Tag: bangla news

bangla news

  • Bangladesh News: নেতার পর এবার সাংবাদিক! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে হিন্দু নিধন হয়েই চলছে

    Bangladesh News: নেতার পর এবার সাংবাদিক! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে হিন্দু নিধন হয়েই চলছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh News) হিন্দু নিধন চলছেই! অস্থির পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনী ঘোষণা করে জানিয়েছে যে সেখানে খুব তাড়াতাড়ি গঠন করা হবে তদারকি সরকার। এই আবহে হিন্দুদের নিরাপত্তা ক্রমশই প্রশ্নের মুখে উঠছে। একের পর এক হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। রবিবারই কাজল রায় নামে এক হিন্দু নেতাকে হত্যা করা করে বিক্ষোভকারীরা। এর পাশাপাশি, হত্যা করা হয় প্রদীপ কুমার ভৌমিক নামের এক সাংবাদিককেও। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh News) রায়গঞ্জের স্থানীয় ডেইলি খবরপত্র নামের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিকতা করতেন নিহত প্রদীপবাবু। সেদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত ২৩ সাংবাদিক আহত হয়েছেন হামলায়।

    কীভাবে হামলা (Bangladesh News)

    জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রবিবার দুপুরের পরই সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লিগের কার্যালয়ে প্রথমে হামলা চালান। এর ঠিক পাশেই অবস্থিত ছিল রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব (Bangladesh News)। সেখানেই ছিলেন সাংবাদিক প্রদীপ কুমার। বিক্ষোভকারীরা পিটিয়ে আহত করেন প্রদীপবাবুকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা ওই সাংবাদিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    হিংসাত্মক আন্দোলন সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে

    সে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান বলছেন, ‘‘ক্রমশই আন্দোলন হিংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক (Hindus Under Attack) রূপ নিয়েছে এবং এগুলি বেশিরভাগই ছড়ানো হচ্ছে সমাজ মাধ্যমের পাতা থেকে।’’ বাংলাদেশের এই হিংসায় দেশভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছায়া ফুটে উঠেছে। ফের যেন বাংলাদেশে ফিরে এসেছে রাজাকাররা। আন্দোলনের নামে আক্রমণ চালানো হয়েছে ইস্কনের মন্দির, কালী মন্দির সমেত হিন্দুদের একাধিক ধর্মস্থানে। বাদ যাচ্ছে না হিন্দুদের ঘরবাড়িও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি (OBC) সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) হাইকোর্টের রায়ে তো কোনও স্থগিতাদেশ দেয়ইনি, উল্টে রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দিয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা চাওয়া হয়েছে।

    কী নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত? (Supreme Court)

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে সোমবার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরই এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল, তা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, সে কথাও জানাতে হবে হলফনামায়। রাজ্যের বক্তব্য জানার পর আগামী সপ্তাহের শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল!

    ২০১০ সালের পর যে ওবিসি (OBC) শংসাপত্রগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলি আইন না মেনেই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ২২ মে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের জন্য। ওই নির্দেশের ফলে রাজ্যে ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও চাকরির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকারের আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে গেলে স্থগিতাদেশ  মিলবে। সেখানেও ধাক্কা খেল মমতার সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এরই মধ্যে খবর,  বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। সোমবার সকালে হাসিনা ও রেহানা তাঁদের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে চলে যান। সেখান থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে উড়ে যান দুই বোন। 

    গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। আর এরই মধ্যে সোমবার বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন হাসিনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছেড়েছেন তিনি।  পরে, সেনাপ্রধান সেই খবরে সিলমোহর দেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আপনারা শান্তি-শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসুন।’’ 

    গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙছেন তাঁরা। ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গণভবনে লুট চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। কারও হাতে দামি জিনিসপত্র, কারও হাতে মুরগি। কেউ বা ছুটছেন চেয়ার হাতে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতায় যাচাই করেনি মাধ্যম। সব মিলিয়ে তুমুল অশান্ত গোটা বাংলাদেশ। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল পরিষেবা। পুলিশের পরিবর্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাস্তায় নেমে পড়েছে সাঁজোয়া গাড়ি। 

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ সেনাপ্রধানের

    হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের বিশিষ্টজন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়াকার উজ জামান। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনতাকে বলেছেন, হিংসা পরিহার করে সংযত হওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার।  

    আরও পড়ুন: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    সেনার অধীনে তদারকি সরকার গঠিত হতে পারে (Bangladesh) 

    এদিন ভাষণে বাংলাদেশের জনতার উদ্দেশে সেনাপ্রধানের আর্জি, ”আপনারা শান্তি বজায় রাখুন। ভাঙচুর করবেন না। আমি নির্দেশ দিয়েছি পুলিশ বা সেনাবাহিনী গুলি চালাবে না। আমরা এর আগে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব। আপনারা সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রাখুন। সশস্ত্র বাহিনীর উপর আস্থা রাখুন, আমরা সমস্ত দায় দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। আপনারা এখনই আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, তা আমরা পূরণ করব এবং দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 95: “তিনি আসিয়াছেন, চারিদিকের লোক তাঁহাকে মণ্ডলাকারে ঘেরিতেছে”

    Ramakrishna 95: “তিনি আসিয়াছেন, চারিদিকের লোক তাঁহাকে মণ্ডলাকারে ঘেরিতেছে”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    উৎসবমন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ

    অপরাহ্ণে বাগানটি বহুলোক সমাকীর্ণ হইয়াছে। কেহ লতামণ্ডপচ্ছায়ায় কাষ্ঠাসনে উপবিষ্ট। কেহ বা সুন্দর বাপীতটে বন্ধু সমভিব্যবহারে বিচরণ করিতেছেন। অনেকেই সমাজগৃহে শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) আগমন প্রতীক্ষায় পূর্ব হইতেই উত্তম আসন অধিকার করিয়া বসিয়া আছেন। উদ্যানের প্রবেশদ্বারে পানের দোকান। প্রবেশ করিয়া বোধ হয় পূজাবাড়ি—রাত্রিকালে যাত্রা হইবে। চতুর্দিক আনন্দে পরিপূর্ণ। শরতের নীল আকাশে আনন্দ প্রতিভাসিত হইতেছে। উদ্যানের বৃক্ষলতাগুল্মমধ্যে প্রভাত হইতে আনন্দের সমীকরণ বহিতেছে। আকাশ, জীবজন্তু, বৃক্ষলতা, যেন একতানে গান (Kathamrita) করিতেছেঃ

    আজি কি হরষ সমীর বহে প্রাণে—ভগবৎ মঙ্গল কিরণে!

    সকলেই যেন ভগবদ্দর্শন-পিপাসু। এমন সময়ে শ্রীশ্রীপরমহংসদেবের (Ramakrishna) গাড়ি আসিয়া সমাজগৃহের সম্মুখে উপস্থিত হইল।

    সকললেই গাত্রোত্থান করিয়া মহাপুরুষের অভ্যর্থনা করিতেছেন। তিনি আসিয়াছেন। চারিদিকের লোক তাঁহাকে মণ্ডলাকারে ঘেরিতেছে।

    সমাজগৃহের প্রধান প্রকোষ্ঠমধ্যে বেদী রচনা হইয়াছে। সে-স্থান লোকে পরিপূর্ণ। সম্মুখে দালান, সেখানে পরমহংসদেব (Ramakrishna) সমাসীন, সেখানেও লোক। আর দালানের দুই পার্শ্বস্থিত দুই ঘর—সে ঘরেও লোক—ঘরের দ্বারদেশে উদগ্রীব হইয়া লোকে দণ্ডায়মান। দালানে উঠিবার সোপানপরম্পরা একপ্রান্ত হইতে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই সোপানও লোকে লোককীর্ণ; সোপানের অনতিদূরে ২/৩ টি বৃক্ষ পার্শ্বে লতামণ্ডপ—সেখানে কয়েকখানি কাষ্ঠাসন। তথা হইতেও উদগ্রীব ও উৎকীর্ণ হইয়া মহাপুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছে। সারিসারি ফুল ও পুস্পের বৃক্ষ, মধ্যে পথ। বৃক্ষ সকল সমীকরণে ঈষৎ হেলিতেছে দুলিতেছে, যেন আনন্দভরে মস্তক অবনত করিয়া তাঁহাকে অভ্যর্থনা করিতেছে।  

    ঠাকুর পরমহংসদেবের হাসিতে হাসিতে (Kathamrita) আসন গ্রহণ করিলেন। এখন সব চক্ষু এককালে তাঁহার আনন্দমূর্তির উপর পতিত হইল। যেমন, যতক্ষণ নাট্যশালার অভিনয় আরাম্ভ না হয়, ততক্ষণ দর্শকবৃন্দের মধ্যে কেহ হাসিতেছে, কেহ বিষয়কর্মের কথা কহিতেছে, কেহ একাকী অথবা বন্ধুসঙ্গে পাদচারণ করিতেছে, কেহ পান খাইতেছে, কেহ বা তামাক খাইতেছে, কিন্তু যাই ড্রপসিন উঠিয়া গেল, অমনি সকলে সব কথাবার্তা বন্ধ করিয়া অনন্যমন হইয়া একদৃষ্টে নাট্যরঙ্গ দেখিতে থাকে! অথবা যেমন, নানা পুষ্প-পরিভ্রমণকারী ষট্‌পদবৃন্দ পদ্মের সন্ধান পাইলে অন্য কুসুম ত্যাগ করিয়া পদ্মমধু পান করিতে ছুটিয়া আসে!

    আরও পড়ুনঃ “সেই মধুর সংকীর্তন শুনিতে ও দেবদুর্লভ হরিপ্রেমময় নৃত্য দেখিতে পাইবেন”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Assembly: ‘রাজনৈতিক লিফলেট’! বিধানসভায় বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাবকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    West Bengal Assembly: ‘রাজনৈতিক লিফলেট’! বিধানসভায় বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাবকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাব তোলে শাসক দল। এ দিন প্রস্তাবটি পেশ করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, কেউ এই বাংলা ভাগ চায়নি। শাসক দলের আনা প্রস্তাব আসলে রাজনৈতিক লিফলেট। প্রস্তাবের বিপক্ষে বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু বলেন, “যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা মনে হচ্ছে রাজনৈতিক দলের লিফলেট।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ, মন্ত্রী কখনও কেউ রাজ্য বিভাজনের কথা বলেননি।” ‘অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের প্রস্তাব’ আনার জন্য মন্ত্রী শোভনদেবকে অনুরোধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    কী বলছেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা?

    অন্যদিকে, দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা ‘মাধ্যম’-কে ফোনে বলেন, ‘‘বিজেপি উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক উন্নয়ন চেয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন চাই। রাজ্য সরকার দীর্ঘ ১২-১৩ বছর ধরে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করেছে। উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তরপূর্ব উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত করার, যাতে বিশেষ প্যাকেজ পায় এই অঞ্চল। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল এটার অপব্যাখা করছে। সুকান্তবাবুর এমন উদ্যোগকে অপব্যাখা করে, পশ্চিমবঙ্গকে বিজেপি ভাগ করতে চায়, এধরনের একটা বিভ্রান্তকর বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি বিধানসভায়।’’

    সারবত্তাহীন বিবৃতি রাজ্যের মন্ত্রীর (West Bengal Assembly)

    সোমবার সকালে বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই বিজেপি তরফে প্রথম বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের বিধায়ক বুধিরাই টুডু। তিনি এদিন বিধানসভায় জানান যে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যকে অপব্যাখা করা হচ্ছে। প্রস্তাবের পক্ষে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধী দল জানে না কী চায়। কেউ বলছেন রাজ্য চাই। কেউ বলছেন ভাগ চাই।” তবে রাজ্যের মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের যে সারবত্তা একেবারেই নেই তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ‘‘বিজেপি বারবার উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার কথা তুলে ধরছে। উন্নয়ন চাওয়া মানেই তো রাজ্যভাগ নয়। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করে আসছে বর্তমান রাজ্য সরকার।’’

    রাজ্য সরকার সত্যিই কি উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন চায় না?

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য জিতে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি, সুকান্তবাবু প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতেই রে রে করে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক দল। বিজেপি বাংলা ভাগ করতে চাইছে বলে মিথ্যাচারও শুরু করে ঘাসফুল শিবির। এতেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকার সত্যিই কি উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন চায় না?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশ। সব কিছু জেনে বুঝেও চোখের সামনে নিজের কন্যা সন্তানকে হারালেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ময়নপুরিতে কুরাভালি থানা এলাকার একটি হিন্দু পরিবার। মুসলিম যুবকের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার জন্য মুসলিম যুবকের ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে ওই হিন্দু যুবতী আত্মহত্যা করেছেন। ওই যুবতী বিএসসি পড়ছিলেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক মহম্মদ ওয়াসিফ আনসারির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বাড়ি ঘরনাজপুর এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ! (Love Jihad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে মা, ছোট ভাই থাকে। আর বাবা দিল্লিতে পুলকার চালান। ওই ছাত্রীর বাড়িতে ওই মুসলিম যুবক প্রায়ই আসত। কোনও এক সময় তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে আনসারি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। এরপর তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে মুলসিম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর সেটা না করলে অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে। এমনকী আর তার কথা মতো মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করলে তাঁকে অ্যাসিড মারার হুমকি দেয় আনসারি। নিহত ছাত্রীর মা বলেন, মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা কিছু করেননি। উল্টে আমাকে গালিগালাজ করেছিল। আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানিয়েছিলাম। এরমধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে আমার মেয়ে (Love Jihad) চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    নিহত ছাত্রীর বাবা কী বললেন?

    নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মেয়ের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ওই মুসলিম যুবক ব্ল্যাকমেল করত। বিয়ে করতে রাজি না হলে সে আমার ছোট ছেলেকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। আর বার বার মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দিচ্ছিল। ২৯ জুলাই ওই যুবক বিয়ের করার দিন ঠিক করেছিল, না হলে মেয়ের মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়েছিল। সেটা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আর কোনও হিন্দু মেয়ের (Love Jihad) সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য প্রশাসনকে বলব। আর অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ময়নপুরির (Uttar Pradesh) পুলিশ সুপার বিনোদ কুমার বলেন, “কুরভালি এলাকায় একটি মেয়ে তাঁর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ওয়াসিফ নামে এক যুবক উত্ত্যক্ত করে তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছি। মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বিচার ব্যবস্থা হবে আরও শক্তিশালী, ৩টি নতুন অ্যাপ চালু অমিত শাহের

    Amit Shah: বিচার ব্যবস্থা হবে আরও শক্তিশালী, ৩টি নতুন অ্যাপ চালু অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি নির্ভর বিচারব্যবস্থা। ফৌজাদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন অ্যাপ (New Apps) উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ই-সাক্ষ্য (e-Sakshya), ন্যায় সেতু (Nyaya Setu), ন্যায় শ্রুতি (Nyaya Shruti) ও ই-সমন (e-Summon) ব্যবস্থার উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। চণ্ডীগড়ে নয়া অ্যাপের উদ্বোধন করে তিনি জানান, নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন, ভারতে ব্রিটিশ আমলের আইন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়েছে। জনসাধারণকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে সাহায্য করবে এই আইনগুলি। এতে দণ্ডের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ন্যায়ের ওপর। অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল এবং চণ্ডীগড়ের প্রশাসক শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও উপস্থিত ছিলেন।

    ২১ শতকের সবচেয়ে বড় সংস্কার

    নতুন অ্যাপগুলি বিচারব্যবস্থাকে প্রযুক্তিবান্ধব করে তুলবে। ন্যায় পাবেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তাঁর ভাষণে বলেন, “আজ আমরা ২১ শতকের সবচেয়ে বড় সংস্কারের সাক্ষী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির দ্বারা আনা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা (BNSS), এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA) আমাদের ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ ও ভারতীয়ত্বের সুগন্ধ বহন করে।” তাঁর কথায়, “১৫০ বছর আগে তৈরি করা আইন আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে না। বছরের পর বছর মানুষ ন্যায়বিচার পায়নি, বরং বিচার ব্যবস্থায় শুধুমাত্র শুনানির নতুন তারিখ প্রদান করে দোষারোপ করা হয়েছে। মোদি সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে নতুন আইন বাস্তবায়ন করেছে।”

    প্রযুক্তি-সক্ষম বিচার ব্যবস্থা

    নতুন আইনগুলি পূর্ণ বাস্তবায়নের পরে, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং প্রযুক্তি-সক্ষম ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা পাবে, বলে আশা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তিনি জানান, এই আইনগুলির সঠিক প্রয়োগের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে এবং আটটি রাজ্যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা কাজ করেছেন। আরও আটটি রাজ্যে ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।

    নতুন অ্যাপগুলির সুবিধা

    ই-সাক্ষ্য (e-Sakshya) অ্যাপের (New Apps) মাধ্যমে সমস্ত ভিডিওগ্রাফি, ফটোগ্রাফি এবং সাক্ষ্যগুলি ই-এভিডেন্স সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। ই-সমন (e-Summon) অ্যাপের মাধ্যমে সমন ইলেকট্রনিকভাবে পাঠানো হবে। ন্যায় সেতু (Nyaya Setu) ড্যাশবোর্ডে পুলিশ, মেডিক্যাল, ফরেন্সিক, প্রসিকিউশন এবং প্রিজন পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ন্যায় শ্রুতি (Nyaya Shruti) অ্যাপের মাধ্যমে আদালত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাক্ষীদের শুনতে পারবে।

    চণ্ডীগড়ে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন

    এই অ্যাপগুলির (New Apps) সঠিক প্রয়োগের জন্য চণ্ডীগড়ে ২২ জন আইটি বিশেষজ্ঞ এবং ১২৫ জন তথ্য বিশ্লেষক নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত পুলিশ স্টেশনে ১০৭টি নতুন কম্পিউটার, স্পিকার এবং দুটি ওয়েব ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়েছে। ১৭০টি ট্যাবলেট, ২৫টি মোবাইল ফোন এবং ১৪৪টি নতুন আইটি কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। চণ্ডীগড় নতুন ফৌজদারি আইনগুলির ১০০ শতাংশ বাস্তবায়নের পথে প্রথম প্রশাসনিক ইউনিট হতে পারে।

    নাগরিক-কেন্দ্রিক আইন

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার একটি সরকারি প্রচার নয়, বরং এটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে মাদকাসক্তির বাইরে নিয়ে আসার প্রচার। নতুন আইনগুলির মাধ্যমে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা একুশ শতকের সবচেয়ে বড় সংস্কারের সাক্ষী হচ্ছে। এই আইনগুলিতে প্রযুক্তি (New Apps) এমনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে এটি আগামী ৫০ বছরের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। তিন বছরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত রায় পাওয়া সম্ভব হবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণকে আইনগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কথা বলেন এবং গুজব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। তিনি নয়া আইন প্রয়োগে নাগরিকদের সক্রিয় এবং গঠনমূলক অবদান রাখার অনুরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: “আমার কিছুই আর নেই!” ভূমিধসে পরিবারে ১৬ জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ মনসুর

    Wayanad Landslide: “আমার কিছুই আর নেই!” ভূমিধসে পরিবারে ১৬ জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ মনসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে বিপর্যয়ের শিকার হয়ে এক পরিবারের ১৬ জনকে হারিয়ে মর্মান্তিক দুঃখের কথা প্রকাশ করলেন ৪২ বছরের মনসুর। তিনি বলেছেন, “আমার কিছুই নেই, সব হারিয়ে ফেলেছি, নিঃস্ব করেছে আমাকে।” এরপর রীতিমতো কান্নায় তিনি ভেঙে পড়েছেন তিনি। গত ৩০ জুলাই বর্ষার অতিভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধস অকল্পনীয় ক্ষতি সাধন করেছে। শতশত মানুষের ধসের নিচে চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর, গাছপালা, ফসল এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি (Landslide) হয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। উদ্ধারের কাজে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা জওয়ান সহ একাধিক সংস্থা জোর কদমে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

    চোখের জলই এখন সম্বল (Wayanad Landslide)

    শোকস্তব্ধ মনসুর বলেছেন, “এই প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞের কবলে মা, স্ত্রী, দুই সন্তান, বোন এবং এক পিসির পরিবারের ১১ জন সদস্য সহ মোট পরিবারের ১৬ জনকে কেড়ে নিয়েছে। এই ধস এবং বন্যা পরিবারের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমার তো বেঁচে থাকার কোনও রসদ রইল না। আমার ঘুম আসছে না, শুধু এই চোখের জলই এখন সম্বল। তবে দুর্ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাড়ির বাইরে ছিলাম। আমার মেয়ের মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত পাইনি। চারটি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে আমার স্ত্রী, ছেলে, বোন এবং মায়ের দেহ। আমি এখনও আমার মেয়েকে খুঁজে পাইনি। আপাতত আমি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছি।”

    মায়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করলাম

    অপর দিকে মনসুরের ভাই নাসির তাঁদের পরিবারের ওপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Wayanad Landslide) প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, “আজ সকালেই আমাদের মায়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করলাম। মোট চারজনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের এখনও ১২জন সদস্যের কোনও খোঁজ নেই। ঘটনার দিন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, মা, বোনেরা বাড়িতেই ছিলেন। তবে এমন বিপর্যয় হবে, প্রশাসনের তরফ থেকে আগে কোনও সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি। আচমকা জলের স্তর বাড়তে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্মান্তিকভাবে বিপর্যয় ঘটে যায়। তাঁদেরকে আমার বাড়িতে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে পুরো এলাকা। আমার ভাই ওঁর পরিবারের সবাইকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    চলছে উদ্ধার কাজ

    ইতিমধ্যে কেরলের টাস্ক ফোর্স ক্ষতিগ্রস্থ (Wayanad Landslide) এলাকা পরিদর্শন করে এখন মোট সাতটি এলাকাকে চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মুন্ডক্কাই, পুঞ্চিরিমাত্তম এবং চুরামালায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি (Landslide) হয়েছে। এদিকে, মাটির নিচে ধসে আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে কাজ করে চলেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: অর্থ সংগ্রহ করতে আরএসএসের ভরসা গুরুদক্ষিণা!

    RSS: অর্থ সংগ্রহ করতে আরএসএসের ভরসা গুরুদক্ষিণা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও সংগঠন চালাতে গেলে খরচ বিস্তর। অন্যান্য সংগঠন চাঁদা তুলে সংগঠন চালায়। এ পথে হাঁটে না রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ, সংক্ষেপে আরএসএস (RSS)। ১৯২৫ সালে জন্ম ইস্তক আর পাঁচটা সংগঠনের পথে না হেঁটে সম্পূণ ভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে আসছে আরএসএস। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য করতে গুরুদক্ষিণার (Guru Dakshina) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে আরএসএস।

    আরএসএসে গুরুর স্থান

    সনাতন শাস্ত্রে গুরুর স্থান সবার ওপরে। আরএসএসও গুরুকে ভীষণ গুরুত্ব দেয়। তাই সংগঠনের প্রতিটি শাখা আয়োজন করে ‘গুরুদক্ষিণা’ অনুষ্ঠানের। বছরের একটি বিশেষ দিনে স্বয়ং সেবকদের জন্য আয়োজন করা হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠানের। হিন্দুদের গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে শুরু করে তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই বিভিন্ন শাখায় আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। চলতি বছর গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ২১ জুন। এদিনই ছিল গুরুপূর্ণিমা। এই দিনেই গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান আয়োজন করার কারণ মূলত দুটি। একটি, সুপ্রাচীন কাল থেকে গুরু-শিষ্যের যে পরম্পরা সনাতন ভারতে চলে আসছে, তা বজায় রাখা। সেই সময় শিষ্যরা থাকতেন গুরুর আশ্রমে। ব্রহ্মচর্য-পর্ব শেষে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা দিতেন গুরুদক্ষিণা। হিন্দু পরম্পরায় শিষ্য গুরুকে কী দিলেন, সেটা বিষয় নয়, যেটা বিষয়, সেটা হল শিষ্য গুরুর কৃপায় যে জ্ঞান অর্জন করেছেন, সেজন্য গুরুর কাছে তিনি কতটা কৃতজ্ঞ, তা যাচাই করা। গুরুদক্ষিণা হিসেবে শিষ্য যা-ই দিতেন, তা-ই সাদরে গ্রহণ করতেন গুরু।

    গুরু পরম্পরা

    সনাতনী এই পরম্পরাই বিভিন্ন শাখায় বাঁচিয়ে রেখেছে আরএসএস (RSS)। আজ্ঞে হ্যাঁ, জন্ম ইস্তক এই পরম্পরাই ধরে রেখেছে আরএসএস। আরএসএসে গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠানটি পালিত হয় নিতান্তই সাদামাটাভাবে। সচরাচর অনুষ্ঠানটি হয় একটি হল ঘরে, যেখানে ৫০-১০০ জনের ব্যবস্থা হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকালে। এদিন প্রত্যেকেই ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে সাদা পোশাক পরে আসেন। গুরুদক্ষিণার দিন স্বয়ংসেবকরা পাজামা-পাঞ্জাবি কিংবা ধুতি-পাঞ্জাবি পরেন। যে হলঘরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানে প্রথমে উত্তোলন করা হয় সংগঠনের গৈরিক পতাকা। জ্বালানো হয় মাটির প্রদীপ। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রথম সরসঙ্ঘচালক কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এবং দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক যিনি আরএসএসে গুরুজি নামে খ্যাত তাঁদের বাঁধানো ছবি রাখা হয় অডিটোরিয়ামে।

    গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান

    শারীরিকভাবে সক্ষম স্বয়ংসেবকরা মেঝেয় বসেন। মেঝেয় পাতা থাকে পাতলা কাপড় দিয়ে তৈরি ‘দড়িস’(আসন)এবং কাপড়ের পাতলা চাদর। তার আগে অবশ্য ঘর পরিষ্কার করা হয়। স্বয়ংসেবকরা খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ। তাই এদিন তাঁরা চলে আসেন অনুষ্ঠান (Guru Dakshina) শুরুর ঢের আগে, নির্দিষ্ট সময়ে। তার পরেই হল ঘরে আগে থেকে বিছানো দরিস (পাটি বিশেষ) পেতে বসেন তাঁরা, সারিবদ্ধভাবে। এই সময় অনুষ্ঠান স্থলে শোনা যায় পিন-পতনের শব্দও। অনুষ্ঠান শুরুর আগে তাদের নাম লেখা একটি করে সাদা খাম দেওয়া হয়। এই কাজটি করেন শাখা প্রধান, সঙ্ঘের(RSS) ভাষায় যিনি মুখ্য শিক্ষক বা শাখাকার্যবাহ নামে পরিচিত। প্রায়ই এই খামগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের বাড়িতে। সেই খাম যে গুরুদক্ষিণা দানের জন্য পাঠানো হয়েছে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। যেসব স্বয়ংসেবক একবার শাখার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরও এ ব্যাপারে জানানো হয়। কর্মক্ষেত্রের দায়বদ্ধতার কারণে যাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না কিংবা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন না, তাঁদেরও গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

    কেন নিশানই গুরু

    আরএসএসের গুরুদক্ষিণার (Guru Dakshina) এই অনুষ্ঠানে যাঁরা প্রথমে যোগ দেন, তাঁদের পক্ষে খুবই আনন্দদায়ক। খোলা মনে যাঁরা একবার গুরুদক্ষিণার এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তাঁদের মনে এর একটা গভীর ছাপ থেকে যায়, বিশেষত তরুণ মনে। যেহেতু মানুষ মাত্রেই ভুল করে, এবং কোনও মানুষই ত্রুটিহীন নন, তাই আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ঠিক করেছিলেন, কেউই একা গুরু নন। আরএসএসে সঙ্ঘের পতাকাকেই গুরু মেনে চলা হয়। সেই কারণেই আরএসএসের প্রতিটি শাখায় নিত্য দিনের প্রথম কাজ হল গৈরিক পতাকা উত্তোলন। শাখার স্বেচ্ছাসেবকরা দিন শুরু করেন সঙ্ঘের পতাকার সামনে মাথা নত করে। সূর্য অস্ত গেলেও পালন করা হয় একই প্রথা।

    সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনার শপথ

    গুরুদক্ষিণার এই অনুষ্ঠান বছরভর সঙ্ঘের গৈরিক নিশানকে গুরু বলে মনে করায়। মাটির প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে শুরু হয় গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান। গোটা হলে তখন অদ্ভুত নীরবতা, প্রশান্তি। এই সময় সংস্কৃতে লেখা কিছু গুরু-স্তুতি পাঠ করা হয়। জানানো হয় গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভারতের সোনালি যুগের কথা স্মরণ (RSS) করায় যেসব গান, সেগুলোও গান স্বয়ংসেবকরা। দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে সেই সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনার শপথও নেন তাঁরা। এর পরেই একের পর স্বয়ংসেবক যান পতাকা তলে। সেখানে ট্রেতে রাখা ফুলের পাপড়ি তাঁরা ছড়িয়ে দেন পতাকা দণ্ডের পায়ের কাছে। মাথা নতও করেন স্বয়ংসেবকরা। এই সময় ডান হাত আনত থাকে ভূমি বরাবর। সঙ্ঘের গৈরিক নিশানকে এভাবেই নিত্যদিন শ্রদ্ধা জানান স্বয়ংসেবকরা। সঙ্ঘের (RSS) পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ধ্বজা প্রণা’ম। বাংলা তর্জমা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় গেরুয়া পাতাকাকে শ্রদ্ধা জানানো। এর পরেই স্বয়ংসেবকরা খামে করে কিছু টাকা কিংবা ফুলের পাপড়ি রেখে দেন।

    গুরুদক্ষিণা কত

    গুরুদক্ষিণা হিসেবে কত টাকা দিতে হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট অঙ্ক নেই। কেউ কাউকে জিজ্ঞেসও করেন না, গুরুদক্ষিণা বাবদ কে কত দিলেন। যেহেতু খামের মুখ বন্ধ করা থাকে, তাই কেউই জানেন না, খামে কে কত টাকা দিয়েছেন। দক্ষিণান্তে স্বয়ংসেবকরা ফের একবার ধ্বজা প্রণাম করেন। ফিরে আসেন নিজের আসনে। একইভাবে তাঁর পরের স্বয়ংসেবকও পালন করেন গুরুদক্ষিণার পরম্পরা। উপস্থিত প্রত্যেক স্বয়ংসেবকের (RSS) গুরুদক্ষিণা দেওয়া হয়ে গেলে হয় বক্তৃতা পর্ব। ভাষণ দেন হয় আরএসএসের কোনও প্রবীণ কর্মকর্তা কিংবা এমন কোনও ব্যক্তি, যাঁকে ওই দিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কোনও অধ্যাপক, চিকিৎসক, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী কিংবা এমন কোনও ব্যক্তি যিনি প্রমিনেন্ট, শাখা প্রধানদের তাঁদেরই প্রধান অতিথি করে আনতে বলা হয়। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তাও তিনিই। এটা করা হয়, যাতে যাঁরা আরএসএস-মনস্ক নন, তাঁরাও যাতে সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    সঙ্ঘের ভাবাদর্শ প্রচারে সহায়ক

    সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে জানা গিয়েছে, যাঁরা একবার আরএসএসের গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন, তাঁরা এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফেরেন, যাতে সারা জীবনের জন্য তাঁরা আরএসএসের সদস্য পদ গ্রহণ করেন কিংবা আরএসএসের বন্ধু বা সমর্থক হয়ে যান। গুরুদক্ষিণার অনুষ্ঠান শেষে হয় আরএসএসের প্রার্থনা। তার পর প্রত্যেককে তাঁদের প্রাপ্য দেওয়া হয়। যাঁরা নতুন করে আরএসএসের প্রোগ্রামে যোগ দেন, তাঁদের জন্য স্বয়ংসেবকরা কখনও কখনও চা কিংবা কফি এবং স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা করেন। এটা অবশ্য সব সময় হয় না, হয় মাঝে মধ্যে। যাঁরা আরএসএসের কোনও প্রোগ্রামে আগে যোগ দেননি কিংবা আরএসএসের সঙ্গে সঙ্গ ছিন্ন করেছেন, মূলত তাঁদের জন্যই আয়োজন করা হয় চা কিংবা কফি চক্রের।

    গুরুদক্ষিণা একটা ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য আরএসএস (RSS) কখনওই ভাঙেনি। তাদের কাছে এটি হল সব চেয়ে শ্রদ্ধার ও পবিত্র একটি অনুষ্ঠান। মৌলিক এই পদ্ধতিতেই অর্থ সংগ্রহ করে আরএসএস। তাই বজায় রাখতে পারে সঙ্ঘের স্বাধীনতা। আরএসএসের প্রসার (Guru Dakshina) ঘটাতেও এটি একটি কার্যকরী মাধ্যম বলে বিবেচিত হয় (RSS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সারোগেট’ বা ঘুরিয়ে মদের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবে ভারত (India)। এক মাসের মধ্যে নিয়ম চূড়ান্ত হতে পারে। মদের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের পথে মোদি সরকার। সম্প্রতি মদের ব্র্যান্ডগুলির সারোগেট বিজ্ঞাপনের (Liquor ad Rules) বিধি লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি উদাহরণ সামনে এসেছে। এর পরেই সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (CCPA) কোম্পানিগুলিকে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হিসাবে একই ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলির তালিকা চেয়েছে। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে বলেছে যে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে না। 

    বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য জরিমানা (India)

    নতুন নিয়ম অনুসারে, কার্লসবার্গ, পেরনোড রিকার্ড এবং ডিয়াজিওর মতো কোম্পানিগুলি ভারতে সারোগেট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মূল পণ্যের প্রচার চালিয়ে গেলে ৫০ লাখ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ঘটনাচক্রে, ভারতে অ্যালকোহল নির্মাতাদের সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মদের ব্র্যান্ডের প্রচার করা নিষিদ্ধ। তাই, কোম্পানিগুলি “সারোগেট বিজ্ঞাপন” পদ্ধতি বেছে নেয়। ফলে প্রায়শই এ ধরনের বিজ্ঞাপনে জল, মিউজিক সিডি, কাচের পাত্র ইত্যাদির পরিবর্তে কম আকাঙ্খিত জিনিস দেখিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। 

    দায়ী হবে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিরাও 

    উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ব্রুয়ার কার্লসবার্গ ভারতে (India) তার টিউবর্গ পানীয়ের প্রচার করে। এই বিজ্ঞাপনে ফিল্ম স্টারদের একটি ছাদের পার্টিতে দেখানো হয়। যেখানে এই বিজ্ঞাপনের স্লোগানই হল “টিল্ট ইয়োর ওয়ার্ল্ড”। অন্যদিকে, আর এক প্রতিযোগী ব্র্যান্ড ডিয়াজিওর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট জিঞ্জার এলের ইউটিউব বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই ৬০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে৷ ফলে, এবার থেকে নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন তৈরি না হলে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিদেরও দায়ী করা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    নতুন এই ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে শিশু এবং তরুণ প্রজন্ম সারোগেট বিজ্ঞাপন (Liquor ad Rules) দ্বারা প্রভাবিত না হয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, অ্যালকোহল বিজ্ঞাপনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে “সাশ্রয়ী পদক্ষেপ”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share