Tag: bangla news

bangla news

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ক্ষমতা ছাড়ার পরেও অরাজকতা থামছে না প্রতিবেশী দেশে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দেশের বিভিন্ন জেলায় হিংসা (Bangladesh Crisis) বাড়ছে। ইতিমধ্যেই লিটন দাস, মাশরাফি মুর্তাজা সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। দেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়িতে লুঠপাঠের পর অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে তালিবানি কায়দায় খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একের পর এক হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি টার্গেট হচ্ছেন হিন্দুরা। যদিও এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহ অন্যান্যদের সুরক্ষায় (Save Bangladeshi Hindus) তৎপর হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন জেলায় হেল্পলাইন নম্বর (Bangladesh Helpline) চালু করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যদিও তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে বলেছে সেনাবাহিনী।

    সেনাবাহিনীর জারি করা হেল্পলাইন নম্বরের তালিকা (Bangladesh Crisis)

    ঢাকার জন্য

    মোহাম্মদপুরে ক্যাপ্টেন সৈকত: ১৭৬৯৫১০৫১৫

    মোহাম্মদপুরের ক্যাপ্টেন রিদনান সালেহ: ১৬৪১৯৬৮২৩৭

    সেগুন বাগিচায় ক্যাপ্টেন আশিক: ১৭৩৮৯৯৮৪৫৮

    উত্তরায় ক্যাপ্টেন আবরার: ১৭৪১৫৬৯৮৩২

    মিরপুরে ক্যাপ্টেন আতাহার ইশতিয়াক: ১৭৬৯৫১১১৪৪

    স্টেডিয়াম, পল্টনে ক্যাপ্টেন জাররাফ: ১৭০৮৩৭৫৩৭১

    বারিধারায় ক্যাপ্টেন নাসিফ: ১৭৬৯৫১০৮০৩

    আগারগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ইমরুল: ১৭০৫২৬০০১৯

    গুলশন/বনানীর জন্য: ০১৭৬৯০১৩০৯৪

    মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআই-এর জন্য ক্যাপ্টেন শিহাব: ০১৭৬৬০৪৭৩২৩

    ঢাকা (যাত্রাবাড়ি)

    ক্যাপ্টেন হিমেল (০১৭৬৬১৬২০৭৭)

    উত্তরা, বিমানবন্দর, দিয়াবাড়ির জন্য ০১৭৬৯০২৪২৮০, ০১৭৬৯০২৪২৮৪ এবং ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ (পারভেজ) (০১৭৬৯৫১০৪৫৭)

    মিরপুর এলাকায় ক্যাপ্টেন মাহমুদ (০১৮৩৩৫৮৫৭৩৬, ০১৭৬৯০২৪২৫৬) এবং (০১৭৬৯০২৪২৫২)

     

    জেলার হেল্পলাইন  (Bangladesh Helpline)

    দিনাজপুর

    কর্নেল রওশনুল ইসলাম (০১৭৬৯৬৮২৪৫৪)

    ময়মনসিংহ

    ক্যাপ্টেন ফয়সাল (০১৭৬৯২০৮১৭৪)

    সিরাজগঞ্জ

    ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত (০১৭৬৯৫১০৫২৪)

    রামপুরা

    কর্নেল রেহগির আল শহীদ (০১৭৬৯০৫৩১৫০)

    রংপুর

    ক্যাপ্টেন আশরাফ (০১৬১৫৩৩২৪৪৬) এবং ক্যাপ্টেন

    মারিজ় (০১৭৪৫২০৭৪৬৯)

    কিশোরগঞ্জ(ভৈরব)-এর জন্য ০১৭৬৯২০২৩৫৪ এবং

    ক্যাপ্টেন রায়হান (০১৭৬৯২০২৩৬৬)

    যশোর

    ক্যাপ্টেন সাবির (০১৮৮৬৯১০৫১৪)

    রাজবাড়ি

    ক্যাপ্টেন এনাম (০১৭৯৫-৬১৫৯৫০)

    কক্সবাজার

    ক্যাপ্টেন মুজতাহিদ (০১৭৬৯১১৯৯৮৮)

    ঠাকুরগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ফয়েজ (০১৭৬৯৫১০৮৬৬) এবং ক্যাপ্টেন মোহতাশিম (০১৭৬৯০০৯৮৫৫)

    হেল্পলাইনের কার্য নিয়ে প্রশ্ন 

    বাংলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভিডিও বার্তায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে হেল্পলাইনে নম্বরে (Bangladesh Helpline) ফোন করেও কাজের কাজ হয়নি। লুটপাট হয়েছে হাজারো সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, অফিস ঘর। আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকি বিএনপি করেন, তাদেরও বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। বাংলাদেশের শেরপুর এবং সাতক্ষীরায় ১২০০ বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ছাড়া পাওয়া আসামিরা ভিড়ের মধ্যে মিশে (Bangladesh Crisis) লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: এখনও থমথমে বাংলাদেশ! কার্ফু উঠলেও চালু হল না বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন

    এমতাবস্থায় সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের যে পরিমাণ হিংসা শুরু হয়েছে, তা ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি মা’’, জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব

    Sheikh Hasina: ‘‘শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি মা’’, জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি শেখ হাসিনা। পরিবারের জোরাজুরিতেই নিতে হয় কঠিন সিদ্ধান্ত। হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পর এমনটাই জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সাজিব ওয়াজেদ জয়। 

    ঠিক কী জানিয়েছেন সাজিব ওয়াজেদ জয়? 

    বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) ও শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, “মা থাকতে চেয়েছিলেন। কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু আমরাই জোর করি, বলি যে এই দেশ আর সুরক্ষিত নয় তোমার জন্য। মায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম আমরা। তাই সবাই তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলি।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ”আমি আজ সকালেই মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অরাজক। মা (Sheikh Hasina) ভালো আছেন, তবে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট হতাশ। মায়ের কণ্ঠে স্পষ্ট হতাশা ছিল। মায়ের কাছে এটা অত্যন্ত দুঃখের কারণ গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে উন্নত করার জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন ছিল তাঁর। এতদিন ধরে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদীদের থেকে দেশকে সুরক্ষিত রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ বিরোধী ও সন্ত্রাসীরা ক্ষমতা দখল করে নিল।” 

    আরও পড়ুন: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে এর পরবর্তীতে তিনি কোথায় যাবেন, হাসিনার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সে কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি তাঁর ছেলে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ”আশা করছি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। কিন্তু যেভাবে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে, তা দেখে আমি জানি না কতটা মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব। আমার পরিবারের আর দায়িত্ব নয় এটা। আমরা দেখিয়েছি, দেশের জন্য আমরা কী কী করতে পারি, বাংলাদেশের উন্নয়নে কী কী করেছি। আওয়ামি লিগ এখনও দেশের সবথেকে জনপ্রিয় দল। বিএনপির ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা শেষবার দেখেছিলাম ওরা ক্ষমতায় আসার পর কী হয়েছিল। দেশকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদীদের খোলা হাতে ছুট দিয়েছিল। সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। যদি বাংলাদেশের মানুষ সঠিক মানুষের পাশে না দাঁড়ায় এবং ক্ষমতা দখল করে নিতে দেয়, তবে এই নেতৃত্বই তাদের প্রাপ্য।”  

    গণভবনে ঢুকে লুটপাট (Bangladesh Crisis) 

    অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পরেই গণভবনে ঢুকে লুটপাট চালায় আন্দোলনকারীরা। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সে সমস্ত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গোটা গণভবন মানুষের দখলে। অনেককে আবার কোলবালিশ, ঘটি-বাটি ও বালতি ভরে গণভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। কারও হাতে চেয়ার, কারও হাতে বড় মাছ তো কারও হাতে খরগোশ, ছাগল এমনকী রাজহাঁসও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও টিভি, ফ্রিজ, হাসিনার ব্যবহৃত শাড়ি সহ বিভিন্ন জিনিসের দখল নিয়েছেন। মোদ্দা কথা, যে যেভাবে যা পেয়েছে নিয়ে গিয়েছেন। এই গোটা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) ছেলে বলেন, ” একটা সময় এই দেশের স্বাধীনতার জন্য আমার পরিবার কঠোর সংগ্রাম করেছিল। তবে আজ দেশের এই পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক, কারণ এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চুপ করে আছে।”   

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 96: “ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য, শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু…”

    Ramakrishna 96: “ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য, শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু…”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    মাঞ্চ যোহথব্যভিচারেণ ভক্তিযোগেন সবতে।

    স গুণান্‌ সমতীত্যৈতান্‌ ব্রহ্মভূয়ায় কল্পতে।।

    গীতা—১৪/২৬।

    ভক্ত-সম্ভাষণে

    সহাস্যবদনে ঠাকুর শ্রীযুক্ত শিবনাথ আদি ভক্তগণের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। বলিতেছেন (Kathamrita), এই যে শিবনাথ! দেখ তোমরা ভক্ত, তোমাদের দেখে বড় আনন্দ হয়। গাঁজাখোরের স্বভাব, আর-একজন গাঁজাখোরকে দেখলে ভারী খুশি হয়। হয়তো তার সঙ্গে কোলাকুলি করে।(শিবনাথ ও সকলের হাস্য)

    সংসারী লোকের অভাব—নামমাহাত্ম্য

    যাদের দেখি ঈশ্বরে (Ramakrishna) মন নাই, তাদের আমি বলি, আমার একটু ওইখানে গিয়ে বস। অথবা বলি, যাও বেশ বিল্ডিং (রাসমণির কালীবাটির মন্দির সকল) দেখ গে। (সকলের হাস্য)

    আবার দেখেছি যে, ভক্তদের সঙ্গে হাবাতে লোক এসেছে। তাদের ভারী বিষয়বুদ্ধি। ঈশ্বরীয় কথা ভাল লাগে না। ওরা হয়তো আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ঈশ্বরীয় কথা বলছে। এদিকে এরা আর বসে থাকতে পারে না, ছটফট করছে। বারবার কানে কানে ফিসফিস করে বলছে, কখন যাবে—কখন যাবে। তারা হয়তো বললে, দাঁড়াও না হে, আর-একটু পরে যাব। তখন এরা বিরক্ত হয়ে বলে, তবে তোমরা কথা কও, আমরা নৌকায় গিয়ে বসি।(সকলের হাস্য)

    সংসারী লোকদের যদি বল (Kathamrita) যে সব ত্যাগ করে ঈশ্বরের পাদপদ্মে মগ্ন হও, তা তারা কখনও শুনবে না। তাই বিষয়ী লোকদের টানবার জন্য গৌর নিতাই দুই ভাই মিলে পরামর্শ করে এই ব্যবস্থা করেছিলেন—মাগুর মাছের ঝোল, যুবতী মেয়ের কোল, বোল হরি বোল। প্রথম দুইটির লোভে অনেকে হরিবোল বলতে যেত। হারিনাম-সুধার একটি আস্বাদ পেলে বুঝতে পারত যে, মাগুর মাছের ঝোল আর কিছুই নয়, হরিপ্রেমে যে অশ্রু পড়ে তাই যুবতী মেয়ে কিনা-পৃথিবী। যুবতী মেয়ের কোল কিনা—ধুলায় হরিপ্রেমে গড়াগড়ি।

    নিতাই কোনরকমে হরিনাম করিয়ে নিতেন। চৈতন্যদেব বলেছিলেন, ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য (Ramakrishna)। শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু কখন না কখন এর ফল হবেই হবে। যেমন কেউ বাড়ির কার্নিসের উপর বীজ রেখে গিয়েছিল; অনেকদিন পরে বাড়ি ভূমিসাৎ হয়ে গেল, তখন সেই বীজ মাটিতে পড়ে গাছ হল ও তার ফলও হল।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Act: “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে দেশ ভাগ হবে”, হুমকি রাশিদির

    Waqf Act: “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে দেশ ভাগ হবে”, হুমকি রাশিদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেখে যাওয়া ‘গ্যাঁজ’ উপড়ে ফেলতে সচেষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ আইন (Waqf Act) ১৯৯৫ সংশোধন করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। আর তার পরেই হুমকি ধেয়ে এল মওলানা সাজিদ রশিদির দিক থেকে (Maulana Sajid Rashidi)। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে ভারতকে আর একটি বিভাজনের সম্মুখীন হতে হবে।” অবশ্য এই প্রথম নয়, রাশিদি মাঝেমধ্যেই হুমকি দেন ভারত ও হিন্দুদের।

    ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন (Waqf Act)

    ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন করে নেহরু সরকার। পরে সেই আইন বার দুয়েক সংশোধন করা হয়। শেষবার সংশোধনী আনা হয় ১৯৯৫ সালে। সেটাই ফের সংশোধন করতে সোমবারই লোকসভায় পেশ হয়েছে বিল। এই বিলে চল্লিশটিরও বেশি বদল আনা হয়েছে। ২ অগাস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পরে বিলটি পেশ হয় লোকসভায়। এতদিন যে কোনও জমিকে ওয়াকফ বোর্ড তাদের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে পারত। নয়া বিলে ওয়াকফ বোর্ডের এই ক্ষমতাই সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই গাত্রদাহের কারণ মওলানা সাহেবের। সেই কারণেই দেশে যাতে অশান্তির আগুন জ্বলে, তাতে ইন্ধন জোগাতে শুরু করেছেন তিনি।

    মওলানার হুমকি

    চাকরিতে সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ভারতের জনসংখ্যারও একটা বড় অংশ মুসলমান। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই হুমকি দেওয়ার জন্য এই ‘সন্ধিক্ষণ’-টিকেই বেছে নিয়েছেন রাশিদি। রাশিদি অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বিলের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এবার মুসলমানরা রাস্তায় নামবে। তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করবে।” বিল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিদি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকেও। তিনি বলেন, “একের পর এক বিভাজনমূলক ইস্যু এনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে চাইছে বিজেপি। রাম মন্দিরের পর তারা কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বনাম জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ও শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ভার্সেস মথুরার ইদগাহের মতো নয়া বিভাজনমূলক সমস্যা খুঁজে পেয়েছে।” এর পরেই হুমকির সুরে এই মওলানা বলেন, “কৃষকরা যেভাবে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তিনটি আইন বাতিল করেছে, একইভাবে এখন মুসলমানরাও রাজপথে নামবে। লড়াই করবে তাদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য।”

    বিজেপিকে নিশানা

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমান সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য সরকার সাংবিধানিকভাবে মুসলমানদের ওয়াকফের অধিকার দিয়েছে।” ফের একবার হুমকির সুরে রাশিদি বলেন, “এই মুহূর্তে মুসলমানরা নীরব। আমাদের সম্পত্তির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন। মুসলমানরা যদি তাদের অধিকার দাবি করতে শুরু করে, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাই উদ্বেগে প্রশাসন।” অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেবলই মুসলমানদের টার্গেট করছে। সেই রকমই বিল আনছে।” তিনি বলেন, “যে হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও ভাবতে হবে এই সরকার তাঁদের জন্যই বা কী করেছেন।” মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে এই সরকার উচ্চবাচ্য করে না বলেও দাবি রাশিদির।

    মওলানার গুণপনার শেষ কই!

    মওলানা সাহেবের (Maulana Sajid Rashidi) গুণপনার শেষ নেই! এমন হুমকি এই প্রথম নয়, তিনি আগেও দিয়েছেন। অযোধ্যায় রাম মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য (Waqf Act) মুসলমানদের উসকানি দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল ২০২০ সালের অগাস্টে। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের একদিন পর তিনি বলেছিলেন, “অযোধ্যায় যে রাম মন্দির এখনও তৈরি হয়নি, তা ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে মসজিদ।” বিতর্কিত এই মন্তব্যের দু’বছর পরে রশিদি ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন ২০২২ সালে। উত্তরাখণ্ড সরকার সে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে আধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই মওলানা সাহেব বলেছিলেন, “প্রত্যেক রাজ্যে একটি করে মাদ্রাসা বোর্ড রয়েছে। মাদ্রাসাগুলি সরকারের অধীন। এই মাদ্রাসাগুলিতে সরকার ড্রেস কোড দিতে পারে, সিনেমা কিংবা গানও চালাতে পারে, যা খুশি তাই করতে পারে। কেউ তাদের বাধা দিতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    এরপর তিনি বলেন, “তবে আপনাকে প্রাইভেট মাদ্রাসায় কিছু করতে দেব না। ভারতীয় মুসলমানরা প্রাইভেট মাদ্রাসা থেকে ৪ শতাংশ শিশুকে ধরে রেখেছেন মৌলভী ও মওলানা হওয়ার জন্য। তাই যদি তারা সেইসব মাদ্রাসায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে, তবে সব ভারতীয় মুসলমান এর বিরোধিতা করবে। আমরা এই প্রাইভেট মাদ্রাসায় হস্তক্ষেপ করতে দেব না।” রাশিদি বলেন, “আমরা কখনওই সরকারের কাছ থেকে কিছু নিই না। আমাদের কারও কাছ থেকে কিছু নেওয়ার দরকারও নেই।…সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাগুলিতে যা খুশি তাই করুন। তবে প্রাইভেট মাদ্রাসাগুলিকে স্পর্শ করবেন না।” তাঁর (Maulana Sajid Rashidi) হুমকি, “ভারত আগুনে পুড়ে যাবে।” ২০২২ সালেই ফের একবার ভারতীয় মুসলমানদের ওসকানোর চেষ্টা করেছিলেন রাশিদি। এই বছর রাজ্যের সাড়ে ৭ হাজার অস্বীকৃত মাদ্রাসায় সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। তখন মওলানা সাহেব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, “রাজ্যের তরফে যাঁরা সমীক্ষা করতে যাবেন, তাঁদের চপ্পল এবং জুতো দিয়ে স্বাগত জানান। ২০০৯ সালের আইন দিয়ে তাঁদের মারধর করুন।”

    কাঠগড়ায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিদির এই মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন প্রশয়। এই দুই রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিরন্তর করে চলেছে তোষণের রাজনীতি। কেন্দ্রে কংগ্রেস জমানায় এবং বাংলায় তৃণমূল জমানায় প্রকাশ্যে মুসলমান তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন করে যে বিষবৃক্ষের বীজ পুঁতেছিলেন নেহরু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিণত হয়েছে মহীরুহে। বস্তুত মুসলিম তোষণ করেই দশকের পর দশক ধরে দিল্লিশ্বর সেজে বসেছিল কংগ্রেস। উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামিয়েছিলেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কান্ডারি নরেন্দ্র মোদি। তার জেরেই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার।

    কংগ্রেস-তৃণমূল

    কেন্দ্রে যেমন তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেস, তেমনি মুলমান সেন্টিমেন্টে নিরন্তর সুড়সুড়ি দিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। ইমামদের ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। মুসলমানদের স্বার্থে যাতে ঘা না লাগে, তাই রামনবমীর মিছিলে মুসলিমরা হামলা চালালেও, সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। কংগ্রেস এবং তার ‘নাড়ি ছেঁড়া ধন’ তৃণমূলের এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে একদিকে যেমন বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে মুসলমানদের, তেমনি সাহস বাড়ছে রাশিদির (Maulana Sajid Rashidi) মতো মানুষদের।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত মওলানার

    রাশিদি যখন ভারতীয় মুসলমানদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন, তখন মোদি সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিয়া আলেম মওলানা ইয়াসুব আব্বাস। ওয়াকফ অ্যাক্টের সংশোধনীগুলিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনের পরিবর্তনগুলি ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনবে। প্রবর্তন করবে জবাবদিহির। দুর্নীতির অবসানও ঘটবে। এবং এই জাতীয় সম্পত্তির আয় বাড়বে।” ইয়াসুব আব্বাস সাহেবের কথায় স্পষ্ট, ওয়াকফ সম্পত্তিতে দুর্নীতি হয় এবং তার অবসানও ঘটানো প্রয়োজন। সেই চেষ্টাই করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এহেন আবহে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে মুসলমানদের খেপিয়ে তুলছে চাইছেন রাশিদি! যার বিপদ সম্পর্কে হয় তিনি জানেন না, নয়তো না জানার ভান করে রয়েছেন।

    কথায় বলে, শহরে আগুন লাগলে পিরের বাড়িও বাদ যায় না (Waqf Act)। অতএব, আগুন নিয়ে না খেলাই ভালো, তাই নয় কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসিনার জন্য তৈরি ছিল রাফাল! বাংলাদেশের উপর কড়া নজর কেন্দ্রের

    Bangladesh Crisis: হাসিনার জন্য তৈরি ছিল রাফাল! বাংলাদেশের উপর কড়া নজর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতে এসেছিলেন সেদেশের বায়ুসেনার সি১৩০জে বিমানে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেলিকপ্টারে উড়েছিলেন শেখ হাসিনা, কিন্তু তার পর সি-১৩০জে বিমান দেওয়া হয় তাঁকে। সেই বিমানেই ভারতে আসেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি (Bangladesh Crisis) এ বিষয়ে কড়া নজর রেখেছিল। হাসিনা যে বিমানে ভারতে আসেন, তার কল সাইন ছিল ‘এজেক্স ১৪৩১’ এবং ওই বিমান ভারতীয় সীমান্তে দুপুর তিনটে নাগাদ প্রবেশ করে। ভারতীয় র‍েডারগুলি বিমানের উপর কড়া নজর রেখেছিল।

    যে পথে ভারতে এলেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    জানা গিয়েছে, ওই বিমানটি কলকাতার উপর দিয়ে উড়ে যায়। পাটনা হয়ে বিমানের গন্তব্য ছিল গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেস। ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করার পর দুটি রাফাল বিমানকে সক্রিয় করা হয়। যাতে কোনও সমস্যা হলে তারা ওই বিমানকে সুরক্ষা দিতে পারে। বিমানটি যখন পাটনার উপর দিয়ে উড়ে যায়, তখন বিকেল চারটে হয়ে গিয়েছিল। বিকেল ৫:৪৫ নাগাদ গাজিয়াবাদে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা। তাঁকে স্বাগত জানান এনএসএ অজিত ডোভাল। তড়িঘড়ি দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।

    পরিস্থিতির উপর নজর ভারতের (Bangladesh Crisis) 

    এদিকে সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেও ম্যাথিউ সহ ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, অজিত ডোভালের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন। তিনি বৈঠকে মন্ত্রীদের বর্তমান অবস্থা এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Auction: রাষ্ট্রপতিদের ২৫০টি উপহার সামগ্রীর নিলাম শুরু, রয়েছে নেতাজির ছবি থেকে জোড়া হরিণ

    Auction: রাষ্ট্রপতিদের ২৫০টি উপহার সামগ্রীর নিলাম শুরু, রয়েছে নেতাজির ছবি থেকে জোড়া হরিণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতিদের (Presidential items) পাওয়া ২৫০টি উপহার সমগ্রীর নিলাম (Auction) শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বই, গহনা, আসবাবপত্র, মূর্তি, স্মারক এবং নানা ভাস্কর্য সহ বহু উপহার, যা রাষ্ট্রপতিরা বিভিন্ন সময়ে পেয়েছিলেন। রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মু, প্রতিভা দেবীসিংহ পাতিল, এপিজে আব্দুল কালাম, প্রণব মুখার্জি এবং রামনাথ কবিন্দের পাওয়া উপহার সামগ্রী। রাষ্ট্রপতি ভবনের আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নিলামে উপার্জিত অর্থ শিশুদের সাহায্য করার জন্য দান করা হবে।

    দ্রৌপদী মুর্মুর উপহার সামগ্রী (Auction)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ই-উপহার পোর্টালের মাধ্যমে ৫ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত এই নিলাম (Auction) অনুষ্ঠিত হবে। জিনিসপত্রের মূল্য অনুমানিক ২৭০০ থেকে শুরু এবং সর্বোচ্চ মূল্য ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এইসব জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দামান নিকোবর থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তৃক প্রাপ্ত একটি স্মারক। তাতে রয়েছে নৌবাহিনীর ব্যবহৃত ছয়টি মডেলের সাবমেরিন, যা এক্রাইলিক কাঁচের আবরণে আবৃত। এই স্মারক কমান্ডের সামুদ্রিক উপস্থিতির প্রতীক৷ ১৫ কেজি ওজনের এই মডেলটির মূল্য ৭৫০০ টাকা। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি শেল ক্রাফট পেইন্টিং যার ওজন প্রায় ১৪ কেজি, এটিও রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে দেওয়া হয়েছিল। এটি পোর্ট ব্লেয়ারে নেতাজির পতাকা উত্তোলনকে স্মরণ করে তৈরি করা হয়েছিল। এই ছবির সর্বোচ্চ প্রারম্ভিক মূল্য ৪.০২ লক্ষ টাকা। আবার উপহার সামগ্রীর মধ্যে কর্ণাটকের হোয়সালেশ্বর মন্দিরের একটি প্রতিরূপও রয়েছে। দ্রৌপদি মুর্মুকে এই উপহার ভাইস অ্যাডমিরাল আরবি পন্ডিত দিয়েছিলেন, যার মূল মূল্যও ১.৫ লক্ষ টাকা।

    প্রতিভা পাতিল-আব্দুল কালামের উপহার সামগ্রী

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবীসিংহ পাতিলের প্রাপ্ত একটি গোল মার্বেল প্লেট (Presidential items) রয়েছে এই নিলামের সামগ্রী হিসেবে। নিলামে (Auction) তার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,০০০ টাকা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রাপ্ত একটি ধাতব চালের পাত্র রয়েছে। এটি হরিয়ানার জৈন সম্প্রদায়ের তৈরি। এটি প্রায় ১.৫ কেজি চাল ধারণ করতে সক্ষম। তার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০০ টাকা। আবার ক্রিস্টাল গ্লোব সমন্বিত একটি ট্রফিও পেয়ছিলেন তিনি। তার সর্বনিম্ন মূল্য ঠিক করা হয়েছে ২৭০০ টাকা।

    ২০০৫ সালে ক্ষুদ্র, কৃষি ও গ্রামীণ শিল্পের জাতীয় সম্মেলনের সময় ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামকে দেওয়া তন্তু এবং কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি এক জোড়া হরিণও এই নিলামের সামগ্রী হিসাবে ঠিক করা হয়েছে। আবার অসম থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে একটি টুপি উপহার দেওয়া হয়েছিল। এটি ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি। বহু রঙে সজ্জিত। তার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০০ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Breastfeeding Week: জন্মের পরের ছ’মাস শুধুই স্তন্যপান! শিশু ও মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    World Breastfeeding Week: জন্মের পরের ছ’মাস শুধুই স্তন্যপান! শিশু ও মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সন্তানের জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস, তার শারীরিক বিকাশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর খাদ্যাভ্যাস থেকে পরিচর্যা, সব বিষয়ে অতিরিক্ত নজরদারি না রাখলে পরবর্তী সময়ে নানান জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে তাই জানানো হয়েছে, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধু মাতৃ স্তন্যপান (World Breastfeeding Week) যথেষ্ট। এতেই শিশুর ঠিকমতো বিকাশ হবে। সুস্থ শরীর ও মানসিক গঠন ঠিক মতো হবে‌। কিন্তু বিশ্ব জুড়েই মাতৃদুগ্ধ (Mother’s Milk) পান নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল কিন্তু স্পষ্ট জানাচ্ছে, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট। আর কিছুই দরকার নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো‌ ভারতেও স্তন্যপান করানো নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই দেশ জুড়ে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ স্তন্যপান সচেতনতা সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্তন্যপান করানো শুধু সদ্যোজাতের জন্য উপকারী নয়, মায়ের শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। তাই মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে স্তন্যপান জরুরি।

    শিশুর শরীরে স্তন্যপান কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? (World Breastfeeding Week)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করলে, শিশুর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের খাবার থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে সব চেয়ে বেশি। কিন্তু মায়ের বুকের দুধ খেলে সেই ঝুঁকি কার্যত থাকে না। বিশেষত পেটের অসুখের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেলে, তার প্রভাব হয় সুদূর প্রসারী। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মায়ের বুকের দুধে কোলেস্ট্রাম থাকে। এই উপাদান দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। বিশেষত অন্ত্র, লিভার এবং পাকস্থলীর রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই উপাদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই মাতৃদুগ্ধ সন্তানের জন্য সব চেয়ে উপকারী। জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র ব্রেস্টফিডিং করলে শিশুর কিডনি ভালো থাকে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশেও মায়ের দুধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।‌ তারা জানাচ্ছে, শিশুর জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধে এক ধরণের হলদে উপাদান থাকে। এই উপাদান শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে।

    স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    শিশুকে নিয়মিত স্তন্যপান (World Breastfeeding Week) করালে তার পাশপাশি মায়ের শরীরেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শিশুকে স্তন্যপান করালে মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। বিশ্বের একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, স্তন্যপান করালে মহিলাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে। সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে স্তন ক্যান্সারের পাশাপাশি ওভারি এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার পাশপাশি মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হয়। শিশুকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে নতুন মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। সন্তান জন্মের পরে দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার স্তন্যপান (Mother’s Milk) করালে, মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক হয়। ফলে মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। সন্তানকে স্তন্যপান করালে মহিলাদের পোস্ট পার্টোম ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমে বলেও‌ জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, অধিকাংশ মায়েরাই সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে নানান মানসিক অবসাদে ভোগেন। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন ঘটার জেরেই এই ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। নিয়মিত স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনেও প্রভাব ফেলে। ফলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে স্তন্যপান (World Breastfeeding Week)। মা নিয়মিত সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Janmabhoomi Movement: অযোধ্যা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের এই ‘অজ্ঞাত নায়ক’দের চেনেন?

    Ram Janmabhoomi Movement: অযোধ্যা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের এই ‘অজ্ঞাত নায়ক’দের চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। অযোধ্যায় (Ayodhya) নব নির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। কিন্তু এ লড়াই ছিল দীর্ঘদিনের। ১৯৪৯ সাল থেকে অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে বির্তকের সূত্রপাত। সেই সময় থেকে মন্দির নির্মাণের দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। পরবর্তীকালে এই বিতর্ক গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। বিভিন্ন সময় এই আন্দোলনে (Ram Janmabhoomi Movement) নেতৃত্বের ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অশোক সিংঘলরা। তবে শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, রামমন্দির আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন সাধু-সন্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যাঁরা, কোনও দিন পরিচিত ছিলেন না এবং আড়ালে থেকেই নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন।

    কেন আড়ালে (Ayodhya) 

    শ্রী রাম জন্মভূমি আন্দোলনের (Ram Janmabhoomi Movement) ইতিহাসের বেশিরভাগ সময়, বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীর ৮-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাম-কংগ্রেস মতাদর্শ বিশ্বাসীরা রাম জন্মভূমি আন্দোলনকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর রাজনীতির পদক্ষেপ হিসেবে উপহাস করেছিলেন। রাম মন্দির আন্দোলনকে দলিত বিরোধী, মুসলিম বিরোধী, উপজাতি বিরোধী হিসেবে দেখানো হয়েছিল। আন্দোলনের পুরো সময়জুড়ে, বাম-কংগ্রেস গোষ্ঠী যুক্তি দেখিয়ে চলেছিল যে, এটি কেবল কয়েকটি তথাকথিত ‘উচ্চ বর্ণের’ আন্দোলন এবং বৃহত্তর হিন্দু সমাজের এর সঙ্গে কোনও যোগ নেই।

    বাস্তব অন্য

    যে প্রচার বাম-কংগ্রেসরা করেছিল, তা আসলে সত্য থেকে অনেক দূরে। শ্রী রাম জন্মভূমি আন্দোলন (Ram Janmabhoomi Movement) ছিল জনগণের আন্দোলন। একটি আহত সভ্যতা ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট মোড়ে জাগ্রত হয়েছিল, এবং তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। তাই ১৯৯০ সালে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রাম রথযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন অগণিত মানুষ। ‘মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে’ স্লোগানে কেঁপে উঠেছিল ভারত। তাঁরা ছিলেন  ধর্মীয় পুরুষ, স্বেচ্ছাসেবক, নিবেদিত এবং গর্বিত হিন্দু। সেই দলে থাকা কয়েকজন ‘নেপথ্য-নায়ক’-এর সম্পর্কে জেনে নেব। 

    মহন্ত অবৈদ্যনাথ

    উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মঠের মহন্ত দিগ্বিজয়ের উত্তরসূরি ছিলেন মহন্ত অবৈদ্যনাথ। ১৯৮৪ সালে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের জোরদার করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সাধুদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে রাম জন্মভূমি মুক্তি যজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলেন তিনি।

    মোরোপান্ত পিংলে

    নাগপুরের মরিস কলেজ থেকে স্নাতক এবং আরএসএস প্রচারক, পিংলে রাম মন্দির আন্দোলনের একজন প্রধান কৌশলবিদ ছিলেন। পিংলে রাম মন্দির আন্দোলনের (Ram Janmabhoomi Movement) সমস্ত প্রধান ‘যাত্রা’, দেশব্যাপী প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যার মধ্যে ‘শিলা পূজন’ প্রোগ্রামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি প্রথম ৩ লক্ষেরও বেশি ইট অযোধ্যায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি সবসময় পর্দার আড়ালে কাজ করতেন। 

    স্বামী বামদেব

    একজন তপস্বী, গো-মাতাকে রক্ষা করাই ছিল তাঁর কাজ। তিনি ১৯৮৪ সালে জয়পুরে সর্বভারতীয় স্তরের একটি বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক নেতাদের একত্রিত করেছিলেন। ৪০০-এরও বেশি হিন্দু ধর্মীয় নেতা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ তৈরি করতে ১৫ দিন ধরে একসঙ্গে কাজ করেছিল। স্বামী বামদেব ১৯৯০ সালে অযোধ্যায় করসেবকদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই সময়ই মুলায়ম সিং যাদবের সরকারের আদেশে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন কর সেবক মারা যান। তিনি সেই উত্তাল সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল, তখনও সেখানে ছিলেন বামদেব।

    ভিএইচ ডালমিয়া

    একটি সুপরিচিত শিল্পপতি পরিবার থেকে আসা, ডালমিয়া ১৯৯২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ভিএইচপির সভাপতি ছিলেন। আড়ালে থাকতে পছন্দ করা ডালমিয়া রাম জন্মভূমি আন্দোলনের (Ram Janmabhoomi Movement) একজন প্রধান নেতা ছিলেন। যখন শ্রী রাম জন্মভূমি ন্যাস ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন তাঁকে এর কোষাধ্যক্ষ করা হয়। বিতর্কিত কাঠামো ধ্বংসের পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

    এসসি দীক্ষিত

    ১৯৮০-এর দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের একজন সামনের সারির নেতা ছিলেন এসসি দীক্ষিত। তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরে, তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ-সভাপতি হিসাবে যোগদান করেন। তিনি অযোধ্যায় (Ayodhya) করসেবকদের আন্দোলনের কৌশল তৈরি করতেন। ভিএইচপি দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন মঠের প্রচারণার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে অযোধ্যায় করসেবা চলাকালীন রাম জন্মভূমি আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    দাউদয়াল খান্না

    রাম জন্মভূমি মুক্তি যজ্ঞ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে, দাউদয়াল খান্না আন্দোলনের (Ram Janmabhoomi Movement) মাটি প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তাঁর প্রথম জীবনে একজন কংগ্রেস নেতা ছিলেন এবং ১৯৬০-এর দশকে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৮৩ সালে একটি জনসভায় অযোধ্যা, মথুরা এবং কাশী (বারাণসী)-তে মন্দির পুনর্নির্মাণের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগটি রাম জন্মভূমি আন্দোলন পুনরায় শুরু করার মূল অনুঘটক প্রমাণিত হয়েছিল। 

    কোঠারি ভ্রাতৃদ্বয়

    রম কুমার কোঠারি এবং শরদ কুমার কোঠারি ছিলেন দুই ভাই। এঁরা ১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে করসেবায় অংশ নিতে কলকাতা থেকে অযোধ্যায় (Ayodhya) গিয়েছিলেন। তাঁরা অযোধ্যায় ১৯৯০ সালের ৩০ অক্টোবর করসেবায় প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। দুই দিন পরে, ২ নভেম্বর, যখন তাঁরা করসেবা করছিলেন তখন তাঁদের দুজনকেই পুলিশ কাছাকাছি থেকে গুলি করে হত্যা করে। রমের বয়স ছিল ২৩ এবং শরদের বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর।

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    শুধু এঁরা নয়, অন্যদের মধ্যে সেতারাম মালি (যোধপুর), রমেশ কুমার (গঙ্গানগর), মহাবীর প্রসাদ (ফৈজাবাদ), রমেশ পাণ্ডে (অযোধ্যা), সঞ্জয় কুমার (মুজাফফরপুর), অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অরোরা (যোধপুর) এই আন্দোলনের (Ram Janmabhoomi Movement) জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। অযোধ্যায় (Ayodhya) হনুমানগড়ির কাছে শহিদ গলি আজও প্রমাণ করে “রাম লাল্লা হাম আয়েঙ্গে, মন্দির ওহি বনায়েঙ্গে” ছিল একটা আবেগ। যার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    Sheikh Hasina: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদিচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সোমবার ভারতে আসেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী? কোথায় থাকবেন হাসিনা? শেখ হাসিনা কি ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন নাকি ব্রিটেনে যাবেন? এই নিয়ে চরম জল্পনা চলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্ডন থেকে বাংলাদেশি বায়ুসেনার বিমানটি আকাশে ওড়ার পর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা এবং গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে, হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ সজীব ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর মা আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। রাজনীতিতে যোগ দেবেন না। বিশেষ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত ভারতেই থাকবেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাময়িকভাবে ভারতে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নয়াদিল্লি।  

    যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাইছেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    গণ-আন্দোলনে জ্বলছে অশান্ত বাংলাদেশ। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্ডন সামরিক বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরণ করে একটি বাংলাদেশি বায়ুসেনার সিজে-১৩০ বিমান। শোনা যাচ্ছিল, জ্বালানি নিয়ে সেটি রওনা দেবে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে। কিন্তু তারপর শোনা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক নির্দেশ পাওয়া যায়নি। ফলে এরপর আর ভারত (India) ছাড়তে পারেননি হাসিনা। জানা গিয়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন তাঁরা। তবে উল্লেখ্য, “বাংলাদেশের জনক” শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে অর্থাৎ হাসিনার বোন রেহানা ব্রিটিশ নাগরিক। 

    আরও পড়ুন: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয়

    প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের পর অভিভাবকহীন দেশের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। অর্থাৎ প্রতিবেশি দেশটির ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ” আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব।” এদিকে, এই অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে রাতের বেলা সেনার তরফ থেকে কমান্ডারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। হিন্দুদের ওপর হামলা হলে সেই সব নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। প্রতিবেশী দেশের এই পরিস্থিতিতে ঢাকার ভারতীয় (India) হাইকমিশন হাই অ্যালার্টে রয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সেখানে ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয় প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতীয় এজেন্সিগুলির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বর্তমানে বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছেন, যাঁরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম— সমস্ত এলাকায় উপস্থিত ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share