Tag: bangla news

bangla news

  • Khudiram Bose Death Anniversary: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    Khudiram Bose Death Anniversary: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের সব থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস (Khudiram Bose Death Anniversary) আজ। ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মাত্র ১৮ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে হাসিমুখে ফাঁসিতে চড়েছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose)। 

    ফিরে দেখা ইতিহাস (Khudiram Bose Death Anniversary) 

    ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বসু। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর মাকে হারান এবং এর এক বছর পর তাঁর বাবা মারা যান। এরপর খুব অল্প বয়সেই তিনি কলকাতার বারিন্দ্রকুমার ঘোষের মতো বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রতী করেছিলেন ক্ষুদিরাম। স্থানীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী পুস্তিকা বিতরণের জন্য ইংরেজ শাসকরা তাঁকে আটক করে। 
    ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষুদিরামের বয়স যখন ১৬ বছর, সে সময় প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি মুজফফরপুরে একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিংসফোর্ড সেদিন ক্লাবে আসেননি। দুই ইংরেজ মহিলা মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা একই লাল গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সেই বোমা হামলায় তাঁরা মারা গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ধরার আগেই প্রফুল্ল চাকি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। আর অন্যদিকে এই ঘটনার পর নিজের প্রাণ বাঁচাতে ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose) ২৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, একটি জায়গায় জলের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ কিন্তু, সদ্য কৈশোর পেরনো ক্ষুদিরাম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান৷ তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করে ব্রিটিশ পুলিশ৷ এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসির সাজা শোনায় করে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা৷   

    আরও পড়ুন: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ (Khudiram Bose)

    বিখ্যাত অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন ক্ষুদিরাম। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া (Khudiram Bose Death Anniversary) হয় মুজফফপুর সংশোধনাগারে। বর্তমানে সেই কারাগারের নাম বদলে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নামেই নামকরণ করা হয়েছে। এই কারাগারেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন যিনি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর শরীরের মৃত্যু হলেও আজীবন তিনি অমর হয়ে থেকে গেলেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হামলার প্রতিবাদে লাখ লাখ হিন্দু রাস্তায়! সংখ্যালঘু গর্জনে কাঁপল বাংলাদেশ

    Bangladesh: হামলার প্রতিবাদে লাখ লাখ হিন্দু রাস্তায়! সংখ্যালঘু গর্জনে কাঁপল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পরেই সেদেশের হিংসা সাম্প্রদায়িক হামলায় পরিবর্তিত হয়। জামাত ও বিএনপির নেতৃত্বে মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাতে থাকে একের পর এক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে (Hindu Protest)। রঙপুরে খুন করা হয় হিন্দু নেতা কাজল রায়কে, রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও, রায়গঞ্জের প্রেস ক্লাবের ভিতরে ঢুকে মৌলবাদীরা হত্যা করে হিন্দু সাংবাদিক প্রদীপকুমার ভৌমিককে। এমন হামলাগুলিতে ছায়া দেখা যেতে থাকে ঠিক ১৯৪৭-এর দেশ ভাগ অথবা ১৯৭১-এর বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। প্রচুর সংখ্যায় হিন্দুরা জড়ো হতে থাকেন ভারত সীমান্তে, আশ্রয় পাবার আশায়। এরই মাঝে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিতে হামলার প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবিতে লাখ লাখ হিন্দু বাংলাদেশের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেন। বাংলাদেশের ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ার, শরিয়তপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ সব জায়গাতে একই ছবি দেখা গিয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রে হিন্দুরা নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য।

    ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হিন্দুদের (Bangladesh)

    ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ারে আন্দোলন শুরু হয় শুক্রবার, শনিবার তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। লাখো লাখো হিন্দু রাস্তায় (Hindu Protest) নেমে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নীতি প্রণয়নের দাবি তোলেন, যাতে হিন্দুদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা রক্ষিত হয়। এর পাশাপাশি ঢাকার হিন্দুরা দাবি তুলেছেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক রাখার জন্য। এছাড়াও কড়া আইন প্রণয়নের দাবিও তুলেছেন হিন্দুরা, যাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনও ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা যায়। হিন্দুদের দাবি জোরালোভাবে যাতে পার্লামেন্টে পৌঁছে দেওয়া যায় সে কারণে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু সংরক্ষণও চেয়েছেন তাঁরা। বাংলাদেশের এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সজ্জন কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সকলের দেশ। হিন্দুরা এখানে নিরাপত্তা চায়।’’ হিন্দুদের আন্দোলনে জয় শ্রীরাম, হরে কৃষ্ণ ধ্বনিও শোনা গিয়েছে শনিবার।

    চট্টগ্রামের পথে ৭ লাখ হিন্দু!

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) ক্ষেত্রে ছবিটা ছিল একই। সেখানে লাখো লাখো হিন্দু জড়ো হয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এবং সেখানে দাবি করা হয়েছে ৭ লাখেরও বেশি হিন্দু চট্টগ্রামের চিরাগি পাহাড় এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত চিরাগি পাহাড় এলাকাকে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলে ধরা হয়। লাখ লাখ হিন্দু রাস্তা অবরোধ করেন শনিবার এবং তাঁরা দাবি তুলতে থাকেন, হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ হোক। এদিন চট্টগ্রামের হিন্দুরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। তাঁরা দাবি তোলেন, ইসলামিক মৌলবাদীদের হাত থেকে হিন্দুদের রক্ষা করা হোক ও বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা হোক। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল পোস্টারগুলিতে লেখা ছিল, আমরা এখনও কেন স্বাধীন হতে পারলাম না! কেন আমাদের মন্দিরের ওপর হামলা চলছে! কেন বাংলাদেশের থাকার জন্য আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে! দেশের এর উত্তর চায়!

    শরিয়তপুরে হিন্দুদের মানববন্ধন

    বাংলাদেশের শরিয়তপুরে হিন্দুরা মানববন্ধন করেন মৌলবাদীদের অত্যাচার, মূর্তি ভাঙা, লুট, জমি দখলের বিরুদ্ধে। সে দেশে শরিয়তপুরে হিন্দুদের এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নামের সংগঠন। পরবর্তীকালে লাখো লাখো হিন্দুর ওই মিছিল স্থানীয় সেন্ট্রাল শহিদ মিনারে শেষ হয়। জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতা হেমন্ত দাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘হিন্দুরা আতঙ্কিত। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি যেভাবে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছে। মন্দির ভাঙচুর চলছে। আমরা আর বিলাপ করতে চাই না। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমরাও এদেশের নাগরিক আমাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।’’

    খোলা চিঠি ইউনূসকে

    বরিশালের চিত্রটাও ছিল একই রকম। সোমবার ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই এখানে হিন্দুদের ওপর হামলা নেমে আসে। তাই আন্দোলনকারীরা এদিন নিজেদের নিরাপত্তার দাবির সঙ্গে সঙ্গে বলতে থাকেন যখন হামলা হচ্ছিল তখন কেউ আসেনি তা থামাতে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ খোলা চিঠি লেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে এবং সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও অত্যাচার বন্ধ (Bangladesh) করার দাবি জানানো হয়।

    হিন্দুদের দাবি

    এদিন হিন্দুদের দাবিগুলি ছিল,

    ১) সংখ্যালঘু মন্ত্রক তৈরি 
    ২) সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা কমিশন তৈরি 
    ৩) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন 
    ৪) সংসদে ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু আসন সংরক্ষণ 
    ৫) সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলাগুলি হয়েছে সেগুলির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত 
    ৬) যেসব সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা চলেছে, লুট চলেছে তাঁদেরকে যথাযুক্ত ক্ষতিপূরণ
    ৭) হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে স্বশাসিত সংস্থার মর্যাদা দেওয়া

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar: মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ’র

    R G Kar: মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে (R G Kar) নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মমতা সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA)। অন্যথায় দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই চিকিৎসক সংগঠন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই কথা উল্লেখ করে নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে। এর পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছে তারা। ডাক্তারদের বিশেষত মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিও লেখা রয়েছে তাদের বিবৃতিতে। প্রসঙ্গত কর্মক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তা আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে সারা দেশ জুড়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি (R G Kar)

    নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ (IMA) লিখছে যে দেশের সম্পূর্ণ মেডিক্যাল ব্যবস্তা সম্পূর্ণভাবে হতবাক হয়ে গিয়েছে আরজিকর কাণ্ডের পরে এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কোনও ভাষাই তাদের কাছে নেই। এই জঘন্য অপরাধ আরজি করের তৃতীয় তলের সেমিনার হলের মধ্যে করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে এটা স্পষ্ট যে ওই চিকিৎসককে হত্যার পূর্বে ধর্ষণ করা হয়। এই অপরাধ প্রমাণ করছে ঠিক কতটা বিশৃংখল পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার অভাব রয়েছে আরজিকর হাসপাতালে। অর্থাৎ মমতার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে কার্যত এই ভাবেই কাঠগড়ায় তুলল আইএমএ।

    একই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইএমএ (R G Kar) এবং যদি এই সময়সীমার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হয় সে ক্ষেত্রে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ জানিয়েছে, নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে। প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ আরও জানিয়েছে হাসপাতালের ভিতরে ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে এবং তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারকেই নিতে হবে।

    আগেই হুঁশিয়ারি দ্য ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের

    প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনেরও (R G Kar) আগে দ্য ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে। আরজিকর কাণ্ডের পরে দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি করেছে তারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে তারাও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এবং চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ওই সংগঠন।

    শনিবার প্রতিবাত-কর্মবিরতি চলেছে দিনভর

    আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবারই বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। এই ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও এমন ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে এমন দাবিও করেছে তারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন’ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে এবং চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohamed Muizzu: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    Mohamed Muizzu: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের প্রতি মোহভঙ্গ? নাকি মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভোলবদল? কী বলবেন একে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী (PM Modi) প্রশংসা করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যে প্রকৃতই বন্ধু, তা ক্রমেই উপলব্ধি করতে পারছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তার ওপর পর্যটনে ভাঁটার টান হওয়ায় পেটেও টান পড়েছে দ্বীপবাসীর। সেই কারণেই মুইজ্জুর ভোল বদল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    মলদ্বীপ সফরে জয়শঙ্কর (Mohamed Muizzu)

    শুক্রবার তিনদিনের মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার ছিল এই সফরের দ্বিতীয় দিন।এদিন মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারায় আমি সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে।” সূত্রের খবর, বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্কর আরও লিখেছেন, “আমাদের জনগণ এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    শনিবার মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে শুক্রবার জয়শঙ্কর বৈঠক করেন সে (Mohamed Muizzu) দেশের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরের সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী প্রথম নীতির অন্যতম ভিত্তিই হল মলদ্বীপ। ভারতের কাছে প্রতিবেশী হল অগ্রাধিকার। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে মলদ্বীপ হল আমাদের অগ্রাধিকার। দুদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কও খুব নিবিড়।”

    আরও পড়ুন: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে তিক্ততা

    মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’। মলদ্বীপের অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা যখন ক্ষমতায় এসে প্রথমে ভারত সফর করেছিলেন, রীতি ভেঙে মুইজ্জু চলে গিয়েছিলেন চিনে। ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানের পাশাপাশি তাঁর সরকারের তিন মন্ত্রী কটাক্ষ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরে মলদ্বীপ বয়কটের আওয়াজ তোলেন ভারতীয় পর্যটকরা। পেটে টান পড়ে দ্বীপবাসীর। তার পরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের ওপর জোর দেয় মুইজ্জু প্রশাসন।

    কী বললেন মুইজ্জু

    এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেলে মুইজ্জু লেখেন, “সব সময় মলদ্বীপকে সমর্থন করায় আমি ভারত সরকার বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হচ্ছে, নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দেশগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আমরা এক সঙ্গে এই অঞ্চলের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধতর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।”

    দ্বীপভূমে ইউপিআই পরিষেবা

    এদিকে, দ্বীপরাষ্ট্রে (Mohamed Muizzu) ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ বা ইউপিআই পরিষেবা চালু করতে চলেছে ভারত। এ সংক্রান্ত মউ-ও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, “মলদ্বীপে (এ) ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন ও মলদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাক্ষী হয়েছি।” ইউপিআই হল রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম। এটি মোবাইল মারফত তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাঙ্কের টাকা লেনদেনের সুবিধা দেয়। এদিন মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

    ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে অবনতির পর মলদ্বীপই সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়। মলদ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সিংহভাগই ভারতীয়। তারা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বিপাকে পড়ে মুইজ্জু প্রশাসন। টান পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। এর পরেই যে মুইজ্জু প্রশাসন ‘ইন্ডিয়া আউট’ আওয়াজ তুলে গলা ফাটাচ্ছিল, তারাই এখন ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’ প্রচার শুরু করে। পর্যটক টানতে মুম্বই-সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় তারা এই প্রচার করে। দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী স্বয়ং এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ভারত সফরের পরে পরেই এবার সে দেশে গেলেন জয়শঙ্কর।

    মলদ্বীপের ভারত-মুখী হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। প্রতি বছর ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। এবার মলদ্বীপের জন্য সেই বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি টাকা। অভিজ্ঞমহলের মতে, পর্যটক কমে যাওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দ কমে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পরেই একটু একটু করে ভারতের (PM Modi) দিকে ঝুঁকতে শুরু করে মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) প্রশাসন।

    কথায় বলে না, ঠ্যালায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 11 August 2024: কপালে অপমান জুটতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 11 August 2024: কপালে অপমান জুটতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মায়ের দিক থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) শেয়ারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। 

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, পদক্ষেপের আহ্বান মার্কিন আইন প্রণেতাদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, পদক্ষেপের আহ্বান মার্কিন আইন প্রণেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বহু মানুষ। এই  সমাবেশের আয়োজন করেছিল হিন্দু অ্যাকশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ এই আন্দোলনকে আমেরিকার (Protest in America) বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    হিন্দুদের জন্য আওয়াজ উঠছে আমেরিকায় (Protest in America)

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন আমেরিকার বহু সেনেটর। এই মর্মান্তিক অত্যাচারের প্রতিবাদ (Protest in America) জানানোয় আমেরিকার সেনেটরদের হিন্দু অ্যাকশন সংস্থার তরেফে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির সেনেটর প্যাট ফ্যালন তাঁর এক্স বার্তায় লিখেছেন, “আমরা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক হিংসা এবং ধর্মীয় নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল জনগণের স্বার্থে কাজ করার এবং এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা নিন্দনীয় কাজ। যারা এই হিংসার কাজে প্ররোচনা দিয়েছে এবং অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। বাংলাদেশে চলমান হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি, আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকনকে চিঠি লিখে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার অবসান এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে ন্যায় বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা মোঃ ইউনূসকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    ঢাকাতেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদ (Bangladesh Crisis)

    শুক্রবার কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্য করে তাদের উপর আক্রমণ (Bangladesh Crisis) চালানো হয়। তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের উপাসনালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সোমবার থেকে নেমে আসে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। তাঁদের বাড়ি, অফিস, দোকান, মন্দিরে হামলা হয়। এমনকী এক শিক্ষককে হিন্দু হওয়ার অপরাধে খুন হতে হয়। প্রায় শতাধিক হিন্দু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে হাতে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন এবং দেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতির অবসান এবং শান্তির আহ্বান জানান।

    হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বক্তব্য

    বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে অন্তত ৫২ টি জেলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও আওয়ামি লিগকে হয়ত ভোট দিয়েছেন, এই সন্দেহে হিংসার শিকার হয়েছেন হিন্দুরা। অনেক ক্ষেত্রে শুধু লুটপাটের উদ্দেশ্যে হয়েছে হিংসা। জাতির উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে ঐক্য পরিষদ বলেছে, সারাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর আশঙ্কা, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কার্যালয়ের তরফে বাংলাদেশের হিংসাকে (Bangladesh Crisis) দমন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যে কোনও জাতিগত আক্রমণ বা জাতিগতভাবে হিংসার উস্কানির নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

    পরিস্থিতির ওপর নজর ভারতের

    বাংলাদেশের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে (Bangladesh Crisis) হাজার হাজার হিন্দু প্রাণে বাঁচার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।। সীমান্তে হাজার হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাঅপ-বাংলাদেশ সীমান্তের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ূন: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই তাঁর এক্স বার্তায় লিখেছেন, “বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 100: “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    Ramakrishna 100: “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    যতো বাচো নিবর্তন্তে। অপ্রাপ্য মনসা সহ।

    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ/)

    ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না

    কিরকম জান? যেন সচ্চিদান্নদ-সমুদ্র-কুল-কিনারা নাই—ভক্তিহিমে স্থানে স্থানে জল বরফ হয়ে যায়-বরফ আকারে জমাট বাঁধে। অর্থাৎ ভক্তের কাছে তিনি ব্যক্তভাবে, কখন কখন সাকার রূপ ধরে থাকেন। জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না।–তাঁর রূপও দর্শন হয় না। কি তিনি মুখে বলা (Kathamrita) যায় না। কে বলবে? তিনিই নাই। তাঁর আমি আর খুঁজে পান না।

    বিচার করতে করতে আমি-টামি আর কিছুই থাকে না। পেঁয়াজের প্রথমে লাল খোসা। তুমি ছাড়ালে, তারপর সাদা পুরু খোসা। এইরূপ বরাবর ছাড়াতে ছাড়াতে ভিতরে কিছু খুঁজে পান না।

    সেখানে নিজের আমি খুঁজে পাওয়া যায় না—আর খুঁজেই বাঁ কে?—সেখানে ব্রহ্মের স্বরূপ (Ramakrishna) বোধে বোধ কিরূপ হয়, কে বলবে!

    একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল। সমুদ্রে যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল। তখন খবর কে দিবেক?

    পর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ—পূর্ণ জ্ঞান হলে মানুষ চুপ হয়ে যায়। তখন আমি রূপ লুনের পুতুল সচ্চিদানন্দরূপ সাগরে গলে এক হয়ে যায়, আর একটুও ভেদবুদ্ধি থাকে না।

    বিচার করা যতক্ষণ না শেষ হয়, লোকে ফড়ফড় করে তর্ক করে। শেষ হলে চুপ হয়ে যায়। কলসী পূর্ণ হলে, কলসীর জল পুকুরের জল এক হলে আর শব্দ থাকে না। যতক্ষণ না কলসী পূর্ণ হয় ততক্ষণ শব্দ। আগেকার লোকে বলত (Kathamrita), কালাপানিতে জাহাজ গেলে ফেরে না।

    আমি কিন্তু যায় না

    আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল (হাস্য)। হাজার বিচার কর, আমি যায় না। তোমার পক্ষে ভক্ত আমি এ-অভিমান ভাল।

    আরও পড়ুনঃ “জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vigyan Ratna Award: দেশের প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন

    Vigyan Ratna Award: দেশের প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন উদ্বোধনী বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) প্রাপক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। লিভারের রোগ এবং জিন নিয়ন্ত্রণে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন। এটি এই বছর সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বোচ্চ বিজ্ঞান পুরস্কার। ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

    দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান (Vigyan Ratna Award)

    এই বছরের শুরুর দিকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষক, প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্ভাবকদের অসামান্য এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং উদ্ভাবনী অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) চালু করেছিল কেন্দ্র। সেই নিরিখে প্রখ্যাত জৈব রসায়নবিদ গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন ২০২৪ সালের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান পেতে চলেছেন। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার

    কেন্দ্রীয় সরকার ৭ অগাস্ট ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য ১৮টি বিজ্ঞান যুব পুরস্কার, ১৩টি বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কার এবং একটি বিশেষ বিজ্ঞান দল পুরস্কার রয়েছে। টিম চন্দ্রযান-৩ তাদের যুগান্তকারী চন্দ্র অভিযানের জন্য পুরস্কৃত হতে চলেছে। গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন বর্তমানে তিরুভারুরের তামিলনাড়ুর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISC), বেঙ্গালুরুর একজন সাম্মানিক অধ্যাপক। যকৃতের রোগ, প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং তাঁর অগ্রগামী গবেষণার জন্য বিজ্ঞান রত্ন দিয়ে তিনি সম্মানিত হতে চলেছেন। 

    রাজনৈতিক নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন

    তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতা কে আন্নামালাই বিজ্ঞান ও শিক্ষায় তাঁর অবদানের প্রশংসা করে পদ্মনাভনকে তার কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইভাবে তামিল মানিলা কংগ্রেস (মুপানার) সভাপতি জি কে ভাসানও পদ্মনাভনের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন। ৪ অগাস্ট জারি করা একটি বিবৃতিতে, ভাসান বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কারের জন্য পদ্মনাভনকে নির্বাচিত করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর অসামান্য বৈজ্ঞানিক অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রশংসা করেছেন।

    পুরস্কার প্রাপক বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা

    পদ্মনাভন ছাড়াও বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন, জ্যোতির্পদার্থবিদ অন্নপুরিণী সুব্রামানিয়ান, তামিলনাডুর কৃষিবিদ আনন্দরামকৃষ্ণান সি, অ্যাটমিক এনার্জি থেকে আভেশ কুমার ত্যাগী, প্রফেসর উমেশ বার্শনি এবং প্রফেসর জয়ন্ত ভালচন্দ্র উদগাঁওকর (জীব বিজ্ঞান), প্রফেসর সৈয়দ ওয়াজিহ আহমদ নকভি (পৃথিবী বিজ্ঞান), প্রফেসর ভীম সিং (ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সেস), প্রফেসর আদিমূর্তি আদি এবং প্রফেসর রাহুল মুখোপাধ্যায় (গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান), অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় বিহারী (মেডিসিন), প্রফেসর লক্ষ্মণ মুথুসামী এবং প্রফেসর নব কুমার মণ্ডল (পদার্থবিদ্যা), অধ্যাপক রোহিত শ্রীবাস্তব (প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন)। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে চন্দ্রযান-৩-এর সফল চাঁদে অবতরণ উদযাপনের দিন হিসেবে ২৩ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamaat-e-Islami: কাশ্মীর হোক বা বাংলাদেশ, জামাত-এ-ইসলামির বিষ ছড়িয়েছে সর্বত্র

    Jamaat-e-Islami: কাশ্মীর হোক বা বাংলাদেশ, জামাত-এ-ইসলামির বিষ ছড়িয়েছে সর্বত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামপন্থী সংগঠন, জামাত-এ-ইসলামি (JEI)। ভারত-বিরোধী এই ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন কাশ্মীর এবং বাংলাদেশে সক্রিয়। যাদের একমাত্র লক্ষ্য হল গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে দেশে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করা। এদের হাতে ক্ষমতা গেলে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান হতে খুব একটা দেরি হবে না বাংলাদেশ বা কাশ্মীরের। ইসলামি শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী এই সংগঠন অমুসলিম ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে ইসলাম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।

    অতীতের কথা

    স্বাধীনতার আগে, ১৯৪১ সালে পরাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় জামাত-ই-ইসলামি (JEI)। সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়েই তৈরি হয় এই সংগঠন। ইসলামি অনুশীলনগুলিকে সংস্কার করে ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারমূল্যবোধের পরিবর্তে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল জামাত (Jamaat-e-Islami)। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর দলটি দুটি সংগঠনে ভাগ হয়। জামাত-এ-ইসলামি পাকিস্তান ও জামাত-এ-ইসলামি হিন্দ। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জামাত-এ-ইসলামি কাশ্মীর, যা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জামাত-ই-ইসলামি আজাদ কাশ্মীর নাম গ্রহণ করে। জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে পুনর্যাত্রা শুরু করে মেজর জিয়ার শাসনকাল থেকে। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামি। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির। ১৯৮০ এর দশকে পাকিস্তানি জামাত কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহে সমর্থন জোগায়।

    আরও পড়ুন: তমলুকে গড়ে ওঠে পরাধীন ভারতের স্বাধীন সরকার, ফিরে দেখা অগাস্ট ক্রান্তি দিবস

    ১৯৪৭-এর পাকিস্তান বিরোধিতার মতো তারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেরও বিরোধিতা করেছিল। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তারা মনে করত, পাকিস্তান ভাগ হলে বাংলাদেশ হবে ভারতের কলোনি। তাদের আরেকটি বড় অসুবিধা ছিল আদর্শিক জায়গায়। আদর্শগত কারণেই জামাতের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

    কাশ্মীরে সক্রিয় জামাত

    কাশ্মীর উপত্যকায়, জামাত ইসলামের ঐতিহ্যবাহী সুফি চর্চার সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। সুফিরা উগ্র ইসলামকে সমর্থন করে না। এখানে ইসলামিক বিশ্বাসের সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু ঐতিহ্যের মিশ্রণ দেখা যায়। কাশ্মীরি সুফি ঐতিহ্য এবং সুফি-সাধকেরা, যা আধ্যাত্মিক বহুত্ববাদ এবং মেলবন্ধনের জন্য পরিচিত, জামাতের আক্রমণের লক্ষ্য হয়। কাশ্মীরে সুফির পরিবর্তে কঠোর এবং রক্ষণশীল ইসলামের বিকাশ ঘটাতে থাকে জামাত। তাদের মতাদর্শ সংঘর্ষ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে উস্কে দেয় এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উত্থানের পথ প্রশস্ত করে। এরা কাশ্মীরে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।

    কাশ্মীরে নিষিদ্ধ জামাত

    ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহার ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে সংগঠনটিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ জানিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানো, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এমন বহু অভিযোগ রয়েছে জামাতের বিরুদ্ধে। রয়েছে পাক যোগাযোগের অভিযোগও। তবে সম্প্রতি এই সংগঠন কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছোট বালুকণার মধ্যেও অসীমের স্পর্শ পেতেন, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা কবিগুরুকে

    বাংলাদেশে জামাতের বিস্তার

    কাশ্মীরের মতোই বাংলাদেশেও জামাতের প্রভাব সমানভাবে ধ্বংসাত্মক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়, জামাতের আধা-সামরিক বাহিনী, রাজাকাররা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাঙালি নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার চালায়, যার মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু উভয়ই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বর্বর অত্যাচার বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় স্থায়ী ক্ষত রেখে যায়। এর প্রভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অস্থির করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের পর, জামাতের প্রভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিকে বারবার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সংগঠনটি শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে সরিয়ে তাদের ইসলামপন্থী এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদা সক্রিয় থাকে। বর্তমানেও সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ রাজনৈতিক বিক্ষোভের রূপ ধারণ করে, যা ছিনিয়ে নিয়েছে ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন আর ভারত-বিরোধী অংশ। বাংলাদেশে উৎখাত হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। শেষপর্যন্ত, বাংলাদেশ পরিচালনায় তৈরি করা হয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যার রাশ বকলমে জামাত গোষ্ঠীর হাতেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকশপথে পরিদর্শন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার, সকাল ১১ টায় তিনি প্রথমে কান্নুরে পৌঁছান, তারপরে তিনি ভূমিধস ও দুর্গত এলাকাগুলিকে আকশপথে পরিদর্শন করেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চূরমালা এবং মুন্ডাক্কাই এলাকায়। সেখানে ভূমিধসের পরে দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি এবং সেই সঙ্গে দেন সাহায্যের আশ্বাস।

    ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেন মোদি (Wayanad Landslide)

    এদিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। আকাশপথে সমীক্ষা করে ভূমিধসের উৎপত্তি কেন্দ্রকেও পরিদর্শন করেন মোদি। এই ভূমিধসের উৎসস্থল ছিল ইরুভাঝিনজি পুঝা নদীর অঞ্চল। ধসের ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলির মধ্যে হল পুনচিরিমাত্তম, মুন্ডক্কাই এবং চুরমালা। এই সব এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধসজনিত ধ্বংসের চিত্র নিজের চক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। উদ্ধারকারী বাহিনীরা কীভাবে কাজ করেছে, সেই বিষয় সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন।

    ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের আনুরোধ

    ভূমিধসের স্থানগুলি (Wayanad Landslide) পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহত মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেই সঙ্গে একটি ত্রাণ শিবির ও স্থানীয় হাসপাতালে যান। তাঁদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন মোদি। এরপর এখানকার স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তবে অঞ্চলগুলিতে পুনর্বাসন ও ত্রাণ কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পুরস্কার ২০ লক্ষ! সেনা কনভয়ে হামলাকারী চার জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ কাশ্মীর পুলিশের

    রাহুলের ধন্যবাদ

    এদিকে, বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে পরিদর্শন করেছেন। আপনার সিদ্ধান্তটি বেশ ভালো।”

    গত ৩০ জুলাই এই অঞ্চলে ভূমিধসের কবলে কমপক্ষে ২২৬-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ। বেসরকারি মতে, এই সংখ্য়াটা ৪০০-র বেশি। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে সম্প্রতি সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ধসজনিত বিপর্যয়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share