Tag: bangla news

bangla news

  • SSS Defence: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    SSS Defence: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য। দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিশানা করতে সক্ষম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifles) তৈরি হচ্ছে ভারতে। শুধু তৈরিই নয় বেঙ্গালুরুর ছোট অস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্স তা রফতানিও শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এসএসএস ডিফেন্স (SSS Defence) বিদেশে স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেয়েছে বলে খবর। যার অঙ্ক ৫ কোটি ডলার (প্রায় ২১৭ কোটি টাকা)।

    স্নাইপার রাইফেল কী (Sniper Rifles)

    এই রাইফেল প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে। এক গুলিতেই করতে পারে ধরাশায়ী। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে প্রায় এক দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifles) ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা এই রাইফেল ব্যবহার করে। ভারতীয় সেনা রুশ ড্রাগোনভ, ইজরায়েলের আইএমআই গালিল, জার্মান সংস্থা ‘হেকলার অ্যান্ড কখ্’ নির্মিত পিএসজি১, জার্মানির মাউসার সংস্থার এসপি৬৬-র পাশাপাশি ব্যবহার করে এসএসএস ডিফেন্সের .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম।

    আরও পড়ুন: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত (SSS Defence)

    প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, স্নাইপার রাইফেলের (Sniper Rifles) পাশাপাশি এসএসএস ডিফেন্স (SSS Defence) বিদেশ থেকে অন্য অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের বরাত পেয়েছে। বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থা প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। এর ফলে মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প সাড়া ফেলেছে। ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন ২০২৩-২৪ সালে প্রায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম থেকে এমনই আশা করছে মোদি সরকার। একটি সূত্র জানিয়েছে, “ভারত এখন বন্দুক থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং ছোট অস্ত্রের মতো বিপুল সংখ্যক সরঞ্জাম তৈরি ও রফতানি করছে। এতদিন ভারত এই সিস্টেমগুলির আমদানিকারক ছিল, কিন্তু এখন আমরা সেগুলি রফতানি শুরু করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kamarhati: কিশোরের সঙ্গে নৃশংস অত্যাচার! জয়ন্তর আরও কুকীর্তি ফাঁস, মদন ঘনিষ্ঠ যোগও স্পষ্ট

    Kamarhati: কিশোরের সঙ্গে নৃশংস অত্যাচার! জয়ন্তর আরও কুকীর্তি ফাঁস, মদন ঘনিষ্ঠ যোগও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল ঘনিষ্ঠ স্বঘোষিত ‘ডন’ জয়ন্ত সিং এখন জেলে রয়েছেন। তাঁর একের পর এক কুকীর্তির ভিডিও প্রকাশ্যে আসছে। যা দেখে আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ। জয়ন্ত ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন সকলে। কামারহাটি, আড়িয়াদহ জুড়ে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে দাপিয়ে বেড়াতেন জয়ন্ত। সেই জয়ন্ত রাজ খতম করারও আর্জি জানাচ্ছেন সকলে।

    জয়ন্তর আরও কুকীর্তি ফাঁস! (Kamarhati)

    জয়ন্ত বাহিনীর আরও দুটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক কিশোরকে নগ্ন করে তার যৌনাঙ্গ সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে টানা হচ্ছে। যিনি এটি করছেন, তিনি জয়ন্তেরই ঘনিষ্ঠ বৃত্তের এক জন। নাম লাল্টু। আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে বাইক নিয়ে জয়ন্তর বাহিনী একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি ইট ছুঁড়ছেন। সঙ্গে একটি যুবতী রয়েছেন। তিনি জয়ন্তর গার্লফ্রেন্ড হিসেবে পরিচিত। সেই যুবতীর সামনে জয়ন্তর বাহিনীর ছেলেরা  একটি বাড়িতে ঢিল ছুঁড়ছেন। জানা গিয়েছে, দাবি মতো তোলার টাকা না পাওয়ার কারণে এই হামলা। এছাড়া তালতলা স্পোটিং ক্লাবের ভিতরে নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা তো রয়েছে। সবমিলিয়ে জয়ন্ত বাহিনীর সকলকে গ্রেফতার করার আর্জি জানাচ্ছেন কামারহাটির মানুষ।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    সামান্য দুধ বিক্রেতা থেকে মাফিয়া!

    জয়ন্ত এক দিনে ‘জায়ান্ট’ হননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তের বাবা অনেক বছর আগে কামারহাটিতে (Kamarhati) আসেন। থাকতে শুরু করেন আড়িয়াদহে। তাঁদের খাটাল ছিল। মূল ব্যবসা ছিল গরুর দুধের। গোড়ায় কিছু দিন দুধের ব্যবসাও করেছেন জয়ন্ত। তার পর ক্রমে পথ বদলাতে শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন ক্লাবের মাথা হয়ে ওঠেন জয়ন্ত। যে সব ক্লাব সংগঠনে নিজের বাহিনী তৈরি করেন, তার মূল মাথা ছিল আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাব। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত। মদনের (Trinamool Congress) বল-ভরসাতেই তাঁর এত  হয়ে রমরমা। মদন অবশ্য বলেছেন, তাঁর সঙ্গে ছবি রয়েছে মানেই ঘনিষ্ঠতা ছিল তা প্রমাণিত হয় না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে তিনি দুধের ব্যবসা করতেন। পরে, শুরু করেন ইট, বালি, সিমেন্ট, চুন, সুরকির সিন্ডিকেট। পুকুর বুজিয়ে বহুতল তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতে আসে তাঁর। জয়ন্তের এক ভাই কলকাতা ফুটবলের নামী খেলোয়াড়। তিনি ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়েও খেলেছেন। জানা গিয়েছে, বারাকপুর থেকে ডানলপ পর্যন্ত বিটি রোডের ধারের সমস্ত পানশালায় অবাধ যাতায়াত ছিল জয়ন্তের।  বাহিনী নিয়ে সেখানে চলত ফুর্তির ফোয়ারা। তবে টাকাপয়সা চাইলেই শুরু হত বচসা। বেরিয়ে পড়ত নাইন এমএম, একনলা। বিভিন্ন পানশালায় একাধিক গন্ডগোলের ঘটনাতেও জয়ন্তের নাম জড়ায় বলে দাবি অনেকের।

    মদনের বউমার সঙ্গে কেক কাটতে দেখা গিয়েছে জয়ন্তকে

    জয়ন্ত সিংয়ের ক্লাবের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখা গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মদন মিত্রের (Trinamool Congress) ছেলে শুভরূপ মিত্র স্টেজে জয়ন্ত সিংয়ের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর গলায় হাত দিয়ে ছবিও তুলছেন। শুধু তাই নয়, মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্র বললেন, “এই তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবকে (Kamarhati) যে ভীষণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে হল এই জয়ন্ত সিং।” প্রকাশ্যে আরও একটি ভিডিওতে মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্রের একেবারে পারিবারিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে জয়ন্ত সিংকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিং কেক কাটচ্ছেন, পাশে মদন মিত্রের পত্রবধূ মেঘনা মিত্র। তিনি কেক কেটে তাঁকে নিজের হাতে খাওয়ালেন। পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মদনের ছেলে। তাঁকেও পরে কেক খাওয়ালেন জয়ন্ত।

    পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে  মামলা করা হয়েছে। যে কটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: আপনি কি দার্জিলিং-কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? বিপদ এড়াতে এই তথ্য জেনে নিন

    Darjeeling: আপনি কি দার্জিলিং-কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? বিপদ এড়াতে এই তথ্য জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি দার্জিলিং (Darjeeling) বা কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইছেন? এই বর্ষায় প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কীভাবে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন, তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন পথ নিরাপদ এবং কোন কোন পথ বিপজ্জনক, তা আগে জানা দরকার। বুধবারই প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেতি ঝোরা থেকে চিত্রে যাওয়ার জাতীয় সড়ক ১০ বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার রবি ঝোরা থেকে তিস্তা বাজার যাওয়ার রাস্তায় চলছে মেরামতির কাজ। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। তাই পর্যটকদের বেড়াতে যাওয়ার আগে একবার পর্যটন কেন্দ্র এবং যাওয়ার পথ সম্পর্কে তথ্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    স্বাভাবিক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ (Darjeeling)

    বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গের (Darjeeling) জেলাগুলি ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে নাজেহাল। উত্তরবঙ্গে পাহাড়, ডুয়ার্স, তরাই অঞ্চল এবং সমভূমির অধিকাংশ এলাকা বর্ষা কবলিত। ইতিমধ্যে তিস্তায় সর্তকতা জারি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ধসের কারণে স্বাভাবিক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে বহু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই কোন কোন রাস্তার কেমন পরিস্থিতি, তা পর্যটকদের জানা একান্ত প্রয়োজন। জেলা প্রশাসন থেকে এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    জাতীয় সড়ক ৭১৭ নম্বর ধস!

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং জেলার (Darjeeling) পানবু রোড হয়ে কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকবে। একই ভাবে খোলা রয়েছে মনসং হয়ে রংপো থেকে লাভা যাওয়ার রাস্তা। তবে জাতীয় সড়ক ৭১৭ নম্বর ধস এবং বৃষ্টির জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শুধু যে রাস্তায় ধস বা জল জমে রয়েছে তাই নয়, অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের জন্য দৃশ্যমানতাও কমে গিয়েছে। টেলি কমিউনিকেশনেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয় ঘটেছে। কাঁচা বাড়ি এবং নদীর উপর কাঁচা বাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জমির ফসলের উপর বন্যার জলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In Austria: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    PM Modi In Austria: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া সফর সেরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Austria)। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভিয়েনায় পা রেখেছিলেন ১৯৮৩ সালে। আর ২০২৪ সালে সেখানে (Terrorism War) পদার্পণ করলেন নরেন্দ্র মোদি।

    ‘বন্দে মাতরম’-এ স্বাগত মোদিকে (PM Modi In Austria)

    বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন অস্ট্রিয়ার বিদেশমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ-ও। উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়ান শিল্পীরাও। তাঁদের কণ্ঠে ‘বন্দে মাতরম’ গান শুনে মুগ্ধ মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অস্ট্রিয়া তার প্রাণবন্ত সঙ্গীত ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। বন্দে মাতরম-এর আশ্চর্যজনক পরিবেশনে আমি তার আভাস পেয়েছি।”

    কী বললেন অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ভারত-অস্ট্রিয়া বন্ধুত্বের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” এদিকে, এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর সঙ্গে মোদির একটি ছবি পোস্ট করেছেন অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর। লিখেছেন, “ভিয়েনায় স্বাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাতে পারাটা আনন্দ ও সম্মানের। অস্ট্রিয়া ও ভারত বন্ধু এবং অংশীদার। আপনার সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি।”

    এই এক্স হ্যান্ডেলেই অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, “আগামিকাল আমাদের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা এক সঙ্গে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করব।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi In Austria) লিখেছেন, “ভিয়েনায় আপনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালো লাগছে কার্ল নেহামার। ভারত-অস্ট্রিয়ার বন্ধুত্ব দৃঢ় ও ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে।”

    আর পড়ুন: নারী থেকে পুরুষ হয়ে ইতিহাস গড়লেন আইআরএস আধিকারিক

    বুধবার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ, চ্যান্সেলর নেহামার এবং আমি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা মজবুত করতে নয়া সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করেছি। আমাদের সম্পর্ককে একটা স্ট্র্যটেজিক ডিরেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও আমরা নিয়েছি। আগামী দশকে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে আমরা ব্লুপ্রিন্টও ছকেছি।” তিনি বলেন, “চ্যান্সেলর নেহামার এবং আমি বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় যে দ্বন্দ্ব চলছে, তা নিয়েও কথা বলেছি। এটা ইউক্রেনের দ্বন্দ্বই হোক কিংবা (Terrorism War) পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। আমি আগেও বলেছি, এটা যুদ্ধের সময় নয় (PM Modi In Austria)।” তিনি বলেন, “ভারত এবং অস্ট্রিয়া দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের কড়া সমালোচনা করেছে। সন্ত্রাসবাদ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Dravid: দ্রাবিড়ে মুগ্ধ বিসিসিআই! পুরস্কারের অতিরিক্ত টাকা ৩ সহকারীর সঙ্গে ভাগ করলেন রাহুল

    Rahul Dravid: দ্রাবিড়ে মুগ্ধ বিসিসিআই! পুরস্কারের অতিরিক্ত টাকা ৩ সহকারীর সঙ্গে ভাগ করলেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই অন্যরকম মানুষ তিনি। অতীতেও দেখা গিয়েছে, কখনও অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পছন্দ করেন না রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। অতীতে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দল যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখনও কোচের হটসিটে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়ই। তবে বাকি সাপোর্ট স্টাফদের সমান পুরস্কার অর্থ বা ইনসেন্টিভ নিয়েছিলেন তিনি। বোর্ডের তরফে কোচের জন্য যে স্পেশাল প্যাকেজ বা পুরস্কার দেওয়া হয়, তা নিয়ে অস্বীকার করেছিলেন দ্রাবিড়। এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বজয়ী  ভারতীয় ক্রিকেটদলের হেড কোচ তিনি। তাঁর জন্য রোহিত-বিরাটদের সমান ৫ কোটি টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করলেন দ্রাবিড়। সকলের সঙ্গে সমানভাবে ভাগ করে নিলেন পুরস্কার মূল্য। তাই তো তিনি সকলের থেকে আলাদা। 

    দ্রাবিড়ের যুক্তি মানল বোর্ড (Rahul Dravid)

    বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) ১২৫ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে রোহিত শর্মাদের। ১৫ জন ক্রিকেটারের মতো কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পেয়েছেন ৫ কোটি টাকা। কিন্তু তিন সহকারী কোচের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আড়াই কোটি টাকা করে। এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি দ্রাবিড়ের। তাই পুরস্কারের অর্ধেক টাকা বিসিসিআইকে ফিরিয়ে দিয়েছেন দ্রাবিড়। পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেননি দ্রাবিড়। তাঁর বক্তব্য, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের অবদান কোনও অংশে কম নয়। তাঁদেরও সমান টাকা পাওয়া উচিত। তিনি সহকারীদের থেকে আড়াই কোটি টাকা বেশি নিতে পারবেন না। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘দ্রাবিড় আড়াই কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি চান এই টাকা চার জন কোচের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হোক। আমরা তাঁর আবেগ, ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
    দ্রাবিড় এবং তিন জন সহকারী কোচ পাচ্ছেন ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে। 

    এবারই প্রথম নয় (Rahul Dravid)

    ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। সে বার বিশ্বকাপ জেতার পর বিসিসিআই দ্রাবিড়কে আর্থিক পুরস্কার হিসাবে ৫০ লাখ টাকা এবং সহকারী কোচদের ২০ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে বারও সহকারীদের থেকে বেশি টাকা নিতে রাজি হননি দ্রাবিড়। বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন, মোট টাকা সকলকে সমান ভাবে ভাগ করে দিতে। বোর্ড কর্তারা দ্রাবিড়ের এই সিদ্ধান্তে মুগ্ধ। 

    আরও পড়ুন: রোহিতদের গুরু গম্ভীরই, ঘোষণা জয় শাহের! কোন অঙ্কে দায়িত্বে গৌতি?

    কী করবেন দ্রাবিড়

    ভারতীয় কোচ হিসেবে দ্রাবিড় (Rahul Dravid) আর কাজ করবেন না। টিম ইন্ডিয়ার নতুন কোচ হয়েছেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর। তাঁর সঙ্গে বোর্ড ২০২৭ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করেছে। শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি। গম্ভীর কোচ হওয়ার আগে বোর্ডকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কোচ হলে দলের সহকারী বাছাই করবেন তিনিই। সেই হিসেবে পরশ মামরে, বিক্রম রাঠোরদের যুগও শেষ হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, গৌতম গম্ভীরের জায়গায় রাহুল দ্রাবিড়কে মেন্টর করতে পারে  কলকাতা নাইট রাইডার্স। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভারতীয় দল ফেরার পরেই দ্রাবিড়ের সঙ্গে নাকি কথা বলেছেন নাইটের শীর্ষ আধিকারিকরা। কেকেআর সূত্র খবর, নাইট অধিপতি শাহরুখ খানও নাকি ভারতের প্রাক্তন কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Chaubey: ইটের বদলে পাটকেল! কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ

    Kalyan Chaubey: ইটের বদলে পাটকেল! কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিকতলা উপনির্বাচনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) মধ্যে দ্বৈরথ অব্যাহত রইল। মানিকতলা উপনির্বাচনের আগে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এবার কুণালের সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি প্রার্থী। উপনির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে কুনালের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ চৌবে।

    কুণাল ঘোষের অভিযোগ (Kunal Ghosh) 

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, ”রবিবার আমাকে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে খেলার জগতে রাজ্য বা জাতীয় স্তরে বড় পদের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ।” তবে কুনাল এই অফার প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ”এই বিজেপি প্রার্থীকে (Kalyan Chaubey) একটা ভোটও দেওয়া উচিত নয়।” এরপর নিজের দাবির সপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপ সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেন তৃণমূল নেতা। 

    যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ”আমি কখনো কোথাও বলিনি ফুটবল ফেডারেশনের কোন পদে রাখব। সেটা অপপ্রচার করছেন। এটা ওনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। কথোপকথনকে রেকর্ড করে বাইরে ছাড়া শুধুমাত্র ওনার বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ করল না, মানুষ এরপর থেকে কারোর সাথে কথা বলতে চাইলে দশবার ভাববে। আমি ওনাকে ফোন করেছি, কারণ উনি আমাকে বলেছিলেন রাত এগারোটায় ফোন করতে এবং সেই কথা রেকর্ড করে প্রকাশ্যে এনেছেন।” 

    বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা জবাব (Kalyan Chaubey) 

    কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর নির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, ”‌আমি সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। সেই হিসাবে তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। পুরো অডিয়ো ক্লিপিং শোনালে সেটা বোঝা যাবে।”‌ আর এরপরেই বিজেপি প্রার্থী একেবারে বেনজির আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যে। পরিষ্কার বলেই দিলেন, “এই মানুষটা কয়েকদিন আগে তাপস রায়কে জেতানোর জন্য নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমার কাছে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট রয়েছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সব লোকেরা তাপস রায়ের হয়ে কাজ করছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তবে আমি ব্যক্তিগত কথোপকথন বাইরে আনব না।”   

    আরও পড়ুন: নারী থেকে পুরুষ হয়ে ইতিহাস গড়লেন আইআরএস আধিকারিক

    উল্লেখ্য, ভোটের আগের দিনই কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) অভিযোগ করে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এর জন্য একাধিকবার তাঁর বাড়িও গিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “উনি আমার বাড়িতে একটা মেরুন স্যান্ট্রো করে অংখ্যবার গিয়েছেন। আমায় বলেছিলেন বিজেপিতে যোগ দেবেন।” এ নিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) জানিয়েছিলেন, “বিজেপি-তে যাওয়ার ইচ্ছা হলে পচা কল্যাণকে আমার লাগবে না।” যদিও বুধবার ‘পচা কল্যাণ’ শব্দটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এই শব্দটাকে আমি নিন্দা করছি। উনি নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raigunj By Election: উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    Raigunj By Election: উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার ‘দাদাগিরি!’, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার দাদাগিরি! তাঁর মাতব্বরি কার্যত প্রশ্নের মুখে। প্রিসাইডিং অফিসারকে নিজেই অকপটে স্বীকার করেছেন, সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই তিন থেকে চারবার ভোটারদের নিয়ে সারাসরি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত নীরব কৃষ্ণ কল্যাণীর দাদা পাপ্পু কল্যাণী। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raigunj By Election)।

    ১৪১-১৪২ নম্বর বুথে তৃণমূলের জমায়েত (Raigunj By Election)!

    উপনির্বাচনকে ঘিরে রায়গঞ্জের করোনেশন হাই স্কুলের বাইরে তৃণমূলের বিরাট জমায়েত দেখা গিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে জামায়েত সরিয়ে দেয়। আবার ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর বুথের বাইরে ফের জমায়েত করে তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁরা রীতিমতো স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যে একটি বুথে তৃণমূল প্রার্থীর দাদার দৌরাত্ম্য চোখে পড়েছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে রীতিমতো মাতব্বরি শুরু করে দেন কৃষ্ণ কল্যাণীর দাদা পাপ্পু কল্যাণী। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই নিজের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন।  

    তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন পাপ্পু

    ভোট গ্রহণের সময় পাপ্পু কল্যাণীর দাদাকে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই দেখা যায়, ভোটারদের নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বুথে (Raigunj By Election) ঢুকেছেন। উল্লেখ্য মাত্র একববার দুবার নয় বেশ কয়েকবার ভোটারদের ভোট দেওয়ান পাপ্পু। ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার স্বীকার করেছেন তিন-চারবার ভোটারদেরকে ভোট দেওয়ান। তৃণমূল প্রার্থীর অবশ্য বক্তব্য, “তৃণমূলের হয়ে বুথের দায়িত্বে ছিলেন পাপ্পু, তাই সক্রিয় ছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ ‘বাদামবীজ পাচার!’ বাঁকুড়ার পঞ্চায়েত অফিসে বিরাট দুর্নীতি, ভিডিও প্রকাশ শুভেন্দুর

    লোকসাভায় রায়গঞ্জে এগিয়ে ছিল বিজপি

    রায়গঞ্জ বিধানসভার আসনে উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইতে রয়েছেন, বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ, কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেন গুপ্ত এবং তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু পরবর্তী কালে বিজেপি থেকে তৃণমূল যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের কাছে ৬৮ হাজার ভোটে পারাজিত হন তিনি। লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ বিধানসভাতেও (Raigunj By Election) বাজিমাত করেছে বিজেপি এবং ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এইবার উপনির্বাচনে কী হয় তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tourists Fight On Mt Everest: ‘যত কাণ্ড মাউন্ট এভারেস্টে’! সেলফি তোলা নিয়ে হাতাহাতি, পুলিশ হেফাজতে ৪

    Tourists Fight On Mt Everest: ‘যত কাণ্ড মাউন্ট এভারেস্টে’! সেলফি তোলা নিয়ে হাতাহাতি, পুলিশ হেফাজতে ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে নয়, পড়ুন, যত কাণ্ড মাউন্ট এভারেস্টে (Tourists Fight On Mt Everest)! আজ্ঞে হ্যাঁ, সেলফি (Selfie Spot) তোলার হিড়িকেই রীতিমতো হাতাহাতি পর্যটকদের মধ্যে। ২৫ জুন এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের ঘটনা। তবে প্রকাশ্যে এসেছে অতি সম্প্রতি। বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গে যে এমন একটা কাণ্ড ঘটতে পারে, তা আঁচ করতে পারেননি পর্বতারোহীরা। তবে ঘটনাটি সত্যি একশো ভাগ।

    এভারেস্ট পর্যটকের ভিড় (Tourists Fight On Mt Everest)

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এভারেস্ট। তুষারধবল এই পর্বতশৃঙ্গের সৌন্দর্য উপভোগ করতেই ফি বছর বহু মানুষ যান পর্বতারোহনে। এই তালিকায় থাকেন দু’ধরনের মানুষ। একদল পর্বতারোহী। অন্যদল ছবি শিকারি। দ্বিতীয় এই দলের লোকজন পাহাড় চূড়ায় ওঠেন না। তাঁরা মূলত ভিড় করে বেস ক্যাম্পে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চিনা পর্যটকদের দু’টি দল তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে যান এভারেস্টের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য। এভারেস্ট ভ্রমণ স্মরণীয় করে রাখতে সেলফি তুলতে যান এক দম্পতি।

    তুষার ধবল শৃঙ্গে হাতাহাতি

    তাঁদের সঙ্গে থাকা ট্যুর গাইড এভারেস্ট এলিভেশন মনুমেন্টের পাশে ছবি তুলতে বলেন। এই সময় ওই একই জায়গায় ছবি তোলার চেষ্টা করেন অন্য এক পর্যটক দম্পতি। তাঁরাও এসেছিলেন চিন থেকে। কারা আগে সেলফি তুলবে, তা নিয়েই বচসা দুই দলের। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, একদল অন্য দলকে এলোপাথাড়ি লাথি, ঘুসি মারছে। এরই মাঝে এক মহিলা নিরন্তর মারপিট থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে চলেছেন। তবে লড়াই আর থামে কই? খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন এভারেস্ট (Tourists Fight On Mt Everest) বর্ডার পুলিশ ক্যাম্পের আধিকারিকরা। তাঁদের হস্তক্ষেপেই শেষমেশ দাঁড়ি পড়ে হাতাহাতিতে।

    আর পড়ুন: এবার খোরপোশ দাবি করতে পারবেন ডিভোর্সি মুসলিম মহিলারাও, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    এভারেস্টে বিশৃঙ্খলা পাকানোর অভিযোগে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। এভারেস্ট যাত্রার ইতিহাসে এমনতর ঘটনা এই প্রথম। তবে এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কীভাবে সেলফির (Selfie Spot) প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে মানুষের। কীভাবে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার ঝোঁক বাড়ছে। স্থান-কাল-পাত্রের গুরুত্ব এবং ঐতিহ্য কিংবা মাহাত্ম্য ভুলেই চলছে এসব ‘বেওসা’ (Tourists Fight On Mt Everest)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রানাঘাটে বিজেপির বুথ অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Ranaghat: রানাঘাটে বিজেপির বুথ অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তজনা ছড়াল। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির নির্বাচনী বুথ অফিস ভেঙে ভোটার স্লিপ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার বুথ অফিসে বসে থাকা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    বুধবার রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভার জগপুরে নির্বিঘ্নে ভোট (By-Election) চলছিল। বুথ অফিস থেকে সাধারণ মানুষকে ভোটার স্লিপ দিচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। হঠাৎই বাইকে করে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে বিজেপির বুথ অফিসে চড়াও হয়। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় বুথ অফিস। প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, এদিন সকাল থেকেই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। আচমকা বাইকে করে ২০ জন তৃণমূল কর্মী এসে বিজেপির বুথ অফিসে চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। ভোটার স্লিপ কেড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। বুথ অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরে, বিজেপি কর্মীরা বুথ অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান। গোটা এলাকা তৃণমূলের ছেলেরা দখল করে নেয়। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, “পুলিশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এবং রাজ্য সরকার একত্রিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সহায়তা করছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, রানাঘাট দক্ষিণে (By-Election) বিজেপির জয় অনিবার্য, তাই এরকম অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে।” যদিও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় রানাঘাট পুলিশ জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vinayak Damodar Savarkar: স্বাধীনতার জন্য ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ! জানেন বীর সাভারকরের কথা?

    Vinayak Damodar Savarkar: স্বাধীনতার জন্য ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ! জানেন বীর সাভারকরের কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে উঠে আসে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের (Vinayak Damodar Savarkar) নাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে জীবনের ১১ বছর কাটাতে হয়েছিল দ্বীপান্তরে। সকলের থেকে আলাদা করে সাভরকরকে রাখা হয়েছিল কালাপানির সেলুলার জেলে। 

    সাভারকরের ছোটবেলা (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৮৮৩ সালের ২৮ মে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভগুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। তাঁর মা ছিলেন রাধাবাই সাভারকর এবং পিতা ছিলেন দামোদর পন্ত সাভারকর। রাধাবাই এবং দামোদর পন্ত সাভারকরের চার সন্তান ছিল, তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নাসিকের শিবাজি স্কুলে। তিনি শৈশব থেকেই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হন। ১১ বছর বয়সে মাঙ্কি আর্মি গঠন করেন তিনি। পরে স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। 

    ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৯০৫ সালে দশেরার দিনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সমস্ত জিনিসপত্র এবং কাপড় পোড়ানো শুরু করেন সাভারকর। এরপর আইন নিয়ে পড়তে লন্ডন পাড়ি দেন সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। কিন্তু ব্রিটিশদের ঘরে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতে থাকেন তিনি। গঠন করেন অভিনব ভারত সোসাইটি, ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে দুই সংগঠন। ১৯১০ সালে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। নাসিকের জেলা কালেক্টর জ্যাকসনকে হত্যার জন্য নাসিক ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ১৯১১ সালের ৭ এপ্রিল কালাপানির সাজা দেওয়া হয় বিনায়ককে। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৯২১ সালের ২১ মে পর্যন্ত পোর্ট ব্লেয়ার জেলে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    স্বাধীনতার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপ (Vinayak Damodar Savarkar)

    সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) যখন লন্ডন থেকে ভারতে আনা হচ্ছিল তখন তিনি ব্রিটিশদের হাত থেকে পালানোর জন্য এসএএস মোরিয়া জাহাজের শৌচালয়ের জানলা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেন। মৃত্যুভয় তাঁর ছিল না। শুধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যে কোনও উপায়ে তিনি মুক্তির চিন্তা করেছিলেন। ভূমধ্যসাগরের দীর্ঘ জলপথ সাঁতরে তিনি ফরাসি উপকূলে পৌঁছেছিলেন। চেয়েছিলেন আশ্রয়। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধিতায় রাজি হয়নি ফ্রান্স। তাঁরা সাভারকরকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আন্দামানের সেলুলার জেল। যেখানে অন্ধকারে চলে নির্যাতন।  কিন্তু জেল থেকেও স্বাধীনতার জন্য কবিতা-প্রবন্ধ লিখতে থাকেন তিনি। স্বাধীনতার জন্য চলে তাঁর নিরলস সংগ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share