Tag: bangla news

bangla news

  • Daily Horoscope 09 August 2024: প্রতিবেশীর অশান্তির দায় কাঁধে চাপতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 August 2024: প্রতিবেশীর অশান্তির দায় কাঁধে চাপতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ২) কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ দেখাবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে অন্যদের সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই ব্যাপারে খরচ বার বার হবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবে না।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তহীনতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মানহানির সম্ভাবনা। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে। 

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindu: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন! আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল দিল্লির সংস্থা

    Bangladeshi Hindu: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন! আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইল দিল্লির সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির একটি স্বাধীন সংস্থা হল ‘দ্য সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড হলিস্টিক স্টাডিস’ (CIHS)। সম্প্রতি, এই সংস্থা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে বাংলাদেশি হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu)  ওপর। ওই রিপোর্টে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘হিন্দু জেনোসাইড আনফোল্ডিং ইন বাংলাদেশ’,  এবং এখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বেছে বেছে টার্গেট বানানো হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের। এর ফলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সর্বদাই লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, এমন কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। এর পাশাপাশি, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপেরও দাবি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত ওই সংস্থা, ‘সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড অ্যান্ড হলিস্টিক স্টাডিজ’- এই রিপোর্ট তৈরি করেছে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। বিগত ৭৬ বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমশই কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। হিন্দু জনগোষ্ঠীর (Bangladeshi Hindu) এমন সংখ্যা ক্রমশই কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সাম্প্রদায়িক হিংসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের পাশাপাশি বৈষম্যকেও দায়ী করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুর জনসংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ কিন্তু ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ শতাংশে।

    মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ধর্মান্তকরণ সম্ভব হয়েছে (Bangladeshi Hindu) 

    ওই রিপোর্টে উল্লেখযোগ্যভাবে দাবি করা হয়েছে, বিগত ৭৬ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা কোনও স্বাভাবিক কারণে কমেনি। উপরন্ত তা কমানো হয়েছে অত্যাচারের মাধ্যমে, ধর্মান্তকরণের (Bangladeshi Hindu) মাধ্যমে। ওই সংস্থার রিপোর্টে আরও দাবি জানানো হয়েছে যে, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ধর্মান্তকরণ সম্ভব হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান এবং মূর্তিগুলির উপরে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটেছে লুট এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও। হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বাংলাদেশ থেকে মুছে দেওয়ার জন্যই এমন তাণ্ডব সেখানে মৌলবাদীরা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই রিপোর্টে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের নতুন কালী মন্দির অথবা চট্টগ্রামের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের কথা। এই মন্দিরগুলিতে লুট হয়, মূর্তি ভাঙা হয় এবং সম্পূর্ণভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলাতে গৌড়-নিতাই মন্দিরে হামলা চালায় একদল মৌলবাদী। সেখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠীগুলির বাড়িতেও লুট চালানো হয়।

    ২০২৪ সালের ১৪ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৫৭ টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে

    সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন ছিল আসলে মুখোশ, যার মুখ বেরিয়ে এল গত সোমবারই। ক্ষমতার রাশ সম্পূর্ণভাবে চলে এসেছে জামাত-ই-ইসলাম এবং বিএনপি’র মতো সংগঠনগুলির হাতে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে হেফাজতি ইসলামের মতো সংগঠনগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার যে সংজ্ঞা রয়েছে তার প্রতিটি শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindu) মৌলবাদীরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমারকে কুপিয়ে হত্যা করে জেহাদিরা। অন্যদিকে হিন্দু রাজনৈতিক নেতা হারাধন রায় ও তাঁর ভাইপোকে যেভাবে হত্যা করা হয় তাতে বোঝাই যায় যে সম্পূর্ণভাবে এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক। ওই সংস্থার (CIHS) রিপোর্টে ২০২৪ সালের ১৪ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত ৫৭টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।

    জুন মাসের ঘটনাগুলি

    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ১৪ বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindu) লক্ষীপুরের একটি ঘটনা ঘটে, যখন ১৪ বছরের একজন হিন্দু নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় জেহাদিরা, স্থানীয় গালইয়ারচর গ্রাম থেকে। ঠিক তার পরের দিন ঢাকাতেই একটি হিন্দু পরিবার, যারা লালবাগ অঞ্চলে বসবাস করত তাদের ওপরে ভয়ঙ্কর হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তাদের বাড়িতে লুট চালানো হয়। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে একাধিক ঘটনা ঘটে যখন হিন্দুর মন্দিরগুলিতে উগ্র মৌলবাদীরা হামলা চালায়। এই ঘটনা ঘটে গত জুনের ২৫ তারিখ।

    জুলাই ও অগাস্টের হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা

    জুলাই মাসেও একই ধরনের তাণ্ডবলীলা চালাতে থাকে মৌলবাদীরা। ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ইসলামিক মৌলবাদীরা হিন্দুদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি, হিন্দুদের বাড়িগুলিতেও হামলা চালানো হয়। ১৪ জুলাই ঢাকাতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই বরিশালে হিন্দুদের ব্যবসার প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে হামলা চালানো হয়। চলতি অগাস্ট মাসের ৪ তারিখ হিন্দু কাউন্সিলর কাজল রায়কে হত্যা করা হয়। ইস্কন ও কালী মন্দির ভাঙচুর করা হয় নোয়াখালিতে। একই দিনে উগ্র মৌলবাদীরা তাণ্ডব চালাতে থাকে এবং সেখানকার রায়গঞ্জের হিন্দু সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিককে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে হিন্দু দোকানগুলিকে লুট করা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও সংগঠনগুলি অভিযোগ, ২৯টি জেলাতেই হিন্দুদের উপরে আক্রমণ চলে।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে দাবি

    ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সিআইএইচএস আবেদন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা এমন দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের কাছে। ভারত সরকারের কাছে একইভাবে ওই সংস্থা দাবি জানিয়েছে যে, কূটনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে যেন রক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: কোটা-বিরোধী আন্দোলনে সামিল, তার পরেও আক্রান্ত! বাংলাদেশে আতঙ্কে হিন্দু পড়ুয়ারা

    Bangladesh Crisis: কোটা-বিরোধী আন্দোলনে সামিল, তার পরেও আক্রান্ত! বাংলাদেশে আতঙ্কে হিন্দু পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার রাজপথে কোটা-আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু ছাত্রছাত্রীরাও। চাকরির আশায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরাও। কিন্তু আন্দোলনকারীদের কথামতো দেশ দ্বিতীয়বার ‘স্বাধীন’ হতেই ঘুম ভাঙল এই পড়ুয়াদের। স্বপ্ন ভেঙে কঠিন বাস্তবে আছড়ে পড়লেন বাংলাদেশের হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা। পরিস্থিতি যেন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর, সে দেশের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতে অবস্থার যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে এমনটা নয়। ছাত্র আন্দোলন দিয়ে যা শুরু হয়েছিল, তা এখন লুটতরাজ, হিন্দু সংখ্যালঘুদের হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-মন্দির ভাঙচুরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

    রাতে ঘুম নেই

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন ছাত্র সাম্প্রতিক কালে হিংসার শিকার নিলয় কুমার বিশ্বাস (২৬), রাতে ঘুমাতে পারছেন না। পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। তিনি জানান, ঢাকায় নিজেকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে হলেও, রাজধানীর বাইরে থাকা বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের কাছ থেকে আসা উদ্বেগজনক খবর তাঁর ঘুম কেড়ে নিয়েছে। নিলয়ের কথায়, আন্দোলনের শুরুতে হিন্দু শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছিল। তাঁরাও মুসলিম সহপাঠীদের সঙ্গে মিলে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। তখন হিন্দু-মুসলিম ভেদ বুঝতে পারেননি। কিন্তু এখন তাঁরাই উগ্রবাদীদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বাড়ি ও মন্দিরগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে, আমরা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছি। ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে আজ হিন্দু সম্প্রদায় খুবই অসহায় বোধ করছে।”

    কীসের জন্য আন্দোলন 

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে, এমন কি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুনী শিল্পী রাহুলের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এটা কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল না, বলেই মনে করছে বাংলাদেশে ছাত্রদের একাংশ। কুটনৈতিক মহলের মতে, সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলে, যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল তার প্রথম শর্তই হওয়া উচিত, সংখ্যালঘুদের প্রাণ, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা, তা করতে ব্যর্থ আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছিল। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। আন্দোলনের চাপে ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার এই কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। কিন্তু চলতি বছরের জুনে হাইকোর্টের রায়ে আবারও পূর্বের কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।

    এগিয়ে আসুক মুসলিম বন্ধুরা

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিন্দু শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শুরু হওয়া অস্থিরতায় তারা এখন নিজেদেরই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাসের মতে, হিন্দুদের বাড়ি, মন্দির ধ্বংস ও নারীদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের রক্ষা করার জন্য আমাদের মুসলিম বন্ধুদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে ক্ষতি ভারতেরই, দাবি ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন’ কর্তার

    শান্তির আবেদন

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল পদ্মাপারের দেশ (Bangladesh Crisis)। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। তবে অশান্তি এখনও জিইয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আরিয়া ভৌমিক, যিনি শুরুতে শেখ হাসিনার পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, এখন হামলার শিকার হয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে নয়, মানবতার ভিত্তিতে আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা, হিন্দুরা, আক্রান্ত হচ্ছি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থীরা (Anti Hindu violence) এখন অসহায়ভাবে নিজেদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার চেষ্টা করছেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু শান্তি…তা হয়তো অলীক স্বপ্ন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    হরিহর ঘোষাল

    ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন রানি ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। সেই বিশেষ দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বলা বাহুল্য, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজত্বকালও শেষ হয়। রানির (Victoria Memorial) প্রয়াণের পর কলকাতায় তড়িঘড়ি এক বৈঠক ডাকেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন। প্রয়াত রানিকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি। প্রস্তাব ওঠে তাক লাগানো এক স্মৃতিসৌধ তৈরির। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি সে কথা বলেনও। শুরু হয় প্রস্তুতি।

    তাজমহলের আদলে ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial)

    স্মৃতিসৌধ বানাতে কলকাতায় (Kolkata) জমি খোঁজা শুরু হয়। যে জমিতে আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) অবস্থান করছে, অতীতে সেটি ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদেরই এই জেলে রাখা হত। তবে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাবের পর প্রেসিডেন্সি জেল সেই জমি থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ভিক্টোরিয়াকে হঠাৎ দেখলে তাজমহল বলে ভুল হয়। আসলে তাজমহলের অনুসরণেই এই স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়েছিল। বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। তাঁকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগ তাঁর পছন্দ ছিল না। তাই ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল শিল্পকলা যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন এমারসন। এছাড়াও ভিক্টোরিয়াতে মিশরীয়, ইসলামিক, ভেনেটিয়ান এবং ডেকানি সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

    স্মৃতিসৌধ করতে লেগেছিল ১১ বছর

    ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত স্মৃতিসৌধ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯০১ সালে, যেখানে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলের বাগান। ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল, তাক লাগানো সেই স্মৃতিসৌধ দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে টেক্কা দেওয়ার। তবে তাজমহলকে টেক্কা দিতে না পারলেও জনপ্রিয়তায় তাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। রানির স্মৃতিসৌধ বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব করা হয় ১৯০১ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তার নকশা তৈরি সহ অন্যান্য কাজ এগোতে থাকে। ১৯০৬ সালে শুরু হয় সৌধ নির্মাণের কাজ। সৌধটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড বেঁচে থাকা পর্যন্ত তিনি রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন, ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেষ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন। ভারতীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাজে ভারতীয়দের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেন। তাঁর রাজত্বকালেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।

    ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ২০ বছর। রানি ভিক্টোরিয়া প্রয়াত হন ১৯০১ সালে। তাঁর স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯০৬ সালে। অফিশিয়ালি নির্মাণকাজ শুরু হয় তার প্রায় চার বছর পর অর্থাৎ ১৯১০ সালে। নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগে ১১ বছর। সব মিলিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণ শেষ হয় ১৯২১ সালে। এর নকশা করেছিলেন স্যার উইলিয়ম এমার্সন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। সৌধ নির্মাণের বরাত দেওয়া হযেছিল কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোং-কে। এই সংস্থার যুগ্ম মালিক ছিলেন স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখোপাধ্যায়। সৌধ নির্মাণের পর রাজেন মুখোপাধ্যায়কে নাইট উপাধি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

    কত খরচ?

    ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) স্মৃতি সৌধ তৈরির জন্য পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে। বিশালাকার স্মৃতসৌধটির উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিশালাকার গম্বুজ এবং চার ধারে রয়েছে চারটি ছোট গম্বুজ। দেশের টাকায় রানির স্মৃতিসৌধ তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন ব্রিটিশ ভাইসরয়। অথচ সেটি তৈরির খরচ প্রধানত বহন করতে হয়েছিল দেশের মানুষকে। তুলনায় ব্রিটিশদের খরচ ছিল অনেক কম। স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য লর্ড কার্জন ভারতীয় রাজা, জমিদার, ধনী-অভিজাত ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থদানের আবেদন জানান। আদতে তা ছিল ভাইসরয়ের আদেশ। সেই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। সেই সময় স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে খরচ পড়েছিল প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কালো রং

    শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) একবার সম্পূর্ণ কালো রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল সেই সময়। এমনকী জাপানি সৈন্যদের আক্রমণের ভয়ে ভিক্টোরিয়ার ছবি প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। শ্বেত পাথরের সাদা ইমারত বহু দূর থেকেও দেখা যায়। ফলে সে সব স্থান বোমায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ। সে কারণেই সতর্কতা স্বরূপ স্বরূপ ভিক্টোরিয়ার রং কালো করে দেওয়া হয়। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ নৈতিৎ ত্বয্যুপপদ্যতে

      ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।

    গীতা—২/৩/

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তির তমঃ যার হয়, তার বিশ্বাস জ্বলন্ত। ঈশ্বরের কাছে সে রূপ ভক্ত জোর করে। যেন ডাকাতি করে ধন কেড়ে লওয়া। মারো কাটো বাঁধো! এইরূপ ডাকাত-পড়া ভাব।

    ঠাকুর ঊর্ধব দৃষ্টি, তাঁহার প্রেমরসাভিসিক্ত কণ্ঠে গাহিতেছেনঃ (Kathamrita)

    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্চী কেবা চায়।

    কালী কালী কালী বলে আমার অজপা যদি ফুরায়।।

    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়।

    সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফেরে, কভু সন্ধি নাহি পায়।।

    দয়া ব্রত দান আদি, আর কিছু না মনে লয়।

    মদনের যাগযজ্ঞ, ব্রহ্মময়ীর রাঙা পায়।।

    কালীনামের এত গুণ, কেবা জানতে পারে তায়।

    দেবাদিদেব মহাদেব, যাঁর পঞ্চমুখে গুণ গায়।।

    ঠাকুর ভাবোন্মত্ত, যেন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া গাহিতেছেনঃ

    নামমাহাত্ম্য ও পাপ—তিন প্রকার আচার্য

    আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি।

    আখেরে এ-দীনে, না তারো কেমনে, জানা (Kathamrita) যাবে গো শঙ্করী।

    কি! আমি তাঁর না করেছি—আমার আবার পাপ! আমি তাঁর ছেলে। তাঁর ঐশ্বর্যের অধিকারী! এমন রোখ হওয়া চাই!

    তমোগুণকে মোড় ফিরিয়ে দিলে ঈশ্বরলাভ (Ramakrishna) হয়। তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক। আবার দেখ, এই তমোগুণকে পরের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা যায়। বৈদ্য তিনপ্রকার। উত্তম বৈদ্য, মধ্যম বৈদ্য, অধম বৈদ্য। যে বৈদ্য এসে নাড়ী টিপে ঔষধ খেও হে এই কথা বলে চলে যায়, সে-অধম বৈদ্য—রোগী খেলে কিনা এ-খবর সে লয় না। যে বৈদ্য রোগীকে ঔষধ খেতে অনেক করে বুঝায়—যে মিষ্ট কথাতে বলে, ওহে ঔষধ না খেলে কেমন করে ভাল হবে। লক্ষ্মীটি খাও, আমি নিজে ঔষধ মেড়ে দিচ্ছি খাও—সে মধ্যম বৈদ্য। আর যে বৈদ্য, রোগী কোনও মতে খেলে না দেখে বুকে হাঁটু দিয়ে, জোর করে ঔষুধ খাইয়ে দেয়—সে উত্তম বৈদ্য। এই বৈদ্যের তমোগুণ, এ-গুণে রোগীর মঙ্গল হয়, অপকার হয় না।

     

    আরও পড়ুনঃ “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, প্রতিবাদে পথে নামলেন এপারের হিন্দুরা

    Kolkata Protest Rally: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, প্রতিবাদে পথে নামলেন এপারের হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) প্রতিবাদে পথে নামলেন (Protest Rally) কলকাতার সাধারণ মানুষ। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে পা মেলালেন। ছিল না কোনও দলের পতাকা। শুধুমাত্র ওপারের হিন্দুদের অধিকারের তাগিদে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

    ওপারের কান্নায় এপারের চোখ ভিজল (Protest Rally)

    অন্যদিকে, অপর একটি মিছিল (Protest Rally) শিয়ালদা থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পৌঁছয়। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) প্রতিবাদে এই মিছিলের পা মিলান হাজারো প্রতিবাদী মানুষ। প্রতিবাদীরা মানববন্ধন তৈরি করেন। ওপার বাংলায় প্রাণ হারানো হিন্দুদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালান। মুসলিম মৌলবাদীদের হাত থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিও তোলেন তাঁরা। এদিনের অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহিত রায়, লেখক সন্দীপ বাগচী সহ অনেক বিশিষ্ট বর্গ।

    বামপন্থী ও সেলিব্রিটিরা চুপ কেন (Bangladesh Crisis)

    বর্তমানে যে সময় এই আন্দোলন চলছে, তখন বাংলাদেশে সেনা নিজেদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে নিয়েছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। তাঁরাও কতদূর কী করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গাজা থেকে প্যালেস্টাইন, ইসলামিক দুনিয়ায় কোনও অত্যাচারের অভিযোগ হলে, যারা প্রতিবাদে মুখরিত হন, সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা টলিউডের তরফে এখনও বাংলাদেশের হিন্দুদের অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) বিষয়ে কোনও (Protest Rally) প্রতিক্রিয়া নেই। সেলিব্রেটি এবং বামপন্থীদের ‘সিলেক্টিভ’ প্রতিবাদ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে নেটদুনিয়া। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে যাঁরা সমর্থন জানিয়েছিলেন, সেই সমস্ত বামপন্থী এবং অভিনয় জগতের সেলিব্রেটিরাও বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেখার দৃশ্য দেখেও যেন দেখতে পারছেন না। যাঁরা #alleyesonrafah লিখে ফেসবুক ভরিয়ে দিচ্ছিলেন, তাঁদের #alleyesonbangladesh লেখার সময় কি পাচ্ছেন না?

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nityanand Rai: কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

    Nityanand Rai: কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি অভিবাসীদের জন্য বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আর্থিক প্যাকেজ, এমনকী কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) লোকসভায় এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Nityanand Rai)

    তিনি (Nityanand Rai) বলেন, কাশ্মীরি অভিবাসীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্যাকেজ, ২০১৫ এবং প্রধানমন্ত্রীর পুনর্গঠন পরিকল্পনা, ২০০৮-এর অধীনে ৬ হাজার চাকরি অনুমোদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৭২৪টি পদ পূরণ করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি যোগ্য কাশ্মীরি অভিবাসী প্রতি মাসে ৩২৫০ টাকা করে পান। এছাড়া তাঁদের পরিবারকে প্রতি মাসে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি যোগ্য কাশ্মীরি অভিবাসীকে প্রতি মাসে ৯ কেজি চাল আর ২ কেজি আটা দেওয়া হয়। আর দেওয়া হয় প্রতি মাসে ১ কেজি চিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান প্যাকেজের অধীনে তাঁদের জন্য ৬ হাজার ট্রানজিট আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের ওপর, মন্দিরে হামলায় উদ্বিগ্ন’’, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

    নিরাপত্তা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, কাশ্মীরি অভিবাসী (Kashmiri Migrant) শিবিরগুলিতে চারটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ পাঁচটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক। স্ট্যাটিক গার্ডের সঙ্গে গ্রুপ সিকিউরিটি, কৌশলগত অবস্থানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য চেকপয়েন্ট রাখা হয়েছে। রাতে টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে যথাযথ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। ২০২১ সালের অগাস্টে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে, যেখানে কাশ্মীরি অভিবাসীদের জমি দখল, নাম পরিবর্তন, সম্পত্তি পরিবর্তন, বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ জানানো যাবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, আয়ুষ্মান গোল্ডেন হেলথ কার্ড, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ক্যাম্পে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইন পোর্টাল www.jkmigrantrelief.nic.in এর মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) যেন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে দেশের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতে অবস্থার যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে এমনটা নয়। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী, বর্বরোচিত অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যাননি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারাও (Hindu women in Bangladesh)। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের ওপর ব্যপক অত্যাচার চলছে। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মত অভিযোগও উঠেছে। 

    হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    এই চরম অস্থিরতার সময় বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলেছে এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্যাতিতারা। ৮ অগাস্ট স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা (Hindu women in Bangladesh) তাঁদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ”ওরা তলোয়ার ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। বাড়ি থেকে সব নিয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য, আমাদের কাছে যা ছিল সবই দিয়েছি।” আরেক মহিলা বলেন, ”রাতে, ওরা এসেছিল। আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমি লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওরা আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে ধরে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করি। সে সময় তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওরা তাঁর গলা কেটে ফেলতে চেয়েছিল। ওকে বাঁচানোর জন্য আমরা আমাদের সব সোনার গয়না দিয়ে দিয়েছি।”     

    অন্যদিকে, তৃতীয় আরেক মহিলা (Hindu women in Bangladesh) অনুরূপ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, ”আমরা রাতে ঘুমাচ্ছিলাম। তখনই ওরা এসেছিল। ওদের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ওরা আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছিল, ‘আমাদের পঞ্চাশ জন লোক তোমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে, তোমার পালানোর কোনও পথ নেই।’ এরপর ওরা সবকিছু লুট করেছে। আমাকে ধরে বিছানায় নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে হয় আমাকে রেহাই দাও অথবা আমাকে মেরে ফেলো। এরপর ওরা আমাকে কান্না থামানোর জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কাছে যা কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল সব দিতে বলেছিল ওরা। নিজের প্রাণ বাঁচাতে তাই আমি বাধ্য হয়ে আমার সমস্ত গয়না ওদের দিয়ে দিয়েছিলাম। সেসব নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় ওরা।” 

    হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত, ভাঙচুর মন্দিরে (Bangladesh Crisis)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। অশান্তির সঙ্গে সঙ্গে এবার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের অভিযোগ ও উঠতে শুরু করেছে। হিন্দু মহিলাদের নির্যাতনের পাশাপাশি জলছে সংখ্যালঘুদের ঘর। একাধিক মন্দিরে ও হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করে, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হয়েছে মন্দিরও।  

    জানা গিয়েছে, নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কলাপাড়া, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরের একাধিক মন্দিরে ভাঙচুর (Bangladesh Crisis) করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনি শহরের দুর্গামন্দির, দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দির সহ আরও পাঁচটি মন্দির, যেখানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং নেত্রকোনা শহরে রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায় জগন্নাথ বিগ্রহ। একইসঙ্গে যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনার একাধিক বাড়িঘরে হামলা চলেছে। 

    এমনকী, দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। যশোরে অন্তত ৫০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর, লুটপাট, ডাকাতির মতো ঘটনার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িগুলিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানে ভাঙচুর করে মালপত্র লুট করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করতে জেলায়-জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বাংলাদেশ সেনা। 

    ভারত আসতে চাইছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা

    এদিকে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার (Bangladesh Crisis) পরেই আতঙ্কে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে বহু বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর।  বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে শরণার্থীরা জানান, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    কী জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক?   

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, গোটা বিষয়গুলি সম্পর্কে কেন্দ্র অবগত। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটা না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগ রয়েছে। আইন ও সরকারের দায়িত্ব হল সমস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে। এটা সেই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য দরকার। বৃহত্তরক্ষেত্রে এটা দরকার। 

    বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করে বলেন, ”কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে তার প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের সেখানে সরকার বদলের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা বলে প্রতিবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: স্বাধীনতা দিবসের আগে ১৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ দিল্লি পুলিশের, সঙ্গে পুরস্কার ঘোষণা

    Delhi Police: স্বাধীনতা দিবসের আগে ১৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ দিল্লি পুলিশের, সঙ্গে পুরস্কার ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে, দেশের রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তারই অঙ্গ হিসেবে শহরজুড়ে কুখ্যাত আল কায়দা এবং খালিস্তানি জঙ্গিদের নাম ও ছবি সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের এই কৌশল বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে তথ্য দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। সন্ত্রাস দমনে এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিল্লিবাসীর একাংশ।

    ছয়জন আল-কায়দা জঙ্গির তল্লাশি (Delhi Police)

    দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) বলেছে, “যাঁরা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে এগিয়ে আসবেন, তাঁদের উপযুক্ত সম্মানে সম্মানিত করা হবে। তবে তথ্যদাতাদের নাম গোপন রাখা হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” খান মার্কেটের মহিলা পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর কোমল শাক্য বলেন, “নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য এটি করা হয়েছে। এখন পোস্টারে মোট পনেরো জন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য তাদের মধ্যে ছয়জন আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত। দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃলোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, কী কী নতুন বৈশিষ্ট্য আছে?

    পাঞ্জাবের ২৮টি জেলায় চলছে তল্লাশি

    দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সঙ্গে পাঞ্জাব পুলিশও অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে নেমে পড়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি গৌরব যাদবের নির্দেশে ২৮টি পুলিশ জেলায় একযোগে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টে পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। সন্দেহজনক এলাকাগুলিতে কুকুরদের সহায়তায় তল্লাশি চালানোর কথা বলে এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের টিমগুলি নিজ নিজ জেলার সমস্ত বাসস্ট্যান্ডে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি অভিযান চালাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ইউপিআই-এর মাধ্যমে কর প্রদানের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করল আরবিআই

    RBI: ইউপিআই-এর মাধ্যমে কর প্রদানের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বড় লেনদেন সক্ষম করার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এবার থেকে ইউপিআই-এর (UPI Payment) মাধ্যমে ট্যাক্স পেমেন্টের ঊর্ধ্বসীমা প্রতি লেনদেনে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এর আগে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দেওয়া যেত ইউপিআই-এর মাধ্যমে।

    ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ (RBI)

    আরবিআই-এর (RBI) উদ্দেশ্য, ডিজিটাল মাধ্যমে (UPI Payment) লেনদেনকে আরও উদ্বুদ্ধ করা। নতুন বর্ধিত সীমায় ট্যাক্স প্রদানে করদাতারা উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছে সরকার। এই উদ্যোগটি ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে এবং নগদ অর্থের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য আরবিআই-এর প্রচেষ্টার একটি অংশ। আরবিআই আশা করছে এই ব্যবস্থাটি করদাতাদের মধ্যে ট্যাক্স নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে। বর্ধিত সীমা করদাতাদের একক লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিক কর প্রদানের অনুমতি দেবে। একক ক্ষেত্রে একাধিক বার অর্থপ্রদানের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে এই ব্যবস্থা।

    ডেলিগেটেড পেমেন্ট চালু করার ভাবনা (UPI Payment)

    রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) পর্যায়ক্রমে ক্যাপিটাল মার্কেট, আইপিও সাবস্ক্রিপশন, ঋণ সংগ্রহ, চিকিৎসা বিমা এবং শিক্ষামূলক পরিষেবার মত বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিভিন্ন সময়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছে। ইউপিআই (UPI Payment) এর ক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি ছাড়াও ডেলিগেটেড পেমেন্ট চালু করার কথাও বিবেচনা করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই বৈশিষ্ট্যটি গ্রাহকদের ইউপিআই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ প্রদান করার জন্য অন্যদেরও অনুমোদন করতে সক্ষম করবে। যার ফলে ডিজিটাল পেমেন্টের নাগাল আরও বৃদ্ধি পাবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share