Tag: bangla news

bangla news

  • Daily Horoscope 05 July 2025: স্বপ্ন পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 05 July 2025: স্বপ্ন পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ।

    ২) ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা থাকবে।

    ৩) পেশাগত জীবনে ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেবে।

    বৃষ

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

    ২) পেশাগত জীবনে ব্যস্ত থাকবেন।

    ৩) পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন।

    মিথুন

    ১) ধন আগমনের পথ প্রশস্ত হবে।

    ২) স্টক মার্কেটে লগ্নি করবেন না।

    ৩) পেশাগত জীবনে উন্নতির একাধিক সুযোগ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করুন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) সিঙ্গলরা প্রেমের প্রস্তাব পাবেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ।

    ২) পারিবারিক জীবনে আনন্দ থাকবে।

    ৩) স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    কন্যা

    ১) পড়াশোনায় ভালো ফল করবেন।

    ২) সকলে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

    ৩) সম্পত্তি বিবাদ এড়িয়ে যান।

    তুলা

    ১) পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    ২) কেরিয়ারে উন্নতির নতুন সুযোগ পাবেন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় ব্যাপক সাফল্য পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক বিষয়ে কারও ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করবেন না, লোকসান হতে পারে।

    ২) আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে।

    ৩) কেরিয়ারে উন্নতি লাভ করবেন।

    ধনু

    ১) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবেন।

    ২) চাকরিতে পদোন্নতির যোগ রয়েছে।

    ৩) ছোট ভাই-বোনের সাহায্য করতে হবে।

    মকর

    ১) পেশাগত জীবনে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) পড়াশোনায় ভালো ফল পাবেন।

    ২) সামাজিক পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) পারিবারিক জীবন আনন্দে কাটবে।

    মীন

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) অবসাদ মুক্ত হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই হতে পারে এই বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল থেকেই মুখভার কলকাতার। যমজ শহর হওড়ায়ও এদিন সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। টিপটিপ করে বৃষ্টিও (Heavy Rain) হয়েছে। আরও কিছুদিন আবহাওয়া থাকবে এমনই। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে দেখা দিতে পারে দুর্যোগের ঘনঘটা।

    হাওয়া অফিসের খবর (Weather Update)

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিকানের, জয়পুর, আসানসোল এবং কলকাতার ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমি অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় বঙ্গের উত্তরভাগে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। আরও একটি উচ্চ অক্ষরেখা গিয়েছে গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের ওপর দিয়ে। সেটি মিশেছে ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ুও। এই ত্র্যহস্পর্শেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। আগামী চারদিনের পূর্বাভাস দিয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।

    ভারী বৃষ্টি

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে। বাকি জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়ায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনায়। রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হতে পারে ভারী বর্ষণ।

    ভারী বৃষ্টি হতে পারে সোমবারও। এদিন পুরুলিয়া (Heavy Rain), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে (Weather Update)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, শনি ও রবিবার বৃষ্টির দাপট তুলনামূলকভাবে কম থাকবে। সোমবার থেকে ফের হতে পারে ভারী বর্ষণ। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই পর্বে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংয়ে (Weather Update)।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচলিত প্রথা মেনেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। সেই অধিকার থাকবে তাঁদের সংস্থা গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই।

    ভারতের জবাব (Dalai Lama)

    তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। শি জিনপিংয়ের নাম না নিয়েই এর জবাব দিল ভারত (India Slams China)। তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচনে চিনের নাক গলানোর বিষয়টি যে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সেকথা শি জিনপিংয়ের দেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান দলাই লামার হাতেই। সাংবাদিক বৈঠকে রিজুজু বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন দলাই লামা। তাঁর অনুগামীরা চাইছেন, দলাই লামার ইচ্ছে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাই উত্তরসূরি বেছে নিক। এর বাইরে অন্য কারও এই প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অধিকার নেই।”

    তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন

    ৬ জুলাই ধর্মশালায় পালিত হবে তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। থাকবেন আরও এক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জনও। ৯০তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগেই বুধবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলাই লামা। তিনি জানিয়েছিলেন, ছ’শো বছরের প্রাচীন প্রথা ও ঐতিহ্য মেনেই চলবে আমাদের সংস্থার কাজকর্ম (Dalai Lama)। উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার থাকবে কেবল গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লাসা (তিব্বতের রাজধানী) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। কারণ সেই সময় তিব্বত আক্রমণ করেছিল চিন। তার পর থেকে চিন তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে। পরে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। ওয়াকিবহাল মহলের (India Slams China) মতে, তাঁর সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি কেবল তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়, চিনা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের স্বাধীনতাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে (Dalai Lama)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মহম্মদ ইউনূসের জমানায় ফের হিন্দু খুন (Bangladesh Crisis)! বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ শহরে (Hindu)। সূত্রের খবর, সদ্য মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছিল বছর ষোলোর কিশোর জনি দাস। এদিন গভীর রাতে আচমকাই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে অস্ত্র হাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।

    দুষ্কৃতীকে বাধা দেয় জনি (Bangladesh Crisis)

    জনি প্রথমে তাকে বাধা দেয়। সে চিৎকার করে দাদা সাগর দাস জয়কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। দুই ভাইয়ে আগন্তুককে বাধা দেয়। ধারালো অস্ত্র হাতে ওই ব্যক্তি দুই ভাইয়ের ওপরই হামলা চালায়। আচমকাই দুষ্কৃতিটি বারবার জনিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জখম হন সাগরও। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই দুই ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ভাই সাগর বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    হিন্দু খুনে ফের আতঙ্ক বাংলাদেশে

    জনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই একই সঙ্গে শোক এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা ও ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে দেশের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের একাংশও। হবিগঞ্জ থানার ওসি সজল সরকার বলেন, “আমার মনে হয় ওই ব্যক্তি চুরি করতে (Bangladesh Crisis) ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাধা পেয়ে নির্মমভাবে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বিস্তারিত জানা যাবে তদন্ত শেষ হলে।” শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও আততায়ীকে শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আততায়ীকে (Hindu) দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জনির পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। পরিবারের দাবি, লেখাপড়ায় জনি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সব সময় তার মুখে লেগে থাকত হাসি। সে ছিল পরিশ্রমী ছেলেও। তাই তার এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

    জনির মৃত্যুর পর ফের একবার প্রশ্ন উঠছে (Hindu), ইউনূস জমানায় আদৌ কি নিরাপদ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)?

  • D Gukesh: কালো ঘুঁটিতে খেলে কার্লসেনকে হারিয়ে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন গুকেশ

    D Gukesh: কালো ঘুঁটিতে খেলে কার্লসেনকে হারিয়ে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন গুকেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায় ফের একবার জাগরেবে গুকেশের (D Gukesh) কাছেই হারলেন নরওয়ের তারকা দাবাড়ু (Grand Chess Tour) ম্যাগনাস কার্লসেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কার্লসেনকে হারালেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গুকেশ। সেই সঙ্গে জবাব দিলেন যাবতীয় কটাক্ষেরও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কার্লসেনের কাছ থেকে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষ হজম করতে হয়েছিল গুকেশকে। এদিন সেই কটাক্ষের জবাবই দাবার ৬৪ খোপের লড়াইয়ে দিলেন ভারতীয় দাবাড়ু। গ্র্যান্ড চেস ট্যুরের জাগরেব এডিশনে সুপারইউনাইটেড ব়্যাপিড ২০২৫ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে কার্লসেনকে হারিয়ে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশ। জাগরেবে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে গেলেন তিনি।

    এদিনের ম্যাচটা গুকেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (D Gukesh)

    এদিনের ম্যাচটা গুকেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এই প্রতিযোগিতার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাঁর। পোলান্ডের গ্র্যান্ডমাস্টারের কাছে প্রথম রাউন্ডে হেরে যান তিনি। পরের দু’রাউন্ডে জিতে ফের ফেরেন লড়াইয়ের ময়দানে। কার্লসেনের কাছে হেরে গেলে যে তিনি আরও পিছিয়ে পড়বেন, তা ভালো করেই জানতেন গুকেশ। তাই এদিন কার্লসেনকে মাত দিলেন তিনি।

    কার্লসেনকে গত মাসেই হারিয়েছিলেন

    বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে গত মাসেই ব়্যাপিড অ্যান্ড ব্লিৎজ প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দিয়েছিলেন গুকেশ (D Gukesh)। টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কার্লসেন আর নামেন না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্র্তিযোগিতায়। গতবার দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশ। গত মাসে যখন কার্লসেনকে তিনি হারিয়েছিলেন, তখন নরওয়ের তারকা যেভাবে টেবিল চাপড়ে ছিলেন, তা দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো এই হারটা তাঁর কাছে (Grand Chess Tour) অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের জাগরেবে গুকেশের কাছেই হারলেন কার্লসেন।

    এদিন কালো ঘুঁটি দিয়ে খেলা শুরু করেন ভারতীয় দাবাড়ু। কিছুক্ষণের মধ্যেই কার্লসেন পিছিয়ে পড়েন। শেষমেশ ৪৯টি দানের পর রিটায়ার করে নেন কার্লসেন। কিছুদিন আগেই গুকেশকে দুর্বল দাবাড়ু আখ্যা দিয়েছিলেন কার্লসেন। সেই কার্লসেনকেই পর পর দু’বার (Grand Chess Tour) হারিয়ে গুকেশ বুঝিয়ে দেন, আগামী দাবা বিশ্বের তারকা তিনিই। গুকেশ বলেন, “দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কী করতে হয়, আমি জানি। তাই তখন জয়ের জন্য আমি সব কিছুই করি (D Gukesh)।”

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত ভারত ও ত্রিনিদাদ। ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে ৪০ শতাংশ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারকে বিহারের মেয়ে বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago)৷ তাঁর জন্য উপহার হিসেবে সরযু নদী এবং মহাকুম্ভের পবিত্র জলও নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মোদি৷ পাঁচটি দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পৌঁছছেন ভারতের মোদি। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর। তাঁকে ঘিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অফ অনার।

    বিহারের মেয়ে কমলা

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago) সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহারের মেয়ে” বলে অভিহিত করেন। স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার জেলা থেকে এসেছিলেন এবং তিনিও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন। মোদি বলেন, “আমরা শুধু রক্ত বা পদবিতে নয়, আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমাদের সাদরে স্বাগত জানায়। কমলা জির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি নিজেও সেখানে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে বলে মনে করে।” তাই কমলার জন্য মোদি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মহাকুম্ভের পবিত্র জল এবং রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ। প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের হাতে। এদিন কমলা প্রসাদ বিসেসারের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা

    কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবন বহু ঐতিহাসিক প্রথমের সাক্ষী। ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কমলা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিরোধী দলনেত্রী হন তিনি। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ নেশনসের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ভারত ও উপমহাদেশের বাইরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারতের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব… বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পথ দেখিয়ে এসেছে। ২১শ শতাব্দীতেও বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিহারের বক্সারের ভেলপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ৷

    গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথা

    ত্রিনিদাদে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে আলাদা করে গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ উনিশ ও বিশ শতাব্দীতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু শ্রমিককে ব্রিটেন অধীনে থাকা কয়েকটি দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা ৷ সেই সূত্র ধরেই অন্য আরও কয়েকটি জায়গার মতো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় ভারতীয়দের আসা ৷ এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমি গিরমিতিয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছি ৷ তাঁদের জন্য যা যা করা দরকার সেটা আমি করেছি ৷” তাঁর মতে, এ দেশে ভারতীয় আসা এবং তারপর নিজের যোগ্যতায় দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার নেপথ্যে আছে লড়াকু মানসিকতা ৷

    ভারতীয় পোশাকে স্বাগত মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সম্মান জানানোর জন্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। হোটেলে পৌঁছনোর পরে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিতে স্বাগত জানান। এক অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্সের পর পরিবেশিত হয় ভজন। এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সে দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ারও কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামে রাস্তা ত্রিনিদাদে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ২৫ বছর আগের ত্রিনিদাদ সফরের স্মৃতিও স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সময় থেকে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন, জানিয়ে দেন ত্রিনিদাদে বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামেও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। মোদি বলেন, “এই দ্বীপে নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি ও জন্মাষ্টমী উৎসাহ, শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। চৌতাল ও বৈঠক গান এখানেও সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার মোদির ত্রিনিদাদ আগমনে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন ৩৮ জন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্য। তাঁকে গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয়।

    ত্রিনিদাদে ভারতের ছোঁয়া

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,৮০০ জন এনআরআই, বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ভারতে থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো আয়তনে ভারতের জোধপুর থেকেও ছোট, তবুও দেশটির সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের খাবার, সংগীত, ভাষা ও ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ঘোষণা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ প্রজন্মকেও এবার থেকে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (OCI) কার্ড প্রদান করা হবে।

    ত্রিনিদাদে হিন্দুত্বের বিকাশ

    এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর এবং ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফরে এই দেশে এলেন। মোদির কথায়, “ভারত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছক, এই কামনা করি।” ত্রিনিদাদের প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, “শ্রী রামের প্রতি আপনাদের বিশ্বাসের কথা জানি। ভগবান রামের পবিত্র শহর এত সুন্দর যে তার মহিমা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই রামলালার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আপনারা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় পবিত্র জল এবং শিলা পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।” এরপরই মোদি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, এ বছরের শুরুর দিকে মহাকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমার সৌভাগ্য আমি সেই জল আপনাদের জন্য নিয়ে আসতে পেরেছি ৷”

  • Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর একাধিক কাজের চাপ (Work Pressure)। ঘরের দায়িত্বের পাশপাশি কর্মজীবনেও নানান জটিলতা। সবমিলিয়ে অনেক সময়েই মানসিক চাপ (Mental Stress) বাড়ছে। যার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। রাগ বাড়ছে‌। কাজের জায়গার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। যার ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) না থাকলে, অতিরিক্ত রাগ (Anger Attacks) বা বিরক্তি তৈরি হলে শরীরের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানই বাজিমাত করবে‌।

    মেজাজ ভালো রাখার ঘরোয়া উপাদান কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ ভালো রাখার এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ (Keeping Calm) করার দাওয়াই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। ঠিকমতো খাবার শরীরে পৌঁছলে অনেক সময়েই এই অতিরিক্ত বিরক্তিভাব এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার শুধুই পেট ভরায় না। খাবারের সঙ্গে শরীরের নানান হরমোন এবং একাধিক উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলেই মন শান্ত (Good Mood) রাখা সহজ হবে।

    সকালের প্রাতঃরাশ ভারি হওয়া জরুরি!

    বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর আগে প্রাতঃরাশ জরুরি। আর সেটা অবশ্যই ভারি প্রাতঃরাশ হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজের তাড়া থাকায় অনেকেই খুব হালকা সামান্য খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর সারাদিনের কাজের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সকালের প্রাতঃরাশ প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। একসঙ্গে প্রোটিন-ভিটামিন-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে, তা ধীরে ধীরে হজম হয়। পেট দীর্ঘসময় ভর্তি থাকে। শরীরে রক্তচাপ এবং শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলে মেজাজ ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, প্রাতঃরাশের মেনুতে রুটি কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে সব্জি থাকা জরুরি। এতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন পৌঁছবে। তার সঙ্গে অবশ্যই সোয়াবিন, পনীর কিংবা ডিমের মতো প্রোটিন জাতীয় একটি পদ থাকা দরকার। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। এতে বিরক্তিভাব কমবে। মন শান্ত থাকবে।

    দিনভর সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ু সক্রিয় থাকলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়লে বিরক্তিভাব কমে। মেজাজ খিটখিটে হয় না। তাই সকালে ভারি খাবার খেয়ে বেরনোর সময় সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দিনের যেকোনও সময় কিছুটা বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা যেকোনও ধরনের বাদামের পাশপাশি সূর্যমুখীর বীজ, তিল কিংবা কুমড়োর বীজ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যা মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখতে সাহায্য করে।

    আপেল, বেদানার মতো ফল নিয়মিত থাকুক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর খাবার মন ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল, বেদানা, কিউই জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রাগ কমে।

    প্রোটিন মন শান্ত করতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এনার্জির সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওতোপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই শরীর সুস্থ থাকলে, এনার্জিতে ভরপুর থাকলে রাগ ও বিরক্তি কম (Keeping Calm) হয়। না হলেই মেজাজ হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম, মাছ কিংবা মাংসের মতো পদ মেনুতে থাকলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। এর প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পড়বে। বিরক্তিভাব কমবে।

    তুলসী পাতা দেওয়া চা বাড়তি উপকারি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) রাখতে দিনে অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে কোর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বজায় থাকে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। তাই নিয়মিত অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। কারণ, তুলসী পাতা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এজবাস্টনে ইতিহাস লিখলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে (India England 2nd Test) তাঁর ২৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করল ভারত। ১৮ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে এক ইনিংসে ৫০০ রানের বেশি করল ভারত। একের পর এক নজির গড়লেন ভারত অধিনায়ক। ছাপিয়ে গেলেন সুনীল গাভাসকর, শচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিদের। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ক্রিজে থেকে এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে একাই প্রায় ৬৫ ওভারের বেশি ব্যাট করে ফেলেছেন শুভমন গিল।

    শুভমনের নজির

    ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক রানের ইনিংস খেললেন শুভমন। এর আগে সেই রেকর্ড ছিল কোহলির দখলে। তিনি ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৫৪ রান করেছিলেন। শুভমনই এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অধিনায়ক যিনি ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিশতরান করেছেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯৩ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করলেন শুভমন। এত দিন সেই রেকর্ড ছিল সুনীল গাভাসকরের দখলে। ১৯৭৯ সালে ওভালে ২২১ রান করেছিলেন তিনি। ৪৬ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন। এশিয়ার বাইরে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। এত দিন এই রেকর্ড ছিল সচিনের দখলে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৪১ রান করেছিলেন তিনি। ২১ বছর পর এজবাস্টনে ভাঙল সেই রেকর্ড।

    শক্ত হাতে ভারতীয় ক্রিকেট

    ত্রিশতরান হাতছাড়া হলেও কঠিন পরিস্থিতিতে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভমন গিল। তাঁর হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিয়ে বিসিসিআই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিলেন আইপিএলে গুজরাট-টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। গত ৫০ বছরে টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন বদলেছে। সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন শচিন তেন্ডুলকর। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সেই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের চার নম্বর জায়গা তিনি ছেড়ে গিয়েছিলেন কোহলিকে। শচিনের মান রেখেছেন কোহলি। শুধু ব্যাটার হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোহলির ছেড়ে দেওয়ার চার নম্বর জায়গা মাত্র দুই টেস্টেই নিজের করে নিয়েছেন শুভমন। মাত্র দুই টেস্টেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শক্ত হাতে রয়েছে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট।

    কোন রসায়নে সাফল্য

    শুভমন যখন ১৯৯ রানে খেলছেন তখনও তাঁকে বাউন্সার করেন জশ টং। তাতে শুভমনের কোনও সমস্যা হয়নি। ফাইন লেগে পুল মেরে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তার পরেও থামেননি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ২৬৯ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩০টি চার ও তিনটি ছক্কা। ধুম-ধারাকা আইপিএলের পর ক্লাসিকাল ক্রিকেটে ধ্রুপদী ইনিংস। শুভমন বলেন, ‘আমাদের দল ভাল জায়গায় আছে। আমি কয়েকটা দিক নিয়ে পরিশ্রম করেছিলাম। আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যা টেস্ট ক্রিকেটের আগে খুব জরুরি ছিল। এখনও পর্যন্ত যা দেখছি, সেগুলো আমাকে সাহায্য করেছে।’

    মুগ্ধ ইংল্যান্ডও

    শুভমনের ইনিংস দেখে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড শিবিরও। মুগ্ধতার ছবিটা কেমন? প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দিনের শেষ বলটা করতেই ব্যাট বগলদাবা করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা শুরু করলেন হ্যারি ব্রুক। অপর অপরাজিত ব্যাটার জো রুটকে দেখা গেল উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। তিনি এগিয়ে গেলেন শুভমন গিলের দিকে। করমর্দন করলেন ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে। ইংল্যান্ড তো বটেই, বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে যাচ্ছেন, এটাই শুভমনের ইনিংসের সার্থকতা।

    অ্যাডভান্টেজ ভারত

    এজবাস্টনে শুভমনের সামনে অসহায় দেখিয়েছে ইংরেজ বোলিংকে। এখানকার পাটা উইকেটে ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। শুভমন জানতেন, অন্তত ৪০০ রান করার লক্ষ্য ছিল তাঁর। শুভমনকে সাহায্য করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিন বছর আগে এই মাঠেই শতরান করেছিলেন জাদেজা। তিনি ভাল খেললেন। দু’জনের মধ্যে ২০৩ রানের জুটি হল। তাতে চাপ অনেক কমে গেল শুভমনের উপর। জাদেজা আউট হওয়ার পর শুভমনের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। বাংলার পেসার আকাশ দীপ পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ড যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল, তখন আবার মহম্মদ সিরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ান। অপর ওপেনার ক্রলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ইংরেজ বাহিনী। এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া।

LinkedIn
Share