Tag: bangla news

bangla news

  • Raghunandan Srinivas Kamath: ভারতের ‘আইসক্রিম ম্যান’কে চেনেন? তাঁর কাহিনি হার মানায় রূপকথাকেও

    Raghunandan Srinivas Kamath: ভারতের ‘আইসক্রিম ম্যান’কে চেনেন? তাঁর কাহিনি হার মানায় রূপকথাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা বিক্রি করতেন আম। আর ছেলে? আইসক্রিম। আজ্ঞে হ্যাঁ, এই আইসক্রিম বিক্রি করেই চারশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছিলেন তিনি। তিনি রঘুনন্দন শ্রীনিবাস কামাথ (Raghunandan Srinivas Kamath)। তামাম বিশ্ব যাঁকে চেনে ‘আইসক্রিম ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ (Ice Cream Man) হিসেবে।

    শ্রীনিবাসের উত্থান (Raghunandan Srinivas Kamath)

    ম্যাঙ্গালোরের এক গ্রামে জন্ম শ্রীনিবাসের। অল্প বয়স থেকেই ফল বিক্রেতা বাবাকে সাহায্য করত ছোট্ট শ্রীনিবাস। চোদ্দ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে সে কাজে লেগে যায় ভাইয়ের রেস্তরাঁয়। স্বপ্ন ছিল, সত্যিকারের ফলের মণ্ড দিয়ে আইসক্রিম বানাবেন। সেই উদ্দেশ্যেই ভাইয়ের দোকানে কাজে ঢোকা। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে বম্বে (অধুনা মুম্বই) পাড়ি দেন শ্রীনিবাস। সেখানেই জুহু এলাকায় প্রথম খোলেন আইসক্রিম পার্লার। শুরুতে তাঁর পার্লারে কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ছজন।

    পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পার্লারের সংখ্যা

    ১২টি ফ্লেভারের আইসক্রিম মিলত তাঁর (Raghunandan Srinivas Kamath) পার্লারে। সেই আইসক্রিমের প্রেমে মজেছিলেন জুহু তো বটেই, মুম্বইয়ের দূর-দুরান্তের বহু ক্রেতাও। লোকমুখে শ্রীনিবাসের পার্লার তখন হয়ে গিয়েছে ‘আইসক্রিম অফ জুহু স্কিম’। দিন দিন চাহিদা বাড়তে থাকে শ্রীনিবাসের আইসক্রিমের। তার জেরে ১৯৯৪ সালে তিনি আরও পাঁচটি আউটলেট খোলেন। বর্তমানে সেই আউটলেটের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৬৫-র ঘর। দেশের ১৫টি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে শ্রীনিবাসের আইসক্রিম পার্লারের আউটলেট। মাত্র ৭৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় শ্রীনিবাসের। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ন্যাচারালসের পক্ষ থেকে কর্ণধারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

    আর পড়ুন: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    বর্তমানে ন্যাচারালসের আউটলেটে মেলে ২০ রকম ফ্লেভারের আইসক্রিম। তবে তার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে নারকেলের গন্ধে ম ম করা টেন্ডার কোকোনাট ফ্লেভার আইসক্রিম। প্রতিবছর বিশ্বের সমস্ত সেরা আইসক্রিমের তালিকা তৈরি করে ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ নামের একটি সংস্থা। সেই সংস্থার তথ্যই বলছে, বিশ্বের প্রথম ১০০টি সব চেয়ে বেশি আইকনিক আইসক্রিমের মধ্যে একটি হল ন্যাচারালসের ‘টেন্ডার কোকোনাট ফ্লেভার’ আইসক্রিম।

    ২০১৮ সালে ভারতের ১০টি সেরা বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের একটি তালিকা তৈরি করেছিল কেপিএমজি নামের একটি সংস্থা। তাদেরই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ওই তালিকায় রয়েছে ন্যাচারালসের নামও।শ্রীনিবাস প্রয়াত হয়েছেন মাস দুয়েক আগে। তবে ন্যাচারালস চলছে নিজস্ব ছন্দে (Ice Cream Man)। বড় হচ্ছে ব্যবসা। ফ্লেভারড আইসক্রিমের তালিকা হচ্ছে দীর্ঘতর (Raghunandan Srinivas Kamath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Balurghat: বালুরঘাটে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন, হবে প্রচুর কর্মসংস্থান, আশাবাদী সুকান্ত

    Balurghat: বালুরঘাটে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন, হবে প্রচুর কর্মসংস্থান, আশাবাদী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় রেলের উদ্যোগে বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে তৈরি করা হচ্ছে সাইলো গোডাউন। সেখানে জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় খাদ্যশস্য রাখা হবে। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশে -পণ্য রপ্তানিতে এই উদ্যোগ ফলদায়ী হবে বলে জানান বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ৩০০ কোটি টাকার ব্যয়ে পিপিই মডেলে তৈরি হচ্ছে গোডাউন (Balurghat)

    প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিই মডেলে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন (Balurghat)। সাইলো গোডাউনের ঘরগুলি সাধারণত লম্বা, নলাকার হয়। যা ওপরের দিক থেকে লোড করা হয়। এটি শস্যের একটি স্থিরাবস্থা নিশ্চিত করে। এক জায়গায় জমা হওয়ারও কোনও সুযোগ নেই। ট্রেন থেকে শস্য লোড করার জন্য সুবিধাজনক এই অত্যাধুনিক গোডাউন। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় রেল এবং ফুড -কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই গুদাম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। লম্বা চিমনির মধ্যে দিয়ে মালগাড়ি সরাসরি গোডাউনের ভিতরে খাদ্যশস্য লোড করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে -আনলোডও হবে। জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় থাকায় খাদ্যশস্য দীর্ঘদিন সাইলো গোডাউনে মজুত রাখা যাবে। বালুরঘাট স্টেশন সংলগ্ন রেলের ৪০ একর জমিতে এই গোডাউন তৈরি করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য হায়দরাবাদের একটি কোম্পানি ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    তিনটি সাইলো গোডাউন তৈরির কাজ চলছে

    হায়দরাবাদের ওই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট তিনটি সাইলো গোডাউন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দীর্ঘ সময় ধরে মজুত করা যাবে। বালুরঘাটের (Balurghat) ধাউল ও বোয়ালদের মৌজায় রেললাইনের পাশেই এই গোডাউন তৈরির প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পূর্ণ হলেই বাংলাদেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা সহজ হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ হয়ে অসম মেঘালয় সহ বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    সাইলো গোডাউন হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে

    এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের তিনদিকে বাংলাদেশ। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণের কাজ হয়ে গেলে শুধু বাংলাদেশে রপ্তানি নয়, বাংলাদেশ হয়ে তুরা পর্যন্ত খাদ্যশস্য নিয়ে যাওয়া যাবে। হিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হবে। রেল দফতরের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, পিপিপি মডেলে সাইলো গোডাউন তৈরি হচ্ছে। যা তৈরি হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। এই জেলার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।”

    খাদ্যশস্য কয়েক বছর সংরক্ষণ করা যায়

    জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর হিলি-তুরা করিডরের আহ্বায়ক নবকুমার দাস বলেন, “সাইলো গোডাউনে জলীয় বাষ্প বাঁচিয়ে খাদ্যশস্য কয়েক বছর সংরক্ষণ করা যায়। এখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে মেঘালয়। অনায়াসে এই রাজ্যে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া যাবে। ভারত সরকারের অনেকটা আয়ের পথ খুলে যাবে। এই প্রকল্পের ওপর কেন্দ্রের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kathi Roll: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    Kathi Roll: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাহেবি আমল। কলকাতার স্যার স্টুয়ার্ট হগ মার্কেটের (বর্তমানে নিউ মার্কেট নামে পরিচিত) সামনের একটি খাবারের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। দোকানটির নাম নিজামস রেস্টুরেন্ট (Nizams Kebab)। এই লাইনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক সাহেবও। ঘনঘন হাতের ঘড়িটার দিকে তাকাচ্ছেন তিনি। আর একবার করে দেখছেন দোকানের দিকে (Kathi Roll)। দোকানের ভিতরে তখন খদ্দের সামলাতে ব্যস্ত কারিগররা। সাহেব ছটফট করছেন তাঁর পছন্দের মাটন কাবাবটা নিয়েই কাজে চলে যাবেন বলে।

    ছোট্ট আইডিয়ায় বাজিমাত (Kathi Roll)

    লাইনে দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে সাহেব যখন দোকানের কাউন্টারে পৌঁছলেন, তখন দেখলেন সেখানে ডাঁই করে রাখা রয়েছে মাংস, মশলা, কুচোনো পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং কিছু ভেষজ। এগুলিকে একটি শিকে (স্ক্যুয়ারে) গেঁথে আগুনে ঝলসানো হবে। মাংস, মশলা এবং অন্যান্য খাবারের গন্ধে তখন ম ম করছে দোকান। সেই লোহার শিকে করে যখন মাংস ঝলসানোর প্রস্তুতি নেওয়া চলছে সাহেবের জন্য, তখনই বিদ্যুৎগতিতে একটি আইডিয়া খেলে গেল দোকনের কর্ণধার রাজা হাসানের।

    কলকাতার বুকে ইতিহাস

    তিনি এক ঝলক দেখে নিলেন দোকানের চারপাশটা। দেখলেন কয়েকটি পরোটা পড়ে রয়েছে। শিক কাবাব করতে সময় লাগবে জেনে এবং সাহেবকে তাড়াহুড়ো করতে দেখে সেই পরোটার মধ্যেই ভরে দিলেন কাবাব। রাজার অজান্তেই কলকাতার বুকে তৈরি হয়ে গেল ইতিহাস। জন্ম নিল কাঠি রোল (Kathi Roll)। এই রোলের দামও যেমন শিক কাবাবের চেয়ে কম, তেমনি স্বাদেও অপূর্ব। পেটও ভরে। কাঠি রোলে কামড় দিয়েই যারপরনাই আহ্লাদিত সাহেব। লালমুখো সাহেবের মুখে তখন খুশির ঝিলিক। প্রশংসা করলেন দোকান মালিকের নয়া কনসেপ্টের। তার পর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে গেল নিজামের কাঠি রোল।

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    কেবল এই পরিবর্তনই নয়, লোহার শিকগুলির পরিবর্তে বাঁশের কাঠির ব্যবহারও কলকাতার বুকে তিনিই প্রথম করেছিলেন। এতে লাভ হয় দুটো। এক, লোহার শিক ভারী। তাড়াতাড়ি গরম হওয়ায় মাংস পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আর দুই, লোহার শিকের দামও বেশি। বাঁশের কাঠিতে এগুলির কোনওটাই নেই। মাংসও হয় সুসিদ্ধ।

    নিজামের কাঠি রোল প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশ-বিদেশের বহু নামজাদা ব্যক্তিত্বের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ অমিতাভ বচ্চনও। কলকাতায় এক শ্যুটিংয়ে এসে (Nizams Kebab) তিনি বলেছিলেন, “কলকাতার কাঠি রোলের স্বাদ অতুলনীয় (Kathi Roll)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Zimbabwe: এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ ভারতের, জিম্বাবোয়েকে ১০ উইকেটে হারালেন শুভমনেরা

    India vs Zimbabwe: এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ ভারতের, জিম্বাবোয়েকে ১০ উইকেটে হারালেন শুভমনেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবোয়ের (India vs Zimbabwe) কাছে হেরে গিয়েছিলেন শুভমনরা। তারপরই কাম-ব্যাক। বিশ্বজয়ী তাঁরা। ভালো খেলতেই হবে, এই প্রত্যয় নিয়েই পরের তিনটে ম্যাচে দাপটে জয় টিম ইন্ডিয়ার। শনিবার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের (T20 International) চতুর্থ খেলায় জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে জিতল ভারত। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল মেন ইন ব্লু-এর তরুণ ব্রিগেড। 

    অভিষেক তুষার দেশপাণ্ডের (India vs Zimbabwe)

    শনিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে (India vs Zimbabwe) টসে জিতে বিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। মারুমানি (৩২), সিকন্দর রাজা (৪৬)-দের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবোয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট ১৫২ রান তোলে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে খলিল আহমদ ২টি উইকেট পান। এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০০ রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন রাজা। ভারতের হয়ে এদিন অভিষেক হল তুষার দেশপাণ্ডের। মুম্বইয়ের জোরে বোলার অবশ্য তেমন নজর কাড়তে পারলেন না।  ৩ ওভার বল করে ৩০ রানে ১ উইকেট নিলেন তুষার।

    দুরন্ত ভারত (India vs Zimbabwe)

    জিম্বাবোয়ের ১৫২ রানের (India vs Zimbabwe) জবাবে শুভমনেরা কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫.২ ওভারে করলেন ১৫৬ রান। জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই দ্রুত জয় তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় ব্যাটারেরা। বিশেষ করে যশস্বী জয়সওয়াল বেশি আগ্রাসী ছিলেন। জিম্বাবোয়ের বোলারদের আক্রমণের মূল দায়িত্ব নেন বাঁহাতি তরুণ। অধিনায়ক শুভমন ২২ গজের অন্য প্রান্ত আগলে ছিলেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ভারত উইকেট না হারিয়ে তুলে নেয় ৬১ রান। প্রথম দিকে ধরে খেললেও পরে হাত খোলেন অধিনায়কও। আয়োজকদের কোনও বোলারই সমস্যা ফেলতে পারেননি ভারতের দুই ওপেনারকে। দু’জনেই অর্ধশতরান করলেন। শেষ পর্যন্ত যশস্বী খেললেন ৫৩ বলে ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। অন্য দিকে শুভমন করলেন ৩৯ বলে ৫৮ রান। অধিনায়কের অপরাজিত ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা। তাঁদের দাপটে ১০ উইকেটে অনায়াসে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। সেই সঙ্গে ৩-১-এ সিরিজও জিতে নিলেন শুভমানরা। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি (T20 International) এখন শুধুই নিয়মরক্ষার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: নীতি বদল ইলন মাস্কের! ট্রাম্পের ভোটপ্রচারে টাকা দিলেন আমেরিকার ধনকুবের

    Elon Musk: নীতি বদল ইলন মাস্কের! ট্রাম্পের ভোটপ্রচারে টাকা দিলেন আমেরিকার ধনকুবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘নিরপেক্ষ নীতি’ ত্যাগ করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) রাজনৈতিক অনুদান দিলেন টেসলা কর্তা। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে। তবে ট্রাম্পকে ভোটপ্রচারে সহায়তা করার জন্য মাস্ক ঠিক কত টাকা দিয়েছেন, তা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। 

    নিরপেক্ষতার কথা! (Elon Musk)

    মাস্কের (Elon Musk) পূর্বপুরুষেরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেই সূত্রে মাস্করা অভিবাসনের আওতায় পড়েন। ট্রাম্প নীতিগত ভাবে অভিবাসন বন্ধ করার পক্ষপাতী। সেই ট্রাম্পকে মাস্কের অর্থসাহায্য করার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরপেক্ষ স্থান বজায় রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন ইলন। এর আগে মাস্ক দাবি করেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক ভাবে নিজের মত সামনে আনতে চান না। তাই ট্রাম্প (Donald Trump)  কিংবা জো বাইডেন, কারও নির্বাচনী প্রচারেই তিনি অর্থব্যয় করবেন না।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    কত পরিমাণ অর্থ (Donald Trump) 

    সূত্রের খবর, ট্রাম্পকে ‘উল্লেখযোগ্য’ পরিমাণে অর্থ দিয়েছেন মাস্ক (Elon Musk)। তবে নির্দিষ্ট অঙ্কটা সামনে আনা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রচারের কাজে নিযুক্ত সংস্থা ‘আমেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’-কে অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত অনুদান পাওয়ার নিরিখে প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে দিন বাইডেনের কাঁপা-কাঁপা গলা, বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলা নিয়ে চর্চা শুরু হয় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই। এমনকি প্রার্থী বদল করার প্রস্তাবও আসে। কিন্তু নিজের স্থানে অনড় থাকেন বাইডেন। তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং ট্রাম্পকে হারাবেন বলেও তাঁর বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: সিঁথির মোড়ে তোলাবাজি! নাম জড়ালো জয়ন্তর গ্যাংয়ের, শোরগোল

    Kamarhati: সিঁথির মোড়ে তোলাবাজি! নাম জড়ালো জয়ন্তর গ্যাংয়ের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহের স্বঘোষিত ‘ডন’ জয়ন্ত সিং এখন জেলে। প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন ডিডিও প্রকাশ্যে আসছে। কখনও তালতলা স্পোটিং ক্লাবের ভিতরে নৃশংস অত্যাচার। কখনও আবার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢিল ছোড়ার ভিডিও সামনে এসেছে। এসব ভিডিও নিয়ে কামারহাটি (Kamarhati) জুড়ে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে নতুন একটি ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তোলা না দেওয়ায় জয়ন্তর বাহিনীর হামলা! (Kamarhati)

    জানা গিয়েছে, আড়িয়াদহের (Kamarhati) পাশাপাশি জয়ন্তর বাহিনী আশপাশের এলাকায় প্রোমোটারদের কাছে তোলাবাজি করত বলে অভিযোগ। সিঁথি মোড়ের এক প্রোমোটারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল জয়ন্তর বাহিনীর ছেলেরা। কিন্তু, প্রোমোটার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই প্রোমোটারের অফিসে চড়াও হয় জয়ন্তর বাহিনী। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রোমোটারের দাবি, হামলাকারীরা কখনও জয়ন্ত সিংয়ের লোকজন বলছিল, কখনও আবার তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষের লোকজন বলছিল। পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    জয়ন্তর অট্টালিকা বেআইনি, ঘোষণা করল পুরসভা

    আড়িয়াদহে জয়ন্তর তিনতলা দুধ সাদা বাড়ি নিয়ে চর্চা চলছে। এরইমধ্যে শুক্রবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা জয়ন্তর বাড়িতে যান। পরে, ভূমি দফতরে জমির প্রকৃত মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, জমির মালিক দিলীপ মুখোপাধ্যায়। জমির পরিমাণ, ১ কাটা ৪ ছটাক। একসময় টিনের চালা ছিল সেখানে। কিছুটা অংশ জুড়ে পুকুর ছিল। আর বাকি ফাঁকা জয়াগায় এলাকার ছেলেরা খেলাধূলা করত। জয়ন্তর নজর পড়তেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। সেই ফাঁকা জায়গা, পুকুরের কিছুটা অংশ বুজিয়ে তিনতলা অট্টালিকা তুলেছিলেন জয়ন্ত। কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমরা দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ করছি। জয়ন্ত ওই জমির মালিক নন। বাড়িটি বেআইনি। পুরসভার পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিয়ে সারলেন পুলিশের খাতায় ফেরার জয়ন্ত সঙ্গী রাহুল!

    জয়ন্তর (Jayanta Singh) বাহিনীর অত্যাচার নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, পুলিশ একের পর এক জয়ন্তের গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময়ে আড়িয়াদহকাণ্ডেরই মূল অভিযুক্ত রাহুল গুপ্তা বিয়ে করলেন। আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে পেটানোর অভিযোগ থেকে সূত্রপাত। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে। পুলিশের চোখে জয়ন্ত সিং ফেরার ছিলেন। তারপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু, কেন তাঁকে গ্রেফতারিতে দেরি, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে জয়ন্ত সিংয়ের গ্যাংয়ের একের পর এক কুকীর্তির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে থাকে। জয়ন্ত (Jayanta Singh), লাল্টু সহ ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে এক কিশোরকে অমানবিক মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন রাহুল গুপ্তা। পুলিশের চোখে তিনি ফেরার। কিন্তু, শুক্রবারই সকালে কলকাতায় লুকিয়ে বিয়ে সারলেন তিনি। সন্ধ্যায় রিসেপশন হয় ঘটা করে। তাহলে পুলিশ কেন খুঁজে পাচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 74: “কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি”

    Ramakrishna 74: “কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি”

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে বলরামাদি সঙ্গেবলরামকে শিক্ষা

    লক্ষণসত্যকথাসর্বধর্মসমন্বয়কামিনীকাঞ্চনই মায়া

    পূর্বকথাবর্ধমানপথেদেশযাত্রানকুড় আচার্যের গানশ্রবণ

    আচ্ছা আমার একি অবস্থা বল দেখি। ও-দেশে যাচ্ছি বর্তমান থেকে নেমে, আমি গরুর গাড়িতে বসে—এমন সময়ে ঝড়বৃষ্টি। আবার কোথেকে লোক এসে জুটল। আমার সঙ্গের লোকেরা বললে (Kathamrita), এরা ডাকাত!—আমি তখন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করতে লাগলাম। কিন্তু কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি, এ কিরকম বল দেখি।

    ঠাকুর এই কথা কি বলিতেছেন যে, এক ঈশ্বর তাঁর অসংখ্য নাম, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বা সম্প্রদায়ের লোক মিথ্যা বিবাদ করিয়া মরে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বলরামের প্রতি)—কামিনী-কাঞ্চন মায়া। ওর ভিতর অনেকদিন থাকলে হুঁশ চলে যায়—মনে হয় বেশ আছি। মেথর গুয়ের ভাঁড় বয়—বইতে বইতে আর ঘেন্না থাকে না। ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন করা অভ্যাস করলেই ক্রমে ভক্তি হয়।

    (মাষ্টার প্রতি)—ওতে লজ্জা করতে নাই। লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়।

    ও-দেশে বেশ কীর্তন গান হয়—খোল নিয়ে কীর্তন। নকুড় আচার্যের গান চমৎকার! তোমাদের বৃন্দাবনে সেবা আছে?

    বলরাম—আজ্ঞে হাঁ। একটি কুঞ্জ আছে—শ্যামসুন্দরের সেবা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমি বৃন্দাবনে গেছলাম। নিধুবন বেশ স্থানটি।

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—সমাধি মন্দিরে

    আজ কোজাগর লক্ষ্মীপূজা। শুক্রবার ২৭শে অক্টোবর, ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ। ঠাকুর দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির সেই পূর্বপরিচিত ঘরে বসিয়া আছেন। বিজয় (গোস্বামী) ও হরলালের সহিত কথাবার্তা (Kathamrita) কহিতেছেন। একজন আসিয়া বলিলেন, কেশব সেন জাহাজে করিয়া ঘাটে উপস্থিত। কেশবের শিষ্যেরা প্রণাম করিয়া বলিলেন, মহাশয় জাহাজ এসেছে, আপনাকে যেতে হবে, চলুন একটু বেড়িয়ে আসবেন; কেশববাবু জাহাজে আছেন, আমাদের পাঠালেন।  

     আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhanubhakta Acharya: আজ ভানুজয়ন্তী,  আদিকবি ভানুভক্তকে চেনেন?

    Bhanubhakta Acharya: আজ ভানুজয়ন্তী,  আদিকবি ভানুভক্তকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভানুভক্তকে (Bhanubhakta Acharya) চেনেন? চিনবেন কি করে? তবে জেনে রাখুন এই মহান মানুষটির অমর কীর্তিগাথা। নেপালের আদিকবি (Nepali Poet) তিনি। পুরো নাম ভানুভক্ত আচার্য। নেপালি ভাষায় ‘রামায়ণ’ অনুবাদ করায় সারা বিশ্বে সমাদৃত এই নেপালি কবি। আদত নাম যাই হোক না কেন, সাহিত্যিক থেকে সাধারণ মানুষ, সর্বত্রই তিনি পরিচিত ভানুভক্ত নামেই। নেপালের পাশাপাশি ভারতের দার্জিলিং, সিকিম, ভুটান মায় মায়ানমারের লোকজনও মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন ভানুজয়ন্তী।

    ভানুভক্ত (Bhanubhakta Acharya)

    ১৮১৩ সালের ১৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভানুভক্ত। নেপালের তনহুঁ জেলার রামঘা গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। পিতা ধনঞ্জয়ের আচার্য ছিলেন সরকারি কর্মচারী। ভানু পরিবারের বড় ছেলে। প্রাথমিক পাঠ পিতামহের কাছে, বাড়িতেই। পরে সংস্কৃত শিখতে তিনি চলে আসেন বারাণসীতে। সংস্কৃত শিখে নেপালি ভাষায় ‘রামায়ণে’র মতো মহাকাব্য অনুবাদ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে নেপালি জনগণ তাঁদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ এবং সমৃদ্ধ করার শপথ নেন।

    ভানুভক্তকে শ্রদ্ধার্ঘ

    ভানুভক্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা বলেছিলেন, “ভানুভক্ত (Bhanubhakta Acharya) এমন একজন বীর যিনি ভাষাতত্ত্বের মাধ্যমে সকলকে একত্রিত করেছেন। তাঁর সৃষ্টি মেচি থেকে মহাকালী পর্যন্ত সকলকে একত্রিত করেছে।” সিকিমে ভানুভক্তের মূর্তিও রয়েছে। ভানুভক্ত সম্পর্কে অগাধ শ্রদ্ধা বাংলার বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। তিনি বলেছিলেন, “আদিকবি উপাধি দিয়ে অমর হয়ে গিয়েছেন ভানুভক্ত আচার্য। নেপালি ভাষায় সাহিত্যকর্ম নথিভুক্ত করার জন্য এবং মহান মহাকাব্য রামায়ণ সংস্কৃত থেকে নেপালি ভাষায় অনুবাদ করার জন্য সর্বদা সম্মানিত হবেন।”

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভানুভক্তের ‘রামায়ণ’ই সম্ভবত নেপালি ভাষায় অনূদিত প্রথম কোনও সংস্কৃত সাহিত্য। প্রসঙ্গত, ভানুভক্তই প্রথম ব্যক্তি, যিনি নেপালি ভাষায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তাই ‘আদিকবি’ সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ফি বছর ১৩ জুলাই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় ভানুভক্তের জন্মদিন। নেপালি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিনটি হল ২৯ আষাঢ়। ভানুভক্তের লেখার মূল বৈশিষ্ট্য হল ধর্মীয় অনুভূতি, সরলতা বোধ এবং দেশের প্রতি উষ্ণ আবেগ, যার পরিচয় সমকালীন অন্য কোনও কবির লেখায় মেলে না।

    প্রতি বছর নেপাল সরকার মর্যাদা সহকারে পালন করেন ভানুভক্তের জন্মদিন। নেপালের বাসিন্দারা তো বটেই, বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নেপালি ভাষাভাষীর মানুষজন এই দিনে মহান এই কবিকে (Bhanubhakta Acharya) স্মরণ করেন শ্রদ্ধার সঙ্গে (Nepali Poet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Football League:  শততম বর্ষে কলকাতা ফুটবল লিগ ডার্বি, দাপটে জয় ইস্টবেঙ্গলের

    Kolkata Football League: শততম বর্ষে কলকাতা ফুটবল লিগ ডার্বি, দাপটে জয় ইস্টবেঙ্গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ২-১ এ হার মোহনবাগানের (East Bengal vs Mohun Bagan)। শনিবার শততম বর্ষে পা দিল কলকাতা ফুটবল লিগের (Kolkata Football League) ডার্বি। পাঁচ বছর পর কলকাতা ফুটবল লিগের ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল। আর মরশুমের প্রথম ডার্বিতে জিতল লাল-হলুদ। এমনিতেই লিগের ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল, এই জয়ের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লাল হলুদ বাহিনী। 

    দুরন্ত ফুটবল ইস্টবেঙ্গলের

    এদিন, ৫০ মিনিটের মাথায় বিষ্ণুর গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal vs Mohun Bagan)। মাঝমাঠ থেকে সার্থক গলুইয়ের বাড়ানো বল ধরেন বিষ্ণু। তিনি বল রিসিভ করতেই মোহনবাগানের দুজন ফুটবলার কেটে যান। এর পর গোলকিপারকে প্রায় দাঁড় করিয়ে বাঁ পায়ে বল জালে জড়ান বিষ্ণু। ৬৪ মিনিটে গোল করেন জেসিন। পরিবর্ত হিসেবে নেমেই ইস্টবেঙ্গলকে ২ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। ৭৬ মিনিটে জঘন্য ফাউল করেন জোসেফ। লাল কার্ড দেখেন। ইস্টবেঙ্গল ১০ জনে খেলে। সেই সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন সুহেল ভাট। মোহনবাগান এক গোল শোধ করে।

    দাপট লাল-হলুদের

    এদিন পুরো ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal vs Mohun Bagan) দাপট ছিল দেখার মতো। এদিন প্রথম একাদশে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখেননি ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ। ফলে লেফট উইং দিয়ে আক্রমণ সেভাবে দানা বাঁধছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সায়নকে নামান বিনো। মাঠে নেমেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট রক্ষণে চাপ তৈরি করেন সায়ন। এই চাপে ভেঙে পড়ল সবুজ-মেরুন রক্ষণ।

    মাঠে হাজির কুয়াদ্রাত

    কলকাতা লিগের (Kolkata Football League) প্রথম ম্যাচ জিতে হ্যাটট্রিক করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল, অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করার পর তৃতীয় ম্যাচে হারতে হল মোহনবাগানকে। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে গেল গঙ্গাপারের ক্লাব। মোহনবাগান সিনিয়র দলের স্প্যানিশ কোচ হোসে মোলিনা এখনও কলকাতায় না পৌঁছলেও কুয়াদ্রাত এসে গিয়েছেন। শনিবার যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন তিনি, জুনিয়র ফুটবলারদের দেখে নিতেই ডার্বিতে হাজির হলেন লাল হলুদের হেডস্যার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতটি রাজ্যের ১৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উনির্বাচনের (By Poll Election) ফল ঘোষণা হল শনিবার। বাংলায় রায়গঞ্জ মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, চার কেন্দ্রেই জয় পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোট সেই শূন্যেই। দেশের নিরিখে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জয়ী আপ। হিমাচলের দুটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস শিবির। বিজেপি জিতেছে মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলের আর একটি আসনে।

    বাংলায় উপনির্বাচনের ফল(By Poll Election)

    রায়গঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র মানস কুমার ঘোষ। তিনি ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্তর প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ১১৬। কৃষ্ণকল্যাণী ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রানাঘাট দক্ষিণে মুকুমণি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৩ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি-র মনোজ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোট। সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস ১৩ হাজার ৮২ ভোট পেয়েছেন। বাগদায় মধুপর্ণা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস ৭৪ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৮ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন উপনির্বাচনে। মানিকতলায় ৬২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন সুপ্তি। বিজেপি-র কল্যাণ চৌবে ১৫ হাজার ১৭৯ এবং সিপিএম-এর রাজীব মুজমদার ৭ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকাই প্রথম নয়! আর যারা রাজকীয় বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন

    বিজেপি জয়ী মধ্যপ্রদেশে (By Poll Election)

    হিমাচল প্রদেশে দুটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডের দুটি আসনে জয়ী (By Poll Election) তারা। পাশাপাশি পাঞ্জাবে আপ একটি আসনে এবং তামিলনাড়ুর একটি আসনে জিতেছে ডিএমকে। হিমাচল প্রদেশের হারিমপুরে জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ এবং মঙ্গলৌর থেকে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের আমারওয়ারা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share