Tag: bangla news

bangla news

  • Bangladesh Protest: অশান্তি আটকাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    Bangladesh Protest: অশান্তি আটকাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন থামাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) সরকার। অশান্ত পরিবেশ থেকে দেশকে দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে, ঠিক এমনটাই বার্তা দিলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে দেশ সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান জানান তিনি। এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। অবস্থার কতটা উন্নতি হয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য সংরক্ষণ নিয়ে প্রথম থেকেই ছাত্র আন্দোলনকে রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন হাসিনা।

    কী বললেন হাসিনা (Bangladesh Protest)

    টানা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের (Bangladesh Protest) কারণে ঢাকা সহ দেশের একটা বড় অংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। রাজধানীর মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিছিন্ন। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাকে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের আসতে বারণ করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। দেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। এই সবকিছুর প্রভাব পড়েছে দেশের শিল্প-কারখানার উপর। ইতি মধ্যে সরকার সব কিছুকে বন্ধ রাখার কথা বলেছে। সেই দেশের ব্যবসায়ী এবং রফতানিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছেন, “দ্রুত দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমরা পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত করে এনেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কার্ফু কিছুটা শিথিল করা হবে। ছাত্ররা যা চেয়েছিলেন আদালতের রায়ে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলন এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের অর্থ কী? পড়ুয়াদের শান্ত থাকার আবেদন জানাই। ছাত্রদের ঢাল করে বিরোধীরা দেশের ক্ষতি সাধন করছেন। দেশের ভাবমূর্তি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুনঃ কোটা আন্দোলনের জেরে বন্ধের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন আন্দোলন?

    ১৯৭২ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার, সরকারি চাকরিতে কোটা বা সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছিল। মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। অন্যন্য বাকি কোটা মিলিয়ে আরও ছিল ২৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালে হাসিনার সরকার চাকরিতে সব রকম কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়। পরে বিরোধিতা করে সাত জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সেই দেশের হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয়। এরপর সরকার সুপ্রিমকোর্টে মামলা করে। গত রবিবার বাংলাদেশের উচ্চ আদালত রায় প্রদান করেছে যে মাত্র ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে সরকারি চাকরিতে, বাকি নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। সরকার পক্ষও রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। অপরে পড়ুয়ারা এই রায়ের উপর নেতিবাচক ভাবনার প্রকাশ দেখাচ্ছেন। আন্দোলনে (Bangladesh Protest) মৃত ছাত্রদের জন্য ন্যায় বিচার তাঁরা চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: বাজেটে বদলাল ইনকাম ট্যাক্স স্ল্যাব, নয়া হার কী হল জানেন?

    Nirmala Sitharaman: বাজেটে বদলাল ইনকাম ট্যাক্স স্ল্যাব, নয়া হার কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই সংসদে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল তৃতীয় মোদি সরকার। বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। পুরানো ব্যবস্থায় আয়করের (Income Tax) ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন করা না হলেও, নয়া ব্যবস্থায় হয়েছে।

    কী বললেন সীতারামন? (Nirmala Sitharaman)

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “নয়া কর ব্যবস্থায় স্ল্যাবের হার বদলাবে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আগে ছিল ৫০ হাজার টাকা। নয়া ব্যবস্থায় সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।” তিনি জানান, তবে পুরনো ব্যবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন যে ৫০ হাজার টাকা ছিল, সেটা অপরিবর্তিত থাকবে। যাঁরা পারিবারিক পেনশন পান, নয়া ব্যবস্থায় ১৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হবে ২৫ হাজার টাকা। মন্ত্রী জানান, এর ফলে উপকৃত হবেন ৪ কোটি বেতনভোগী ও পেনশন হোল্ডার।

    রিভাইজড স্ল্যাব

    এই বাজেটে রিভাইজড স্ল্যাব দাঁড়াল-

    ১) ০ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বছরে আয় করলে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না।

    ২) ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় হলে ট্যাক্স দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে।

    ৩) বাৎসরিক আয় ৭ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা হলে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে।

    ৪) ১০ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকার মধ্যে হলে ট্যাক্স দিতে হবে ১৫ শতাংশ।

    ৫) ১২ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক রোজগার হলে ট্যাক্স দিতে হবে ২০ শতাংশ হারে।

    ৬) বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার ওপর হলে কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ হারে।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে ভারতীয় অর্থনীতির, বড় খবর শোনালেন নাগেশ্বরণ

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, যাঁরা নয়া ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবেন, তাঁদের সঞ্চয় হবে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের কমপ্রিহেনসিভ রিভিউ হবে বলেও ঘোষণা করেন তৃতীয় মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী। সীতারামন জানান, কর্মীদের মূল বেতনের ওপর নিয়োগকর্তারা যে টাকাটা দেন ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম ডিডাকশনে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সেটা করা হয়েছে ১৪ শতাংশ (Income Tax)। সরকারি ও বেসরকারি সর্বত্রই প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম, জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের পারাপারে সুরক্ষা দিতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল লঞ্চ। কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় তা ব্যবহার করা হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরেই সেই লঞ্চ পড়ে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে। সরকারি অর্থের এমন ‘অপচয়’ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তৃণমূল সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।

    ৪০ লক্ষ টাকা জলে! (North 24 Parganas)

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের (North 24 Parganas) নেবুখালি ও দুলদুলি জেটিঘাটের মধ্যে যাত্রী পারাপারের জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নৌকো করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতো ২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি লঞ্চ পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জে। কিন্তু, পাঁচ বছর হতে চলল এক দিনও ওই লঞ্চ যাত্রী পারাপারের কাজে লাগানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসের পাশের খালে রাখা রয়েছে লঞ্চটি। সেখানে পড়ে থেকে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে লঞ্চটি। লঞ্চের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গিয়েছে। নদীতে জোয়ার হলে অর্ধেকের বেশি অংশ জলে ডুবে থাকে। ভাঙাচোরা লঞ্চের ভিতরে পলি জমে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ভাবে ৪০ লক্ষ টাকা জলে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই লঞ্চ যখন কাজে লাগল না, তখন অন্য এলাকার জন্য বরাদ্দ করে দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আর ৪০ লক্ষ টাকা জলে যেত না।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    লঞ্চ যখন আনা হয়, সে সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ সভাপতি ছিলেন সুদীপ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “দুলদুলির দিকে ভাসমান জেটিঘাট থাকলেও নেবুখালির দিকে ভাসমান জেটিঘাট আজও হয়নি। এই লঞ্চ ভাসমান জেটিঘাট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। তাই রক্ষণাবেক্ষণ করাও সম্ভব হয়নি।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা গোবিন্দ অধিকারী বলেন, “তৃণমূল (Trinamool Congress) দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। লঞ্চ হলে নেবুখালি-দুলদুলির মধ্যে নদী পারাপার অনেক বেশি আরামপ্রদ ও নিরাপদ হত। কিন্তু এই সরকার সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবে না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INS Brahmaputra: ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস ব্রহ্মপুত্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিখোঁজ ১ নাবিক

    INS Brahmaputra: ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস ব্রহ্মপুত্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিখোঁজ ১ নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেল ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী ‘আইএনএস ব্রহ্মপুত্র’ (INS Brahmaputra)। জানা গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময় আগুন লেগে এই বিপত্তি ঘটে। বিশাল ‘গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট’ যুদ্ধ জাহাজটিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে সোমবার সকালে অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে নৌসেনার এক নাবিক (Indian Navy) নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কীভাবে ঘটল এই অঘটন? (INS Brahmaputra)

    নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মুম্বইয়ের ডকইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল যুদ্ধ জাহাজটিতে। রবিবার রাতের দিকে কোনও ভাবে আগুন লেগে যায় রণতরীটিতে। সোমবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দেখা যায় জাহাজটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুপুরের দিকে জাহাজটির একদিক হেলতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও হেলে যায়। নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পর জাহাজের সকল নাবিক ও কর্মীদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন অধস্তন নাবিকের খোঁজ এখনও মেলেনি। বর্তমানে ডকে নির্দিষ্ট বার্থে হেলানো অবস্থাতেই রয়েছে আইএনএস ব্রহ্মপুত্র। নৌবাহিনীর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ”দমকলবাহিনী ও যুদ্ধজাহাজের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হয়। চলে স্যানিটাইজেশনের কাজ।” প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড। তবে পিছনে কোনও নাশকতার ষড়যন্ত্র রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার তরফে। 

    আরও পড়ুন: চালু হচ্ছে মুম্বইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো! কোথা দিয়ে চলবে?

    একাধিক রুদ্ধশ্বাস অভিযানের সাক্ষী আইএনএস ব্রহ্মপুত্র

    ২০২০ সালে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় রণতরী আইএনএস ব্রহ্মপুত্র (INS Brahmaputra)। এই যুদ্ধ জাহাজ সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ব্রহ্মপুত্র শ্রেণির প্রথম মিসাইল ফ্রিগেট জাহাজ। এই জাহাজে মোতায়েন থাকেন ৪০ আধিকারিক সহ ৩৩০ জনের নাবিকের দল। স্বল্প থেকে মাঝারি দূরত্বে আক্রমণ চালাতে সক্ষম টর্পেডোর পাশাপাশি বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত অত্যাধুনিক এই জাহাজ। প্রযুক্তিগত দক্ষতার দিক থেকে শত্রুকে খুঁজে নিকেশ করায় এই জাহাজের জুড়ি মেলা ভার। কলকাতার গার্ডেনরিচে তৈরি হয় ‘আইএনএস ব্রহ্মপুত্র’। ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের যুদ্ধজাহাজটির ওজন ৫ হাজার ৩০০ টন। গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭ নটিক্যাল মাইলের বেশি। এর আগে ইউরোপ, আফ্রিকা উপকূল এবং ভূমধ্যসাগরে একাধিক রুদ্ধশ্বাস অভিযানে নৌবাহিনীর সঙ্গী থেকেছে ব্রহ্মপুত্র (INS Brahmaputra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snake: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    Snake: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন কেউটে, কারও দাবি গোখরো। গ্রামের বয়স্করা বলেন কালনাগিনী (Snake)। পূর্ব বর্ধমানের চার গ্রামে জ্যান্ত সাপকে দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয়। এখানে তাই কেউ সাপ বলেন না, সাপ এখানে ‘ঝাঁকলাই’ নামে পরিচিত। ফি বছর ঝাঁকলাইয়ের পুজো হয়। এবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পলসোনা গ্রামে দেখা গেল, মন্দিরে এক পুরোহিতের লাঠির মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল একটি সাপ। অন্য পুরোহিত তখন মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সেই কেউটের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন। নিজের হাতে সিঁদুর মাখিয়ে দিচ্ছেন ফণাধারী কেউটের মাথায়। সোমবার এ ভাবেই জ্যান্ত কেউটেকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল।

    কবে থেকে শুরু হয়েছে পুজো? (Snake)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০০ বঙ্গাব্দ থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে ভাতারের বড়পোশলা, শিকোত্তর, মুকুন্দপুর এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, পলসোনা, মুশারু, নিগন মিলে মোট সাতটি গ্রামে ঝাঁকলাইয়ের (Snake) পুজো হয়। স্থানীয়রা জানান, এক সময় সাতটি গ্রামেই দেখা যেত ঝাঁকলাই। তবে এখন বড়পোশলা, ছোটপোশলা, মুশারু এবং পলসোনা এই চার গ্রামেই শুধু দেখা মেলে এই কেউটের। সাপ এখানে ঘরের লোক। কাছের আত্মীয়। বিষধর জীব নয়, বরং দেবতা। সাপের সঙ্গে দিব্যি খেলে কচিকাঁচারা। প্রতি ঘরে সাপের বিশ্রামের জন্য বিছিয়ে রাখা হয় খড়ের গাদা। সাপে-মানুষে দিব্যি সহাবস্থান এখানে। সাপের কামড়ানোকে গ্রামবাসীরা প্রসাদ বলেন। কাউকে সাপে কামড়ালে তাঁর চিকিৎসা না করিয়ে মন্দিরের মাটি শরীরে বুলিয়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ঝাঁকলাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লোককথা!

    মুশারু,পলসোনা, বড়পোশলা, ছোটপোশলার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মনসামঙ্গলের বেহুলা-লখিন্দরের উপাখ্যান। ঝাঁকলাই নিয়ে অনেক লোককথা। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ঝাঁকলাই আসলে ‘কালনাগিনী’। লখিন্দরকে লোহার বাসরঘরে দংশন করে পালানোর সময় বেহুলা কাজললতা ছুড়ে মেরেছিলেন। সেই কাজললতার আঘাতে কালনাগিনীর (Snake) লেজ কেটে যায়। পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি গ্রামে যে ঝাঁকলাইয়ের দেখা মেলে, তাদেরও লেজ কাটা। মনসামঙ্গলে কালনাগিনী বেহুলার শাপে মর্ত্যে আসে। গ্রামবাসীরা আরও বলেন, ‘ঝঙ্কার’ শব্দটা এসেছে বেহুলার বালার আওয়াজ থেকে। লোহার বাসরে লখিন্দরকে ছোবল মারার পরে কালনাগিনীর (Snake) বিষ প্রয়োগের ক্ষমতা চলে যায়। বেহুলা শর্ত দেন, নির্বিষ হয়ে তাকে সাত গ্রামে লুকিয়ে থাকতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) এই সাত গ্রামেই নাকি এখন কালনাগিনীর বাস। তারই নাম ‘ঝাঁকলাই।’ তাকেই ঝঙ্কেশ্বরী দেবী রূপে পুজো করা হয় গ্রামে।

     মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রামের সঙ্গে মিল রয়েছে

    বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা ধরে বলগোনা পেরিয়ে নিগনের ঠিক আগে বাস থামে মুশারুতে। এখান থেকে ভ্যান রিকসা বা ই-রিকসা চেপে যাওয়া যায় গ্রামের ভিতরে। পলসোনাতে যাওয়ার পথও এখান থেকেই। মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রাম শেতপালের মতো বাংলার পূর্ব বর্ধমানের এই চারটে গ্রাম। গ্রামবাসীদের কথায়,ঝাঁকলাই (Snake) কামড়ায় না। পরোপকারী বন্ধু। বংশ পরম্পরায় সাপের পুজো করি আমরা।

    কী বললেন সর্প বিশেষজ্ঞ?

    সর্প বিশেষজ্ঞ ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, “ঝাঁকলাই একটি বিরল প্রজাতির সাপ। এই গ্রামবাসীদের এই ভক্তি এবং শ্রদ্ধার জন্যই বিরল প্রজাতির সাপটি এখনও টিকে রয়েছে এখানে। এটা অবশ্যই এক বিরল ঘটনা। তবে, সিঁদুরে রাসায়নিক থাকে। ঝাঁকলাইয়ের পুজোর সময় সিঁদুর মাখানো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Quota Reform: কোটা আন্দোলনের জেরে বন্ধের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য

    Bangladesh Quota Reform: কোটা আন্দোলনের জেরে বন্ধের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Quota Reform) অশান্তি থামার কোনও লক্ষণ নেই। সেনা নামিয়েও মিলছে না স্বস্তি। আন্দোলনকারী সংগঠনগুলি জানিয়েছে তাঁরা লড়াই ছাড়ছে না। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে ভারতেও। বাংলাদেশে পড়াশোনার জন্য যাওয়া ছাত্রদের একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে (Business with Bangladesh) প্রভাব পড়েছে। আটকে পড়েছে ৩০০ টি পণ্যবাহী যানবাহন।

    বাংলাদেশ থেকে ফিরে ছাত্রের বক্তব্য (Bangladesh Quota Reform)

    বাংলাদেশে এমবিবিএস পড়তে যাওয়া গুজরাটের বাসিন্দা মোহাম্মদ সমন বলেন, “ওখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কাটছাঁট করে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। মোবাইলেও ঠিকমত কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর দূতাবাসের তরফে আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।” দেশে ফিরে আসলেও (Bangladesh Quota Reform) পরিস্থিতি ফের কবে স্বাভাবিক হবে, পড়াশোনার কি হবে, তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে বাংলাদেশে যাওয়া পড়ুয়ারা। কারণ ইউক্রেনের স্মৃতি এখনও টাটকা। যুদ্ধের জন্য যারা ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিল তাঁদের মাঝপথে ফিরে আসতে হয় । তাদের আর ইউক্রেনে যাওয়া হয়নি। ডিগ্রি সম্পূর্ণ করা হয়নি।

    ব্যবসায় ক্ষতি (Business with Bangladesh)

    বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্যেও। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ ভারতে আসত। ভারত থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বাংলাদেশে যেত। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ, ট্যাংরা, পাবদা, পাঙাস জাতীয় মাছ ভারতে আসত। ভারত থেকেও চাষ করার রুই, কাতলা, কই, কাচকি, পুঁটি, ভেটকি সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং কাঁকড়া  যত বাংলাদেশে। অশান্তির জেরে আমদানি রফতানি (Business with Bangladesh) সব বন্ধ। দক্ষিণ এশিয়ার তথা ভারতের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর পেট্রাপোল। প্রত্যেকদিন কয়েকশত কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক এপার-ওপার হতো। কিন্তু এই মুহূর্তে পেট্রাপোল একেবারে শুনশান। মানুষের যাতায়াত অল্প-স্বল্প হচ্ছে ঠিকই, তবে পণ্য পরিবহন একেবারে তলানিতে।

    বাংলাদেশে বিরোধীদের ভারত বিরোধী চক্রান্ত

    এমনিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রতি অসন্তোষ বৃদ্ধির চক্রান্ত চলছে। যার মূলে রয়েছে শাসকবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি জামাত-এ-ইসলামি এবং বিএনপি। তাঁরা ক্রমেই বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমতাবস্থায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, চন্ডিগড় থেকে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রায় ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা খুবই সমস্যায় আছেন। একদিকে তাঁদের গাড়ির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন, অন্যদিকে তাঁদের খাদ্য এবং নিরাপত্তা নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকদিন ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি (Business with Bangladesh) হচ্ছে। প্রতি বছর শুধুমাত্র পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। 

    আরও পড়ুন: জামাত-বিএনপির চক্রান্তে ছড়িয়েছে হিংসা, অভিযোগ হাসিনার ছেলের

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই কোটা বিরোধী (Bangladesh Quota Reform)আন্দোলনের ১৫৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার হওয়ার পর আন্দোলন অনেক থিতু হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশ থেকে এখনই কারফিউ তোলা হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোটখাটো অশান্তি এখনও অব্যাহত। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?

    Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবজনিত সমস্যায় অনেক মানুষই ভোগেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন-ডি মূলত ক্যালসিয়ামকে শরীরে শোষণ করতে প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই জানি, ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের আরও অনেক কাজ মানবদেহে রয়েছে। ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। শিশুদের পা ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং মাথার খুলি বড় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগলে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়। এর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। দেহে ভিটামিন-ডি এর অভাবে চোয়ালের গঠনও ঠিকঠাক হয় না, অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া নামের এক প্রকার রোগ হয় ভিটামিন-ডি এর অভাবে। এই রোগে বয়স্কদের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ক্ষয় হয়ে পড়ে। কখনও কখনও কোমরে ও মেরুদণ্ডে বাতের ব্যথার মতো ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডও বেঁকে যায়।

    চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯ থেকে ৭০ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন নিয়মিত (Health Tips) করে ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে, পিলের মাধ্যমে ভিটামিন-ডি নেওয়া যেতেই পারে। এর পাশাপাশি রোদেও প্রচুর ভিটামিন-ডি থাকে। তবে ভিটামিন-ডি এর পরিমাণ শরীরে বেড়ে যাওয়াও ঠিক নয়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ এর প্রভাবে হাইপারক্যালসেমিয়া রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন। ডি-২, ডি-৩ সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু অবশ্যই তা যে কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। কারণ এর সঙ্গে অনেক কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যেমন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন, আপনি কোন পরিবেশে থাকেন- এ সমস্ত কিছুই। তবে শরীরে মারাত্মক পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি হলে সাপ্তাহিক বড় ডোজ নেওয়া যেতে পারে।

    উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে

    ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুহার কমিয়ে দিয়েছে ভিটামিন-ডি এর বড় পরিমাণের সাপ্তাহিক ডোজ (Health Tips)। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ আমেরিকার নাগরিকই ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে ভোগেন বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি তাঁরা পান না। ২০২২ সালে এই সমীক্ষাটি হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৪১ শতাংশ আমেরিকার নাগরিকের শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই বয়স ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। ভিটামিন-ডি এর অভাবে ক্লান্তি দেখা যায় শরীরে, কাজে অনীহা থাকে, হাড়ের ব্যথার মতো নানা রকমের উপসর্গও দেখা যায়। তবে কখনও আপনি বুঝতে পারবেন না যে আপনার ভিটামিন-ডি এর অভাবের জন্য শরীরে এইগুলি রোগগুলি হচ্ছে। আপনার শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে কিনা তা জানতে আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করতেই হবে। তবে প্রতিবেদনে শুরুতেই যেমন বলা হয়েছে, শরীরে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে। এই হাইপারক্যালসেমিয়া রোগে ঘনঘন প্রস্রাব, দুর্বলতা ভাব, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা যায়।  ভিটামিন-ডি এর অত্যধিক পরিমাণের ফলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি নানা রকমের কিডনির জটিলতাও হতে পারে।

    ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে

    ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আপনি নিতে পারেন পনির, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত যে কোনও মাছ, যেমন ম্যাকরাল, স্যামন, টুনা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি প্রাতঃরাশের টেবিল আপনি রাখতে পারেন দুধ, কমলার রস, মাশরুম ইত্যাদি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাভোকাডো এবং বাদামেও ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি থাকে। অনেক মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে শোবার আগে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এর ফলে ভিটামিন-ডি এর কার্যকারিতা বাড়ে নাকি, তা নিয়ে চিকিৎসকরা কিছু বলতে পারছেন না।

    সূর্যালোক থেকে কীভাবে নেবেন ভিটামিন-ডি

    ১) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোদে আপনার ছায়া আপনার তুলনায় যখন ছোট হেব সেসময়ই আপনার ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারবে। 

    ২) অতিবেগুনি রশ্মি কাচ ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ এলেও লাভ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি মিলবে না।

    ৩) পোশাক ও সানস্ক্রিন ত্বকে সরাসরি ভিটামিন-ডি লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বাইরে বের হয়ে লাভ নেই। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখুন।

    ৪) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  ত্বকের ভিটামিন-ডি তৈরি করার ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বয়স্কদের বেশি পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজন হয়। সূর্যালোকে দিনে অন্তত ২০ মিনিট কাটাতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে ভারতীয় অর্থনীতির, বড় খবর শোনালেন নাগেশ্বরণ

    Indian Economy: মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে ভারতীয় অর্থনীতির, বড় খবর শোনালেন নাগেশ্বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন দেশে মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা (Indian Economy)। বর্তমানে যা মাথাপিছু আয় রয়েছে, তার সাতগুণ বেড়ে যাবে আগামী ২৪ বছরে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই আশার কথা শোনালেন ভারতের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ (Chief Economic Advisor Nageswaran)।

    কী বললেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা?

    তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেও ভারত থাকবে দ্রুততম বর্ধনশীল মেজর অর্থনীতির দেশ (Indian Economy)। ২৩ জুলাই, মঙ্গলবার সংসদে চলছে বাজেট-পেশ পর্ব। তার আগে সোমবার সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। সংসদ থেকে বেরিয়ে করেন সাংবাদিক বৈঠক। সেখানেই আশার বাণী শোনান নাগেশ্বরণ। এদিন সংসদে যে ইকনোমিক সার্ভে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৫ থেকে ৭ শতাংশ।

    ভারতের মাথাপিছু আয়

    তিনি যে ভুল কিছু বলেননি, তার প্রমাণ মেলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার, ওইসিডি, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, এস অ্যান্ড পি, এডিবি এবং ফিচের রিপোর্টেও। এই সংস্থাগুলোও জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে শতাংশের হিসেবে ভারতে বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.৬ থেকে ৭.২ এর মধ্যে। যার অর্থ হল, নরেন্দ্র মোদির জমানায় চড়চড়িয়ে উঠছে ভারতীর অর্থনীতির উন্নতির গ্রাফ (Indian Economy)। এদিন ইকনোমিক সার্ভের রিপোর্ট পেশের পর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ২.১২ লাখ টাকা। মার্কিন ডলারের নিরিখে অঙ্কটা দাঁড়ায় ২৫০০-এ। স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে এটাই বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকায়। তিনি জানান, গত এক দশকে ভারতে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ (Indian Economy)। প্রসঙ্গত, এই সময়টাই কেন্দ্রের কুর্সিতে রয়েছেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: বাংলা সহ পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিশেষ নজর কেন্দ্রের, বাজেটে জানালেন নির্মলা

    সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে (Chief Economic Advisor Nageswaran), ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপির হার বেড়েছিল ৮.২ শতাংশ। তার আগের অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার শপথ নেওয়ার সময় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১০ নম্বরে। বর্তমানে ওই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। অচিরেই জাপানকে টপকে গিয়ে ভারত চতুর্থ স্থান দখল (Indian Economy) করে নেবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai First Underground Metro: চালু হচ্ছে মুম্বইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো! কোথা দিয়ে চলবে?

    Mumbai First Underground Metro: চালু হচ্ছে মুম্বইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো! কোথা দিয়ে চলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইবাসীদের জন্য সুখবর। খুব শীঘ্রই মুম্বাইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো লাইন (Mumbai First Underground Metro) চালু হবে। সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ”২৪ জুলাই থেকে মুম্বইয়ে প্রথম মেট্রো চালু হবে। এর ফলে শহরের পরিবহণ ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হবে৷ পরিবহণে অনেকটা গতি আসবে৷” তাওদে আরও বলেছেন যে, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুম্বাইবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য বদ্ধপরিকর৷ প্রধানমন্ত্রী মুম্বইবাসীদের জীবন সহজ করার যে গ্যারান্টি দিয়েছিলেন, তা এবার পূরণ হতে চলেছে। মুম্বাইয়ের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো চালু হচ্ছে ২৪ শে জুলাই থেকে। এই পরিষেবা শহরের গতিতে নতুন প্রেরণা দেবে।” 

    আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোর যাত্রাপথ (Mumbai First Underground Metro) 

    মোট ৩৩.৫ কিলোমিটার জুড়ে প্রাথমিকভাবে মেট্রোলাইনের কাজ চলছে৷ আরে কলোনি (Aarey Colony), সাহার রোড, সান্তাক্রুজ, বিদ্যানগরী, ধারাভি, শীতলদেবী মন্দির, দাদর, সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, ওরলি, আচার্য আত্রেয় চক, বিজ্ঞান জাদুঘর, মহালক্ষ্মী, মুম্বাই সেন্ট্রাল, গ্রান্ট রোড, গিরগাঁও, কালবাদেবী, ছত্রামা, শিবমহারাজ, মহালক্ষ্মী, চার্চগেট, বিধান ভবন, এবং পারাডে ক্যাফে প্রভৃতি জায়গায় এই মেট্রোর যাত্রাপথ রয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে এই লাইনে প্রায় দৈনিক ১.৭ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করবে। সম্পূর্ণ প্রজেক্টটিতে প্রায় ২৭টি স্টেশনের মধ্যে ২৬টি স্টেশনই হবে মাটির তলায়৷

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি (Mumbai metro) 

    বর্তমানে মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (MMRDA) মেট্রো লাইন ৩ এর প্রয়োজনীয় গবেষণা ও ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তাছাড়াও বৈদ্যুতিক সিস্টেমের পরীক্ষা এবং সিগন্যালিং সহ নানা দিকের পরীক্ষা চলছে। সমস্ত পরীক্ষা সফল ভাবে শেষ হওয়ার পর, মেট্রো রেল সেফটি কমিশনারকে (CMRS) পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। তারপরেই চালু হবে এই পরিষেবা (Mumbai First Underground Metro)। 
    মুম্বাই মেট্রোর ওয়েব সাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই বছরের ডিসেম্বরে এই পরিষেবা (Mumbai First Underground Metro) চালু হওয়ার কথা ছিল,  কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের ১,১৬৩ কোটি টাকা সরাসরি মুম্বাইকে দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন। এরফলেই এ বছর জুলাই মাসের মধ্যে পরিষেবাটি (Mumbai metro) চালু করা সম্ভব হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই গোটা প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭,২৭৫.৫০ কোটি টাকা।
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget 2024: বাংলা সহ পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিশেষ নজর কেন্দ্রের, বাজেটে জানালেন নির্মলা

    Union Budget 2024: বাংলা সহ পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিশেষ নজর কেন্দ্রের, বাজেটে জানালেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট (২০২৪-২৫) প্রস্তাব পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। মঙ্গলবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে বাজেট (Union Budget 2024) পেশ করেন নির্মলা। স্পিকারের চেয়ারে আসীন ওম বিড়লা। দেশের পূর্ব দিকের চার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং‌ বিহারের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র, বাজেটের শুরুতেই জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। বাজেট ভাষণে নির্মলা বলেন, এই প্রস্তাবে সরকার ৯টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। সেগুলি হল, কৃষি উৎপাদন ও কৃষিতে স্থিতিস্থাপকতা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার উন্নয়ন বৃদ্ধি, মানবসম্পদ বৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচার, কলকারখানা ও পরিষেবা বৃদ্ধি, চাকরির সুযোগ তৈরি, নগরোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো, গবেষণা ও আগামী প্রজন্মের জন্য সংস্কার। সরকারের লক্ষ্য থাকবে গরিব, মহিলা, যুব এবং অন্নদাতাদের প্রতি।

    কৃষিতে জোর (Union Budget 2024)

    কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয় এই বাজেটে (Union Budget 2024)। বেসরকারি ক্ষেত্রকেও কৃষি উৎপাদনের গবেষণায় উৎসাহিত করা হবে, বলে জানান অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, “কৃষিতে আমরা গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছি যাতে উৎপাদশীলতা বাড়ে। সরকার এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এই গবেষণায় ওপর জোর দেওয়া হবে। ৩২টি হর্টিকালচারাল শস্যের ওপর জোর দেওয়া হবে। ১ কোটি কৃষককে ন্যাচরাল ফার্মিং-এ নিয়ে আসা হবে। আমরা তৈলবীজ, সয়াবীন, চীনেবাদামে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করব। কৃষকদের সমবায়ের দিকে নজর দেওয়া হবে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ৫টি রাজ্যে চালু হবে।”

    যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়ন (Union Budget 2024)

    আগামী পাঁচ বছরের জন্য যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪.১ কোটি তরুণকে নিয়ে আসা হবে। এর জন্য সরকার পাঁচটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। ছোট সংস্থাগুলির কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রথম যাঁরা কাজে ঢুকছেন, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে এক মাসের বেতন দেওয়া হবে, বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিতে ১ কোটি যুবক-যুবতী ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। বাংলা সহ পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র বলে জানান নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আরও তিন কোটি বাড়ি তৈরি করা হবে। কৃষি খাতে বরাদ্দ করা হচ্ছে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা।

    গ্রামোন্নয়নে বরাদ্দ

    বাজেটে (Union Budget 2024) গ্রামোন্নয়নের জন্য ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে মহিলাদের সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে ছাড়ও দেওয়া হল। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে বিশেষ জোর দিচ্ছে সরকার। করা হবে ঋণের ব্যবস্থা। জানালেন নির্মলা। বন্যা রুখতে অসম, হিমাচল প্রদেশকে বিশেষ সাহায্যের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী। একই ভাবে সাহায্য করা হবে উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমকেও। 

    পর্যটনে সাহায্য, দাম কমল সোনা-রুপোর

    ভারতকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে শীর্ষে তুলে ধরার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী। পর্যটন সংক্রান্ত অধিকাংশ প্রকল্পই যেতে চলেছে বিহারে। নতুন করে সাজানো হবে বুদ্ধগয়া, রাজগির এবং নালন্দাকে। সরকার শুল্ক কমিয়ে নেওয়ায় দাম কমছে সোনা-রুপো, মোবাইল ফোন, লিথিয়াম ব্যাটারি, চামড়াজাত দ্রব্যের। দাম কমছে সৌর বিদ্যুতেরও। ক্যানসারের তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের শুল্কেও ছাড় দিচ্ছে কেন্দ্র। চার শতাংশ শুল্ক কমায় দাম কমতে পারে তামার তৈরি যে কোনও দ্রব্যের।

    পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর (Union Budget 2024)

    বাজেটে (Union Budget 2024) পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিল কেন্দ্র। চলতি অর্থবর্ষে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য খরচ করা হবে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা। এই টাকা ভারতের জিডিপি-র ৩.৪ শতাংশ। পরিকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগেও উৎসাহ দেওয়ার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবর্ষে সম্ভাব্য রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে ৪.৯ শতাংশ। রাজকোষ ঘাটতি ক্রমশ কমানোর কথা জানালেন নির্মলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share