Tag: bangla news

bangla news

  • Childhood Obesity: অতিরিক্ত খাবার নাকি পুষ্টিকর খাবারের অভাব, শিশুদের সমস্যা বাড়াচ্ছে কোনটা?

    Childhood Obesity: অতিরিক্ত খাবার নাকি পুষ্টিকর খাবারের অভাব, শিশুদের সমস্যা বাড়াচ্ছে কোনটা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই সমস্যা এখন বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভারতীয় শিশুদের অসুস্থতার অন্যতম বড় কারণ হল জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল স্থূলতা (Childhood Obesity)। ভারতের প্রায় ৪০ লক্ষ শিশু এই সমস্যায় ভুগছে। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ‘হু’। তারা জানাচ্ছে, ওজন নিয়ে সচেতনতা তৈরি না হলে পরবর্তী জীবনে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে সার্বিক সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Childhood Obesity)

    তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের বড় অংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছয় থেকে সাত বছর বয়স থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আর তার জেরেই দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ভারতীয় ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মতো নানান রোগে খুব কম বয়স থেকেই আক্রান্ত হচ্ছে (Excess Food)। এমনকী বয়স তিরিশের চৌকাঠে‌ পৌঁছানোর আগেই ভারতীয়দের হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। এর পাশপাশি বাড়ছে ক্লান্তি। কমছে কর্মদক্ষতা। অনিয়ন্ত্রিত ওজনের জেরে অধিকাংশ ভারতীয় শিশুর এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিশুদের ওজনে অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা স্থূলতার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কেন ভারতীয় শিশুদের স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থূলতার (Childhood Obesity) সমস্যার অন্যতম কারণ, অপুষ্টিকর খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস। এর জেরে একদিকে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, আরেকদিকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে শরীরে ফ্যাট প্রবেশ করছে। ওজন বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর খাবারের ধারণা এখনও অধিকাংশ অভিভাবকের কাছেই অস্পষ্ট। তাই ‘ভালো খাবার’ হিসেবে যা শিশুকে দেওয়া হয়, অধিকাংশ সময়েই তার জেরে শিশুর শরীরে বিপদ বাড়ছে।
    তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের স্তন্যপান করানো নিয়ে এখনও নানান অসচেতনতা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একযোগে প্রচার করার পরেও, বহু পরিবারে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ পর্যাপ্ত, এই ধারণা এখনও সর্বত্র নেই। তাই অনেক সময়েই শিশুকে নানান বাজারচলতি প্যাকেটজাত দুধ ও খাবারে অভ্যস্ত করা হয়। কিন্তু এই সমস্ত খাবারে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা। যা শরীরের ওজন মারাত্মক বাড়িয়ে‌ তোলে। 
    পাশপাশি, অধিকাংশ পরিবারেই শিশুরা খুব কম বয়স থেকেই চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার অধিকাংশ শিশু নিয়মিত খায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে রুটি, পালং শাক, বিট, গাজর, মোচা, কুমড়োর মতো খাবার। কিন্তু এই ধরনের খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়। আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাট না থাকায়, শিশু সুস্থ থাকে। কিন্তু খাবার নিয়ে এই সচেতনতার অভাব বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই ভারতে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? (Childhood Obesity)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই শিশুকে অতিরিক্ত খাওয়ানোর মানসিকতায় বদল জরুরি। অধিকাংশ অভিভাবকদের সমস্যার জেরেই শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুর ওজন ও বৃদ্ধি ঠিক থাকার পরেও অধিকাংশ অভিভাবকদের অভিযোগ থাকে শিশু ঠিকমতো‌ খায় না। অভিভাবকদের কর্মশালা জরুরি। খিদে পেলে শিশু জানাবে এবং সে খাবে, এটাই সুস্থ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, এই সম্পর্কে এখনো অধিকাংশ অভিভাবক ওয়াকিবহাল নয়। এর জেরে প্রথম থেকেই তাঁরা শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার (Excess Food) খাওয়ায় অভ্যস্থ করে তোলেন। আর কী খাওয়ানো হচ্ছে, সেদিকেও নজরদারি জরুরি। সবজি, ফল, দানাশস্য, নানান ধরনের বাদামের পাশপাশি নিয়মিত বাড়িতে‌ তৈরি মাছ, মাংস, ডিম পরিমিত পরিমাণে শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে তেল কিংবা বাটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিমাণে নজরদারি জরুরি। স্থূলতার সমস্যা এড়াতে হলে যে কোনও প্যাকেটজাত খাবার একেবারেই দেওয়া চলবে না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনের ভারত সফরে এলেন ইংল্যান্ডের (India UK Relation) বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। বুধবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছন তিনি। সদ্যই ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। তার পর (Free Trade Agreement) থেকে ল্যামিই প্রথম পদস্থ কর্তা, যিনি রাজার দেশ থেকে এলেন ভারত সফরে। প্রসঙ্গত, টানা ১৪ বছর ব্রিটেনের ক্ষমতায় ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে তাদের পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হন কিয়ের স্টার্মার।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Relation)

    জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ল্যামি। পরে তিনি যাবেন লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে, এশিয়ান (ASEAN) বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে। লাওসের এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এদিন নয়াদিল্লিতে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। জানা গিয়েছে, জয়শঙ্কর-ল্যামি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর।

    মোদি-স্টার্মার আলোচনা

    ব্রিটেনের নির্বাচনে জয়ের জন্য স্টার্মারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের (India UK Relation) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে স্টার্মারও কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। টেলিফোনিক ওই আলোচনায় দুই রাষ্ট্রনেতাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে রূপায়ণ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার ফোনে মোদিকে জানিয়েছিলেন, যেটা দু’তরফের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক হবে (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি), সেটা বাস্তবায়িত করতে তিনি এক পায়ে খাড়া।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি-সহ নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টাকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ব্রিটিশ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে স্টার্মার-মোদির টেলিফোনিক আলোচনার নির্যাস। প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জটিল এবং নয়া উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মায় জয়বায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও গভীর সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    উল্লেখ্য, গত জুনে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের আগে আগে ল্যামি জোর দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) চূড়ান্ত করার ওপর (India UK Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট

    Bangladesh Protest: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারফিউ (Bangladesh Protest) শিথিল হতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বুধবার থেকে খুলেছে অফিস-কাছারি। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলিকে চার ঘন্টা দফতর খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিনই খুলেছে বিভিন্ন কলকারখানা। সরকারি এবং সরকারি ব্যাংক ফের খুলেছে।

    স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)

    টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হিংসাত্মক আন্দোলনের পর বুধবার কারফিউ আংশিক শিথিল হতেই রাস্তাঘাটে শুরু হয়েছে যান চলাচল। ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ঢাকার রাজপথেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়। প্রসঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জামাত ও বিরোধী দল বিএনপি (Quota Protest) ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে হিংসাত্মক গতিবিধি বাড়িয়ে তুলতেই শুক্রবার রাত থেকে গোটা বাংলাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। মাঝে অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করা হয় কারফিউ। রবিবার থেকে মঙ্গলবার টানা তিন দিন পর্যন্ত সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করেছিল হাসিনা সরকার। তবে সেই ছুটি আর বাড়ানো হয়নি। বুধবার থেকেই চার ঘন্টা অফিস কাছারি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। না হলে সংকট বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল।

    আরও পড়ূন: কোটা আন্দোলনের জেরে বন্ধের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য

    এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বাসিন্দাদের। কারফিউ শিথিল করে ফের স্বাভাবিক ছন্দে জনজীবন চালু করাই সরকারের উদ্দেশ্য।

    ৮০০ জন গ্রেফতার (Quota Protest)

    কারফিউ শিথিল হলেও ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরের রাস্তায় এখনও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং পুলিশ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে (Bangladesh Protest) হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৮০০ জনের বেশি (Quota Protest) বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসাত্মক আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত সচিবকে গলা টিপে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত সচিবকে গলা টিপে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের দাদাগিরি। এবারে সরকারি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রশ্ন উঠছে, একজন শাসকদলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হয়ে যদি এইভাবে সরকারি কর্মীর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করতে পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    গত ২০ জুলাই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে উপ-প্রধানের (Trinamool Congress) সঙ্গে পঞ্চায়েতের (South 24 Parganas) সচিব ভিক্টর মিশ্রের বিবাদ বাধে। এরপরই পঞ্চায়েত সচিবকে উপ প্রধান গলা টিপে ধরে বেধড়ক মারধর করে। হামলার সেই সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে, সেই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিওটিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাবির মোল্লা দলবল নিয়ে এসে ওই পঞ্চায়েত সচিব ভিক্টর মিশ্রর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাবির মোল্লার বিরুদ্ধে ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, ওই আধিকারিক নিজেই মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের চাপেই কি মুচলেকা দিয়ে সমস্ত কিছু তুলতে হল সরকারি আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিডিও (South 24 Parganas) সৌরভ গুপ্তা বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে অবশ্যই নিন্দনীয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের ওই সরকারি কর্মী একটি মুচলেকা দিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, যাতে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের (Trinamool Congress) কুলপি ব্লকের (South 24 Parganas) সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার বলেন, মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র ঠেলাঠেলি হয়েছে। আর সেখানে হাত চলাটা স্বাভাবিক। উপপ্রধানকে ১৫ দিন অঞ্চলে আসতে না বলা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে জেলার বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের সম্পাদক স্বপন হালদার বলেন, এটা শুধু কুলপিতে নয়, গোটা রাজ্যে আইনের শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আজ সেখানে পঞ্চায়েতের কর্মী মার খেয়েছেন, কালকে বিডিও মার খেতে পারেন। এটা নিয়ে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: ২৫ লাখ নতুন উপভোক্তা! দলে দলে বিএসএনএল-এ ভিড়ছেন মানুষ, কেন জানেন?

    BSNL: ২৫ লাখ নতুন উপভোক্তা! দলে দলে বিএসএনএল-এ ভিড়ছেন মানুষ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বিএসএনএল (BSNL) ৪জি নেটওয়ার্কের পরিষেবা দিচ্ছে। সরকার অধিকৃত এই টেলিকম সংস্থা বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই জারি রেখেছিল প্রতিযোগিতার বাজারে। বিশেষত জিও এবং এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক পরিষেবার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিল না বিএসএনএল। কিন্তু সম্প্রতি জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়া এই বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি নিজেদের রিচার্জ প্ল্যানিং বাড়িয়ে দিয়েছে, এরই ফলে অনেক মানুষের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার। দেখা যাচ্ছে বিএসএনএল (BSNL) ২৫ লাখ নতুন উপভোক্তা পেয়েছে ও আড়াই লাখ গ্রাহক মোবাইল নম্বর পোর্ট (Port Mobile Number) করে বিএসএনএল-এ ফিরতে চেয়েছেন গত কয়েক সপ্তাহে।

    নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষজনের পক্ষে এত দামী রিচার্জ প্ল্যানিং ব্যবহার কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে

    চলতি মাসেই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিএসএনএল তাতে দেখা যাচ্ছে গত ৩ ও ৪ জুলাই বিএসএনএল-এ (BSNL) নতুন উপভোক্তা সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে একলাফে ২৫ শতাংশ। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বিপুল সংখ্যক মানুষ গত কয়েক সপ্তাহে বিএসএনএল-এর কানেকশন নিয়েছেন। এর কারণ একটাই, জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়ার মতো সংস্থাগুলি প্রতিমুহূর্তে তাদের রিচার্জ প্ল্যানিং বাড়িয়েই চলেছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষজনের পক্ষে এত দামী রিচার্জ প্ল্যানিং ব্যবহার কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বর্তমান দিনে শুধু বিনোদন নয় সরকারি থেকে অফিসিয়াল কাজে স্মার্টফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেখানে রিচার্জ প্ল্যানিং-এ এত বিপুল খরচ সাধারণ মানুষ কীভাবে টানবেন? এ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    ‘বিএসএনএল কী ঘর ওয়াপসি’ (BSNL) 

    এ নিয়ে সমাজ মাধ্যমে উপভোক্তারা সমালোচনাও করেছেন (Port Mobile Number)। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিএসএনএল (BSNL) কী ঘর ওয়াপসি’ ইত্যাদি। নতুন ভাবে উপভোক্তা সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ বাড়া – এর একটাই কারণ, বেসরকারি মোবাইল সংস্থাগুলির রিচার্জের প্ল্যানের বিপুল টাকা টানতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিএসএনএল-এ ভিড়ছেন মানুষ। এনিয়ে সংস্থার বিপণন বিভাগের আধিকারিক তারকনাথ দাস বলেন, ‘‘পরিষেবা আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। আমরা দ্রুত ৪জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। দুর্গাপুরে এখনও ৪জি পরিষেবা দেওয়া যায়নি। তবে এই সার্কেলের বর্ধমান, সিউড়িতে ৪জি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে গ্রাহক সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electric Car: দেশ ছেয়ে যাবে ইলেকট্রিক গাড়িতে! প্রয়োজন ১২০০ কোটি, বললেন বিজ্ঞানী

    Electric Car: দেশ ছেয়ে যাবে ইলেকট্রিক গাড়িতে! প্রয়োজন ১২০০ কোটি, বললেন বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূষণ এবং তেল আমদানির খরচ কমাতে দ্রুত দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির (Electric Car) ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। গাড়ি শিল্পের একাংশের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই, তিন ও চার চাকার যাত্রিবাহী বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারও উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছবে। ২০৩০ সালে মোট গাড়ির ৩০% হবে বৈদ্যুতিক এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অধ্যাপক অজয় ​​কুমার সুদ জানান, খুব শীঘ্রই পেট্রোল এবং ডিজেলে চলমান গাড়িগুলি হারিয়ে যাবে। তাঁর কথায়, ভারত সরকার যদি বৈদ্যুতিন গাড়ি রাস্তায় নামানোর জন্য ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে, দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি ছেয়ে যাবে।

    বিশেষজ্ঞের মত (Electric Car) 

    অধ্যাপক সুদ জানান, খুব শীঘ্রই ভারতে বৈদ্যুতিন যানবাহনগুলি পছন্দের মাধ্যম হয়ে উঠবে। সুদ বলেন, “২০২৪ সালের প্রথমার্ধে, ভারতে প্রায় ৯ লক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহন (Electric Car) বিক্রি হয়েছিল, কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশে চলে যাবে।” বৈদ্যুতিক যানবাহন সাশ্রয়ী এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, বলে আশা সুদের। তবে এর জন্য প্রয়োজন চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। বৈদ্যুতিক যানের জন্য  ব্যাটারি প্রযুক্তিতে অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। অধ্যাপক সুদ বলেন, “সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারি এবং অ্যালুমিনিয়াম-আয়ন ব্যাটারির উপর গবেষণা আশার সঞ্চার করেছে।” সস্তা, হালকা, নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি তৈরি করাই ইলেকট্রিক যানের আসল চাবিকাঠি।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    বাজেটে অটো-মোবাইল ক্ষেত্র

    ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2024) পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন যে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম এবার কমানো হচ্ছে। এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি মূলত বৈদ্যুতিন গাড়ি (Electric Car) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আর এই ব্যাটারির দাম কমে গেলে গাড়ির দামও অনেকটাই কমে যাবে। দেশে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বাড়াতে কেন্দ্র সরকার একের পর এক পদক্ষেপ করছে। এমনকী এই ধরনের বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বাড়াতে সরকার একটি নতুন ইভি নীতিও ঘোষণা করেছে। এই নতুন ইভি নীতিতে কোনও বৈদেশিক সংস্থা যদি ৫০ কোটি ডলারের বেশি এই দেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করে এবং ৩ বছরের মধ্যে দেশে কারখানা স্থাপন করে, তাহলে সেই সংস্থা সম্পূর্ণরূপে আমদানি করে ছাড় পাবে। প্রফেসর সুদ বলেন যে ভারতের অটোমোবাইল সেক্টর দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। বৈদ্যুতিন যানের ক্ষেত্রে বর্তমান আমদানি-নির্ভর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে ভারতকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Plane Crash: ১৯ যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়ল বিমান, ১৮ জনের মৃত্যু, বেঁচে একমাত্র পাইলট

    Nepal Plane Crash: ১৯ যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়ল বিমান, ১৮ জনের মৃত্যু, বেঁচে একমাত্র পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে নেপালে (Nepal Plane Crash)। বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সূর্য এয়ারলাইনসের একটি বিমান, ‘টেক অফ’-এর কিছু সময় পরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বিমানটি। এরপর আগুন ধরে যায় ক্রু। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা বিমান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে বিমান বন্দরের কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীর কর্মীরা। এরপর শুরু হয় উদ্ধার কাজ, আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বিমান পরিষেবা।

    সকাল ১১টার সময় ঘটনা ঘটেছে (Nepal Plane Crash)!

    ঘটনা যখন ঘটেছিল, সেই সময় নেপালের (Nepal Plane Crash) আবহাওয়া খারাপ ছিল। ‘টেক অফ’-এর একটু পরেই আগুন ধরে যায় এই যাত্রীবাহী বিমানটিতে। সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়েছিল চাকা। সকাল ১১টার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়,  রানওয়ে ছাড়তেই বিমানটি বাঁক নিয়ে আছড়ে পড়ল পাহাড়ি এলাকায়। তার পরই একটা বিস্ফোরণ হয়। দু’টুকরো হয়ে যায় বিমানটি। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সাউথ এশিয়া টাইমের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জন যাত্রীর এবং ক্রু সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র বিমান চালককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে পাইলটের অবস্থাও সঙ্কটজনক। তাঁকে শিনামঙ্গলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” 

    আরও পড়ুনঃ প্যারিস অলিম্পিক্সে পর্যটকের সংখ্যা কমের আশঙ্কা! হোটেল ভাড়া ক্রমশ নিম্নমুখী

    আগেও হয়েছে নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

    ২০১০ সাল থেকেই নেপালে (Nepal Plane Crash) একেরপর এক বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১৪ বছরে অন্তত ১২টি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার আরও একটি ঘটল। এই বছরের জানুয়ারি মাসে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আগুন ধরে পোখরায় পড়ে গিয়েছিল বিমানটি। ওই বিমানে মোট ৭২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সকলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। বার বার কেন এই রকম বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতন ইস্যুতে বুধবার সকাল থেকে তপ্ত বিধানসভা (West Bengal Legislative Assembly) অধিবেশন। এরই মধ্যেই নিজের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “বিধানসভার মধ্যেও আমরা নিরাপদ নই!”

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরু থেকেই নারী নির্যাতন ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি পাল্টা বলেন, “নারী নির্যাতন ঘটনা ঘটলে সবার আগে বাংলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। ক্রিমিন্যাল জাস্টিস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে রাজ্যের হাত থেকে।” আর সে ইস্যুতে তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেন শাসক বিধায়করাও। প্রথম পর্বের অধিবেশন শেষ হয়। এরপর বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগ, সেই সময়েই বিধানসভার ভেতরে শুভেন্দুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই বাগ্‌বিতণ্ডার সময়েই তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে হেনস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে ৮২ রানে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত

    বিরোধী দলনেতার মন্তব্য  

    এ প্রসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ”বিধানসভার লবিতে আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, তখন পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চান। বিজেপি এমএলএ-রা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাইরে রাখার অর্ডার রয়েছে। আমি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, লিখে পাঠাচ্ছি এখনই।” স্পিকারকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধানসভার মধ্যে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করা হল। একবার হাউসের ভিতরে করেছেন, আজকে লবিতে করলেন। আমি বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছি। কোনও বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হলে, তার দায় স্পিকারের।” স্পিকার হিসেবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও চিঠিতে স্পষ্টভাবে লিখেছেন শুভেন্দু। 
    একই সঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। যদিও শুভেন্দুর আনা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI data: ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI data: ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তুলনায় ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে দেশে কর্মসংস্থানের হার ৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Data)। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই হার ৩.২ শতাংশ বেড়েছিল বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সংখ্যার বিচারে এই বৃদ্ধি ৪.৬৭ কোটি বলে জানা গিয়েছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে দেশে কর্মসংস্থানের (Employment Rate) সংখ্যা ছিল ৫৯.৬৭ কোটি, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩৩ কোটি। আরবিআই যে ডেটা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে দেশে কর্মসংস্থান ছিল ৫৬.৫৬ কোটি।

    শহরাঞ্চলে কমেছে বেকারত্ব (RBI Data)

    সমগ্র ভারতীয় অর্থনীতির ওপরে এই ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর পাশাপাশি এই ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে সর্বভারতীয় স্তরে কৃষি, উৎপাদন এবং পরিষেবা- এই তিনটি বিভাগেই। সম্প্রতি, পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে যে ডেটা প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান মন্ত্রকের অধীনে, তাতে দেখা যাচ্ছে শহরাঞ্চলে বেকারত্ব (RBI Data) ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বছরে (Employment Rate) ছিল ৬.৮ শতাংশ, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৭ শতাংশ।

    কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা অনুপাতে মহিলাদের অনুপাত বেড়েছে শহরাঞ্চলে (RBI Data)

    এই ডেটা ১৫ বছর ও তার ওপরের বয়সের যুবক-যুবতীদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মহিলাদের ক্ষেত্রেও বেকারত্ব বেশ খানিকটা কমেছে বলে উল্লেখ করেছে আরবিআই। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে মহিলাদের বেকারত্ব ৯.২ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা অনুপাতে মহিলাদের অনুপাত (RBI Data) বেড়েছে শহরাঞ্চলে। ২০.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ২৩.৪ শতাংশে। এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্বদের কর্মসংস্থানও ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে যা ছিল ৪৫.২ শতাংশ ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৯ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC Conflict: দলীয় কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করলেন তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের  সুজালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মজিবুর রহমান (৬০)। তাঁর বাড়ি সুজালি গ্রামে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় তৃণমূল নেতা শেখ ফরাজুলসহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল নিহত ওই তৃণমূল কর্মী মজিবুর রহমানের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যা হুসনেরা খাতুনের স্বামী শেখ ফরাজুলের মধ্যে। মজিবুরের নামে কয়েক বিঘা জমি ছিল। ক্ষমতার জোরে সেই জমি জোর করে দখলে রেখেছিলেন ফরাজুল। পরে, মজিবুর সেই জমি নিজের দখলে আনার চেষ্টা করলে বিবাদ (TMC Conflict) শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ফরাজুল দলবল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মজিবুর একাই তাঁদের বাধা দেন। জমির মধ্যেই তৃণমূল নেতা ফরাজুলের নেতৃত্বে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর (North Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে একটি বিবাদ চলছিল। মজিবুর রহমান একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। বুধবার সেই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষ হয়। তাতে মজিবুর রহমানকে খুন করা হয়। আমরা দলগতভাবে এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে (North Dinajpur) জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share