Tag: bangla news

bangla news

  • Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে চলত জুয়া-সাট্টার কারবার। আর এলাকায় এসব কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদ করেছিলেন অনিল রায় নামে যুবক। আর সেই প্রতিবাদী  যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুরের (Barrackpore) মোহনপুরে। আক্রান্ত যুবকের বাড়ি চক কাঁঠালিয়া এলাকায়। তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর (Barrackpore) এলাকায় খাস জমিতে বেশ কয়েকটি দোকানঘর রয়েছে। সেখানে অনিল রায় নামে স্থানীয় এক যুবক দোকান ঘর করার পরিকল্পনা করেন। ওই জমির ওপর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ মুন্নার, মোশারেক আলিদের নজর ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই অনিল দোকান ঘর তৈরির কাজ করছিলেন। সোমবার শেখ মুন্না, মোশারেক আলি দলবল নিয়ে অনিলের ওপর হামলা চালান। বাঁশ দিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অনিলের এক আত্মীয় বলেন, এলাকায় তৃণমূলের নামে করে মুন্নারা যা খুশি করে বেড়ায়। এই এলাকায় সাট্টার কারবার চালায় তৃণমূল কর্মীরা। অনিল তার প্রতিবাদ করেছিল। সেই রাগ ছিল। এবার দোকান করার সময় পুরানো রাগ ওরা মিটিয়ে নিল। আমরা চাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কারণ, অনিল সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। তাই, তৃণমূলের (Trinamool Congress) ওই কর্মীরা তাকে সহ্য করতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ৮ জন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কী কারণে হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nikhil Lemo: ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছেন? চিন্তা নেই, মনে করিয়ে দেবে রোবট

    Nikhil Lemo: ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছেন? চিন্তা নেই, মনে করিয়ে দেবে রোবট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে হয়তো দশ-বিশটা ওষুধ খেতে হয়। মনেও থাকে না সব সময়। তাই কোনও ওষুধ হয়ত দুবার খাওয়া হয়ে গেল। কোনওটা হয়ত আবার খাওয়াই হল না। নিট ফল, ব্যাধির বিকার বেড়েই চলল। কষ্টার্জিত পয়সা ধ্বংসের পাশাপাশি রোগীরও আর রোগ আরোগ্য হয় কই? তবে এবার আর এসব নিয়ে ভাবতে হবে না আপনাকে। কারণ আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে ‘মেডিটেল’ (Meditel) নামের একটি পুচকে রোবট। আবিষ্কারকও যে কেউকেটা, তা কিন্তু নয়। মেডিটেল যার ব্রেন চাইল্ড, সে (Nikhil Lemo) পড়ে একাদশ শ্রেণিতে, গুজরাটের ভাদোদরার নবরচনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

    নিখিল লেমোর আবিষ্কার (Nikhil Lemo)

    নয়া আবিষ্কৃত এই যন্ত্রের একটা জুতসই নামও দিয়েছে নিখিল লেমো নামের ওই পড়ুয়া। মানবযন্ত্রটির নাম মেডিটেল। তার দাদু-ঠাকুমাকে সাহায্য করার কথা ভাবতে গিয়ে জন্ম হয় মেডিটেলের। যেহেতু এই যন্ত্রমানব ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই তার নামেই রয়েছে মেডিসিনের গন্ধ। নিখল বলে, “আমি দেখেছিলাম, প্রায়ই ওষুধ খেতে ভুলে যায় আমার দাদু-ঠাকুমা। তখনই মাথায় আসে, এমন একটা অ্যালার্ম সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা বাজলেই মনে পড়ে যাবে ওষুধ খাওয়ার কথা।” একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়া জানায়, তার একটি খাতার শেষ পৃষ্ঠায় একটা ডুডল ছিল। বিজ্ঞান মেলায় যোগ দেবে বলে বারংবার সে ডুডলটি দেখছিল। এর পরেই মাথায় চলে আসে মেডিটেলের আইডিয়া। মেডিটেলের (Meditel) ‘বাবা’ বলে, “ একটি বিজ্ঞান মেলায় যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে আমাদের নতুন কিছু করে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তখনই ডুডল এবং আমার দাদু-ঠাকুমার সমস্যার কথাটা মাথায় চলে আসে। ব্যাস, জন্ম নিল মেডিটেল।”

    কী বলছে খুদে বিজ্ঞানী?

    এই খুদে বিজ্ঞানী (Nikhil Lemo) বলে, “আপনাদের তো বললামই যে প্রথমে আমি একটা অ্যালার্ম সিস্টেম বানাব ভেবেছিলাম। পরে ভাবলাম, ওষুধ খাওয়ার সময় না হয় মনে করিয়ে দিল অ্যালার্ম। ওষুধও না হয় হাতের কাছে রয়েছে। কিন্তু, জল! সেটা তো কাউকে এনে দিতে হবে। নয়তো নিজেকে গিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয় অপশনটা বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার। তাই তাঁরা ওষুধ খাবেন কী করে?” এই ভাবনা থেকেই নিখিল এই ডিভাইসের সঙ্গে একটি জলের বোতলও জুড়ে দিল। ভেলক্রো দিয়ে সেটা জোড়া হল ডিভাইসের সঙ্গে। এতেই কেল্লাফতে। যন্ত্রমানব যেমন রোগীকে তাঁর ওষুধ খাওয়ার কথাটা মনে করিয়ে দেবে, তেমনি এগিয়ে দেবে জলও। এর পর আর ওষুধ না খেয়ে থাকেন কী করে রোগী?

    মেডিটেলের কাজ

    মেডিটেলের আবিষ্কর্তা বলে, “মেডিটেল প্রতিদিন ছ’টা পর্যন্ত ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে রোগীকে। সকালে না রাতে, জলখাবারের আগে না পরে, বিকেলে টিফিনের আগে না পরে, নাকি লাঞ্চ কিংবা ডিনারের পরে কখন খেতে হবে ওষুধ, তা মনে করিয়ে দেবে এই যন্ত্র।” একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়ার বক্তব্য, মেডিটেলের যন্ত্রাংশ জোগাড় করা এবং ডিভাইসগুলোকে এক জায়গায় করা এক জিনিস। আর কোডিং করে অ্যালার্ম সিস্টেমটাকে ঠিকঠাক করানোটা আর এক জিনিস। দ্বিতীয়টা চ্যালেঞ্জিং। সে বলে, “স্ক্র্যাচ করে আমি এ পর্যন্ত যতগুলো মডেল বানিয়েছি, এটা সেগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: বাজেটে কর্মসংস্থানে ৩ প্রকল্পের ঘোষণা সীতারামনের, জানুন বিশদে

    ইউনিসেফের স্বীকৃতি

    নিখিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার মেন্টর মুকেশ বিন্দ। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে বিশ্ব রোবট অলিম্পিয়াডের সময় নিখিলের সঙ্গে আমার দেখা হয়। পরে সে আমার কাছে রোবটিক্স শিখতে শুরু করে। আমাদের একটা সেশনের সময় যে এমন একটা ডিভাইস তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল, যেটা তার দাদু-ঠাকুমাকে ওষুধ খেতে সাহায্য করবে।” গত নভেম্বরে নিখিলের (Nikhil Lemo) মেডিটেল পায় ইউনিসেফের স্বীকৃতি। তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ডেভিড বেকহ্যাম স্বয়ং। বেকহ্যামের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ায় যারপরনাই খুশি খুদে বিজ্ঞানী। তবে সে যে ইউনিসেফের কাছে প্রকল্পটি পাঠায়নি, তাও জানিয়েছে নিখিল। বলে, “আমি কখনওই ইউনিসেফের কাছে আবেদন করিনি। গুজরাট ইউনিভার্সিটির ইনকিউবেশন সেন্টার আয়োজিত অন্য একটি প্রতিযোগিতায় আবেদন করেছিলাম। তারাই আমার প্রকল্প পাঠিয়েছিল ইউনিসেফে।”

    মেডিটেলের অপার সম্ভাবনা

    গুজরাট ইউনির্ভাসিটি স্টার্টআপ অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ কাউন্সিলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানিয়াম ছাজেদ বলেন, “মেডিটেলের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মেডিটেলের (Meditel) মতো একটি ডিভাইস তার ছোট আকার ও সহজ ব্যবহারযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বয়স্কদের কাছে একটি যুগান্তকারী পণ্য বলে পরিগণিত হবে (Nikhil Lemo)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Expensive City: বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর হংকং, সব থেকে সস্তা ইসলামাবাদ, কলকাতা কত নম্বরে?

    Expensive City: বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর হংকং, সব থেকে সস্তা ইসলামাবাদ, কলকাতা কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আর্থিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর (Expensive City) হল হংকং। সবচেয়ে সস্তার শহর হল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। মোট ২২৬টি মহানগরীর জীবন ধারণের খরচের তুলনামূলক হিসেব তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্টে। আবার ভারতের সব থেকে সস্তার শহর বলা হয়েছে কলকাতাকে (Kolkata)। সমীক্ষায় কী বলছে আসুন জেনে নিই।

    বিশ্বের কোন শহর কোথায় (Expensive City)?

    আর্থিক সমীক্ষা সংস্থা মারসর প্রকাশিত ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০টি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এবং চারটি আরও মাপকাঠির বিচারে সবথেকে বেশি খরচ করতে হয় চিনের হংকং শহরে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ—পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখ। এরপর ক্রমে রয়েছে জেনেভা, বাসেল, বার্ন, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, বাহামাসের নাসাউ এবং লস অ্যাঞ্জেলেস। খরচের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিশ্বের সব থেকে সস্তার শহর ইসলামাবাদ। তার উপরে রয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজিরিয়ার দুটি শহর লাগোস এবং আবুজা। পাকিস্তানের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির জন্য এই অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    কলকাতা শহর ২০৭ নম্বরে

    আবার ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’ অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে দামি শহর (Expensive City) মুম্বই। এই শহর হল ভারতের আর্থিক রাজধানী। বিশ্বের মোট ২২৬টি শহরের তালিকায় মহারাষ্ট্রের রাজধানীর স্থান রয়েছে ১৩৬ নম্বরে। তারপরে দেশের রাজধানী দিল্লি ১৬৫ নম্বর স্থানে। এছাড়াও, চেন্নাই শহর রয়েছে ১৮৯ নম্বরে, বেঙ্গালুরু রয়েছে ১৯৫ নম্বরে, হায়দরাবাদ রয়েছে ২০২ নম্বরে এবং পুণের স্থান ২০৫ নম্বরে। তালিকায় ভারতের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচের শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কলকাতাকে (Kolkata)। বিশ্বের ২২৬টি শহরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এই রাজধানীর স্থান রয়েছে ২০৭ নম্বরে। তবে এই মান বিচার করা হয়েছে শহরের আবাসন, পরিবহণ, খাদ্য, পোশাক এবং বিনোদনকে মাথায় রেখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোটে দিয়েছিলেন গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, বীরভূমের (Birbhum) নারায়ণপুরের খড়িডাঙা নামে আদিবাসী গ্রামে তৃণমূলকে হারিয়ে লিড পেয়েছে বিজেপি। এটাই ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অপরাধ। কারণ, তারপর থেকেই এই আদিবাসী গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি। পানীয় জল সরবরাহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে বিজেপি। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ স্থানীয় নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা হাজির ছিলেন। তিন ধরে এই ধর্না চলবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি (Birbhum)

    এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামপুরহাট (Birbhum) জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। অসহায় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। উচ্ছেদ হওয়া ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিজেপি নেতারা বলেন, অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বিজেপি জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে বলে খড়িডাঙার আদিবাসী গ্রামের মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। আমরা এর আগে বিডিও অফিসে দ্বারস্থ হয়ে সমস্যার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তাতেই প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দরবারে আমরা সেই একই আর্জি জানিয়েছি। পাশাপাশি জেলায় যে সব জায়গায় বিজেপির (BJP) ফল ভালো হয়েছে, সেখানেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে  লাগবে না কোনও ফোন নম্বর, শীঘ্রই আসছে নতুন ফিচার

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে লাগবে না কোনও ফোন নম্বর, শীঘ্রই আসছে নতুন ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ওয়েব ক্লায়েন্টে নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করতে চলেছে। এবার থেকে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের যে কোনও ওয়েব ব্রাউজারে ব্যবহার করা যাবে। কোনও ফোন নম্বর ছাড়াই লগ ইন করা যাবে। ইতিমধ্যেই এই প্ল্যাটফর্মে মেটা, এআই, চ্যাটবট-এর পরিষেবা উপলব্ধ করেছে। শীঘ্রই এবার মেসেজিং অ্যাপে লোকেদের নম্বর নিরাপদ রাখতে একটি নতুন গোপনীয় বিকল্প ফিচারকে সংযুক্ত করবে। এতে ব্যবহারকারীদের অনাবশ্যক তথ্য চুরির ভয় থাকবে না।

    পরীক্ষার কাজ চলছে (WhatsApp)

    তবে হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি এখনও ক্রমবিকাশের স্তরে রয়েছে। আরও নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কাজের জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে (WhatsApp) কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেই প্রচেষ্টা নিরন্তর চলছে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হওয়ার পরই তা বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গিয়েছে। অনেকে মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপে খুব বেশি অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা থাকে। কারণ, তাঁদের ফোন নম্বর ব্যবহার করেই অনেকে তাঁদের পৌঁছে যেতে পারেন এই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। ফলে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যদি কেউ নম্বর জানে এবং এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে পড়ে। তাই এবার থেকে মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারীর নাম যুক্ত করার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ফলে ফোন নম্বরের বিনিময়ের উপর কেবল সবটা নির্ভর করবে না। আর তাই শীঘ্রই হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব সংস্করণ করে এই বিষয়ে নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে।

    আরও পড়ুনঃ স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের সময় অডিও সাপোর্ট মিলবে হোয়াটসঅ্যাপে, জানেন এর সুবিধা?

    আইডি গঠন করার কথা বলবে

    ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বার্তা থাকবে, আর সেখানেই হোয়াটসঅ্যাপের এই বৈশিষ্ট্যটির উদ্দেশে ব্যাখ্যা স্বরূপ লেখা থাকবে, “যে কোনও বন্ধু এবং পরিবার, এই ব্যবহারকারীর নাম ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপেের (WhatsApp) সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে।” যাদেরকে ব্যবহারকারী নিজের তালিকায় যোগ করতে চায়, এই বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করবে যে মোবাইল নম্বর বিনিময় না করেই এবার থেকে অ্যাপে যুক্ত করা যাবে। ব্যবহারকারীর নাম একাধিক হতে পারে, তাই সম্ভবত হোয়াটসঅ্যাপ এবার থেকে অ্যাকাউন্টের জন্য একটি আইডি গঠন করার কথা বলবে। বৈশিষ্ট্যটি এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। তবে পরিকল্পনাগুলি ঠিকঠাক থাকলে, আমরা আগামী সপ্তাহগুলিতে নয়া ফিচার লক্ষ্য করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget 2024: বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    Union Budget 2024: বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের উন্নতিকে দিশা দেখাবে। সমাজের প্রতিটি শ্রেণিকে শক্তিশালী করবে, আশা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বাজেট (Union Budget 2024) পেশ করার পর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকাল ১১:০০ টায় তৃতীয় মোদি (Narendra Modi) সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

    যুবসমাজকে গুরুত্ব (Union Budget 2024)

    প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, আগামী প্রজন্ম অর্থাৎ যুবসমাজ এই বাজেটের ফলে একাধিক সুযোগ পাবে। এই বাজেটে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় চাকরির দিক নির্দেশ রয়েছে, দাবি সরকারের। বাজেট (Union Budget 2024) নিয়ে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী  (Narendra Modi) বলেন, “এটি এমন একটি বাজেট যা দেশের সমস্ত গ্রাম, দরিদ্র মানুষ ও কৃষকদের সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। এই বাজেট নতুন আবির্ভাব হওয়া নিও মিডল ক্লাসের ক্ষমতায়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। আজকের বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণী শক্তিশালী হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কর্মসংস্থানের গুরুত্ব  (Narendra Modi)

    এদিনের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের গুরুত্ব পেয়েছে কর্মসংস্থান। অর্থমন্ত্রীর (Union Budget 2024) ঘোষণাকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বহু কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা নতুন পেশাজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিশেষ সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে তিনি জানান, প্রথমে যারা কাজে ঢুকছেন তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে এক মাসের বেতন জমা দেওয়া হবে। তাছাড়া আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক যুবতিকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর ফলে গ্রামীন এলাকার যুবকেরা ও শীর্ষস্থানীয় সংস্থায় কাজের সুযোগ পাবে।”

    বাজেটে গুরুত্ব পেল বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশ

    হালকা ও মাঝারি শিল্প এবং ভারী শিল্পের উন্নতিতে বাজেট নতুন পথ দেখাবে, এমনই আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), তিনি বলেন, “বাজেটে ঋণের সহজলভ্যতা বাড়াতে একটি নতুন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাজেটের রফতানি ও উৎপাদনের বাস্তুতন্ত্রকে প্রতিটি জেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা একসঙ্গে ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করব। প্রসঙ্গত এই (Union Budget 2024) বাজেটে বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জোট সরকারের দুই প্রধান জোট সঙ্গীকে হতাশ করেনি এই বাজেট। একদিকে বিহারের উন্নতি অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে যথেষ্ট লক্ষ্য রাখা হয়েছে এই বাজেটে।

    আরো পড়ুন: নারীশক্তির উন্নয়নে প্রাধান্য, মহিলাদের জন্য কী কী বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাজেটে?

    দুই রাজ্য সরকারের তরফেই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamala Harris: প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আত্মবিশ্বাসী কমলা! উৎসবের প্রস্তুতি শুরু তামিলনাড়ুতে

    Kamala Harris: প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আত্মবিশ্বাসী কমলা! উৎসবের প্রস্তুতি শুরু তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চড়ছিল উত্তেজনা। কে হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাটদের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, রবিবার থেকেই এ সব নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় ডেমোক্র্যাট শিবিরের নতুন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে তিনি প্রস্তাব করেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) নাম। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী (Us President Candidate) হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সমর্থন অর্জন করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, ”আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সমর্থন অর্জন করতে পেরে আমি গর্বিত।” 

    কমলা হ্যারিসের প্রতিশ্রুতি (Kamala Harris) 

    কমলা হ্যারিসের নাম দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনায় উঠে আসছিল। অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ। তাঁর প্রতিশ্রুতি, ”আগামী কয়েকমাসের মধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে পৌঁছে যাব। সকলের সঙ্গে কথা বলব। দল এবং দেশকে এককাট্টা করতে উদ্যোগ নেব। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করবই।” 

    আরও পড়ুন: প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের রফতানি ছাড়াল ২০০ বিলিয়ন! ৮০০ বিলিয়ন বার্ষিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে আত্মবিশ্বাসী সরকার

    কমলার জন্য তামিলনাড়ুতে শুরু উৎসব 

    যদিও দলের তরফে এখনও পর্যন্ত সিলমোহর পড়েনি, তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলার (Kamala Harris) ‘দেশের বাড়ি’ তামিলনাড়ুর তুলাসেন্দ্রপুরমে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে উচ্ছ্বাস। বাইডেনের সরে দাঁড়ানো ও কমলার নাম প্রস্তাব হতেই ওয়াশিংটন থেকে প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের এই প্রত্যন্ত গ্রাম কোমর বাঁধছে আসন্ন ‘উৎসবের’ জন্য। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যদি কমলা নির্বাচনে জিতে যান এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (Us President Candidate) হন, তা হলে আরও বড় করে উদ্‌যাপন করা হবে। 
    উল্লেখ্য, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার দাদুর জন্ম এই গ্রামে। কমলার (Kamala Harris) যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন এক বার এই গ্রামে এসেছিলেন তিনি। দাদুর হাত ধরে ঘুরেছেন চেন্নাইয়ের সমুদ্র সৈকতেও। যদিও আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি আর এই গ্রামে পা রাখেননি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহ, সোনারপুরের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিল্ডারকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পড়ুয়াদের সাইকেল রাখার জায়গায় কেন বালি-স্টোনচিপ, সিমেন্ট রাখা হচ্ছে?

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে,পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) ব্লকের দক্ষিণ কাশিনগর হাইস্কুলে প্রায় হাজারের ওপরে ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সাইকেল রাখার জায়গা না পেয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তার ধারে সাইকেল রেখে ক্লাস করে। এই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বিভিন্ন গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু, সেই স্কুলের জায়গায় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার মান্না নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখল করে ভাড়া দিয়েছেন এক ব্যবসায়ীকে। স্কুলের জায়গায় রাখা হচ্ছে, বালি, ইট, স্টোন। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সরকারি জায়গা, সমস্ত স্তরেই চলে শাসক দলের দাদাগিরি। একদিকে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল মুক্ত করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তখনই শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষমতা দেখিয়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্কুল কমিটির সদস্য স্বপন কুমার মান্নাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

     এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (South 24 Parganas) সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, আমার অজান্তেই এসব কাজ হচ্ছে, টাকা নেওয়ার কথা আমি জানি না। তবে, এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, শাসক দল শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কোন দিন দেখা যাবে ওই জায়গা বিক্রিও করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mashco Piro: সভ্যতার আলো এখনও পৌঁছায়নি ‘মাশকো পিরো’ উপজাতির কাছে, এই প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এলো

    Mashco Piro: সভ্যতার আলো এখনও পৌঁছায়নি ‘মাশকো পিরো’ উপজাতির কাছে, এই প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর প্রায় সকল আদিম উপজাতিগুলি সভ্যতার স্পর্শ পেয়েছে। কিন্তু আন্দামানের জারোয়াদের মতো বেশ কিছু উপজাতি এখনও সভ্যতার আলো থেকে দূরেই থাকতে চায়। ঠিক এমন একটি উপজাতি হল পেরুর আমাজন জঙ্গলের গভীরে বসবাসকারী ‘মাশকো পিরো’ (Mashco Piro)। ইতিপূর্বে আগে কোনও দিন তাদের ছবি তোলা যায়নি। তারা হল সভ্যতার সঙ্গে বিছিন্ন সব থেকে বড় উপজাতি গোষ্ঠী। বর্তমান সময়ে ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে এক আদিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর ক্যামেরায় এই লোকজনদের বিরল ছবি ধরা পড়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি নদীর তীরে ঘোরফেরা করছে তারা।

    কেন অস্তিত্ব সঙ্কটে (Mashco Piro)?

    এই ছবিকে ঘিরে আদিবাসী (Tribe) অধিকার গোষ্ঠীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছবির মধ্যে দিয়ে এই মাশকো পিরো উপজাতিদের (Mashco Piro) শরীর এবং স্বাস্থ্য কতটা সুস্থ, তা নিয়ে একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে আসার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, এলাকায় অধিক পরিমাণে গাছ কাটা। নিজেদের ঘরবাড়ি, ভিটে-মাটি ছেড়ে দূরে সরে চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে এই উপজাতির লোকজনকে। খাদ্য এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাদের বার বার স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর দারুণ প্রভাব পড়েছে। ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ জানিয়েছে যে এই ছবিগুলি এই বছরের জুন মাসে তোলা হয়েছিল। স্থানটি হল ব্রাজিলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব পেরুর মাদ্রে দি দিওসের একটি নদীর তীর। এই সংস্থার নির্দেশক ক্যারোলিন পিয়ার্স বলেছেন, “এই উপজাতি হল মাশকো পিরো, তারা এখনও সভ্যতার আলো থেকে বঞ্চিত। যেখানে এই ছবি তোলা হয়েছে সেখানেই দেখা গিয়েছে পাশে গাছ কাটা চলছে। আর এই জন্য তাদের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য এই ছবি তোলার আগে ৫০ জনের একটি দলকে ইয়িন উপজাতির একটি গ্রামের কাছে দেখা গিয়েছিল। ১৭ জনের আরও একটি দলকে দেখা গিয়েছিল পুয়ের্তো নুয়েভোর নিকটবর্তী এক গ্রামে।”

    আরও পড়ুনঃ অশান্তি আটকাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ৫৩০০০ হেক্টর জঙ্গলে গাছ কাটার ছাড়পত্র

    অনেক আগে থেকেই মাদ্রে দি দিওসের দুটি সংরক্ষিত জঙ্গলের মধ্যে মাশকো পিরো (Mashco Piro) বসবাস করে থাকে। কিন্তু এই জঙ্গলগুলিতে কাঠ কাটার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কাঠ বহনের জন্য ট্র্যাক চলাচলের নিমিত্ত ২০০ কিমি রাস্তাও নির্মিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মাদ্রে দি দিওসের ৫৩০০০ হেক্টর জঙ্গলে, সেডার, মেহগিনি কাঠ কাটার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরফলেই এই ‘মাশকো পিরো’-দের (Mashco Piro) ওপর সঙ্কট তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই উপজাতিরা (Tribe) বাইরের লোক দেখলেই পালিয়ে যায়, তাই তাদের এতদিন পর্যন্ত কোনও ছবি তোলা সম্ভবপর হয়নি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Goa Beyond Beaches: শুধু সৈকত নয়, রাজ্যের অন্যত্রও পর্যটন টানতে উদ্যোগী গোয়া সরকার

    Goa Beyond Beaches: শুধু সৈকত নয়, রাজ্যের অন্যত্রও পর্যটন টানতে উদ্যোগী গোয়া সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীল জলের সমুদ্রের সৈকত ও ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যের বাইরেও গোয়ার নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। গোয়ার আসল পরিচয় তার কৃষ্টি সংস্কৃতিকে, জীব বৈচিত্র । গোয়া এই দিকটিকেই এবার পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে চাইছে গোয়া সরকার। গোয়ার পর্যটন (Goa Tourism) বিভাগের তরফে “গোয়া বিয়ন্ড বিচেস” (Goa Beyond Beaches) নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগের লক্ষ্য গোয়ার বিচ, পানিয়ের ঠেক এবং ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যের বাইরেও গোয়ার মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বন্যজীবন পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা।

    গোয়ায় হোমস্টে তৈরিতে আর্থিক সহযোগ  

    সপ্তাহান্তে এবং বিশেষ বিশেষ সময় গোয়ার বিচগুলিতে গিজগিজ করে মানুষের কালো মাথায়। অথচ গোয়ার অনেক দর্শনীয় স্থল রয়েছে, যেগুলি যথেষ্ট আকর্ষণীয় হলেও সেগুলি ততটা জনপ্রিয় হয়নি। গো যত ভিড়, সমুদ্রের পারে। গোয়ার পর্যটন বিভাগের আধিকারিক দীপক নাভরেকর বলেন, “আমরা চাইছি, গোয়ার আসল সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে। গোয়া মানে শুধুমাত্র সমুদ্রের পাড় নয়, গোয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, গোয়ার মানুষের জীবন, গোয়ার বৈচিত্র আমরা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরছি। এর জন্যই নতুন করে সরকারের তরফে (Goa Beyond Beaches) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “গোয়া বিয়ন্ড বিচেস’ খুব দ্রুত পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, গোয়ার পর্যটনস্থলের বাইরে যে সমস্ত জায়গায় সৌন্দর্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। জানা গিয়েছে, গোয়ার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এলাকায় যারা হোমস্টে তৈরি করবেন, সরকার তাঁদের দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেবে। মূলত অভ্যন্তরীণ এলাকা যেমন কানাকোনা, বিচোলিম, সাত্তারিকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছে গোয়ার পর্যটন বিভাগ (Goa Tourism)।

    গোয়ার অভয়ারণ্য (Goa Beyond Beaches)

    গোয়া মানেই দর্শকদের কাছে দক্ষিণ গোয়ার উপনিবেশিক আমলের স্থাপত্য এবং নর্থ গোয়ার আরব সাগরের নীল জলের  বিচার পাশে তিন তারা, পাঁচ তারা হোটেল আর সমুদ্রের পাড়ের বিচ স্যাক। সরকার চাইছে এই ধারণা ভেঙ্গে গোয়ার বন্যজীবন, গোয়ার গ্রামীণ কোঙ্কণী মানুষের জীবন এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। নীল জলের সমুদ্রের রাজ্যে বন্যপ্রাণী সাফারির কথা জানেনই না অনেক পর্যটক। গোয়াতে কোটিগাও, মাধেই, নেত্রভালি এবং সেলিম আলী বার্ড স্যাংচুয়ারি রয়েছে। এগুলি দর্শনীয় হলেও প্রচারের অভাবে সেভাবে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। সরকার চাইছে এই সমস্ত জায়গাগুলিকে (Goa Beyond Beaches) জনপ্রিয় করে তুলতে। বিশেষ করে গোয়া কর্নাটকে সীমান্তের কোটিগাও অভয়ারণ্যে উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, এশিয়ান ও ভারতীয় ভাম বিড়াল, মাউস ডিয়ার, স্লেন্ডার লরিস, নানান প্রজাতির হরিণ ও নানান ধরনের জীবজন্তু দেখার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে মাধেই অভয়ারণ্যে নানান প্রজাতির হরিণ, গন্ধগোকুল, বন্য শুকর, কালো চিতাবাঘ দেখার সুযোগ রয়েছে। অথচ বেশিরভাগ পর্যটক গোয়ায় এসে সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটিয়ে ফিরে যান। তাঁরা জানেনই না গোয়ার এই সকল অভয়ারণ্যের কথা।

    আরও পড়ূন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর দায়িত্ব সরকারের (Goa Tourism)

    শুধুমাত্র সরকার এটুকুতেই সীমিত থাকতে চায় না। বিশেষ করে যারা ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর জন্য গোয়ায় যেতে চান, তাঁদের জন্য সরকার এক নতুন ভাবনা নিয়ে এসেছে। সরাসরি গোয়ার পর্যটন বিভাগের কাছে আবেদন করলেই হবে। সরকারের তরফেই বাকি পরিষেবা দেওয়া হবে। বর্তমানে মধ্যবিত্তদের মধ্যেও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর আগ্রহ বেড়েছে। সরকার চাইছে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোয়ার পর্যটনকে (Goa Tourism) এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share