Tag: bangla news

bangla news

  • Warmest June in India: ১৯০১ সাল থেকে এত গরম পড়েনি ভারতে! কী বলল হাওয়া অফিস? 

    Warmest June in India: ১৯০১ সাল থেকে এত গরম পড়েনি ভারতে! কী বলল হাওয়া অফিস? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় দিশেহারা মানুষ। কখনও অতিবৃষ্টি আবার কখনও অনাবৃষ্টি। কখনও দহনের তীব্রতা আবার কখনও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য দেশের বেশিরভাগ অংশেই জুন মাসে প্রবল গরম ছিল। গত ১২৩ বছর পর, জুন (Warmest June in India) মাসে দেশে এত গরম পড়ল বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা (Weather Report)। দিনের পর দিন তাপপ্রবাহ চলেছিল দেশে। 

    জুনেও তাপপ্রবাহ (Warmest June in India) 

    জুনের শুরুতে দেশে বর্ষা এলেও বৃষ্টির দেখা মিলছিল না একাধিক জায়গায়। গত বছরের মতো এই বছরেও বর্ষা নির্দিষ্ট সমেয়র মধ্যেই কেরলে প্রবেশ করেছিল। কেরলে স্বাভাবিক বর্ষণ শুরু হওয়ায় অনেকেই স্বস্তিতে ছিলেন। নিয়ম মেনে মৌসুমী বায়ু উত্তরপূর্বের রাজ্যে প্রবেশ করে। সেখানে ভাল বর্ষণ শুরু হয়। কিন্তু তারপরেই যেন থমকে যায় মৌসুমি বায়ু। উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলি থেকে সরার নাম গন্ধ করছিল না। 

    দীর্ঘদিন স্থায়ী গরম

    আবহবিদরা জানিয়েছেন, এবছর ভারতে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশিদিন এবং বেশি মাত্রায় তাপপ্রবাহ স্থায়ী হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অন্তত ৪০ হাজার নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন হিট স্ট্রোকে। অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন অত্যধিক তাপের কারণে। তবে বহুক্ষেত্রেই অসুস্থতার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ম্যাচ জেতানো ইনিংস অভিষেকের, কোহলির পরিবর্ত কি খুঁজে পেল ভারত?

    জুন মাস জুড়ে গরম (Weather Report)

    জুন মাস (Warmest June in India) জুড়ে ফুটি ফাটা গরমে কষ্ট পেয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সিংহভাগ এলাকা। জুন মাসে সাধারণত বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। কিন্তু এবার জুন মাস জুড়ে তাপপ্রবাহ তাণ্ডব চালিয়েছে উত্তর-পশ্চিমের রাজ্য গুলিতে। দিল্লি-পাঞ্জাব-হরিয়ানা- রাজস্থান-গুজরাটের একাংশের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। এবারে রাজধানী দিল্লিতে রেকর্ড গরম পড়েছিল। এর আগে কখনও দিল্লিত তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়নি। কিন্তু এবারে রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ৫৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা এবারে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রার ফারাক বেশি ছিল না। যার ফলে রাতেও গরম থেকে রেহাই পাননি দিল্লির বাসিন্দারা। হিট স্ট্রোকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। এর আগে কখনও জুন মাসে এতোটা গরম পড়েনি। জুন মাসে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১২৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে গরমের দাপট বজায় থেকেছে জুন মাসে। যা এর আগে কখনও হয়নি (Weather Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bipadtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী পুজো, কেন পালিত হয় এই ব্রত, জানুন মাহাত্ম্য

    Bipadtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী পুজো, কেন পালিত হয় এই ব্রত, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিপত্তারিণী পুজো (Bipadtarini Puja)। প্রত্যেক বছর আষাঢ় মাসে রথযাত্রা এবং উল্টোরথের মধ্যে যে শনি এবং মঙ্গলবার পড়ে সেই দুই দিনেই পালিত হয় বিপত্তারিণী ব্রত উত্‍সব। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করার সময় দেবীর চরণে উৎসর্গকৃত ‘লাল তাগা’ বা লাল সুতো হাতে বাঁধা থাকলে বিপদ ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। এবছর, ৯ জুলাই মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণী ব্রত।

    যিনি বিপদকে তারণ করেন তিনিই বিপত্তারিণী

    দেবাদিদেব মহাদেবের অর্ধাঙ্গিনী, আদি শক্তি হলেন দেবী দুর্গা। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja)। সঠিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে ‘বিপত্তারিণী’ বা ‘সঙ্কটনাশিনী’ দেবীর নাম নয়, উপাধি। যিনি বিপদ তারণ করেন, তিনিই বিপত্তারিণী। আবার সব রকমের সঙ্কটকে বিনাশ করেন, তাই তিনিই সঙ্কটনাশিনী (Maa Kali Sankatnashini)। আসলে, মহামায়ার আলাদা করে কোনও নাম হয় কি? ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ইনিই। আবার ‘দশমহাবিদ্যা’ও তাঁরই রূপের প্রকাশ।

    স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja)

    বাংলায় ঘরে ঘরে বিবাহিত মহিলারা স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় মা বিপত্তারিণী পুজো করেন। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। কিন্তু জানেন কি এই পুজোর মাহাত্ম্য? দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে। দেবীর বিপত্তারিণী রূপ নিয়ে ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কাহিনীটি বেশ জনপ্রিয়—

    ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কী বলা হয়েছে?

    কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দেবগণ একবার মহামায়ার স্তব করছেন, এমন সময় শিবজায়া পার্বতী সেখানে হাজির হয়ে শুধালেন, “তোমরা কার স্তব করছ গো?” যাঁর স্তব, তিনি স্বয়ংই এ প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারলেন না। তখন পার্বতী নিজের স্বরূপ দেখিয়ে বললেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ।” এর পরবর্তীতে দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। দেবতাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী পুজোর (Bipadtarini Puja) উৎস।

    দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত

    এই পুজোর একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রতকথা অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন। তিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন। রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি নিমরাজি হন। পরে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর রাজার কাছে পৌঁছে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja) মা দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানিকে তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্র আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা ফুল। লাল জবা কালী পুজোর অন্যতম উপকরণ। মায়ের এই পুষ্প দেখে রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিকে ক্ষমা করে দেন। মা বিপত্তারিণী দুর্গার কৃপায় রানির বিপদ কেটে গেল। এরপর থেকে রানি নিষ্ঠা-সহকারে বিপত্তারিণীর (Maa Kali Sankatnashini) ব্রত করতে থাকলেন। সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World’s Longest Bicycle: বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেল! ১৮০ ফুট লম্বা, নির্মাতাদের নাম উঠল গিনেস বুকে

    World’s Longest Bicycle: বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেল! ১৮০ ফুট লম্বা, নির্মাতাদের নাম উঠল গিনেস বুকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকে তাঁর একটাই ইচ্ছা গিনেস বুকে (Guinness World Records) নাম তোলা! আগ্রহ যেমন ছিল তেমন চেষ্টার ত্রুটিও করেননি নেদারল্যান্ডের ইভান সাল্ক। অবশেষে সেই লক্ষ্যে সফল হলেন ইভান। ৩৯ বছর বয়সি ইভান তাঁর সঙ্গী ৭ ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে তৈরি করে ফেললেন এই মুহূর্তে বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেল (World’s Longest Bicycle)। জানেন কতটা লম্বা এই সাইকেল? ১৮০ ফুট লম্বা ও ১১ ইঞ্চি চওড়া। এই সাইকেলই এখন বিশ্বের সব থেকে বড় সাইকেল। এক্ষেত্রে অবশ্য এক অস্ট্রেলিয়ানের রেকর্ড ভেঙেছেন ইভান। এর আগে ২০২০ সালে ১৫৫ ফুট দীর্ঘ এবং ৮ ইঞ্চি চওড়া সাইকেল বানিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা বার্নি রায়ান। তবে দক্ষিণ গোলার্ধের এই রেকর্ড ভেঙে দিলেন উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দা ইভান। তাঁর সঙ্গে নাম উঠল আরও সাতজন ইঞ্জিনিয়ারের।

    কী বলছেন ইভান? (World’s Longest Bicycle)

    তবে একটা বিষয় উল্লেখ করা দরকার, যে কোনও সাধারণ শহরে এই সাইকেল (World’s Longest Bicycle) চালানো যাবে না। যানজট তৈরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নেট পাড়ায় ভাইরাল হয়েছে ইভানদের তৈরি এই সাইকেল। সকলেই তারিফ করছেন তাঁদের। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইভান বলেন, ‘‘ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম যে এমন কিছু একটা করতে হবে যার জন্য গিনেস বুকে আমারও নাম ওঠে। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ভাল লাগছে।’’

    অন্যরাও বানিয়েছেন এমন সাইকেল

    তবে এটাই প্রথম নয় সাইকেল নির্মাণে (World’s Longest Bicycle) ইভানের আগেও অনেকেই রেকর্ড (Guinness World Records) গড়েছেন। জানা যাচ্ছে, ১৯৬৫ সালে ২৬ ফুট দীর্ঘ ৩ ইঞ্চি চওড়া সাইকেল বানিয়ে গিনেস বুকে প্রথম রেকর্ড তৈরি করেছিল জার্মানি। এর পর একে একে নিউজিল্যান্ড, ইতালি, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশের লোক রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৮ সালে এই দীর্ঘতম সাইকেল তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন ইভান-সহ আট ইঞ্জিনিয়ার। ইভানের কথায়, ‘‘অন্যরা যখন আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করে, আমরা তখন সৃষ্টিশীল কাজে মগ্ন থাকি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: দৃশ্যমাধ্যমে অমর্যাদা করা যাবে না বিশেষভাবে সক্ষমদের, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষমদের (Differently Abled People) অমর্যাদা করা যাবে না কোনও দৃশ্যমাধ্যমে। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিশেষভাবে সক্ষমদের বর্ণনা দিতে গিয়ে ‘পঙ্গু’, ‘বিকলাঙ্গ’ কিংবা ‘জড়বুদ্ধি’-র মতো শব্দও প্রয়োগ করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের যুক্তি, এই শব্দগুলির অবমাননাকর অর্থ রয়েছে সাধারণ সামাজিক ধ্যানধারণায়।

    “শব্দ প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে” (Supreme Court)

    এই নির্দেশ দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থাকে বলেছেন, এই ধরনের যে কোনও ছবি প্রদর্শনের আগে জাতীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন সংস্থার উচিত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া। সোমবার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “শব্দ অনেক সময়ই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে পঙ্গু, বিকলাঙ্গের মতো কিছু শব্দকে আমাদের সমাজে অবমাননাকর বলে মনে করা হয়।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    একটি হিন্দি ছবিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের চিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ মালহোত্র নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাটিই সোমবার ওঠে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মামলায় নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “দৃশ্যমাধ্যমগুলির উচিত বিশেষভাবে সক্ষমদের জীবনের জন্য বৈচিত্রময় বাস্তবগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। তাঁদের সমস্যা বা অসুবিধার কথা না বলে তাঁদের সাফল্য, মেধা এবং সমাজে অবদানের কথা দর্শকদের জানানো।” তিনি বলেন, “তাঁদের পৌরাণিক কাহিনির ওপর ভিত্তি করে আলোকপাত করা উচিত নয়। আবার সুপার পঙ্গু হিসেবেও উপস্থাপন করা উচিত নয়।”

    আর পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    প্রসঙ্গত, বিশেষভাবে সক্ষমদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গত বছরই পদক্ষেপ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে খোলা হয়েছে ক্যাফে। এই ক্যাফেটি চালান বিশেষভাবে সক্ষমরা। ক্যাফেটির উদ্বোধন করেছিলেন চন্দ্রচূড় স্বয়ং। সুপ্রিম কোর্টের সামনের এই ক্যাফেটির নাম ‘মিট্টি ক্যাফে’। ক্যাফেটি চালাচ্ছেন দৃষ্টিহীন, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তরা। উদ্বোধনের পর সবাইকে ক্যাফেটিতে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, দু’জন বিশেষভাবে সক্ষম (Differently Abled People) মেয়েকে দত্তক নিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court)। বাবার কর্মস্থল দেখাতে তাঁদের একদিন নিয়েও এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramayan Animation: দূরদর্শনে শুরু হল ৫২ পর্বের অ্যানিমেটেড রাম-কাহিনি, কখন দেখতে পাবেন?

    Ramayan Animation: দূরদর্শনে শুরু হল ৫২ পর্বের অ্যানিমেটেড রাম-কাহিনি, কখন দেখতে পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কত হাজার বছর আগে মহর্ষি বাল্মিকী রামায়ণ লিখে গিয়েছিলেন তার ঠিকানা নেই। কিন্তু তার পর রামায়ণের কয়েক হাজার সংস্করণ হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। গল্প কিছুটা এক রেখে কত লেখক, কবি নিজের মত করে রামায়ণ লিখে গিয়েছেন। এবার অ্যানিমেশনে (Ramayan Animation) দেখা যাবে রামায়ণ। সৌজন্যে দূরদর্শন এবং হায়দরাদের একটি সংস্থা। রথযাত্রার দিনে হয়ে গেল প্রথম পর্ব।

    রবিবার ১২:০০ থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত অ্যানিমেশনে রামায়ণ

    বহু ভাষায় বহু নির্দেশক সিনেমায়, সিরিয়ালে রামায়ণের গল্প নিজের মত দর্শকদের জন্য উপস্থাপন করেছেন অতীতে। রামানন্দ সাগরের রামায়ণ ৮০-র দশকের শেষে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এর আগে ও পর রুপোলি পর্দায় অনেক বার রামায়ণের কাহিনি দেখেছে ভারতবাসী। এবার হায়দরাবাদের একটি সংস্থা ‘মারা ক্রিয়েশনস’ রামায়ণের অ্যানিমেশন (Ramayan Animation) সিরিজ দূরদর্শনে দেখাতে চলেছে। এই অ্যানিমেশন সিরিজের নাম রাখা হয়েছে ‘শ্রীমান রামা’ (Sriman Rama) । রবিবার, ৭ জুলাই, রথযাত্রার পবিত্র দিনে এর প্রিমিয়ার হয়। প্রতি রবিবার দুপুর ১২:০০ থেকে ১২:৩০ এর মধ্যে ৫২টি এপিসোডে প্রভু শ্রী রামের গল্প অ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হবে। দেখতে পাবে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ।

    ৫২ পর্বের অ্যানিমেশন সিরিজ

    অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে শিশুরা মূল দর্শক। ভারতবর্ষে জনসংখ্যার প্রায় ৪০ কোটি ১৫ বছর বয়সের নিচের। তাঁদের জন্য রামায়ণের কোন অংশ কীভাবে দেখানো হবে, সেটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উদ্যোক্তাদের কাছে। তবে শুধু শিশুদের কথা মাথায় রেখেই এই অ্যানিমেশন (Ramayan Animation) সিরিজ রচনা করা হয়েছে, এমনটা নয়। যাতে গোটা পরিবার এই সিরিজ দেখতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ একসময় টিভি দুনিয়ায় কামাল করেছিল, সেই সোনালী দিন ফিরিয়ে আনাই এই সিরিজের উদ্দেশ্য। এর আগেও রামায়ণের কাহিনি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। ৫২ পর্বের এই অ্যানিমেশন (Sriman Rama) আগের রামায়ণের কাহিনিগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি প্রভাবশালী হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

    আরও পড়ুন: পুরীর সমুদ্র সৈকতে প্রাতর্ভ্রমণে রাষ্ট্রপতি, প্রকৃতির মাঝে খুঁজে পেলেন শান্তি

    আয়োজক সংস্থার তরফে রামচন্দ্র বিষ্ণুভট্ট বলেন, “শ্রীমান রাম অ্যানিমেশন সিরিজের মাধ্যমে আমরা শুধু দর্শকদের আনন্দ দিতে চাই এমনটা নয়। আমরা চাই ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস বিশ্বের সকল মানুষের কাছে তুলে ধরতে। প্রভু শ্রী রামের বাস্তব সারমর্ম তুলে ধরবে (Ramayan Animation) এই সিরিজ। আমাদের উদ্দেশ্য, মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে সমসাময়িক শ্রোতা এবং দর্শকদের কাছে তুলে ধরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ (Balurghat) সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জুলাই মাসের মধ্যেই রেল দফতরের হাতে এক-তৃতীয়াংশ জমি হস্তান্তর করার প্রশাসনিক দাবি থাকলেও, বাস্তবে কিন্তু ঘটেছে অন্যরকম। ৭০ শতাংশ জমিদাতাই এখনও টাকা পাননি। শুধু তাই নয়, কত টাকা পাওয়া যাবে, ওই টাকা কবে ঢুকবে বা কবে জমি তাঁদের ছাড়তে হবে ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন জমিদাতারা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এই কাজে গতি আনার দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সুকান্তবাবু বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসনের। জমিদাতাদের বিঘা প্রতি কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বা কত টাকা তাঁরা পাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তাঁদের জানানো উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে, তাই জেলা প্রশাসনকে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) কাজে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

    সমস্যায় ১০০টি পরিবার (Balurghat)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বালুরঘাট পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফায় বালুরঘাট ব্লকের যে সমস্ত এলাকার জমি রেল দফতরকে জুলাই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে প্রশাসনের, সেই সব এলাকার জমিদাতাদের অধিকাংশই এখনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইন আত্রেয়ী নদী পেরিয়ে বালুরঘাট শহরে ঢুকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ঢুকবে হিলি ব্লকে।

    বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রামাঞ্চলের যে দিকে রেল লাইন যাবে, সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই এখনও তাঁদের জমির প্রাপ্য টাকা পাননি। অথচ জেলা প্রশাসন দাবি করছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ জমি তুলে দেওয়া হবে রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এবং দুর্গাপুজোর মধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমিদাতারা। তাঁদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে। এই সুযোগে এলাকায় জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা যে হিসেবে টাকা দেওয়া হবে, সেই টাকা দিয়ে আদৌ জমি কিনে বাড়ি করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান জমিদাতারা। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, জমি দান করতে সম্মতি জানালেও কত দাম দেওয়া হবে জমির জন্য, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। বারবার জেলা প্রশাসনিক দফতরে গিয়েও তাঁরা জানতে পারেননি, কত টাকা পেতে পারেন বা কবে ঢুকবে টাকা। সেই কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ১০০টি পরিবার।

    কী বলছেন জমিদাতারা?

    জমিদাতা লোকনাথ হালদার বলেন, বছরখানেক আগেই কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে জমা করে দিয়েছি। এখন আমাদের অন্যত্র জমি কিনে নেওয়ার কথা। কিন্তু কত টাকা পাব বা কবে টাকা পাব, এই ব্যাপারে কিছুই জানতে পারছি না। এদিকে জমিও (Balurghat) কিনতে পারছি না, জমির দামও বেড়ে যাচ্ছে।

    কী জানাল জেলা প্রশাসন?

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমিদাতাদের (Balurghat) টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। পুজোর আগে এই প্রকল্পের জন্য সমস্ত জমিই রেলকে হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    সক্রিয় হওয়ার আর্জি সুকান্তর (Balurghat)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের কাজ হল জমি অধিগ্রহণ করা। তাদের উচিত, জমিদাতাদের সঠিক তথ্য জানানো, তাঁরা প্রতি বিঘার উপর কত করে দাম পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণের জন্য। জেলা প্রশাসনের সক্রিয় হওয়া উচিত (Land Acquisition)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Inspiring Story: দুর্ঘটনার জেরে পঙ্গুপ্রায়, দশ শতাংশ ছিল বাঁচার সম্ভাবনা, এখন ডাক্তার হয়ে অন্যকে বাঁচান

    Inspiring Story: দুর্ঘটনার জেরে পঙ্গুপ্রায়, দশ শতাংশ ছিল বাঁচার সম্ভাবনা, এখন ডাক্তার হয়ে অন্যকে বাঁচান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহমেদাবাদে ২৭ বছর বয়সি হাড়ের ডাক্তার সাক্ষী মাহেশ্বরী, আজ এক প্রেরণার (Inspiring Story) নাম। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে সংঘর্ষ করছেন তাঁদের রোল মডেল হতে পারেন সাক্ষী। দুর্ঘটনায় পঙ্গুপ্রায় হয়েছিলেন, কুড়ি বার অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর শরীরে, একটা সময় নিজেও আশা হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। তবে মনের জোর অটুট রেখে শেষমেষ হাড়ের ডাক্তারই হয়ে উঠলেন সাক্ষী!

    সাত বছর আগের দুর্ঘটনা

    সাত বছর আগে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন (Inspiring Story) সাক্ষী, তখন তিনি এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। আর পাঁচটা দিনের মতো দুর্ঘটনার দিনও আহমেদাবাদে নিজেদের বাড়িতে বসে দৈনিক কাজকর্ম সারছিলেন সাক্ষীর বাবা দীনেশ এবং মা স্নেহা। মেয়ের দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে হঠাৎই ফোন আসে তাঁদের কাছে। তড়িঘড়ি ফোন পেয়ে তাঁরা ছুটে যান কর্নাটকে। সেখানেই হয়েছিল দুর্ঘটনা। মেয়েকে দেখে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। দুর্ঘটনায় বুকে, মাথায়, হাতে, পায়ে গুরুতর চোট। সাক্ষী (Sakshi Maheshwari) ২০ দিন ছিলেন আইসিইউতে। পর পর অস্ত্রোপচার হয়েছিল শরীরের বিভিন্ন অংশে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ২০। এর পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের পর ছ’মাস ধরে চলেছিল চিকিৎসা। সাক্ষীর পরিবার জানিয়েছে, দু’বছর ধরে টানা ফিজিয়োথেরাপি করানো হয়েছিল। সাক্ষীর পরিবার এখনও ভুলতে পারেননি দিনগুলি।

    হাসপাতাল ফেরত সাক্ষীর লড়াই (Inspiring Story)

    সাক্ষী (Sakshi Maheshwari) জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল আসল লড়াই। তিনি জানিয়েছেন, নিজে ডাক্তারির ছাত্রী হয়েও শরীরের চোট-আঘাতের দিকে তাকাতে পারতেন না। দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিতে বসেছিল তাঁর। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছিলেন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। শুধু নিজের জেদকে সম্বল করে ২৭ বছরের সাক্ষী আজ হাড়ের ডাক্তার হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার পর অর্ধেক যুদ্ধ জিতে যান সাক্ষী। তবে বাকি যুদ্ধ এখনও তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। সাক্ষী মাহেশ্বরীর নিজের ভাষায়, ‘‘আমি তখন ছিলাম একজন ডাক্তারি পড়ুয়া। যে গুরুতর আঘাত আমি পেয়েছিলাম তা দীর্ঘ সমস্যার সৃষ্টি করবে এটা জানতাম। এর পাশাপাশি আমি জানতাম যে ভবিষ্যতে চলার পথটাও খুব কঠিন হতে চলেছে।’’ বর্তমানে হাসপাতালে যখন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীরা আসেন, তখন সাক্ষী তাঁদের মধ্যে নিজের অতীতকে খুঁজে পান, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে,  সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরত একটাই প্রশ্ন, ‘‘কোনও দিন কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব?’’ প্রতি বারই প্রশ্নের জবাব দিতেন নিজেই। নিজেকে বলতেন, ‘‘আমাকে পারতেই হবে (Inspiring Story)।’’ পাশে ছিলেন মা, বাবা, দাদু, দিদা।

    বাবা আমাকে দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে দিতেন

    সাক্ষী (Sakshi Maheshwari) বলেন, ‘‘কঠিন দিনগুলিতে সবার কাছ থেকেই সাহায্য পেয়েছি। বাবা আমাকে দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে দিতেন। আমি সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করতাম।’’ বেশ কয়েকদিন শয্যাশায়ী থাকার পরে সাক্ষী ওয়াকারে করে হাঁটাচলা শুরু করেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর হাঁটতে খুবই অসুবিধা হত। তিনি কেবলমাত্র ঘর থেকে বের হতে পারতেন, আবার বিছানায় চলে আসতেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু এমন সময়ে তাঁর বাবা ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে দিতে থাকেন। লক্ষ্যপূরণের জন্য প্রতিদিন পাঁচটি করে বেশি পা ফেলতে থাকেন সাক্ষী ঘরে ঢোকার আগে। এভাবেই সেরে উঠছিলেন তিনি। পিতার কাছ থেকে পাওয়া এমন প্রেরণা তাঁকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন (Inspiring Story) সাক্ষী।

    সাক্ষীর মা কী বলছেন?

    সাক্ষীর মা স্নেহা বলেন, ‘‘ওকে অত কষ্টের মধ্যে দেখে আমরাও ভেঙে পড়তাম প্রায়ই। প্রত্যেকটা দিনই ওর কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল।’’ এই অবস্থায় সাক্ষী জেদ ধরেন, ডাক্তারি পড়া তিনি চালিয়ে যাবেন যেকোনও মূল্যে। আত্মীয়-স্বজন, অধ্যাপক, সহপাঠী, বন্ধুরা বুঝিয়েছিলেন অনেক। তাঁদের মনে হয়েছিল, সাক্ষীর শরীরে যা অবস্থা, তাতে তিনি পড়ার চাপ সামলাতে পারবেন না। কিন্তু সাক্ষী ছিলেন নাছোড়বান্দা।

    স্নাতকোত্তরে ভর্তির দিন বোন কেটেছিলেন কেক

    দুর্ঘটনার পরেই সাক্ষী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, ডাক্তারি পড়া চালিয়ে যাবেন এবং স্নাতকোত্তরে অর্থোপেডিক নিয়েই পড়াশোনা করবেন। যে দিন আহমেদাবাদের বিজে হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন সাক্ষী, সে দিন তাঁর বোন ইশা কেক কেটেছিলেন। ইশা বলেন, ‘‘আমি মনে করতে পারি সেই দিনটির কথা যেদিন আমার দিদি আহমেদাবাদের ডিজে মেডিকেল কলেজে অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়। সেদিন আমরা বাড়িতে উৎসব শুরু করি এবং কেক কাটি।’’

    সাক্ষীকে স্যালুট ছোট বোনের

    ইশা মাহেশ্বরী আরও বলেন, ‘‘দিদি আমার আদর্শ। খুব কম বোনেরই এমন সুযোগ থাকে নিজের দিদিকে বেড়ে উঠতে দেখার। আমি তাঁকে স্যালুট জানাই। তাঁর ইচ্ছা শক্তিকে স্যালুট জানাই। আমার জীবনের প্রধান চরিত্রই সাক্ষী।’’ ইশা আরও জানিয়েছেন, যে দিন সাক্ষী দুর্ঘটনার পর প্রথম বার নিজের দাঁত মাজতে পেরেছিলেন, পরিবারের সকলে নাচ-গান, হুল্লোড় করেছিলেন। সাক্ষী জানিয়েছেন, সে দিন সেই দুর্ঘটনা না হলে হয়ত রোগীদের প্রতি এতটা সমব্যথী হতে পারতেন না তিনি। তাঁদের কষ্টটা বুঝতে পারতেন না।

    যাঁরা সংঘর্ষ করছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে সাক্ষীর বার্তা

    সাক্ষীর এমন গল্প অনেকের কাছেই প্রেরণা হতে পারে। যাঁরা সংঘর্ষ করছেন তাঁদের উদ্দেশে সাক্ষীর বার্তা, ‘‘কখনও আশা ছাড়বেন না। যা কিছু সংস্থান আছে সব ব্যবহার করতে থাকুন। সাফল্য মিলবেই।’’ সাক্ষী এও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি হাত নাড়াতে পারতেন না। তাই বর্তমানে যখন তিনি কোনও সমস্যায় পড়েন তখন নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং সেগুলোর প্রশংসা করেন। ভাবেন কীভাবে তাঁর হাত স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohua Moitra: রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কু-মন্তব্য, মহুয়া মৈত্রর নামে দিল্লি পুলিশে এফআইআর

    Mohua Moitra: রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কু-মন্তব্য, মহুয়া মৈত্রর নামে দিল্লি পুলিশে এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ। ফৌজদারি নয়া দণ্ডবিধি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আইএফএসও-এর সাইবার ইউনিট মহুয়ার নামে এফআইআর করেছে।

    কেন এফআইআর

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে আহত মহিলাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রেখা। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কোনও এক জন তাঁর মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কেন নিজের ছাতা নিজে ধরেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছিল নেট-পাড়া। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেছেন, ‘ছাতা ধরবেন কী করে, উনি তো ওঁর প্রভুর পাজামা ধরেছিলেন’! এই মন্তব্যকে রেখা অশালীন এবং তাঁর পদের মর্যাদাহানিকর বলে নিন্দা করেন। জাতীয় মহিলা কমিশন মহুয়ার (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে এফআইআর দায়ের করে। দিল্লি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান রেখা।

    আরও পড়ুন: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণ! জানুন কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

    কোন ধারায় এফআইআর (Mohua Moitra)

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭৯ অনুসারে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ধারা অনুসারে, মহিলাদের মর্যাদাহানি করে এমন ধরনের শব্দ, ইঙ্গিত বা কাজ অপরাধমূলক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।  এর আগেও বহুবার নিজের বেলাগাম মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন মহুয়া। রেখার বিরুদ্ধে তাঁর এই মন্তব্য অবাঞ্ছিত বলে মনে করছেন অন্য বিরোধী দলের কয়েক জন নেতা। তাঁদের মতে, অন্যভাবেও আক্রমণ করা যেত। সমালোচনা করারও কৌশল রয়েছে। কিন্তু রেখার মন্তব্য একটি মহিলার সম্মানে আঘাত করেছে। তাই কথা বলার আগে রেখার একটু ভেবে বলা উচিত বলেই মত বিরোধী শিবিরের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ক্লাবে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘দাদাগিরি’! বারাকপুরে ধস্তাধস্তির মাঝে মৃত ১

    Barrackpore: ক্লাবে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘দাদাগিরি’! বারাকপুরে ধস্তাধস্তির মাঝে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বৈঠক ঘিরে অশান্তি বারাকপুরে (Barrackpore)। একটি ক্লাবের সদস্যদের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এতেই জড়িয়ে প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। ঘটনায় কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বারাকপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC councilor) মৌসুমি মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ধস্তাধস্তি শুরু হতেই ক্লাব ঘরের বাইরে মৃত্যু হয় পার্থ চৌধুরী নামের ওই কমিটির সদস্যর। তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বারাকপুরের (Barrackpore) ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।

    অভিযোগ, সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বারাকপুরের (Barrackpore) কাউন্সিলর মৌসুমী মুখোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছিল, সে সময় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী মুখার্জী দল বল (TMC councilor) নিয়ে সেখানে আসেন এবং এই কমিটি মানি না বলে গন্ডগোল শুরু করেন। এরপরই সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী মুখোপাধ্যায়। এরপরই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পার্থ চৌধুরীকে। ঘটনাস্থলেই পড়ে যান পার্থবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে বারাকপুর (Barrackpore) বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    ঘটনা অস্বীকার কাউন্সিলরের, তবে অন্য মত মৃতের পরিবারের

    যদিও মারপিট গন্ডগোলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তাঁর দাবি মিটিং ভেতরে চলছিল আর বাইরে পার্থ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে অন্যরা ঘিরে ধরে। মৃতের সঙ্গে পুজো কমিটির মিটিং-এর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন মৌসুমি। যদিও নিহত প্রৌঢ়ের পরিবারের দাবি, পার্থের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। কাউন্সিলরের (TMC councilor) অনুগামীরা তাঁকে মারধর করেন।

    কী বলছেন পুরপ্রধান?

    এই ঘটনার পর বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে আসেন পৌর প্রধান উত্তম দাস। তিনি বলেন, “ক্লাবে মিটিং ছিল। ভিতরে কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে খবর নিয়ে জেনেছি, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি ওই বৈঠকে ছিলেন না। কিছু ছেলে ওঁকে ধাক্কাধাকি করেছে। তখনই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।” একই সঙ্গে পুরপ্রধান জানান, কাউন্সিলর বা যিনিই এই ঘটনায় দোষী হোন না কেন, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসিএলের খনি ভরাট করার জন্য প্রয়োজন বালি। বরাত পাওয়া প্রাইভেট সংস্থার বালির গাড়ি অবৈধ, এই অভিযোগ তুলে তা আটকে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন জামুরিয়ার তৃণমূল নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা। সংস্থার তরফে কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তোলাবাজির। ঘটনার প্রেক্ষিতে সংঘাত লেগেছে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে জামুরিয়া থানার। জামুরিয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে দলীয় পদ এবং সরকারি পদ থেকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামুড়িয়ার পরাশিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সমিতির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ এবং দূষিত বালিমাটি পরিবহণ তাঁরা আটকে দিয়েছেন মানুষের স্বার্থে। কিন্তু পুলিশ কাজ করছে ওই প্রাইভেট সংস্থার হয়ে, মানুষের হয়ে নয়। এই নিয়ে সরগরম জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) রাজনীতি।

    কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ?

    ইসিএলের কাজে বাধা দেওয়া ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, বেআইনি ও অবৈধ কাজ বরদাস্ত নয়। তারপরেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন জামুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতারা (Trinamool Congress)। মাটি, বালি, ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই গাড়ি দেখলেই অভিযান শুরু নেতাদের। এই নিয়েই তৃণমূল নেতাদের একাংশের সঙ্গে লাগল সংঘাত। প্রাইভেট সংস্থার অভিযোগ, অভিযানের নামে তোলাবাজিতে নেমেছেন ওই তৃণমূল নেতারা।

    পাল্টা কী হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Bardhaman)

    ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া গ্রুপ অফ মাইনসের এজেন্ট মধুসূদন সিং ও ইসিএলের টেন্ডার পাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে পিওবি (প্রসেস ওভার বার্ডেন) প্ল্যান্টের ইনচার্জ অসীম চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে জামুড়িয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত উদীপ সিং ও তার ৬ সঙ্গী সহ ২০-২৫ জনের নামে একটি এফআইআর করেছে। শনিবার রাতে তাঁদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁরা হলেন রঘুপদ মণ্ডল ও মলয় মণ্ডল। পুলিশ অ্যাকশন নিতেই  জামুড়িয়া ব্লকের পরাশিয়া গ্রামে সাংবাদিক সম্মেলনে করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল নেতা, তথা কর্মাধ্যক্ষ উদীপ সিং। পাল্টা তিনি জামুরিয়া থানার (Paschim Bardhaman) ওসি রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, ইসিএল এবং ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিককে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমি জামুরিয়া এলাকায় মাটি ও বালির বেআইনি কারবার বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর করা হয়েছে। এদিন তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নির্বাচিত গ্রামসদস্য ছিলেন। উদীপ সিং এদিন হুমকি দিয়ে বলেন, দল পাশে না দাঁড়ালে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থানে বসব। দলের নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। দল যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে পদত্যাগ করব, এমন হুমকিও তিনি দেন। তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। আর কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে পরামর্শ করছি।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের, কী বলছে বিজেপি?

    অন্যদিকে, দায় এড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব। বিষয়টি জানা নেই। পাণ্ডবেশ্বর প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, তৃণমূলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারেন না বা তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকারও নেই। কারণ জামুরিয়ার সমস্ত কিছুই আসানসোলের তৃণমূল নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও দল ও পুলিশ-প্রশাসন থেকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হবে উদীপকেই। সম্মান নিয়ে যদি উনি বাঁচতে চান, ওঁকে তৃণমূল ছাড়তে হবে। আর যদি উনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান, আত্মসমর্পণ না করতে চান, তাহলে দল ছাড়ুন। আমরা তাঁর (Trinamool Congress) পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share