Tag: bangla news

bangla news

  • Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের বড় কার্যক্রম। আর তাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার মাঠপালশা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ ইউনিস মুসলমান ভোট এবং অধিকার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না।”  

    তৃণমূল নেতা ঠিক কী বললেন (Birbhum)?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যা লঘুদের একমাত্র পথ হল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা দিদি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কাজল শেখ নানুরে এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। ৬৭ হাজার ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল ২৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে। মুসলমানেরা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই আমাদের সংগঠিত হতে হবে। সংখ্যাগুরু হয়ে যাঁরা বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন, তাঁদের নিয়েও ভাবতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলমানেরা কোথায় যাবেন? এই সব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কোর কমিটি মেম্বারদের আঙুল তুলে বুঝিয়ে দিতে হবে, বুথেই জিততে পারছেন না, জেলায় আবার কীসের দায়িত্ব নেবেন। বোমা বাঁধা থেকে লাঠি সব আমরা করব, আর পদের বেলায় শুধু সংখ্যাগুরু! এই সবকিছু ভাবতে হবে। এই সিস্টেম মানা যাবে না।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) আরও বলেছেন, “যদি বিজেপি ৪০০ আসন পেতো তাহলে কি আমরা ঠিক মতো নামাজ পড়তে পারতাম? ইসলামি ধর্মীয় আচার ঠিক করে পালন করতে পারতাম তো? উত্তর প্রদেশের যোগী দাবি করেছেন এখনে মসজিদে মাইক বাজে না, রাস্তায় কেউ নামাজ পড়েন না। কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে। অযোধ্যা থেকে শুরু করে রামের যাত্রা পথে যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে সেখেনে হেরেছে। তাই সংখ্যাগুরুদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। মোদি ৭৩ শতাংশ হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা কত? কোথাও ২৭ বা ২৫ শতাংশ মুসলমান, বাকি তো সব সংখ্যাগুরু। তাই ভাবতে হবে, ওরা জিতে গেলে আমাদের কী অবস্থা হতো? তৃণমূল একমাত্র আমাদের পথ।”

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Birbhum) ধ্রুবকুমার সাহা বলেছেন, “তার মানে নির্বাচনে তৃণমূলের অস্ত্র সংখ্যালঘু। তারাই বোমা বাঁধে, লাঠি ধরে। আসল সত্য ফাঁস হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বোধোদয় হয়েছে। ২০২৬ সালে তাদের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haridaspur: বিদেশীদের প্রবেশদ্বার, দিল্লি ও মুম্বইয়ের পরেই স্থান বাংলার হরিদাসপুরের

    Haridaspur: বিদেশীদের প্রবেশদ্বার, দিল্লি ও মুম্বইয়ের পরেই স্থান বাংলার হরিদাসপুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশিরভাগ ভারতীয়ই হরিদাসপুর (Haridaspur) নামটি কখনও শোনেননি। কিন্তু এটা হল সেই স্থান, যেখান থেকে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বিদেশী ভারতে প্রবেশ করেন। তাই এ কথা বলাই যায় যে দিল্লি এবং মুম্বইয়ের পরে হরিদাসপুরই হল ভারতের আর একটি মুখ্য প্রবেশদ্বার। চলতি ২০২৪ সালের প্রথম ৪ মাসে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ৩৩ শতাংশ বিদেশী ভারতে প্রবেশ করেছেন দিল্লির মাধ্যমে, ১৫ শতাংশ বিদেশী ভারতে এসেছেন মুম্বইয়ের মাধ্যমে এবং এর পরেই স্থান রয়েছে হরিদাসপুরের (Haridaspur)। ৮.৫৫ শতাংশ বিদেশী ভারতে প্রবেশ করেছেন হরিদাসপুরের মাধ্যমে। অন্যদিকে, চেন্নাইয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করছেন ৭.৯৪ শতাংশ বিদেশী ও বেঙ্গালুরুর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছেন ৫.৮০ শতাংশ বিদেশী।

    ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেই ১১ শতাংশ বিদেশী হরিদাসপুরের (Haridaspur) স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছেন 

    হরিদাসপুরের (Haridaspur) কথা বলতে গেলে বলা যায়, এখানে একটি সামান্য হেলিপ্যাডও নেই। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তো ছেড়েই দেওয়া যায়। কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল হরিদাসপুর। কিন্তু কীভাবে এই স্থান ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে তিন নম্বরে উঠে এল? হরিদাসপুর হল একটি সীমানা যেখান থেকে বাংলাদেশীরা আইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করতে পারেন। এখানেই রয়েছে ইমিগ্রেশন অফিস পেট্রাপোল পোস্টের। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বৃহৎ স্থল বন্দরও হল হরিদাসপুর। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ২৩ লাখ বিদেশী ভারতে প্রবেশ করেছেন, হরিদাসপুরের স্থলবন্দরের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেই ১১ শতাংশ বিদেশী হরিদাসপুরের স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছেন। ঠিক এই কারণেই হরিদাসপুর হয়ে উঠেছে ভারতের তিনটি প্রবেশদ্বারের মধ্যে একটি।

    বাংলাদেশ থেকেই বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারতে আসেন

    বাংলাদেশ থেকেই বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারতে আসেন। তাঁরা মূলত চিকিৎসা করাতেই আসেন। কলকাতাস্থিত (West bengal) আমরি হাসপাতাল, রুবি জেনারেল হাসপাতাল – প্রভৃতি জায়গায় থেকে বাংলাদেশিরা চিকিৎসা করান। একটি পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিমাসে সাড়ে ৬ হাজার বাংলাদেশী আসেন আমরি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে, অন্যদিকে রুবি জেনারেল হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১ হাজার। কলকাতার প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট হাসপাতালে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য হেল্প ডেস্কও (West bengal) চালু করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohammad Shafi: মৃৎশিল্প বাঁচাতে প্রাণপাত করছেন কাশ্মীরের সফি

    Mohammad Shafi: মৃৎশিল্প বাঁচাতে প্রাণপাত করছেন কাশ্মীরের সফি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁসা-পিতল-অ্যালুমিনিয়াম এবং ফাইবারের দাপটে সেই কবেই শিকেয় উঠেছে মাটির পাত্র। অথচ জীবন সায়াহ্নে পৌঁছেও জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) এক কুমোর যেন পণ করেছেন মাটির পাত্রকে ভারতীয় জীবনের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে তুলতে। বছর সাতাত্তরের এই বৃদ্ধের নাম মহম্মদ সফি (Mohammad Shafi)। জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলার রামনগর তহশিলের মার্তা পঞ্চায়েতের লাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। মৃৎশিল্পকে বাঁচাতেই যেন জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। শফি ও তাঁর পরিবারের বাসিন্দাদের হাতে তৈরি মৃৎশিল্পের কদর আজ ভূস্বর্গজুড়ে।

    মৃৎশিল্পের পেশায় সফি (Mohammad Shafi)

    ষাট বছর ধরে মৃৎশিল্পের পেশায় রয়েছেন সফি। সেই কোন ছোটবেলায় কাজ শিখেছেন বাবার কাছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাটির কাজে নিজেকে ‘ওস্তাদ’ করে তুলেছেন তিনি। মাটির পাত্র কীভাবে যুগে যুগে মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে, সস্তায় সরবরাহ করেছে বাসনকোসন, তা-ও জানান শফি। যে সময় ফ্রিজ ছিল না, তখন ঠান্ডা জলের অভাব পূরণ করেছে মাটির কুঁজোই, দাবি তাঁর। কাশ্মীরের এই ভূমিপুত্র (Mohammad Shafi) বলেন, “আমরা গত কত কয়েক শতাব্দী ধরে এই পাত্রগুলি তৈরি করে আসছি।”

    কী বলছেন সফি?

    মাটির পাত্র যে পরিবেশবান্ধব, সে কথা মনে করিয়ে দেন কাশ্মীরের এই বৃদ্ধ। সফি বলেন, “প্রাচীনকালে লোকজন জল ঠান্ডা করার জন্য ‘ঘারাস’ ব্যবহার করত। এখন সেই জায়গা দখল করেছে ফ্রিজ। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই হাঁড়ি-কলসি তৈরি করে আসছি। এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য। মানুষ যাতে বিশুদ্ধ, স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধে পেতে পারেন, তাই এসব তৈরি করে যাব আমি।”

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    মাটির পাত্রের চাহিদা যে আধুনিক যুগেও বাড়ছে, তাও মনে করিয়ে দেন সফি। বলেন, “মাটির পাত্র তৈরি করে প্রথম দিকে আমি প্রতিদিন ১০০-১৫০ টাকা আয় করতাম। আর এখন মৃৎশিল্পের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এখন প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করি।”

    ছোটবেলায় বাবার কাছে কাজ শিখেছেন সফি। তারপর আস্তে আস্তে অর্জন করেছেন দক্ষতা। সেই দক্ষতা এবং হাতযশের জেরেই এক তাল মাটি সফির (Mohammad Shafi) হাতে পড়ে কখনও রূপ পায় চায়ের ভাঁড়ের, কখনও হাঁড়ি-কলসি-প্রদীপ কিংবা অন্য কিছুর (Jammu & Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া, আড়িয়াদহের পর এবার কল্যাণী (Kalyani) । তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’র সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। নিজের দাপট দেখাতে দোকানে তালা দিলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির  দুলালকৃষ্ণ মজুমদারের বিরুদ্ধে দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Kalyani)

    কল্যাণী (Kalyani) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের পাশে একটি বাথরুম তৈরি করছিলেন দোকানের মালিক। আচমকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারপর দোকানের শাটারের ওপরে তালা লাগিয়ে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কথা শোনেননি। দোকানের মালিকের ছেলে বলেন, তৃণমূলের নেতা বলেই যা খুশি করে যাবে। আমাদের কোনও কথা শোনা হবে না। এভাবে আমাদের দোকান কেন ওই তৃণমূল নেতা বন্ধ করলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ ও কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে সমস্ত বিষয়টি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আসলে শাসকদলের নেতা বলে পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। চরম আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা এই এলাকায় ব্যবসা পর্যন্ত করতে পারব না।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার কার্যত ওই দোকানে (Kalyani) তালা লাগানোর কথা স্বীকারও করে নেন। তিনি বলেন, “ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করছিলেন ফার্নিচারের দোকানদার। আমি সরকারি কোনও পদে নেই তো কী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি আমি। তাই আমার এসব দেখার দায়িত্ব আছে। সেই কারণেই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছি”। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ওই ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের কাছে জানাতে বলেছি। দলকেও আমি জানিয়েছি”।

    তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সংস্কৃতি। রাজ্যজুড়ে তো এখন এটাই হচ্ছে। ব্যবসায়ীকে  হয়তো তোলা চেয়েছিলেন, সেটা না দেওয়ার তৃণমূল নেতা দোকানে তালা দিলেন। দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পান্তা ভাতের (Panta Bhat) হরেক নাম রয়েছে (Superfood)। ওড়িশায় পখাল, অসমে পৈতা ভাত, বিহার-ঝাড়খণ্ডে বাসিয়া ভাত ও তামিলনাড়ুতে কানজি। পান্তা ভাতের সঙ্গে কিন্তু বিলাসিতা বা আভিজাত্য একেবারেই জুড়ে নেই। গুণাগুণ ও উপযোগিতার (Superfood) কারণে যুগ যুগ ধরে পান্তা ভাত জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে পান্তা ভাতের স্বাদ নিতে পছন্দ করেন প্রত্যেকেই। এর সঙ্গে যদি জুড়ে যায় এক টুকরো পেঁয়াজ ও কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা তাহলে তো কথাই নেই। শ্রমজীবী মানুষদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই পান্তা ভাত। গ্রীষ্মকালে তাঁরা এই খাবার খেয়েই কাজে বের হন। পান্তাভাত তৈরি করা খুব সহজ। ভাত রান্না করে ঠান্ডা করে তাতে জল মিশিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে পান্তা ভাত। সবচেয়ে ভালো হয় মাটির পাত্রে রাখতে পারলে।

    ওড়িশায় প্রভু জগন্নাথদেবকেও উৎসর্গ করা হয় পান্তা
     
    সাধারণভাবে আজকের দিনে মধ্যবিত্তের ফ্রিজে দেখা মেলে জল দেওয়া ভাতের। রাজ্য ভেদে পান্তা ভাত খাওয়ার রীতিও (Superfood) বদলে যায়। ওড়িশার লোকেরা পখাল ভাত (Panta Bhat) খেতে পছন্দ করেন দই, ভাজা শাক, সবজি, মরিচ এবং মাছ ভাজা দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাতে সাধারণত মাছ ভাজা, কুমড়োর ফুল ভাজা, পোস্ত বড়া, আলু চোখার সঙ্গে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও একই ভাবে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। অন্যদিকে, অসমে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাজা মাছের সঙ্গে খাওয়া হয় পৈতা ভাত। ওড়িশাতে পখাল এতটাই জনপ্রিয় যে প্রভু জগন্নাথদেবকে উৎসর্গ করা হয় এই ভাত। প্রতিবছর ২০ মার্চ ওড়িশাতে পখাল দিবসও পালন করা হয়।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক পান্তা ভাত সুপারফুড (Superfood) বলা হয়-

    পান্তা ভাতকে (Panta Bhat) এখন বলা হচ্ছে সুপারফুড (Superfood)। কী এমন আছে পান্তাভাতে, যে কারণে এই খাবার সুপারফুড?
     
    ১. পান্তা ভাতে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন, যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।
     
    ২. মাত্র একশগ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদেরকে প্রোবায়োটিকস বলে, যাদের কাজ হল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা।

    ৩. এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম থাকে পর্যাপ্ত, যা হার্ট ভালো রাখে।

    ৪. গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। স্লিম থাকার জন্যও পান্তা হেল্প করে। 

    ৫. পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচেরাল কুলার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    ৬. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এখন প্রায় অনেকেই নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। পান্তা নিদ্রাহীনতা দূর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhruv Rathee: ওম বিড়লার মেয়েকে নিয়ে ‘ভুয়ো খবর পোস্ট’ করায় ধ্রুব রাঠির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    Dhruv Rathee: ওম বিড়লার মেয়েকে নিয়ে ‘ভুয়ো খবর পোস্ট’ করায় ধ্রুব রাঠির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির (Dhruv Rathee) অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ায় সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার পুলিশ, এই জনপ্রিয় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সামজিক মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডলে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কন্যা সম্পর্কে একটি ভুয়ো খবর পোস্ট করেছেন। তবে এই পোস্ট ভুয়ো খবর, নিছক মজা করার উদ্দেশে অপর আরেকটি ভুয়ো প্যারোডি অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিময় করা হয়েছে। শনিবার একজন সিনিয়র পুলিশকর্তা এই কথা জানিয়েছেন। ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    সাইবার বিভাগ সূত্রে খবর (Dhruv Rathee)

    মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধ্রুব রাঠি (Dhruv Rathee) নিজের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টে দাবি করেছেন, “লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার মেয়ে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষায় না বসেই পাস করেছেন।” তবে পোস্ট করার সময় অ্যাকাউন্টে ​​লেখা রয়েছে, “এটি কেবল মজা করার জন্য পোস্ট। এটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং ধ্রুব রাঠির আসল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।” ভুয়ো খবর প্যারোডি অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    দায়ের মানহানি মামলা

    ওম বিড়লার এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ, ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির (Dhruv Rathee) বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ধারায় মানহানি, শান্তি ভঙ্গ, ইচ্ছাকৃত অপমান এবং বিভ্রান্তিকর ভুয়ো খবর প্রচারের মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে আইটি আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ আরও বলেছেন, “পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে ভুয়ো খবরটি একটি, ভুয়ো প্যারোডি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি অভিযুক্তের নয়। ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছি।”

    আবার প্যারোডি অ্যাকাউন্টটি শনিবার আরেকটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, “অঞ্জলি বিড়লার উপর আমার সমস্ত পোস্ট এবং মন্তব্য মুছে ফেলেছি, আমি ক্ষমা চাইতে চাই, কারণ আমি ঘটনা সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলাম এবং অন্য কারও পোস্ট কপি করে শেয়ার করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের (Ex-Agniveers) জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে (Agniveer) এই সংরক্ষণ মিলবে কনস্টেবল পোস্টে। সিআইএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীনা সিং এবং বিএসএফের নীতিন আগারওয়াল যৌথভাবে এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বলছেন নীনা সিং (Agniveer)?

    নীনা সিং এদিন এক প্রেস বিবৃতিতে (Agniveer) বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগের বিষয়ে। সিআইএসএফ কেন্দ্র সরকারের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তুতি (Agniveer) নিচ্ছে, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে।’’ এর পাশাপাশি নীনা সিং প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়েও এদিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদেরকে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।’’ ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন নীনা সিং।

    অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সেনাতে তারুণ্যে জোর দেওয়া (Agniveer)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন দেশের তরুণরা। পরবর্তীকালে তার মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে বেছে নেওয়া হবে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না। বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের কী হবে সে নিয়েই প্রশ্ন তোলে দেশের বিরোধীরা।

    বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল কী বলছেন?

    অন্যদিকে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল বলেন, ‘‘অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ লাভই হয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং অন্যান্য সিকিউরিটি ফোর্সের। অগ্নিবীররা (Ex-Agniveers) চার বছরের জন্য অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁদেরকে শেখানো হচ্ছে শৃঙ্খলা, তেমনই তাঁরা প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন। এটা বিএসএফের জন্য খুব ভালো হচ্ছে যে তারা একেবারে ট্রেনিংপ্রাপ্ত জওয়ানদের পেয়ে যাচ্ছে। এর পরে তাঁদেরকে খুব কম প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে এবং সীমান্তে মোতায়ন করা হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি নীতিন আগরওয়াল আরও বলেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছি তাঁদেরকে নিয়োগ করার জন্য এবং স্বল্পকালীন ট্রেনিং দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামেই সরকারি জমি দখল করেছেন তৃণমূল নেতা। দলের নেতার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। অবৈধ ভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পাল্টা তৃণমূল নেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Bardhaman) কাঁকসাতে।

    কীভাবে জমি দখল (Bardhaman)?

    সূত্রের খবর, ওই জমিতে কৃষি দফতরের কার্যালয় (Bardhaman) ছিল। তবে প্রায় ২০ বছর ধরে ওই জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কৃষি দফতরকে জমি দিয়েছিলেন এলাকার মুখোপাধ্যায় পরিবার। বনকাটি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বুদ্ধদেব রায় প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে জমির বেশ কিছুটা অংশ করিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে স্থানীয় বিডিও ও বিএলএলআরও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলেরই অঞ্চল প্রধান তবাসুম খাতুন। কৃষি জমি সহ আরও অনেক জমি এখন বুদ্ধদেব রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সরকারি জমি কীভাবে তাঁর নামে উঠেছে, তাই নিয়ে শোরগোল পড়েছে। জমি যাতে সরকার ফিরে পায়, সেই দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রধান।

    প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে জমি রেকর্ড

    এদিকে যাঁরা জমি দান করেছিলেন, সেই পরিবারের পক্ষ থেকে দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বর্ধমান (Bardhaman) রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ভূমি দফতরকে দানপত্র দলিল করেছিলেন আমার বাবা। কিন্তু সেই জমির রেকর্ড এখন এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে হয়ে গিয়েছে। যিনি জমিকে নিজের নামে করেছেন, তিনি অঞ্চল সভাপতি (TMC)। তাঁর নাম বুদ্ধদেব রায় ওরফে লালু। আবার লালুর স্ত্রী বুলু রায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। অবিলম্বে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”  

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC) বুদ্ধদেব রায় এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী কাঁকসা (Bardhaman) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দোষী প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ বছর পর ফের ব্রিটেনের কুর্সিতে বসেছে লেবার পার্টি। ২০১০ সালের পর এই প্রথম লেবার পার্টির কোনও (India UK Relation) নেতা হতে চলেছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা। লেবার পার্টির তরফে ব্রিটেনের কুর্সিতে যিনি বসতে চলেছেন তিনি কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। জয়ের পর ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “১৪ বছর পর ফের ব্রিটেন নিজেদের ভবিষ্যৎ ফিরে পেয়েছে।”

    স্টার্মারের মাথায় কাঁটার মুকুট! (Keir Starmer)

    স্টার্মারের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তাঁর বছর দুয়েকের শাসনে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক তুঙ্গে উঠছে, এমনটা বলা যায় না। তবে সম্পর্কের অবনতিও হয়নি। এবার স্টার্মারের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কের জল কোন খাতে গড়ায়, সে দিকেই তাকিয়ে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ। স্টার্মার যে সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন, সেই সময় সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ব্রিটেনের ঘাড়ে করের বোঝা চেপেছে বিপুল পরিমাণে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে নিট ঋণের পরিমাণ ব্রিটেনের বার্ষিক অর্থনৈতিক আউটপুটের সমান। দেশের (Keir Starmer) পাবলিক পরিকাঠামো নড়বড়ে, জীবনযাপনের মান কমছে তীরের বেগে। সঙ্কটের মুখে সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা। এহেন আবহে কুর্সিতে বসেছেন স্টার্মার।

    স্টার্মারের সামনে গুচ্ছ চ্যালেঞ্জ

    বস্তুত, কাঁটার মুকুট পরেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত দেশের আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। গত বছর সেই জায়গাটা দখল করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে ওই তালিকার ছ’নম্বরে। তাই ব্রিটেনকে ফের পূর্বাবস্থায় ফেরানোটাই স্টার্মারের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ব্রিটেনবাসীর জীবনযাপনের মানোন্নয়ন করাও তাঁর আশু কর্তব্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন অতিপ্রয়োজনীয় খাতে বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁট না করেই উন্নয়ন করতে হবে এই সব ক্ষেত্রে। এসব ‘ঘরোয়া সমস্যা’র সমাধানও যেমন করতে হবে স্টার্মারকে, তেমনি মজবুত করতে হবে ভারত-ব্রিটেন (পড়ুন, লেবার পার্টির) সম্পর্কও।

    আর পড়ুন: চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    তলানিতে ভারত-লেবার পার্টির সম্পর্ক

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে তলানিতে ঠেকে ভারত ও লেবার পার্টির সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়াও অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। স্টার্মারের আগে লেবার পার্টির রাশ ছিল জেরেমি করবিনের হাতে। তাঁর ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্যই নয়াদিল্লির সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই সম্পর্ককেই দ্রুত ফেরাতে হবে জেরেমি জমানার আগের অবস্থায়।

    প্রতিশ্রুতি রক্ষার পালা স্টার্মারের

    ঋষি সুনক যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন বিরোধীদলের নেতা ছিলেন স্টার্মার (Keir Starmer)। সেই সময়ই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলতেন। ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের ওপর খালিস্থানপন্থীরা যখনই হামলায় চালাত, তখনই তার কড়া নিন্দা করতেন স্টার্মার। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন, তাঁর দল সরকারে এলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইবে। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে স্টার্মারের দল। তাই এবার তাঁর পালা প্রতিশ্রুতি রক্ষার।

    ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    ক্ষমতায় এলে তিনি যে ভারতের সঙ্গে নতুন কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান, নির্বাচনী প্রচারেই তা জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ভারতের সঙ্গে তিনি যে মুক্ত-বাণিজ্যের চুক্তি করতেও বদ্ধপরিকর, সেটাও জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির এই নেতা। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় নিয়েও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী স্টার্মার। বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্রুত উন্নতিশীল দেশ। বিভিন্ন (India UK Relation) আন্তর্জাতিক সংস্থার করা সমীক্ষা বলছে, অচিরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে আসবে মোদির ভারত। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে মুখিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী।

    ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী!

    তিনি যে হিন্দু-বিরোধী নন, তিনি যে ব্রিটেন থেকে ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী, তা-ও ভোটের আগে বারংবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন স্টার্মার। সেই কারণেই হিন্দুদের উৎসব হোলি কিংবা দেওয়ালির মতো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের। স্টার্মারের এই কৌশলে কাজ হয়েছে। ব্রিটেনের নির্বাচনে প্রবাসী ভারতীয় হিন্দু ভোটাররা একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই ফ্যাক্টরই এবার ব্যাপকভাবে কাজ করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, প্রবাসী হিন্দু কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটা বড় অংশের ভোট এবার পড়েছে লেবার পার্টির ঝুলিতে। তাই স্টার্মারের জয় হয়েছে নিছক কেক-ওয়াক।

    স্টার্মারের জয়ের পর তাঁকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই দুই রাষ্ট্রনেতা ‘মজবুত অর্থনৈতিক বন্ধন’ গড়ে তুলতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার মোদিকে (India UK Relation) এ-ও বলেছিলেন, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে চলা দোটানায় ইতি টানতে প্রস্তুত ব্রিটেন।

    আসলে মোদির ভারতকে এড়িয়ে যাওয়ার যে কোনও উপায়ই নেই লেবার পার্টির নেতা তথা ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের (Keir Starmer)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লু ফ্যাক্টারি সংলগ্ন এলাকায় যুবক-যুবতীকে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে গুজব ছড়ায় আসানসোল (Asansol) উত্তর থানা এলাকায়। কিন্তু ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলেও দীর্ঘক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর জনগণের রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কেন পুলিশের উপর হামলা (Asansol)?

    স্থানীয় (Asansol) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশের পাঁচটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সঙ্গে চলে ইট বর্ষণ। ইটের আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মী দারুণ ভাবে আঘাত পান। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। কিন্তু ওই যুবক-যুবতীর কোনও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাত এক হকারের

    গুজব ছড়িয়ে মারধরে উত্তাল রাজ্য

    গুজব ছড়িয়ে মারধরের ঘটনায় রাজ্যে সম্প্রতি ব্যাপক ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এমন ঘটনা প্রায় প্রত্যেকে দিন জেলা থেকে উঠে আসছে। প্রশাসন এই বিষয়ে ভীষণ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোথাও চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আবার কোথাও ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে মারা হচ্ছে। সম্প্রতি চোপড়ায় এক প্রাতপশালী তৃণমূল নেতা, রাস্তায় ফেলে কঞ্চি দিয়ে তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেছেন। সেই ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার চোর সন্দেহে, বউবাজার, সল্টলেক, পাণ্ডয়া, জামবনি, তারকেশ্বরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও টাকা চুরি, কোথাও গাড়ি চুরি আবার কোথাও মোবাইল চুরির ঘটনার কথা উঠে এসেছিল। ফের একবার গুজেব শোরগোল পড়েছে আসানসোলে (Asansol)।

    আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গণপিটুনির ঘটনায় ন্যায় সংহিতার ব্যাখ্যায় বলেছেন, “জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা ও অন্যান্য যেসব কারণে মারধরের ঘটনা ঘটে, তাতে ৭ বছরের জেল থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা যুক্ত করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share