Tag: bangla news

bangla news

  • Cooch Behar: অপহরণ করে দলে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল! খোঁজ নেই বিজেপির প্রধানের

    Cooch Behar: অপহরণ করে দলে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল! খোঁজ নেই বিজেপির প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপহরণ করে দলে যোগদান করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের বারকোদালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, খোঁজ নেই প্রধানের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    ২৭ জুলাই তুফানগঞ্জ-২ নং ব্লকের (Cooch Behar) বারকোদালি ১নং অঞ্চলের প্রধান সুদর্শন রায় এবং দুজন পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল সিংহ এবং অঞ্জনা বর্মন বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ঘটা করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু, যোগদানের আগে থেকেই বিজেপির প্রধানকে তৃণমূল অপহরণ করে বলে অভিযোগ। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সুদর্শন রায়ের স্ত্রী সুধা রায় বলেন, “আমার স্বামী বিজেপি ছাড়েনি। আসলে তৃণমূল জোর করে স্বামীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে, যোগদানের বিষয়টি জানতে পারি। তারপরও তৃণমূল আমার স্বামীকে কোথায় রেখেছে জানি না। পাঁচদিন হয়ে গেল স্বামী বাড়ি ফেরেননি। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে আমরা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। সমস্ত বিষয়টি তাঁকে আমরা জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। স্বামী কবে বাড়ি ফেরেন সেই অপেক্ষাই দিন গুনছি।”

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই অপরহণের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির জেলা (Cooch Behar) সহ সভাপতি উৎপল দাস বলেন, “এভাবে জোর করে দল টেনে কোনও লাভ নেই। কারণ, ওই প্রধান মনে প্রাণে বিজেপি। অপরহণ করে তাঁকে তৃণমূল করা হয়েছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। কারণ, প্রধান বাড়ি ফিরলেই ফের বিজেপিতে ফিরবেন, এই বিশ্বাস আমাদের আছে।” তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, “কোনও অপহরণ করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এখন বিজেপি (BJP) এসব অপপ্রচার করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahool-Federation conflict: রাহুল-ফেডারেশন জটে মঙ্গলবারেও স্তব্ধ টলিপাড়া! কাঠগড়ায় তৃণমূল মন্ত্রীর ভাই

    Rahool-Federation conflict: রাহুল-ফেডারেশন জটে মঙ্গলবারেও স্তব্ধ টলিপাড়া! কাঠগড়ায় তৃণমূল মন্ত্রীর ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টালিগঞ্জে জট এখনও কাটেনি। সোমাবারের পর মঙ্গলবারও রইল টলিপাড়া স্তব্ধ। বন্ধ শুটিং, বৈঠক পাল্টা বৈঠকেও কোনও সমাধানের ইঙ্গিত মিলছেনা। ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে গিয়ে দেখা গেল জনশূন্য। সোমবার ১২০ থেকে ১৩০ জন পরিচালক ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে শুটিং ফ্লোরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন দেন। প্রতিবাদী পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে (Rahool-Federation conflict) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলা টলিডের ফেডারেশন। এই ফেডারেশনের মাথায় সভাপতি হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। তাঁর অবশ্য স্পষ্ট বক্তব্য, “ফেডারেশনের এখানে কিছু করার নেই। পরিচালকদের সঙ্গে কথা হবে সামনাসামনি। নচেৎ সিদ্ধান্ত আগের জায়গায় স্থির থাকবে।” রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দৌরাত্ম্য এবং আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। তবে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ পরিচালক বা কলাকুশলীরা রাজনৈতিক রঙ না দেখার কথা বলেছেন। অপরে প্রতিবাদী পরিচালকেরা রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে শুটিং বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন। তবে সেই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।

    ফেডারেশনের চাপে বন্ধ কাজ (Rahool-Federation conflict)

    সোমবার রাত ৮টায় ডিরেক্টরস গিল্ডের বৈঠকে পরিচালকদের পক্ষ থেকে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তী। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “এই বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। ফ্লোরে কাজ বন্ধ থাকুক এটা কেউ চান না, কিন্তু আমাদের চাপ দিয়ে বন্ধ করানো হয়েছে শুটিং। ফেডারেশনের দৌরাত্ম্যে কাজ রীতিমতো বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।” যদিও সোমবার সকালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ফেডারেশনকে (Rahool-Federation conflict) আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন পরিচালকেরা। কিন্তু শুটিং বন্ধের দায় প্রতিবাদী পরিচালকদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন তৃণমূল মন্ত্রীর ভাই স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ বিষয় কিছু পরিচালকদের ষড়যন্ত্র।”

    আরও পড়ুনঃ মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর ভাই, ফেডারেশনের ‘দৌরাত্ম্যে’ টলিপাড়ায় বন্ধ শুটিং

    ফেডারেশন একক ভাবে আইন তৈরি করেছে

    চিত্র পরিচালক অঞ্জন দত্ত বলেছেন, “রাহুলকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল, এখন এর সঙ্গে আরও ৪০০ পরিচালকের সমস্যা যুক্ত হয়েছে। ফেডারেশন (Rahool-Federation conflict) একক ভাবে আইন তৈরি করেছে ফলে বিনিয়োগে সমস্যা হবে।” পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা আর টেকনিশিয়ানরা আলাদা, সেটা আজ প্রথম জানলাম। তবে এখানে আমরা-ওরা তত্ত্ব নিয়ে নয়, সমস্যার সমাধান খুঁজতে একজোট হয়েছি।” আবার রাজ চক্রবর্তী বলেছেন, “ফেডারেশন কাজ বন্ধের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা টেনেছে। তবে এই কথা প্রসঙ্গে কাজ বন্ধ করা হয়নি। আমাদের ফ্লোরে না ঢুকতে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranbir Kapoor: সনাতন ধর্মে অগাধ আস্থা, মোদিতে মুগ্ধ রণবীর কাপুর

    Ranbir Kapoor: সনাতন ধর্মে অগাধ আস্থা, মোদিতে মুগ্ধ রণবীর কাপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা। প্রতি দিন ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েই ঘুমোতে যান অভিনেতা রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)। সম্প্রতি এক পটকাস্টে উদ্যোক্তা নিখিল কামাথের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। ধর্ম (Sanatan Dharma) থেকে রাজনীতি, কেরিয়্যার সবকিছু নিয়েই নিজের মত ব্যক্ত করেছেন রণবীর। অভিনেতা জানান, রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যবহার তাঁকে প্রতি মুহূর্তে আকর্ষণ করে। 

    ঈশ্বরে বিশ্বাস

    আগামীতে ‘রামায়ণ’-এ রামের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বাস্তবেও সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) প্রতি গভীর আস্থা ঋষি কাপুর পুত্রের।  রণবীর (Ranbir Kapoor) বলেন, “আমার বাবা খুবই ধার্মিক ছিলেন। মা বরং বাবার মতো ততটা ধার্মিক ছিলেন না। কিন্তু বাবা ধর্মচর্চা করতে ভালবাসতেন বলে, মা-ও সঙ্গ দিতেন। আমরা তখন ছোট। দেখতাম বাবা-মাকে। বাচ্চারা তো বাবা-মাকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তাই ঈশ্বর-ভাবনা আমার ভাল লাগে। আমি বহু আগেই বুঝতে পেরেছিলাম, আমার প্রার্থনার জোর আছে। ঈশ্বরের কাছে কিছু চাইলে, তা খুব সহজেই পেয়ে যেতাম। তাই খুব ছোট বয়সেই, আমি ঈশ্বরের কাছে কিছু চাওয়া বন্ধ করে দিই। হয়তো কোনও এক বর্ষার দিনের জন্য সেই প্রার্থনার সুযোগ বাঁচিয়ে রাখতাম। আমি আসলে নিজের সঙ্গেই কথা বলতাম। তবে, মনে আছে, সেই সময় থেকেই ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতাম। এখন আমি যে জায়গায় আছি, তা নিয়ে আমি সত্যি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।” 

    সনাতন ধর্মে আস্থা

    রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor) এখনও নিশ্চিত করেননি যে তিনি ‘রামায়ণ’-এ রয়েছেন কিনা, তবে সীতা রূপী সাই পল্লবীর পাশে ভগবান রামের বেশে রণবীরের ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতেশ তিওয়ারি। ইতিমধ্যেই ছবির শ্যুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। রণবীর বেশ কিছুদিন ধরে এই চরিত্রের জন্য কঠোর প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। সনাতন ধর্মের উপর বিশ্বাস নিয়ে রণবীর বলেন, “আমি সনাতন ধর্মের উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছি। বেশ কয়েক বছর ধরে এই ধর্ম নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি। সনাতন ধর্মের প্রভাব কী, তা জানতে আমি গভীরে গিয়ে বিষয়টা দেখেছি।”

    আরও পড়ুন: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যবহারে মুগ্ধ

    ওই সাক্ষাতকারে রাজনীতি থেকে চলচ্চিত্র নানা জগৎ নিয়ে কথা বলেন রণবীর (Ranbir Kapoor)। অভিনেতা জানান তিনি খুব বেশি চিন্তা করেন না রাজনীতি নিয়ে। ভবিষতে রাজনীতি আসবেন কিনা সে নিয়েও কিছু ভাবেননি, তবে আপাতত তিনি আসতে চান না। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা বলার দক্ষতা, তাঁর ব্যবহার, তাঁর আঙ্গিক, রণবীরকে আকর্ষণ করে। অভিনেতার কথায়, ৪ থেকে ৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি বৈঠকে দেখা হয়েছিল।  যেখানে অভিনেতা এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।  প্রধানমন্ত্রীর কথার মধ্যে এমনই এক বিষয় রয়েছে যা সবার উপর ছাপ ফেলে। রণবীর সেই মিটিংয়ে মোদির প্রবেশের মুহূর্তটিরও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সেই মুহূর্তের মধ্যে যে একটা চৌম্বকীয় আকর্ষণ ছিল। রণবীর আরও জানান মোদি মিটিংয়ে উপস্থিত সকলের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। তিনি রণবীরের বাবার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যবহারের সঙ্গে সিনে দুনিয়ায় বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের কিছুটা মিল রয়েছে বলেও জানান রণবীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে দ্বিতীয় পদক ভারতের, ইতিহাস গড়লেন মনু ভাকের, সঙ্গী সরবজ্যোৎ

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে দ্বিতীয় পদক ভারতের, ইতিহাস গড়লেন মনু ভাকের, সঙ্গী সরবজ্যোৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) দ্বিতীয় ব্রোঞ্জ পদক জয় মনু ভাকেরের। এবারে তাঁর সঙ্গী সরবজ্যোৎ সিং। ব্যক্তিগত বিভাগের পর ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতল ভারত। দক্ষিণ কোরিয়াকে ১৬-১০ স্কোরে হারিয়ে দিলেন মনু ও সরবজ্যোৎ। উল্লেখ্য, চলতি অলিম্পিক্সেই ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন মনু ভাকের। আবার সেই মনু ভাকেরের (Manu Bhaker) হাত ধরেই পদক পেল ভারত। 

    রেকর্ড গড়লেন মনু ভাকের (Manu Bhaker) 

    স্বাধীনতার আগে ভারতের হয়ে নরমান প্রিচার্ড একই অলিম্পিক্সে দুটি পদক জিতেছিলেন। ১৯০০ সালের অলিম্পিক্সে সেই নজির গড়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, সেটিও ছিল প্যারিস অলিম্পিক্স। অ্যাথলেটিক্সে রুপো জিতেছিলেন তিনি। প্রিচার্ড ভারতের হয়ে পদক জিতলেও তিনি ছিলেন ব্রিটিশ। তার ১২৪ বছর পর স্বাধীন ভারতে প্রথমবার অলিম্পিক্সে দুটি পদক জিতলেন এক ভারতীয়। সেই অনন্য নজির গড়লেন মনু ভাকের। গত রবিবার প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে শুটিং থেকে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন মনু ভাকের। এরপর মঙ্গলবার মিক্সড ইভেন্টে (Paris Olympics 2024) সরবজ্যোতের সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্রোঞ্জ জিতলেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: প্যারিসে ইতিহাস মনিকা বাত্রার, এমন কী কীর্তি করলেন এই ভারতীয় প্যাডলার?

    মনু ভাকেরকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর   

    ভারত দ্বিতীয় পদক জেতার সঙ্গে সঙ্গেই শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরআগে মনু ব্যক্তিগত বিভাগে ব্রোঞ্জ পাওয়ার পরেও তাঁকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024)  দ্বিতীয় পদক জয়ের পর সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমাদের শুটাররা আবার দেশকে গর্বিত করলেন। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা মনু ভাকের এবং সরবজ্যোৎ সিংকে। দুজনেই দুর্দান্ত প্রতিভা দেখিয়েছেন। ভারত আপনাদের নিয়ে উল্লসিত। মনু পর পর দুটি পদক জিতলেন। খুব ভাল ধারাবাহিকতা দেখালেন তিনি।” 

    প্রসঙ্গত, অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) এখনও মহিলাদের ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্ট বাকি আছে। সেখানেও লড়বেন মনু। এর আগে টোকিও অলিম্পিক্সে আশা জাগিয়েও পিস্তলের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে এবারের অলিম্পিক্সে মনুর একের পর এক সাফল্যে আশায় বুক বাঁধছেন প্রতিটি ভারতীয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tipu Sultan: কাফেরদের রক্তেই জ্বলজ্বল করে তাঁর অস্ত্র! এমনটাই তলোয়ারের হাতলে লিখেছিলেন টিপু

    Tipu Sultan: কাফেরদের রক্তেই জ্বলজ্বল করে তাঁর অস্ত্র! এমনটাই তলোয়ারের হাতলে লিখেছিলেন টিপু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমার তলোয়ার কাফেরদের রক্তের জন্যই জ্বলজ্বল করছে’’, এমন কথা বলেছিলেন টিপু সুলতান (Tipu Sultan)। শুধু বলা নয়, নিজের তলোয়ারের হাতলেও এই কথা খোদাই করে রেখেছিলেন টিপু, যিনি একাধিক হিন্দু হত্যার নিষ্ঠুর খলনায়ক বলে বিবেচিত হন। কাফের বা বিধর্মী হিন্দুদের প্রতি তাঁর নৃশংসতার অসংখ্য নজির রয়েছে। সাধারণভাবে আঠারো শতকের শেষের দিকে মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানকে বামপন্থী ইতিহাসবিদরা সবসময়ই একজন মহান বীর হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি নাকি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বলেও প্রচার করা হয়। তবে আসল সত্য হল, তিনি ছিলেন একজন বর্বর শাসক এবং নিপীড়ন করাই ছিল তাঁর কাজ। তৎকালীন ভারতবর্ষের কর্নাটক সমেত মহীশূর এবং মালাবার অঞ্চলে টিপু সুলতান ব্যাপকভাবে ধর্মান্তকরণের কাজ শুরু করেন। জানা যায়, তলোয়ারের জোরে তিনি ৪ লাখেরও বেশি হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেন।

    সাংবাদিক সুশান্ত সিন্হার একটি ইউটিউব ভিডিও (Tipu Sultan) ভাইরাল হয়েছে 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস নাও নব ভারতে’র এডিটর সুশান্ত সিন্হার একটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তিনি টিপু সুলতানের (Tipu Sultan) নিষ্ঠুরতা এবং নৃশংসতাকে তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে বেশ কতগুলি ঐতিহাসিক বইয়ের উল্লেখ করেছেন সুশান্ত সিন্হা যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘মালাবার ম্যানুয়াল’, ‘মহীশূর গেজেটিয়ার’ এবং ‘কেট ব্রিটলব্যাঙ্ক’ ও ‘দ্য লাইফ অফ টিপু সুলতান’। উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই ভিডিওতে সুশান্ত সিন্হা তথ্য ও প্রমাণ সমেত তুলে ধরেছেন যে কীভাবে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করতেন টিপু। এনিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন সুশান্ত সিন্হা, যা বিভিন্ন ইতিহাসবিদ সমেত ব্রিটিশ আধিকারিকরাও মেনে নিয়েছেন। এখানেই সুশান্ত সিন্হা উল্লেখ করেন যে টিপু সুলতানের তলোয়ারের হাতলে লেখা ছিল, ‘‘আমার তলোয়ার কাফেরদের রক্তের জন্যই জ্বলজ্বল করছে।’’

    টিপু সুলতানের (Tipu Sultan) আতঙ্কে ৩০ হাজারেরও বেশি হিন্দু ত্রাভাঙ্কোরে আশ্রয় নিয়েছিলেন 

    তাঁর এই ধরনের মনোভাবই প্রতিফলন ঘটায় ঠিক কতটা নৃশংস তিনি ছিলেন! হিন্দুদের প্রতি ঠিক কী মনোভাব রাখতেন টিপু! কতটা ধর্মান্ধ তিনি ছিলেন! তবে বামপন্থী সমেত বেশ কিছু রাজনৈতিক দল তোষণের রাজনীতির কারণে এই সমস্ত তথ্যগুলিকে বিকৃত করে এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ানোর উদ্দেশ্যে টিপু সুলতানকে এক মহান শাসক হিসেবে আখ্যায়িত করে। টিপু সুলতান (Tipu Sultan) কাফের অর্থাৎ হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের ইসলামের ধর্মান্তরিত করার জন্য বেশ কতগুলো নৃশংস পদ্ধতি নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, জনগণের মধ্যে জোরপূর্বক খতনা করা অর্থাৎ যাকে পোশাকি ভাষায় বলে মুসলমানীকরণ, হিন্দুদের জোর করে গরুর মাংস খাওয়াতেন, এর পাশাপাশি মন্দির ও গির্জাগুলিতে আক্রমণও চালাতেন টিপু। তৎকালীন দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মহীশূর, মালাবার অঞ্চলের ব্রাহ্মণ, নায়ার সমেত অন্যান্য বেশিরভাগ শ্রেণির প্রতিই তিনি ছিলেন অত্যন্ত নৃশংস। তিনি  হিন্দু অভিজাতদের অপহরণ করতেন বলেও অভিযোগ ওঠে। শুধুমাত্র টিপু সুলতানের আতঙ্কে, অত্যাচারে সন্ত্রস্ত হয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি হিন্দু ত্রিবাঙ্কুরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

    টিপুর এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাজা রাম বর্মা

    তবে টিপুর এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতবর্ষের এগিয়ে এসেছিলেন বেশ কিছু হিন্দু রাজা। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দক্ষিণ মালাবারের রাজা রাম বর্মা। টিপু সুলতানের অত্যাচারের (Brutality of Tipu Sultan) বিরুদ্ধে তিনি একটি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন বলে জানা যায়। পরবর্তীকালে কোদাভার হিন্দুরাও বিদ্রোহ ঘোষণা করে টিপুর বিরুদ্ধে। এখানেও টিপু বিদ্রোহ দমন করে হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেন। যার সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারেরও বেশি। এর পাশাপাশি নারী-শিশু সহ হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করেছিলেন টিপু সুলতান।

    কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার টিপু সুলতান জয়ন্তীও পালন করেছে  

    নিজের দখলে থাকা অঞ্চলগুলিকে ইসলামীকরণের (Brutality of Tipu Sultan) উদ্দেশ্যে অসংখ্য হিন্দু মন্দিরও টিপু ধ্বংস করেছিলেন বলে জানা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দির। কেরল রাজ্যের গুরুভায়ুর মন্দির তিনি লুট করেন বলে জানা যায়, কান্নুরের থালিপারাম্বা মন্দিরকেও ধ্বংস করেছিলেন টিপু। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, মন্দির ধ্বংস, ধর্মান্তকরণ সমেত অন্যান্য বর্বর কাজ করে খলনায়ক হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন টিপু সুলতান, তারপরেও শুধুমাত্র তোষণের রাজনীতির কারণেই স্কুলের পাঠ্যপুস্তকগুলিতে তাঁকে নায়ক হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার টিপু সুলতান জয়ন্তীও পালন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

    Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত। সংসদে এভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) । একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়েছে তৃণমূল (TMC) । তাঁর আরও অভিযোগ পরিকল্পনা মাফিক দার্জিলিংয়ে বদলে দেওয়া হচ্ছে জনসংখ্যার বিন্যাস। দার্জিলিং, ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকায় এই ঘটনা ঘটছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্র সরকারকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান তিনি।

    বাংলার অর্থনৈতিক অধঃপতনের জন্য দায়ী তৃণমূল (Raju Bista)

    দার্জিলিঙে দু-বারের সংসদ রাজ্যের শাসক দলকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং এদিন (Raju Bista) সংসদে বলেন, “প্রত্যেকটি সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করছে শাসক দলের লোকেরা। স্বচ্ছ ভারত মিশন, গ্রাম সড়ক যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এদিন কটাকে সুরে দার্জিলিং-এর সাংসদ বলেন, “যখন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন ‘বেস্ট বেঙ্গল’ ছিল আর আজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির জন্য তা ‘ওয়োর্স্ট বেঙ্গল’-এ পরিণত হয়েছে। সংসদের বাজেটের উপর আলোচনা চলাকালীন এই অভিযোগ করেন তিনি।

    ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা (TMC)

    রাজ্যের শাসক দলকে (TMC) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে রাজু। তাঁর অভিযোগ, “যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে লুট করার জন্য এদেশে এসেছিল, শাসক দল একইভাবে জনগণের টাকা লুট করছে। রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, স্বচ্ছ ভারত, এমজিনারেগা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট ফান্ড প্রত্যেক প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ দার্জিলিংয়ের সাংসদের (Raju Bista)।

    রাজ্যের ঋণ ৭ লক্ষ কোটি

    রাজ্য যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মত ঋণ নিচ্ছে তারও সমালোচনা করেন তিনি। (Raju Bista) বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছর রাজত্ব করে ১.৯০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এবং শাসক দল মাত্র ১ দশকে সেই ঋনের বোঝা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। রাজ্যকে দেনার দায়ে ডুবিয়ে দিতে চাইছে মমতাজ সরকার। তাঁর অভিযোগ বর্তমান (TMC) সরকারের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজ্য শুধু পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রতি ব্যক্তি আয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির তুলনাতেও কম। একটা সময় ছিল যখন ভারতবর্ষের ৩০% উৎপাদন পশ্চিমবঙ্গ থেকে হত। এখন তা কমতে কমতে ৩% এসে ঠেকেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে আধার লিঙ্ক করে দুর্নীতি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছে বলে দাবি রাজুর। তাঁর দাবি রাজ্যে আগে ৩.৮৮ কোটি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের উপভোক্তা ছিলেন। আধার লিঙ্ক করিয়ে দেখা যায় সেই সংখ্যা কমে ২.৫ কোটিতে এসে ঠেকেছে।  অর্থাৎ রাজ্যে ১কোটি ৩৩ লক্ষ ফেক এমজিনারেগা কার্ড বানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

    যেগুলি বাংলাদেশিরা ব্যবহার করছিলেন। একইভাবে রাজ্যে যত দুর্নীতি যেমন চিটফান্ড দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি, গরু পাচার, বালি চুরি, কয়লা পাচার সবেতেই তৃণমূল নেতাদের যোগ প্রকাশে এসেছে।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: জামিন পেলেও এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না কেষ্ট মণ্ডল, থাকতে হবে তিহাড়েই

    Anubrata Mondal: জামিন পেলেও এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না কেষ্ট মণ্ডল, থাকতে হবে তিহাড়েই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট (Anubrata Mondal)। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশেন বেঞ্চ। এদিন সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পেলেও ইডির মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন তিনি। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে এবং সাক্ষীদের কোনও ভাবেই প্রভাবিত করতে পারবেন না।

    ২০২২ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন(Anubrata Mondal)

    গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর তাঁকে প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়। তারপর তাঁকে দিল্লির তিহাড় জেলে স্থানান্তর করা হয়। আবার ইডি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসেই গ্রেফতার করেছিল। এরপর থেকে টানা জেলে বন্দি রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। তবে ইডির দায়ের করা মামলা দ্রুত দিল্লির আদালতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আগে বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করলেও প্রভাবশালী বলে কেষ্টর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। 

    আরও পড়ুনঃ জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন  

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ (CBI) থেকে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিনের বিরোধিতা করে আইনজীবীরা বলেন, “মামলায় অনুব্রত বেশ প্রভাবশালী নেতা। জামিন পেলে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারেন।” পাল্টা কেষ্টর আইনজীবী মুকুল রহতগি আদালতে বলেছেন, “এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক ইতি মধ্যে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু কেন আমার মক্কেলকে আটকে রাখা হয়েছে? এখনও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। অভিযোগ থাকলে আগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করুক।” এই প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “কবে থেকে মামলা শুরু হবে?” উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, খুব দ্রুত মামলা শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন

    Siliguri: জমি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা চুটকির কীর্তি জানলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিকাণ্ডে দেবাশিস প্রামাণিক, গৌতম গোস্বামীর পর শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়িতে আরও দুই তৃণমূল নেতা ধরা পড়ল। সোমবার রাতে তৃণমূলের ফুলবাড়ির প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আহিদ ওরফে চুটকি ও তাঁর শাগরেদ আর এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসিরকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনকেই দেবাশিস প্রামাণিকের জমি দুর্নীতির মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

    থিতিয়ে পড়া আতঙ্ক জেগে উঠল (Siliguri)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরপরই তৃণমূলের ডাবগ্রাম -ফুলবাড়ির (Siliguri) প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও সদ্য বহিষ্কৃত নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরপরই একই অভিযোগে সরকারি জমি দখল ও বিক্রির অবৈধ কারবারে তৃণমূলের একই ব্লকের সহ-সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর কিছুদিন গ্রেফতার পর্ব বন্ধ থাকায় তৃণমূলের বিতর্কিত নেতাদের আতঙ্ক থিতিয়ে আসছিল। কিন্তু, সোমবার ফের দুজনকে গ্রেফতার করায় ফুলবাড়ি সহ শিলিগুড়ির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যে ফের আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সকলেরই প্রশ্ন, এরপর তাহলে কে? 

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

     চুটকির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    ফুলবাড়িতে (Siliguri) দেবাশিস প্রামাণিক, গৌতম গোস্বামী এবং নকশালবাড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতারের পর এই দু’জনকে গ্রেফতার করায় জমিকাণ্ডে মোট পাঁচ জন তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হল। তবে, দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের অন্দরেই  প্রশ্ন উঠেছিল, চুটিকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ফুলবাড়ির সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই প্রশ্ন জোরালো ছিল। কেননা ফুলবাড়িতে সবাই জানতেন, মহানন্দা নদীর পার দখল ও বিক্রি করে মোটা টাকা কামিয়েছে চুটকি। এর পাশাপাশি সরকারি জমি দখল করে নিজের ফ্যাক্টরি তৈরি, সেই সঙ্গে নদীঘাট দখল করে বালি পাথরের অবৈধ কারবারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই প্রশ্ন ওঠেছিল দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হলে এখই অবৈধ কারবারে ফুলে-ফেঁপে ওঠা চুটকিকে কেন গ্রেফতার করা হবে না।

      বহু তৃণমূল নেতা আতঙ্কে!

    অবশেষে চুটকি গ্রেফতার হওয়ায় সেই প্রশ্ন হোক প্রশমিত হলেও তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্বের অন্য একটি অংশের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস প্রামাণিককে ধরে তাকে জেরা করে তার অবৈধ কারবারের সঙ্গে কে কে যুক্ত ছিল, কাদের মধ্যে সেই অবৈধ কারবারে তিনি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলেন  সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতোই তদন্তের প্রয়োজন মতো গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর পুলিশের এই পদক্ষেপে তৃণমূলের (Trinamool Congress)  বিতর্কিত বহু নেতাই এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি সোমবার একটি প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। সরকারি কর্মসূচিতে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হবে।” একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ের গাড়ি সংখ্যা কমিয়ে এবার থেকে ১০ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা অসমের জন্য যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam)?

    অসমের (Assam) দিসপুরে সোমাবার জেলা শাসকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) । তিনি বলেন, “আমি সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে অতিরিক্ত খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তাই আমরা কড়া অবস্থান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। এখন থেকে কেবল মাত্র নিরামিষ এবং সাত্ত্বিক আহার পরিবেশন করা হবে সব অনুষ্ঠানে। সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের কাছে আমার স্পষ্ট বার্তা যে কোনও সরকারি কাজের জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে। কোনও মন্ত্রী বা পদাধিকারী জেলা বা মহকুমায় গেলে তাঁদেরকে নিজের খরচে হোটেল খাবার খেতে হবে। আমি সম্প্রতি ডিব্রুগড়ে গিয়েছিলাম, সেখানে নিজের খরচে একটি ধাবায় খাবার খেয়েছিলেম। সরকারি অনুষ্ঠানে এবার থেকে সকলের জন্য নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে অন্যরাজ্য বা বিদেশি অতিথিদের জন্য আমিষ আহারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

    আরও পড়ুনঃ পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    ভিআইপি কালচার নিয়ে কী বলেন

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam) নিজের এক্স হ্যান্ডলে ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে একটি পোস্টে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি কালচারকে শেষ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যারিকেডের সংখ্যা কমিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের গাড়ির সংখ্যা কম করতে হবে। মোট ১০টি গাড়ির বেশি যেন না রাখা হয়। একই ভাবে অন্য মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য গাড়ির সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তাঁদের কনভয়ে থাকবে একটি করে গাড়ি।”

    তিনি আরও বলেন, “দেশের জিডিপিতে অংশ নেওয়া আমাদের রাজ্যের জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রাজ্যের রিপোর্টের সঙ্গে এবার থেকে জেলার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ করে নতুন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ করাতে হবে। একই ভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় ১২ অগাস্টের মধ্যে পুনর্বাসন অনুদান পৌঁছে দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dark Oxygen: সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট নীচে সূর্যের আলো ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ‘ডার্ক অক্সিজেন’

    Dark Oxygen: সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট নীচে সূর্যের আলো ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ‘ডার্ক অক্সিজেন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের বইতে আমরা প্রত্যেকেই পড়েছি যে সূর্যালোকের (Sunlight) উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ অক্সিজেন তৈরি করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। তবে এমন ধারণা যে অকাট্য নয়, তা সম্প্রতি প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, সূর্যালোকের উপস্থিতি অক্সিজেন উৎপাদনের (Dark Oxygen) ক্ষেত্রে অপরিহার্য ফ্যাক্টর নয়। অতল সমুদ্র গহ্বরে সূর্যালোকের অভাবেই তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন। সম্প্রতি এমনটাই আবিষ্কার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে প্রশান্ত মহাসাগরের একেবারে তলদেশে প্রায় ১৩ হাজার ফুট নীচে, যেখানে সূর্যালোক পৌঁছানোর কোনও সম্ভাবনা নেই, সালোকসংশ্লেষও অসম্ভব, সেখানেই প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন (Dark Oxygen) তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন?

    সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাসায়নিক ধাতব বিক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি হচ্ছে এই অক্সিজেন। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন, ‘ডার্ক অক্সিজেন’ বা ‘অন্ধকার অক্সিজেন’। এ নিয়ে নেচার জিও সায়েন্স জার্নালে এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হচ্ছে, সালোকসংশ্লেষ ছাড়াও অক্সিজেন (Dark Oxygen) তৈরি হয় এই পৃথিবীতে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের দলটি আবিষ্কার করতে পেরেছেন যে এই অক্সিজেনই টিকিয়ে রেখেছে গভীর সমুদ্রের জীবনকে যা সম্পূর্ণ অন্ধকারে বেঁচে রয়েছে।

    একই দাবি করেছিলেন বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু সুইটম্যান

    আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০১৩ সালেই প্রশান্ত মহাসাগরে ফিল্ডওয়ার্কে গিয়েছিলেন স্কটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেরিন সায়েন্সের বিজ্ঞানী, অ্যান্ড্রু সুইটম্যান। সেসময়, সুইটম্যান এবং তাঁর সহযোগী অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ক্লারিওন-ক্লিপারটন জোনে সমুদ্র-তলের ইকোসিস্টেমগুলি (Sunlight) নিয়ে গবেষণা করেন। ওই গবেষণার সময়ই তাঁরা সেখানে ‘অন্ধকার অক্সিজেন’-এর (Dark Oxygen) সন্ধান পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। এনিয়ে সুইটম্যান বলেন, “এখন আমরা জানি, গভীর সমুদ্রেও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। যেখানে কোনও আলো নেই। আমি মনে করি, বায়বীয় জীবন কোথায় শুরু হতে পারে, আমাদের এই প্রশ্নগুলো পুনরালোচনা করা দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share