Tag: bangla news

bangla news

  • Sheikh Hasina: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    Sheikh Hasina: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদিচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সোমবার ভারতে আসেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী? কোথায় থাকবেন হাসিনা? শেখ হাসিনা কি ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন নাকি ব্রিটেনে যাবেন? এই নিয়ে চরম জল্পনা চলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্ডন থেকে বাংলাদেশি বায়ুসেনার বিমানটি আকাশে ওড়ার পর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা এবং গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে, হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ সজীব ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর মা আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। রাজনীতিতে যোগ দেবেন না। বিশেষ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত ভারতেই থাকবেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাময়িকভাবে ভারতে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নয়াদিল্লি।  

    যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাইছেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    গণ-আন্দোলনে জ্বলছে অশান্ত বাংলাদেশ। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্ডন সামরিক বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরণ করে একটি বাংলাদেশি বায়ুসেনার সিজে-১৩০ বিমান। শোনা যাচ্ছিল, জ্বালানি নিয়ে সেটি রওনা দেবে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে। কিন্তু তারপর শোনা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক নির্দেশ পাওয়া যায়নি। ফলে এরপর আর ভারত (India) ছাড়তে পারেননি হাসিনা। জানা গিয়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন তাঁরা। তবে উল্লেখ্য, “বাংলাদেশের জনক” শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে অর্থাৎ হাসিনার বোন রেহানা ব্রিটিশ নাগরিক। 

    আরও পড়ুন: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয়

    প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের পর অভিভাবকহীন দেশের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। অর্থাৎ প্রতিবেশি দেশটির ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ” আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব।” এদিকে, এই অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে রাতের বেলা সেনার তরফ থেকে কমান্ডারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। হিন্দুদের ওপর হামলা হলে সেই সব নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। প্রতিবেশী দেশের এই পরিস্থিতিতে ঢাকার ভারতীয় (India) হাইকমিশন হাই অ্যালার্টে রয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সেখানে ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয় প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতীয় এজেন্সিগুলির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বর্তমানে বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছেন, যাঁরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম— সমস্ত এলাকায় উপস্থিত ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South Kashmir: শিশুদের মধ্যে মাদক ব্যবহার রোধে “সেরা পারফর্মিং” জেলা দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান

    South Kashmir: শিশুদের মধ্যে মাদক ব্যবহার রোধে “সেরা পারফর্মিং” জেলা দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকায় মাদকাসক্তির ব্যাপকতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছিল। জেলা প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) শোপিয়ান শিশুদের মধ্যে মাদক (Drug) ব্যবহার রোধে “সেরা পরফর্মিং” জেলা হয়ে উঠেছে।

    প্রহরী ক্লাবএবং সিসিটিভি ক্যামেরা মোতায়েন (South Kashmir)

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোপিয়ান (South Kashmir) জেলার অধিকাংশ ওষুধের দোকানে মাদক বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নজরদারির জন্য ওষুধের দোকানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই সিসিটিভিতে ক্রমাগত মনিটরিং করা হয়। মাদকে আসক্ত হলে কতটা ক্ষতি হতে পারে তা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে “প্রহরী ক্লাব” তৈরি করা হয়েছে। বাছাই করা ছাত্রছাত্রীরা সেখানে রয়েছে। তারা নিজেদের বন্ধুদের মধ্যে মাদকের খারাপ দিক তুলে ধরছে। এছাড়া স্কুল, কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপকরা এই বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। “প্রহরী ক্লাবের” সদস্যরা নেশা মুক্তি নিয়ে ক্রমাগত প্রচার করে চলেছেন। আর তাঁদের এই কার্যকলাপ অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সমাজ কল্যাণ দফতরও এই বিষয়ে জেলাজুড়়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    ডেপুটি কমিশনার কী বললেন?

    শোপিয়ানের (South Kashmir) ডেপুটি কমিশনার ফজলুল হাসিব বলেন, গত দুবছর ধরে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আর মাদকের গুণাগুণ রয়েছে এমন ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৪২০টি ওষুধের দোকানে  সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আর ওষুধ বিক্রির তথ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রমাগত তাতে নজরদারি চালানো হয়।

    মাদক বাজেয়াপ্ত!

    পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৪৪টি এনডিপিএস মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে ৯০টি হয়েছে। আর চলতি বছরে জুলাই মাস পর্যন্ত ৩৯টি মামলা রুজু হয়েছে। আর ২০২২ সালে ১৮৪ কেজি চরস (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। ২০২৩ সালে ২২১ কেজি চরস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সাত মাসে ৪৯৩ কেজি পোস্তর দানা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে হাসিনার পতন! ফিরে দেখা ঘটনাক্রম

    Bangladesh Crisis: কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে হাসিনার পতন! ফিরে দেখা ঘটনাক্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ৫ অগাস্ট ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রসঙ্গত, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। যার ফলে মৃত্যু হয় ৩০০ জন মানুষের। হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিকরা শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা চালান। এরপরেই বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Sheikh Hasina)। নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চলে আসেন ভারতে এবং গাজিয়াবাদের এক গোপন আস্তানায় তাঁকে রাখা হয়।

    এরইমধ্যে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা করেন যে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি, তিনি প্রতিশ্রুতিও দেন যে দেশের সমস্ত অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং নাগরিক হত্যার সুবিচার দেওয়া হবে। সোমবারই গণভবন দখলের পরে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে থাকে (Bangladesh Crisis)। ৫ অগাস্ট গণভবন দখল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা, তাঁর দেশ ছেড়ে যাওয়া- এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। আমরা সেই সমস্ত ঘটনাক্রমগুলি নিয়েই আজকে আলোচনা করব।

    প্রথম পর্যায়ের বিক্ষোভ

    বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের গোড়াতেই। সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নীতিকে নিয়েই বিতর্কে সূত্রপাত। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পরিবারদের চাকরিতে ব্যাপক কোটা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, মহিলাদেরও অনেকটাই সংরক্ষণ দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই সমস্ত পরিবারের উত্তরসূরিদের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে হাইকোর্টও এই সংরক্ষণ নীতিতে সিলমোহর দেয়। এরপরেই প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয় সেদেশে, পরবর্তীকালে তা ব্যাপক সহিংস আকার ধারণ করে। গত ১৮ জুলাই ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দফতরে আগুন লাগিয়ে দেয় সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি গুলিও চালায়। এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। বাড়ে আহতদের সংখ্যাও (Bangladesh Unrest)।

    ২০১৮ সালেও একই ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ

    ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, মহিলাদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেয়। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের (Sheikh Hasina) নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের প্রথম পর্যায়ের আন্দোলনে নিহত হন ২০০-এর ওপর মানুষ।

    দ্বিতীয় পর্যায়ের বিক্ষোভ (Bangladesh Crisis)

    গত ২১ জুলাই সংরক্ষণ মামলায় রায় দেয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নিজেদের রায়ে জানায়, সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অন্যান্য শ্রেণির জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এর পাশাপাশি, পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ফিরে যেতে বলে শীর্ষ আদালত। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে হিংসা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান যে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সংরক্ষণ, সরকারি চাকরিতে একেবারে প্রত্যাহার করতে হবে। এর পাশাপাশি, আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে যেভাবে ২০০ জন আন্দোলনকারীকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী হত্যা করেছে, সেটার ন্যায়-বিচারের দাবিতেও আবার দলে দলে মানুষ রাস্তায় নামতে থাকেন। ঢাকা, খুলনা, সিলেট, নরসিংদি, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে মসজিদে নমাজের পরেই অসংখ্য হিংসার (Bangladesh Crisis) ঘটনা সামনে আসতে থাকে। চট্টগ্রামে জুম্মার নামাজের পরে সেখানকার স্থানীয় ওয়াসা মোড়ে একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়তে থাকেন। পাল্টা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে, রবার বুলেট চালায়, টিয়ার গ্যাস ছুড়ে জবাব দেয়, চলে গুলিও।

    বিক্ষোভের তৃতীয় পর্যায়

    দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিংসার পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। গত ৪ অগাস্ট আওয়ামি লিগ সমর্থক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এর ফলে শতাধিক মানুষ নিহত হন। জানা যায়, নিহতদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ কর্মীও ছিলেন। বাংলাদেশের এমন সহিংস পরিস্থিতিতে রবিবারই দেশজুড়ে ফের একবার কার্ফু জারি করে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ৫ থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেয় হাসিনা সরকার। ঠিক এই আবহে ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা’- এই দাবি তুলে আসিফ মাহমুদের নেতৃত্বে পড়ুয়ারা ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ অভিযান শুরু করেন সোমবার। একমাত্র লক্ষ্য হয় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা (Bangladesh Crisis)।

    সক্রিয় ভূমিকা জামাত ও বিএনপির

    বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে এই তীব্র সংঘর্ষের আবহে বাংলাদেশের জামাত-এ-ইসলামি ও বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ সরকারকে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারাও যোগ দেয় এই বিক্ষোভে। এর ফলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিএনপি ও জামাতের কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে যোগ দেয় হাসিনা সরকারের পতন অভিযানে। অর্থাৎ, সামনে ছাত্র আন্দোলন এবং পিছনে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জামাত-বিএনপির। এই দুই সংগঠন হিন্দু বিরোধী ও ভারত বিরোধী বলেই পরিচিত। উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি বিএনপি ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং ভারত বিরোধী ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার আন্দোলন চালায় (Bangladesh Crisis)।

    আন্দোলনের রাশ জামাতের হাতে

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিক্ষোভকারীরা এখন বর্তমানে জামাত ও বিএনপি’র হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ঠিক সে কারণেই তাদের কার্যকলাপগুলিও সেভাবে দেখা যাচ্ছে। হিন্দু মন্দির গুলিতে হামলা হচ্ছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক যুগের অবসান (Bangladesh Crisis) ঘটল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    Sheikh Hasina: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ১৫ বছরের হাসিনা-যুগের সমাপ্তি ঘটল। পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন মুজিব-কন্য়া। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) দেশ ছাড়ার পর ঢাকার রাজপথে চোখে পড়ল আনন্দ-উচ্ছ্বাস। এই হাসিনাই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন। সেনা-শাসন থেকে ক্ষমতা গিয়েছিল মানুষের হাতে। ৭৬ বছরের হাসিনা, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দিন ধরে সরকারে থাকা নেত্রীদের মধ্যে একজন। বাংলাদেশের (Bangladesh) ‘আয়রন লেডি’ হাসিনার আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেছিল ঢাকার। সন্ত্রাস দমনে কঠোর ভূমিকা নিয়েছিল হাসিনা সরকার। এককালে সেনা শাসিত বাংলাদেশকে যিনি স্থিরতা দিয়েছিলেন, সেই হাসিনার বিরুদ্ধেই উঠেছে অত্যাচার, দুর্নীতির অভিযোগ।  

    বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে (Sheikh Hasina)

    তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) ১৯৪৭ সালে জন্ম হাসিনার। বাবা মুজিবর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি ১৯৬০ সালের সময়কালে রাজনীতিতে পা রাখেন। বাবা মুজিব জেলে থাকা অবস্থাতে বাবার দেখানো রাজনীতিকে দেশে ধরে রাখতে লড়াই চালান হাসিনা। এরপর দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান হন সেদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

    কীভাবে উত্থান (Bangladesh)

    ৪৯ বছর আগের ঘটনা। ১৯৭৫ সাল। সেই সময় শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। দিনটা ছিল ১৫ অগাস্ট। বাংলাদেশ (Bangladesh) স্বাধীন হয়েছে মাত্র ৪ বছর। ঢাকায় ধানমন্ডির বাসভবনে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে খুন করা হয়। বঙ্গন্ধুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালও নিহত হয়েছিলেন ঘাতকের বুলেটে। তাঁর দুই মেয়ে – শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা – তখন বিদেশে, ফলে এই দু’জনই কেবল প্রাণে বাঁচেন। ১৯৭৫ সালে মুজিব-হত্য়ার সময় জার্মানিতে ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ২৪ অগাস্ট এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন হাসিনা। ৬ বছর ভারতে পরিচয় গোপন করে থাকার পর দেশে ফেরেন তিনি। হাল ধরেন বাবার প্রতিষ্ঠিত পার্টি আওয়ামি লিগের। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে সেনা শাসিত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করতে থাকেন হাসিনা। যার জেরে তাঁকে বহুবার গৃহবন্দি করা হয়। শুরু হয় হাসিনার রাজনৈতিক লড়াই।

    ক্ষমতার অলিন্দে হাসিনা (Bangladesh)

    ১৯৯১ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে হাসিনার (Sheikh Hasina) আওয়ামি লিগ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। জেতে খালেদা জিয়ার বিএনপি। ১৯৯৬ সালে মসনদে আসেন হাসিনা। পরে ২০০১ সালে ফের তিনি ভোটে হেরে যান। ২০০৮ সালে বিএনপির খেকে মসনদ ছিনিয়ে নিয়ে দাপুটে জয়ে ক্ষমতায় ফেরেন মুজিব কন্যা ও তাঁর দল। সেই থেকে, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের আগে তাঁর গদি কেউ টলাতে পারেনি। ২০০৪ সালে এক সভায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে হাসিনাকে খুনের চেষ্টা করা হয়। এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফিরে ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের অপরাধীদের সাজা দেওয়ার পথ নেয় হাসিনা সরকার। বিপক্ষের প্রধান খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের জেল হয়। বহু বিপক্ষের তাবড় নেতাকে এই সময় সাজা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে জামাত-এ-ইসলামিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। সদ্য জানুয়ারি মাসেই তিনি চতুর্থবারের জন্য জিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন। 

    আরও পড়ুন: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    বাংলাদেশের উন্নয়নে হাসিনা

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রথম মেয়াদকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি অর্থনীতির উদারীকরণ করেছিলেন, বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করেন এবং জীবনযাত্রা মান বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। তাঁর সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ বিশ্বের শিল্প মানচিত্রে স্থান করে নেয়। শেখ হাসিনার সময়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবারও সমূহ উন্নতি হয়েছে। তাঁর সময়ে উল্লেখযোগ্য হল স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান। 

    সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় 

    অস্থির বাংলাদেশকে শান্তও করেছিলেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। দেশে সন্ত্রাস দমন করেছিলেন। তবে শেখ হাসিনার সময়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয়। রাজনৈতিক ভিন্ন মত পোষণকারী বিশেষ করে ইসলামপন্থী জামাত-এ-ইসলামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন হাসিনা। এ বিষয়ে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিও হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে। ২০২৪-এ টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হওয়ার পরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের তরফে বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না বলেও অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে শুরু হয় হাসিনা-বিরোধী আন্দোলন। তবে এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনীর হাতে গিয়েছে দেশের ক্ষমতা। এমন অবস্থায় ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জামাত-বিএনপি’র আক্রমণে হিন্দু নিধন চলছেই। হিন্দু সাংবাদিক থেকে হিন্দু নেতাদের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর পাশাপাশি মন্দিরগুলিতেও আক্রমণ চলছে। ঠিক এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বড় দাবি করলেন। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, ১ কোটি বাংলাদেশি হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে আসবেন, এর জন্য রাজ্যের মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশ হত্যা করা হচ্ছে। কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়েছে সিরাজগঞ্জে। ১৩ জন পুলিশ কর্মীকে খুন করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন হিন্দু। তাই প্রস্তুত থাকুন। এক কোটির বেশি বাংলাদেশি হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে আসবেন।’’

    কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে আবেদন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি নন্দীগ্রামের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সিভি বোসের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অতি অবশ্যই কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁরা যেন কথা বলেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) সংঘর্ষে রংপুরে চারজন মানুষকে হত্যা করা হয়। যার মধ্যে একজন হলেন হারাধন রায়, যিনি ছিলেন পরশুরাম থানা আওয়ামী লিগের সভাপতি এবং স্থানীয় পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি, হত্যা করা হয় প্রদীপ কুমার ভৌমিক নামের এক সাংবাদিককেও। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের রায়গঞ্জের স্থানীয় ডেইলি খবরপত্র নামের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিকতা করতেন নিহত প্রদীপবাবু।

    হিংসাত্মক আন্দোলন সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে

    সে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান বলছেন, ‘‘ক্রমশই আন্দোলন হিংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে এবং এগুলি বেশিরভাগই ছড়ানো হচ্ছে সমাজ মাধ্যমের পাতা থেকে।’’ বাংলাদেশের এই হিংসায় দেশভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছায়া ফুটে উঠেছে। ফের যেন বাংলাদেশে ফিরে এসেছে রাজাকাররা। আন্দোলনের নামে আক্রমণ চালানো হয়েছে ইস্কনের মন্দির, কালী মন্দির সমেত হিন্দুদের একাধিক ধর্মস্থানে। বাদ যাচ্ছে না হিন্দুদের ঘরবাড়িও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    Sheikh Hasina: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভে ভীত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ভারতে তিনি আগেও নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সোনার বাংলা (Unrest Bangladesh) জ্বলছে। কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে নাশকতা বা কোনও ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না তা সময় বলবে। তবে আপাতত বন্ধু হাসিনাকে সাময়িক সাহায্য করছে ভারত। এতে বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত কূটনৈতিক মহল। তবে ভারত অতিথিকে ফেরায় না। আশ্রয় চাইলে আশ্রয় দানই ভারতের নীতি। তাই কয়েকদিন দিল্লিই হাসিনার ঠিকানা।

    ভারতে হাসিনা

    আপাতত ব্রিটেনে যেতে পারছেন না বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দিল্লিতে গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে রয়েছে তাঁর বিমান। বাংলাদেশ সেনার মালবাহী বিমানে দিল্লির গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে পৌঁছেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বোন রেয়াত। তিনি ব্রিটেনের নাগরিক। জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্রিটেন সরকার তাঁকে অনুমতি দেয়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর আপাতত তিনি ভারতেই থাকবেন কয়েকটা দিন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়েছেন।

    আগেও ভারতে ছিলেন হাসিনা 

    ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পিতা ও তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশেরই সেনাবাহিনীর একাংশ খুন করেছিল। ঢাকায় সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন মুজিবুর রহমান। তবে দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা যেহেতু বিদেশে ছিলেন তাই বেঁচে গেছিলেন। তাঁদের ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। নয়াদিল্লিতেই স্বামী, পুত্র কন্যা ও বোনকে নিয়ে থাকতেন হাসিনা। তারপর জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরোধী গণআন্দোলনে নেমেছিলেন বা়ংলাদেশের বিরোধী নেত্রী হন। পরে বারবার সরকার গড়েছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নারী নেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে বিপুল জয় পেলেও জনতার বিক্ষোভে তাঁকে দেশ ছাড়তে হল। সোমবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে লেখা হয়ে গেলে হাসিনার পতন কাহিনী। গণবিক্ষোভে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন ছেড়ে সেনাবাহিনীর সাহায্যে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। এর প্রভাব পড়বে ভারতেও এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ষড়যন্ত্রের আভাস

    বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) নতুন করে হিংসা শুরু হতেই সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছিলেন, বর্তমানে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তারা ছাত্র নয়, জঙ্গি। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হয়, হাসিনা সরকার নাকি দিল্লিকে জানিয়েছে, এই আন্দোলনের নেপথ্যে এখন কলকাঠি নাড়ছে জামাতের নিষিদ্ধ ছাত্র সংঘঠন। এবং ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকে মদত পাচ্ছে তারা। এরপরই সতর্ক হয় ভারত সরকার। ভারত চিরকালই হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বন্ধু দেশ। হাসিনার শাসনকালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। তাই হাসিনা সরকারের পতনের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে তা সময় বলবে।

    আরও পড়ুন: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    সেনার অধীনে সরকার

    হাসিনা (Sheikh Hasina) দেশ ছাড়ার পরই বাংলাদেশে সেনার অধীনে অন্তর্বর্তী তদারকি সরকার গঠিত হচ্ছে। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। হাসিনা বাংলাদেশের (Unrest Bangladesh) আকাশসীমা অতিক্রম করার পর তাঁর ভাষণ শুরু হয়। বাংলাদেশ সংসদের স্পিকারকে আপাতত ক্ষমতা হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে খবর। তার পরে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে বাংলাদেশে তদারকি সরকার গঠিত হবে। বছরখানেক পরে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। তবে এ সবই এখন খুবই প্রাথমিক স্তরের বক্তব্য। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তার দিকে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির।

    উদ্বিগ্ন ভারত!

    বাংলাদেশী (Unrest Bangladesh) জনগণের কাছ থেকেও ধাক্কা খাওয়ার একটি সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে — আওয়ামী লীগের শাসনের বছরগুলিতে, বাংলাদেশের বিরোধীরা ভারতকে হাসিনার (Sheikh Hasina) সমর্থনকারী হিসেবেই দেখেছে। তাই হাসিনা-হীন ঢাকায় এখন কারা ক্ষমতায় থাকবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। ভারতের প্রতি তারা কী মনোভাব নেবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। অতীতে, যখন বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বিরোধী দল বা সেনাবাহিনী দেশ শাসন করেছে, তখন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে এই পরিস্থিতি আবার দেখা দিতে পারে,বলে অনুমান দিল্লির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Violence: উত্তাল বাংলাদেশ, ভারতের আর কোন পড়শির বাড়িতে লেগেছে অশান্তির আগুন?

    Bangladesh Violence: উত্তাল বাংলাদেশ, ভারতের আর কোন পড়শির বাড়িতে লেগেছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল (Protests) বাংলাদেশ। তার জেরে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন (Bangladesh Violence) শেখ হাসিনা। বোনকে নিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। হাসিনার পদত্যাগের খবর জানান সে দেশের সেনা প্রধান ওয়াকের-উজ-জামান। রাজধানী ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। লাঠিচার্জ করেও তাদের নিরস্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ প্রশাসন। তার জেরেই সপ্তাহখানেক ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মাঝ-জুলাইয়ের এই আন্দোলনে অন্তত ৯১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ডামাডোলের বাজারে চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞও।

    ‘দক্ষযজ্ঞ’ শ্রীলঙ্কায়

    বাংলাদেশের মতো এমন আন্দোলন বছর দুয়েক আগে দেখেছিল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাও। ঘটনাচক্রে সেটাও ছিল জুলাই মাস। দেশে (Protests) অথনৈতিক সঙ্কট চরমে। ব্ল্যাক আউট করে বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। খাবার এবং জ্বালানির অভাবে দ্বীপরাষ্ট্রবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দেয় সরকার। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই পথে নেমে পড়েন শ্রীলঙ্কাবাসী। তাঁরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে হামলা চালান। জনরোষের আঁচ পেয়ে তার আগেই অবশ্য দেশ ছেড়ে ভিন দেশে পালিয়ে বাঁচেন রাজাপক্ষে।

    পাকিস্তানে অশান্তি

    ব্যাপক অশান্তি দেখেছে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানও। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট যখন চরমে, তখনই সরিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। সেটাও দু’বছর আগে। তবে মাসটা ছিল এপ্রিল। আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় সরানো হয় ইমরানকে। জোট সরকারের নেতৃত্ব দেন শাহবাজ শরিফ। ওই বছরই (Bangladesh Violence) নভেম্বর মাসে পঞ্জাব প্রদেশে এক প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তিনটি গুলি লাগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। প্রাণে বেঁচে যান ইমরান। তবে কলঙ্কের দাগ লাগে পাক রাজনীতির গায়ে।

    আন্দোলনের আঁচ সর্বত্র

    তোষাখানা মামলা-সহ একাধিক মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। ২০২৩ সালের মে মাসের ওই ঘটনার আগে পরে ব্যাপক আন্দোলন হয় পাকিস্তানে। প্রতিবাদী এই আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে আছড়ে পড়ে আর্মি হেডকোয়ার্টার এবং আইএসআইয়ের হেডকোয়ার্টারে। তবে বন্দিদশা ঘোচেনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের। একের পর এক মামলা চলায় জেলের ঘানি টানছেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেট তারকা-রাজনীতিক। চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানের মসনদে বসেন শরিফ। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন তিনি। শাসক বদলেছে। তবে দুঃখ ঘোচেনি পাকিস্তানের। দেনার দায়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড় দেশটার। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের দশা কাটাতে ২৩ মার্কিন বিলিয়ন ডলার ঋণ করার পরিকল্পনা করেছে পাক সরকার। অর্থ সাহায্যের জন্য দোরে দোরে হাত পেতেছে শরিফের দেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার থেকেও সাহায্য মেলেনি। সব মিলিয়ে বেসামাল দশা পাক অর্থনীতির।

    অশান্তির আগুন মায়ানমারেও

    অশান্তির আগুনে পুড়েছে ছবির মতো সাজানো দেশ মায়ানমারও। সে দেশের জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন মায়ানমারবাসী। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের এই লড়াইয়ে কখনও পিছু হটেছে সেনা, কখনও আবার পিছু হটেছেন আন্দোলনকারীরা। ২৫ জুলাই মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (সামরিক শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট) ঘোষণা করে, জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে (Bangladesh Violence) জয় পেয়েছে তারা। টানা ২৩ দিনের লড়াই শেষে লাসিওর দখল নিয়েছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। পুরোপুরি স্বাধীন হয়েছে লাসিও।

    আরও পড়ুন: অর্থ সংগ্রহ করতে আরএসএসের ভরসা গুরুদক্ষিণা!

    মাইলফলক জয়

    যদি প্রতিবাদীদের দাবি সত্য হয়, তাহলে তা হবে টানা তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটা মাইলফলক জয়। জুন্টা সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছিল, তার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মায়ানমারবাসী। সেখানেই ঘোষিত হয়েছে জনতা জনার্দনের জয়। তবে সেজন্য কম খেসারত দিতে হয়নি মায়ানমারবাসীকে। প্রচুর প্রাণের বিনিময়ের পাশাপাশি ভিটে ছাড়া হয়েছেন ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাসিও জয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। তাতে দেখা যাচ্ছে, সর্বত্রই অ্যালায়েন্স আর্মির ভিড়। রেলস্টেশন, কারাগার, ব্রডকাস্ট স্টেশন কোথায় নেই তারা! মায়ানমারের সামরিক সরকার সোমবার স্বীকার করেছে যে তারা উত্তর-পূর্বে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেনা দফতরের কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে (Bangladesh Violence) পারছেন না।

    জনগণ খেপে গেলে কীই (Protests) না হয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mangala Gauri Vrat: শ্রাবণী মঙ্গলবারে পালন করুন মঙ্গলা গৌরী ব্রত, জানেন এর মাহাত্ম্য?

    Mangala Gauri Vrat: শ্রাবণী মঙ্গলবারে পালন করুন মঙ্গলা গৌরী ব্রত, জানেন এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট, তৃতীয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত (Mangala Gauri Vrat)। শ্রাবণ মাসে এই ব্রত পালন করলে তবেই সোমবারের পুণ্য লাভ হয়। এই ব্রত এবং উপবাস পালনের কিছু নিয়ম রয়েছে। বিবাহিত মহিলারা সাধারণত এই ব্রত পালন করে থাকেন। সংসারের উন্নতি, স্বামীর আয়ুতে মঙ্গল কামনা এবং দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য এই ব্রত পালন করা হয়। আসুন জেনে নিই এই ব্রতর নিয়ম।

    কোন কোন দিন পালিত হবে মঙ্গলা গৌরী ব্রত (Mangala Gauri Vrat)

    হিন্দু পঞ্জিকা মতে, এই বছর ৪টি মঙ্গলা গৌরী (Mangala Gauri Vrat) উপবাস পালিত হবে। প্রত্যেক শ্রাবণী সোমবারের পরের মঙ্গলবারে পালিত হয় ব্রত। ২৩ জুলাই, ৩০ জুলাই, ৬ অগাস্ট, ১৩ অগাস্ট — হল এই ব্রতের নির্ধারিত দিন। আজ, ৬ অগাস্ট, তৃতীয় ব্রতপালনের দিন। এই ব্রত মূলত শিবপত্নী পার্বতীর পুজো। শিব তো পার্বতী ছাড়া অসম্পূর্ণ, তাই সোমের পর মঙ্গলে শক্তির পুজো করতে হয়। তবে গৌরী ব্রত শুধু যে বিবাহিত মহিলারা করেন তাই নয়, একই ভাবে অবিবাহিত মহিলারাও পালন করে থাকেন। শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেব এবং দেবী পার্বতীকে একসঙ্গে পুজো করার নিয়ম থাকে। মঙ্গলবার মঙ্গলা গৌরী ব্রত পুজোর অভিজিৎ মুহূর্ত হল দুপুর ১২টা থেকে ১২.৫৫ মিনিট পর্যন্ত। বিজয় মুহূর্ত দুপুর ২টা ৪৪ মিনিট থেকে ৩.৩৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। দ্বিপুষ্কর যোগও এদিন গঠিত হয়েছে। ফলে আজকের এই বিশেষ দিন থাকবে সকাল ৫টা ৩৮ মিনিট থেকে, যা চলবে ১০টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত।

    আরও পড়ুনঃ RSS: অর্থ সংগ্রহ করতে আরএসএসের ভরসা গুরুদক্ষিণা!

    শ্রাবণ মাসে পাঁচ সোমবার

    এই বছর শ্রাবণ মাসে মোট সোমবার পড়েছে ৫টি। বাংলায় শ্রাবণ মাস (Mangala Gauri Vrat) শুরু হয়েছে গত ২২ জুলাই থেকে এবং চলবে ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত। এই এক মাসে সোমবার পড়ছে ২২ জুলাই, ২৯ জুলাই, ৫ অগাস্ট, ১২ অগাস্ট এবং ১৯ অগাস্ট। ভোলা মহেশ্বরের মাথায় জল ঢেলে মনস্কামনা করে থাকেন শৈব ভক্তরা। এই মাসে আবার নক্ষত্র পূর্ণিমাও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি, গণভবনে লুটপাট!

    Bangladesh Protest: ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি, গণভবনে লুটপাট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটিকে বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) সকলেই চেনেন। কারণ, বহু ইতিহাসের সাক্ষী দেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) এই বাসভবন। আন্দোলনকারীদের লাগাতার আন্দোলনে পিছু হঠলেন হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। বোনকে নিয়ে দেশত্যাগ করলেন। আর তারপরই তাঁদর পৈত্রিক বাসভবনে চলল তান্ডব।

    ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ভবন! (Bangladesh Protest)

    ধানমন্ডির (Bangladesh Protest) বাড়ির সিঁড়ির মাঝ বরাবর রাখা ছিল বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সময় ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিব-কন্যা হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সেই বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। সোমবার তাঁর সরকারের পতনের পরেই উন্মত্ত জনতা ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত সেই ভবনটি।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    গণভবন থেকে আসবাবপত্র নিয়ে চলে যান উন্মত্ত জনতা!

    সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঢাকার বাসভবন, গণভবন (Bangladesh Protest) ছেড়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ের’ উদ্দেশ্যে রওনা হন হাসিনা এবং তাঁর বোন। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গণভবনে চড়াও হন কয়েক হাজার মানুষ। চলতে থাকে যথেচ্ছ লুটপাট। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ লিখেছে বহু সাধারণ মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়েন। তাঁদের হাতে গণভবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্রও দেখা যায়। গণভবনের ভিতর থেকে ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে নানা আসবাব সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে আসার ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই রকমই একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন বাংলাদেশের এক ছাত্র আন্দোলনকারী। ভিডিও বিবরণে লেখা ‘হাসিনার রুমে’। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাথায় বাংলাদেশের পতাকার ফেট্টি বাঁধা এক তরুণ জুতো পায়ে উঠে পড়েছেন একটি পরিপাটি নীল চাদরে মোড়া বিছানায়। পায়ের ওপর পা তুলে বিছানায় শুয়ে তিনি চিৎকার করে জানাচ্ছেন, তাঁরা গণভবনের দখল নিয়েছেন।

    মাংসের হাড় চিবোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা!

    একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গণভবনের (Bangladesh Protest) পাকশালে রান্না করা খাবারে দেদার ভোজ সারছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ (সেই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তবে সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশের অনেকেই ওই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, আন্দোলনকারীরা গণভবনের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছেন। সোমবার হাসিনার পদত্যাগের খবর আসে অকস্মাৎই। তাঁকে যে বাড়ি ছাড়তে হতে পারে, সে খবর সম্ভবত জানা ছিল না গণভবনের রান্নাঘরের দায়িত্বে যিনি বা যাঁরা থাকেন তাঁদেরও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে থরে থরে সাজানো রয়েছে ভাত, ডাল, মাংসের পাশাপাশি নানা পদ। ভিডিওতে দেখা যায়, সেই খাবারে হামলে পড়েছেন কিছু তরুণ। তারিয়ে তারিয়ে মাংসের হাড় চিবোচ্ছেন তাঁরা।

    <

    p> 

    ধানমন্ডির বাড়িতে দুই মেয়ে বাদে সপরিবারে খুন হন বঙ্গবন্ধু

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সরকার এবং সেনা নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে আমি প্রস্তুত।” তাঁর সেই বক্তৃতা সূচনা করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের। যার পরিণামে সে বছরের ডিসেম্বরেই বদলে গিয়েছিল এশিয়ার মানচিত্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরে মুজিবের শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ভোরে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সরকারি বাসভবনে অভ্যুত্থানকারী সেনাদের গুলিতে নৃংশস ভাবে খুন হয়েছিলেন তিনি। শুধু মুজিব নন, ঢাকা শহরের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফজিলা তুন্নেসা, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালও নিহত হয়েছিলেন ঘাতকের বুলেটে। বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন মুজিবের দুই কন্যা, হাসিনা এবং রেহানা। ঘটনাচক্রে, সোমবার তাঁরা দু’জন সেনার কপ্টারে ঢাকা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন ছাই হয়ে গেল মুজিবের স্মৃতি বিড়জিত ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডের সেই সংগ্রহশালা।

    ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বদলে হয়েছিল- ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’!

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেনার সমর্থনে প্রেসিডেন্ট হওয়া খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সরকার বাংলাদেশ বেতারের নাম পাল্টে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল। ৭১’-এর মুক্তিযুদ্ধে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বদলে গিয়ে চালু হয়েছিল – ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী জেল থেকে বেরিয়ে আসে তার পরবর্তী এক বছরের মধ্যেই। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের সমর্থকদের কোণঠাসা করা শুরু হতে থাকে বলে অভিযোগ। সেনাপ্রধানের কুর্সিতে বসে ক্ষমতা দখল করা জিয়াউর রহমান, হুসেন মহম্মদ এরশাদ এমনকী, অবাধ ভোটে ক্ষমতা দখলকারী খালেদা জিয়ার আমলেও সেই সেই ধারা বজায় থাকার অভিযোগ উঠেছে বারে বারে। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের ভোটে জিতে হাসিনা (Sheikh Hasina) দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সেই ধারা কিছুটা বদলেছিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন। এবার হাসিনা বিরোধী আন্দোলেন ‘নিষিদ্ধ’ জামাতে ইসলামির সক্রিয় অংশগ্রহণ কি আবার ফিরিয়ে আনবে সেই পুরনো স্মৃতি। মুজিবের মূর্তি ভাঙা এবং ধানমন্ডির সংগ্রহশালায় অগ্নিসংযোগ ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! ফিরছে প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! ফিরছে প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১৮ বছর পর ফের বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী। সেবারও উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। পরে, দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনাবাহিনী। এবারও জনরোষের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর দেশত্যাগের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার তিনি বার্তা দেন।

     ঠিক কী বললেন সেনাপ্রধান? (Bangladesh Protest)

    জেনারেল জামান সোমবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে, তিনি বলেন, “সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের (Bangladesh Protest) আন্দোলনকারী পড়ুয়া এবং রাজনৈতিক কর্মীদের শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি। আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।” এরপর তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করব।” প্রসঙ্গত, হাসিনার ইস্তফার দাবিতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ এবং হিংসার মধ্যেই রবিবার গভীর রাতে জেনারেল জামান জানান, তিনি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়, এবার সরাসরি পরিস্থিতির ওপর হস্তক্ষেপ করতে চলেছে সেনা। সূত্রের খবর, হাসিনা ইস্তফা দিয়ে তদারকি সরকারের ভার দিয়েছেন জাতীয় সংসদের (পার্লামেন্ট) স্পিকার শিরিন সারমিন চৌধুরির হাতে। কিন্তু আওয়ামি লিগের নেত্রী শিরিনকে সেনা মানবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনও আওয়ামি লিগের প্রাক্তন নেতা এবং ‘হাসিনা ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত। আর এদিন হাসিনা দেশত্যাগ করার পর সোমবার সেনাপ্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় আওয়ামি লিগের কোনও নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১৭ বছর আগে ঠিক কী হয়েছিল?

    ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অশান্ত পরিস্থিতিতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের প্রত্যক্ষ তৎপরতার গঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নেতৃত্বে ছিলেন, অর্থনীতিবিদ তথা বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ। মূলত, সে সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রধামন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু, আওয়ামি লিগসহ বিরোধীরা সেই সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে আন্দোলনে নামায় সক্রিয় হয় সেনা। প্রাথমিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। এরপর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সক্রিয়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফখরুদ্দিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি বড় মাপের সেনা অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে দেশটি (Bangladesh Protest)। সেনার হাতে নিহত হতে হয়েছে দুই প্রেসিডেন্ট – শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে। এছাড়া, গত সাড়ে পাঁচ দশকে একাধিক ছোট-বড় ব্যর্থ অভ্যুত্থানও হয়েছে সে দেশে। এবারও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশকে শান্ত করতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share