Tag: bangla news

bangla news

  • Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জার্মানির (Germany) বিখ্যাত ব্লু-মস্ক বা নীল-মসজিদে অভিযান চালাল পুলিশ। হামবুর্গের এই মসজিদটি সে দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি। মসজিদটি ইমাম আলি মসজিদ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি এই মসজিদেই হামলা চালায় পুলিশ। বালাক্লাভাসের অফিসাররা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে প্রচুর নগদ টাকা ও একটি কালো রংয়ের অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে জার্মান পুলিশ।

    মসজিদে পুলিশি অভিযান (Germany)

    তার জেরেই পুলিশি অভিযান চালানো হয় ওই মসজিদে। ইরানি শাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইসলামিক জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে জার্মান পুলিশ। সেই সূত্রেই এবার তারা ঢুকে পড়ল দেশের প্রাচীনতম একটি মসজিদে। জানা গিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে জার্মান পুলিশ দেখেছে, ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’ কেবল ধর্মীয় কাজকর্ম করে না। তারা কাজ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির প্রতিনিধি হিসেবে। জার্মানিতে তারা ইসলামি বিপ্লব রফতানি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। জার্মানির ইন্টিরিয়র মন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ব্লুমবার্গ মসজিদ পরিচালনাকারী সংগঠন ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে (ICH) চরমপন্থী গোষ্ঠী দেগে দেন।

    মসজিদে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা

    মসজিদটিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। ফয়েসার বলেন, “এই গোষ্ঠীটি একটি চরমপন্থী প্রচারকারী সংগঠন। এরা এ দেশে ইরানি বিল্পব রফতানি করতে চায়। এরা হিজবুল্লাকে সমর্থন করে। এই হিজবুল্লা ইরানপন্থী প্রতিরোধের অক্ষ। তাই জার্মানিতে (Germany) নিষিদ্ধ।” তিনি বলেন, “আমরা ধর্মের পরিপন্থী নই। আমরা বিশেষত ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে। জার্মানিতে যেসব মুসলমান শান্তিতে ধর্মাচরণ করছেন, তাঁদের থেকে এই জঙ্গিদের বিচ্ছিন্ন করতে চাইছি আমরা।” ইন্টিরিয়র মন্ত্রী বলেন, “আমরা একটা সুস্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা টানতে চাইছি। যে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি, তাদের সঙ্গে সেই সব মুসলমানদের দূরে রাখতে চাইছি, যাঁরা নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়েই রয়েছেন।” তিনি মনে করিয়ে দেন, “এই নিষেধাজ্ঞা শিয়া ধর্মের শান্তিপূর্ণ অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।”

    শিশু মনে পোঁতা হচ্ছিল ইরানি বিপ্লবের বীজ!

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে ইরান বিরোধী সাংসদ এবং সমাজকর্মীরা  ব্লু-মসজিদ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। ২০১৭ সালে গোয়েন্দা সূত্র মারফৎও প্রশাসন খবর পায়, জার্মানিতে ইরানের সরকারপন্থী কার্যকলাপের সব চেয়ে প্রভাবশালী কেন্দ্র এই মসজিদ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে জার্মান সরকার। তার পরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় দিন দুই আগে (Germany)। জানা গিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে শিশুদের ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয় ফার্সি, আরবি এবং জার্মান ভাষায়। এর নেতৃত্ব দিত ইরানি বিপ্লবের কট্টর সমর্থকরা। শিশু মনে তারা পুঁতে দিত ইরানি বিপ্লবের বীজ।

    আরও পড়ুন: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল চরমপন্থীরা

    হামবুর্গের নিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যান্ডি গ্রোট মসজিদে এই নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসলামিক জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এটা একটা রামধাক্কা।” ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে তিনি জঙ্গিদের আউটপোস্ট বলেও উল্লেখ করেন। গত নভেম্বরেও মসজিদটিতে অভিযান চালিয়েছিল জার্মান পুলিশ। সেই সময় দেশে চলছিল শিয়া বিরোধী আন্দোলন। এর কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে গাজা-ইজরায়েল লড়াই। জার্মান পুলিশের দাবি, মসজিদটিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে হিজবুল্লা এবং ২০২৩ সালে হামাস সমর্থকদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করেছিল জার্মান প্রশাসন। নীল-মসজিদের কাজকর্মকে জার্মানির গোয়েন্দারা সাংবিধানিক নির্দেশের বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। এরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল। চলতে চাইছিল খামেইনির আদর্শ নিয়ে। এসবই তারা করতে চাইছিল সন্ত্রাসের পথে। সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদটি।

    জার্মান সরকারের বিবৃতি

    ইরান সমর্থিত লেবানের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লা। হিজবুল্লাকে জঙ্গি সংগঠন বলে দেগে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২০ সালে হিজবুল্লাকে বেআইনি ঘোষণা করে আইসিএইচ-ও। জার্মান (Germany) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংগঠন (হিজবুল্লা) মানব মর্যাদা, নারীর অধিকার, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক শাসনের বিরোধিতা করে একটি ইসলামপন্থী চরমপন্থী, সর্বগ্রাসী মতাদর্শ প্রচার করে। নিষেধাজ্ঞাটির লক্ষ্যবস্তু যে চরমপন্থী ইসলামিরাই, সে কথাও (Hezbollah) সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিটিতে (Germany)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    সংনিয়ম্যেন্দ্রিনিদ্রয়গ্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।

    তে প্রাপনুবন্তি মামেব সর্বভূতিহিতে রতাঃ।।

    গীতা- ১২/৪/

    শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত নৌকাবিহার—সর্বভূতহিতে রতাঃ

    ভাট পড়িয়াছে। আগ্নেয়পোত কলিকাতাভিমুখে দ্রুতিগতিতে চলিতেছে। তাই পোল পার হইয়া কোম্পানির বাগানের দিকে আরও খানিকটা বেড়াইয়া আসিতে কাপ্তেনকে হুকুম (Kathamrita) হইয়াছে। কতদূর জাহাজ গিয়াছিল, অনেকেরই জ্ঞান নাই—তাঁহার মগ্ন হইয়া শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কথা শুনিতেছেন। কোন দিক দিয়া সময় যাইতেছে, হুঁশ নাই।

    এইবার মুড়ি নারকেল খাওয়া হইতেছে। সকলেই কিছু কিছু কোঁচড়ে লইলেন ও খাইতেছেন। আনন্দের হাট। কেশব মুড়ি আয়োজন করে এনেছেন। এই অবসরে ঠাকুর দেখিলেন বিজয় ও কেশব দুইজনেই সঙ্কুচিতভাবে বসিয়া আছেন। তখন ঠাকুর যেন দুইজন অবোধ ছেলেকে ভাব করিয়া দিবেন। সর্বভূতহিতে রতাঃ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেশবের প্রতি)—ওগো! এই বিজয় এসেছেন। তোমাদের ঝগড়া-বিবাদ—যেন শিব ও রামের যুদ্ধ। (হাস্য) রামের গুরু শিব। যুদ্ধও হল, দুজনে ভাবও হল। কিন্তু শিবের ভূতপ্রেতগুলো আর রামের বানরগুলো ওদের ঝগড়া কিচকিচ আর মেটে না! (উচ্চ হাস্য)

    আপনার লোক তা এরূপ থাকে। লব কুশ জে রামের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। আবার জানো মায়ে-ঝিয়ে আলাদা মঙ্গলবার করে। মার মঙ্গল, আর মেয়ের মঙ্গল যেন দুটো আলাদা। কিন্তু এর মঙ্গলে ওর মঙ্গল হয়, ওর মঙ্গলে এর মঙ্গল হয়। তেমনি তোমাদের এর একটি সমাজ আছে। আবার ওর একটি দরকার। (সকলের হাস্য) তবে এ-সব চাই। যদি বল ভগবান নিজে লীলা (Kathamrita) করেছেন, সেখানে জটিলে-কুটিলে কি দরকার? জটিলে-কুটিলে না থাকলে লীলা পোষ্টাই হয় না! (সকলের হাস্য) জটিলে-কুটিলে না থাকলে রগড় হয় না। (উচ্চহাস্য)

    রামানুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী। তাঁর গুরু ছিলেন অদ্বৈত্যবাদী। শেষে দুজনে অমিল। গুরুশিষ্য (Ramakrishna) পরস্পর মত খণ্ডন করতে লাগল। এরূপ হয়েই থাকে। যাই হোক, তবু আপনার লোক।

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    পিতাহসি লোকস্য চরাচরস্য ত্বমস্য পূজ্যশ্চ গুরুর্গরীয়ান্‌।

    ন ত্বৎসমোহস্ত্যভ্যধিকঃ কুতোহন্যো, লোকত্রয়েহপ্যপ্রতিমপ্রভাব।।

    গীতা—১১/৪৩/

    কেশবকে শিক্ষা—গুরুগিরি ও ব্রাহ্মসমাজে—গুরু এক সচ্চিদানন্দ

    সকলে আনন্দ করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) কেশবকে বলিতেছেন, তুমি প্রকৃতি দেখে শিষ্য কর না, তাই এইরূপ ভেঙে ভেঙে যায়।

    মানুষগুলি দেখতে সব একরকম, কিন্তু ভিন্ন প্রকৃতি। কারু ভিতর সত্ত্বগুণ বেশি, কারু রজোগুণ বেশি, কারু তমোগুণ। পুলিগুলি দেখতে সব একরকম। কিন্তু কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর। (সকলের হাস্য) ভিন্ন প্রকৃতি।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অন্তত জেলের বাজেট (Jail Budget) বাড়িয়ে দিন, কারণ নেতারা জেলে যাবেন। আজ হোক বা কাল সকলকে জেলে যেতে হবে। তাই অন্তন্ত জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন।” বক্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh) । সংসদের উচ্চ কক্ষে বাজেটের উপরে চর্চার সময় আপ সাংসদ বলেন, “জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন। কারণ এক না একদিন সকলকে জেলে যেতে হবে। আজ আমাদের অনেকে আছে। কাল আপনাদের (শাসক পক্ষের) যেতে হবে। ৩০০ কোটিতে কিছু হবে না। তাই জেলের বাজেট অন্তত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার ছিল।” মজা করে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় শাসকপক্ষকে সঞ্জয় সিং-এর এর আবেদনের উপরে নজর দিতে বলেন।

    বিরোধীদের ঠিকানা জেল (Sanjay Singh)

    সঞ্জয় সিং অভিযোগের সুরে বলেন, “আপনারা (শাসক) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলবন্দী করে রেখেছেন। বাংলার তিনজন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। সাংসদের (Jail Budget) এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে ধনখড় বলেন, “দেশ আইনের উপর নির্ভর করে চলে। পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালত অভিযুক্তকে জেলে পাঠায়। দেশের যে কোনও পদে, যে কেউ থাকুক না কেন, সে জেলে যাবে কিনা, নির্ভর করে আদালতের ওপর। আপনি (Sanjay Singh) জেলে গিয়েছিলেন, প্রথমে এজেন্সির জন্য। পরে যখন জেলে ছিলেন, সেখানে আদালতের নির্দেশ ছিল।”

    সঞ্জয়ের অভিযোগ (Jail Budget)

    সঞ্জয়ের (Sanjay Singh) অভিযোগ, মোদি সরকার কোনও সমস্যার সমাধান চায় না। ন্যায় বিচার চায় না। সরকার চায়, শুধু বিরোধীদের নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে ভরে রাখতে।”

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    তাঁর আরও অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অসুস্থ। তা সত্ত্বেও তাঁকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি একদা জামিন পেয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে চলে গিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা চাইছে, যে কোনও ভাবে তাঁকে জেলে রাখতে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: “ভেঙে দিলেও আবারও বসব”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে হুঁশিয়ারি দিলেন হকাররা

    Barasat: “ভেঙে দিলেও আবারও বসব”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে হুঁশিয়ারি দিলেন হকাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হকার উচ্ছেদ শুরু হল উত্তর ২৪ পরগনার (Barasat) বারাসতে। শনিবার কোর্ট চত্বরে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হল রাস্তার পাশে ফুটপাতে তৈরি হওয়া  প্রায় ৮০টি দোকান। কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা। উচ্ছেদ হওয়া হকাররা (Hawker) প্রকাশ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    ভেঙে দিলেও আবারও বসব (Barasat)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ। যারা মূলত বেআইনিভাবে রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য প্রথমে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পরে, তা থেমে যায়। হকারদের আশা ছিল, আর ভাঙা হবে না। এদিন সকালেই বারাসতের (Barasat) কোর্ট চত্বরে বুলডোজার নিয়ে এসে দোকান ভাঙা শুরু হয়। পুরসভার কর্মী, কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বারাসত থানার পুলিশ কর্মীরা ছিলেন। স্বপন হালদার নামে এক হকার বলেন, আগেই দোকান ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু, ভাঙেনি। আমরা ভেবেছিলাম, দোকানে আর হাত পড়বে না। আমি নিজে তৃণমূল করি। এখানে অনেকেই আমার সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের মিটিংয়ে গিয়েছিল। মিটিং শেষ হয়ে গেল। আর আমাদের কথা ভাবল না। দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। এখানেই ফের দোকান করব। রূপা মজুমদার নামে আর এক হকার বলেন, ২৫ বছর ধরে দোকান করছি। কিছুদিন আগেই পুরসভার কর্মীরা এসে তথ্য নিয়ে গেল। আমরা ভেবেছিলাম, আর ভাঙা হবে না। কিন্তু, এদিন সব শেষ করে দিল। আমরা মেনে নেব না। আমি এখানে আবার বসব।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

     পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে বারাসত (Barasat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ” জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতদিন আগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো এদিন দোকান ভাঙা হয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। ওপর থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে, আমরা তা শুধু পালন করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের উপর ঝোড়ো হাওয়া বইছে। নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাব এখনও কাটেনি। সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও ২৪ ঘণ্টা এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্নচাপটি ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির (Heavy rain) সম্ভাবনা রয়েছে।

    আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Weather Update)

    বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। শনিবার থেকে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিসের তরফে কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সর্তকতাও জারি করা হয়নি। তবে বৃষ্টি চলবে সর্বত্র। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একাধিক জেলায় আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Heavy rain) হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা

    একই ভাবে বৃষ্টি (Weather Update) চলবে উত্তরবঙ্গেও। সেখানে অবশ্য দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও তেমন ভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগরের উপরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংগলগ্ন এলাকায় ঝড়ো (Weather Update) হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি হবে। তবে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারেও পৌঁছাতে পারে। সমুদ্রের পরিস্থিতি এখন উত্তাল। সেই জন্য আপাতত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

    শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি কম। শনিবার দিনেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biswanth Chowdhury: ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    Biswanth Chowdhury: ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্ৰাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল ও জেলাবাসী শোকাহত। জেলার এক রাজনৈতিক যুগের অবসান ঘটল বলে রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করছেন।

    টানা সাত বারের বিধায়ক

    বাম আমলের মন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ। টানা সাত বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৩৪ বছরের বাম শাসনকালের মধ্যে প্রায় আড়াই দশক ধরে মন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের কারা ও সমাজকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে প্রথম বার বিধায়ক হন বিশ্বনাথ। ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বালুরঘাটের একটি হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েকমাস আগে বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী মারা যান। তারপর গত কয়েকদিন আগে তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অসুস্থ থাকার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে

    এই বিষয়ে বামফ্রন্টের নেতা তথা বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর দত্ত বলেন, বিশ্বনাথদার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি আমাদের দলের এক অন্যতম মুখ ছিলেন। এই জেলার প্রতি তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কলকাতা থেকে বালুরঘাটে তাঁর নিজের বাড়িতে মরদেহ আনার ব্যাবস্থা চলছে। এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, বিশ্বনাথবাবু একজন বর্ষীয়ান নেতা, তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, রাজনৈতিক মহলে এক বড় নক্ষত্রের পতন হল। তিনি অন্য দলের হলেও তিনি তো আমাদের বালুরঘাট শহরের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন।

    বালুরঘাটবাসী কী বললেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের (Balurghat) বাসিন্দারা বলেন, বিশ্বনাথবাবু আমাদের বালুরঘাটের এক অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বালুরঘাটের প্রতি তাঁর অবদানের কথা আমরা কোনওদিন ভুলব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল বিজয় দিবসের পরের দিনই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হল কাশ্মীর উপত্যকায় (Jammu Kashmir)। শনিবার কুপওয়ারার (Kupwara) কামকারি এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক মেজর-সহ পাঁচ সেনা। ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। 

    কী ঘটেছিল

    সেনা সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে এলওসি-তে ওই হামলার (Jammu Kashmir) ঘটনায় পাক সেনার নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি এবং জঙ্গিদের যৌথবাহিনী ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (ব্যাট) জড়িত। শুক্রবার ওই এলাকায় জঙ্গিদের গতিবিধির ‘খবর’ এসেছিল। তারই ভিত্তিতে অভিযানে নেমে হামলার মুখোমুখি হয় সেনা।

    ব্যাট কি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা এই বাহিনীর সাহায্যেই উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে। এখন জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ভৌগোলিক অবস্থান জানার জন্য অত্যাধুনিক জিপিএস ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় সেনাও উন্নততর প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে।

    পরপর সংঘর্ষ

    শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নেরন্দ্র মোদি জঙ্গিদমনে আরও কড়া হুঁশিয়ারি দেন। ঠিক তার পরের দিনই উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Kupwara)। এর আগে গত ২৪ জুলাই লোলাব এলাকায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সেনার তরফে জানানো হয়, ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি এখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Army: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    Indian Army: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় (Indian Army) সেনাবাহিনীর জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। ২৬ জুলাই ২০২৪ কার্গিল বিজয় দিবসের (Kargil Vijay Diwas) বিশেষ দিনে টেলিকম বিভাগের তরফে সামাজিক মাধ্যমে বরফের চাদর মোড়া পাহাড়ের উপর এক সেনা জওয়ানের ছবি পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে লেখা ছিল, “কার্গিলে আমাদের সেনাদের জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায়।”

    ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল নেটওয়ার্ক (Indian Army)

    ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) শেষ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে এই দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কার্গিল এবং আশপাশের পাহাড়ে পাকিস্তানি সেনাকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার সেই উপলব্ধিকে প্রত্যেক বছর ভারত সরকার ধুমধাম করে পালন করে। এই যুদ্ধে ৫২৮ জন (Indian Army) জওয়ান নিজের জীবনের বলিদান দিয়েছিলেন। তাঁদের স্মৃতিতে সারা ভারত জুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার সেনার বলিদান স্মরণ করে তাঁদের একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছে টেলিকম বিভাগ। যে সময় যুদ্ধ হয়েছিল তখন এই অঞ্চলের মোবাইল পরিষেবা তো দূর অস্ত টেলিফোন পরিষেবাও ছিল না। যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন এবং সেনার নিজস্ব কিছু পদ্ধতির উপরে ভরসা করতে হত। কিন্তু এখন সারা বছর এই অঞ্চলে যারা মাইনাস তাপমাত্রায় তাদের কর্তব্য পালন করে, তাঁদের স্বাভাবিক জীবনের কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেনা জওয়ানরা সহজে পরিবারের সঙ্গে শুধু কথা বলতে পারবে। এমনকি তাঁদের কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।

    সেনাকে উপহার

    অন্যদিকে কার্গিল বিজয় দিবসকে (Kargil Vijay Diwas) একটু আরও বিশেষ করার উদ্দেশ্যে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে (Indian Army) সেনাবাহিনীকে উপহার পাঠানো হয়। শিল্পপতি নিজেই একটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে আপলোড করে লিখেছেন, “১৪০ কোটি ভারতবাসীর তরফে এই উপহার পাঠানো হয়েছে। ভারতবাসী শুধু সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে চায়, এমন নয়। সেনাকে তাঁরা পরিবারের সদস্য মনে করে। কারণ তাঁরা নিজেদের জীবন বাজিয়ে রেখে আমাদের জীবন বাঁচান।”

    কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (Kargil War)

    কার্গিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালে মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত হয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল যখন শীতের সময় বরফের চাদরের আড়ালে পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাঁরা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ভারতীয় দিকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে। দখল করা এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী (Indian Army) ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করেছিল।

    আরও পড়ূন: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    ভারতীয় বাহিনী অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানীদের পিছু হটিয়ে যুদ্ধে (Kargil Vijay Diwas) জয়ী হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্টে ইউক্রেন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। তারপর এই প্রথম কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অগাস্টেই রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই মাসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করে ইউক্রেনও। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁকে আমন্ত্রণ জানায় ইউক্রেনও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই কিভ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি! (PM Modi)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দাঁড়ি টানতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েও সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জড়িয়ে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। ২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। কূটনৈতিক কৌশলেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

    বাতাসে বারুদের গন্ধ

    জুন মাসে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোদি। ইতালির ওই সম্মেলনে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেছিলেন মোদি। জাপানেও একান্তে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। ফোনেও কথা হয়েছে একাধিকবার। প্রত্যেকবারই উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তার পরেও যুদ্ধ চলছেই। মোদি-জেলেনস্কির এহেন কথোপকথনের আগে কিন্তু মোদি-পুতিনের আলিঙ্গনের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    জেলেনস্কি বলেছিলেন, “বৃহত্তম গণতন্ত্রের (PM Modi) প্রধানমন্ত্রী একজন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে এটা বিরাট একটা ধাক্কা।” উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, “আমরা ভারতকে বলছি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

    চলতি মাসেই ভারত-ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। ১৯ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনা (Russia Ukraine War) হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে আজ ৭টি খেলায় নামছে ভারত, জেনে নিন কখন-কোন খেলা

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে আজ ৭টি খেলায় নামছে ভারত, জেনে নিন কখন-কোন খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যেন নদীতে মার্চপাস্টের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024)। শনিবার পুরোদমে শুরু হয়ে যাচ্ছে অলিম্পিক্সের আসর। মোট সাতটি খেলায় আজ নামছে ভারত। ব্যাডমিন্টনে নামছেন লক্ষ্য সেন। শ্যুটিংয়ে নামছেন অন্যতম ফেবারিট মনু ভাখের। টেনিসে রয়েছে রোহন বোপান্নার খেলা। হকিতে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ। সব খেলা দেখা যাবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। মোবাইলে খেলা দেখা যাবে জিয়ো সিনেমা অ্যাপে। দলগত থেকে ব্যক্তিগত সব ইভেন্টেই নামবে টিম ইন্ডিয়া (Olympics 2024 Today’s India’s Event)।

    কখন কোন খেলা (Paris Olympics 2024)

    রোয়িং: দুপুর সাড়ে ১২টায় রয়েছে রোয়িং। যেখানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলরাজ পনওয়ার। তিনি পুরুষদের সিঙ্গলস স্কালস হিটে নামবেন। এই ইভেন্টে বলরাজের সামনে রয়েছেন গ্রিসের স্টিফানোস, যার কাছে রয়েছে অলিম্পিক্সের বেস্ট টাইমের রেকর্ড।

    ব্যাডমিন্টন: ২৭ তারিখের সন্ধ্যেটা ভারতের ব্যাডমিন্টনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যে ৭টা ১০ মিনিটে নামছেন লক্ষ্য সেন। তাঁর সামনে কেভিন কর্ডন। ছেলেদের ডাবলসে নামবেন সাত্ত্বিক সাইরাজ ও চিরাগ শেট্টি। এটা হবে রাত ৮টার সময়। ভারতের ব্যাডমিন্টনের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই দুটো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। রাত ১১টা ৫০ মিনিটে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন ডাবলে নামবে তানিশা ক্রাস্তো ও অশ্বিনী পোন্নাপ্পার জুটি।

    টেবিল টেনিস: রাত ৭টা ১৫ মিনিটে হরমীত দেশাই নামবেন ছেলেদের সিঙ্গলসে। তাঁর প্রতিপক্ষ জর্ডনের জ়াইদ আবো ইয়ামান। হরমীতের কাছে এটা সহজ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বক্সিং: রাত ১২টা নাগাদ প্রীতি পাওয়ার নামবেন মেয়েদের ৫৪ কেজি প্রিলিমিনারি রাউন্ডে। তাঁর প্রতিপক্ষ ভিয়েতনামের থি কিম আন ভো।

    হকি: রাত ৯টায় ভারতের পুরুষ হকি দল নামবে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

    টেনিস: রোহন বোপান্না এবং এন শ্রীরাম বালাজি বিকেল ৫টায় নামবেন। তাঁরা রোলা গাঁরোর কোর্ট ১২ তচে নামবেন। তাঁর প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের ফ্যাবিয়েন রিবোল ও এডুয়ার্ড রজার ভাসেলিন।

    পদকের লড়াই (Paris Olympics 2024)

    শুটিং: ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড টিম কোয়ালিফিকেশনের (Paris Olympics 2024) লড়াই হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। এবার ভারতের দুটো শক্তিশালী দল রয়েছে। রিমিতা এবং অর্জুন বাবুতা ও এলাভেনি ভালারিভান এবং সন্দীপ সিং। ফাইনালে যেতে গেলে শীর্ষে থাকা চার দলের মধ্যে শেষ করতে হবে। পদকের লড়াই হবে দুপুর ২টো থেকে। ছেলে ও মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল বাছাই পর্বে অর্জুন সিং চিমা এবং সরবজোৎ সিং ফাইনালের জন্য নামবেন। মেয়েদের মধ্যে মনু ভাখের এবং রিদিম সাংওয়ান নামবেন। শেষ চার বছর মনুর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। টোকিও অলিম্পিক্সে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি অবশ্য কামব্যাক করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share