Tag: bangla news

bangla news

  • TMC 21 July: কেউ পাননি ভাতা, কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    TMC 21 July: কেউ পাননি ভাতা, কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) সমাবেশে কেউ এসেছেন সাগরদিঘি থেকে থেকে তো কেউ বা আবার বাঁকুড়া থেকে। তবে শহিদ সমাবেশে বাদ গেল না তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ। কারও অভিযোগ ভাতা পাচ্ছেন না তো কেউ আবার অভিযোগ করছেন সময় মতো মিলছে না খাবার। গোঘাট থেকে আসা এক তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) তো কোনওরকম রাখঢাক না করেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, ‘‘পাক্কা ৩ ঘণ্টার ওপর লাইন দিয়ে রয়েছি, এখনও খাবার পাইনি। ব্যাপক ঠেলাঠেলি চলছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা।’’ আর এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমের সামনে বললেন, ‘‘পরিবেশন যাঁরা করছেন, তাদের সংখ্যাও বেশ কম। আয়োজনও বেশ কম করা হয়েছে। অনেক লোকই লাইন দিয়েও খাবার পাচ্ছেন না। খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’

    বিশৃঙ্খলার ২১ জুলাই (TMC 21 July)

    কিছু সমর্থক আবার বলছেন, ‘‘লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। খাবার নিয়ে হুড়োহুড়ি চলছে।‘’’ অনেকের আবার এও অভিযোগ, ‘‘বহুবার ভাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে সমস্যা, খেতে পারছেন না কর্মীরা।’’ তবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে পাতে মেনু রয়েছে সয়াবিন, ডিম ভাজা আর গরম ভাত। এতেই প্রশ্ন উঠছে, শহিদ দিবস (TMC 21 July) কি আদৌও আবেগের দিবস নাকি তা তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ দিবস হয়ে দাঁড়াল। মুখ্যমন্ত্রী গাল ভরা ভাষণ তো দিচ্ছেন, একাধিক প্রকল্প নিয়ে। তবে তার বাস্তবায়ন কী হচ্ছে! এমন প্রশ্ন আর বিরোধীরা তুলছেন না, খোদ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এনিয়ে।

    ভাতা বন্ধ, কী বলছেন তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July) একাংশ?

    সাগরদিঘি থেকে আসা এক তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) জানিয়েছেন, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। মতিউর শেখ নামে ওই কর্মীর আরও অভিযোগ, ‘‘আমরা বায়রন বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসেছি। আমাদের মতো প্রচুর গরিব মানুষের ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক ভাতাই মিলছে না। এ বিষয়ে আমরা বিডিওকে জানালে তিনি বলছেন সরকার টাকা দিচ্ছে না।’’ বাঁকুড়া থেকে এসেছেন তৃণমূল কর্মী শেখ জোহাদও। একই অভিযোগ তাঁরও। তিনি বলছেন, ‘‘প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়া অন্য ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষক বন্ধু আটকে গিয়েছে। বিধবা ভাতা আটকে গিয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বার্ধক্য ভাতাও আটকে গিয়েছে। যদিও আমাদের ওখানে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদ। হতে পারে ওদের জন্য পাচ্ছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sarco Pod: যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যুর যন্ত্র সারকো-পড ঘিরে ফিরল গ্যাস চেম্বার বিতর্ক

    Sarco Pod: যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যুর যন্ত্র সারকো-পড ঘিরে ফিরল গ্যাস চেম্বার বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামদায়ক মৃত্যুর খোঁজ মিলেছে সুইজারল্যান্ডে (Switzerland) । নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য সুইসাইড পড’। গোলাকার কফিন আকৃতির পোর্টেবল যন্ত্রটি সাহায্য করবে কষ্টবিহীন স্বেচ্ছামৃত্যুতে। ২০১৯ সালে যন্ত্রটির প্রথম প্রোটোটাইট তৈরি করে ‘এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি সংস্থা। মূলত দুরারোগ্য ব্যাধিতে যারা ভুগছেন তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর বন্দোবস্ত করার উদ্দেশ্যেই এই মৃত্যু যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়। ২০২১ সালে আইনি ছাড়পত্র পেয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র ‘সারকো-পড’ (Sarco Pod) ।  

    বোতাম টিপলেই স্বেচ্ছামৃত্যু (Sarco Pod)

    দাবি করা হয়েছে, কফিন আকৃতির এই মেশিনে শুয়ে একটি বোতাম টিপলেই মাত্রই ধীরে ধীরে যন্ত্রণা বিহীন ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া ব্যক্তি। বোতামে চাপ দিলেই সারকো পডে (Sarco Pod) ভরে যাবে লিকুইড নাইট্রোজেন। দ্রুত নামবে অক্সিজেনের মাত্রা। কয়েক মুহূর্তের অস্বস্তির পরেই জ্ঞান হারাবেন ঐ ব্যাক্তি। মিনিট দশকের মধ্যে হাইপক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ায় মারা যাবেন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে ‘সারকো-পড’ ব্যবহারের ন্যূনতম বয়সসীমা ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। কবে এবং কাকে প্রথমে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি।

    যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যু দেবে ‘সারকো-পড’ (Switzerland)

    মৃত্যু যে একেবারে যন্ত্রণাদায়ক হবেনা এমনটা অবশ্য দাবি করছে না। কয়েক সেকেন্ড পর অস্বস্তির পর জ্ঞান হারাবেন (Sarco Pod) স্বেচ্ছামৃত্যু চাওয়া ব্যক্তি জ্ঞান হারানোর পর অবশ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। ‘সারকো-পডের’ মধ্যে ঢুকে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে গেলে তিনটি ধাপ পের হতে হবে। প্রথমে স্বেচ্ছামৃত্যুতে আগ্রহী ব্যক্তিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তি সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এর পর স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

    ফিরবে গ্যাস চেম্বারের স্মৃতি

    সুইজারল্যান্ড (Switzerland) সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু ১৯৪২ থেকে বৈধ ভাবে শুরু হয়। বছরে মোটামুটি ১৩০০ জন স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করে থাকেন। স্বেচ্ছামৃত্যু জনপ্রিয় হলে সেই ট্রেন্ড আরও বাড়বে। অনেক দেশেই স্বেচ্ছামৃত্যু অবৈধ। অনেকেই সুইজারল্যান্ডে গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু বিতর্ক ‘সারকো-পড’ (Sarco Pod) নিয়েও কম নয়। কারণ এই মেশিন এক ধরনের গ্যাস চেম্বার। নাজি বাহিনী যেভাবে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মারত, এই নয়া যন্ত্র গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে নিজেকে মেরে ফেলার সমান। ‘সারকো-পড’ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, এই যন্ত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই গ্যাস চেম্বারের স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। মেশিনের বোতাম কার কন্ট্রোলে থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

    মৃত্যু যন্ত্র তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর

    এই মেশিনের আবিষ্কারক ফিলিপ নিৎস্কে। তাঁকে ‘ডক্টর ডেথ’ বলে ডাকা হয়। মৃত্যুকে অকারণে গ্ল্যামার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। (Sarco Pod) যন্ত্রটির আবিষ্কারক পিলিপ বলছেন মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ২১ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশে নেমে আসবে অক্সিজেনের মাত্রা। খুব সহজেই অবচেতন অবস্থায় স্বেচ্ছামৃত্যু পাবেন আবেদনকারী ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাড়ল হিন্দু জনসংখ্যা, জানেন কত?

    যন্ত্রণা একেবারে যাতে কম হয় তা নিশ্চিত করবে এই যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে জীবনের ইতি টানতে গেলে খরচ করতে হবে ২০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার টাকার একটু কম। এই যন্ত্র তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২ বছর। খরচ হয়েছে ৭.১০ লক্ষ ডলার।  প্রয়োজনে এই যন্ত্র বাড়িতে নিয়ে গিয়েও স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো যেতে পারে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) শহিদ দিবসকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু, তার মধ্যে এক ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার ভাঙরের হাতিশালা এলাকায়। বাস থামিয়ে শহিদ দিবসে যাওয়ার পথে অশ্লীল নৃত্য তৃণমূল কর্মীদের। এই তৃণমূল কর্মীরা বাসে করে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আসছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই তাঁরই দলের কর্মী-সমর্থকদের এমন অশ্লীল নৃত্য, প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে।

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July)

    উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনেও আনন্দ করতে করতে যাচ্ছি, বললেন তৃণমূল নেতারা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড়

    ইতিমধ্যেই এই ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, একুশে জুলাইকে (TMC 21 July) সামনে রেখে চোরেদের মিটিং। এটা কে কত খাবে, কে কত সেটিং করবে, আর সেখানে এই ধরনের নৃত্যই তো কাম্য। তৃণমূলের থেকে এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্টজনদের মতে এই ছবি শুধু নিন্দারই যোগ্য নয়, বরং আজকের এই বিশেষ দিনটিকেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিমালিপ্ত করা হল। শহিদদের অপমান করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) অনুপ্রবেশ করেছে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি জঙ্গি। সেই কারণেই আরও আঁটসাঁট করা হল ভূস্বর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর (Indian Army), প্রায় ৫০০ প্যারা স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ৫০ থেকে ৫৫ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি। এলাকায় অশান্তির ছক কষেছে তারা। এদেরই দমন করতে মোতায়েন করা হচ্ছে ওই কমান্ডোদের।

    গোয়েন্দা তৎপরতা তুঙ্গে (Jammu And Kashmir)

    অভিযান চালানোর আগে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। এই অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দাদের তৎপরতাও। এই জঙ্গিদের কারা সাহায্য করছে, কোথা থেকেই বা রসদ জোগাড় করছে, সেসবও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ভারতীয় সেনার তরফে টহলদারির জন্য অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এই বাহিনীতে রয়েছেন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার দক্ষ সেনা। জঙ্গি দমনের ছকও কষে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    জঙ্গি মোকাবিলায় গুচ্ছ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ও উন্নত কমিউনিকেশন ডিভাইস রয়েছে এই জঙ্গিদের হাতে। তাদের হাতে চলে এসেছে আফগানিস্তানে নেটো ও মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অত্যাধুনিক সব অস্ত্র (Jammu And Kashmir)। জঙ্গিদের সেই অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা। এদের মোকাবিলায় তাই মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষ সেনা। এই এলাকায় সন্ত্রাস-বিরোধী পরিকাঠামোও সম্প্রতি গড়ে তুলেছে ভারতীয় সেনা। যাতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের দুটি ব্যাটেলিয়ন – রোমিও এবং ডেল্টা ফোর্স। এর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রেগুলার ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনও।

    আরও পড়ুন: ‘‘জনজাতিদের জমি ও অধিকার রক্ষা করবে বিজেপি’’, ঝাড়খণ্ডে বললেন অমিত শাহ

    জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে উন্নয়ন যজ্ঞ। জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিয়ে সেই উন্নয়ন যজ্ঞই ব্যাহত করতে চাইছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই ভারতে জঙ্গি ঢুকিয়ে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় পাক সরকার। এতে লাভ হয় দু’দিক থেকে। এক, ‘হা-ভাতে’র দেশ পাকিস্তানে অনায়াসেই মেলে জঙ্গি হওয়ার জন্য তাজা রক্ত। আর দুই, ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’ চালিয়ে গেলে দেশে বয়ে যায় দেশপ্রেমের বন্যা। তখন আর অনাহার-অপুষ্টি নিয়ে (Indian Army) বিশেষ মাথা ঘামায় না কেউ। তাই ভূস্বর্গে (Jammu And Kashmir) নিরন্তর জ্বলতে থাকে অশান্তির গনগনে আগুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা, উদ্বেগে পরিবারের লোকজন

    Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! আটকে ভারতীয় পড়ুয়ারা, উদ্বেগে পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। গত তিন-চারদিন ধরে শয়ে শয়ে ভারতীয় দেশে ফিরছেন। কিন্তু, এখনও বহু ভারতীয় বাংলাদেশে রয়েছেন। তাঁরা ফিরতে পারেননি। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার অনেক পড়ুয়া আটকে রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে। ফলে, চরম আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কারণ, অনেককেই ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানা যাচ্ছে না।

    চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন (Bangladesh Protest)

    হরিহরপাড়ার বাসিন্দা নাসিম হাসান বিশ্বাস ঢাকার ডেলটা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। একই কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া রানিনগরের ইমরুল কায়েস। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তাঁরা আটকে রয়েছেন ঢাকা (Bangladesh Protest) শহরে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকজন কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর আগে শেষবার যখন যোগাযোগ হয়েছিল তাতে জানা গিয়েছিল, ঘরে ফেরার জন্য তাঁরা বাস পাচ্ছেন না। বাতিল হয়েছে উড়ান। ফলে তাঁদের মতো অনেকেই আটকে রয়েছেন সেখানে। হরিহরপাড়ার নাসিমের বাবা হাফিজুল ইসলাম বলেন, “ছেলে যে কলেজে পড়ে সেখানকার নিরপত্তারক্ষী খুন হয়েছেন। এই ঘটনার পর ছেলে আতঙ্কে রয়েছে। সে বাড়ি ফেরার জন্য বাস পায়নি। প্লেনও পায়নি। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। ফলে, আমরাও ওর সঙ্গে ঠিক মতো যোগাযোগ করতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। প্রতিদিন খবরে যা দেখছি, তাতে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। ছেলের সঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অনেক পড়়ুয়া রয়েছে। সকলেই দেশে না ফেরা পর্যন্ত আমাদের আতঙ্ক কাটবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করলে খুব ভালো হয়।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    কী বললেন সাংসদ?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “এই এলাকায় অনেকে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) রয়েছে। তাঁরা ফিরতে চাইছেন, সেখানকার পরিস্থিতির কারণে তাঁরা আটকে পড়েছেন। তাঁদের ফেরানোর জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব। ছেলেমেয়েরা যাতে ঘরে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগ, ‘নেক্সট টু কিন’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে

    Madhya Pradesh: স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগ, ‘নেক্সট টু কিন’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগের কথা জানিয়ে ‘নেক্সট টু কিন’ বিতর্কের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাকর্মী অংশুমান সিং-এর মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ নিয়ে তাঁর বাবা-মা দাবি করেছিলেন, এই সম্মাননা নিয়ে পুত্রবধূ বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন। একই ভাবে ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতি বদলের কথাও তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এমন অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের মোহন যাদবের সরকার ঘোষণা করেছেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে আর্থিক সহায়তা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাবা-মাকেও দেওয়া হবে। রাজ্যের পুলিশ বিভাগে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

    ‘নেক্সট অফ কিন’ প্রকল্পে সরকারের ঘোষণা (Madhya Pradesh)

    মধ্যপ্রদেশের বীরগতি প্রাপ্ত জওয়ান অংশুমানের বাবা-মা ‘নেটক্স অফ কিন’ প্রকল্পে বদলের দাবি করেছিলেন। মাত্র কয়েক দিনের মাথায় মধ্যপ্রদেশ সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, কোনও পুলিশকর্মী যদি কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ১ কোটি টাকা। এতদিন পর্যন্ত পুলিশ কর্মী বিবাহিতা হলে এই আর্থিক সাহায্যের সম্পূর্ণ টাকা পেতেন কেবলমাত্র তাঁর স্ত্রী। কিন্তু এবার থেকে নতুন ঘোষণায় স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাবা-মা পাবেন ৫০ লাখ এবং স্ত্রী পাবেন ৫০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে বিশেষ সম্মান পেলে তার উপরও অধিকার থাকবে বাবা-মায়ের।

    আরও পড়ুনঃ নিট প্রশ্ন ফাঁসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শশী সহ আরও দুই ‘সলভার’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

    নমিনির নিয়মে পুনর্বিবেচনা করুক

    মাত্র কয়েকদিন আগেই ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং-এর (Madhya Pradesh) কীর্তি সম্মান নিয়ে ব্যাপক ভাবে চর্চা হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিয়াচিনের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার করতে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে নিজে নিহত হয়েছিলেন। এরপর এই বছর ৫ জুলাই তাঁর এই কাজের সম্মানে ‘কীর্তি চক্র’ প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই সম্মান গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি এবং মা মঞ্জু। এরপর এই সম্মান পুরস্কার নিজের বাবার বাড়ি নিয়ে চলে যান স্মৃতি। পাল্টা সরব হন অংশুমানের বাবা-মা। বাবা প্রতাপ সিং বলেছেন, “আমরা চাই সরকার নমিনির নিয়মে পুনর্বিবেচনা করুক। অভিভাবকদের যাতে কষ্ট করতে না হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Economic Survey: বাজেটের আগেই সংসদে পেশ হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট

    Economic Survey: বাজেটের আগেই সংসদে পেশ হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ জুলাই সংসদে পেশ হবে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2024)। তার আগের দিন সোমবার সংসদে অর্থনৈতিক সার্ভে (Economic Survey) রিপোর্ট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ভারতীয় অর্থনীতির রিপোর্ট কার্ডও বলা যেতে পারে একে। গত অর্থবর্ষে দেশের বৃদ্ধির হার কেমন ছিল, তাও জানা যাবে এই ইকনোমিক সার্ভে থেকে।

    ইকনোমিক সার্ভের রিপোর্ট (Economic Survey)

    প্রতি বছর কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগেই পেশ হয় ইকনোমিক সার্ভের রিপোর্ট। তা থেকেই জানা যায় দেশের অর্থনীতির হাল কেমন, সমৃদ্ধিই বা কেমন, আর্থিক নীতিতে কোনও বদল হল কিনা, এই সব। সার্ভে রিপোর্টটি বানিয়েছে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি দল। ইকনোমিক এই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকেই জানা যায় দেশে কর্মসংস্থানের হার কত, জিডিপি গ্রোথই বা কেমন, মুদ্রাস্ফীতি এবং বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ সম্পর্কে।

    অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার

    ভারতের গায়ে সেঁটে গিয়েছে দ্রুততম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশের তকমা। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচে। দীর্ঘকাল যে জায়গাটা দখলে রেখেছিল ইংল্যান্ড। বিভিন্ন সমীক্ষার সার্ভে রিপোর্ট বলছে, অচিরেই জাপানকে সরিয়ে ভারত চলে আসবে ওই তালিকার চার নম্বরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারতের (Economic Survey) অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৭ শতাংশ। চলতি বছরের জুন মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও জানিয়েছিল, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৭.২ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেখেছে, ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৮ শতাংশ। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বৈশ্বিক বৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ছিল ১৮.৫ শতাংশ।”

    আরও পড়ুন: “পৃথিবী ছিল না, নিবিড় আঁধার, তখন কেবল মা নিরাকার মহাকালী—মহাকালের সঙ্গে বিরাজ করছিল”

    বাজেট অধিবেশনে ৬টি বিল

    এদিকে, ২২ জুলাই, সোমবার শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে ৬টি বিল পাশ করানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। সংসদের এই অধিবেশন চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। সংসদের উভয় কক্ষেই পেশ হবে নয়া বিলগুলি। এই বিলগুলি হল, অর্থনৈতিক বিল, বিপর্যয় মোকাবিলা (সংশোধনী) বিল, বয়লার্স বিল, বায়ুযান বিধেয়ক বিল (Budget 2024), কফি (প্রচার ও উন্নয়ন) বিল এবং রাবার (প্রচার ও উন্নয়ন) বিল (Economic Survey)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET-UG: নিট প্রশ্ন ফাঁসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শশী সহ আরও দুই ‘সলভার’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

    NEET-UG: নিট প্রশ্ন ফাঁসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শশী সহ আরও দুই ‘সলভার’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট (NEET-UG) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে এবার মাস্টারমাইন্ড। গতকাল শনিবার সিবিআই (CBI) এক বিটেক উত্তীর্ণ এবং দুই এমবিবিএস পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হল প্রথম জন এবং বাকি দ্বিতীয়রা নিটের প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রে সমাধানকারী বা সলভার হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল। সম্প্রতি ডাক্তারি প্রবেশিকার সর্ব ভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কেলেঙ্কারিতে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে গিয়েছিল।

    মাস্টার মাইন্ড শশী (NEET-UG)!

    সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ডাক্তারি পড়ুয়াদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা রাজস্থানের ভরত মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। ধৃতরা হল কুমার মঙ্গলম বিষ্ণোই এবং দীপেন্দুর কুমার। টেকনিক্যাল সার্ভেল্যান্স টিম হাজারিবাগে ঘটনার দিন তাদের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের (NEET-UG) মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিটেক ছাত্র শশী কুমার পাসওয়ানকে। গোটা প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডের কিংপিন হিসেবে অভিযুক্ত এই পড়ুয়া। ধৃত এই যুবক জামশেদপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়াশুনা করত। এই শশী সম্পূর্ণ দুর্নীতিকাণ্ডের প্রধানচক্রী। ইতিমধ্যে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা মোট গ্রেফতার করেছে ২১ জন অভিযুক্তকে।

    আরও পড়ুনঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নিরাপদে থাকতে ভারতে আসছেন বহু বাংলাদেশি

    ৫ মে হয়েছিল নিট পরীক্ষা

    ৫ মে সারা দেশে নিট ইজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখে হাজারীবাগে দুই সলভার উপস্থিত থাকার প্রমাণ মিলেছে। জামশেদপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বি টেক (ইলেক্ট্রিক্যাল) পাসআউট কুমার এবং রকির সঙ্গে এই শশীর কার্যকলাপের বিষয়ে যোগসূত্র উঠে এসেছে। তবে বিহার পুলিশ এই মামলার তদন্ত সিবিআইকে (CBI) হস্তান্তর করার পর গ্রেফতারি আরও বেড়েছে। সিবিআই আগেই পঙ্কজ কুমারকে গ্রেফতার করে ছিল, যিনি প্রশ্ন ফাঁসে করেছিলেন এবং রাজু সিং  নামক ব্যক্তি প্রক্রিয়ায় তাকে সাহায্য করেছিল। রকিকে অবশ্য আগেই এজেন্সি গ্রেফতার করেছে।

    নিট ইউজি, এনটিএ-এর মাধ্যমে এমবিবিএস, বিডিএস, এবং আয়ুষ অন্যান্য সম্পর্কিত কোর্সে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রবেশিকার পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এ বছর ৫ মে ৫৭১টি শহরের ৪ হাজার ৭৫০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা (NEET-UG) অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    Bangladesh Protest: উত্তাল বাংলাদেশ! উৎকন্ঠা নিয়ে ভারতে ফিরলেন ৩২০ জন পড়ুয়া, বন্ধ হল হিলি সীমান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। সেখানে মৃত্যুমিছিল চলছেই। এই আবহে চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন পড়ুয়ারা। এরমধ্যে নেপালের পড়ুয়াও রয়েছেন। প্রত্যেকে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছিলেন। রবিবার হিলি সীমান্ত দিয়ে তাঁরা ভারতে ফিরলেন। বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের হিলি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বেশকিছু ভারতীয় হিলি চেকপোস্ট (Hili Border) দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন।

    ৩২০ জন পড়ুয়া বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে ফিরলেন (Bangladesh Protest)

    ভারতে চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে আসা বাংলাদেশিরা (Bangladesh Protest) হিলি চেকপোষ্টের মাধ্যমে দেশে ফিরে যান। অপরদিকে, বাংলাদেশে কার্ফু থাকার কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে। শনিবার যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি নিয়ে গিয়েছিলেন, এদিন সকালে ফাঁকা লরি নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নামানো হয় সেনা-বাহিনী। শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা এবং ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই দৃশ্য এদিন দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি চেকপোষ্টে। পাশাপাশি নেপাল থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভারতে ফিরতে দেখা যায়। এদিন ৩২০ জন পড়ুয়া হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরলেন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    দেশে ফিরে কী বললেন পড়ুয়ারা?

    বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বুগুড়াতে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও তার আঁচ আমরা পাইনি। কিন্তু, ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দিল। কলেজ থেকে বলেছে বাংলাদেশে এখন থাকা সেফ হবে না। তাই আমরা ফিরে এলাম। আমাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মুম্বই, কাশ্মীরের পড়ুয়াও রয়েছে। আমরা সকলেই মেডিক্যাল পড়তে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।

    আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তে

    হিলি (Hili Border) এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ওপার বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই, রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। এরফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Tensions: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় আরও পড়ুয়া, মানবিক সাহায্য সরকারের

    Bangladesh Tensions: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় আরও পড়ুয়া, মানবিক সাহায্য সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র বিক্ষোভের জেরে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Tensions)। দেশজুড়ে (Indian Students) জারি করা হয়েছে কারফিউ। অশান্তির আঁচ থেকে বাঁচতে প্রায় প্রতিদিনই ভারতে ফিরছেন সে দেশে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা। শনিবারও ত্রিপুরায় ফিরলেন বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। এই দফায় ফিরলেন ৩৭৯জন।

    কী বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী? (Bangladesh Tensions)

    এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। লিখেছেন, “অনেক ভারতীয় পড়ুয়া ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশ থেকে ফিরছেন দেশে। তাঁদের পরিবহণ এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে ত্রিপুরা সরকার। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হচ্ছে সরকারের তরফে। মানবিক দিক থেকেই এটা করা হচ্ছে।” প্রতি বছর ভারত থেকে বহু ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে পড়তে যান। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিরোধী আন্দোলনের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের পড়শি এই দেশ। বিক্ষোভ সামাল দিতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার।

    পড়ুয়াদের বক্তব্য

    খালি করে দেওয়া হয়েছে সে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল। বাধ্য হয়ে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। ত্রিপুরা তো বটেই, কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরাও ফিরছেন আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (ICP) হয়ে। ভারতে ফিরতে যাওয়া পড়ুয়াদের স্বাগত জানাচ্ছে বিএসএফ। আখুরা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট পার হয়ে বাংলাদেশ থেকে ফিরতে হয় ভারতে। বাংলাদেশের (Bangladesh Tensions) এই আখুরার সঙ্গেই যোগ রয়েছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার।

    আরও পড়ুন: ‘‘জনজাতিদের জমি ও অধিকার রক্ষা করবে বিজেপি’’, ঝাড়খণ্ডে বললেন অমিত শাহ

    যাঁরা এই চেক পোস্ট দিয়ে ভারতে ফিরছেন, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গরম খাবার, পানীয় জল। তাঁদের বিশ্রামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আখুরা চেক পোস্ট দিয়ে ত্রিপুরায় আসা এক ভারতীয় ছাত্র বলেন, “কলেজের প্রিন্সিপাল এবং ভারতীয় হাই কমিশন আমাদের দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। আমরা নিরাপদেই ভারতে ফিরেছি।” বিএসএফের গোকুলনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজীব অগ্নহোত্রী বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক ভারতীয় পড়ুয়া সে দেশ থেকে ভারতে ফিরছেন। এঁদের অনেকেই চলে এসেছেন, শীঘ্রই আসবেন আরও (Indian Students) কিছু। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছে বিএসএফ (Bangladesh Tensions)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share