Tag: bangla news

bangla news

  • Baba Ramdev: “রামদেবের সমস্যা না থাকলে, রহমানের কেন?”, কানওয়ার বিতর্কে প্রশ্ন যোগগুরুর

    Baba Ramdev: “রামদেবের সমস্যা না থাকলে, রহমানের কেন?”, কানওয়ার বিতর্কে প্রশ্ন যোগগুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি রামদেবের কোনও সমস্যা না থাকে, তাহলে রহমানের থাকবে কেন?” প্রশ্নগুলি যিনি করলেন, তামাম বিশ্ব তাঁকে চেনে যোগগুরু হিসেবে। তিনি বাবা রামদেব (Baba Ramdev)। কানওয়ার তীর্থ যাত্রা (Kanwar Yatra) নিয়ে যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া একটি নির্দেশিকাকে ঘিরে, তার জেরেই এহেন প্রতিক্রিয়া যোগগুরুর।

    রামদেবের প্রশ্ন (Baba Ramdev)

    তিনি বলেন, “নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে আপত্তি কোথায়? পরিচয় প্রকাশ করতে যদি রামদেবের কোনও সমস্যা না থাকে, তাহলে রহমানের থাকবে কেন? প্রত্যেকের তাঁদের নাম নিয়ে গর্ব বোধ করা উচিত। নাম লুকোনোর তো প্রয়োজন নেই। কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন কেবল বিশুদ্ধতার।” রামদেব বলেন, “যদি আমাদের কাজে কোনও ভেজাল না থাকে, তাহলে আমরা হিন্দু না মুসলমান কিংবা অন্য কোনও সম্প্রদায়ের কিনা, সে প্রশ্ন ওঠে না।” প্রসঙ্গত, কানোয়ার তীর্থ যাত্রা উপলক্ষে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যেসব খাবারের দোকান রয়েছে, সেগুলিতে বড় বড় ব্যানারে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যোগী সরকারের এহেন নির্দেশিকার জেরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

    সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনায় যখন মুখর হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন, তখন যোগী সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। মঞ্চের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, খোলা মনে কানওয়ার যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। মঞ্চের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কানওয়ার যাত্রা পথের পাশে থাকা মুসলমান দোকানদাররা হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসের মর্যাদা দেবেন। ফি বছর শ্রাবণ মাসে কানোয়ার যাত্রায় যোগ (Baba Ramdev) দেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজল নিয়ে ভক্তরা গিয়ে ঢালেন কানোয়ারে শিবের মাথায়। ২২ জুলাই, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে কানোয়ার যাত্রা। সেই উপলক্ষেই রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। যা নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    এক্স হ্যান্ডেলে সোনু সুদ লিখেছেন, “প্রতিটি দোকানে শুধু একটাই নেমপ্লেট থাকা উচিত। তা হল মানবিকতা।” এর জবাবে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মানছি, হালাল শব্দের (Kanwar Yatra) পরিবর্তেও তাহলে মানবিকতা লেখা উচিত (Baba Ramdev)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Howrah: তৃণমূল নেতার সামনেই সালিশি সভায় খুন, জখম তিন, শোরগোল

    Howrah: তৃণমূল নেতার সামনেই সালিশি সভায় খুন, জখম তিন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই জামালউদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরে জমি নিয়ে চলা বিবাদ মেটাতে শনিবার রাতে গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। সেই সভাতেই হল রক্তারক্তি। খুন হলেন এক জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জিয়াউল খান। জখম হয়েছেন তিন জন। আর এই সালিশি সভাতেও নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress)। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শ্যামপুর (Howrah) থানার বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাবাড় গ্রামে একটি সালিশি সভা বসেছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) সাইফুল খানের নেতৃত্বে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। মূলত, দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সালা করতে ডাকা হয়েছিল সেই সভা। কিন্তু, সেই সালিশি সভার মাঝপথে শুরু হয় হট্টগোল। জিয়াউল খান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজা খানের পরিবারের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মধ্যে আচমকা ছুরি বার করেন রাজা। তা দিয়ে জিয়াউলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন তিনি। সালিশি সভার মধ্যেই মৃত্যু হয় জিয়াউলের। জখম হন আরও তিন জন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। বর্তমানে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। মৃতের পরিবারের লোকজন বলেন, অনেক রাত পর্যন্ত সভা হয়েছিল। বাদানুবাদ হয়। তখন হঠাৎই ছুরি নিয়ে রাজা জিয়াউলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি কোপে জিয়াউলের মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। সেখানেই গন্ডগোল বাধে। একজনের মৃত্যু হয়। তিনজন জখম হন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sundarban: পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র! ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    Sundarban: পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র! ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে (Sundarban) ফের দুর্যোগের (Disaster) সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতর থেকে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত সতর্কে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর করা হয়েছে লাল সর্তকতা।

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর (Sundarban)

    কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় উপকুলে ঝড়ের (Disaster) সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গোটা সুন্দরবনের (Sundarban) উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মাইকে করে উপকুলবর্তী এলাকায় সাবধান বার্তা দেওয়ার কাজ চলছে। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তরফে ফেরিঘাট ও জনবহুল এলাকায় চলছে বিশেষ নজরদারি। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জীর্ণ এবং বেহাল সেতুবাঁধ, নদীর ধার থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের ফাঁকা বুথে কারা দিলেন এতো ভোট? ভূতুড়েকাণ্ডে শোরগোল!

    বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা

    আবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে, আপাতত কলকাতায় ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা (Sundarban), পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা জেলা, নদিয়া মুর্শিদবাদ জেলায়। একই ভাবে সোমবারের পর মঙ্গলবার সবগুলি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। একই সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই বৃষ্টি বজ্রবিদ্যুৎ সহযোগে হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে রবি-সোম-মঙ্গলে ভারী বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে।

    নতুন করে ভাঙন গঙ্গাসাগরে

    পূর্ণিমার কোটালে আবারও নতুন করে ভাঙলো গঙ্গাসাগরের(Sundarban) কপিলমুনি মন্দিরের নদী তীরবর্তী এলাকা। এর আগেও গঙ্গাসাগরের তিন নম্বর থেকে ৫ নম্বর রাস্তা ভেঙে চলে গিয়েছিল নদীগর্ভে। আজ রবিবার নতুন করে তিন নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের যে রাস্তা তা ভেঙে চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় দোকানদারেরা সেখান থেকে দোকানগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে না নামার জন্য করছেন মাইকিং। বিগত কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। যেখানে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Landslide: কেদারনাথ যাত্রায় পাহাড় থেকে গড়িয়ে এল বোল্ডার, চাপা পড়ে মৃত ৩ পুণ্যার্থী

    Kedarnath Landslide: কেদারনাথ যাত্রায় পাহাড় থেকে গড়িয়ে এল বোল্ডার, চাপা পড়ে মৃত ৩ পুণ্যার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথের (Kedarnath Landslide) যাত্রাপথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)! ধসের জেরে পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসে বড় পাথরের চাঁই আর এতেই মৃত্যু হল ৩ তীর্থযাত্রীর। ঘটনাটি রবিবার সকালেই উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার গৌরীকুন্ডু ও চিরবাসারের মাঝামাঝি যাত্রাপথে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকাতে। প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই পথে যাত্রা না করার।

    মৃতদের মধ্যে (Kedarnath Landslide) দুজন মহারাষ্ট্রের এবং একজন রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা

    প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথের (Kedarnath Landslide) একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েই চলেছে। মাঝেমধ্যেই ধস নামার খবর মিলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই দুর্গম পথেই কেদারনাথে ট্রেকিং করে এগোচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন তীর্থযাত্রী। কিন্তু তারই মাঝে পাহাড় থেকে নেমে আসে বড় বোল্ডার আর তাতেই পিষে মৃত্যু হয় তিনজনের। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে দুজন মহারাষ্ট্রের এবং একজন রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা। এই দুর্ঘটনায় (Accident) একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। বোল্ডারের নিচে আরও কেউ আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

    গোটা ঘটনায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি নিজের এক্স হ্যান্ডেলের দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পাথর চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক (Kedarnath Landslide)। উদ্ধার কাজ চলছে। পরিস্থিতির ওপরে আমরা নজর রাখছি।’’

    এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবারও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে চম্পাবত, নৈনিতালে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওই এলাকাগুলির জন্য। এর পাশাপাশি রয়েছে ধসের আশঙ্কাও। শনিবারও ধস নামে চম্পাবত জাতীয় সড়কে। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় ওই জাতীয় সড়ক। জানা গিয়েছে, গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কেরও একই অবস্থা। ধসের কারণে বন্ধ হয়েছে সেই রাস্তা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে তীর্থযাত্রীদের কেদারনাথের পথে যাত্রা করতে নিষেধ করছে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget: আজ সপ্তম বার বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারামন, কার রেকর্ড ভাঙবেন জানেন?

    Union Budget: আজ সপ্তম বার বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারামন, কার রেকর্ড ভাঙবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমবার বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাতবার (Union Budget) বাজেট পেশ করলে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এর আগে মোরারজি দেশাই ৬ বার বাজেট পেশ করেছেন। সেই রেকর্ড আগেই ছুঁয়ে ফেলেছেন নির্মলা। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ২৩ জুলাই, বাজেট পেশ করে নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) প্রথম অর্থমন্ত্রী হবেন যিনি সাত বারের জন্য বাজেট পেশ করবেন।

    ৬ বার বাজেট পেশ করেছেন মোরারজি দেশাই (Union Budget)

    ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল অবধি মোরারজি দেশাই ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি ছটি বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। এর মধ্যে পাঁচটি পূর্ণ প্রস্তাব এবং একটি অন্তর্বর্তী বাজেট ছিল। এবারের বাজেট (Union Budget) প্রস্তাব আগের বারের মতোই কাগজবিহীন বাজেট হবে। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনের পর ফের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার। এবারের বাজেট পেশ করার আগে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিক সহ দেশের বিভিন্ন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। ২০ জুন তিনি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, শিক্ষা স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি, লঘু ও ভারী শিল্প উদ্যোগ সহ বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা হয় বাজির ঘাটতি এবং সরকারের খরচ কমানোর নিয়েও।

    বাড়বে সরকারের খরচ (Nirmala Sitharaman)

    যদিও কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি আশা প্রকাশ করেছে, সরকারের খরচ বৃদ্ধি হবে এবারের বাজেটে (Union Budget)। ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করে তাঁরা। এবার বিভিন্ন কৃষি সংগঠন অর্থমন্ত্রীর (Nirmala Sitharaman) কাছে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। ১২ অগাস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশনে ১৯ দিন সংসদ খোলা থাকবে। আশা করা হচ্ছে এবার সরকার কেন্দ্রীয় সরকার সাতটি বিল পেশ করতে চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম এয়ারক্রাফট বিল।

    আরও পড়ুন: বাজেটের আগেই সংসদে পেশ হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট

    এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের বাজেটের জন্য সংসদের সম্মতিও উল্লেখযোগ্য বিষয়। ২৩ জুলাই সংসদে বাজেট পেশ ছাড়াও, ফিন্যান্স বিল নিয়ে আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, এবারের অধিবেশনে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন, ভারতীয় বায়ুযান বিল, ২০২৪ বয়লার্স বিল, কফি ও রবার প্রমোশন বিল পাশ করানোর চেষ্টা করবে সরকার।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশের আন্দোলনের প্রভাব বঙ্গের মাছ বাজারে, লোকসানের অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন…

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশের আন্দোলনের প্রভাব বঙ্গের মাছ বাজারে, লোকসানের অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কারের (Bangladesh Protest) দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। এর প্রভাব পড়েছে এপার বাংলার মাছ বাজারে। হাওড়া, পাইকপাড়া, বারাসত সহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে মাছ আমদানি (Fish Supply) করা হত। বিগত ৩-৪ দিন ধরে তা বন্ধ। ফলে ইলিশ সহ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা অন্যান্য মাছের যোগানেও টান পড়েছে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে, এপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীদের।

    কোটি কোটি টাকার ক্ষতি (Bangladesh Protest)

    আন্দোলনের জেরে (Bangladesh Protest) বাংলাদেশ থেকে বাতিল হয়েছে ট্রেন। বন্ধ সে দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি হয়েছে কারফিউ। স্থল বন্দর হয়ে জিনিসপত্রের আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি বন্ধ ইলিশ মাছের আমদানি। প্রতিদিন প্রায় ১০০ টন মাছ আমদানি হত বাংলাদেশ থেকে। ইলিশ মাছ ছাড়াও ট্যাঙরা, ভেটকি, পাবদা, পাঙাস, পমফ্রেট সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় হাওড়ার মাছ বাজারে। অন্যান্য মাছ বাজারেও টন-টন মাছ আসত প্রতিদিন। বিগত ৩-৪ দিন ধরে সেই আমদানি বন্ধ।

    সংগঠনের বক্তব্য (Fish Supply)

    ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে মাছ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় অনলাইনে সে দেশের ব্যবসায়ীদের টাকা পাঠানো যাচ্ছে না। নতুন অর্ডারও দেওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)থেকে এ রাজ্যেও গাড়ি আসার সংখ্যা কমে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন মাছের ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন গড়ে আড়াই কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। বর্ষাকালে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ (Fish Supply) আমদানি করা হয়। অন্যান্য নদীর ইলিশও আসে ভারতে। কিন্তু এবার ইলিশের আমদানির জন্য চিঠি লেখার কাজ শুরু হলেও, ইলিশ পাওয়া যাবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।

    আরও পড়ুন: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

    এভাবে অশান্তি চলতে থাকলে এবার ওপার বাংলার ইলিশ নাও আসতে পারে।” আপাতত পরিস্থিতি (Bangladesh Protest) কবে স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

    Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও ফাঁকা বুথ (Empty Booth), কিন্তু এতো ভোট কারা দিলেন? এই ভূতুড়ে ভোটারদের ঘিরে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণের উপনির্বাচনের (Assembly By-Election 2024) চিত্রটাই ছিল ঠিক এমনই। জ্ঞানদাসুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ১২৭ নম্বর বুথ। এই ভোটকেন্দ্রে সিপিএম পেয়েছে ৮ ভোট, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৫২ ভোট। অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭১ ভোট। বুথে মোট ভোটারদের ৯৩.৬৪ শতাংশ একক ভাবে পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ দেখেই উঠছে প্রশ্ন। আবার কুঞ্জবিহারী দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুম নম্বর ২। সেখানে সিপিএম পেয়ছে ১১ এবং বিজেপি পেয়েছে ৬৪, তৃণমূলের ভোট ৫০৯। বুথে ভোট পড়ার পরিমাণ ৮৫.৯৮ শতাংশ। এই দুই বুথ থেকেই বোঝা যাচ্ছে কীভাবে ভোট হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, এটাই হল তৃণমূলের ‘ডায়মন্ড হারবার মডলে।’

    মাণিকতলায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ (Assembly By-Election 2024)

    নির্বাচন কমিশনের তথ্যের সূত্র দেখে জানা গিয়েছে, রাণাঘাট দক্ষিণের অন্তত ১৪টি ভোটকেন্দ্রে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট (Assembly By-Election 2024) ৮০ শতাংশ। আবার মাণিকতলায় গত লোকসভার ভোটে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে ছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভোটে। ১৬ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আবার উপনির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে থেকেই তৃণমূলের লিড ৩৫৭০ ভোটে। ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে মাত্র ১০০ ভোট পেলেও, সিপিএম ২৮, কিন্তু তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে পেয়েছেন ৭১৬ ভোট। আবার ৭৫ নম্বর বুথে বিজেপি পেয়েছে ৬৭ ভোট, সিপিএম পেয়েছে ৯ ভোট আর তৃণমূল ৪৭৬ ভোট। একই কেন্দ্র ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি, সিপিএমের ভোট একই। কিন্তু তৃণমূলের ভোটের ক্রমটা ৩৪২, ৩৯২, ৩৬২, ৩৬৭, ৩৪৯। দেখেই যেন মনে হবে কেউ তৃণমূলের জন্য ভোটের নম্বর মনগড়া বসিয়েছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের ভোট (Empty Booth) নিয়ে।

    বাগদা এবং রায়গঞ্জে ভোটের পরিমাণ

    আবার বাগদা কেন্দ্রের ২৩৩, ২৩৫, ২৪০, ২৭৮ নম্বর বুথে ভোট লুট (Assembly By-Election 2024) হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ২৩৫ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর পেয়েছেন ৮৪৪ ভোট। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৩০ এবং বিজেপির বিনয় বিশ্বাস ১০। একই ভাবে ২৩৩ নম্বর বুথে তৃণমূল ৬৭৮, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪৭ এবং বিজেপি ৫৫। আবার ২৪০ নম্বর বুথে তৃণমূল ২৮১, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ এবং বিজেপি ৩৪। তাই ভোট কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৯৩ হাজার ৪০২ ভোট, আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৬ হাজার ৬৬৩ ভোট। এক মাস পরে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে গেল ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট। এই ভোট গ্রহণ এবং ফলে বিরোধীরা শাসক দলের ষড়যন্ত্র মনে করছে।

    আরও পড়ুনঃ কেউ পাননি ভাতা কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রাণাঘাট দক্ষিণে ৭০ হাজার, বাগদায় ২০ হাজার এবং রায়গঞ্জে ৫০ হাজার ভোটারকে ভোট (Assembly By-Election 2024) দিতে দেয়নি তৃণমূল। মাণিকতলায় ৮টি ওয়ার্ডে লুট করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে হিন্দুদের ভোট দিতে দেয়নি।” অপর দিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “কাউকে কোথাও ভোটে বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

    Bangladesh: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট (Bangladesh Supreme Court)। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে এদিন আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কার করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সংরক্ষণ নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্তকে গত ৫ জুন অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। এরপরেই সংরক্ষণ ইস্যুতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। অগ্নিগর্ভ হয় সে দেশের পরিস্থিতি। সরকারকে জারি করতে হয় কার্ফু। শতাধিক মানুষ নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামাতে হয় সেনা।

    হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্ত (Bangladesh) অনেকটাই বহাল থাকল

    ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশকে খারিজ করল। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষেই বেশ কিছুটা গিয়েছে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হুবহু তা এদিন বহাল রাখেনি বাংলাদেশের (Bangladesh) শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে বটে তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল হয়নি।

    শীর্ষ আদালতের রায়ের বিশ্লেষণ 

    এদিনের রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অন্যান্য শ্রেণীর জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এদিন রায় ঘোষণার পাশাপাশি পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছে শীর্ষ আদালত। শুনানির পরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট (Bangladesh Supreme Court) জানিয়েছে, হাই কোর্টের রায় বেআইনি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য থাকবে আরও দুই শতাংশ সংরক্ষণ।’’

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। তবে এদিন হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: কেউ পাননি ভাতা, কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    TMC 21 July: কেউ পাননি ভাতা, কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) সমাবেশে কেউ এসেছেন সাগরদিঘি থেকে থেকে তো কেউ বা আবার বাঁকুড়া থেকে। তবে শহিদ সমাবেশে বাদ গেল না তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ। কারও অভিযোগ ভাতা পাচ্ছেন না তো কেউ আবার অভিযোগ করছেন সময় মতো মিলছে না খাবার। গোঘাট থেকে আসা এক তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) তো কোনওরকম রাখঢাক না করেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, ‘‘পাক্কা ৩ ঘণ্টার ওপর লাইন দিয়ে রয়েছি, এখনও খাবার পাইনি। ব্যাপক ঠেলাঠেলি চলছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা।’’ আর এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমের সামনে বললেন, ‘‘পরিবেশন যাঁরা করছেন, তাদের সংখ্যাও বেশ কম। আয়োজনও বেশ কম করা হয়েছে। অনেক লোকই লাইন দিয়েও খাবার পাচ্ছেন না। খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’

    বিশৃঙ্খলার ২১ জুলাই (TMC 21 July)

    কিছু সমর্থক আবার বলছেন, ‘‘লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। খাবার নিয়ে হুড়োহুড়ি চলছে।‘’’ অনেকের আবার এও অভিযোগ, ‘‘বহুবার ভাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে সমস্যা, খেতে পারছেন না কর্মীরা।’’ তবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে পাতে মেনু রয়েছে সয়াবিন, ডিম ভাজা আর গরম ভাত। এতেই প্রশ্ন উঠছে, শহিদ দিবস (TMC 21 July) কি আদৌও আবেগের দিবস নাকি তা তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ দিবস হয়ে দাঁড়াল। মুখ্যমন্ত্রী গাল ভরা ভাষণ তো দিচ্ছেন, একাধিক প্রকল্প নিয়ে। তবে তার বাস্তবায়ন কী হচ্ছে! এমন প্রশ্ন আর বিরোধীরা তুলছেন না, খোদ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এনিয়ে।

    ভাতা বন্ধ, কী বলছেন তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July) একাংশ?

    সাগরদিঘি থেকে আসা এক তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) জানিয়েছেন, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। মতিউর শেখ নামে ওই কর্মীর আরও অভিযোগ, ‘‘আমরা বায়রন বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসেছি। আমাদের মতো প্রচুর গরিব মানুষের ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক ভাতাই মিলছে না। এ বিষয়ে আমরা বিডিওকে জানালে তিনি বলছেন সরকার টাকা দিচ্ছে না।’’ বাঁকুড়া থেকে এসেছেন তৃণমূল কর্মী শেখ জোহাদও। একই অভিযোগ তাঁরও। তিনি বলছেন, ‘‘প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়া অন্য ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষক বন্ধু আটকে গিয়েছে। বিধবা ভাতা আটকে গিয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বার্ধক্য ভাতাও আটকে গিয়েছে। যদিও আমাদের ওখানে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদ। হতে পারে ওদের জন্য পাচ্ছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sarco Pod: যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যুর যন্ত্র সারকো-পড ঘিরে ফিরল গ্যাস চেম্বার বিতর্ক

    Sarco Pod: যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যুর যন্ত্র সারকো-পড ঘিরে ফিরল গ্যাস চেম্বার বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামদায়ক মৃত্যুর খোঁজ মিলেছে সুইজারল্যান্ডে (Switzerland) । নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য সুইসাইড পড’। গোলাকার কফিন আকৃতির পোর্টেবল যন্ত্রটি সাহায্য করবে কষ্টবিহীন স্বেচ্ছামৃত্যুতে। ২০১৯ সালে যন্ত্রটির প্রথম প্রোটোটাইট তৈরি করে ‘এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি সংস্থা। মূলত দুরারোগ্য ব্যাধিতে যারা ভুগছেন তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর বন্দোবস্ত করার উদ্দেশ্যেই এই মৃত্যু যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। ২০২১ সালে আইনি ছাড়পত্র পেয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র ‘সারকো-পড’ (Sarco Pod) ।  

    বোতাম টিপলেই স্বেচ্ছামৃত্যু (Sarco Pod)

    দাবি করা হয়েছে, কফিন আকৃতির এই মেশিনে শুয়ে একটি বোতাম টিপলেই মাত্রই ধীরে ধীরে যন্ত্রণা বিহীন ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া ব্যক্তি। বোতামে চাপ দিলেই সারকো পডে (Sarco Pod) ভরে যাবে লিকুইড নাইট্রোজেন। দ্রুত নামবে অক্সিজেনের মাত্রা। কয়েক মুহূর্তের অস্বস্তির পরেই জ্ঞান হারাবেন ঐ ব্যাক্তি। মিনিট দশকের মধ্যে হাইপক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ায় মারা যাবেন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে ‘সারকো-পড’ ব্যবহারের ন্যূনতম বয়সসীমা ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। কবে এবং কাকে প্রথমে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি।

    যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যু দেবে ‘সারকো-পড’ (Switzerland)

    মৃত্যু যে একেবারে যন্ত্রণাদায়ক হবেনা এমনটা অবশ্য দাবি করছে না। কয়েক সেকেন্ড পর অস্বস্তির পর জ্ঞান হারাবেন (Sarco Pod) স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া ব্যক্তি জ্ঞান হারানোর পর অবশ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। ‘সারকো-পডের’ মধ্যে ঢুকে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে গেলে তিনটি ধাপ পের হতে হবে। প্রথমে স্বেচ্ছামৃত্যুতে আগ্রহী ব্যক্তিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এর পর স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

    ফিরবে গ্যাস চেম্বারের স্মৃতি

    সুইজারল্যান্ড (Switzerland) সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু ১৯৪২ থেকে বৈধ ভাবে শুরু হয়। বছরে মোটামুটি ১৩০০ জন স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করে থাকেন। স্বেচ্ছামৃত্যু জনপ্রিয় হলে সেই ট্রেন্ড আরও বাড়বে। অনেক দেশেই স্বেচ্ছামৃত্যু অবৈধ। অনেকেই সুইজারল্যান্ডে গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু বিতর্ক ‘সারকো-পড’ (Sarco Pod) নিয়েও কম নয়। কারণ এই মেশিন এক ধরনের গ্যাস চেম্বার। নাজি বাহিনী যেভাবে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মারত, এই নয়া যন্ত্র গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে নিজেকে মেরে ফেলার সমান। ‘সারকো-পড’ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, এই যন্ত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই গ্যাস চেম্বারের স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। মেশিনের বোতাম কার কন্ট্রোলে থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

    মৃত্যু যন্ত্র তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর

    এই মেশিনের আবিষ্কারক ফিলিপ নিৎস্কে। তাঁকে ‘ডক্টর ডেথ’ বলে ডাকা হয়। মৃত্যুকে অকারণে গ্ল্যামার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। (Sarco Pod) যন্ত্রটির আবিষ্কারক পিলিপ বলছেন মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ২১ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশে নেমে আসবে অক্সিজেনের মাত্রা। খুব সহজেই অবচেতন অবস্থায় স্বেচ্ছামৃত্যু পাবেন আবেদনকারী ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাড়ল হিন্দু জনসংখ্যা, জানেন কত?

    যন্ত্রণা একেবারে যাতে কম হয় তা নিশ্চিত করবে এই যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে জীবনের ইতি টানতে গেলে খরচ করতে হবে ২০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার টাকার একটু কম। এই যন্ত্র তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর। খরচ হয়েছে ৭.১০ লক্ষ ডলার।  প্রয়োজনে এই যন্ত্র বাড়িতে নিয়ে গিয়েও স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো যেতে পারে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share