজিতে লেখা এই কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন- আমরা সবাই ছোটবেলায় জাতীয় সঙ্গীত মুখস্ত করে রেখেছিলাম এবং আজ পর্যন্ত আমরা তা ভুলতে পারিনি, এটা গুরুদেবের (Rabindranath Tagore) লেখার জাদু মাত্র। তৃতীয় ব্যবহারকারী লিখেছেন, যে আমি একজন ভারতীয় এবং আমি গর্বিত যে আমি সেই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো একজন মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share