Tag: bangla news

bangla news

  • Paris Olympics 2024: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    Paris Olympics 2024: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসার শহর থেকে ভাঙা হৃদয় নিয়েই ফিরতে হল ভারতকে। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের পদক সংখ্যা ছিল ৭। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সে সেই সংখ্যা টপকানো যায়নি। বরং একটি পদক কমে সেটি দাঁড়িয়েছে ৬-এ। মেলেনি সোনার মেডেলও। তবু অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন ভারতের অ্যাথলিটরা। সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রত্যেক পদকজয়ীকে যিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিয়েছেন বাহবা।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    রবিবার প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics) সমাপ্তি ঘোষণার পর রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘প্যারিস অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার দিন আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রত্যেক অ্যাথলিটের প্রশংসা করছি। প্রত্যেক অ্যাথলিট নিজের সেরাটা দিয়েছেন। দেশের প্রত্যেকে তাঁদের নিয়ে গর্বিত। আগামী প্রতিযোগিতার জন্যেও আমাদের ক্রীড়াবিদদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।’ প্রত্যাশা, স্বপ্ন, টার্গেট—সব কিছু এক দিকেই ইঙ্গিত করেছিল। এ বার অলিম্পিক্সে নাকি দশের বেশি পদক জিতবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু পারেননি অ্যাথলিটরা। ৬ জন অ্যাথলিট চতুর্থ পজিশনে শেষ করেছেন। সেগুলিতে সাফল্য মিললে হয়তো চওড়া হত হাসি। কিন্তু হয়নি তবে পারব, লস অ্যাঞ্জেলসে ঠিক লক্ষ্যপূরণ হবে, এই আশাতেই বুক বাঁধতে চায় ভারতবাসী।

    সরকারের সাহায্য (Paris Olympics 2024) 

    মোদি সরকারের অধীনে, ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, বিশেষ করে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে ভারতের ক্রীড়াবিদরা বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা প্রদর্শন করতে পারেন। 

    অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম (TOPS): ২০১৪ সালে শুরু হওয়া লক্ষ্য অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম, একটি প্রধান উদ্যোগ যা সম্ভাব্য অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের চিহ্নিত করে এবং তাদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং উচ্চমানের কোচিংয়ের ব্যবস্থা করে। এই স্কিমের আওতায় ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং মানসিক সুস্থতার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

    খেলো ইন্ডিয়া স্কিম: ২০১৮ সালে চালু হওয়া খেলো ইন্ডিয়া স্কিমটি ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বিকশিত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ স্তর থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের জন্য বৃত্তি, প্রশিক্ষণ সুবিধা, এবং প্রতিযোগিতার সুযোগ প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নত করা হয়েছে, যা নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

    আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি: মোদি সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে উন্নত প্রশিক্ষণ, সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে এলিট ক্রীড়াবিদদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

    অবকাঠামো উন্নয়ন: সরকার সারা দেশে ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। এতে উচ্চ কর্মক্ষমতা কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ সুবিধা, এবং স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে, যা ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের পদক

    নীরজ চোপড়া, মনু ভাকেরদের হাত ধরে প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে মোট ৬টি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। তার মধ্যে ৫টি ব্রোঞ্জ এবং একটি রুপো। মনু ভাকের প্যারিস অলিম্পিক থেকে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। ব্যাক্তিগত বিভাগে ব্রোঞ্জেই থেমে থাকেননি মনু ভাকের। তিনি সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড টিম ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) শুটিং থেকে ব্যাক টু ব্যাক তিনটি পদক পায় ভারত। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ পান স্বপ্নিল কুশালে। টোকিও অলিম্পিকের পর প্যারিস গেমস থেকেও ভারতীয় পুরুষ হকি টিম দেশকে পদক দিয়েছে। এ বার পিআর শ্রীজেশরা প্যারিসে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন থ্রো-তে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। প্যারিস গেমসে তিনি পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো-তে রুপো পেয়েছেন। এ বারের গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থে এটিই ভারতের একমাত্র রুপো। প্যারিস গেমসে শেষ বেলায় কুস্তি থেকে ব্রোঞ্জ এনে দেন আমন শেরাওয়াত। তিনি প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল ইভেন্ট থেকে দেশকে ব্রোঞ্জ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্স পদকের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন! ব্রোঞ্জজয়ী অ্যাথলিটের পোস্ট নিয়ে জল্পনা

    মানসিকতার ফারাক (Paris Olympics 2024)

    এখন ভারতীয় অ্যাথলিটদের জন্য অর্থ বা পরিকাঠামোর অভাব খুব একটা নেই। দেশে পরিকাঠামোর অভাব থাকলেও প্রথম সারির অ্যাথলিটরা বিদেশে গিয়ে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পান। তবে কোথাও একটা মানসিকতার উন্নতি প্রয়োজন। এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞরা। লক্ষ্য সেন যে ভাবে এগিয়ে গিয়েও হেরে যান ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে, যে ভাবে অঙ্কিতা-ধীরাজরা মোক্ষম সময়ে তির মারেন সাতে, ট্প থ্রি-র মধ্যে থেকেও কয়েকটা গড়পড়তা শট মেরে চার নম্বরে পিছিয়ে পড়েন, তা আসল সময়ে টেনশনে ভোগার জন্যই। তাই যাঁরা চতুর্থ হয়েছেন, তাঁরা সবাই একটুর জন্য পদক খোয়াননি। বেশিরভাগই হারিয়েছেন মানসিক ক্ষমতায় অনেকটা পিছিয়ে থেকে। ঠিক চার বছর পর, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের আগে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সেই দূরত্ব অতিক্রম করতেই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Care Leave: পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ ৩০ থেকে বেড়ে ৭৩০ দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Child Care Leave: পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ ৩০ থেকে বেড়ে ৭৩০ দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মরত মহিলাদের মত এবার পুরুষরাও সন্তানদের দেখাশোনার জন্য (Child Care Leave) সমানভাবে ছুটি নিতে পারবেন। চাইল্ড কেয়ার লিভের ক্ষেত্রে পুরুষরাও মহিলাদের মত ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর ছুটি পাবেন। এক শিক্ষকের করা মামলায় বিচারপতি অমৃত সিনহার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    সন্তান পালনে বৈষম্য দূর হবে (High Court)

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে মায়ের পাশাপাশি বাবারও সমান দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন? তাঁরাও সমান (Child Care Leave) ছুটি পাওয়ার অধিকারী। এ বিষয়ে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশ রয়েছে, মনে করিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কর্তব্যরত মহিলারা সন্তানদের দেখাশোনার জন্য ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর চাইল্ড কেয়ার লিভ পেয়ে থাকেন। পুরুষদের জন্য ওই ছুটি এতদিন মাত্র ৩০ দিনের ছিল। চাইল্ড কেয়ার লিভের জন্য পুরুষ বা মহিলা কারও বেতন কাটা যেত না। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ছুটি নিলে অবশ্য বেতন কেটে নেওয়া হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের ছুটির পার্থক্যকে চ্যালেঞ্জ করে এক শিক্ষক মামলা করেছিলেন আদালতে। আদালতের নির্দেশ, এ বিষয়ে (Child Care Leave) তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নির্দেশিকা জারি করতে হবে।

    আরও পড়ুন: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দেশিকা জারি হয়ে গেলে মহিলাদের মত পুরুষরা ও সমান ছুটি পাবেন।

    ২০১৮ সালের নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে দিল আদালত (Child Care Leave)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল মহিলাদের মত পুরুষরাও ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর (Child Care Leave) ছুটি পাওয়ার অধিকারী, তবে কেবলমাত্র সিঙ্গল প্যারেন্টরাই এই সুবিধে পাবেন বলে জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল চাইল্ড কেয়ার লিভের দ্বিতীয় বছরে মূল বেতনের ২০ শতাংশ কম পাবেন আবেদনকারীরা। প্রথম দুটি সন্তানের ক্ষেত্রেই এই ছুটি পাওয়া যাবে। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indo-US Jet Engine Deal: দেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন! মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বড় চুক্তির পথে ভারত

    Indo-US Jet Engine Deal: দেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন! মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বড় চুক্তির পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কফাইটার জেট ইঞ্জিনের (Fighter Jet Engine) প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি (Indo-US Jet Engine Deal) স্বাক্ষর করতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ওই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, এই প্রযুক্তি হস্তান্তরের চূড়ান্ত আলোচনার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবে মার্কিন ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি-বাণিজ্যিক বরাতের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই ‘জিই৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন (GE414-INS6) নির্মাণ করতে প্রয়োজনীয় বিশেষ উৎপাদন লাইসেন্স অনুমোদন করার প্রায় দোরগোড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার।

    ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের চুক্তি (Indo-US Jet Engine Deal)

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, জিই-র জমা দেওয়া দলিলগুলির বর্তমানে পর্যালচনার পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে ৮০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে। যে তালিকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রযুক্তি রয়েছে। যেমন— ইঞ্জিনের হট এন্ডের জন্য আস্তরণ, ক্রিস্টাল ব্লেড এবং লেজার ড্রিলিং প্রযুক্তি। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই প্রযুক্তি হস্তান্তরের ব্যাপ্তি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন জিই সংস্থার কর্তারা।

    হ্যালের নতুন কারখানায় তৈরি হবে নতুন ইঞ্জিন

    ভারতের তরফে এই চুক্তিতে (Indo-US Jet Engine Deal) স্বাক্ষর করবে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। এর জন্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর কাছে নতুন কারখানা গড়ার জন্য জমিও দেখে রেখেছে হ্যাল। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে পরিবেশ ও দুষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে হ্যাল। অতি শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে ওই কারখানা তৈরির কাজও। হ্যালের আশা, চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দু’বছরের মধ্যেই নতুন কারখানায় নতুন ইন্দো-মার্কিন জেট ইঞ্জিনের (Fighter Jet Engine) উৎপাদনের কাজও শুরু হয়ে যাবে।

    টিইডিবিএফ, অ্যামকা-তে লাগবে এই ইঞ্জিন

    নৌসেনার জন্য স্বদেশীয় দুই-ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমানবাহী রণতরীতে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান নির্মাণ করছে ভারত। সেই যুদ্ধবিমানেই এই নতুন ‘জিই৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন (GE414-INS6) বসানো হবে (Indo-US Jet Engine Deal)। পরবর্তীকালে, ভবিষ্যতের স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা)-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রনেও এই ইঞ্জিন (Fighter Jet Engine) বসানো হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতা হ্রাস করছে আয়ুষ্মান ভারত! প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

    Ayushman Bharat: দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতা হ্রাস করছে আয়ুষ্মান ভারত! প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের (India) মানুষ যাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন সেই জন্য কেন্দ্র সরকার চালু করে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্প। দেশের একেবারে গরিব এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের সুবিধার জন্য আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্পের দ্বারা ২০১১-১২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতার একটি বিরাট অংশ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। 

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল (Ayushman Bharat) 

    এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ শমিকা রবির সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই দেশের (India) বেশিরভাগ পরিবারই প্রতি বছর বেশ ভালো মাত্রায় চিকিৎসা ব্যয়ের সম্মুখীন হন, কিছু কিছু  ক্ষেত্রে  গুরুতরভাবে আর্থিক চাপের সম্মুখীনও হন। এমত অবস্থায় কঠিন রোগে হসপিটালে ভর্তি রেখে রোগীর চিকিৎসাভার বহন করাও একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে দরিদ্র শ্রেনির রোগীর পরিবারের পক্ষে। তবে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করানো যায় সহজে। একইসঙ্গে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মেলে বিনামূল্যে। এর ফলে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষগুলো আর্থিক দিক থেকে অনেকটা স্বস্তি পায়। সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ২০১১-১২ সালে ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ সালে ২২ শতাংশে পৌঁছেছে।  

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, সুরক্ষার দাবিতে বর্ধমানে প্রতিবাদ মিছিল সনাতনীদের

    ফলে ২০১১-১২ সাল থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যয়ের পরিমাণ মাসিক ব্যয়ের ১০.৮ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। আর্থিক চাপের এই হ্রাস মূলত আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) যোজনার মতো জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের জন্য সম্ভব হয়েছে, যা দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা দিতে ময়দানে প্রশাসন

    Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা দিতে ময়দানে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরের বিলহৌর এলাকায় এক সরকারি কলেজে তিন ছাত্রী কলেজের পোশাক বিধি না মেনে হিজাব পরে (Hijab Row) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসায় জেলাশাসক রাকেশ সিং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সহকারী জেলাশাসক রশ্মি লাম্বা। ১৭ অগাস্টের মধ্যে তাঁকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    হিজাবের নামে স্বচ্ছাচারিতা (Hijab Row)

    সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল। কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী পোশাক বিধি মেনেই কলেজে আসছিলেন। হঠাৎই বেঁকে বসে তিন মুসলিম ছাত্রী। জানা যায় তাঁরা পোশাক বিধির বাইরে গিয়ে হিজাব পরে (Hijab Row) কলেজে আসার জন্য গোঁ ধরে বসেন। এতে কলেজের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও পোশাক বিধি ভঙ্গ করার মানসিকতা দেখা দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারণ করার পরেও অনড় ছিল ওই তিন ছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, এই পোশাক বিধি ধর্মীয় আচরণের অংশ। তদন্ত তিনটি বিষয়ের উপরে কেন্দ্রীভূত। এক, ছাত্রীরা কী স্বেচ্ছায় হিজাব পরেছিলেন? দ্বিতীয়, ছাত্রীরা কী কলেজের পোশাক বিধি সম্পর্কে অবহিত ছিল। তৃতীয়, পোশাক বিধি না মানার জন্য তাঁদের উপরে বহিরাগত কোনও শক্তি চাপ দেয়নি তো।

    ইউনিফর্মে আপত্তি তিন ছাত্রীর (Uttar Pradesh)

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ৩ আগস্ট সামনে আসে, যখন ওই তিনজন মুসলিম ছাত্রী কলেজের ভিতরে পোশাক বিধি মান্য না করে হিজাব পরে (Hijab Row) প্রবেশ করে। জ্যোতি নামে এক শিক্ষিকা প্রথমে ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। তিনি ওই ছাত্রীদের কলেজের পোশাক বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। শিক্ষিকার বলার পরেও, ছাত্রীরা হিজাব পরেই কলেজে আসে। এরপর হিজাব পরে কলেজ আসায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরাও এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চায়, পোশাক বিধি না মানলে সকলেই কি ছাড় পেয়ে যাবে? নাকি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী বলে পোশাক-বিধি ভঙ্গ করার জন্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে কলেজের অধ্যক্ষ পোশাক বিধির বাইরে কোন পোশাক পরে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদেরকে ডেকে পাঠান। অভিভাবকরা আশ্বাস দেন, এরপর থেকে কলেজের ইউনিফর্ম পরেই ছাত্রীরা কলেজে আসবে।

    কর্ণাটকের পরিস্থিতি চায়না উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)

    কানপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, “আপাতত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা ভাবা হচ্ছে না। ছাত্রীদের ভবিষ্যতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকটি ভাবা হচ্ছে। তবে কলেজের এবং যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুশাসন সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মেনে চলা উচিত। তদন্তের উদ্দেশ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে কর্নাটকে একইভাবে এক ছাত্রীর হিজাব পরে আসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন চায় না কর্নাটকের পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) সৃষ্টি হোক। সেই কারণে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু পড়াশোনার জায়গা, সেখানে ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও স্থান নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একরকম পোশাক হয়। তার অর্থ, সকলকে এক সমান চোখে দেখা। পোশাক বিধির পিছনে নিহিত অর্থ সকলের বোঝা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শ্রাবণের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ঢল

    Nadia: শ্রাবণের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। রাজ্যজুড়ে এই দিন শিবের মাথায় জল ঢালতে সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে মন্দিরে। তারকেশ্বর মন্দিরে তো লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তদের ভিড়ে পিছিয়ে নেয় নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দির। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়়ে।

    কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ (Nadia)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ১৭৫৪ সালে নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস গ্রামে (Shibnibas) শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শিবমন্দিরসহ তিনটি মন্দির তিনি তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি শিবের মন্দির রয়েছে। আর একটি রাম-সীতার মন্দির। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৯ ফুট। স্থানীয়ভাবে বুরো শিব বা পুরাতন শিব নামে পরিচিত। শিবনিবাস গ্রামের নামটি এলাকায় শিব মন্দিরের প্রাচুর্য থেকে এসেছে। কলকাতার বিশপের নথি অনুসারে, রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালে ঢাকায় যাওয়ার সময় শিবনিবাসকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে গ্রামে চারটি শিব মন্দির ছিল বলে জানা যায়। যদিও এই বিষয়ে এলাকার মানুষের কাছে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    ভক্তরা কী বললেন?

    এদিন শিবনিবাসের (Shibnibas) শিবের মাথায় জল ঢালতে দূর-দুরান্ত থেকে এদিন হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসে রয়েছে শিব মন্দির। রবিবার রাত বারোটা বাজতেই ভিড় সামলাতে খুলে দেওয়া হয়েছে শিব মন্দিরের গেট। পুরানো ঐতিহ্য মেনে নবদ্বীপ থেকে বাঁকে করে হাজার হাজার ভক্ত গঙ্গার জল নিয়ে শিবনিবাসে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। অগণিত ভক্তগণের লম্বা লাইন মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছে বহুদূর পর্যন্ত। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সচেষ্ট। মন্দির এলাকার নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৭০০ পুলিশ কর্মী। পুণ্যার্থী সুমিত্রা বিশ্বাস বলেন, আমি করিমপুর থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এসেছি। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এত বড় শিবলিঙ্গ আমি কোনওদিন দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    ঈশ্বরদর্শন—সকরা না নিরাকার

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়! ঈশ্বরের স্বরূপ নিয়ে এত মত কেন? কেউ বলে সাকার—কেউ বলে নিরাকার—আবার সাকারবাদী নিকট নানারূপের কথা শুনতে (Kathamrita) পাই। এত গণ্ডগোল কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যে ভক্ত যেরূপ দেখে, সে সেইরূপ মনে করে। বাস্তবিক কোনও গণ্ডগোল নাই। তাঁকে কোনরকমে যদি একবার লাভ করতে পারা যায়, তাহলে তিনি সব বুঝিয়ে দেন। সে পাড়াতেই গেলে না—সব খবর পাবে কেমন করে?

    একটা গল্প শোনঃ

    একজন বাহ্যে গিছিল। সে দেখলে যে গাছের উপর একটি জানোয়ার রয়েছে। সে এসে আর একজনকে বললে, দেখ অমুক গাছে একটি সুন্দর লাল রঙের জানোয়ার দেখে এলাম। লোকটি উত্তর করলে, আমি যখন বাহ্যে গিছিলাম আমিও দেখেছি—তা সে লাল রঙ হতে যাবে কেন? সে জে সবুজ রঙ! আর-একজন বললে (Kathamrita), না না—আমি দেখেছি হলদে! এইরূপে আরও কেউ কেউ বললে, না জরদা, বগুনী, নীল ইত্যাদি। শেষে ঝগড়া। তখন তারা গাছতলায় গিয়ে দেখে, একজন লোক বসে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি এই গাছতলায় থাকি, আমি সে জানোয়ারটিকে বেশ জানি—তোমার যা যা বলছ, সব সত্য—সে কখন লাল, কখন সবুজ, কখন হলদে, কখন নীল আরও সব কত কী হয়! বহুরূপী। আবার কখন দেখি, কোন রঙই নাই। কখন সগুণ, কখন নির্গুণ।

    অর্থাৎ যে ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি? সে ব্যক্তিই জানে যে, তিনি নানারূপে দেখা দেন, নানাভাবে দেখা দেন—তিনি সগুণ, আবার তিনি নির্গুণ। যে গাছতলায় থাকে, সেই জানে যে বহুরূপীর নানা রঙ—আবার কখন কখন কোন রঙই থাকে না। অন্য লোক কেবল তর্ক ঝগড়া করে কষ্ট পায়।

    আরও পড়ুনঃ “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু, ভারতীয় সংসদকে খোলা চিঠি দেশের সাহিত্যিক-বিজ্ঞানীদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু, ভারতীয় সংসদকে খোলা চিঠি দেশের সাহিত্যিক-বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু-নিধন (Hindu Genocide) নিয়ে এবার সরব হলেন ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা। ভারতীয় সাহিত্যিক-বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অধ্যাপক-বিশিষ্টজন’রা এ নিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন দেশের সংসদের উদ্দেশে। ওই চিঠির নিচে তাঁরা স্বাক্ষরও করেছেন। হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় একগুচ্ছ দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের দুর্দশার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই মন্দিরে মন্দিরে হামলা, হিন্দু হত্যার কথাও সেখানে স্থান পেয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পরেই সেদেশের হিংসা সাম্প্রদায়িক হামলায় পরিবর্তিত হয়। জামাত ও বিএনপির নেতৃত্বে মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাতে থাকে একের পর এক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে (Hindu Genocide)। গত শনিবারই লাখো লাখো হিন্দু নিরাপত্তার দাবিতে জড়ো হন সারা বাংলাদেশের একাধিক জায়গায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজের ট্যুইট বার্তায় মহম্মদ ইউনূসকে হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানান। ঠিক এই আবহে এবার হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় সরব হতে দেখা গেল ভারতীয় সাহিত্যিক-বিজ্ঞানীদের।

    কী লেখা হল খোলা চিঠিতে?

    বিশিষ্টজনদের ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে হিংসাত্মক হামলা (Hindu Genocide) বেড়ে চলছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে দেখা যাচ্ছে হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। মেহেরপুরে ইসকনের কেন্দ্রকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনিতে হিন্দুদের হত্যা করে সেই ভিডিও ভাইরাল করেছে মৌলবাদীরা।’’ হিন্দুদের ওপর এমন হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই জানিয়েছেন সাহিত্যিক-বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অধ্যাপক-বিশিষ্টজনরা।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) গঠনের আগেই পাকিস্তানি শাসকরা ২৫ লাখ হিন্দুকে হত্যা করেছিল

    ওই চিঠিতে এ প্রসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে ঐতিহাসিকভাবে কীভাবে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বারবার আক্রমণ করা হয়েছে বাংলাদেশে। এনিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের আগেই পাকিস্তানি শাসকরা ২৫ লাখ হিন্দুকে হত্যা করেছিল। তখন থেকে হিন্দু গণহত্যা সেদেশে একটি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ৩,৬০০টি ঘটেছে।’’ চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে ভারত সরকার যেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা চালায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের মাধ্যমে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারকে চাপ দিয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সুরক্ষিত করার কথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এর পাশাপাশি নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

    নির্বাচিত সাংসদদের কাছে আবেদন

    ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান ঘটনাবলীর পরিস্থিতি হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সংখ্যালঘুরা সেখানে বিপন্ন-অত্যাচারিত-নিপীড়িত।’’ বর্তমান পরিস্থিতিতে যে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বা দেশভাগের সময়কার ছায়া দেখা যাচ্ছে তারও উল্লেখ করা হয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর যাতে হামলা আর কোনওভাবে না হয় তার স্থায়ী সমাধানও চাওয়া হয়েছে। ভারতীয় সাংসদদের কাছে আবেদন করে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, এই ইস্যু নিয়ে তাঁরা যেন সরকারের সঙ্গে কথা বলেন এবং উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার এই সমস্যাটির সমাধান করেন।’’

    কী কী দাবি জানানো হল 

    নিজেদের দাবির কথাও চিঠির একেবারে শেষে উল্লেখ করেছেন লেখক-বিজ্ঞানীরা এবং সেখানে ভারতীয় সংসদের কাছে দাবি হিসেবে জানানো হয়েছে-

    ১. বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ঘটে চলা হিংসাত্মক হামলা ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়ে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাশ করতে হবে।

    ২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারত সরকার যেন আলোচনা চালায় যাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ হিন্দু সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয় এবং দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করে।

    ৩. বাংলাদেশে মৌলবাদীদের আক্রমণে যে সমস্ত হিন্দু অত্যাচারিত হয়েছেন তাঁদেরকে মানবিকভাবে সহায়তা করা এবং ভারতে তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।

    ৪. বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মৌলিক ও মানবিক অধিকারকে বজায় রাখতে এবং যে কোনও ধরনের হিংসাকে রোধ করতে পদক্ষেপ করা। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিকভাবে মঞ্চে বিষয়টি আলোচনা করে হিন্দুদেরকে সুরক্ষা প্রদান করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্স পদকের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন! ব্রোঞ্জজয়ী অ্যাথলিটের পোস্ট নিয়ে জল্পনা

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্স পদকের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন! ব্রোঞ্জজয়ী অ্যাথলিটের পোস্ট নিয়ে জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সের পদক অমূল্য। কোনও অর্থ দিয়ে তা বিচার করা যায় না। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) তা নিয়েই চরম বিতর্ক তৈরি হল। অলিম্পিক্স সবে শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে পদকের (Olympics Medal) রং উবে যাচ্ছে। আমেরিকার স্কেটবোর্ডার নাইজা হিউস্টন (Nyjah Huston) এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন। ব্রিটিশ ডাইভার ইয়াসমিন হারপারও (Yasmin Harper) একই অভিযোগ করেছেন।

    কী অভিযোগ

    তিনি অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) শুরুর প্রথম সপ্তাহেই স্কেট বোর্ডিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তারপর দশদিন পরে উদ্ধার করা গিয়েছে, ওই পদকের রং উবে যাচ্ছে। যে উজ্জ্বলতা প্রথমে ছিল, সেটি আর নেই। বরং দিনের দিন সেটি কমে যাচ্ছে। সেই নিয়ে এই মার্কিন অ্যাথলিট একটি ভিডিও করে সেটি সোশ্যাল সাইটে দিয়ে দিয়েছেন। তাতে প্যারিসের আয়োজকদের ট্যাগ করে লিখেছেন, “আমার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হোক।” নাইজাহর ইনস্টাগ্রামে ৫.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার্স রয়েছে। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘নতুন অবস্থায় এই অলিম্পিক্স পদকগুলি দারুণ দেখায়। কিন্তু ঘর্মাক্ত শরীরে এই পদক আমি পরেছি। কয়েকজন বন্ধুদেরও পরতে দিয়েছিলাম। এভাবে দিনসাতেক কাটতে না কাটতেই পদকের রং উঠে গেল। এটা ভীষণ রুক্ষও দেখাচ্ছে। এমনকী, সামনের দিকটাও কিছুটা কমতে শুরু করেছ। অলিম্পিক্স পদকের মান হয়তো কিছুটা হলেও বাড়ানো যেত। যে মানের হবে ভেবেছিলাম, তেমনটা হল না একেবারেই।’’

     ব্রিটিশ ডাইভার ইয়াসমিন হারপারও (Yasmin Harper) একই অভিযোগ করেছেন। ইয়াসমিন হারপারেরও পদক নিয়ে একই অভিযোগ। তিনিও ব্রোঞ্জ জিতেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘পদকের ভিতর জল বা কিছু ঢুকে গিয়েছে বলেই মনে হয়। আমার পদকের রং উঠে গিয়েছে। কেন হয়েছে, তা আমি নিশ্চিত নই।’’

    অলিম্পিক্স কমিটির বিবৃতি

    এই বিষয়টি নজরে এসেছে প্যারিসের (Paris Olympics 2024) আয়োজকদের। তারা ইমেলে ওই অ্যাথলিটদের লিখেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ওই খারাপ হয়ে যাওয়া পদক প্রতিস্থাপিত করে দেওয়া হবে। এমনকী, কোনও অ্যাথলিটের এমন অভিযোগ থাকলে তাঁরাও যোগাযোগ করতে পারেন ইমেলের মাধ্যমে। তাঁদেরও পদক (Olympics Medal) নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাল্টিপল স্পোর্টসের সবচেয়ে বড় ইভেন্টের সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জ পদকের নকশা করেছে ফ্রান্সের একটি বিখ্য়াত জুয়েলারি সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেট নিকোবরে ৪১০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে নির্মিত হচ্ছে ট্রান্স-শিপমেন্ট পোর্ট (Port)। ভারত সরকার গালাথিয়া উপসাগরে গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এই বন্দর প্রকল্পটি শুরু করার সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার মতো একটি বিষয় প্রথমে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) থেকেও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা নেই। এই বন্দর ভারতের আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বন্দর সচিবের বক্তব্য (Great Nicobar Transhipment Port)

    সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথ সচিব টি কে রামচন্দ্রন বলেছেন, “এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের ডিপিআরও চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটির আরও বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করব। এই সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির জন্য অনুমানিক ব্যয় হবে প্রায় ৪১,০০০ কোটি টাকা। তবে সরকার এবং ব্যক্তিগত-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) দ্বারা প্রকল্পের অর্থ অনুমোদন করা হবে।”

    পিপিপি মডেলে তৈরি হবে

    গত বছর, বন্দর (Port), নৌপরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, ১১টি সংস্থা এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, লারসেন অ্যান্ড টুব্র লিমিটেড, অ্যাফকান ইন্সুরেন্স লিমিটেড, জেএসডবলু ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মতো কোম্পানি। বাজার ও ব্যবসার মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে স্টোরেজ এলাকা, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম এবং অন্যান্য কাঠামো গঠন করা হবে। ৩০ থেকে ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্য পিপিপিকে ছাড় দেওয়া হবে। বন্দর পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ এবং সামগ্রিক পরিচর্চার বিষয়ে তাদের বিশেষ অধিকার দেওয়া হবে।

    দুটি ধাপে সম্পন্ন হবে

    এই সমুদ্র বন্দরের (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পটি ২টি ধাপে তৈরি করা হবে। প্রথম পর্যায়ের জন্য আনুমানিক খরচ করা হবে প্রায় ১৮০০০ কোটি টাকা। এই পর্বে ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, ড্রেজিং, পুনরুদ্ধার, বার্থ, স্টোরেজ এলাকা, বিল্ডিং এবং ইউটিলিটি, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ইনস্টলেশন এবং বন্দর কলোনির উন্নয়নের কাজ করা হবে। মূল অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি সহায়তা করা হবে। দ্বিতীয় পর্বে বন্দরের জন্য পৃথক দরপত্র প্রণয়ন করা হবে। তবে প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের মধ্যে সর্বাধিক সাত বছরের ব্যবধানের থাকবে। তবে যদি চাহিদা বাড়ে তবে এই সময়ের ব্যবধানটি কমিয়ে আনা হতে পারে।

    প্রকল্পের তাৎপর্য

    বর্তমানে, ভারতের ট্রান্সশিপড কার্গোর প্রায় ৭৫ শতাংশ ভারতের বাইরের বন্দরে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কলম্বো, সিঙ্গাপুর এবং ক্ল্যাং-এই বন্দরগুলিতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে থাকে৷ তবে এই ট্রান্সশিপড কার্গোর অর্ধেকের বেশি কলম্বো বন্দর দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারতের এই বন্দর প্রকল্প অত্যন্ত কৌশলগত, কারণ এটি সিঙ্গাপুর, ক্ল্যাং এবং কলম্বোর মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে মধ্যে অবস্থিত। বৈদেশিক আমদানি-রফতানি এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তা-সুরক্ষার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে এই বন্দরের সঙ্গে। তাই ভারতের জন্য এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    আরও পড়ুনঃ অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বন্দর

    আন্তর্জাতিক জাহাজ বাণিজ্য পথের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port)। ২০ মিটারের বেশি প্রাকৃতিক জলের গভীরতায় জাহাজের আমদানি-রফতানির জন্য খুব সহায়ক হবে এই বন্দর। এই প্রস্তাবিত বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে চালু হলে প্রতি বছর ১৬ মিলিয়ন কন্টেইনার ওঠা-নামানোর পরিকাঠামো নির্মিত হবে। যার প্রথম ধাপ ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বন্দরের (Port) সঙ্গে একযোগে বিকাশ ঘটাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share