Tag: bangla news

bangla news

  • Retail inflation: খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কমল ৩.৫৪ শতাংশ, পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন, জানাল কেন্দ্র

    Retail inflation: খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কমল ৩.৫৪ শতাংশ, পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ বছরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation) সবচেয়ে কমে ৩.৫৪ শতাংশ হল চলতি জুলাই মাসে। গতকাল সোমবার ১২ অগাস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এ কথাই জানানো হয়েছে। সোমবার ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ডেটা’ এই সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতির তথ্য জানিয়েছে সাংবাদিক সম্মেলন করে। কেন্দ্রের দেওয়া ওই তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাইতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ৩.৫৪ শতাংশ, এক বছর আগে ২০২৩ সালের জুলাইতে এই খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৪৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank) যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার থেকেও নিচে নেমেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য ছিল ৪ শতাংশ, তারও নিচে নেমেছে মুদ্রাস্ফীতি।

    কমেছে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation)

    কেন্দ্রের তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি ৪.১৯ শতাংশে নেমে এসেছে, এক বছর আগে ২০২৩ সালে জুলাই মাসে যা ছিল ৭.৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে, কমেছে শহর অঞ্চলের খুচরো মুদ্রাস্ফীতিও। রিপোর্ট বলছে, শহর অঞ্চলের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation) কমে দাঁড়িয়েছে ২.৯৮ শতাংশ, এক বছর আগে ২০২৩ সালে জুলাই মাসেই এটা ছিল ৭.২০ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, সুরক্ষার দাবিতে বর্ধমানে প্রতিবাদ মিছিল সনাতনীদের

    মুদ্রাস্ফীতি কমায় এবার স্টক মার্কেটেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে

    ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, মশলার ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির অঙ্ক সবচেয়ে কম, এরপরেই রয়েছে তেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ডালের মূল্য সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়। কেন্দ্রের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, চলতি জুলাই মাসের এই মুদ্রাস্ফীতি বিগত ৫৯ মাসের মধ্যে সবথেকে কম। মনে করা হচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation) কমায় এবার স্টক মার্কেটেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন বাদেই পালিত হবে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। আর সেই উপলক্ষে প্রতিবারের মত দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লাল কেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এরই ফাঁকে ভারতের প্যারিস অলিম্পিক্স দলের (Paris Olympics contingent) সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দলটির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    অলিম্পিক্স পদকজয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের ১১৭ জন অ্যাথলিটের সম্পূর্ণ দল উপস্থিত থাকবে। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে, যে সব ক্রীড়াবিদরা এবছরের প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতকে ছ-ছটি পদক এনে দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে পদক জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে,  একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হওয়া ভিনেশ ফোগাটের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি এবং কুস্তিগীরের পরিস্থিতির পাশে থেকে ট্যুইট করে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা মোদির 

    উল্লেখ্য, এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের লক্ষ্য ছিল ১০টি পদক জেতার। তবে খেলা শেষে ভারতের ঝুলিতে এসেছে মোট ৬টি পদক, এর মধ্যে ১টি রুপো ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদক বিজয়ী নীরজ চোপড়ার হাত ধরেই এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে একমাত্র রুপোর পদক এসেছে। আর অন্যদিকে মনু ভাকেরের হাত ধরে দু’দুটি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে। মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্টল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এবং পরে সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্টল মিশ্র দল ইভেন্টে আরও একটি পদক যেতেন। এছাড়াও টেবিল টেনিসে মানিকা বাত্রা এবং শ্রীজা আকুলা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। ভারতের এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলেছেন, ”সমস্ত ক্রীড়াবিদ (Paris Olympics contingent) তাদের সেরাটা দিয়েছেন এবং প্রত্যেক ভারতীয় তাদের জন্য গর্বিত। আমাদের ক্রীড়া নায়কদের তাদের এই প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হচ্ছেন ‘প্রভাবশালী’ সন্দীপ, ঘরে তালা ঝোলালেন পড়ুয়ারা

    Sandip Ghosh: ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হচ্ছেন ‘প্রভাবশালী’ সন্দীপ, ঘরে তালা ঝোলালেন পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই পদত্যাগ করেন আরজি করের (RG Kar Medical) অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা সামনে আসে, যেখানে দেখা যায় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যালের (National Medical College) অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি হয়েছেন তিনি। এরপরে ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ আন্দোলনে নামেন, তাঁরা তালা লাগিয়ে দেন অধ্যক্ষের জন্য নির্ধারিত ঘরে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের একটাই দাবি, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হিসেবে মানবেন না।

    প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বিবৃতি, চাপে নয়! স্বেচ্ছায় এমন পদত্যাগ। সকালে পদত্যাগ বিকালে আবার নতুন করে নিয়োগের ঘোষণা। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা প্রভাবশালী সন্দীপ ঘোষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থাকা অজয় কুমার রায়কে নিমেষের মধ্যে বদলি করা হয় স্বাস্থ্য ভবনে। কারণ সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হতে হবে। কোনও কোনও মহল বলছে, ‘‘এখানেই বোঝা যাচ্ছে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ঠিক কতটা প্রভাবশালী! তাঁর জন্য বর্তমান অধ্যক্ষকেও বদলি করা হয়।’’

    বদলির ২১ দিনের মাথায় ফের আরজি করে (RG Kar Medical)

    তবে এই প্রথম নয়। সন্দীপ (Sandip Ghosh) ঠিক কতটা প্রভাবশালী, তা বোঝা যায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনায়। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন ও দুবাই সফরে গিয়েছিলেন। তার আগে, সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অস্থি বিভাগে বদলি করা হয়। ২১ দিনের মাথায় কোনও এক জাদুবলে তিনি ফের ফিরে আসেন আরজি করে (RG Kar Medical)। এমন বদলি কার্যত নজিরবিহীন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় না। প্রসঙ্গত আরজি করে নৃশংস কাণ্ড ঘটার পর থেকেই আন্দোলনকারীরা নিশানা করছেন সন্দীপ ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠছে যে হাসপাতালে নানা দুষ্কর্মের মদত দেন তিনি। বেআইনি নিয়োগও করান। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় সন্দীপের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেন না। 

    উনি ইস্তফার নাটক করছেন! ফৌজদারি তদন্তের দাবি সন্দীপের বিরুদ্ধে

    আরজি কর (RG Kar Medical) কাণ্ড সামনে আসতেই নানা অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে, বাড়িতে ফোন করে বলার নেপথ্যেও সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) রয়েছেন বলে দাবি করে আন্দোলনকারীরা। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এমন ক্ষোভ অবশ্য শুধুমাত্র জুনিয়র ডাক্তারদেরই নয়, বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনেরও রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ‘‘উনি ইস্তফার নাটক করছেন! তার নাকি খুব দুঃখ হয়েছে, ওঁকে কোথাও বদলি নয়, ওঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী তদন্ত করতে হবে। উনি ঘটনার তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছেন।’’

    স্বাস্থ্য ভবনে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন

    প্রভাবশালী সন্দীপ (Sandip Ghosh) স্বাস্থ্য ভবনে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেন অনেকে। সন্দীপের দাপট-প্রভাবের সামনে টিকতে পারে না কেউই। কোনও ডাক্তারি পড়ুয়া তাঁর অপছন্দের হলে তাঁকে ফেল করিয়ে দিতেন নাকি সন্দীপ, এমন অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। আবার আরজি কর (RG Kar Medical) হাসপাতালে দুর্নীতি, অনিয়ম, বেনিয়ম যে রয়েছে তার পিছনে থাকতেন সন্দীপ, এমনটাই অভিযোগ। একাধিক বার তাঁকে বদলি করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী সন্দীপ বরাবরই ফিরে আসেন আরজি করের অধ্যক্ষ হয়ে। সমালোচকরা বলছেন, ‘‘আরজি করে কী আছে! সেটা হয়তো সন্দীপই বলতে পারবেন, এই হাসপাতালের প্রতি কেন সন্দীপের এত মোহ!’’

    সন্দীপের (Sandip Ghosh) দাবি

    একবার সন্দীপ ঘোষের বদলে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সনৎ ঘোষকে আরজি করে আনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ফের সন্দীপ আবার ফিরে আসেন আরজি করে (RG Kar Medical)। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তাঁকে ‘কুকর্মের মাস্টারমাইন্ড’ বলছেন। তবে সন্দীপ দাবি করেন, তিনি দুষ্কর্ম রুখে দিয়েছেন! আরজি করে তিনি কেমন দুষ্কর্ম রুখেছেন তা সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সামনে আসার পরই বোঝা যাচ্ছে, নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সন্দীপ দাবি করেন, আরজি কর ছিল ঘুঘুর বাসা, তোলাবাজি চলত দেদার এবং তাতে নাকি নেতাদের মদতও ছিল। তিনি এসে সবকিছু বন্ধ করেছেন। এখন নাকি আরজি করে তোলাবাজি হয় না, ঘুষ দিতে হয় না এবং রোগীরদের পরিষেবা যথেষ্ট! সন্দীপ আরজি কর কেমন নিজের হাতে সাজিয়েছেন? জুনিয়র চিকিৎসরা বলছেন, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে অধ্যক্ষের রুমে ঢোকেন তিনি।

    সন্দীপের বিরুদ্ধে অনেকের ক্ষোভ, বলছেন তৃণমূল বিধায়কই 

    সন্দীপ (Sandip Ghosh) যে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, একথা সকলেই জানেন। শাসক দলের বদান্যতায় তাঁর এত প্রভাব-প্রতিপত্তি। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন এন্টালির তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণ কমল সাহা। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে। জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ আগে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এমএসভিপির দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময়ে চিকিৎসক থেকে অনেক মহলই তাঁর ওপরে ক্ষুব্ধ থাকত বলে দাবি স্বর্ণকমলের। কারণ তিনি নিজের মতো করে চলেন, সহজে যে কোনও চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। অ্যাপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কেউ দেখা করতে এলে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বাইরে বসিয়ে রাখা হত। এরকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে চলতে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। সন্দীপকে (Sandip Ghosh) ন্যাশনালে বদলির বিষয়ে স্বর্ণ কমল সাহা রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন সাংবাদিকদের সামনেই। তাঁর মতে, ন্যাশনালের নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে আরজি করের (RG Kar Medical) মতো দুর্ঘটনা এখানে না ঘটে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    RG Kar Incident: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতা। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) উদ্দেশে হাঁটলেন কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে ‘ধিক্কার পদযাত্রা’। প্রতিবাদ মিছিলে (Protest Rally) হাঁটার কথা রয়েছে অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র-সহ শহরের বিশিষ্টজনদের। সময় গড়াচ্ছে যত, ততই তীব্র হচ্ছে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন এবার ছড়িয়ে পড়ল স্কুলের চৌহদ্দিতেও।

    আজ কোথা থেকে মিছিল

    মঙ্গলবার, শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মিছিল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। আরজি করের আন্দোলনকারী (RG Kar Incident) চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের সেই সন্দেহের কথা উড়িয়ে দেননি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। পুলিশের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি তাঁদের কারও উপর সন্দেহ থাকে, সেটা যেন পুলিশকে জানানো হয়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা তো বটেই আন্দোলনে সামিল হন অন্য কলেজের পড়ুয়ারাও। এমনকী, দেখা যায় দিদিমণিদের পাশে নিয়ে মিছিলে হাঁটছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। বাগবাজার থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মিছিলও পৌঁছে গেল আরজি কর হাসপাতালে। 

    আরও পড়ুন: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?

    ঘরে-বাইরে চাপ

    মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ, আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমেই বাংলার সীমানা ছাপিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, কর্নাটক-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দিল্লি এইমসের সামনেও পোস্টার হাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের। সোমবার আরজি করের (RG Kar Incident) সামনে নাগরিক মিছিল (Protest Rally) আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতার রাস্তায় ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, চৈতি ঘোষাল, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের। আন্দোলনকারীদের সুরেই মিছিলে যোগ দেওয়া সমাজকর্মীরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে হবে। যাঁরা এর জন্য দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। পরিবেশ উত্তপ্ত বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেবেন তিনি। কিন্তু এতদিন আরজি করে যে অরাজকতা চলছিল সে বিষয়ে নীরবই থেকেছেন মমতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনের বেলায় রোগীর ভিড়, ট্রলির আওয়াজ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততার ছবিটা সূর্যাস্তের পরেই দ্রুত বদলে যায়! রাত বাড়লেই একেবারে ভিন্ন ছবি! রাতের অন্ধকারে যেন এক অজানা হাসপাতাল চত্বর! এবার এমনই কথা জানালেন আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক কুকীর্তি জানার জেরেই নিগৃহীতার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আরজি করকাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ উঠছে। আর সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার একাধিক পথ থাকলেও পুলিশ কেন দেরি করছে! আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার জেরেই কি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন?

    যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনও ত্রুটি থাকবে না। দ্রুত সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশ তদন্তের (Police Investigation) দায়িত্ব থেকে সরে যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘটনার পরে ১০দিন পেরিয়ে গেলে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট‌ হয়ে যাবে। তাই দশ দিন পরে অন্য তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নিলে কতটা তথ্য জোগাড় করতে পারবে, সে নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানাচ্ছে হাসপাতালের একাংশ? (R G Kar Hospital)

    আরজি কর হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের হাসপাতাল চত্বরে চলে একাধিক বেআইনি কাজ। নানান নিষিদ্ধ ওষুধ পাচার থেকে যৌন কেলেঙ্কারির মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাতে কর্তব‌্যরত একাধিক চিকিৎসকের নজরেও পড়ে সেই ঘটনা। কলেজের ইন্টার্ন থেকে স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক, রাতে পরিষেবার দায়িত্বে থাকা একাধিক পড়ুয়ার‌ চোখের সামনেই ঘটে এমন নানান অবৈধ ঘটনা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নানান ঘটনার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাই অবাধে চলত বেআইনি কাজ। 
    কলেজের এমবিবিএস-র শেষ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) শাসক দলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, মাস দুয়েক আগে থেকেই প্রভাবশালী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে নিগৃহীতার বচসা শুরু হয়। নিগৃহীতা একাধিকবার তাদের কাজের প্রতিবাদ জানান। তাকে নানা রকম হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, নিগৃহীতা তাঁর বাবা-মাকে বারবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাঁর মুখ বন্ধ করতেই এমন ভয়ানক অপরাধ ঘটল বলেও মনে করছেন আরজি কর হাসপাতালের অন্দর মহলের অনেকেই।

    তদন্ত নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল?

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলেই নানান প্রশ্নের জট খুলে যাবে। ঘটনার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ (R G Kar Hospital)। চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানান, মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সিমেন স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক-শিক্ষক বলেন, ঘটনার রাতে সেমিনার রুমের আশপাশে জনা চারেক ইন্টার্ন যাতায়াত করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ পুলিশের তদন্ত (Police Investigation) নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 August 2024: বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 13 August 2024: বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তি থেকে দূরে থাকুন। 

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে। 

    ৩) সতর্ক থাকুন।

    কর্কট

    ১) কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) কাজের ব্যাপারে ভালো যোগাযোগ হতে পারে।

    ৩) সুখ লাভ।

    কন্যা

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন। 

    ৩) অর্থ লাভ হবে।

    তুলা

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শারীরিক কষ্টের কারণে কাজের সময় নষ্ট। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখতে হবে।

    মকর

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) সতর্ক থাকুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন। 

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মীন

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে। 

    ৩) পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    Narendra Modi: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন পরই দেশজুড়ে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উদ্যোগে যুব, নারী, দরিদ্র ও কৃষকের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যুব এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক থেকে কয়েকশো জনের তালিকা তৈরি করে সকলকে লাল কেল্লায় উপস্থিত থাকার  আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    অতিথি তালিকায় কারা রয়েছেন? (Narendra Modi)  

    জুন মাসে তৃতীয়বার পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর বারাণসীতে তাঁর প্রথম সফরের সময় কৃষক, যুবক, মহিলা এবং দরিদ্রদের “উন্নত ভারতের চারটি স্তম্ভ” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটে কৃষক, যুবক, মহিলা এবং দরিদ্র— এই চার শ্রেণির ওপর জোর দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবার ৪ হাজার বেশি বিশেষ অতিথির তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছেন তাঁরা। লাল কেল্লার অনুষ্ঠানে পরিবারের একজন করে সদস্যসহ বিশেষ অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, অতিথিদের ১১টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে  ১ হাজার জন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের রয়েছেন। যুব বিষয়ক বিভাগ থেকে ৬০০ জন এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ থেকে ৩০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়়া, পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন (প্রতিটি ৩০০ জন), উপজাতি বিষয়ক (৩৫০), স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থা/ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (প্রতিটি ২০০), স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ এবং খেলাধূলা (১৫০ জন প্রতিটি)। এছাড়াও নীতি আয়োগ বিভাগের ১২০০ জন বিশেষ অতিথি রয়েছেন। বিশেষ অতিথিদের আমন্ত্রণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে পাঠানো হয়েছে। ১৫০ জন নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। “মেরি মাটি মেরা দেশ” প্রকল্পের অধীনে ৪০০ এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক, “মাই-ভারত” স্কিমের ১০০ জন উপভোক্তা এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী স্কুলের ছাত্ররা তালিকায় রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন

    একলব্য মডেল আবাসিক স্কুলের প্রায় ১৫০ জন ছাত্র, ১০০ জন আদিবাসী কারিগর এবং বন-ধন-বিকাশ যোজনার সদস্য এবং ৫০ জন আদিবাসী উদ্যোক্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সমস্ত বিশেষ অতিথি ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে আসবেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তাঁরা দিল্লিতে থাকার সময় কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পালিত বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা

    Jammu and Kashmir: স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পালিত বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ১১ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত, হর ঘর তিরঙ্গার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার কাশ্মীরেও দেখা গেল এই চিত্র। দেশপ্রেমের চেতনা এবং স্বাধীনতা দিবসর উদ্দীপনা উদযাপন করতে এদিন জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিজেপির যুব মোর্চার নেতৃত্বে বিরাট তেরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অশোক কৌল তেরঙ্গা র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় দেশের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব এবং ঐক্য-অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্যের ওপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে উপত্যকার উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন কৌল।

    ঠিক কী বললেন কাশ্মীরের বিজেপি সংগঠন সম্পাদক (Jammu and Kashmir)?

    বিজেপি নেতা অশোক কৌল বলেন, “একজন ব্যক্তির প্রথম দায়িত্ব তাঁর দেশের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। সেইসঙ্গে, রাষ্ট্রকে সর্বোপরি সম্মান প্রদান করে মাতৃভূমির জন্য সেবা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তাই এই রাজ্যের (Jammu and Kashmir) প্রত্যেক মানুষকে তেরঙ্গা যাত্রার সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করব।” এই সমাবেশে জম্মু পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের সাংসদ যুগল কিশোর শর্মা, বিজেপি সহ-সভাপতি যুধবীর শেঠি, যুবমোর্চার সভাপতি অরুণ প্রভাত এবং অন্যান্যরা সমাবেশে যোগদান করেন।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    রাজৌরি, কাঠুয়াতে পালিত হল তেরঙ্গা র‍্যালি

    এদিনই রাজৌরিতে (Jammu and Kashmir) রাজ্য বিজেপি (BJP) সাধারণ সম্পাদক বিবোধ গুপ্তা একটি তেরাঙ্গা সমাবেশে অংশ নেন। কাশ্মীরের বাস্তুচ্যুত জেলাগুলিতে এদিন বিজেপি জেলা সভাপতি রোহিত গাঞ্জু, যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ডা. হিমজা মেঙ্গি সহ আরও অনেক নেতা এদিন তেরঙ্গা র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। আবার সানাসারে রামবান বিধানসভা কেন্দ্রে জাতীয় মিডিয়া ইনচার্জ এস আমনদীপ সিং তেরঙ্গা সমাবেশে যোগদান করেন। অপর দিকে, কাঠুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রবীণ বিজেপি নেতা মুনীশ শর্মা একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে পদ যাত্রা করেন। একইভাবে, যুব মোর্চার পক্ষ থেকে নাগরোটা বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে যুব শাখার রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সুনীল ভরদ্বাজের নেতৃত্বে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অনুষ্ঠান পালন হয়। ভাদেরওয়াহ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ সিং উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। জম্মু উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র ও খাজুরিয়াতেও তেরঙ্গা সমাবেশে লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল কল্যাণী এইমসে, দুর্ভোগে রোগীরা

    RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল কল্যাণী এইমসে, দুর্ভোগে রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Protest) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে উত্তাল অবস্থা। রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। হাসপাতাল চত্বরেই চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। প্রতিবাদ মিছিল। নিন্দার ঝড়় উঠেছে দেশজুড়ে। সকলেই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। সোমবার বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হলেন কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বন্ধ রাখলেন আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবাও। আর অধিকাংশ হাসপাতালে কর্মবিরতি হওয়ার কারণে রোগীরা চরম নাকাল হলেন।

    সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল এইমস হাসপাতালে (RG Kar Protest)

    এদিন কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। এদিন হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকরা দল বেঁধে প্রতিবাদ মিছিল করেন। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা বজায় রয়েছে। তবে, অন্য চিকিৎসা আমরা বন্ধ রেখেছি। আসলে ডিউটিরত অবস্থায় আমাদের সহকর্মীকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। যত দিন না পর্যন্ত সঠিক বিচার হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এদিন এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে দূর দূরান্ত থেকে বহু রোগী এসেছিলেন। পরিষেবা না পেয়ে সকলেই ফিরে যান। তবে, রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা দরকার।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    শান্তিপুরেও কর্মবিরতি

    অন্যদিকে, এদিন শান্তিপুর স্ট্রেট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা হাতে প্ল্যাকার্ড এবং কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ (RG Kar Protest) প্রতিবাদে সামিল হন। হাসপাতাল চত্বরে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। আন্দোলনকারীরা এই ঘটনার নির্মমতা প্রসঙ্গেও ধিক্কার জানান। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের গ্রেফতার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আন্দোলনে ডায়মন্ড হারবার-কাকদ্বীপ

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে এদিন সকাল থেকে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের কর্মবিরতি চলছে। একই সঙ্গে কাকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। যার জেরে এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়়ে ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালটি মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। আন্দোলনের জেরে আউটডোর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চিকিৎসা করতে এসে পরিষেবা না পেয়ে শতাধিক রোগী ফিরে যান। একই ঘটনা ঘটে কাকদ্বীপ হাসপাতালেও।

    আন্দোলন চলাকালীন দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা!

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলন চলাকালীন দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মদ্যপ ওই যুবককে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আন্দোলন চলার সময় দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তার দুপুরের খাবার খেতে ক্যান্টিনে যান। ক্যান্টিনে ভিড় থাকায় তাঁরা দুজন বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় এক মদ্যপ যুবক এসে তাঁদের দেখে অশালীন আচরণ করতে থাকে। এই দেখে ওই দুই মহিলা জুনিয়র ডাক্তার বিষয়টি এড়িয়ে চলে যেতে চাইলে তাঁদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। এই দেখে স্থানীয় মানুষেরা হাসপাতাল ভিতরে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই মদ্যপ যুবককে আটক করে নিয়ে যায় ফাঁড়িতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম জীবন রাজবংশী। অভিযোগকারী মহিলা জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “আমরা সহকর্মীর খুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু, আমরা লক্ষ্য করলাম দিনের বেলায় আরজি কর কেন, এই হাসপাতালের মধ্যেও আমাদের নিরাপত্তা নেই। আমরা আমাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। এদিন আন্দোলনের জেরে এই হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। বহু রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    Paris Olympics 2024: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসার শহর থেকে ভাঙা হৃদয় নিয়েই ফিরতে হল ভারতকে। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের পদক সংখ্যা ছিল ৭। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সে সেই সংখ্যা টপকানো যায়নি। বরং একটি পদক কমে সেটি দাঁড়িয়েছে ৬-এ। মেলেনি সোনার মেডেলও। তবু অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন ভারতের অ্যাথলিটরা। সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রত্যেক পদকজয়ীকে যিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিয়েছেন বাহবা।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    রবিবার প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics) সমাপ্তি ঘোষণার পর রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘প্যারিস অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার দিন আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রত্যেক অ্যাথলিটের প্রশংসা করছি। প্রত্যেক অ্যাথলিট নিজের সেরাটা দিয়েছেন। দেশের প্রত্যেকে তাঁদের নিয়ে গর্বিত। আগামী প্রতিযোগিতার জন্যেও আমাদের ক্রীড়াবিদদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।’ প্রত্যাশা, স্বপ্ন, টার্গেট—সব কিছু এক দিকেই ইঙ্গিত করেছিল। এ বার অলিম্পিক্সে নাকি দশের বেশি পদক জিতবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু পারেননি অ্যাথলিটরা। ৬ জন অ্যাথলিট চতুর্থ পজিশনে শেষ করেছেন। সেগুলিতে সাফল্য মিললে হয়তো চওড়া হত হাসি। কিন্তু হয়নি তবে পারব, লস অ্যাঞ্জেলসে ঠিক লক্ষ্যপূরণ হবে, এই আশাতেই বুক বাঁধতে চায় ভারতবাসী।

    সরকারের সাহায্য (Paris Olympics 2024) 

    মোদি সরকারের অধীনে, ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, বিশেষ করে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে ভারতের ক্রীড়াবিদরা বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা প্রদর্শন করতে পারেন। 

    অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম (TOPS): ২০১৪ সালে শুরু হওয়া লক্ষ্য অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম, একটি প্রধান উদ্যোগ যা সম্ভাব্য অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের চিহ্নিত করে এবং তাদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং উচ্চমানের কোচিংয়ের ব্যবস্থা করে। এই স্কিমের আওতায় ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং মানসিক সুস্থতার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

    খেলো ইন্ডিয়া স্কিম: ২০১৮ সালে চালু হওয়া খেলো ইন্ডিয়া স্কিমটি ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বিকশিত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ স্তর থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের জন্য বৃত্তি, প্রশিক্ষণ সুবিধা, এবং প্রতিযোগিতার সুযোগ প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নত করা হয়েছে, যা নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

    আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি: মোদি সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে উন্নত প্রশিক্ষণ, সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে এলিট ক্রীড়াবিদদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

    অবকাঠামো উন্নয়ন: সরকার সারা দেশে ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। এতে উচ্চ কর্মক্ষমতা কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ সুবিধা, এবং স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে, যা ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের পদক

    নীরজ চোপড়া, মনু ভাকেরদের হাত ধরে প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে মোট ৬টি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। তার মধ্যে ৫টি ব্রোঞ্জ এবং একটি রুপো। মনু ভাকের প্যারিস অলিম্পিক থেকে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। ব্যাক্তিগত বিভাগে ব্রোঞ্জেই থেমে থাকেননি মনু ভাকের। তিনি সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড টিম ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) শুটিং থেকে ব্যাক টু ব্যাক তিনটি পদক পায় ভারত। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ পান স্বপ্নিল কুশালে। টোকিও অলিম্পিকের পর প্যারিস গেমস থেকেও ভারতীয় পুরুষ হকি টিম দেশকে পদক দিয়েছে। এ বার পিআর শ্রীজেশরা প্যারিসে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন থ্রো-তে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। প্যারিস গেমসে তিনি পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো-তে রুপো পেয়েছেন। এ বারের গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থে এটিই ভারতের একমাত্র রুপো। প্যারিস গেমসে শেষ বেলায় কুস্তি থেকে ব্রোঞ্জ এনে দেন আমন শেরাওয়াত। তিনি প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল ইভেন্ট থেকে দেশকে ব্রোঞ্জ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্স পদকের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন! ব্রোঞ্জজয়ী অ্যাথলিটের পোস্ট নিয়ে জল্পনা

    মানসিকতার ফারাক (Paris Olympics 2024)

    এখন ভারতীয় অ্যাথলিটদের জন্য অর্থ বা পরিকাঠামোর অভাব খুব একটা নেই। দেশে পরিকাঠামোর অভাব থাকলেও প্রথম সারির অ্যাথলিটরা বিদেশে গিয়ে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পান। তবে কোথাও একটা মানসিকতার উন্নতি প্রয়োজন। এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞরা। লক্ষ্য সেন যে ভাবে এগিয়ে গিয়েও হেরে যান ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে, যে ভাবে অঙ্কিতা-ধীরাজরা মোক্ষম সময়ে তির মারেন সাতে, ট্প থ্রি-র মধ্যে থেকেও কয়েকটা গড়পড়তা শট মেরে চার নম্বরে পিছিয়ে পড়েন, তা আসল সময়ে টেনশনে ভোগার জন্যই। তাই যাঁরা চতুর্থ হয়েছেন, তাঁরা সবাই একটুর জন্য পদক খোয়াননি। বেশিরভাগই হারিয়েছেন মানসিক ক্ষমতায় অনেকটা পিছিয়ে থেকে। ঠিক চার বছর পর, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের আগে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সেই দূরত্ব অতিক্রম করতেই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share